১৩ আগস্ট ২০২৫, ৭:০১ পিএম
দ্বিপক্ষীয় ও ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি জিতে গতকাল দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ যুবারা। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েতে লম্বা সফর শেষে আপাতত কদিনের বিশ্রাম তারা। এর মধ্যে মিরপুরে চনমনে মেজাজে দেখা গেল রিজান হোসেনকে।
রিজানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ফাইনালে একাই গড়ে দেন ম্যাচের পার্থক্য। ব্যাট হাতে ৯৫ রান, বল হাতে ৫ উইকেট।
রিজান জানালেন, সেঞ্চুরি আর ৫ উইকেট নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন তিনি। যদিও ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি হয়নি। এ নিয়ে অবশ্য তাঁর আক্ষেপ নেই। তবে সেঞ্চুরি আর ৫ উইকটে নেওয়ার অনুপ্রেরণা পাওয়ার পেছনে আছে দারুণ গল্প।
আরও পড়ুন
সোহানদের সামনে কাল শক্তিশালী পাকিস্তান |
![]() |
ক্রিকেটে রিজান কাকে অনুকরণ করেন কিংবা আদর্শ কে? এমন প্রশ্নের জাবাবে টি স্পোর্টসকে বললেন, ‘আমি আইডল হিসেবে একজনকেই দেখি, ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস।’
সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকটে নিয়েছিলেন স্টোকস। আইডলের সেই অর্জন জেঁকে বসে রিজানকেও। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ফাইনালে সেই অসাধারণ কাজটি করতে চেয়েছিলেন তিনি,‘ওর (স্টোকস) ব্যাটিং, বোলিং ও মাঠে থাকলে যে আবহটা থাকে…। সম্প্রতি ও শুধু টেস্ট খেলছে, কদিন আগেও ৫ উইকেট ও সেঞ্চুরি করেছে। সেটা দেখে আমার মধ্যেও একটা ব্যাপার কাজ করেছে, আমার আইডল যেহেতু…(নিয়েছে)। সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট যদি নিতে পারি, একটুর জন্য হয়নি। তবে যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।’
তবে ফাইনালে নিজের রান-আউট নিয়ে কিছুটা আপত্তি রিজানের। তবু আউট ও সেঞ্চুরি করতে না পারায় তাঁর কোনো আক্ষেপ নেই, ‘না, যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আক্ষেপ একটু আছে(হাসি), আমার রান-আউটটা একটু….। আম্পায়ার একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে অবশ্যই আমি সম্মান জানাই। যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।’
আরও পড়ুন
৩০ ম্যাচে সেঞ্চুরি নেই, ৫ বছর পর তিনে নেমে গেলেন বাবর |
![]() |
ত্রিদেশীয় সিরিজে ৭ ম্যাচে ৪.২৯ ইকোনমিতে ১০ উইকেট নেন রিজান। ব্যাট হাতে করছেন ১৮৭ রান। দুই তালিকায় চতুর্থ নম্বরে এই অলরাউন্ডার। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সফরেও তিন ওয়ানডেতে দুই ফিফটি করেছেন রিজান। অবশ্য তার আগে থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন। নিজের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে রিজান বললেন, ‘(বাংলাদেশ দলের হয়ে) ৫০০ উইকটে ও হাজার হাজার রান করতে চাই।’
তার আগে নিজের কাজটা ভালোভাবে করে যেতে হবে রিজানকে। তারপরই তো জাতীয় দলের দরজা খুলবে।
১২ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
২৩ দিন আগে
১৫ আগস্ট ২০২৫, ৩:১৬ পিএম
কয়েক মাস হয়ে গেল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল কোনো ম্যাচ খেলেনি। প্রতিযোগিতামূলক কোনো সিরিজ না খেলেই ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেবে তারা। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মেয়েদের প্রস্তুতির জন্য নিজেদের মধ্যে উইমেনস চ্যালেঞ্জ কাপ ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করছে।
নিজেদের মধ্যে ভাগ করে বাংলাদেশ উইমেনস টিম রেড ও বাংলাদেশ উইমেনস টিম গ্রিন নামে দুটি দল আর ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৫ দল খেলবে এই টুর্নামেন্টে। আজ এই চ্যালেঞ্জ কাপের সূচি ঘোষণা করছে বিসিবি।
আরও পড়ুন
বড় পরাজয়ে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের |
![]() |
আগামী ১৮ আগস্ট থেকে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট, চলবে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত। সব মিলিয়ে ম্যাচ হবে ৬টি। প্রত্যেক দল অপর দলের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। সবগুলো ম্যাচ হবে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপির) ৩ নম্বর মাঠে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সিলেটে এক মাসের ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ দল। এরপর কয়েক দিনের বিরতি শেষে এখন ক্যাম্প চলছে বিকেএসপিতে।
উদ্বোধনী ম্যাচে খেলবে মেয়েদের লাল ও সবুজ দল। প্রত্যেক ম্যাচের পর এক দিন করে বিরতি রাখা হয়েছে। ২০ আগস্ট ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৫ দলের বিপক্ষে লড়বে মেয়েদের লাল দল। ২২ আগস্ট ছেলেদের বিপক্ষে নামবে সবুজ দল। ২৪ আগস্ট ছেলেদের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে লাল দল। ২৬ আগস্ট খেলবে সবুজ দল। ২৮ আগস্ট আবার মেয়েদের লাল ও সবুজ দলের খেলা।
গত এপ্রিলে পাকিস্তানে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। বিশ্বকাপের আগে সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করেও পারেনি বিসিবি। বড় মঞ্চে লড়াইয়ের আগে আদর্শ প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তো থেকেই যায়।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) জন্য ফিটনেস-অনুশীলনে বেশ ভালোভাবে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছিলেন সাকিব আর হাসান। তবে লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে বল-ব্যাট কিছুই জ্বলে ওঠেনি এই অলরাউন্ডারের। তাঁর দল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসও হার দিয়ে শুরু করল ২০২৫ সিপিএল।
সেন্ট কিটসে অ্যান্টিগাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্ট জয় দিয়ে শুরু করেছে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। বেসেটেরে ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে অ্যান্টিগাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সেন্ট কিটস। ওয়াকার সালামখেইলের দুর্দান্ত ঘূর্ণি জাদু ও নাসিম শাহর তোপ দাগানো বোলিংয়ে ১৭.১ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে যায় অ্যান্টিগা। জবাবে ১২২ রানের লক্ষ্য ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫ ওভারে তাড়া করে সেন্ট কিটস।
৩.৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৬ রান তোলে সেন্ট কিটস। ১৩ বলে ২৫ রান করে ওপেনার এভিন লুইস ফেরেন ওবেদ ম্যাককয়ের শিকার হয়ে। আরেক ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ১৯ ও কাইল মেয়ার্স আউট হন ১৫ রানে। রনের খাতা খুলতে পারেননি রাইলি রুশো।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং না বোলিং- কোনটি বেশি ভালো, উত্তর দিলেন সাকিব |
![]() |
পঞ্চম উইকেটে আলিক আথানাজে ও জেসন হোল্ডার ৩১ বলে ৪৯ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। আলিক ২৮ বলে ৩৭ ও হোল্ডার ১৪ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অ্যান্টিগার হয়ে রাহকিম কর্নওয়াল শিকার করেছেন ২ উইকেট। ১ ওভার বোলিং করে ৬ রান দিয়েছেন সাকিব, ছিলেন উইকেটশূন্য।
তার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কারিমা গোর ছাড়া কেউই সুবিধা করতে পারেননি অ্যান্টিগার ব্যাটাররা। তিন নম্বরে নেমে ৩৪ বলে ৬১ রান করেন গোর। ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছক্কা। এ ছাড়া আর কেউ ১২ রানের বেশি করতে পারেননি।
ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬ বলে ১১ করেছেন সাকিব। ছিল না কোনো বাউন্ডারি। সেন্ট কিটসের রিস্ট স্পিনার সালামখেইল ২২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকটে। নাসিম শাহ ও ফজলহক ফারুকি নেন দুটি করে উইকেট।
বিশাল লক্ষ্যে শুরুতেই ড্রেসিং রুমে ফিরলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঝড় তুললেন জিসান আলম ও সাইফ হাসান। একপর্যায়ে জয়ের আশাও দেখাতে শুরু করলেন তারা। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা পারলেন না কিছু করতে। বড় পরাজয়ে শুরু হলো বাংলাদেশ 'এ' দলের।
ডারউইনে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের ('এ' দল) কাছে ৭৯ রানে হারল বাংলাদেশ 'এ' দল। ২২৮ রানের বিশাল লক্ষ্যে ১৯ বল বাকি থাকতেই ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায় নুরুল হাসান সোহানের দল।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই বোল্ড হয়ে যান নাঈম। তবে দলের ওপর চাপ আসতে দেননি জিসান ও সাইফ। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৪ ওভারে পঞ্চাশ রান করে ফেলে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে আসে ৭৪ রান।
আরও পড়ুন
২২৮ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ |
![]() |
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৩৮ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়েন তারা দুজন। অষ্টম ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন ১৭ বলে ৩৩ রান করা জিসান। তিন নম্বরে নামা সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ বলে ৫৭ রান।
পরের ব্যাটসম্যানরা সবাই হতাশ করেন। সোহান (১৬ বলে ২২) ছাড়া পরে আর কেউ দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি। শেষ দিকে মাত্র ৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দেড়শর আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের পক্ষে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন ফয়সাল আকরাম ও সাদ মাসুদ।
এর আগে পাকিস্তান শাহিনসের পক্ষে ঝড়ো ইনিংস খেলেন টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান খাওয়াজা নাফে, ইয়াসির খান ও সৈয়দ আব্দুল সামাদ। রান আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে ৬১ রান করেন নাফে। ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৬২ রান।
তিন নম্বরে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ২৭ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন আব্দুল সামাদ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন নাফে ও ইয়াসির। প্রথম পাওয়ার প্লেতে দুজন মিলে যোগ করেন ৬৯ রান। দশম ওভারে জুটির একশ রান পূর্ণ করে ফেলেন শাহিনসের দুই ওপেনার।
১১তম ওভারে এই জুটি ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি করেন মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু সীমানায় মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি মিলে ছেড়ে দেন ক্যাচ। তবে পরের ওভারেই নাফের রান আউটে ভাঙে ৬৭ বলে ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপে ‘নতুন দায়িত্ব’ নিতে তৈরি হচ্ছেন ম্যাক্সওয়েল |
![]() |
পরের ওভারে ইয়াসিরকে কট বিহাইন্ড করেন মাহফুজুর রাব্বি। তৃতীয় উইকেটে মাত্র ২৩ বলে ৪৯ রান যোগ করেন আব্দুল সামাদ ও মোহাম্মদ ফাইক। ১০ বলে ১৮ রান করা ফাইককে আউট করেন রকিবুল হাসান।
এরপর ২০ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন সামাদ ও অধিনায়ক ইরফান খান। ১২ বলে ২৫ রান করা ইরফানকে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। অভিজ্ঞ এই পেসারই ছিলেন সবচেয়ে কৃপণ। ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৩৪ রান।
এছাড়া রিপন ৪ ওভারে ৪৫, রকিবুল ৪ ওভারে ৪৩, মৃত্যুঞ্জয় ৪ ওভারে ৩৯, মাহফুজুর রাব্বি ৩ ওভারে ৩৯, সাইফ হাসান ১ ওভারে খরচ করেন ২৬ রান।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ আসর শেষ হওয়ার পর থেকে নিয়মিতই শোনা গেছে, বিসিবির সঙ্গে চিটাগং কিংসের আর্থিক অনিয়মের খবর। সম্প্রতি এই বিষয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানা গুঞ্জন। তাই এক বিবৃতিতে এই বিষয়ে সব কিছু পরিষ্কার করেছে বিসিবি।
বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিটাগং কিংসের মালিক প্রতিষ্ঠান এস.কিউ. স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড বিপিএলের প্রথম (২০১২) ও দ্বিতীয় (২০১৩) আসরের বকেয়া পরিশোধে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন
২২৮ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ |
![]() |
প্রতিষ্ঠানটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি, কর, ক্রিকেটার ও টিম স্টাফদের বকেয়া পরিশোধে নানা সময়ে ব্যর্থ হওয়ায়, তাদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সাল থেকে একাধিক নোটিশ এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরপর ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তিও করা হয়। তবে সেই চুক্তি অনুযায়ী এস.কিউ. স্পোর্টস একটি অর্থও পরিশোধ করেনি।
তাই এবার ২০২৫ সালের ২২ জুলাই দেওয়া নোটিশে সেই চুক্তি বাতিল করে নতুন করে ৩৭ লাখ ৮২ হাজার ১৫৬ ডলার (প্রায় ৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা) বকেয়া দাবি করেছে বিসিবি।
এর মধ্যে মূল বকেয়া ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৪ ডলার এবং ২০১২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সুদ জমে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৯২ ডলার হয়েছে। বিসিবি জানিয়েছে, আগের মতো ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার সুযোগ আর নেই।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপে ‘নতুন দায়িত্ব’ নিতে তৈরি হচ্ছেন ম্যাক্সওয়েল |
![]() |
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিপিএলের ১১তম আসরেও এস.কিউ. স্পোর্টস বিভিন্ন খেলোয়াড়, কোচ, হোটেল ও সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধ করেনি। এই নিয়ে বিসিবি নিয়মিত অভিযোগ ও নোটিশ পাচ্ছে।
বিসিবি জানিয়েছে, সব বকেয়া আদায়ে তারা বর্তমানে আইনি পদক্ষেপ অব্যাহত রাখছে।
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজে বোলিং-ফিল্ডিংয়ে বিশাল লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ। রিপন মন্ডল, রকিবুল হাসান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিদের তুলোধুনা করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রানের সংগ্রহ পেল পাকিস্তান শাহিনস ('এ' দল)।
ম্যাচ জিততে ব্যাটসম্যানদের সামনে এখন তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ।
পাকিস্তান শাহিনসের পক্ষে ঝড়ো ইনিংস খেলেন টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান খাওয়াজা নাফে, ইয়াসির খান ও সৈয়দ আব্দুল সামাদ। রান আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে ৬১ রান করেন নাফে। ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৬২ রান।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপে ‘নতুন দায়িত্ব’ নিতে তৈরি হচ্ছেন ম্যাক্সওয়েল |
![]() |
তিন নম্বরে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ২৭ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন আব্দুল সামাদ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন নাফে ও ইয়াসির। প্রথম পাওয়ার প্লেতে দুজন মিলে যোগ করেন ৬৯ রান। দশম ওভারে জুটির একশ রান পূর্ণ করে ফেলেন শাহিনসের দুই ওপেনার।
১১তম ওভারে এই জুটি ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি করেন মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু সীমানায় মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি মিলে ছেড়ে দেন ক্যাচ। তবে পরের ওভারেই নাফের রান আউটে ভাঙে ৬৭ বলে ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।
পরের ওভারে ইয়াসিরকে কট বিহাইন্ড করেন মাহফুজুর রাব্বি। তৃতীয় উইকেটে মাত্র ২৩ বলে ৪৯ রান যোগ করেন আব্দুল সামাদ ও মোহাম্মদ ফাইক। ১০ বলে ১৮ রান করা ফাইককে আউট করেন রকিবুল হাসান।
আরও পড়ুন
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ |
![]() |
এরপর ২০ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন সামাদ ও অধিনায়ক ইরফান খান। ১২ বলে ২৫ রান করা ইরফানকে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। অভিজ্ঞ এই পেসারই ছিলেন সবচেয়ে কৃপণ। ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৩৪ রান।
এছাড়া রিপন ৪ ওভারে ৪৫, রকিবুল ৪ ওভারে ৪৩, মৃত্যুঞ্জয় ৪ ওভারে ৩৯, মাহফুজুর রাব্বি ৩ ওভারে ৩৯, সাইফ হাসান ১ ওভারে খরচ করেন ২৬ রান।