২ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৩৮ পিএম
নিগার সুলতানা জ্যোতির আক্ষেপ বুঝি ফুরালো! ২৪ ঘণ্টা আগেও ব্যাটিং নিয়ে আফসোস বাণী শুনিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে আরেকটি বোলিং নৈপুণ্যের দিনে রুবাইয়া হায়দার ঝিলিকরাও ঝলক দেখান ঠিকঠাক। তাতেই নারী বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ রাঙাল লাল সবুজ দল।
কলম্বোতে আজ টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৮.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ১১৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
আজ বড় জয়ের পাশাপাশি একাধিক রেকর্ডের সাক্ষী হয় নারী দল। শুরুতে হাত ঘুরিয়ে ৩ মেডেনসহ মাত্র ৫ রান খরচায় ৩ উইকেট তোলেন স্বর্ণা আক্তার। যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগার।
ব্যাটিংয়ে দেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপে ফিফটি করেন রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। ওয়ানডের বিশ্ব মঞ্চে এর আগে দু’বার ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন ফারজানা হক পিঙ্কি।
এদিন রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই উইকেট বিলিয়ে দেন ফারজানা আক্তার। তবে শারমিন আক্তারকে সঙ্গী করে ধাক্কা সামাল দেন ঝিলিক। পাওয়ার প্লে শেষ না হতেই আবারও পথ হারায় বাংলাদেশ। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন শারমিন আক্তার।
দলীয় ৩৫ রানে দুই উইকেট পতনের পর কিছুক্ষণ নিগার সুলাতানাকে নিয়ে এবং বাকিটা সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে পাড়ি দেন ঝিলিক। চলতি পথে আদায় করেন আন্তর্জাতিক কুড়ি কুড়ির ফরম্যাটে নিজের প্রথম ফিফটি। তা লেখা হয় খেরোখাতায়। ৭৭ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ঝিলক। তার সঙ্গে মোস্তারির ইনিংসে ছিল ২৪ রান।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই পথ হারায় পাকিস্তান। মারুফা আক্তারের গতি আর সুইংয়ে প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট হারায় দলটি। ওভারের পঞ্চম বলে ওমাইমা সোহেলকে বোল্ড করেন তিনি, পরের ডেলিভারিতেই ইনসুইংয়ে সিদরা আমিনের স্ট্যাম্প এলোমেলো করে দেন।
দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন মুনিবা আলি ও রামিন শামিম। তবে জুটি বড় হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। মুনিবা ৩৫ বলে ১৭ রান করে ফেরেন ক্যাচ দিয়ে। কিছু সময় পরেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রামিন শামিমও (৩৯ বলে ২৩ রান)।
এরপর ছোট ছোট কয়েকটি জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও পাকিস্তানের মেয়েদের ইনিংস বড় হতে দেননি রাবেয়া আক্তার ও ফাহিমা খাতুনরা। শেষ পর্যন্ত ৩৮.৩ ওভারেই ১২৯ রানে থামে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন স্বর্ণা আক্তার। ৩.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ মেডেনসহ মাত্র ৫ রান খরচ করেন তিনি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এটিই সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। গত আসরে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সালমা খাতুন।
No posts available.
১২ অক্টোবর ২০২৫, ৭:০৮ পিএম
১২ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৪২ পিএম
১২ অক্টোবর ২০২৫, ৬:০২ পিএম
১২ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৫৪ পিএম
২২ মাস পর টেস্ট খেলতে নামলেন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল, সেঞ্চুরিটা পেয়েই যাবেন ইমাম-উল হক। সম্প্রতি ইংল্যান্ডে ওয়ানডে-কাপে তিন অঙ্ক ছোঁয়াকে রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৮ ম্যাচে করেছিলেন চারটি সেঞ্চুরি। কিন্তু আজ আশি পেরোনোর পর পাকিস্তানি ওপেনারের রানের চাকায় যেন জ্যামই লেগে যায়!
সেঞ্চুরির জন্য অতিরিক্ত চাপ নিয়ে ইমাম থেমে যান নড়বড়ে নাইনটিতে। সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে আউট হলেও লাল বলে দুই বছর পর তাঁর ফেরা- উজ্জ্বলই তো বলা যায়। লাহোর টেস্টের প্রথম দিন চার ফিফটি পেয়েছে পাকিস্তান। ইমাম-শানদের সৌজন্যে দিন শেষে ৫ উইকেটে ৩১৩ রান তুলেছে স্বাগতিকেরা।
কাগিসো রাবাদার তোপে দিনের প্রথম ওভারে সাফল্য পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বাকি চার উইকেট স্পিনারদের দখলে। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে দুই রান নিয়ে রানের খাতা খোলেন আবদুল্লাহ শফিক। পরের বলেই ফেরেন রাবাদার তোপেরমুখে। ভেতরে ঢোকা বল প্যাডে লাগে, যদিও অনফিল্ড আম্পায়ার রড টাকার আউট দেননি। প্রোটিয়ারা রিভিউ নিলে আর বাঁচতে পারেননি এই ওপেনার।
শুরুর ধাক্কা দ্বিতীয় উইকেটে দারুণভাবে সামলে নেন ইমাম ও অধিনায়ক শান মাসুদ। ১৬১ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন দুজনে। ফিফটি করে দুজনই এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে দ্বিতীয় সেশনে ঘূর্ণি জাদুতে শানকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন প্রেনেলান সুব্রায়েন। ১২তম টেস্ট ফিফটি করে ফেরেন ৭৬ রানে।
তারপরই পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে হঠাৎ ধস। ১৬৩ রানে আউট হন শান। স্কোর ১৯৯ থিতু থাকা অবস্থায় ফেরেন ইমাম, সৌদ শাকিল (০) ও বাবর আজম (২৩)। ১৫৩ বলে ৯৩ রানে সেনুরান মাথুসামির শিকার হন ইমাম। শর্ট লেগে দারুণ ক্যাচ নেন টনি ডি জর্জি। ১০ম টেস্ট ফিফটিতে মেরেছেন ৭টি চার ও ১টি ছক্কা।
ষষ্ঠ উইকেটে সালমান আলি আগ ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১১৪ রানের জুটিতে মাঝের বিপর্যয় সামলে উঠেছে পাকিস্তান। দুজনই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। রিজওয়ান ৬২ ও সালমান ৫২ রান থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে দুটি উইকেট নিয়েছেন মাথুসামি।
লাহোর টেস্টে পাকিস্তানের পেস আক্রমণে ফিরছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এক বছর পর টেস্টে ফিরছেন এই বাঁহাতি পেসার। তাঁর সঙ্গী হবেন হাসান আলি। তিনি সবশেষ টেস্ট খেলেছেন সিডনিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ইমাম সবশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে।
চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তেমন ছন্দে নেই নিগার সুলতানা জ্যোতি। এর প্রভাব পড়ছে পুরো দলের ব্যাটিংয়েই। অধিনায়কের ব্যর্থতার পাশাপাশি অন্যরাও তেমন কিছু করতে না পারায় পরপর দুই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ।
সহ-অধিনায়ক নাহিদা আক্তারের আশা, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরের ম্যাচ দিয়েই রানে ফিরবেন অধিনায়ক জ্যোতি।
বিশাখাপত্তমে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে হারিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, পরের দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
প্রথম ম্যাচে তবু ৪৪ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জ্যোতি। পরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ বলে শূন্য ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৪ রান করতে তিনি খেলেন ২৮টি বল। ব্যাটিংয়ে তার নিষ্প্রভতার মাঝে বাকিরাও পারেননি পুষিয়ে দিতে।
দ. আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নাহিদা অবশ্য বললেন, অধিনায়কের রান খরায় দলের ওপর প্রভাব পড়েনি।
“আমার কাছে সেরকম কিছু (জ্যোতি রান পাওয়ায় দলের ওপর চাপ) মনে হয়নি। আরও যারা ব্যাটার আছে অবশ্যই সামর্থ্যবান। জ্যোতি আপু যেভাবে এতদিন ব্যাটিং করে এসেছেন, সেটা সবসময় আমাদের আত্মবিশ্বাস দেয়। আশা করি, পরের ম্যাচে জ্যোতির ব্যাটে রান আসবে।”
সহ-অধিনায়কের বিশ্বাস, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পুরো ব্যাটিং ইউনিটই ঘুরে দাঁড়াবে।
“আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটিং কোচ আছে, আমরা খেলোয়াড়রাও সবাই কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি যেখানে যেখানে ঘাটতি আছে সেগুলো ঠিক করতে। আশা করি, পরের ম্যাচে ব্যাটাররা ফিরে আসবে।”
তিন ম্যাচে এখন পর্যন্ত দুই জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সবশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় পেয়েছে তারা। অন্য দিকে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের জয় একটি।
নাহিদার আশা, দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে আবার জয়ে ফিরবেন তারা।
“আমরা বোলাররা, ব্যাটাররা কথা বলেছি (দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ নিয়ে)। টিম মিটিংয়েও কথা হবে। আমরা জানি তারা ভালো দল। আমরা চেষ্টা করব কালকের ম্যাচটা কীভাবে ভালো করা যায়, ভালোভাবে শেষ করা যায়।”
“অবশ্যই আমরা জয়ে ফিরতে আত্মবিশ্বাসী। আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামব। এখানে তো কোনো দলই হারার জন্য আসে না। হয়তো আমরা ব্যাটিংয়ে একটু কলাপ্স হয়েছে। আশা করি, এটা পরে ম্যাচে এটা আমরা কাটিয়ে উঠব।”
আহমেদাবাদে সিরিজে ইনিংস ও রান ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। দিল্লিতে দ্বিতীয় টেস্টেও বড় জয়ের পথে শুভমান গিলরা। যদিও ফলোঅনে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ। তাদের পথচলা কতটা মসৃণ হবে তা সময় বলে দেবে।
আজ ১৫০ রানে তৃতীয় দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ২৪৮ রানে। সফরকারীদের ফলোঅন করান শুভমান গিল। প্রথম ইনিংসে অল্পতে আটকে যাওয়ার পেছনের কারিগর কুলদীপ যাদব। ২৬.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫ উইকেট তুলেন ভারতের এই লেগস্পিনার।
তৃতীয় দিন শেষে কুলদীপ সম্প্রচার চ্যানেলকে বলেছেন,
‘আমাদের শুরুটা ভালো ছিল। উইকেটে তেমন একটা গতি ছিল না (ধীরগতি)। তাই স্ট্যাম্পে বল করার চেষ্টা করেছি। প্রথম ইনিংস সত্যিই অসাধারণ ছিল।’
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও অল্পতে উইকেট পেয়ে বসে ভারত। ১৭ রানে প্রথম উইকেট ও ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেন জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ। দুজনের ফিফটিতে সম্মান রক্ষার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কুলদীপ বলেছেন,
‘প্রথম ইনিংসটা আমাদের পক্ষেই ছিল। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে হোপ ও ক্যাম্পবেল দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। উইকেট ভালো, তবে একটু ধীর। তাই স্পিনার হিসেবে নিজে থেকেই বলের গতি ও টার্ন তৈরি করতে হবে, যেটা লেগ স্পিনারের জন্য চ্যালেঞ্জিং।’
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কুলদীপ বলেছেন,
‘আমি আমার বলের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। গতকালও উইকেট থেকে তেমন গতি মেলেনি। বাতাস কাজে লাগিয়ে ব্যাটারকে পরাস্ত করার চেষ্টা করেছিলাম।’
পাঁচ উইকেট নিয়ে ভারতীয় লেগ স্পিনার বলেছেন,
‘আমি সবসময় চেষ্টা করি সব ফরম্যাটে নিজেদের সেরাটা দিতে। পাঁচ উইকেট পাওয়াটা আমার জন্য স্পেশাল। মাঠে জাদু দেখাতেই হবে, গ্যাপ ছিল কতদিন সেটা কোনো বিষয় না, হোক তা ১৮ মাস কিংবা মাত্র এক মাস।’
১৫ টেস্টের (২৮ ইনিংস) ক্যারিয়ারে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ফাইফার স্পর্শ করলেন কুলদীপ। এ সময়ে মোট ৬৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। দ্বিতীয় টেস্টে আরও একটি ইনিংস বাকি। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ৩০ বর্ষী স্পিনারের হাতে।
দিল্লি টেস্টে খেলা হয়েছে তিন দিন। তাতেই স্পষ্ট ফল কী হতে যাচ্ছে। ভারতের দেওয়া প্রথম ইনিংসের ৫১৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ফলোঅনে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ২৭০ রানে পিছিয়ে পড়া সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিন শেষে যোগ করতে পেরেছে ১৭৩ রান। ভারতীয় দল ৯৭ রানে এগিয়ে রয়েছে। শাই হোপ ৬৬ ও জন ক্যাম্পবেল ৮৭ রানে অপরাজিত।
১৫০ রানে তৃতীয় দিন (সোমবার) শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস থামে ২৪৮ রানে। যদিও সফরকারীদের রান ২০০ রানে শেষ হয়ে যেত। আট উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও ক্যারিবিয়ানদের হয়ে খানিক লড়েছেন পিয়ের ও ফিলিপ। দুই জনের ছোট্ট জুড়িতে ২৪৮ রান করতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২৭০ রান পিছিয়ে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান ভারতের অধিনায়ক শুভমান গিল। এ যাত্রাতেও বিপাকে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। তেগনারায়াণ চন্দ্রপাল ও অ্যালিক অ্যাথানাজকে হারিয়ে ফেলে অল্পতে। তবে জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
এদিন তেগনারায়াণকে ফিরিয়ে ভারতকে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম সাফল্য এনে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ লুপে নেন শুভমন গিল। ১৭ রানে পড়ে প্রথম উইকেট।
ভারতকে দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। অনবদ্য বলে অ্যালিক অ্যাথানাজকে সাত রানে ফেরান সুন্দর। ৩৫ রানে দুই উইকেট হারিয়েই দ্বিতীয় সেশন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আশা দেখাচ্ছেন। দুইজনে তৃতীয় উইকেটে শতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন। ৪৯ ওভারে দুই উইকেটের বিনিময়ে ১৭৩ রান তুলে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আপাতত ভারতীয় দল ৯৭ রানে এগিয়ে রয়েছে। হোপ ৬৬ ও ক্যাম্পবেল ৮৭ রানে অপরাজিত।
ভারতের বিপক্ষে চলমান দিল্লি টেস্ট আইসিসির আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেডন সিলস। ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি তাঁর নামের পাশে যুক্ত করা হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। গত ২৪ মাসে দ্বিতীয় ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন সিলস। প্রথমটি এসেছিল গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে।
ঘটনাটি ঘটে টেস্টের প্রথম দিন, ভারতের ইনিংসের ২৯তম ওভারে। নিজের বোলিংয়ের ফলো-থ্রুতে বল কুড়িয়ে ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়ালের দিকে নিক্ষেপ করেন সিলস, এবং বলটি গিয়ে লাগে জয়সওয়ালের প্যাডে।
আইসিসি আচারণবিধির ধারা ২.৯ অনুযায়ী এটি একটি লঙ্ঘন— যেখানে বলা আছে, খেলার সময় কোনো খেলোয়াড় বা সাপোর্ট স্টাফের প্রতি অনুপযুক্ত বা বিপজ্জনকভাবে বল (অথবা অন্য কোনো ক্রিকেট সরঞ্জাম) নিক্ষেপ করা যাবে না।
যদিও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট প্রস্তাবিত শাস্তি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান সিলস, ফলে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক শুনানি হয়। শুনানিতে ২৪ বছর বয়সী এই পেসার দাবি করেন, তিনি আসলে ব্যাটারকে রান আউট করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে পুনরায় ভিডিও দেখে পর্যালোচনা করে রেফারি সিদ্ধান্তে আসেন—সিলসের সেই নিক্ষেপ ছিল অপ্রয়োজনীয় ও অনুপযুক্ত, তাই শাস্তি বহাল রাখা হয়।