
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েক বছর ধরেই বেড়ে চলেছে টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে নানা ট্রল-মিমের বাহার। এর কারণ কী? অনেকেই মনে করেন এর পেছনে বড় ভূমিকা ২০২৩ বিশ্বকাপের সেই বিখ্যাত অধিনায়কদের সংবাদ সম্মেলনের ছবি, যেখানে বাভুমা ক্ষনিকের জন্য ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন। আবার অনেকে টেনে আনেন তার সাথে দীর্ঘকায় সতীর্থ মার্কো ইয়ানসেনের একটি ছবি, যেখানে তাদের উচ্চতার ব্যবধান ছিল রীতিমত চোখে পড়ার মত। মূল কারণ যাই হোক, ‘লর্ড বাভুমা’ নামটা অন্তত ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিতই। বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমান জমানায় কাউকে লর্ড বলা মানেই তিনি সবার কাছে কেবলই হাসির পাত্র মাত্র।
বাভুমার যে চরিত্র, তাতে এসবে তিনি একেবারেই কান দেওয়ার লোক নন। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসে এসেছে অনেক কিংবদন্তি মাপের খেলোয়াড়। সেখানে একদিন তার নাম থাকবে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। তবে লড়াকু একজন ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এরই মধ্যে নিজেকে প্রমাণ করে ফেলেছেন অনেকবারই। সেটাও এমন সব বাঁধা অতিক্রম করে, যার সামনে পড়লে অনেকেই হয়ত খেলাই ছেড়ে দিতেন।
বাভুমা দক্ষিণ আফ্রিকার এই টেস্ট দলের অধিনায়ক, যিনি খুব যে বাজে ফর্মে আছেন, তাও নয়। নেতা হিসেবে দলকে পরিচালনা করার সহজাদ দক্ষতার সাক্ষর রেখেছেন আগেই। পুরো দলের সম্মানও রয়েছে তার প্রতি বেশ। এরপরও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময় অনেকেই বলে উঠেছেন, বাভুমা কীভাবে দলে থাকে? বাভুমা কীভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হয়?
এমন সব প্রশ্ন কেবল এক ফরম্যাটেই নয়, বাকি দুই ফরম্যাটেও বাভুমা যখনই অধিনায়কত্ব করেছেন, এই একই প্রশ্নগুলো তোলা হয়েছে তাকে নিয়ে। দল ভালো করলেও তাকে সমালোচনা করা হয়েছে অহেতুক। আর ব্যাট হাতে খারাপ সময় গেলে তো কথাই নেই। এটা ঠিক যে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এখনও অনেকেই সুযোগ পান স্কিলের চেয়ে তাদের গায়ের রঙের জন্য। কারণ, নিয়মটা বোর্ডের তরফ থেকেই বেঁধে দেওয়া। তবে বাভুমা কেবল সেটার সুফল পাচ্ছেন, সেটা ভাবলে তার প্রতি হবে বড় অন্যায়ই।
তবে এই যুগে এসে লোকেরা কি ভাববে বা বলবে, সেটার সীমারেখা টানা প্রায় অসম্ভবই। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা জাতীয় দলের অধিনায়ককে লর্ড বলাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাভাবিক ঘটনা। সেখানে তাকে কেন দলে রাখা হয়, সেই প্রশ্ন তোলা তো মামুলি ব্যাপার মাত্রই। আর ১.৬২ মিটার উচ্চতার বাভুমার উচ্চতা নিয়ে হাসিঠাট্টাও তো সবারই প্রিয় বিষয়।
তবে কোহলি-স্মিথ-রুট-উইলিয়ামসন-বাবর বা নিজ দলের এইডেন মার্করামের মত ক্লাসি না হয়েও বাভুমা জানেন কীভাবে আলো কেড়ে নিতে হয়। কারণ তিনি জানেন কীভাবে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে হয় সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের তৃতীয় দিন ২৮২ রান তাড়ায় তিনি যখন নামেন, তখন ৮ উইকেট হাতে রেখেও জেতার জন্য ফেভারিট ছিল না তার দল।
তার মধ্যে চা বিরতির আগে একটি রান নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে বাভুমার। অনেকক্ষণ ধরে নেন চিকিৎসা। তখন ধারণা করা হচ্ছিল, হয়ত আপাপত আর ব্যাটিংয়ে নামবেন না তিনি। কারণ, আঘাত নিয়ে নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে যেমন সমস্যা হবে, তিন রান হবে দুই রান, আর দুই রান হয়ে যাবে এক। অন্যদিকে ছন্দে থাকা মার্করামের ওপরও বাড়বে চাপ। তবে অবিশ্বাস্যভাবে হয়নি এর একটিও।
চা বিরতির পর বাভুমা ঠিকই নেমে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের সামলালেন সাবলীল ব্যাটিংয়ে। হুক-পুল করে গেলেন নিয়মিতই। প্যাট কামিন্সকে হুক করে মারা এক ছক্কায় অনেকটাই যেন নাড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষের আত্মবিশ্বাস। অন্যদিকে মার্করামকে বাড়তি চাপ না দিয়ে এক-দুই রানও বের করেন দৌড়ে।
তবে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে দৌড়ানো তো চাট্টিখানি কথা নয়। প্রতিটি রান নিতেই তাই সংগ্রাম করতে হয়েছেন বাভুমাকে। প্রায়ই দেখা গেছে রান নিচ্ছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে। চোখেমুখে ব্যথা অনুভব যে হচ্ছিল, তা ছিল দৃশ্যমান। এরপরও একটিবারের জন্য হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা চিন্তা হয়নি তার। জুটিতে মার্করামকে সঙ্গ দিয়ে পার করেছেন শতক, নিজে করেছেন ফিফটি।
অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের মরিয়া সব প্রচেষ্টা যেভাবে ওভারের পর ওভার ব্যর্থ করে সলিড ডিফেন্স করেছেন বাভুমা, সেটা ক্রিকেটার হিসেবে তার সামর্থ্যেরই একটা প্রমাণ ছিল। তিনি লর্ড নন, তিনি বিশেষ বিবেচনায় দলে জায়গা পাওয়া কেউ নন, তিনি নন-পারফর্মিং ক্যাপ্টেনও নন - ফাইনালের মঞ্চে প্রতিটি বল মোকাবেলায় বাভুমার চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় যেন মিশে ছিল এই বিষয়গুলোই।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তারাই বলতে পারবেন যে এই আঘাত নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটাও কতোটা কষ্টের। সেখানে বাভুমা দুই সেশন ব্যাট করেছেন কামিন্স-স্টার্ক-হ্যাজেলউডদের সামনে, লক্ষ্যে অবিচল থেকে। ব্যাটার হিসেবে তিনি হয়ত এবি ডি ভিলিয়ার্স মাপের কেউ নন। তবে বাভুমা ক্রিকেটের সেইসব নিরব চরিত্রদের একজন, যিনি আঁধারে মশাল জালিয়ে এরপর নিজেই মিশে যানা আধারিতে।
তবে বাভুমার সামনে দুর্দান্ত এক সুযোগ এসেছে নিজেকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসার। চতুর্থ দিন যদি তার দল শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে বিজয়ীর বেশে, তাহলে তিনি স্থায়ীভাবেই জায়গা করে নিবেন ইতিহাসে। নিজের অবিস্মরণীয় ইনিংস তো বটেই, সাথে যে যোগ হবে দেশের ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতা অধিনায়কের বিরল সম্মানও।
তবে ‘চোকার্স’ খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা মিরাকেল ঘটিয়ে যদি এই ফাইনাল হেরেও যায়, তবুও বাভুমা নিজেকে লর্ড থেকে ‘কিং বাভুমা’ হিসেবে রুপান্তর ঘটাতে সক্ষম হবেন। ক্যারিয়ার জুড়ে অসংখ্য লড়াই পার করে আজকের অবস্থানে আসা বাভুমার এই সম্মানটুকু তো প্রাপ্যই, তাই না?
No posts available.
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৬ পিএম
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:১৪ পিএম
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫০ পিএম

সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র, দ্বিতীয়টিতে নিরঙ্কুশ জয় নিউ জিল্যান্ডের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ২-০ ব্যবধান করার লক্ষ্য কিউইদের।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর অতিথি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ে ম্যাচের স্কোয়াডে পরিবর্তন এনেছে নিউ জিল্যান্ড। এজাজ প্যাটেল ও টম ব্লান্ডেল দলে ফিরেছেন। চোটের কারণে বাদ পড়েছেন ব্লেয়ার টিকনার। ফেরা হয়নি মিচেল স্যান্টনার ও ম্যাট হেনরির।
এক বছরেরও বেশি সময় পর টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন এজাজ। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বাই টেস্টে ভারতের বিপক্ষে তিনি শেষ খেলেছিলেন। সেই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার খেতাবও জিতেছিলেন এজাজ।
ক্রাইস্টচার্চে প্রথম টেস্টে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া উইকেটকিপার-ব্যাটার টম ব্লান্ডেল এক ম্যাচ বিরতিতে ফিরেছেন। কাঁধের চোটের কারণে ফার্স্ট বোলার ব্লেয়ার টিকনার দল থেকে ছিটকে গেছেন।
তৃতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড: টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), টম ব্লান্ডেল (উইকেটকিপার), মাইকেল ব্রেসওয়েল, ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক, ডেভন কনওয়ে, জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফাউলকস, ড্যারিল মিচেল, এজাজ প্যাটেল, গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল রে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন ও উইল ইয়ং।

সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে রান-পাহাড়ে চড়েছিল দু’দল। প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা ভারত তুলেছিল ১৭৫ রান, পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেছিল রেকর্ডের খুব কাছাকাছি— তুলেছিল ২১৩ রান। তবে ধর্মশালায় ফিরতেই ফ্যাকাশে ম্যাচের রঙ।
রবিবার এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে প্রোটিয়াদের ১১৭ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় ভারত। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ১১৭ রান, যা ম্যান ইন ব্লুদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে একমাত্র এইডেন মার্করামের ব্যাটেই সুর ওঠে। একাই দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩তম ওভারে ড্রেসিংরুমে ফেরেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে দলের সর্বোচ্চ ৬১ রান। ৪৬ বল মোকাবিলায় ২টি ছক্কা ও ৬টি চারে এই ইনিংস খেলেন মার্করাম।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, এদিন প্রোটিয়াদের মাত্র তিন ব্যাটার—মার্করাম, দোনোভান ফেরেইরা ও হেনরিখ নরকিয়া—দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন। ফেরেইরা ১৫ বলে করেন ২০ রান এবং পেসার নরকিয়ার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
অতিথিদের সর্বোচ্চ জুটি ছিল মার্কো জেনসন ও মার্করামের। এই জুটি থেকে আসে ৩৬ রান। এ ছাড়া দলীয় ১১৩ রানে ফেরার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ছোট ছোট জুটি গড়ার চেষ্টা দেখা যায়। তবে বেশিরভাগই থিতু হওয়ার আগেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১১৭ রানেই থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
এদিন বল হাতে দারুণ এক কীর্তি গড়েন হার্দিক পাণ্ডিয়া। দুটি উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের শততম উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। এর আগে এই অলরাউন্ডার টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।
পাণ্ডিয়ার পাশাপাশি দুটি করে উইকেট নেন হার্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব।
১১৭ রান তাড়া করতে নেমে ধীরস্থির কৌশলেই এগোয় ভারত। মূলত সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য এবং ধর্মশালার কন্ডিশন মাথায় রেখে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের বদলে স্বাভাবিক খেলাতেই মনোযোগ দেয় তারা। তার ফলও আসে মধুর।
সিরিজে দ্বিতীয় জয়ের দিনে অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের জুটি ভাঙে দলীয় ৬০ রানে, অভিষেক ৩৫ রানে আউট হলে। কটক ও নিউ চণ্ডীগড়ে ১৭ রান করে আউট হওয়া অভিষেক আজ নিজের সংগ্রহ বাড়াতে সক্ষম হন।
মার্কো জেনসনের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন শুভমান গিলও। গত দুই ম্যাচে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে না পারা এই ওপেনার আজ করেন ২৮ রান। তবে সূর্যকুমার যাদব ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দি থাকেন। স্বাগতিক অধিনায়ক কটকের মতো আজও ১২ রান করেন। তাকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে শীর্ষ উইকেটশিকারির দৌড়ে আরও এগিয়ে যান লুঙ্গি এনগিদি। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৭৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ভারতের ইনিংস শেষের পথে এগিয়ে নেন তিলক ভার্মা ও শিভাম দুবে। দুবের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ২৬ রান। এর মধ্য দিয়েই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। দু’জনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই জয় বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

বছরের শেষটা ভারত সফর দিয়ে করার কথা ছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। তবে সেটি স্থগিত হয়ে গেছে। এই ফাঁকা সময়টা কাজে লাগাতে তাই দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে উইমেন'স ক্রিকেট লিগ (ডব্লিউসিএল) আয়োজন করছে বিসিবি।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে সোমবার শুরু হবে ডব্লিউসিএলের খেলা। সেন্ট্রাল জোন, ইস্ট জোন, সাউথ জোন ও নর্থ জোনে ভাগ হয়ে খেলবেন নিগার সুলতানা জ্যোতি, ফাহিমা খাতুন, সোবহানা মোস্তারি, রাবেয়া খানরা।
উদ্বোধনী ম্যাচে সকাল ৯টায় মুখোমুখি হবে সেন্ট্রাল জোন-নর্থ জোন। একই দিন দুপুর দেড়টায় লড়বে ইস্ট জোন ও সাউথ জোন।
ডাবল লেগ পদ্ধতির এই টুর্নামেন্ট শেষ হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের শেষ দিন দুপুর দেড়টায় ফিরতি ম্যাচে লড়বে সেন্ট্রাল জোন ও নর্থ জোন। অর্থাৎ মৌসুমের শুরু ও শেষের ম্যাচ দুইটি খেলবে তারা দুই দল।
একনজরে চার দলের স্কোয়াড
সেন্ট্রাল জোন
নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), ইশমা তানজিম, দিলারা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা, রিতু মণি, সাবিকুন নাহার জেসমিন, সুমাইয়া আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, জান্নাতুল মাওয়া, আনিসা আক্তার সোবা, মোসাম্মত ইভা, সুবর্ণা কর্মকার, লেকি চাকমা ও তমালিকা সুমনা।
ইস্ট জোন
ফাহিমা খাতুন (অধিনায়ক), স্বর্ণা আক্তার, রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি, সাথী রানী, ফাতেমা জাহান সোনিয়া, তাজ নেহার, ফুয়ারা বেগম, উন্নতি আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, হালিমাতুল সাদিয়া, আশরাফি ইয়াসমিন আরথি, মুমতাহেনা হাসনাত সিনথিয়া, সুমি আক্তার।
নর্থ জোন
সোবহানা মোস্তারি (অধিনায়ক), শামীমা সুলতানা, সানজিদা আক্তার মেঘলা, শারমিন আক্তার সুপ্তা, ফারজানা ইয়াসমিন, শরিফা খাতুন, শারমিন সুলতানা, আফিয়া আসিমা ইরা, দিশা বিশ্বাস, মেহেরুন নেসা জয়া, লাকি খাতুন, ফারজানা আক্তার লিসা, পূজা চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান।
সাউথ জোন
রাবেয়া খান (অধিনায়ক), মারুফা আক্তার, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস, সুলতানা খাতুন, লতা মন্ডল, ফারজানা হক, মিষ্টি রানী সাহা, ফাতেমা আক্তার ইতি, ফাহমিদা ছোঁয়া, দীপা খাতুন, হ্যাপি আলম, আয়েশা আক্তার (জুনিয়র), লিমা খাতুন শিবানী রানী।

দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে বেশি দূর যেতে দিলেন না পাকিস্তানের বোলাররা। মোটামুটি সহজ লক্ষ্য পেয়ে তাই জয়ের স্বপ্ন হয়তো দেখছিল তারা। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই স্বপ্নভঙ্গ! ভারতের কাছে হেরে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করেছে পাকিস্তান।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে রোববার পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৯০ রানে হারায় ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আগে ব্যাট করে মাত্র ২৪০ রানের পুঁজি নিয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের ১৫০ রানেই অল আউট করে দেয় ভারত।
পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে ভারতের যুবারা। এই ম্যাচের শুরুতেও ছিল দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ছাপ। টসের সময় হাত মেলাননি দুই দলের অধিনায়ক।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেন কনিষ্ক চৌহান। সাত নম্বরে নেমে ৪৬ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। পরে বল হাতে মাত্র ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তরুণ অফ স্পিনারই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ভারত। আলোচিত মারকুটে ওপেনার বৈভব সুরিয়াবংশী মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান। আরেক ওপেনার আয়ুশ মাত্র ঝড় তুলে মাত্র ২৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান।
তিন নম্বরে নেমে দুই দল মিলিয়েই ম্যাচের সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন অ্যারন জর্জ। এরপর কনিষ্কের চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসের সৌজন্যে আড়াইশর কাছে যায় ভারত।
পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সায়াম ও আব্দুল সুবহান।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় পাকিস্তান। তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেন শুধু তিন ব্যাটার- উসমান খান (৪২ বলে ১৬), ফারহান ইউসুফ (৩৪ বলে ২৩) ও হুজাইফ আহসান (৮৩ বলে ৭০)।
কনিষ্ক ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন দিপেশ দেবেন্দ্র।

দেশের প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য ৩২টি সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বরাবরের ন্যায় আবারও আয়োজিত হতে চলেছে রংপুর রাইডার্স বিএসজেএ মিডিয়া কাপ-২০২৫। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে দেশের খেলাধুলার একমাত্র চ্যানেল টি স্পোর্টস। তাদের প্রতিপক্ষ জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ।
মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বেলা ১১টায় শুরু হবে টি স্পোর্টস ও কালের কণ্ঠের ম্যাচ। ৩২ দলের টুর্নামেন্টে ‘এফ’ গ্রুপে টি স্পোর্টস ও কালের কণ্ঠের পাশাপাশি রয়েছে এটিএন নিউজ ও বাংলা নিউজ।
টুর্নামেন্টের সব খেলাই হবে হকি স্টেডিয়ামের নীল টার্ফে। সোমবার সকাল ৯টা থেকেই অবশ্য শুরু হয়ে যাবে ব্যাট-বলের লড়াই। তবে টি স্পোর্টসের ম্যাচ দিয়েই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে রংপুর রাইডার্স বিএসজেএ মিডিয়া কাপ-২০২৫ পাওয়ার্ড বাই এইস ডেভেলপার্স।
উদ্বোধনী দিনে সকাল ৯টায় খেলবে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দৈনিক মানবজমিন এবং সময় টিভি ও দৈনিক নয়া দিগন্ত। এরপর সকাল ১০টায় লড়বে এটিএন বাংলা ও ক্রিকফ্রেঞ্জি এবং জাগো নিউজ ও ডিবিসি।
পরে বেলা ১১টায় টি স্পোর্টস ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সঙ্গে পাশাপাশি মাঠে খেলবে চ্যানেল আই ও দৈনিক কালবেলা। আর দুপুর ১২টায় দিনের শেষ দুই ম্যাচে খেলবে ডেইলি সান ও দৈনিক দেশ রুপান্তর এবং ডেইলি স্টার ও দৈনিক কালবেলা।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক টুর্নামেন্টের গ্রুপিং
গ্রুপ এ: যুগান্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, সমকাল, ঢাকা পোস্ট
গ্রুপ বি: ডেইলি সান, ডিবিসি, দেশ রুপান্তর, জাগো নিউজ
গ্রুপ সি: ডেইলি স্টার, চ্যানেল ২৪, ইনকিলাব, দেশ টিভি
গ্রুপ ডি: চ্যানেল আই, বৈশাখি টিভি, কালবেলা, জি টিভি
গ্রুপ ই: সময় টিভি, এন টিভি, নয়া দিগন্ত, এখন টিভি
গ্রুপ এফ: টি স্পোর্টস, এটিএন নিউজ, কালের কণ্ঠ, বাংলা নিউজ
গ্রুপ জি: বাংলাদেশ প্রতিদিন, মাছরাঙা, মানবজমিন, আর টিভি
গ্রুপ এইচ: এটিএন বাংলা, বাংলা ভিশন, ক্রিকফ্রেঞ্জি, দীপ্ত টিভি