ক্লাব ও জাতীয় দলের অর্জনের পাশাপাশি যদি স্রেফ ব্যক্তিগত কীর্তিও বিচার করা হয়, তাতে অনায়াসেই গত মৌসুমের অন্যতম সেরা ছিলেন লাউতারো মার্তিনেজ। ব্যালন ডি'অর তাও ছিলেন শীর্ষ দশের মধ্যে, তবে ফিফার দ্য বেস্ট-এ মনোনয়নই পাননি আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। এতে হতাশাই প্রকাশ করলেন তার ক্লাব ইন্তার মিলানের সভাপতি বাপ্পে মারোত্তা।
গেল মৌসুমে ইন্তারের হয়ে সেরি আ জেতা লাউতারো গোলও করেন লিগের সর্বোচ্চ। ইতালিয়ান ক্লাবটির জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার নামের পাশে গোল ছিল ২৭টি। এরপর আর্জেন্টিনার হয়ে জেতেন কোপা আমেরিকা, এখানেও হন সর্বোচ্চ গোলস্কোরার।
এমন একটা স্বপ্নময় মৌসুমের পরও ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য চূড়ান্ত ১১ মনোনীতদের মধ্যে লাইতারোকে না দেখে বিস্মিত ইন্তার সভাপতি। “এটি অবিশ্বাস্য এবং হতাশাজনক যে এমন একটি দুর্দান্ত মৌসুমের পরও তাকে মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হয়নি। লাউতারো আরও বেশি সম্মান এবং বড় স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।”
অর্জনের দিক থেকে ২০২৩-২৪ মৌসুমটা যেমন কাটিয়েছেন লাউতারো, এরপরও চমক জাগিয়ে ব্যালন ডি'অরের সেরার তালিকা তিনি হন সপ্তম। রদ্রির চেয়ে ছিলেন যোজন যোজন পিছিয়ে। আর ফিফার বর্ষসেরার লড়াইয়ে তো তার জায়গাই হলো না এবার।
ইন্তার সভাপতি মারোত্তার তাই আক্ষেপ, প্রাপ্য সম্মানটাই পাচ্ছেন না লাউতারো। “তাকে সরিয়ে রাখাটা শুধুমাত্র তার সংখ্যা এবং সাফল্যকে শুধু উপেক্ষা নয়, সাথে বড় ম্যাচেও তার প্রভাবকেও গুরুত্ব না দেওয়ার ব্যাপার। এটা খুব খারাপ লক্ষণ। যে খেলোয়াড়রা এভাবে খেলেছে, তাদের তো পুরস্কৃত করা উচিত।”
No posts available.
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:১৫ পিএম
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ কুড়ি কুড়ি ফরম্যাটে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় পায় আফগানিস্তান। সার্বিক দিক থেকেও লিটন দাসদের চেয়ে এগিয়ে রশিদ খানরা। ক্রিকেটের স্বল্প ওভারের খেলায় ১২ বারের দেখায় ৭বার জয় আনন্দ উপভোগ করেছে আফগানরা। আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় জয় কঠিন হলে আত্মবিশ্বাস মুশতাক।
তিনি বলেন,
‘‘আফগানদের বিপক্ষে জয় তোলা কঠিন। রশিদদের মতো স্পিনাররা ১৫–২০ বছর ধরে খেলছে, অভিজ্ঞতায় তারা এগিয়ে। তার মানে এই নয় আমরা পিছিয়ে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের স্পিনাররাই মাঝের ওভারে বেশি ম্যাচ জিতিয়েছে এবং আমাদের ইকোনমি রেটে সেরা এক বা দুইয়ের মধ্যে। আমাদের শক্তি মাঝের ওভারের স্পিন আক্রমণ, সেটিই কাজে লাগাতে হবে।’’
আরও পড়ুন
রিশাদের ‘বাজে ফর্ম’ নিয়ে মুশতাকের ব্যাখ্যা |
![]() |
এসময় আফগানদের বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলার ব্যাপারটিও সামনে আনলেন মুশতাক। ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলার কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ আফগানরা। মুশতাক বলেন,
‘‘একটা জিনিস মনে রাখবেন, আপনি চাইলে বিছানা কিনতে পারবেন কিন্তু ঘুম কিনতে পারবেন না। ঠিক সেভাবে আপনি চাইলেও অভিজ্ঞতা কিনতে পারবেন না। অভিজ্ঞতা আসে খেলার মাধ্যমে। তারা অনেক লিগ খেলে বলে এগিয়ে। তবে বাংলাদেশও কম ভালো করছে না। কিন্তু আইসিসি বা এসিসি টুর্নামেন্টে আরও উন্নতি করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’’
ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার ধাক্কা কাটিয়ে উঠল সংযুক্ত আরব আমিরাত। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানকে হারিয়ে দিল এশিয়া কাপের স্বাগতিকরা। টুর্নামেন্টের সুপার ফোরের টিকেটের জন্য শেষ ম্যাচে তারা লড়বে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবারের ম্যাচে ওমানকে ৪২ রানে হারায় আরব আমিরাত। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বিশ্ব রেকর্ডের পর আগে ব্যাট করা আমিরাত পায় ১৭২ রানের সংগ্রহ। জবাবে ১৩০ রানে অল আউট হয়ে যায় ওমান।
আরও পড়ুন
রিশাদের ‘বাজে ফর্ম’ নিয়ে মুশতাকের ব্যাখ্যা |
![]() |
দুই ম্যাচে আমিরাতের এটি প্রথম জয়। বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে চমক দেখাতে পারলেই সুপার ফোরের টিকেট পেয়ে যাবে তারা। আর পরপর দুই ম্যাচ হেরে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো ওমান।
আমিরাতের জয়ের নায়ক অধিনায়ক ওয়াসিম। বিশ্ব রেকর্ড গড়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম বলে ৩ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার। তার রেকর্ডের দিনে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আমিরাত।
আরও পড়ুন
‘বাংলাদেশ কখনও এশিয়া কাপ জেতেনি?’ আফগান কোচের বিস্ময় |
![]() |
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আলিশান শারাফুর সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৮৮ রান যোগ করেন ওয়াসিম। ৩৮ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন শারাফু। এরপর ওয়াসিম ছাড়া আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি।
শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ বলে ৬৯ রান করেন ওয়াসিম। ৮৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তার ২৪তম ফিফটি। এছাড়া তিনটি সেঞ্চুরিও আছে আমিরাত অধিনায়কের। শেষ দিনে ৮ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন হার্শিত কৌশিক।
ওমানের পক্ষে ৪ ওভারে ২৪ রানে ২ উইকেট নেন জিতেন রমানন্দি।
আরও পড়ুন
এখনো সুপার ফোরের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ |
![]() |
রান তাড়ায় ওমানের কেউ তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। পাওয়ার প্লের মধ্যেই তারা ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
অধিনায়ক জোতিন্দর সিং ঝড় তোলার আভাস দিয়ে ১০ বলে ২০ রান করে আউট হয়ে যান। ছয় নম্বরে নেমে ২৪ রান করতে ৩২ বল খেলেন আরিয়ান বিশ্ত। অতিরিক্ত থেকে ১৬ রান পায় ওমান।
আরব আমিরাতের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন জুনায়েদ সিদ্দিকি। এছাড়া হায়দার আলি, মোহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহ নেন ২টি করে উইকেট।
মুশতাক আহমেদ নিজেও একজন কিংবদন্তি লেগ স্পিনার। তারচেয়েও পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারের বড় পরিচয় তিনি এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পিন কোচ। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে ‘রিশাদ হোসেনের ম্যাড়মেড়ে বোলিং’ নিয়ে মুশতাকের দিকে প্রশ্নটা ছোঁড়া।
এমন প্রশ্নের কারণও আছে বৈকি। এশিয়া কাপে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি রিশাদ। ২৩বর্ষী লেগ স্পিনার প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে দুই উইকেট তোলেন। খরচ করেন ৩১ রান। আর দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে দিয়ে মাত্র এক ওভার হাত ঘোরান ক্যাপ্টেন লিটন দাস। কারণ, ৬ বলে ১৮ রান খরচ করেন রিশাদ।
আরও পড়ুন
‘বাংলাদেশ কখনও এশিয়া কাপ জেতেনি?’ আফগান কোচের বিস্ময় |
![]() |
মুশতাক বলেন,
‘‘তরুণ লেগ স্পিনাররা অনেক সময় এক ওভারে অতিরিক্ত কিছু করতে গিয়ে লাইন-লেংথ হারিয়ে ফেলে। তাদের শিখতে হবে পরিস্থিতি বুঝে বল করতে হবে।’’
মুশতাক আরও বলেন,
‘‘আমি নেটে তোলেন আগেই ওর (রিশাদ) সঙ্গে কথা বলেছি। ওকে বলেছি—প্রথম তিন বল শুধু ভালো জায়গায় ফেলতে। এতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া যাবে, তারপর ভ্যারিয়েশন আনা যাবে। ছোট ছোট বিষয় দ্রুত শিখতে হবে। আর পরিস্থিতি বুঝে কোন বল বেশি করা দরকার, সেটিও বুঝতে হবে।‘'
২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এশিয়া কাপের চার আসরের তিনটিতে ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। আর ওই তিনবারই তাদের যাত্রা থেমেছে রানার্স-আপ হয়ে। তবে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জনাথন ট্রটের ধারণা ছিল, একাধিকবার এশিয়া কাপ জিতেছে বাংলাদেশ। তাই সংবাদ সম্মেলনে সত্যটা জানতে পেরে বিস্ময় লুকাননি ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার।
আবু ধাবির জায়েদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘বি’ গ্রুপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে নিয়ে বেশ সমীহই দেখান আফগানিস্তানের প্রধান কোচ।
প্রশ্নোত্তরের এক পর্যায়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের হার, চলতি এশিয়া কাপেও দুই ম্যাচে একটি হারের পর এখন ডু অর ডাই অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। এটি কীভাবে দেখছেন ট্রট।
এই প্রশ্নের উত্তরেই বাংলাদেশের একাধিক এশিয়া কাপ জেতার ধারণার কথা প্রকাশ করেন আফগান কোচ।
“হ্যাঁ অবশ্যই (তাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই)। তবে আপনি যদি ইতিহাস দেখেন, তারা কয়েক বার এই টুর্নামেন্ট জিতেছে, এশিয়া কাপ।”
উত্তরের মাঝেই প্রশ্নকর্তা তাৎক্ষণিক ট্রটের ভুল শুধরে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ফাইনাল খেলেছে শুধু। কখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি। তখনই মূলত বিস্ময় প্রকাশ করেন ট্রট।
“শুধু ফাইনাল খেলেছে! কখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি? আমার মনে হয়, তারা পঞ্চাশ ওভারের (ওয়ানডে) এশিয়া কাপ জিতেছে। আপনি কি নিশ্চিত? আপনি কি আবার চেক করে দেখবেন? আবার চেক করে দেখুন প্লিজ।”
প্রশ্নকর্তা তখন বেশ জোর দিয়ে বলেন, একাধিকবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। তবে কখনও জিততে পারেনি। এরপর মেনে নেন ট্রট,
‘ওহ আচ্ছা! ঠিক আছে। আমি মনে করেছিলাম, তারা এশিয়া কাপ জিতেছে।”
এরপর বাংলাদেশের প্রশংসাও করেন ট্রট।
“বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন সত্যিকারের ম্যাচ উইনার আছে। তাই আমার কাছে এই ম্যাচটি বেশ কঠিন এক পরীক্ষা। কিছু দিন বিরতি পাওয়ায় আমি খুশি। অত্যধিক গরমে প্রথম ম্যাচ খেলার পর এখন আমরা মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে সতেজ আছি।”
আরও পড়ুন
এখনো সুপার ফোরের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ |
![]() |
গত ৯ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তান। প্রায় এক সপ্তাহ বিরতি দিয়ে তারা দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। লম্বা এই বিরতিটি সামনের দিনের জন্য খুব কাজে দেবে বললেন আফগান কোচ।
“আমার কাছে এটি ভালো সুযোগ ছিল, পুনরায় তরতাজা হওয়ার। আবার মাঠে নেমে কালকে জয় দিয়ে পরের রাউন্ডের উঠতে পারলে, সামনে অল্প সময়ের মধ্যে আরও কিছু ম্যাচ খেলতে হবে। কালকে আমরা ভালো খেলতে পারলে, সূচি আমাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।”
মঙ্গলবারের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের বিকল্প নেই। আফগানিস্তানও হেরে গেলে শঙ্কায় পড়ে যাবে তাদের সুপার ফোরের টিকেট।
এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে উড়ন্ত শুরু। উড়তে থাকা বাংলাদেশ মাটিতে পড়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেন লিটন দাসরা। ফলে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে লাল সবুজ দলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পরিণত হয়েছে বাঁচা-মরা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে জিতলেও যদি কিন্তুর অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ আদৌ হারাতে পারবে রশিদ খানদের? কারণ, নিকট অতীতে বেশ ডোমেনেটিং করেই লিটনদের রুখে দিয়েছে আফগানরা। আগামীকাল আবুধাবিতে ডু অর ডাই ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন জাতীয় দলের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ। পাকিস্তানের সাবেক এই স্পিনারের বিশ্বাস, এখনো বাংলাদেশের সম্ভবনা রয়েছে সুপার ফোর নিশ্চিত করার।
আরও পড়ুন
বাটলারকে টপকে আমিরাত অধিনায়কের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
মুশতাককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘দল কি এখনো সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করার বিশ্বাস ধরে রেখেছে? আর সেটা কতটা কঠিন?’ প্রতিউত্তরে তিনি বলেন,
‘হ্যাঁ, আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। কোচিং স্টাফ এবং ম্যানেজমেন্ট সবসময় খেলোয়াড়দের এটা বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, এই বিশ্বাসটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, কোচিং দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের নিজেদেরও এটা বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারি।’’
আরও পড়ুন
বেনেট ঝড়ে হেসে খেলে জিতল জিম্বাবুয়ে |
![]() |
বাংলাদেশ যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে এই এতটা দৃঢ়তার সঙ্গে কথা বলাটা একটু অযৌক্তিক বটে। মুশতাক মাটিতেই রাখছেন,
‘‘অবশ্যই এটা (কোয়ালিফাই করা) কঠিন, কারণ এখন কিছুটা “যদি–কিন্তু”র ওপর নির্ভর করছে। আপনি 'যদি-কিন্তু' ভাবেন, তাহলে এখন যা সবচেয়ে দরকার, সেটা হলো আগামী ম্যাচে পুরোপুরি মনোযোগ এবং সেই ম্যাচটা জিততে হবে। যখন আপনি মানসিকভাবে দৃঢ় থাকেন এবং বিশ্বাস রাখেন, তখন ইনশাআল্লাহ সবই সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি, এখনও সুযোগ আছে।’’
কোচ আরও বলেন, দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে মিডলের ওভারগুলো পারফরম্যান্স। তিনি বলেন,
‘‘স্পিন আক্রমণ দারুণ শক্তিশালী। বিশেষ করে মিডল ওভারে প্রতিপক্ষের স্পিন আক্রমণ সামলানোই হবে চ্যালেঞ্জ। যদি সেটা ভালোভাবে সামাল দিতে পারি এবং একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারি, তাহলে আমাদের বোলিং ইউনিট দিয়েও আমরা জবাব দিতে পারব।’’