৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩:২২ পিএম

দাবিটা চলে আসছে বিপিএলের একদম শুরু থেকেই। একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতে দল দিয়ে দেওয়ার সেই আহ্বান বারবার শোনা গেলেও এখনও তা আর বাস্তবে রুপ নেয়নি। প্রতি আসরেই তাই থাকে শঙ্কা-অনিশ্চয়তা। দল আসে নতুন, বাদ হয়ে যায় আগের মালিকানা। এই চিত্রের পরিবর্তন দেখতে চান তামিম ইকবাল। অভিজ্ঞ এই ওপেনার মনে করেন, আইপিলের মত বিপিএলেও লম্বা সময়ের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।
তামিমের এমন মন্তব্য এসেছে সদ্য সমাপ্ত আসরকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এবারই প্রথম বিপিএলে অংশ নেয় ঢাকা ও রাজশাহীর নতুন মালিকানার দল। চিটাগং কিংস এবার ফিরেছে ১১ বছর বাদে। আবার টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবার অংশই নেয়নি। বিশ্বের শীর্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের দিকে তাকালে দেখা যায়, সেই প্রথম আসর থেকে নির্দিষ্ট কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলছে নিয়মিতভাবে। আবার খেলোয়াড়দের নিলামে তোলা হলেও দলগুলো চাইলেই পারে পুরনোদের ধরে রাখতে।
তবে বিপিএলে প্রতিটি আসর শুরুর আগে খেলোয়াড়রা থাকেন অনিশ্চয়তায় যে এবার কোন দলে খেলবেন। বিপিএল ২০২৫-এর ফাইনালের পর তামিম দিয়েছেন সমাধানের পথ। “আমার কাছে মনে হয়, এই যে আমরা এত কষ্ট করে একটা ফ্যানবেজ তৈরি করেছ… ঠিক এই জিনিসটাই কিন্তু প্রথম বিপিএল থেকে সবাই চাইছে। প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজির যাতে একটা ফ্যানবেজ তৈরি হয়। এখন যদি আইপিএলের উদাহরণ দিই, সেখানে এই নিয়মটা কিন্তু কখনো বদলে যায় না। সেখানে দএর মূল খেলোয়াড়রা কিন্তু একই রাখে। আমি মানছি যে তিন বছরের একটা চক্র শেষ হয়ে গেছে, সামনে হয়ত আবার পাঁচ বছরের চক্র আসবে। কিন্তু এই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আসল ক্রিকেটারদের ধরে রাখার একটা সুযোগ তো অবশ্যই দেওয়া উচিত। নাহলে এতদিন ধরে আপনি যে পুরো জিনিসটা গড়ে তুলেছেন, সেটা তো নষ্ট হয়ে যাবে। ৫-৬ এমনকি অন্তত চারজন খেলোয়াড়ও যদি ধরে রাখার সুযোগ রাখা হয়, তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজির ফ্যানবেজটা আরও বড় হবে।”
রংপুর, বরিশাল ও খুলনাই এই মুহূর্তে তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি, যারা অনেকটা সময় ধরে একটা ধারা বজায় রেখে নিয়মিতভাবে বিপিএলে অংশ নিচ্ছে। পেশাদারভাবে দল পরিচালনা করা থেকে শুরু করে বছরব্যাপী নানাভাবে তাদের দেখা যায় সক্রিয় থাকতে। তবে প্রতি বছর নিয়ম বদলে যাওয়ায় চাইলেও অনেক খেলোয়াড়দের ধরে রাখা যায় না। এই বছরই আবার বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে তিন বছরের চক্রের স্বত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আগামী আসর থেকে তাই শুর করতে হবে অনেকটা নতুন করেই।
তামিম মনে করেন, একজন খেলোয়াড়কে যেন চাইলেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ধরে রাখতে পারে, সেই সুযোগ রাখা উচিত হবে। “আমি আশা করব যখনই তারা পরের বছরের জন্য নিয়মকানুনগুলো করবেন, তখন যেন এসব বিষয় মাথায় থাকে। সমস্যা যেটা হয়, দলের মালিকানাই বদল হয়ে যায়। তবে এরপরও দল তো একই থাকছে। মালিক বদলালেও খেলোয়াড় রিটেইন করার সুযোগটা রাখা উচিত। এরপর কেউ যদি মনে করে তারা সেটা করবে না, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।”
বরিশাল ও রংপুর এই মুহূর্তে বিপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি। তামিমের মতে, এই ধরণের পেশাদার ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সমর্থন দেওয়া উচিত সবার। “আমি মনে করি বিসিবির উচিত এই ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের পাশে থাকা। কারণ, উনারাই কিন্তু বিপিএলকে বদলে দিতে পারবেন। শুধু বিপিএল না, উনারা যদি ক্রিকেটের সাথেও থাকেন, আমি মনে করি তাতে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভালো করবে।”
No posts available.
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫:০৬ পিএম
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:২২ পিএম

২০২৬ আইপিএল নিলামে বড় চমক দেখালেন জম্মু ও কাশ্মীরের পেস বোলিং অলরাউন্ডার আকিব নবি। দিল্লি ক্যাপিটালস ৮ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে দলে ভিড়িয়েছে এই ডানহাতি পেসারকে। এক সময় নিলামে অবিক্রীত থেকে হতাশ হওয়া আকিবের জন্য এটি ক্যারিয়ারের বড় মোড়।
মিনি নিলামে আকিব নবি ছিলেন বেশ চাহিদাসম্পন্ন ক্রিকেটার। চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁর জন্য দর হাঁকায়। শেষ পর্যন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসই সর্বোচ্চ দর দিয়ে নিশ্চিত করে তাঁকে।
সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নিজের নাম আলাদা করে তুলেছেন আকিব নবি। সুইং বোলিংয়ের পাশাপাশি ডেথ ওভারে বল করার দক্ষতা তাঁকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কার্যকর বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। চলতি মৌসুমের সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে তিনি সাত ম্যাচে ১৫ উইকেট নেন, যেখানে তাঁর ইকোনমি রেট ছিল আটের নিচে।
১৯৯৬ সালের ৪ নভেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লায় জন্মগ্রহণ করেন আকিব নবি। তিনি ডানহাতি ব্যাটার ও মিডিয়াম পেসার। ২০১৮–১৯ মৌসুমের বিজয় হাজারে ট্রফিতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। পরের মৌসুমে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে টি-টোয়েন্টি এবং রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আকিব নবি এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ১২৫ উইকেট। তাঁর ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার ৭ উইকেট ২৪ রান। ২০২৪–২৫ রঞ্জি মৌসুমে তিনি একাই শিকার করেন ৪৪ উইকেট। সেই পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে ২০২৫–২৬ মৌসুমে দীলিপ ট্রফিতে নর্থ জোন দলে সুযোগ পান।
এর আগে ২০২৫ সালের মেগা নিলামে অবিক্রীত থেকে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন আকিব নবি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ধারাবাহিক ভালো খেলেও নিলামে নাম পর্যন্ত না ওঠা ছিল ভীষণ হতাশাজনক। তবে সময়ের সঙ্গে সেই হতাশা পেছনে ফেলে অবশেষে আইপিএলের মঞ্চে জায়গা করে নিলেন জম্মু–কাশ্মীরের এই পেসার।
দিল্লি ক্যাপিটালসে যোগ দিয়ে আইপিএলে নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করার বড় সুযোগ পাচ্ছেন আকিব নবি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক সাফল্যের পর এবার জাতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তাঁর পারফরম্যান্সের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

বিগ ব্যাশের অভিষেক মন্দ হয়নি রিশাদ হোসেনের। হোবার্ট হারিকেন্সের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ইকোনোমি বাংলাদেশের লেগ স্পিনারের। ৩ ওভারে ৬ গড়ে ১৮ রান দিয়েছেন তিনি।
হোবার্টের বেলেরিভ স্টেডিয়ামে আজ রিশাদের দায়িত্বশীল বোলিংয়ের পরও নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮০ রান তুলে সিডনি থান্ডার। জবাবে ১৯.৫ ওভারে লক্ষ্য টপকে যায় হোবার্ট।
এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রথম চার ওভারে ৪৬ রান তোলে সিডনি। প্রথম ওভারে ৯ রানের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে তারা ১৫ রান করে। আর চতুর্থ ওভারে ৭ রান।
পঞ্চম ওভারে রিশাদের হাতে বল তুলে দেন হোবার্ট অধিনায়ক ক্রিস গ্রিন। আক্রমণে এসেই রানের গতি কমিয়ে দেন বাংলাদেশি লেগ স্পিনার। তাঁর প্রথম ওভার থেকে প্রতিপক্ষ তুলে মাত্র ৬ রান, হয়নি কোনো বাউন্ডারি।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে মাত্র চার রান দেন ২৩ বছর বয়সী স্পিনার। রিশাদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সঙ্গে দারুণ বল করেন ক্রিস জর্ডান। ইংল্যান্ডের এই ফাস্ট বোলার নিজের করা দ্বিতীয় ওভারে মাত্র তিন রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নেন।
১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান নেওয়া সিডনি থান্ডার পরের ১০ ওভারে তোলে ১০১ রান। দ্বিতীয় দফায় বোলিংয়ে এসে ৮ রান খরচ করেন রিশাদ। তাঁর করা ১৩ ওভার থেকে চারটি সিঙ্গেল আর একটি চার মারে প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা।
রান তাড়ায় নেমে নিখিল চৌধুরির ৪১, বেন ম্যাকডারমটের ৩৮, মিচেল ওয়েনের ৩২, ম্যাথু ওয়েডের ২৪ রানে জয় তুলে নেয় হোবার্ট।
১৮ ডিসেম্বর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মেলবোর্ন স্টারসের বিপক্ষে মাঠে নামবে হোবার্ট।

পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচিং মেয়াদ শেষ হয়েছে আজহার মাহমুদের। পিসিবির সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে দায়িত্ব ছাড়ছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। তাঁর চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত। তবে আগামী বছরের মার্চ–এপ্রিলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সফরের আগে টেস্ট সূচিতে কোনো ম্যাচ না থাকায় এখনই কোচিং মেয়াদ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের জুনে পাকিস্তান টেস্ট দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন আজহার মাহমুদ। এর আগে তিনি ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে পাকিস্তান দলের তিন সংস্করণে সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করছিলেন। সে সময় সাদা বলের দলে গ্যারি কার্স্টেন এবং লাল বলের দলে জেসন গিলেস্পির সঙ্গে কাজ করেন তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সেই মাসে একটি সাদা বলের সিরিজে অন্তর্বর্তীকালীন ভূমিকাতেও ছিলেন আজহার।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ হিসেবে আজহার মাহমুদের অধীনে পাকিস্তান খেলেছে মাত্র একটি টেস্ট সিরিজ। ঘরের মাঠে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই সিরিজ ১–১ ড্র করে সালমান আলি আগার দল।
দায়িত্ব ছাড়ার পর আজহার মাহমুদ বলেন, ‘নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য আমাকে পিসিবি নিয়োগ দিয়েছিল। সেই সময়ে পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। এখন আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভবিষ্যতে দলের সাফল্যের জন্য শুভকামনা জানাই।’
এটি ছিল পাকিস্তান দলের সঙ্গে আজহার মাহমুদের দ্বিতীয় মেয়াদ। এর আগে ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মিকি আর্থারের কোচিং স্টাফে বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
বর্তমানে আজহার মাহমুদ আইএলটি–টোয়েন্টিতে শীর্ষে থাকা ডেজার্ট ভাইপার্স দলের ফাস্ট বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে তিনি পিএসএলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের প্রধান কোচ ছিলেন এবং পাকিস্তান দলে যোগ দেওয়ার আগে ইংলিশ কাউন্টি সারে দলের সহকারী কোচের দায়িত্বও পালন করেন। ধারণা করা হচ্ছে, আবারও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগভিত্তিক কোচিংয়ে ফিরবেন তিনি।
আজহার মাহমুদের বিদায়ে পাকিস্তান জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকল। ২০২১ সালের পর থেকে এটি হবে পাকিস্তান টেস্ট দলের অষ্টম প্রধান কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে কোচিং কাঠামোতেও পরিবর্তন এসেছে—কখনো মোহাম্মদ হাফিজ ছিলেন টিম ডিরেক্টর, কখনো গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন কোচ থাকলেও টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন গ্যারি আর্থার। পিসিবির সামনে এবার নতুন করে টেস্ট দলের কোচ খোঁজার চ্যালেঞ্জ।

অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে এশিয়া কাপে আজ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন অভিজ্ঞান কুন্ডু। রেকর্ড গড়েও রেকর্ডবুকে জায়গা পাচ্ছে না ভারতীয় ব্যাটারের। ভারত-মালয়েশিয়া ম্যাচটি যুব ওয়ানডে মর্যাদা না পাওয়ায় আনুষ্ঠানিক রেকর্ডে কোন পরিবর্তন আসবে না।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে আজ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১২১ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেন কুন্ডু। তাঁর ২০৯ রানের ইনিংসটি ভারতের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের তালিকায়ও যুক্ত হচ্ছে না। ফলে যুব ওয়ানডেতে ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের রেকর্ডটি এখনো আম্বাতি রায়ডুর দখলেই রয়ে গেছে।
কুন্ডু একা নন, যিনি রেকর্ড গড়েও রেকর্ডবুকে নাম তুলতে পারেননি। এর আগে ২০১২ সালে কাতারের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশের সৌম্য সরকার। কিন্তু সেই ম্যাচটিরও যুব ওয়ানডে স্ট্যাটাস না থাকায় তাঁর ১৩৫ বলে ২০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি রেকর্ডবুকে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৭৭ রান করেছিলেন রায়ডু। টানা ২৩ বছর ধরে যুব ওয়ানডেতে ভারতের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডটি তাই এখনো তাঁরই নামে অটুট রয়েছে।
দুবাইয়ের সেভেনস স্টেডিয়ামে দলীয় ৮৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন কুন্ডু। চতুর্থ উইকেটে ভেদান্ত ত্রিভেদীর সঙ্গে ২০৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন তিনি।
৪৪ বলে ফিফটি তুলেন নেন কুন্ডু। ৮০ বলে সেঞ্চুরি তুলেন এই বাহাতি ব্যাটার। এরপর আরো আক্রমনাত্মক হয়ে খেলতে থাকেন কুন্ডু। পরের একশো তোলেন মাত্র ৪১ বলে। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৭টি চার ও ৯টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ১২৫ বলে অপরাজিত ২০৯ রানের ইনিংস খেলেন এই উইকেট-কিপার ব্যাটার।
কুন্ডুর ইনিংসে ভর করে মালেয়শিয়ার বিপক্ষে ৭ উইকেটে ৪০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ তুলেছে ভারত।

বিজয় দিবস প্রীতি ম্যাচে শহীদ জুয়েল একাদশকে ৩৮ রানে হারিয়েছে শহীদ মুশতাক একাদশ। ব্যাট হাতে ঝড়ো ইনিংস খেলে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আব্দুর রাজ্জাকদের পাত্তাই দেননি তুষার ইমরান, নাদীফ চৌধুরীরা।
প্রতি বছর বিজয় দিবসে শহীদ আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল বীর বিক্রম ও শহীদ মুশতাক হোসেনের স্মরণে প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করে থাকে বিসিবি। ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারও। এই ম্যাচকে ঘিরে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলনমেলা বসে।
১৫ ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৩৮ রান করে শহীদ মুশতাক একাদশ। ২ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মেরে মাত্র ২৬ বলে ৪৬ রান করেন নাদীফ। তুষারের ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৭ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস।
চতুর্থ উইকেটে মাত্র ৪০ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন নাদীফ-তুষার। অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ১০ বলে করেন ৮ রান। হান্নান সরকারের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ৪ রান। শেষ দিকে নেমে ৭ বলে ৭ রান করেন হাবিবুল বাশার সুমন।
বাঁহাতি স্পিনে ৩ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আব্দুর রাজ্জাক।
রান তাড়ায় শাহরিয়ার নাফীস ছাড়া জুয়েল একাদশের কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৬ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। এছাড়া তালহা জুবায়ের ১৯ বলে ২৬ ও রাজ্জাকের ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১৩ রান।
ছয় নম্বরে নেমে ৮ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক নান্নু।