এলেন, খেললেন এবং জয় করলেন। অভিষেক যে কত রঙে-ঢঙে রাঙানো যায়, রুবাইয়া হায়দার ঝিলিককে না দেখলে বুঝাই যেত না। প্রথমবার লাল-সবুজ জার্সি পরেই জাত চেনালেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। পাশাপাশি টিম ম্যানেজম্যান্ট ও অধিনায়কের আস্থাভাজন হয়ে উঠলেন শুভ যাত্রায়। রেকর্ড মাখা ইনিংস খেলে জানিয়ে দিলেন, লম্বা রেসের ঘোড়া তিনি।
কলম্বোর প্রেমাদাসায় বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় জয়ের অন্যতম নায়ক ঝিলিক। ফাতিমা সানাদের দেওয়া ১২৯ রানের টার্গেট নিতান্তই সাদামাটা বানিয়ে ছাড়েন তিনি। মেয়েদের ওয়ানডে অভিষেকে যা বাংলাদেশের ব্যাটারদের সর্বোচ্চ ইনিংস। রুবাইয়া ভেঙেছেন আয়েশা রহমানের রেকর্ড। ২০১১ সালে বিকেএসপিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৩ রান করেছিলেন আয়েশা।
২০ ওভারের বিশ্ব মঞ্চে রুবাইয়ার আগের দুটি অর্ধশতক ছিল ফারজানা আক্তারের নামে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি করেছিলেন ৭১ ও ৫২ রানের ইনিংস। এবার সেই কীর্তি গড়লেন ঝিলিক।
এদিন ৬৪ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন ঝিলিক। মাত্র ৪ রান যোগ করতেই জয় বন্দরে পৌঁছে যায় দল। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ চারে। মোট ৭৭ বল মোকাবিলা করেছেন তিনি।
অভিষেক ম্যাচে শুরু থেকে প্রাণবন্ত ছিলেন ঝিলিক। মুভমেন্ট থাকায় থিতু হতে সময় নিলেন। তারপরও থেমে থাকেনি তার বাহারি শট। ৮ বাউন্ডারিতে স্পর্শ করেন নিজের প্রথম ওয়ানডে ফিফটি। ফিফটির পর একটু সতর্ক হয়ে পড়েন, কারণ অপরপ্রান্তে মোস্তারির ব্যাট ছুটছিল রানের জন্য হন্যি হয়ে।
No posts available.
নতুন ব্যাটিং ও স্পিন বোলিং কোচ নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জুলিয়ান উডকে। এশিয়া কাপের আগে সম্প্রতি এই পাওয়ার হিটিং কোচকে কিছু দিনের জন্য নিয়োগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
উডের পাশাপাশি স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট নিয়োগ দিয়েছে ড. রেনে ফার্ডিনান্ডসকে। উডকে এক বছরের জন্য জাতীয় ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, কার্যকর হয়েছে ১ অক্টোবর থেকে। আর ফার্ডিনান্ডসের চুক্তির মেয়াদ দুই বছরের।
‘পাওয়ার হিটিং প্রোগ্রামের’ উদ্ভাবক উড আধুনিক ট্রেনিং পদ্ধতি ও বায়োমেকানিক্স ব্যবহার করে খেলোয়াড়দের হিটিং ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সুপরিচিত। তাঁর পরামর্শে সুফল পাওয়ার আশার কথা বলেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও।
বাংলাদেশ ছাড়াও অভিজ্ঞ উড এর আগে কাজ করেছেন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি), গ্লুচেস্টারশায়ার, হ্যাম্পশায়ার, মিডলসেক্স ও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে।
চলতি বছর শুরুর দিকে তিনি শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে এক সপ্তাহের বিশেষ প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনা করেছিলেন, যা আইসিসি নারী বিশ্বকাপসহ নানা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির অংশ ছিল।
ড. রেনে ফার্ডিনান্ডসকে জাতীয় স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে। ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োমেকানিক্সে পিএইচডি করা ফার্ডিনান্ডস বিজ্ঞানের প্রয়োগে ক্রিকেট পারফরম্যান্স উন্নত করার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ। তিনি ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) কাজ করেছেন, যেখানে বায়োমেকানিক্সভিত্তিক কোচিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছেন এলিট খেলোয়াড় ও কোচদের জন্য।
কব্জি ও ফিঙ্গার স্পিনে বিশেষজ্ঞ ফার্ডিনান্ডস নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে বায়োমেকানিক্স কনসালট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। বোলারদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন ও চোট-ঝুঁকি নিরূপণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ইস্টার্ন সাবার্বস ক্রিকেট ক্লাব, ইউটিএস নর্থ সিডনি ক্রিকেট ক্লাব, হকসবুরি ক্রিকেট ক্লাব এবং সিডনি ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন।
দুই বছরের মেয়াদে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে দায়িত্ব পালন করবেন ড. ফার্ডিনান্ডস। এ সময়ে তিনি স্পিন বোলিং ট্রেনিং, ম্যাচ প্রস্তুতি, পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ ও খেলোয়াড় উন্নয়ন কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেবেন।
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ণাঙ্গ সিরিজের ম্যাচ অফিশিয়ালদের নাম প্রকাশ করেছে পিসিবি ও সিএসএ। ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে সিরিজ। দুই দল খেলবে দুটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
পাকিস্তান-প্রোটিয়াদের সিরিজে থাকছে বাংলাদেশও! আইসিসির এলিট প্যানেলের বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত আছেন ম্যাচ অফিশিয়ালদের তালিকায়।
লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ১২ অক্টোবর শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। লাল বলের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ আম্পায়ার ও আইসিসি এলিট প্যানেলের সদস্য রডনি টাকার অনফিল্ড দায়িত্বে থাকবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিস্টোফার ব্রাউন। ম্যাচ রেফারি হিসেবে থাকছেন শ্রীলঙ্কার রঞ্জন মাদুগালে।
তৃতীয় আম্পায়ার থাকবেন বাংলাদেশের সৈকত, আর চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকবেন পাকিস্তানের ফয়সাল খান আফ্রিদি।
২০ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এই ম্যাচে অনফিল্ড দায়িত্বে থাকবেন ক্রিস্টোফার ব্রাউন ও সৈকত। টাকার থাকবেন তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে। পাকিস্তানের রশিদ রিয়াজ হবেন চতুর্থ আম্পায়ার।
২৮ ও ৩১ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অনফিল্ড আম্পায়ার থাকবেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আসিফ ইয়াকুব ও রশিদ রিয়াজ। তৃতীয় আম্পায়ার ফয়সাল খান আফ্রিদি এবং চতুর্থ আম্পায়ার তারিক রশিদ।
১ নভেম্বর লাহোর তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অনফিল্ড দায়িত্বে থাকবেন রশিদ রিয়াজ ও ফয়সাল আফ্রিদি। আসিফ ইয়াকুব তৃতীয় আম্পায়ার, তারিক রশিদ চতুর্থ আম্পায়ার।
৪ নভেম্বর ফয়সালাবাদ ইকবাল স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন সৈকত ও আসিফ ইয়াকুব। ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ওয়ার্ফ হবেন তৃতীয় আম্পায়ার, রশিদ রিয়াজ চতুর্থ।
৬ নভেম্বর দ্বিতীয় ওয়ানডে- অনফিল্ডে প্রথমবার একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন আইসিসি এলিট প্যানেলের দুই আম্পায়ার অ্যালেক্স ওয়ার্ফ ও আহসান রাজা। সৈকত তৃতীয় আম্পায়ার ও রশিদ রিয়াজ চতুর্থ আম্পায়ার।
৮ নভেম্বর তৃতীয় ওয়ানডেতে অনফিল্ড আম্পায়ার সৈকত ও ফয়সাল আফ্রিদি। অ্যালেক্স ওয়ার্ফ তৃতীয়, আর রশিদ রিয়াজ চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
পিসিবি জানিয়েছে, সিরিজ জুড়ে রঞ্জন মাদুগালে ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকবেন। পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-২৭ চক্রের অংশ।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরিতে ঢাকা মেট্রোকে বড় সংগ্রহ এনে দেন সাদমান ইসলাম। বরিশালের বিপক্ষে এরপর বাকি কাজ সারেন বোলাররা। তাতে ৯৬ রানের বড় জয় পায় ঢাকা মহানগর।
‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ হিসেবে পরিচিত সাদমান আজ ৫৪ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তাঁর এই প্রথম সেঞ্চুরিতে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা মহানগর আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৭ রান করে। বড় লক্ষ্য তাড়ায় ১৭.৫ ওভারে ১০১ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল।
এই জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে উঠে এসেছে ঢাকা মহানগর। ৬ ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট পাওয়া বরিশাল ৮ দলের মধ্যে সবার শেষে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তালিকার শীর্ষে ঢাকা বিভাগ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা মহানগর। মাহফিজুল ইসলাম রবিনকে নিয়ে ১৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন সাদমান।
৪৯ বলে ৭৯ করা মাহফিজুল ইসালামের উইকেট পতনের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। ৬১ বলে ১০১ রানের দারুণ এই ইনিংসের শেষ হয় ইফতিখার হোসেনের বলে শেখ অন্তরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এই ওপেনারের ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ও ১১টি চার।
এনসিএল টি–টোয়েন্টির দুই আসর মিলিয়ে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। আগের দুটি এনামুল হকের ১০১ (খুলনার হয়ে ঢাকার বিপক্ষে) ও জিশান আলমের ১০০ (সিলেটের হয়ে ঢাকার বিপক্ষে)। দুটিই গত আসরের।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করা তৃতীয় ব্যাটার সাদমান। টুর্নামেন্টের গত আসরে তিন অঙ্কের দেখা পান জিসান আলম ও এনামুল হক বিজয়। আর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে শতরানের স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশের ১৪তম ব্যাটার তিনি। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে এই জুটি ভাঙেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ জুটি।
শেষ দিকে ইফতির দুর্দান্ত বোলিংয়েং দুইশ ছোঁয়া হয়নি ঢাকা মহানগরের। এরপর রান তাড়ায় শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল। ওপেনার আজমির আহেমেদের ২৪ বলে ২৬ রানই ছিল তাদের সর্বোচ্চ। ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার মারুফ মৃধা। দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার ও রাকিবুল হাসান।
মিচেল মার্শের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল অজিরা। দ্বিতীয় ম্যাচ হয়েছিল পরিত্যক্ত।
মাউন্ট মাঙ্গানুইয়ের বে ওভালে আজ কিউইদের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য ১২ বল হাতে রেখেই তাড়া করেছে অস্ট্রেলিয়া। চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজের ট্রফি এবারও ধরে রাখল সফরকারীরা।
১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন মার্শ। একপ্রান্ত আগলে রেখে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকান তিনি। যদিও অপরপ্রান্তে একের পর এক উইকেট হারায় অজিরা, মার্শ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ৫২ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ইনিংসে সাজানো ছিল ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা। অষ্ট্রেলিয়ার বাকি আট ব্যাট করতে নামা আট ব্যাটার মিলে করেন মাত্র ৪৯ রান।
অ্যারন ফিঞ্চ ও শেন ওয়াটসনের পর অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছেন মার্শ। রানের সেঞ্চুরির পাশাপাশি এই ম্যাচে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ছক্কার সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নারের পর এ কীর্তি গড়েছেন মার্শ।
টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করে সেঞ্চুরি করা অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ব্যাটার হলেন মিচেল মার্শ। তার আগে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও টিম ডেভিড করেছিলেন রান তাড়ায় সেঞ্চুরি। এই সংস্করণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড এখন মার্শের দখলে। ছাড়িয়ে গেছেন রিকি পন্টিংয়ের ৯৮ রানের ইনিংসকে।
টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই ডেভন কনওয়েকে হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে আরেক ওপেনার টিম সেইফার্ট নিউজিল্যান্ডের ইনিংসকে এগিয়ে নিতে থাকেন। সেইফার্ট ৪৮ রান করে ফেরার পর শেষ দিকে মাইকেল ব্রেসওয়েলের ২৬ ও জিমি নিশামের ২৫ রানের কল্যাণে ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে কিউইদের ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শন অ্যাবট ৩ উইকেট নেন, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজেলউডের শিকার ২টি করে উইকেট। ম্যাচ ও সিরিজসেরা মিচেল মার্শ।
সাত মাস পর ভারতের ওয়ানডে দলে ফিরেছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। দুজনই সবশেষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এই বছরের মার্চে- আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে। দুবাইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত।
দলে ফিরলেও টেস্টের পর এবার ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন রোহিত। ৫০ ওভারের সংস্করণেও দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে শুভমান গিলকে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়েই সাদা বলের নেতৃত্বে নতুন অধ্যায় শুরু হবে এই তরুণ ব্যাটারের।
আজ আহমেদাবাদে বসেছিল বিসিসিআই নির্বাচকদের সভা। সেখানেই নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৪০ রানে হারায় ভারত। ম্যাচ চলাকালীনই অস্ট্রেলিয়া সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার।
আরও পড়ুন
আরেকটি লজ্জার হার, টেস্ট খেলাই যেন ভুলে গেল উইন্ডিজ |
![]() |
টি-টোয়েন্টি দলে অবশ্য তেমন পরিবর্তন নেই। বলা যায়, সবশেষ এশিয়া কাপের দলই যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সফরে।
পার্থে আগামী ১৯ অক্টোবর হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। অ্যাডিলেইড ও সিডনিতে পরের দুই ম্যাচ হবে ২৩ ও ২৫ অক্টোবর। ওয়ানডে সিরিজের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২৯ অক্টোবর, চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের ওয়ানডে দল:
শুভমান গিল (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার (সহ-অধিনায়ক), অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), নিতিশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মোহাম্মদ সিরাজ, অর্শদীপ সিং, প্রসিধ কৃষ্ণা, ধ্রুব জুরেল (উইকেটরক্ষক), যশস্বী জয়সওয়াল।
শুভমান গিল (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার (সহ-অধিনায়ক), অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), নিতিশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মোহাম্মদ সিরাজ, অর্শদীপ সিং, প্রসিধ কৃষ্ণা, ধ্রুব জুরেল (উইকেটরক্ষক), যশস্বী জয়সওয়াল।
ভারতের টি-টোয়েন্টি দল:
সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, শুভমান গিল (সহ-অধিনায়ক), তিলক বর্মা, নিতিশ কুমার রেড্ডি, শিভম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), বরুণ চক্রবর্তী, জসপ্রিত বুমরাহ, অর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, হার্ষিত রানা, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), রিঙ্কু সিং, ওয়াশিংটন সুন্দর।