১১ জানুয়ারি ২০২৫, ৪:৩০ পিএম
কয়েক বছর আগেও নিয়মিতই খেলেছেন আইপিএলে। অন্যান্য টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও স্টিভ স্মিথের চাহিদা ছিল বেশ। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলেও খেলেছেন গত বছরেও। তবে সময়ের সাথে সাথে ফর্ম, ধীরলয়ের ব্যাটিংয়ের কারণে ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছিল অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের কুড়ি ওভারের ক্রিকেট ক্যারিয়ার। বিগ ব্যাশ (বিবিএল) লিগে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে করে অজি তারকা অবশ্য আভাস দিচ্ছেন এই ফরম্যাটে সেরা ছন্দে ফেরার।
বিবিএলে সিডনি সিক্সার্সের জার্সিতে আগেও অনেকবারই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত কিছু ইনিংস উপহার দিয়েছেন স্মিথ। তবে শনিবার পার্থ স্কোর্চার্সের বিপক্ষে তার অপরাজিত ১২১ রান বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতোই। তিনি যে ধরণের ব্যাটিং করেন, সেখানে প্রায় ১৯০ স্ট্রাইক রেটে তিন অঙ্কের ঘরে স্কোর করাটা বলে দেয়, আদর্শ টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংটাই করেছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন
একতরফা ফাইনালে সিডনিকে হারিয়ে বিবিএলের শিরোপা ব্রিসবেনের |
![]() |
বিবিএলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ইনিংস স্মিথ সাজান ১০ চার ও ৭টি ছক্কায়, বল খেলেন মাত্র ৬৪টি। বিস্ফোরক এই ইনিংসে ভর করে সিডনি পায় ৩ উইকেটে ২২০ রানের স্কোর, যা তার দলকে এনে দেয় ১৪ রানের জয়।
এই সেঞ্চুরিটি বিবিএলে স্মিথের তৃতীয়। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায় বেন ম্যাকডারমটের সাথে এখন যৌথভাবে শীর্ষে আছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এই রেকর্ড স্পর্শ করতে ম্যাকডারমটের চেয়ে স্মিথ ম্যাচ খেলেছেন ৩২টি কম।
গত ফেব্রুয়ারি পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর টি-টোয়েন্টি খেলেননি স্মিথ। বাদ পড়েন গত বছর বিশ্বকাপ দল থেকে। বিগত চারটি আইপিএল নিলামেও থেকেছেন অবিক্রীত। বিদেশী উল্লেখযোগ্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের মধ্যে গত বছর তাকে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটেই দেখা গেছে।
আরও পড়ুন
হারের বৃত্তেই ঘুরপাক সাব্বির-লিটনদের, সিলেটের প্রথম জয় |
![]() |
তবে এই বিবিএলে স্মিথ তার যোগ্যতা প্রমাণ করে চলেছেন। এই টুর্নামেন্টে গত সাত ম্যাচে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। স্কোর্চার্সের বিপক্ষে দুটি ছক্কা হাঁকান সুইচ-হিট করে। আরেকটি ছিল ঝাই রিচার্ডসনের বলে দুর্দান্ত টাইমিংয়ে ফ্লিক করে। এই ধরণের শট খেলাটাই বলে দেয়, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শীর্ষ পর্যায়ে আবার ফিরে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তিনি।
No posts available.
খেলা শুরুর আগে পিচ রিপোর্টে ফারভেজ মাহরুফ বললেন, ২৩০ রান করতে পারলেই হবে জেতার মতো স্কোর। এতেই স্পষ্ট, মিরপুরের ‘কালো’ চেহারার উইকেটে বোলারদের জন্য থাকবে বাড়তি সুবিধা। যেখানে আগে ব্যাট করে ২০৭ রানের পুঁজি পেল বাংলাদেশ।
শেষ দিকে ৬ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে পুরো ৫০ ওভার খেলা হয়নি স্বাগতিকদের। দুই বল বাকি থাকতে অলআউট হয় তারা। নিজেদের ঘরের মাঠে অন্তত ৪৯.৪ ওভার খেলে গত ১১ বছরের মধ্যে এটিই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর।
শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্পিন মঞ্চে এই সংগ্রহ অবশ্য হতে পারে জয়ের জন্য যথেষ্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই স্পিনার খ্যারি পিয়েরে ও রস্টোন চেজ করেছেন দুর্দান্ত বোলিং, পেয়েছেন বড় বড় টার্নের দেখা। নতুন বলে পেসারদের বাউন্সও ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন
৩৪ বলে সেঞ্চুরি, নারী ক্রিকেটারের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
সব মিলিয়ে ২৯৮ বলের মধ্যে ১৮৩টিই ডট খেলেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ৩০ ওভারের বেশি বলে কোনো রান করতে পারেনি তারা। দলকে দুইশ পার করানোর কারিগর তাওহিদ হৃদয় ও অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ১২২ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও হৃদয়।
৬৩ বলে ৩২ রান করে আউট হন শান্ত। এরপর অঙ্কনকে নিয়ে এগিয়ে যান হৃদয়। ৩০ ওভারে পূর্ণ হয় দলের একশ রান।
ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটি করে আর টিকতে পারেননি মিডল-অর্ডার ব্যাটার। ৯০ বলে ৫১ রান করে কট বিহাইন্ড হন হৃদয়।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন অঙ্কন। চেজের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন ১৭ রান করা মিরাজ। চেজের পরের ওভারে বোল্ড হন ৭৬ বলে ৪৬ রান করা অভিষিক্ত মিডল-অর্ডার ব্যাটার অঙ্কন।
ইনিংসের ৪৮তম ওভারে প্রথম ছক্কা মারেন রিশাদ হোসেন। সব মিলিয়ে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২৬ রান। এছাড়া ৪ বলে ৯ রান করে দলকে দুইশ পার করান তানভির ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জেডেন সিলস। তবু খরুচে বোলিং করেন তিনি। খ্যারি পিয়েরে ১০ ওভারে মাত্র ১৯ রানে নেন ১ উইকেট। রস্টোন চেজের শিকার ৩০ রানে ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৯.৪ ওভারে ২০৭ (সাইফ ৩, সৌম্য ৪, শান্ত ৩২, হৃদয় ৫১, অঙ্কন ৪৬, মিরাজ ১৭, সোহান ৯, রিশাদ ২৬, তানভির ৯*, তাসকিন ০, মোস্তাফিজ ১; সিলস ৭-০-৪৮-৩, শেফার্ড ৭.৪-১-৩১-১, পিয়েরে ১০-২-১৯-১, চেজ ১০-০-৩০-২, মোতি ১০-০-৪৪-০, গ্রিভস ৫-০-৩২-২)
নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ভারতের ওপেনার কিরণ নাভগিরে। গতকাল ইন্ডিয়ান উইমেনস টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে মহারাষ্ট্রের হয়ে পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাত্র ৩৪ বলেই ১০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।
ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে নাভগিরে ভাঙলেন নিউজিল্যান্ডের সোফি ডিভাইনের রেকর্ড। ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট উইমেনস টি-টোয়েন্টিতে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন কিউই ব্যাটার। পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৩৫ বলে ৭টি ছক্কা ও ১৪টি চারে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন নাভগিরে। ১১১ রানের লক্ষ্য আট ওভারেই তাড়া করে মহারাষ্ট্র। ম্যাচ জিতল তারা ৯ উইকেটে।
আরও পড়ুন
‘কোহলি-রোহিতকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য সম্মানের’ |
![]() |
৩১ বছর বয়সী নাভগিরের স্ট্রাইক রেট ৩০২.৮৬। একমাত্র নারী ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০-এর ওপরে স্ট্রাইক রেটে সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়লেন তিনি।
যদিও আন্তর্জাতিক ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুত সেঞ্চুরির রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিয়েন্ড্রা ডটিনের দখলে। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৮ বলেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
নাাভগিরে ভারতের সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালের অক্টোবরে- এশিয়া কাপে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে খেলেছেন ছয় টি-টোয়েন্টি।
পার্থে আগামীকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে ভারত। সমর্থকদের মধ্যে ম্যাচটি ঘিরে তৈরি হয়েছে বাড়তি আগ্রহ। আট মাস পর জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যেতে পারে ভারতের দুই সুপারস্টার বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে।
সবশেষ এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে খেলেছিলেন কোহলি-রোহিত। অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল জানিয়েছেন, এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। বললেন,
‘তারা দুজনেই বিশ্বমানের খেলোয়াড়। নেটে অনুশীলন ও ফিটনেসে- খুব ভালো দেখাচ্ছে তাদের। প্রথম ম্যাচের পরই দেখতে পাবো তাদের ফর্ম কেমন। তারা পেশাদার, তাই জানে কি করতে হবে। তারা বেঙ্গালুরুর সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে অনুশীলন করেছে, তাই আমি মনে করি তারা খেলতে প্রস্তুত।’
গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ভারতের ওয়ানডে দলে দেখা যায়নি রোহিত ও কোহলিকে। তবে প্রত্যাবর্তনের জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁরা। সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমিয়েছেন ফিটনেস ঠিক রাখতে।
এই সিরিজের মধ্য দিয়ে ওয়ানডে নেতৃত্বের অভিষেক হচ্ছে শুভমান গিলের। অভিষেক ম্যাচেই গিল নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন রোহিত-কোহলির মতো তারকাদের। তবে গিল জানিয়েছেন, নেতৃত্বের কারণে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের অধিনায়ক বলেন,
‘বাইরের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা, কিন্তু আমাদের মধ্যে কিছুই বদলায়নি। সবকিছু আগের মতোই আছে, আর এটা খুবই সহায়ক।’
ছোটবেলায় যাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হতেন, তাঁদের নেতৃত্ব দেওয়াকে দারুণ সম্মানের বিষয় হিসেবেই দেখছেন গিল,
‘যখন ছোট ছিলাম, তখন তাঁদের মতো খেলোয়াড়দের দেখে অনুপ্রাণিত হতাম। তাঁদের ক্ষুধা, জয়ের তাগিদ আমাকে প্রভাবিত করত। এখন এই কিংবদন্তিদের নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমি নিশ্চিত, এই সিরিজে এমন অনেক মুহূর্ত আসবে, যেখান থেকে আমি ওনাদের থেকে শিখতে পারব।’
কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন শুভমান গিল। টেস্ট দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর কাল থেকে ৫০ ওভারের ম্যাচেও নেতৃত্বের অভিষেক হবে এই টপ অর্ডার ব্যাটারের।
তবে ভারতের বর্তমান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের বিশ্বাস, ৫০ ওভারের সংস্করণে যদি নিয়মিত সুযোগ পেতেন, তাহলে তিনিও ভারতের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হতে পারতেন। সম্প্রতি তাঁর নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত।
এক পডকাস্টে নিজের ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছের কথা প্রকাশ করেছেন সূর্যকুমার,
‘এখন ভাবছি, যদি ওয়ানডে সংস্করণে ভালো করতে পারতাম, যেমন এখন টি-টোয়েন্টিতে করছি, তাহলে হয়তো ওয়ানডে অধিনায়কত্বও পেতে পারতাম। এখন বিষয়টা নিয়ে ভাবি, আগে ভাবিনি। কারণ সংস্করণটা ৩০ ওভারের মতোই লম্বা, বলের রঙ একই, জার্সিটাও প্রায় একই। তবুও আমি চেষ্টা করব, শতভাগ দেব। এটা সব সময়ই আমার একটা স্বপ্ন।’
সূর্যকুমারের নেতৃত্বে পাকিস্তানকে হারিয়ে ২০২৫ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। তবে ওয়ানডে দলে এখনো নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। সবশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছিলেন সূর্য। এই সংস্করণে ৩৫ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ৭৭৩ রান।
সূর্যের মতে, ওয়ানডে সংস্করণে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে নিয়মিত হতে পারতেন। তখন হয়তো রোহিত শর্মার অধ্যায়ের পর অধিনায়কত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো তাঁর। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন,
‘যখন আমরা বাড়িতে থাকি, এই বিষয়টা নিয়ে অনেক কথা হয়। আমি স্ত্রীকে বলি, যদি ওয়ানডেতে ভালো করতে পারতাম, কে জানে! রোহিত ভাই যখন ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবেন, তখন কে নেতৃত্ব দেবে? যদি তুমি ভালো পারফর্ম করো, তাহলে তুমিও একজন ভালো দাবিদার হতে পারো। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে সেই সুযোগটা পাইনি।’
আগামীকাল পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে ভারত। তবে এই সিরিজে নেই সূর্যকুমার যাদব। তিনি নেতৃত্ব দেবেন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২৯ অক্টোবর।
ঘরের মাঠে ফিরে সহায়ক উইকেটে বড় জয়ে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিনের জাদুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৪ রানে জিতল স্বাগতিকরা।
আগে ব্যাট করে ২০৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ৩৯ ওভারে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইনআপকে এলোমেলো করে ৩৫ রানে ৬ উইকেট নেন রিশাদ। ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার তিনি।
এর আগে কেনিয়ার বিপক্ষে ২৬ রানে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেল হোসেনও নিয়েছিলেন ২৬ রানে ৬ উইকেট। এছাড়া ভারতের বিপক্ষে ৪৩ রানে ৬ উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমান।
রিশাদের রেকর্ডের দিনে মোস্তাফিজুর রহমান নেন ২ উইকেট। বাকি দুই উইকেট যায় মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানভির ইসলামের ঝুলিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৯.৪ ওভারে ২০৭ (সাইফ ৩, সৌম্য ৪, শান্ত ৩২, হৃদয় ৫১, অঙ্কন ৪৬, মিরাজ ১৭, সোহান ৯, রিশাদ ২৬, তানভির ৯*, তাসকিন ০, মোস্তাফিজ ১; সিলস ৭-০-৪৮-৩, শেফার্ড ৭.৪-১-৩১-১, পিয়েরে ১০-২-১৯-১, চেজ ১০-০-৩০-২, মোতি ১০-০-৪৪-০, গ্রিভস ৫-০-৩২-২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৯ ওভারে ১৩৩ (কিং ৪৪, আথানেজ ২৭, কার্টি ৯, হোপ ১৫, রাদারফোর্ড ০, চেজ ৬, মোতি ৩, গ্রিভস ১২, শেফার্ড ১, পিয়েরে ৭*, সিলস ৩; তাসকিন ২-১-১০-০, তানভির ১০-১-৪৬-১, মোস্তাফিজ ৫-০-১৬-২, মিরাজ ১০-৩-১৬-১, রিশাদ ৯-০-৩৫-৬, সাইফ ৩-০-৭-০)
ফল: বাংলাদেশ ৭৪ রানে জয়ী