
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েক বছর ধরেই বেড়ে চলেছে টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে নানা ট্রল-মিমের বাহার। এর কারণ কী? অনেকেই মনে করেন এর পেছনে বড় ভূমিকা ২০২৩ বিশ্বকাপের সেই বিখ্যাত অধিনায়কদের সংবাদ সম্মেলনের ছবি, যেখানে বাভুমা ক্ষনিকের জন্য ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন। আবার অনেকে টেনে আনেন তার সাথে দীর্ঘকায় সতীর্থ মার্কো ইয়ানসেনের একটি ছবি, যেখানে তাদের উচ্চতার ব্যবধান ছিল রীতিমত চোখে পড়ার মত। মূল কারণ যাই হোক, ‘লর্ড বাভুমা’ নামটা অন্তত ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিতই। বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমান জমানায় কাউকে লর্ড বলা মানেই তিনি সবার কাছে কেবলই হাসির পাত্র মাত্র।
বাভুমার যে চরিত্র, তাতে এসবে তিনি একেবারেই কান দেওয়ার লোক নন। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসে এসেছে অনেক কিংবদন্তি মাপের খেলোয়াড়। সেখানে একদিন তার নাম থাকবে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। তবে লড়াকু একজন ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এরই মধ্যে নিজেকে প্রমাণ করে ফেলেছেন অনেকবারই। সেটাও এমন সব বাঁধা অতিক্রম করে, যার সামনে পড়লে অনেকেই হয়ত খেলাই ছেড়ে দিতেন।
বাভুমা দক্ষিণ আফ্রিকার এই টেস্ট দলের অধিনায়ক, যিনি খুব যে বাজে ফর্মে আছেন, তাও নয়। নেতা হিসেবে দলকে পরিচালনা করার সহজাদ দক্ষতার সাক্ষর রেখেছেন আগেই। পুরো দলের সম্মানও রয়েছে তার প্রতি বেশ। এরপরও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময় অনেকেই বলে উঠেছেন, বাভুমা কীভাবে দলে থাকে? বাভুমা কীভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হয়?
এমন সব প্রশ্ন কেবল এক ফরম্যাটেই নয়, বাকি দুই ফরম্যাটেও বাভুমা যখনই অধিনায়কত্ব করেছেন, এই একই প্রশ্নগুলো তোলা হয়েছে তাকে নিয়ে। দল ভালো করলেও তাকে সমালোচনা করা হয়েছে অহেতুক। আর ব্যাট হাতে খারাপ সময় গেলে তো কথাই নেই। এটা ঠিক যে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এখনও অনেকেই সুযোগ পান স্কিলের চেয়ে তাদের গায়ের রঙের জন্য। কারণ, নিয়মটা বোর্ডের তরফ থেকেই বেঁধে দেওয়া। তবে বাভুমা কেবল সেটার সুফল পাচ্ছেন, সেটা ভাবলে তার প্রতি হবে বড় অন্যায়ই।
তবে এই যুগে এসে লোকেরা কি ভাববে বা বলবে, সেটার সীমারেখা টানা প্রায় অসম্ভবই। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা জাতীয় দলের অধিনায়ককে লর্ড বলাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাভাবিক ঘটনা। সেখানে তাকে কেন দলে রাখা হয়, সেই প্রশ্ন তোলা তো মামুলি ব্যাপার মাত্রই। আর ১.৬২ মিটার উচ্চতার বাভুমার উচ্চতা নিয়ে হাসিঠাট্টাও তো সবারই প্রিয় বিষয়।
তবে কোহলি-স্মিথ-রুট-উইলিয়ামসন-বাবর বা নিজ দলের এইডেন মার্করামের মত ক্লাসি না হয়েও বাভুমা জানেন কীভাবে আলো কেড়ে নিতে হয়। কারণ তিনি জানেন কীভাবে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে হয় সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের তৃতীয় দিন ২৮২ রান তাড়ায় তিনি যখন নামেন, তখন ৮ উইকেট হাতে রেখেও জেতার জন্য ফেভারিট ছিল না তার দল।
তার মধ্যে চা বিরতির আগে একটি রান নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে বাভুমার। অনেকক্ষণ ধরে নেন চিকিৎসা। তখন ধারণা করা হচ্ছিল, হয়ত আপাপত আর ব্যাটিংয়ে নামবেন না তিনি। কারণ, আঘাত নিয়ে নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে যেমন সমস্যা হবে, তিন রান হবে দুই রান, আর দুই রান হয়ে যাবে এক। অন্যদিকে ছন্দে থাকা মার্করামের ওপরও বাড়বে চাপ। তবে অবিশ্বাস্যভাবে হয়নি এর একটিও।
চা বিরতির পর বাভুমা ঠিকই নেমে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের সামলালেন সাবলীল ব্যাটিংয়ে। হুক-পুল করে গেলেন নিয়মিতই। প্যাট কামিন্সকে হুক করে মারা এক ছক্কায় অনেকটাই যেন নাড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষের আত্মবিশ্বাস। অন্যদিকে মার্করামকে বাড়তি চাপ না দিয়ে এক-দুই রানও বের করেন দৌড়ে।
তবে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে দৌড়ানো তো চাট্টিখানি কথা নয়। প্রতিটি রান নিতেই তাই সংগ্রাম করতে হয়েছেন বাভুমাকে। প্রায়ই দেখা গেছে রান নিচ্ছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে। চোখেমুখে ব্যথা অনুভব যে হচ্ছিল, তা ছিল দৃশ্যমান। এরপরও একটিবারের জন্য হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা চিন্তা হয়নি তার। জুটিতে মার্করামকে সঙ্গ দিয়ে পার করেছেন শতক, নিজে করেছেন ফিফটি।
অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের মরিয়া সব প্রচেষ্টা যেভাবে ওভারের পর ওভার ব্যর্থ করে সলিড ডিফেন্স করেছেন বাভুমা, সেটা ক্রিকেটার হিসেবে তার সামর্থ্যেরই একটা প্রমাণ ছিল। তিনি লর্ড নন, তিনি বিশেষ বিবেচনায় দলে জায়গা পাওয়া কেউ নন, তিনি নন-পারফর্মিং ক্যাপ্টেনও নন - ফাইনালের মঞ্চে প্রতিটি বল মোকাবেলায় বাভুমার চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় যেন মিশে ছিল এই বিষয়গুলোই।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তারাই বলতে পারবেন যে এই আঘাত নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটাও কতোটা কষ্টের। সেখানে বাভুমা দুই সেশন ব্যাট করেছেন কামিন্স-স্টার্ক-হ্যাজেলউডদের সামনে, লক্ষ্যে অবিচল থেকে। ব্যাটার হিসেবে তিনি হয়ত এবি ডি ভিলিয়ার্স মাপের কেউ নন। তবে বাভুমা ক্রিকেটের সেইসব নিরব চরিত্রদের একজন, যিনি আঁধারে মশাল জালিয়ে এরপর নিজেই মিশে যানা আধারিতে।
তবে বাভুমার সামনে দুর্দান্ত এক সুযোগ এসেছে নিজেকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসার। চতুর্থ দিন যদি তার দল শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে বিজয়ীর বেশে, তাহলে তিনি স্থায়ীভাবেই জায়গা করে নিবেন ইতিহাসে। নিজের অবিস্মরণীয় ইনিংস তো বটেই, সাথে যে যোগ হবে দেশের ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতা অধিনায়কের বিরল সম্মানও।
তবে ‘চোকার্স’ খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা মিরাকেল ঘটিয়ে যদি এই ফাইনাল হেরেও যায়, তবুও বাভুমা নিজেকে লর্ড থেকে ‘কিং বাভুমা’ হিসেবে রুপান্তর ঘটাতে সক্ষম হবেন। ক্যারিয়ার জুড়ে অসংখ্য লড়াই পার করে আজকের অবস্থানে আসা বাভুমার এই সম্মানটুকু তো প্রাপ্যই, তাই না?
No posts available.
২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৪:২৭ পিএম
২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৩:২৯ পিএম

রোমারিও শেফার্ডের শর্ট বলে দারুণ পুল শটে ছক্কা মারলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু রান পেলেন না, উল্টো আউট হয়ে গেলেন। কারণ শট খেলাই আগেই অফ স্টাম্পে পা দিয়ে ফেলেন তিনি। পড়ে যায় বেলস। তাই হিট উইকেট হন তাসকিন আর ১৬ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হিট উইকেট হওয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার তাসকিন। আর তিন সংস্করণ মিলিয়ে দেশের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে হিট উইকেট হলেন তিনি।
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় পরাজয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শুরু করল বাংলাদেশ। ১৬৬ রানের লক্ষ্যে পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। ২ বল বাকি থাকতে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায় লিটন কুমার দাসের দল।
সপ্তম উইকেটে ২৩ বলে ৪০ রানের জুটি গড়ে আশা জাগিয়েছিলেন নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে পারেননি তারা।
দলের সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন নাসুম। আর কেউ বলার মতো কিছু করতে পারেননি। দশম উইকেটে ২০ রানের জুটিতে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন জেসন হোল্ডার ও জেডেন সিলস। আকিল হোসেন মাত্র ২২ রানে নেন ২ উইকেট।
একই মাঠে বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৬৫/৩ (আথানেজ ৩৪, কিং ৩৩, হোপ ৪৬, রাদারফোর্ড ০, পাওয়েল ৪৪; নাসুম ৪-০-১৫-০, তাসকিন ৪-০-৩৬-২, সাকিব ৪-০-৪৭-০, মোস্তাফিজ ৪-০-২৪-০, রিশাদ ৪-০-৪০-১)
বাংলাদেশ: ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ (সাইফ ৮, তামিম ১৫, লিটন ৫, হৃদয় ২৮, শামীম ১, সোহান ৫, সাকিব ৩৩, নাসুম ২০, রিশাদ ৬, তাসকিন ১০, মোস্তাফিজ ১১*; আকিল ৪-০-২২-২, সিলস ৪-০-৩২-৩, পিয়েরে ৪-০-৩৩-১, হোল্ডার ৪-০-৩১-৩, শেফার্ড ৩.৪-০-২৯-১)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬ রানে জয়ী

হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দল বরিশাল বিভাগের ফিজিওথেরাপিস্ট হাসান আহমেদ। তাঁর স্মরণে আজ চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ খুলনা ও বরিশাল ম্যাচের তৃতীয় দিন সকালে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেন হাসান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৪৭ বছর বয়সী এই ফিজিওকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, হাসান আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চট্টগ্রামে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল কালো আর্মব্যান্ড পরবে। ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। আগামীকাল চলমান এনসিএলের চতুর্থ দিনের ম্যাচগুলোতেও হাসান আহমেদকে স্মরণ করা হবে।
প্রায় এক যুগের বেশি সময় জাতীয় লিগে বরিশালের ফিজিওর দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান আহমেদ। এর বাইরেও ট্রমায় আক্রান্তদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি।

ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তোলে টি-টোয়েন্টি থেকে রীতিমতো ছেঁটে ফেলা হয়েছিল বাবর আজমকে। নতুন করে যাদের পরখ করা হয়, তাঁরাও সন্তুষ্ট করতে পারেননি পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টকে। সমালোচনারমুখে ৯ মাস পর আবারও টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পড়ে অভিজ্ঞ বাবরের।
দক্ষিণ আফ্রিার বিপক্ষে আগামীকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তন হতে পারে বাবরের। লম্বা সময় দলের বাইরে থাকা এই তারকা ব্যাটারের ব্যাটিং পজিশন কি হবে- নিশ্চিত করেছেন কোচ মাইক হেসন। টি-টোয়েন্টিতে অধিকাংশ ম্যাচে ওপেনিংয়ে খেলেছেন বাবর। তবে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ জানিয়েছেন, এবার ব্যাট হাতে দেখা যাবে তাঁকে তিন নম্বরে।
গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে হেসন বলেন, ‘আমি অবশ্যই তাঁর দলে ফেরাকে সমর্থন করি। ফখর জামানকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাঠানো হয়েছে, ফলে আরেকজন টপ অর্ডার ব্যাটারের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে। বাবরের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। সম্ভবত সে তিন নম্বরে ব্যাট করবে, আর আমি আত্মবিশ্বাসী—এই ভূমিকায় সে দারুণ করবে।’
আরও পড়ুন
| লিটনদের সামনে কতগুলো মাইলফলকের হাতছানি |
|
বাবর আজম সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, সেঞ্চুরিয়নে গত বছরের ডিসেম্বরে। তারপর থেকে তাঁকে দেখা গেছে শুধু ওয়ানডে ও টেস্টে। তবে হেসনের ভাষায়, ‘সংক্ষিপ্ত সংস্করণেও বাবর এখনো দলের অন্যতম ভরসার নাম।’
হেসন ব্যাখ্যা করেছেন উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ হারিসের বাদ পড়ার কারণও, ‘হারিস তরুণ, তবে তাঁকে বেশ কয়েকবার সুযোগ দিয়েও আমরা ধারাবাহিক পারফরম্যান্স পাইনি। উন্নতির জায়গা এখনো অনেক।’হারিসের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন স্পিন মোকাবিলায় ব্যাটিং দক্ষতার জন্য পরিচিত উসমান খান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও পরবর্তী ত্রিদেশীয় সিরিজকে হেসন দেখছেন ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, ‘এই দুটি সিরিজ আমাদের দল গঠনে সহায়তা করবে। বিভিন্ন কম্বিনেশন যাচাই করার সুযোগ পাব।’
পাকিস্তান এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও পরবর্তী ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের স্কোয়াডও নির্ধারণ করেছে তারা।
হেসন জানান, তরুণ বোলার উসমান তারিককে তিনি ‘দারুণ স্পিন প্রতিভা’ হিসেবে দেখছেন। আর সুফিয়ান মুকিমকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ করে দিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

চোট কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলে ফিরেছেন টেম্বা বাভুমা। আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
গত মাসে ইংল্যান্ড সফরের তৃতীয় ওয়ানডেতে পায়ের পেশিতে চোট পাওয়ায় মাঠের বাইরে ছিটকে যান বাভুমা। যে কারণে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের প্রথম সিরিজেও খেলতে পারেননি।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) দুই সিরিজেও খেলবেন না বাভুমা। ভারতের বিপক্ষে মূল সিরিজের আগে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ ও ভারত ‘এ’ দলের ম্যাচে নামবেন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সিরিজের স্কোয়াড থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এই একটিই। বাদ পড়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটার ডেভিড বেডিংহাম। ১৫ টেস্ট খেলা ব্যাটার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ ইনিংসে ৮২ রান করেন। তবে এর আগে ১২ ইনিংসে কোনো ফিফটি ছুঁতে পারেননি।
আরও পড়ুন
| লিটনদের সামনে কতগুলো মাইলফলকের হাতছানি |
|
স্পিন বিভাগে দক্ষিণ আফ্রিকা ধরে রেখেছে তিনজন বিশেষজ্ঞ স্পিনারকে- কেশব মহারাজ, সাইমন হার্মার ও সেনুরান মুথুসামি। পাকিস্তান সিরিজে ভালো পারফর্ম করা এই ত্রয়ীর সঙ্গে জায়গা হয়নি অফ স্পিনার প্রেনেলান সুব্রায়েনের।
পেস বোলিং বিভাগে থাকছেন কাগিসো রাবাদা, কর্বিন বশ ও মার্কো ইয়ানসেন। চোটের জন্য পাকিস্তান সফর মিস করা লুঙ্গি এনগিডিও এই দলে নেই।
কলকাতায় আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে গুয়াহাটিতে, ২২ ডিসেম্বর থেকে। ভারত সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও খেলবে তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট স্কোয়াড
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেল্টন, ট্রিস্টান স্টাবস, কাইল ভেরেইনা, দেওয়াল্ড ব্রেভিস, জুবায়ের হামজা, টনি ডি জর্জি, কর্বিন বশ, উইয়ান মুল্ডার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, সেনুরান মুথুসামি, কাগিসো রাবাদা, সাইমন হার্মার।

হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের দল বরিশাল বিভাগের ফিজিওথেরাপিস্ট হাসান আহমেদ। খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার খুলনা ও বরিশালের মধ্যকার ম্যাচে তৃতীয় দিন সকালে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি।
পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৪৭ বছর বয়সী এই ফিজিওকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
প্রায় এক যুগের বেশি সময় জাতীয় লিগে বরিশালের ফিজিওর দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান আহমেদ। এর বাইরেও ট্রমায় আক্রান্তদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি।
হাসান আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলতে নামবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এক মিনিট করে নীরবতা পালন করা হবে।
এছাড়া জাতীয় লিগে মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর আগেও শোকপালন করা হবে।