
প্রথম টেস্ট তো বটেই, চলতি বছর টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের অন্যতম সেরা বোলারই জশ হ্যাজেলউড। অস্ট্রেলিয়ার জন্য তাই ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে চোটের কারণে বড় ধাক্কা হয়েই এসেছে ডানহাতি এই পেসারের ছিটকে যাওয়া।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হ্যাজলউডের সাইড স্ট্রেইনের চোট রয়েছে এবং তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য ম্যাচ না খেললেও অ্যাডিলেডে স্কোয়াডের সাথে থাকবেন।
বেশ কিছুটা সময় ধরেই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণের নিয়মিত মুখ হ্যাজেলউড। গত বছরের অ্যাশেজে হেডিংলির পর থেকে এটিই হবে প্রথম টেস্ট, যা তিনি মিস করেছেন। পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিশাল হারের মাঝে অস্ট্রেলিয়ার যে কয়েকজন আলো ছড়িয়েছেন, তাদের একজন তিনি। অভিজ্ঞ এই পেসার ৩৪ ওভারে ৫ উইকেট দেন মাত্র ৫৭ রানের বিনিময়ে।
দ্বিতীয় টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা শন অ্যাবট এবং ব্রেন্ডন ডগেট। যদিও তাদের খেলার সম্ভাবনা কমই ধরা হচ্ছে। দিবা-রাত্রির টেস্টের একাদশে হ্যাজলউডের সম্ভাব্য বদলি এগিয়ে রাখা হচ্ছে স্কট বোল্যান্ডকে।
বোল্যান্ডের শেষ টেস্ট ছিল গত বছরের অ্যাশেজেই, যেই ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন হ্যাজেলউড চোট পাওয়ায়। ঘরের মাঠে এই ডানহাতি পেসারের রেকর্ড অবিশ্বাস্যই। ছয় ম্যাচে ১২.২১ গড়ে নিয়েছেন ২১ উইকেট।
আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট, অ্যাডিলেডে।
No posts available.
৩ নভেম্বর ২০২৫, ৯:৩৬ এম

বাংলাদেশ সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হতাশাজনক বোলিংয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলে জায়গা হারালেন গুদাকেশ মোতি। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ করার জন্য নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে রাখা হয়নি বাঁহাতি স্পিনারকে।
কাঁধের চোটে বাইরে থাকা ম্যাথু ফোর্ডকে ফেরানো হয়েছে ১৫ জনের দলে। চোটের কারণে র্যামন সিমন্ডস ও জেডিয়াহ ব্লেডস না থাকায় পেস বিভাগ শক্তিশালী করতে দলে নেওয়া হয়েছে শামার স্প্রিঙ্গারকে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে সোজা নিউ জিল্যান্ড চলে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অকল্যান্ডে বুধবার শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যা শেষ হবে ১৩ নভেম্বর।
মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে স্পিন সহায়ক উইকেটেও তেমন ভালো করতে পারেননি মোতি। ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে মাত্র ৪ উইকেট নেন তিনি। তিন ম্যাচেই করেন বেশ খরুচে বোলিং। পরে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে তাকে একাদশে রাখেনি ক্যারিবিয়ানরা।
নিউ জিল্যান্ড সিরিজ থেকে বাদ পড়ে নিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ করবেন মোতি। এছাড়া নিউ জিল্যান্ডের মাঠে তুলনামূলক পেস সহায়ক কন্ডিশন হওয়ায় নিজেদের স্কোয়াডে বাড়তি স্পিনার রাখেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্যারিবিয়দের পেস বিভাগে ফোর্ডের বাইরে আছেন শুধু জেডেন সিলস। তবে পেস বোলিং অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার, রোমারিও শেফার্ড ও স্প্রিঙ্গার। আর স্পিনে থাকছেন রস্টোন চেজ, আকিল হোসেন ও খ্যারি পিয়েরে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড
শাই হোপ (অধিনায়ক), আলিক আথানেজ, আকিম অগারস্ত, রস্টোন চেজ, ম্যাথু ফোর্ড, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেন, আমির জাঙ্গু, ব্র্যান্ডন কিং, খ্যারি পিয়েরে, রভম্যান পাওয়েল, শেরফান রাদারফোর্ড, জেডেন সিলস, রোমারিও শেফার্ড, শামার স্প্রিঙ্গার।

প্রায় এক মাস ধরে ঝুলতে থাকা অমীমাংসিত বিষয়ে অবশেষে সমাধান জানাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) এনএসসি থেকে দ্বিতীয় পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব রুবাবা দৌলা।
গত মাসে বিসিবির পরিচালক পর্ষদের নির্বাচনের পরদিন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল, এনএসসি থেকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেবেন রুবাবা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তখন সেটির ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
অবশেষে সোমবার এনএসসি পরিচালক (ক্রীড়া) মোঃ আমিনুল এহসান সাক্ষরিত ভিন্ন দুই চিঠিতে এই মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রথম চিঠিতে তাকে এম ইশফাক আহসানের বদলে কাউন্সিলর হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরের চিঠিতে এনএসসি কোটায় পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
| নারী বিশ্বকাপে নতুন চ্যাম্পিয়ন ভারত |
|
বিসিবি নির্বাচনের দিন এনএসসি মনোনীত পরিচালক হিসেবে এম ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিকের নাম ঘোষণা করা হয়। এনএসসির সবশেষ চিঠিতে বলা হয়েছে, এই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন এম ইসফাক আহসান। তাই রুবাবা দৌলাকে বেছে নিয়েছে এনএসসি।
দীর্ঘ দিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওরাকলের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রুবাবা দৌলা। এর আগে টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন তিনি।
খেলাধুলার সঙ্গেও তার সম্পৃক্ততা বেশ পুরোনো। ২০০৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন রুবাবা। এছাড়া বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্যও ছিলেন তিনি।
গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা হিসেবে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনেও পরিচিত মুখ ছিলেন রুবাবা দৌলা।। ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পৃষ্ঠপোষক ছিল গ্রামীণফোন। ২০০৭ সালে গ্রামীণফোন ও বিসিবির যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনে ভূমিকা ছিল রুবাবা দৌলারও।
এবার নতুন পরিচয়ে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম দিনই বিসিবিতে আসতে পারেন তিনি। সোমবারের বোর্ড পরিচালকদের সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন রুবাবা দৌলা।

প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার উদযাপন তো বাঁধভাঙা হবেই। দক্ষিণ আফ্রিকাকে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ৫২ রানে হারিয়ে শিরোপা জেতা ভারতের উদযাপনে ছিল না কোনো কমতিও। আর এই ট্রফি জেতার উল্লাসকে দ্বিগুন করতে চোখ কপালে তোলা অঙ্কের পুরষ্কার ঘোষণা করেছে বিসিসিআই।
নাভি মুম্বাইয়ে গতকাল শেফালি বর্মা ও দিপ্তী শর্মার ব্যাটে ভর করে ২৯৮ রান তোলে ভারত। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে এর আগে ১৬৭ রানের বেশি লক্ষ্য ছুঁয়ে জিততে পারেনি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকাও, অধিনায়ক লরা ওলভার্টের লড়াকু সেঞ্চুরিতেও ২৪৬ রানেই থামে প্রোটিয়ারা। তাতে ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে হারমানপ্রীত কৌরের দল।
ভারতের এই জয়ে দেশটির নারী ক্রিকেটের ভবিষ্যতেই পাল্টে দেবে বলছেন উচ্ছসিত বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিত সাইকিয়া। ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআই-কে দেওয়া এক তিনি বলেন , ‘এই জয় শুধু এক ম্যাচের জয় নয়, এটি এমন এক মুহূর্ত যা ভারতের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ বদলে দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সাফল্য পরবর্তী প্রজন্মের নারী ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। এটি নারীদের ক্রিকেটের ইতিহাসে এক বিশাল পদক্ষেপ।’
চ্যাম্পিয়ন ভারত দলের জন্য ৫১ কোটি রুপি বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৭১ কোটি টাকার পুরষ্কার ঘোষণা করেছে বিসিসিআিই। বিশাল অঙ্কের এই অর্থ খেলোয়াড়, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
বিসিসিআইয়ের পুরস্কারের পাশাপাশি, ভারতীয় দল আইসিসি থেকেও পাবে প্রায় ৫৫ কোটি কোটি টাকা, যা নারী ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ অর্থ পুরস্কার।

হিসাব মোটেও সহজ ছিল না। জয় পেতে রীতিমতো রেকর্ড গড়তে হতো দক্ষিণ আফ্রিকার। সমীকরণ মেলানোর মিশনে যাত্রা দাপুটে হলেও একটা পর্যায়ে চোক করে বসে প্রোটিয়ারা। তাতেই নারী বিশ্বকাপ দেখল নতুন চ্যাম্পিয়ন। লরা ওয়লভার্টদের বিপক্ষে ৫২ রানে জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতল হারমানপ্রীত কৌরের দল।
নাভি মুম্বাইয়ে আজ প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শেফালি বর্মা ও দিপ্তী শর্মার ব্যাটে ভর করে ২৯৮ রান তোলে ভারত। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে এর আগে ১৬৭ রানের বেশি লক্ষ্য ছুঁয়ে জিততে পারেনি কোনো দল। তাছাড়া নারী ওয়ানডে ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকাও কখনোই এত বেশি রান তাড়া করে জিততে পারেনি। জয় পেতে কঠিন রান পাহাড়ে চড়তে হতো প্রোটিয়াদের। তারা সুন্দরভাবে ২০০ রান পেরোলেও যাত্রা থামে ২৪৬ রানে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি ভারত। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে তারা তোলে ৬৪ রান। স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মার জুটি ভাঙে ১০৪ রানে, স্মৃতি ফিরলে। ক্রিজ ছাড়ার আগে বাঁহাতি এই ব্যাটার ৪৫ রান করেন।
জুটি ভাঙলেও ঠিকই রেকর্ড গড়েছেন দুজন। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে এখন পর্যন্ত উদ্বোধনী জুটিতে ভারতের সর্বোচ্চ রান—মান্ধানা-শেফালির এই ১০৪ রান।
মান্ধানা ফেরার পরও থেমে থাকেননি শেফালি। ৬ রানে জীবন পাওয়া এই ব্যাটার স্বাচ্ছন্দ্যেই এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে দ্বিতীয়বার ক্যাচ তুলে দিয়ে আর রক্ষা পাননি। সুনে লুসের হাতে ধরা পড়ে ফিরতে হয় ৮৭ রানে। আউট হওয়ার আগে মারেন ৭ চার ও ২ ছক্কা।
দলকে ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জেমিমাহ রদ্রিগেজ আজ থিতু হয়েও সুবিধা করতে পারেননি। তিনি ফেরেন ২৪ রানে। অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর থামেন ২০ রানে, আর আমানজোত কৌর ব্যক্তিগত ইনিংসে যোগ করেন ১২ রান।
দলীয় ২৪৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন দিপ্তী শর্মা ও রিচা ঘোষ। তাদের জুটি থেকে আসে ৪৭ রান। শেষ পর্যন্ত রিচা ফেরেন ৩৪ রানে, আর শেষ বলে রান আউটে কাটা পড়ে দিপ্তী করেন ৫৮ রান। তাতেই ভারত পান ২৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আয়াবঙ্গা খাকা। ৯ ওভার বল করে খরচ করেন ৫৮ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বেশ গুছানো ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার পথচলা। তাজমিন ব্রিটসকে নিয়ে দেখেশুনে সূচনা করেন লরা ওয়লভার্ট। বিপত্তি ঘটে দলীয় ৫১ রানে, যখন তাজমিন রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। মূলত ধাক্কাটা তখন থেকেই শুরু প্রোটিয়াদের।
পর্যায়ক্রমে আনিকা বশ, সুনে লুস, মারিজান কাপ ও সিনাল জাফতা ফেরেন। বিশেষ করে আনিকা ও কাপের ফেরাটা বেশি বিপাকে ফেলে প্রোটিয়াদের। আসরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে কাপ মাত্র ৪ রান করতে পারেন। অন্যদিকে আনিকার ফেরাটা ছিল ডাক মেরে।
১৪৮ রানে মিডল অর্ডারের পাঁচ ব্যাটারকে ফেরানোর পরও আনেরি ডের্কসেনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ওয়লভার্ট। ধাক্কা সামাল দেওয়ার জন্য সবধরণের চেষ্টা চালান দুইজন। তবু দিপ্তী শর্মার বল বুঝে ওঠার আগেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন ডের্কসেনকে। ৩৫ রানে ফেরেন তিনি।
ডের্কসেনের পর ওয়লভার্ট ফেরাতে তখনই পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রোটিয়া অধিনায়ক ৯৮ বলে ১০১ রান করেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার দশম সেঞ্চুরি। ৪১.১ ওভারে ৭ উইকেট হারানো দল তখনো ৭৮ রান দূরে। শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
ভারতের হয়ে দিপ্তী ৯.৩ ওভারে ৫ উইকেট নেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নেন শেফালি বর্মা, তিনি নেন ২টি।

গত ৬ অক্টোবর বিসিবির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর অভিষেক সভার জন্য অপেক্ষা বাড়েনি। পরদিন (৭ অক্টোবর) ২৫ সদস্যের পরিচালনা পরিষদের অভিষেক হয়েছে। অভিষেক সভাতেই দপ্তর বন্টিত হয়েছে। ২৩টি কমিটির চেয়ারম্যানের নাম ঘোষিত হয়েছে সেই সভাতেই।
সোমবার দুপুর ২টায় বিসিবির পরিচালনা পরিষদের দ্বিতীয় সভাটি পূর্ণাঙ্গ কলেবরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অভিষেক সভায় বিদেশে অবস্থান করায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কোটা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসা গায়ক আসিফ আকবর ছিলেন অনুপস্থিত। এজ গ্রুপ ডেভেলপম্যান্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া আসিফ আকবর আজ বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় থাকবেন উপস্থিতি। নানা কারণে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের এই সভাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিপিএলের সর্বশেষ সংস্করণে স্পট ফিক্সিং নিয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিটি সম্প্রতি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের হাতে তুলে দিয়েছে ৯০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন। যে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের নাম এখনো প্রকাশ করেনি বিসিবি। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশসমূহ গণমাধ্যমকে জানানি বিসিবি। সোমবার বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় এই তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হবে। বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভার এজেন্ডার তালিকায় রাখা হয়েছে এই ইস্যুটি।
বিপিএলের পরবর্তী ৫ আসরের জন্য ফ্রাঞ্চাইজি চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে গত ২৮ অক্টোবর যে ১১টি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিসিবিতে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) জমা দিয়েছে, তাদের পে অর্ডার, ব্যাংক গ্যারান্টি এবং কোম্পানীর আর্থিক স্বচ্ছলতার বিবরণ জেনে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল রোববার।
চিটাগাং কিংসের ফ্রাঞ্চাইজি এস. কিউ. স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজকে খেলাপীর তালিকায় রেখে ইওআই জমা দিতে দেয়নি বিসিবি। খুলনা টাইগার্স ফ্রাঞ্চাইজি মাইন্ডট্রি–রূপসী কংক্রিট লিমিটেড কনসোর্টিয়ামকে বিপিএলের পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। নতুন আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে নোয়াখালির ফ্রাঞ্চাইজি পেতে চেয়েছিল বাংলা মার্ক লিমিটেড। প্রাথমিক বাছাইয়ে তাদের আবেদনও গৃহিত হয়নি।
এই ৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে পাঁচ অথবা ৬টি ফ্রাঞ্চাইজি সোমবার বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় চূড়ান্ত হওয়ার কথা। বিপিএলের পরবর্তী ৫টি সংস্করণের জন্য ফ্রাঞ্চাইজি চূড়ান্ত হবে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সোমবারের সভায়। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় বিপিএলের কমার্শিয়াল রাইটসও অনুমোদিত হওয়ার কথা এই সভায়। বিসিবির পরিচালনা পরিষদের এজেন্ডাতে আছে এই ইস্যুটি।
বিসিবি ইন্ট্রিগিটি ইউনিটের প্রধান হিসেবে অ্যালেক্স মার্শালের নিয়োগ অনুমোদনের কথাও বিসিবির পরিচালনা পরিষদের এই সভায়।
এ বছরের জুন মাসে নাজমুল হোসেন শান্ত'র কাছ থেকে ওডিআই ক্যাপ্টেনসি কেড়ে নেয়ায় টেস্ট ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে কম সমালোচনা হয়নি। শান্ত'র ওডিআই ক্যাপ্টেনসি কেড়ে নেয়ার পেছনে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের ব্যক্তিগত ইচ্ছা গুুরুত্ব পেয়েছে বলেও গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। অন্তবর্তীকালীন মেয়াদে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বিসিবির বর্তমান নির্বাচিত কমিটিতেও একই দায়িত্বে বহাল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ০-৩ এ হেরে যাওয়ায় ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি পড়েছে সমালোচনার মুখে। এই কমিটিকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে একটা ছাঁয়া কমিটি গঠিত হয়েছে চট্টগ্রামে বসে। ওই ছাঁয়া কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী নাজমুল হোসেন শান্তকে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় কোচিং স্টাফ নিয়েও উঠেছে সমালোচনা। সোমবার বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় এসব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
বিসিবির পরিচালনা পরিষদের এই সভায় গেম ডেভেলপম্যান্ট কমিটি, ফিন্যান্স এন্ড অ্যাকাউন্টস , প্রশাসন, মানব সম্পদ এবং গ্র্যাউন্ডস এন্ড ফ্যাসিলিটিজের পরবর্তী করণীয় নিয়েও আলোচনার কথা আছে।
আগামী ৯ ও ১০ নভেম্বর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে দিনব্যাপী বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স নামের একটি সেমিনার আয়োজন করবে বিসিবি। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের আইডিয়ায় এই সেমিনারে যোগ দেয়ার কথা প্রতিটি জেলার ক্রিকেট প্রেসিডেন্ট ( কাউন্সিলর), জেলা ক্রীড়া অফিসার, জেলাসমূহের ক্রিকেট কোচ, নারী উদ্যোক্তা। তাদের সবাইকে এক ছাদের নিচে এনে বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নে করণীয় দিক নির্দেশনা নিতে চায় বিসিবি। এই সেমিনার আয়োজনের সর্বশেষ প্রস্তুতি বিসিবির পরিচালনা পরিষদে অবহিত করা হবে। এই সেমিনারের বাজেট অনুমোদিত হবে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায়।
সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের ক্রিকেট কোচ এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের। ব্যতিক্রর্মী এই আয়োজনের উদ্দেশ্য নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা এই সভায়।