
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের যে কোনো আসর শুরুর আগে আলোচনার বড় অংশ জুড়ে থাকে বিদেশি ক্রিকেটারদের উপস্থিতি। কোন দলের বিদেশিরা আসবে কবে, সেটি নিয়ে শুরু হয় নানান কৌতূহল। সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের পক্ষ থেকে জানানো হল, বিপিএল শুরুর আগে চলে আসবে তাদের ৬ বিদেশি ক্রিকেটার।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে শনিবার দুপুরে নিজেদের প্রথম দিনের অনুশীলন সেরেছে রাজশাহী। এদিন মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম, আকবর আলিসহ ছিলেন দলটির বেশিরভাগ স্থানীয় ক্রিকেটার।
অনুশীলন শেষে রাজশাহীর প্রধান কোচ হান্নান সরকার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, আগামী মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচের ভেন্যু সিলেটে চলে যাবেন তারা।
“আমি জানিয়ে রাখতে পারি আমরা ২৩ তারিখ সিলেট যাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবে ২২ তারিখে ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটার আমাদের দলে ঢুকে যাবে বা ২৩ তারিখ সকালেও যদি আসতে পারে, তাহলে ২৩ তারিখ বিকালের ফ্লাইটে আমরা সিলেট যাচ্ছি।”
“ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটার আমাদের সঙ্গে একসঙ্গে ডমেস্টিকে ফ্লাই করবে। বিদেশিদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত সব গ্রিন সিগনাল নিয়ে এগোচ্ছি। আমাদের ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটার ইনশাআল্লাহ সিলেটের প্রথম দিন থেকেই থাকবে।”
কোন ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটারকে শুরু থেকেই পাবে রাজশাহী, সেটিও জানালেন হান্নান।
“ছয়জন আপনারা এরই মধ্যে জানেন যে আমাদের যে ক্রিকেটাররা রয়েছে সবাই জানেন সরাসরি চুক্তি ও নিলাম থেকে নেওয়া। তাদের নাম আপনারা সবাই জানেন। তার মধ্যে আমি যদি নাম মেনশন করি, প্রথম থেকেই সাহিবজাদা ফারহান, হুসাইন তালাত, মোহাম্মদ নওয়াজ, সন্দীপ লামিচানে, বিনুরা ফার্নান্দো ও জাহান্দাদ খান।”
বছরের শুরুর দিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তুলনামূলক কম শক্তির আবাহনী লিমিটেডের কোচিং করিয়ে শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলেন হান্নান। এবার রাজশাহীর হয়েও একই লক্ষ্য জাতীয় দলের সাবেক ওপেনারের।
“বেসিক্যালি চ্যাম্পিয়নের জন্যই কাজ শুরু করি। তবে ধাপে ধাপে এগোতে হয়। আবাহনী যখন করেছি তখনও কিন্তু বলেছি যে চ্যাম্পিয়ন চূড়ান্ত লক্ষ্য।তবে নিশ্চিতভাবেই ধাপে ধাপে সময়ের সঙ্গে ম্যাচ-আপ করে কিভাবে এগোনো যায় সেটা লক্ষ্য থাকবে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম না।”
“বিপিএলে স্বাভাবিকভাবেই টিম মালিক থেকে শুরু করে যখন ম্যানেজমেন্ট দায়িত্ব নিয়েছি, কাজ করা শুরু করেছি- লক্ষ্যটা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। তবে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ভাগ্যের বিষয়টা সবসময় চলে আসে। সেই বিষয়টা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যাবে। তবে লক্ষ্য অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন ইনশাল্লাহ।”
No posts available.
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১:৫০ পিএম
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৪২ এম

ঘরের মাঠে সামনের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হবে না শুবমান গিলের। টানা বাজে ফর্মের পর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাননি ভারতের তারকা ব্যাটার। চমক জাগিয়ে প্রায় ২৫ মাস পর দলে ফিরলেন ইশান কিশান।
সংবাদ সম্মেলনে শনিবার আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দলে পরিবর্তন আছে দুইটি।
বাদ পড়েছেন গিল ও জিতেশ শর্মা। তাদের জায়গায় স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন ইশান ও রিঙ্কু সিং। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী ২১ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এই স্কোয়াড নিয়েই খেলবে ভারত।
ব্যাট হাতে ২০২৫ সালটি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময়ের মধ্যে পার করলেও, সূর্যকুমার যাদবের কাঁধেই থাকছে ভারতের অধিনায়কত্ব। তার ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল।
২০২৩ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের পর আর জাতীয় দলের হয়ে খেলা হয়নি ইশানের। সদ্য সমাপ্ত সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে আলো ছড়িয়ে দুই বছরের বেশি সময় পর এবার ভারতের হয়ে খেলার সামনে ২৭ বছর বয়সী ব্যাটার।
আইপিএলের পর ভারতের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি। ইশানের নেতৃত্বে এবার এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঝাড়খণ্ড। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন ইশান।
ফাইনাল ম্যাচে সেঞ্চুরিসহ ১০ ইনিংসে ২ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে করেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৫১৭ রান। এমন পারফরম্যান্সের পর তাকে বিশ্বকাপ দলে ফিরিয়েছেন ভারতের নির্বাচকরা। বিশ্বকাপের আগে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজেও খেলবেন বাঁহাতি ব্যাটার।
জিতেশ বাদ পড়ায় ভারতের প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক হিসেবেই বিশ্বকাপে যাবেন সাঞ্জু স্যামসন।
ভারতের বোলিং বিভাগে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তিন পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ, হর্ষিত রানা, আর্শদিপ সিংয়ের সঙ্গে আছেন দুই স্পিনার কুলদিপ যাদব ও বরুন চক্রবর্তী। এছাড়া অলরাউন্ডার হিসেবে অক্ষর ছাড়াও দলে আছেন হার্দিক পান্ডিয়া, শিভাম দুবে ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে পথচলা শুরু হবে ভারতের। 'এ' গ্রুপে তাদের অন্য তিন প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস ও পাকিস্তান।
ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াড
সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, সাঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিভাম দুবে, অক্ষর প্যাটেল (সহ-অধিনায়ক), রিঙ্কু সিং, জাসপ্রিত বুমরাহ, হর্ষিত রানা, আর্শদিপ সিং, কুলদিপ যাদব, বরুন চক্রবর্তী, ওয়াশিংটন সুন্দর, ইশান কিশান (উইকেটরক্ষক)।

চলতি অ্যাশেজ সিরিজে কোনোভাবেই লড়াই করতে পারছে না ইংল্যান্ড। তবে প্রথম দুই টেস্টের তুলনা করলে কিছুটা উন্নতি অবশ্য হয়েছে তাদের। অ্যাডিলেডে প্রথমবারের মতো সিরিজের কোনো টেস্ট পাঁচ দিনে টেনে নিয়েছে সফরকারীরা।
অ্যাডিলেড ওভালে ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৭ রান। ৪৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে ৪ উইকেট বাকি রেখে শেষ দিনে তাদের করতে হবে আরও ২২৮ রান। যা একরকম অসম্ভবই বলা যায়।
তবে চাইলে এই ম্যাচে নিজেদের পারফরম্যান্সে কিছুটা হলেও তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারে ইংল্যান্ড। এর আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে দুই দিন ও চার দিনে হেরে গিয়েছিল তারা। সেখান থেকে এবার পঞ্চম দিনে খেলতে নামবে তারা।
এই ম্যাচ জিতলে দুই টেস্ট হাতে রেখেই এবারের অ্যাশেজ সিরিজ ও ঐতিহাসিক ছাইদানি নিজেদের করে রাখবে অস্ট্রেলিয়া।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এই দিনে আরও ৪০ রান যোগ করেন আগের দিনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ট্রাভিস হেড ও অ্যালেক্স কেয়ারি।
১৬ চার ও ২ ছক্কায় ১৭০ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন হেড। কেয়ারির ব্যাট থেকে আসে ৬ চারে ৭২ রান। শেষ দিকের ব্যাটাররা কেউ তেমন কিছু করতে পারেননি। তাই মাত্র ৩৮ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জশ টাং। আরেক পেসার ব্রাইডন কারস পান ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নামার আগে ৪৩৫ রানের অসাধ্য সাধনের লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড।
সেই অভিযানে দ্বিতীয় ওভারেই বেন ডাকেটের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। কিছুক্ষণ পর অলি পোপকেও ফেরান প্যাট কামিন্স। তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন জ্যাক ক্রলি ও জো রুট। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৭৮ রানের জুটি।
তবে এই জুটিকে বেশি দূর যেতে দেননি কামিন্স। নতুন স্পেলে ফিরে ৩৯ রান করা রুটকে কট বিহাইন্ড করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। এরপর হ্যারি ব্রুককে নিয়ে ৬৮ রান যোগ করেন ক্রলি। ১০২ বলে ফিফটি করে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান ইংলিশ ওপেনার।
ঠিক তখনই নাথান লায়নের ৫ ওভারের জাদু। প্রথম ১০ ওভারে খরুচে বোলিংয়ে ৪৯ রান দেওয়া অভিজ্ঞ অফ স্পিনার পরের ৫ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন ৩০ রান করা ব্রুক।
চমৎকার অফ স্পিনিং ডেলিভারিতে অফ স্টাম্প হারান ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। এরপর মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠা ক্রলিকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন লায়ন। চমৎকার ক্ষিপ্রতায় বেলস ফেলে ১৫১ বলে ৮৫ রান করা ব্যাটারের বিদায় নিশ্চিত করেন কেয়ারি।
দিনের ৯.৩ ওভারে আর বিপদ ঘটতে দেননি জেমি স্মিথ ও উইল জ্যাকস। শেষ দিনে তাদের কাছ থেকে অলৌকিক কিছুর আশায়ই থাকবে ইংল্যান্ড।

নিউ জিল্যান্ডের রান পাহাড়ের বিপরীতে একদমই ভড়কে যায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বরং কাভেম হজের চমৎকার ব্যাটিংয়ে পাল্টা জবাব দিচ্ছে ক্যারিবিয়ানরা। ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষেও তাই পরিষ্কারভাবে এগিয়ে নেই কোনো দল।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে তিন দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৮১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৭৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল নিউ জিল্যান্ড। চতুর্থ দিন তাই ১৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে খেলা শুরু করবে সফরকারীরা।
তুলনামূলক ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে তিন দিন মিলিয়ে মাত্র ১৪ উইকেট হারিয়েছে দুই দল। এর মধ্যে তৃতীয় দিনে পুরো ৯০ ওভার খেলে ৬ উইকেটে ২৭১ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিনা উইকেটে ১১০ রানে দিন শুরু করেছিল তারা।
নতুন দিনের শুরুতেই আগের দিনের দুই অপরাজিত ওপেনার জন ক্যাম্পবেল (৬৭ বলে ৪৫) ও ব্র্যান্ডন কিংয়ের (১০৪ বলে ৬৩) উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর দায়িত্ব নেন হজ। ২৫তম ওভারে ক্রিজে গিয়ে সারা দিনে আর আউট হননি ৩৩ ছুঁইছুঁই ব্যাটার।
অন্য প্রান্তের ব্যাটাররাও ভালো শুরু করেন। কিন্তু কেউই ইনিংস টেনে নিতে পারেননি। টেভিন ইমলাচ ২৭, আলিক আথানেজ ৪৫ ও জাস্টিন গ্রিভস ৪৩ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন। গ্রিভসের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন হজ।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করে দিন শেষে ১০৯ রানে অপরাজিত হজ। ২৫৪ বলের ইনিংসে এখন পর্যন্ত ১৪টি চার মেরেছেন তিনি। অন্য প্রান্তে তার সঙ্গে আছেন ১২ রান করা অ্যান্ডারসন ফিলিপ। দুজন শুরু করবেন চতুর্থ দিনের খেলা।
খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে শনিবার ব্যাটিংয়ে নামেননি শাই হোপ। ধারণা করা হচ্ছে, চতুর্থ দিন ব্যাট করতে পারবেন তিনি। যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য হতে পারে বাড়তি সুবিধার।

ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নিয়ম মেনে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফিতে দুই ম্যাচ খেলবেন বিরাট কোহলি। তবে অধিনায়কত্ব করবেন না অভিজ্ঞ ব্যাটার। তার দল দিল্লির নেতৃত্বে থাকবেন আরেক তারকা ব্যাটার রিশাভ পান্ত।
বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ২০ জনের দল ঘোষণা করেছে দিল্লি এন্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ)।
টুর্নামেন্টের 'ডি' গ্রুপে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে ৭টি ম্যাচ খেলবে দিল্লি। এর মধ্যে সবগুলোতেই কোহলি ও পান্তকে পাওয়া যাবে কিনা, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ভারত। ওই সিরিজের আগে অন্ধ্র প্রদেশ ও গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে খেলবেন কোহলি ও পান্ত।
এরপর পান্ত যদি জাতীয় দলের দায়িত্বে চলে যান, তাহলে দিল্লির অধিনায়কত্ব করবেন সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা আয়ুশ বাদোনি। এছাড়া স্কোয়াডে রিজার্ভ উইকেটকিপার হিসেবে অনুজ রাওয়াত আছেন।
দিল্লি স্কোয়াড: রিশাভ পান্ত (অধিনায়ক), আয়ুশ বাদোনি (সহ-অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, অর্পিত রানা, যশ ঢুক, সার্থক রঞ্জন, প্রিয়াংশ আর্য, তেজস্বী সিং (উইকেটরক্ষক), নিতিশ রানা, হৃত্বিক শোকেন, হার্শ ত্যাগী, সিমারজিত সিং, প্রিন্স যাদব, দিভিজ মেহরা, আয়ুশ দোসেজা, বৈভব কান্দপাল, রোহান রানা, ইশান্ত শর্মা, নবদ্বীপ সাইনি।

ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে সূর্যকুমার যাদবের জন্য নিঃসন্দেহে টি-টোয়েন্টি সবচেয়ে সাফল্যময়। এই ফরম্যাটে লম্বা সময় র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও ছিলেন ভারতের তারকা ব্যাটার। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে টি-টোয়েন্টিতেও রান নেই সূর্যের।
আর এই খরা শুরু হয়েছে মূলত বাংলাদেশের বিপক্ষে রান করার পর থেকে। যেমনটা বিরাট কোহলির ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইডেন গার্ডেনসে ১৩৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি।
এরপর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৭২ ম্যাচের ৮৩ ইনিংস ব্যাটিং করেও কোনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি কোহলি। প্রায় দেড় যুগের ক্যারিয়ারে সেটিই ছিল কোহলির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খরার সময়। যার শুরুটা হয় বাংলাদেশের বিপক্ষে রান করার পর।
প্রায় ৬ বছর পর এবার সেই পথে সূর্যকুমার। গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ২৯৭ রান করার পথে মাত্র ৩৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সূর্যকুমার। এরপর থেকে আর রান নেই তার ব্যাটে।
গত ১৪ মাসে ২৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ২২ বার ব্যাটিংয়ে নেমেও কোনো ফিফটি করতে পারেননি ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটার। এই ২২ ইনিংসে মাত্র ১২.৮৪ গড় ও ১১৭.৮৭ স্ট্রাইক রেটে সূর্যের সংগ্রহ ২৪৪ রান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই ম্যাচের পর সূর্যকুমারের ক্যারিয়ার ব্যাটিং গড় ছিল ৪২.৪০ ও স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৯.৪৮! যা এখন কমতে কমতে গড় নেমে হয়েছে ৩৫.২৯ ও স্ট্রাইক রেট ১৬৩.২৩। এই সময়ের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে, এশিয়া কাপে।
সবশেষ ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের চার ইনিংসে তার সংগ্রহ- ১২, ৫, ১২ ও ৫ রান। অর্থাৎ মাত্র ৮.৫ গড়ে ৩৪ রান। সব মিলিয়ে চলতি বছর ২১ ম্যাচে মাত্র ১৩.৬২ গড়ে তিনি করেছেন মাত্র ২১৮ রান।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট বছরে অন্তত ২০ ম্যাচ খেলা অধিনায়কদের মধ্যে সূর্যকুমারের চলতি বছরের গড় ও মোট রানই সবচেয়ে কম। ২০২২ সালে ২২ ম্যাচে ১৬.৯০ গড়ে রান করেছিলেন জিম্বাবুয়ের ক্রেইগ আরভিন।