১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:১৮ পিএম
দুর্বার রাজশাহীর হ্যাটট্রিক জয়ে কাজটা কিছুটা কঠিনই হয়ে গিয়েছিল। তবে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে জিততেই হবে, এমন সমীকরণের প্রথম ম্যাচে জিতে কাজটা এগিয়েই রেখেছিল খুলনা টাইগার্স। আর টুর্নামেন্টের অন্যতম অধারাবাহিক দল ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জয়ের কাজটা অনেকটাই করে দিলেন বোলাররাই। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ করলেন ম্যাচ জেতানো ফিফটি, যা তার দলকে জায়গা করে দিল প্লে-অফে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৪১তম ম্যাচে খুলনা হেসেখেলেই জিতেছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে। ঢাকার করা ৯ উইকেটে ১২৩ রান মিরাজের দল পাড়ি দিয়েছে ১৬.৫ ওভারেই।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে খুলনার পয়েন্ট হয়েছে ১২। রাজশাহীর পয়েন্টও সমান ম্যাচে ১২। তবে নেট রান-রেটে বেশি এগিয়ে থেকে শেষ চারের টিকিট পেয়েছে খুলনাই।
নিজেদের প্রথম ১০ ম্যাচে আত্র চার জয় পাওয়া খুলনা আগের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে উপহার দেয় দাপুটে পারফরম্যান্স। বিশাল সে জয়ের আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে ঢাকার বিপক্ষে শুরুতে অবশ্য ব্যাকফুটেই চলে গিয়েছিল খুলনা। লিটন দাস অল্পেই ফিরলেই তানজিদ হাসান তামিম একের পর এক ছক্কার মারে চাপে ফেলে দেন প্রতিপক্ষের বোলারদের।
আগের ম্যাচে তিন উইকেট পাওয়া মুসফিক হাসানকে হাঁকান টানা দুই ছক্কা। তবে ছয় থেকে দশ ওভারের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ান খুলনার বোলাররা। ওই সময়ে রানের গতি অনেকটাই কমে যায়। ফারমানউল্লাহ শাফি খেলেন দৃষ্টিকটু এক ইনিংস, যেখানে প্রতিটি রানের জন্যই তাকে করতে হয় সংগ্রাম।
স্বাভাবিকভাবেই তা চাপ বাড়িয়ে দেয় অন্য ব্যাটারদের ওপর। সেটা সরাতে গিয়ে তিনি নিজে আউট হন ২০ বলে মাত্র ৭ রানে। একই ওভারে ৭ ছক্কা ও এক চারে উইলিয়াম বোসিস্টোর বলে। আউট হওয়ার আগে তানজিদ খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস।
এরপরই ধস নামে ঢাকার। ৯৫ রানেই চলে যায় ৭ উইকেট। সেখান থেকে টেনেটুনে ১২০ পার করার অবদান রাখেন সাব্বির রহমান। দুই চার ও এক ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।
চার ওভারে এক মেডেন সহ মাত্র ৫ চারে ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। বিপিএলের ইতিহাসে চার ওভার পূর্ণ হয়েছে, এমন স্পেলে এটি এখন যৌথভাবে দ্বিতীয় সেরা ইকোনমি রেটের বোলিং।
আগের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ২২০ করা খুলনার জন্য মামুলি এই রান তাড়া করাটা কঠিন হওয়ার কথা ছিল না। তবে ম্যাচে দারুণ বল করা মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম ওভারেই শেষ ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাঈম শেখকে ফিরিয়ে রোমাঞ্চের আভাস দেন। পরের ওভারে আফিফ হোসেনকেও শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন অভিজ্ঞ এই পেসার।
তবে সেই চাপে ভেঙে না পড়ে, মিরাজ শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। তাতে ফলও মিলতে শুরু করে দ্রুত। পেসার মেহেদি হাসানের এক ওভারে চার ও ছক্কা সহ আদায় করেন ১৫ রান। এরপর শাফিকে দুটি চারের পাশাপাশি ওড়ান ছক্কায়।
সেই শাফিকেই ছক্কা মেরে মাত্র ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন খুলনা অধিনায়ক। অন্যপ্রান্তে কয়েকটি উইকেট হারালেও একপ্রান্ত আগলে শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মিরাজ। ৫৫ বলে ৭৪ রানের ইনিংস সাজান ৫ চার ও চার ছক্কায়। চার ওভারে ১৬ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেন মুস্তাফিজুর।
No posts available.
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
বড় শটের খোঁজে ক্যাচ আউট হয়ে গেলেন দাসুন শানাকা। শ্রীলঙ্কার সামনে সমীকরণ দাঁড়াল ১৮ বলে ৩৪ রানের। বোলিংয়ে এলেন টিনোটেন্ডা মাপোসা। তার ওপর ঝড় বইয়ে দিলেন কামিন্দু মেন্ডিস। এক ওভারেই ২৬ রান তুলে লঙ্কানদের এগিয়ে দিলেন তারকা অলরাউন্ডার।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বুধবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৪ উইকেটে হারায় শ্রীলঙ্কা। ১৭৬ রানের লক্ষ্য ৫ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা।
এর আগে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েও জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুন
বৃষ্টিতে ভেসে গেল হোয়াইটওয়াশের সুযোগ |
![]() |
এবার টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে চাপের সময়ে উদ্ধার করেন কামিন্দু। ছয় নম্বরে নেমে ১ চার ও ৪টি ছক্কা মেরে মাত্র ১৬ বলে ৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। তাই ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে কামিন্দুর হাতে।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে বড় সংগ্রহ এনে দেন ব্রায়ান বেনেট। ১২ চারের মারে ৫৭ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলেন তরুণ ওপেনার। এছাড়া সিকান্দার রাজা করেন ২২ বলে ২৮ রান। দলের আর কেউ তেমন কিছু করতে পারেনি।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন দুশমন্থ চামিরা।
আরও পড়ুন
লিটনের ঝড়ের পর বাংলাদেশের ১৬৪ |
![]() |
রান তাড়ায় কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিসাঙ্কার ব্যাটে ঝড়ো শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। উদ্বোধনী জুটিতে ৯৬ রান যোগ করেন তারা দুজন। ৩৫ বলে ৩৮ রান করেন কুশল মেন্ডিস।
চলতি সফরে টানা তৃতীয় পঞ্চাস ছাড়ানো ইনিংসে ৩২ বলে ৫৫ রান করেন নিসাঙ্কা। ৪ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তারকা ওপেনার।
এরপর কুসাল পেরেরা, নুয়ানিদু ফার্নান্দো, চারিথ আসালাঙ্কা, শানাকারা হতাশ করলে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তবে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান কামিন্দু।
একই মাঠে শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
দুই দফার বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে গেল বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সুযোগ থাকার পরও তাই ডাচদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারল না লিটন কুমার দাসের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলা হয়েছে মোটে ১৮.২ ওভার। যেখানে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ।
প্রথমে একবার বৃষ্টি নেমে ৩৫ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। এরপর ৮টা ৩১ মিনিটে নামা বৃষ্টির কারণে আর খেলা শুরুই করা যায়নি। তাই ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দেন আম্পায়াররা।
ফল না আসা ম্যাচে ব্যাট হাতে চমৎকার ইনিংস খেলেন লিটন কুমার দাস। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৬ বলে ৭৩ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সিরিজে দুই ফিফটিতে ১৪৫ গড়ে স্টাইলিশ এই ব্যাটারের সংগ্রহ ১৪৫ রান।
আরও পড়ুন
লিটনের ঝড়ের পর বাংলাদেশের ১৬৪ |
![]() |
এই পারফরম্যান্সের সৌজন্যে ম্যান অব দা সিরিজ পুরস্কার জেতেন লিটন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় সিরিজ সেরার পুরস্কার।
আগেই সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় এদিন একাদশে ৫ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। দুই নিয়মিত ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমকে দেওয়া হয় বিশ্রাম।
একাদশে সুযোগ পেয়ে তেমন কিছু করতে পারেননি শামীম হোসেন পাটোয়ারি। ১৯ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তিন নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয় ৯ রান করতে খেলেন ১৪ বল। ওপেনিংয়ে নেমে ৮ বলে ১২ রান করেন সাইফ হাসান।
প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ২ ছক্কার মারে ১১ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেন নুরুল হাসান সোহান। জাকের আলি অনিকের ব্যাট থেকে আসে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৩ বলে ২০ রান।
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক সিরিজ কাটালেন লিটন কুমার দাস। প্রথম ম্যাচের মতো শেষ টি-টোয়েন্টিও করলেন ঝড়ো ফিফটি। তার সৌজন্যে দুই দফায় বৃষ্টির বাগড়া পড়া ইনিংসে ১৮.২ ওভারে বাংলাদেশ পেল ৪ উইকেটে ১৬৪ রানের পুঁজি।
দ্বিতীয় দফায় ৮টা ৩১ মিনিটে নামে বৃষ্টি। এরপর খেলা শুরুর অবস্থা দেখা না যাওয়ায় ১০ বল বাকি থাকতে শেষ করে দেওয়া হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
খেলা শুরুর জন্য ৯টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। এর মধ্যে যদি শুরু না হয় তাহলে অমীমাংসিতভাবে শেষ হবে ম্যাচ।
স্বাগতিকদের দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দেওয়ার কারিগর লিটন কুমার দাস। রেকর্ড গড়া ইনিংসে ৪৬ বলে ৭৩ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ঝড় তোলেন জাকের আলি অনিক ও নুরুল হাসান সোহান।
আরও পড়ুন
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন মীরকাদিম পৌরসভা |
![]() |
আগেই সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় এদিন একাদশে ৫ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। দুই নিয়মিত ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমকে দেওয়া হয় বিশ্রাম। তাদের জায়গায় ইনিংস শুরু করেন লিটন কুমার দাস ও সাইফ হাসান।
প্রথম ওভারেই আরিয়ান দত্তের বলে জীবন পান সাইফ। তবে কাজে লাগাতে পারেননি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বাজে শটে বোল্ড হয়ে যান তিনি ৮ বলে ১২ রান করে।
মাঝে তৃতীয় ওভারে ড্যানিয়েল ডোরামের ওপর ঝড় বইয়ে দেন লিটন। তিন চার ও এক ছক্কায় নেন ২২ রান। চতুর্থ ওভারে ফ্লাডলাইট বিভ্রাটের কারণে ৮ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা।
এরপর খেলা শুরু হলে একই ছন্দে এগোতে থাকেন লিটন। মাত্র ১৬ বলে তিনি পৌঁছে যায় ৪২ রানে। মাত্র ২৩ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করে ফেলে বাংলাদেশ।
পঞ্চম ওভারের শুরুতে নামে বৃষ্টি। তাতে ৩৫ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। নতুন করে শুরু হলে থেমে যায় লিটনের ব্যাট। পরের ১০ বলে করেন মাত্র ৪ রান। তবে ডোরামের বলে আরেকটি ছক্কা মেরে ২৭ বলে ফিফটি করে ফেলেন তিনি।
আরও পড়ুন
ওপেনারকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা |
![]() |
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি ১৪টি ফিফটির মালিক লিটন। এত দিন ১৩ ফিফটি নিয়ে সবার ওপরে ছিলেন সাকিব আল হাসান।
পঞ্চাশের আগে একবার জীবন পান লিটন। ফিফটি করে আবার তাকে জীবন দেন নেদারল্যান্ডসের ফিল্ডাররা। কিন্তু তবু ইনিংস খুব বেশি বড় করতে পারেননি। ১৫তম ওভারে কাইল ক্লেইনের বলে ক্যাচ আউট হয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
রেকর্ড গড়া ইনিংসে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন লিটন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সব মিলিয়ে তার ছক্কা এখন ৭৭টি। রেকর্ডের মালিক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ছকাও ৭৭টি। আর একটি ছক্কা মারলেই রিয়াদকে ছাড়িয়ে যাবেন লিটন।
অধিনায়কের এক বল পর আউট হয়ে যান শামীম হোসেন পাটোয়ারি। এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে সুযোগ পাওয়া বাঁহাতি ব্যাটার ১৯ বলে করেন মাত্র ২১ রান। মাঝে ১৪ বলে ৯ রান করে আউট হন তিন নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয়।
পরে আর উইকেট পড়তে দেননি সোহান ও জাকের। দুজন মিলে ২৩ বলে ৪২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ার পর আবার নামে বৃষ্টি।
প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ২ ছক্কায় ১১ বলে ২২ রান করেন সোহান। জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৩ বলে ২০ রান।
নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ৩ উইকেট নেন ক্লেইন। তবে ৪ ওভারে ৫৩ রান দেন তিনি।
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার টনি ডি জর্জি। লিডসে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই এই চোট পান বাঁহাতি ওপেনার।
বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করার সময় জস বাটলারের একটি শট বাঁচাতে ডাইভ দেন তিনি। বল আটকাতে সফল হলেও বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে। এরপর মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ডি জর্জি। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকলেও আর মাঠে নামেননি।
প্রয়োজন হলে ব্যাট হাতে নামবেন- এমন সিদ্ধান্ত ছিল, তবে ১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে তাকে প্রয়োজন হয়নি। সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়ে এবার দেশে ফিরে হ্যামস্ট্রিংয়ের স্ক্যান করাবেন তিনি।
ডি জর্জির বদলি হিসেবে নতুন করে কাউকে দলে নেওয়া হয়নি। কারণ তিনি নিজেই ছিলেন রিজার্ভ ব্যাটার, যে কিনা খেলেছে ম্যাথিউ ব্রিটস্কের বদলে। বাঁহাতি ব্রিটস্কে নিজেও অস্ট্রেলিয়ায় শেষ ওয়ানডে ও ইংল্যান্ডে প্রথম ম্যাচে হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় ভুগে বাইরে ছিলেন। তবে এখন ফিট হয়ে ফিরেছেন, দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই তাকে নামতে দেখা যেতে পারে ৪ নম্বরে।
আরও পড়ুন
শ্রাবণের দৃঢ়তার পরও পারল না অনূর্ধ্ব-২৩ দল |
![]() |
দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বিভাগেরও অনিশ্চয়তা কাটেনি। দলটির প্রধান অস্ত্র কাগিসো রাবাদা গোড়ালির চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় খেলেননি, লিডসেও নামেননি। এরই মধ্যে কোডি ইউসুফকে দলে টানা হয়েছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে রাবাদার হয়তো টি–টোয়েন্টি সিরিজের আগে ফেরা কঠিন।
আরেক চিন্তার নাম অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হ্যামস্ট্রিং চোটের পর এখনও ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট প্রটোকলে আছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় তিন ম্যাচের সিরিজে দুটি খেললেও ইংল্যান্ডে প্রথম ওয়ানডেতে নেমেছিলেন। তবে বাকি দুই ম্যাচের একটিতে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।
প্রথম ম্যাচে সহজ জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির (আইএলটি-টোয়েন্টি) উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামতে পারেন মুস্তাফিজুর রহমান। আগামী ২ ডিসেম্বর টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরের প্রথম ম্যাচে লড়বে তার দল দুবাই ক্যাপিটালস।
আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট দল দুবাই ক্যাপিটালস ও ডেজার্ট ভাইপার্স।
গত মাসে ইংল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার লুক উডের জায়গায় বদলি হিসেবে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল দুবাই ক্যাপিটালস। দেশের বাইরে এরই মধ্যে আইপিএল, পিএসএল ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন মুস্তাফিজ।
এবার মুস্তাফিজের সামনে প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই টুর্নামেন্টে খেলার হাতছানি। তবে একই সময়ে হতে পারে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএল। তাই মুস্তাফিজের আইএলটি-টোয়েন্টি খেলা নিয়ে সংশয় আছে যথেষ্টই।
আরও পড়ুন
সাকিবকে টপকে চূড়ায় লিটন |
![]() |
টুর্নামেন্টে চারটি ডাবল হেডার রাখা হয়েছে। অর্থাৎ চার দিন হবে দুটি করে খেলা। লিগ পর্বের খেলা শেষ হবে ২৮ ডিসেম্বর। ৩০ ডিসেম্বর প্রথম কোয়ালিফায়ার দিয়ে শুরু হবে প্লে–অফ।
এরপর ১ জানুয়ারি হবে এলিমিনেটর, আর পরদিন কোয়ালিফায়ার-২। একদিন বিরতির পর ৪ জানুয়ারি দুবাইয়ে হবে ফাইনাল ম্যাচ।
টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো আগের আসরের মতো তিন ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হবে- দুবাই, শারজাহ ও আবুধাবি।
গত আসরে ফাইনালে ভাইপার্সকে চার উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল দুবাই ক্যাপিটালস। ২০২৪ সালের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এমআই এমিরেটস। উদ্বোধনী আসরে ২০২৩ সালে শিরোপা জিতেছিল গালফ জায়ান্টস।