অন্তর্মুখী স্বভাব, কথা কম বলা, কারও সঙ্গে তেমন মিশতে না পারা- লিটন কুমার দাসের ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নানান সময়ে শোনা গেছে এসব কথা। তাই জাতীয় দলে তাকে অধিনায়কত্ব দেওয়া নিয়েও সংশয়ে ছিল বিসিবি। তবে লিটন বললেন, সেসব শুধুই শোনা কথা। তাই কান না দেওয়াই ভালো।
২০২১ সালে প্রথমবার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন লিটন। পরের বছর ভারতের বিপক্ষে আবার খণ্ডকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। পরের বছর আফগানিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও অধিনায়কত্ব করায় ভাবা হচ্ছিল, লিটনই হবেন জাতীয় দলের নতুন কান্ডারি।
কিন্তু ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর লিটনকে আর দায়িত্ব দেয়নি বিসিবি। তখন বোর্ডের পক্ষ থেকেই অনানুষ্ঠানিকভাবে শোনা গেছে, অধিনায়কত্ব উপভোগ করেন না লিটন। তাই তাকে আপাতত বিবেচনা করা হচ্ছে না জাতীয় দলের নেতৃত্বে।।
আরও পড়ুন
জোড়া কীর্তির পর লিটন, ‘ক্রিকেটার হয়েছি, রেকর্ড হবেই’ |
![]() |
তবে সময়ের পালাক্রমে লিটন এখন টি-টোয়েন্টি দলের স্থায়ী অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে টানা তিন সিরিজ জিতে গেছে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজ জয়ের পর এলো তার অধিনায়কত্ব উপভোগের প্রসঙ্গ।
সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় শোনা কথাকে উড়িয়ে দিলেন লিটন।
“আমার মুখ থেকে কখনও কি শুনেছেন যে আমি (অধিনায়কত্ব) উপভোগ করি কী করি না? কাজেই কিছু কিছু সময় শোনা কথায় কান না দেওয়া ভালো।”
এরপর অধিনায়কত্ব নিয়ে নিজের ভাবনাও জানান স্টাইলিশ এই ব্যাটার।
“আমি অনেক উপভোগ করি (অধিনায়কত্ব)। উপভোগ করি বলেই দায়িত্ব নিয়েছি। পরপর কয়েকটি সিরিজ আমরা ভালো ক্রিকেটও খেলছি। আমি পারফর্ম করছি, এটাও দলের জন্য দরকার। কারণ নেতা যখন পারফর্ম করে না, দল মানসিকভাবে একটু পিছিয়ে থাকে।”
আরও পড়ুন
হৃদয় বড় ম্যাচের খেলোয়াড়, ওকে নিয়ে চিন্তিত নই: লিটন |
![]() |
“সেদিক থেকে বলব, আমার দলের যেহেতু সবাই পারফর্ম করছে, আমারও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল যেন ইনপুট দিতে পারি (ব্যাট হাতে), পারফর্ম যেন করতে পারি। সেদিক থেকে আমি খুবই খুশি যে দলের একটি অংশ হিসেবে প্রভাব রাখতে পারছি।”
লিটনের অধিনায়কত্বে এখন পর্যন্ত ১৯ টি-টোয়েন্টির মধ্যে ১০টি জিতেছে বাংলাদেশ। তার জয়ের হার ৫২.৬৩ শতাংশ। বাংলাদেশের হয়ে অন্তত ৫ ম্যাচ জেতা আর কোনো অধিনায়কের জয়ের হার ৫০ শতাংশের বেশি নেই।
এই ফরম্যাটের লিটনের চেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের শুধু দুই অধিনায়কের। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ৩৯ ম্যাচের ১৬টি জিতেছে বাংলাদেশ, মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে ৪৩ ম্যাচে ১৬টি।
No posts available.
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:৩১ পিএম
শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে নিয়ে আগামী নভেম্বরে নিজ দেশে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করবে পাকিস্তান। তাদের ঘরের মাঠে এটিই হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রথম ত্রিদেশীয় সিরিজ।
রাওয়ালপিন্ডিতে আগামী ১৭ নভেম্বর শুরু হবে এই সিরিজটি। ওই মাঠে হবে আসরের প্রথম দুইটি ম্যাচ। এরপর বাকি ম্যাচগুলো হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচ হবে ২৯ নভেম্বর।
রাউন্ড রবিন লিগে একে অপরের বিপক্ষে দুইটি করে ম্যাচ খেলবে দুই দল। পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল। সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচে শেষ হবে এই সিরিজ।
আরও পড়ুন
বোলিং পরীক্ষায় পাস প্রোটিয়া স্পিনার |
![]() |
চলতি মৌসুমে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ বদলে হয়ে গেল ত্রিদেশীয় সিরিজ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত মাসে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল পাকিস্তানের। সেখানে আমিরাতকে যুক্ত করে আয়োজন করা হয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজ।
একইভাবে পাকিস্তানের মাঠে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল শ্রীলঙ্কার। এখন ওই টি-টোয়েন্টি সিরিজের বদলে হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। তবে ওয়ানডে সিরিজটিও বাতিল করা হয়নি। শিগগিরই ওই সিরিজের সূচি প্রকাশ করা হবে।
সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন প্রেনেলান সুব্রায়েন। আন্তর্জাতিক তথা সব ধরনের ক্রিকেটে বোলিং করায় আর বাধা নেই দক্ষিণ আফ্রিকান অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে যান সুব্রায়েন। যে কারণে তাকে সিরিজের পরের দুই ম্যাচে আর খেলায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর এক সপ্তাহের মধ্যে গত ২৬ অগাস্ট ব্রিসবেনে স্বতন্ত্র পরীক্ষাগারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন ৩১ বছর বয়সী স্পিনার। যেখানে তার সব ধরনের ডেলিভারিই আইসিসি অনুমোদিত ১৫ ডিগ্রি বাঁকের মধ্যেই আছে বলে প্রমাণিত হয়।
আরও পড়ুন
বিশেষ ব্যাটিং কোর্স বুধবার, লেভেল থ্রি কোচিং ১৫ সেপ্টেম্বর |
![]() |
তৃতীয় দফায় প্রশ্নের মুখে পড়েও আবার বোলিংয়ের ছাড়পত্র পেলেন সুব্রায়েন। এর আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রথম তার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হিসেবে ধরা পড়ে। এক মাস পরই পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ফেলেন তিনি।
পরে ২০১৫ সালের নভেম্বরে আবার ধরা পড়ে তার বোলিং অ্যাকশন। সেবার তার সবকটি ডেলিভারিই ১৫ ডিগ্রির বেশি হিসেবে প্রমাণিত হয়। তাই ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হন সুব্রায়েন। পরে মার্চে আবার পরীক্ষা দিয়ে উৎরে যান।
২০১১ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ সুব্রায়েন। প্রায় ১৪ বছর ধরে খেলার পর গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় তার। আর এখন সামনের দুই বিশ্বকাপের ভাবনায় আছেন এই অফ স্পিনার।
সিলেটে বিসিবির বিশেষ সভার পর সিদ্ধান্ত হয়েছিল, চলতি মাসে কোচদের জন্য দুটি বিশেষ প্রোগ্রাম করবে বিসিবি। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই শুরু হতে চলেছে বিশেষ ব্যাটিং কোর্স। আর আগামী সপ্তাহে হবে কোচদের জন্য লেভেল থ্রি কোচিং কোর্স।
অস্ট্রেলিয়ার দুই বিশেষজ্ঞ অ্যাশলে রস ও ইয়ান রেনশর তত্ত্বাবধানে চলতি সপ্তাহের বুধবার শুরু হবে বিশেষ ব্যাটিং কোর্স। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন দিনের এই বিশেষ কোর্সে অংশ নেবেন ১৫ জনের মতো ব্যাটিং কোচ।
সবার জন্য চমক হিসেবে অপেক্ষা করছে একটি নাম। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও দেখা যাবে ব্যাটিংয়ের জন্য বিশেষায়িত এই কোচিং প্রোগ্রামে। সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আগেই কোচিংয়ে দীক্ষা নিয়ে রাখবেন রিয়াদ।
আরও পড়ুন
রাজশাহীর অধিনায়ক শান্ত, খুলনায় মিঠুন |
![]() |
ব্যাটিংয়ের এই প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে পাঁচ দিনের লেভেল থ্রি কোচিং কোর্স। বিসিবির চুক্তিবদ্ধ ও বাইরে থাকা ২৫ থেকে ৩০ জন কোচকে নিয়ে হবে পরিচালিত এই কোর্স। মূলত যারা লেভেল টু করে আর পরবর্তী ধাপে যেতে পারেননি, তাদের জন্যই এটি।
অস্ট্রেলিয়ার আরেক বিশেষজ্ঞ রস টার্নারের তত্ত্বাবধানে লেভেল থ্রি কোচিং কোর্স পরিচালনায় থাকবেন অ্যালান ক্যাম্পবেল ও জিওফ লসন।
কোচিংয়ের দুই প্রোগ্রামের মাঝেই আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি ও অন্যান্য ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশে চলে আসবেন সাইমন টফেল। বিসিবির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করা বিশ্বখ্যাত এই আম্পায়ারের বাংলাদেশে আসার কথা ১৩ সেপ্টেম্বর।
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যখন এশিয়া কাপ খেলবেন, দেশে তখন বাকিদের ব্যস্ত সময় কাটবে জাতীয় লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টটি লঞ্চ করা হবে সোমবার। আর খেলা মাঠে গড়াবে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে।
আনুষ্ঠানিক লঞ্চিংয়ের আগের দিন একে একে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অধিনায়কের নাম জানিয়েছে আয়োজকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভিন্ন ভিন্ন বার্তায় অধিনায়কদের নাম ঘোষণা করেছে এনসিএল টি-টোয়েন্টি কর্তৃপক্ষ।
এশিয়া কাপের দলে না থাকায় এবার শুরু থেকেই এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে খেলতে পারবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার কাঁধেই থাকবে রাজশাহীর দায়িত্ব। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও রংপুরের অধিনায়কত্ব করবেন আকবর আলি।
গত বৃহস্পতিবার কোয়াবের (ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতি হিসেবে নতুন দায়িত্ব পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুনকে দেওয়া হয়েছে খুলনার দায়িত্ব। গত কয়েক বছর টানা দলটির নেতৃত্বে ছিলেন নুরুল হাসান সোহান। তবে এবার এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির গত আসরে সর্বোচ্চ রান করা মোহাম্মদ নাঈম শেখ থাকছেন ঢাকা মেট্রোর নেতৃত্বে। ঢাকা বিভাগীয় দলের অধিনায়কত্ব করবেন আরেক ধারাবাহিক পারফর্মার মাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া অঙ্কন।
এছাড়া সিলেটের দায়িত্বে থাকছেন বাঁহাতি ওপেনার জাকির হাসান। চট্টগ্রাম বিভাগকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব থাকছে ইয়াসির আলি চৌধুরির কাঁধে। এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়নি। তবে সম্ভাবনায় এগিয়ে ফজলে মাহমুদ রাব্বি।
অধিনায়কদের মতো এবার কোচিং প্যানেলেও এসেছে কিছু রদবদল। বরিশাল বিভাগের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। সহকারী হিসেবে থাকবেন শাহীন হোসেন। ঢাকা বিভাগের প্রধান কোচ মিজানুর রহমান ও সহকারী কোচ রেজাউল ইসলাম রাজন।
ঢাকা মেট্রোর প্রধান কোচ জাতীয় দলের সাবেক পেসার নাজমুল হোসেন। সহকারী হিসেবে থাকছেন জাহাঙ্গীর আলম। রংপুরের দায়িত্বে সাইফুল ইসলাম খান, সহকারী নাজিম উদ্দিন। সিলেটের দায়িত্বে থাকছেন আগের মতোই রাজিন সালেহ। সহকারী হিসেবে পাচ্ছেন রবিউল ইসলামকে।
এছাড়া রাজশাহীর দায়িত্বে আব্দুল করিম জুয়েল, সহকারী সালাউদ্দিন আহমেদ। চট্টগ্রামের প্রধান কোচ মাহবুব আলি জ্যাকি। তার সহকারী মাসুম উদ্দৌল্লা চৌধুরি। আর খুলনা বিভাগের কোচিং করাবেন তুষার ইমরান। সঙ্গে থাকবেন সাবেক বাঁহাতি পেসার সৈয়দ রাসেল।
রাজশাহীতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে সকালের ম্যাচে স্বাগতিক দলের সঙ্গে খেলবে গতবারের রানার্স-আপ ঢাকা মেট্রো। খেলা শুরু সকাল সাড়ে ৯টায়। বগুড়ার মাঠে একই দিন দুপুর দেড়টায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুরের প্রতিপক্ষ সিলেট।
‘আমার এবং আমার দলের জন্য বিশ্বের সেরা সমর্থকদের কাছে দোয়া চাই। আমরা কথা দিচ্ছি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেব। ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যাব, আর চূড়ান্ত লক্ষ্য ট্রফি জেতা।’