২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩:৪০ পিএম
খেলোয়াডি জীবনে কাছ থেকে দেখেছেন শচিন টেন্ডুলকারের সেরা সময়। ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ব্যাটার কে, এই তর্কে অনেকেই সেই রিকি পন্টিংয়ের তুলনা টানেন ভারত কিংবদন্তির সাথে। তবে এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলিতে বাড়তি মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। সেটা এতোটাই যে, তাকেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটের ইতিহাস সেরাও বলেছেন পন্টিং।
গত রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে রান তাড়ায় ‘চেজ মাস্টার’ খ্যাত কোহলি খেলেন অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস। সেই পথচলায় ডানহাতি এই ব্যাটার ওয়ানডে ক্রিকেটে মাত্র তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ১৪ হাজার রান করেন। পেছনে ফেলেছেন পন্টিংকে, আর সামনে থাকা কুমার সাঙ্গাকারা থেকে আছেন আর মাত্র ১৪৯ রান পেছনে। সবার ওপরে থাকা শচিন অবশ্য আছেন বেশ দূরেই। সাবেক ভারত তারকার কোহলির চেয়ে এগিয়ে ৪ হাজার ৩৪১ রানে।
আরও পড়ুন
১৪ হাজারি ক্লাবে শচিন-সাঙ্গাকারাকে পেছনে ফেললেন কোহলি |
![]() |
শচিনের চেয়ে রান বা সেঞ্চুরিতে পিছিয়ে থাকলেও আইসিসি রিভিউ পডকাস্টে পন্টিং সেরা মানলেন কোহলিকেই। “তাকে (বিরাট কোহলি) অভিনন্দন। আমরা দেখতে পাচ্ছি একটা লম্বা সময় ধরে সে একজন চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। বিশেষ করে সম্ভবত সাদা বলের ফরম্যাটে, যেখানে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তিনি একজন অবিশ্বাস্য ভালো খেলোয়াড়। আমার তো মনে হয় না আমি বিরাট কোহলির চেয়ে ভাল ওয়ানডে খেলোয়াড় দেখেছি।”
পন্টিং যা বলেছেন, সেটার পক্ষে বড় যুক্তি হতে পারে ১৪ হাজারি ক্লাবে কোহলির পা রাখার গতি। শচিনের লেগেছিল ৩৫০ ইনিংস, শ্রীলঙ্কা গ্রেট সাঙ্গাকারার ৩৭৮ ইনিংস। সেখানে কোহলির মাত্র ২৮৭ ইনিংসেই সেই মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেছেন। যে ফিটনেস ধরে রেখেছেন, তাতে অনায়সেই খেলতে পারবেন ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
এই কারণেই পন্টিংয়ের মনে হচ্ছে, ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়া সম্ভব কোহলির পক্ষে। “বিরাটের মতো একজনকে আপনি কখনই হিসাবের বাইরে রাখতে পারবেন না। কারণ, আমি নিশ্চিত যে তিনি এই রেকর্ডটির (ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান) জন্য অনুপ্রাণিত হবেন। এখন তিনি আমার পেছনে ফেলেছেন এবং তার চেয়ে দুজন এগিয়ে আছে। আমি নিশ্চিত, নিজেকে সর্বকালের শীর্ষস্থানীয় রান স্কোরার হিসেবে ইতিহাস রচনার জন্য সে সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করবে।”
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের জয় চান ভারতের অতুল ওয়াসান |
![]() |
No posts available.
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:১৫ পিএম
ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার ধাক্কা কাটিয়ে উঠল সংযুক্ত আরব আমিরাত। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানকে হারিয়ে দিল এশিয়া কাপের স্বাগতিকরা। টুর্নামেন্টের সুপার ফোরের টিকেটের জন্য শেষ ম্যাচে তারা লড়বে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবারের ম্যাচে ওমানকে ৪২ রানে হারায় আরব আমিরাত। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বিশ্ব রেকর্ডের পর আগে ব্যাট করা আমিরাত পায় ১৭২ রানের সংগ্রহ। জবাবে ১৩০ রানে অল আউট হয়ে যায় ওমান।
আরও পড়ুন
রিশাদের ‘বাজে ফর্ম’ নিয়ে মুশতাকের ব্যাখ্যা |
![]() |
দুই ম্যাচে আমিরাতের এটি প্রথম জয়। বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে চমক দেখাতে পারলেই সুপার ফোরের টিকেট পেয়ে যাবে তারা। আর পরপর দুই ম্যাচ হেরে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো ওমান।
আমিরাতের জয়ের নায়ক অধিনায়ক ওয়াসিম। বিশ্ব রেকর্ড গড়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম বলে ৩ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার। তার রেকর্ডের দিনে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আমিরাত।
আরও পড়ুন
‘বাংলাদেশ কখনও এশিয়া কাপ জেতেনি?’ আফগান কোচের বিস্ময় |
![]() |
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আলিশান শারাফুর সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৮৮ রান যোগ করেন ওয়াসিম। ৩৮ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন শারাফু। এরপর ওয়াসিম ছাড়া আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি।
শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ বলে ৬৯ রান করেন ওয়াসিম। ৮৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তার ২৪তম ফিফটি। এছাড়া তিনটি সেঞ্চুরিও আছে আমিরাত অধিনায়কের। শেষ দিনে ৮ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন হার্শিত কৌশিক।
ওমানের পক্ষে ৪ ওভারে ২৪ রানে ২ উইকেট নেন জিতেন রমানন্দি।
আরও পড়ুন
এখনো সুপার ফোরের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ |
![]() |
রান তাড়ায় ওমানের কেউ তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। পাওয়ার প্লের মধ্যেই তারা ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
অধিনায়ক জোতিন্দর সিং ঝড় তোলার আভাস দিয়ে ১০ বলে ২০ রান করে আউট হয়ে যান। ছয় নম্বরে নেমে ২৪ রান করতে ৩২ বল খেলেন আরিয়ান বিশ্ত। অতিরিক্ত থেকে ১৬ রান পায় ওমান।
আরব আমিরাতের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন জুনায়েদ সিদ্দিকি। এছাড়া হায়দার আলি, মোহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহ নেন ২টি করে উইকেট।
মুশতাক আহমেদ নিজেও একজন কিংবদন্তি লেগ স্পিনার। তারচেয়েও পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারের বড় পরিচয় তিনি এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পিন কোচ। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে ‘রিশাদ হোসেনের ম্যাড়মেড়ে বোলিং’ নিয়ে মুশতাকের দিকে প্রশ্নটা ছোঁড়া।
এমন প্রশ্নের কারণও আছে বৈকি। এশিয়া কাপে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি রিশাদ। ২৩বর্ষী লেগ স্পিনার প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে দুই উইকেট তোলেন। খরচ করেন ৩১ রান। আর দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে দিয়ে মাত্র এক ওভার হাত ঘোরান ক্যাপ্টেন লিটন দাস। কারণ, ৬ বলে ১৮ রান খরচ করেন রিশাদ।
আরও পড়ুন
‘বাংলাদেশ কখনও এশিয়া কাপ জেতেনি?’ আফগান কোচের বিস্ময় |
![]() |
মুশতাক বলেন,
‘‘তরুণ লেগ স্পিনাররা অনেক সময় এক ওভারে অতিরিক্ত কিছু করতে গিয়ে লাইন-লেংথ হারিয়ে ফেলে। তাদের শিখতে হবে পরিস্থিতি বুঝে বল করতে হবে।’’
মুশতাক আরও বলেন,
‘‘আমি নেটে তোলেন আগেই ওর (রিশাদ) সঙ্গে কথা বলেছি। ওকে বলেছি—প্রথম তিন বল শুধু ভালো জায়গায় ফেলতে। এতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া যাবে, তারপর ভ্যারিয়েশন আনা যাবে। ছোট ছোট বিষয় দ্রুত শিখতে হবে। আর পরিস্থিতি বুঝে কোন বল বেশি করা দরকার, সেটিও বুঝতে হবে।‘'
২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এশিয়া কাপের চার আসরের তিনটিতে ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। আর ওই তিনবারই তাদের যাত্রা থেমেছে রানার্স-আপ হয়ে। তবে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জনাথন ট্রটের ধারণা ছিল, একাধিকবার এশিয়া কাপ জিতেছে বাংলাদেশ। তাই সংবাদ সম্মেলনে সত্যটা জানতে পেরে বিস্ময় লুকাননি ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার।
আবু ধাবির জায়েদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘বি’ গ্রুপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে নিয়ে বেশ সমীহই দেখান আফগানিস্তানের প্রধান কোচ।
প্রশ্নোত্তরের এক পর্যায়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের হার, চলতি এশিয়া কাপেও দুই ম্যাচে একটি হারের পর এখন ডু অর ডাই অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। এটি কীভাবে দেখছেন ট্রট।
এই প্রশ্নের উত্তরেই বাংলাদেশের একাধিক এশিয়া কাপ জেতার ধারণার কথা প্রকাশ করেন আফগান কোচ।
“হ্যাঁ অবশ্যই (তাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই)। তবে আপনি যদি ইতিহাস দেখেন, তারা কয়েক বার এই টুর্নামেন্ট জিতেছে, এশিয়া কাপ।”
উত্তরের মাঝেই প্রশ্নকর্তা তাৎক্ষণিক ট্রটের ভুল শুধরে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ফাইনাল খেলেছে শুধু। কখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি। তখনই মূলত বিস্ময় প্রকাশ করেন ট্রট।
“শুধু ফাইনাল খেলেছে! কখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি? আমার মনে হয়, তারা পঞ্চাশ ওভারের (ওয়ানডে) এশিয়া কাপ জিতেছে। আপনি কি নিশ্চিত? আপনি কি আবার চেক করে দেখবেন? আবার চেক করে দেখুন প্লিজ।”
প্রশ্নকর্তা তখন বেশ জোর দিয়ে বলেন, একাধিকবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। তবে কখনও জিততে পারেনি। এরপর মেনে নেন ট্রট,
‘ওহ আচ্ছা! ঠিক আছে। আমি মনে করেছিলাম, তারা এশিয়া কাপ জিতেছে।”
এরপর বাংলাদেশের প্রশংসাও করেন ট্রট।
“বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন সত্যিকারের ম্যাচ উইনার আছে। তাই আমার কাছে এই ম্যাচটি বেশ কঠিন এক পরীক্ষা। কিছু দিন বিরতি পাওয়ায় আমি খুশি। অত্যধিক গরমে প্রথম ম্যাচ খেলার পর এখন আমরা মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে সতেজ আছি।”
আরও পড়ুন
এখনো সুপার ফোরের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ |
![]() |
গত ৯ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তান। প্রায় এক সপ্তাহ বিরতি দিয়ে তারা দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। লম্বা এই বিরতিটি সামনের দিনের জন্য খুব কাজে দেবে বললেন আফগান কোচ।
“আমার কাছে এটি ভালো সুযোগ ছিল, পুনরায় তরতাজা হওয়ার। আবার মাঠে নেমে কালকে জয় দিয়ে পরের রাউন্ডের উঠতে পারলে, সামনে অল্প সময়ের মধ্যে আরও কিছু ম্যাচ খেলতে হবে। কালকে আমরা ভালো খেলতে পারলে, সূচি আমাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।”
মঙ্গলবারের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের বিকল্প নেই। আফগানিস্তানও হেরে গেলে শঙ্কায় পড়ে যাবে তাদের সুপার ফোরের টিকেট।
এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে উড়ন্ত শুরু। উড়তে থাকা বাংলাদেশ মাটিতে পড়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেন লিটন দাসরা। ফলে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে লাল সবুজ দলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পরিণত হয়েছে বাঁচা-মরা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে জিতলেও যদি কিন্তুর অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ আদৌ হারাতে পারবে রশিদ খানদের? কারণ, নিকট অতীতে বেশ ডোমেনেটিং করেই লিটনদের রুখে দিয়েছে আফগানরা। আগামীকাল আবুধাবিতে ডু অর ডাই ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন জাতীয় দলের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ। পাকিস্তানের সাবেক এই স্পিনারের বিশ্বাস, এখনো বাংলাদেশের সম্ভবনা রয়েছে সুপার ফোর নিশ্চিত করার।
আরও পড়ুন
বাটলারকে টপকে আমিরাত অধিনায়কের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
মুশতাককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘দল কি এখনো সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করার বিশ্বাস ধরে রেখেছে? আর সেটা কতটা কঠিন?’ প্রতিউত্তরে তিনি বলেন,
‘হ্যাঁ, আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। কোচিং স্টাফ এবং ম্যানেজমেন্ট সবসময় খেলোয়াড়দের এটা বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, এই বিশ্বাসটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, কোচিং দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের নিজেদেরও এটা বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারি।’’
আরও পড়ুন
বেনেট ঝড়ে হেসে খেলে জিতল জিম্বাবুয়ে |
![]() |
বাংলাদেশ যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে এই এতটা দৃঢ়তার সঙ্গে কথা বলাটা একটু অযৌক্তিক বটে। মুশতাক মাটিতেই রাখছেন,
‘‘অবশ্যই এটা (কোয়ালিফাই করা) কঠিন, কারণ এখন কিছুটা “যদি–কিন্তু”র ওপর নির্ভর করছে। আপনি 'যদি-কিন্তু' ভাবেন, তাহলে এখন যা সবচেয়ে দরকার, সেটা হলো আগামী ম্যাচে পুরোপুরি মনোযোগ এবং সেই ম্যাচটা জিততে হবে। যখন আপনি মানসিকভাবে দৃঢ় থাকেন এবং বিশ্বাস রাখেন, তখন ইনশাআল্লাহ সবই সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি, এখনও সুযোগ আছে।’’
কোচ আরও বলেন, দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে মিডলের ওভারগুলো পারফরম্যান্স। তিনি বলেন,
‘‘স্পিন আক্রমণ দারুণ শক্তিশালী। বিশেষ করে মিডল ওভারে প্রতিপক্ষের স্পিন আক্রমণ সামলানোই হবে চ্যালেঞ্জ। যদি সেটা ভালোভাবে সামাল দিতে পারি এবং একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারি, তাহলে আমাদের বোলিং ইউনিট দিয়েও আমরা জবাব দিতে পারব।’’
ফুল টস ডেলিভারি ডিপ স্কয়ার লেগে খেলেই দ্রুত দুই রানের জন্য ছুটলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম৷ কিন্তু দ্বিতীয় রান পূর্ণ করতে পারলেন না সংযুক্ত আরব আমিরাত অধিনায়ক। রান আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলেও, এই ইনিংসে রানেরই বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন দ্রুততম ৩ হাজার রানের মালিক আমিরাত অধিনায়ক। জস বাটলারকে টপকে বিশ্ব রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন তিনি৷
আরও পড়ুন
বেনেট ঝড়ে হেসে খেলে জিতল জিম্বাবুয়ে |
![]() |
এশিয়া কাপের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন ওয়াসিম। এদিন ৫৯তম রানটি নিয়ে ক্যারিয়ারের ৩ হাজার রান পূর্ণ করেন ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার৷
এই মাইলফলক ছুঁতে তার লেগেছে মাত্র ১ হাজার ৯৪৭ বল। তার আগে আর কোনো ব্যাটার ২ হাজার বলের কম খেলে ৩ হাজার রান করতে পারেননি।
ইংল্যান্ডের মারকুটে ব্যাটার জস বাটলার ৩ হাজার রান করতে খেলেছিলেন ২ হাজার ৬৮ বল। এছাড়া অ্যারন ফিঞ্চ (২ হাজার ৭৭), ডেভিড ওয়ার্নার (২ হাজার ১১৩) ও রোহিত শর্মা (২ হাজার ১৪৯) ছিলেন তালিকার পরের স্থানগুলোতে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ম্যাচের আগে আফগান শিবিরে বড় ধাক্কা |
![]() |
তবে সহযোগী সদস্য দেশের ক্রিকেটার হওয়ায় ওয়াসিম অবশ্য বেশিরভাগ ম্যাচই খেলেছেন সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে। তাই তার পক্ষে রেকর্ডটি গড়াও তুলনামূলক সহজ হয়েছে।
ম্যাচের হিসেবেও ৩ হাজার রানের মাইলফলকে সবার চেয়ে দ্রুত ওয়াসিম। ৮৪ ম্যাচে ৩ হাজার রান পূর্ণ হয়েছে তার। ওয়াসিমের আগে রেকর্ডটি ছিল বাবর আজমের। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ৩ হাজার রান করেছিলেন ৮৬ ম্যাচে।
তবে ইনিংসের হিসেবে ওয়াসিমের চেয়ে দ্রুত আছেন তিন জন। মাত্র ৭৯ ইনিংসে ৩ হাজার রান করে রেকর্ডটি এখনও মোহাম্মদ রিজওয়ানের। এছাড়া বাবর আজম ও বিরাট কোহলি ৩ হাজার করতে খেলেছিলেন ৮১ ইনিংস।
আরও পড়ুন
পাক-ভারত দ্বন্দ্ব: ম্যাচ রেফারির অপসারণ চান পিসিবি প্রধান |
![]() |
ওয়াসিমের সামনে এখন আরেকটি বিশ্ব রেকর্ডের হাতছানি। প্রায় ৪ বছরের ক্যারিয়ারে ৮৪ ইনিংসে ২৪ ফিফটি ও ৩ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচ পর্যন্ত ১৮৩টি ছক্কা মেরেছেন আমিরাতের অধিনায়ক।
এই সংস্করণে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড রোহিতের। অবসর নেওয়ার আগে ১৫১ ইনিংসে ২০৫টি ছক্কা মেরেছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। এখনও খেলে চলেছেন ওয়াসিম। তাই তার পক্ষে সহজেই রোহিতের রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার সুযোগ থাকছে।
ওয়াসিমের বিশ্ব রেকর্ড গড়ার ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৭২ রান করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আরেক ওপেনার আলিশান শারাফু ৩৮ বলে খেলেছেন ৫১ রানের ইনিংস।