৭ অক্টোবর ২০২৪, ১:১৮ এম

আগের ম্যাচে ব্যাটিং ও বোলিং, দুটিতেই ছিলেন ব্যর্থ। তবে পরের ম্যাচেই নিজেকে ফিরে পেলেন সাকিব আল হাসান। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ টি-টেন এ রবিবারের ম্যাচে টেক্সাস গ্ল্যাডিয়েটরসের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েছেন বাংলদেশ অলরাউন্ডার। যদিও জয়ের দেখা পায়নি তার দল লস অ্যাঞ্জেলেস ওয়েভস।
সাকিব ক্রিজে গিয়েছিল ছয় নম্বর ওভারে, দলের রান তখন তিন উইকেটে ৩৯। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার টিভ ডেভিডকে নিয়ে গড়েন বিধ্বংসী এক জুটি। মাত্র ১১ বলে ২০ রান করেন সাকিব, ইনিংস সাজান তিন চার ও এক ছক্কায়। ২০ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড। চতুর্থ উইকেটে এই দুজন যোগ করেন ৭৭ রান, যা লস অ্যাঞ্জেলেসকে এনে দেয় ১২৬ রানের লড়িয়ে স্কোর।
বল হাতেও ওপেনিং করেন এই দুজন। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন সাকিব। নিজের দ্বিতীয় ওভারে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ফেরান বিপজ্জনক দাভিদ মালানকে। ১৬ বলে ৩৮ রান আসে সাবেক ইংলিশ ওপেনারের ব্যাট থেকে।
সাকিব তার তৃতীয় ও শেষ ওভারে শিকার বানান নিক কেলিকে। তিন ওভারের স্পেল শেষ করেন ২ উইকেটে ৩৭ রানে। ওভার প্রতি রান দেন ১২.৩৩ করে, যা দলের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।
১০ বলে অপরাজিত ৩৯ রান করে টেক্সাস গ্ল্যাডিয়েটরকে ৮.৫ ওভারেই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান জেমস ফুলার। দলটিতে খেলছেন সাবেক পাকিস্তান অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিও। যদিও ব্যাটে বা বলে ভুলে যাওয়ার মত একটা দিনই কেটেছে তার। ১ ওভারে ২৪ রান দেওয়ার পর ব্যাট হাতে পাঁচ বলে করতে পেরেছে মাত্র ২ রান।
No posts available.
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:৪৮ পিএম
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:৪০ পিএম
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম

বছর প্রায়ই শেষ। ক্রিকেটে ২০২৫ সালে কার পারফরম্যান্স কেমন ছিল, সেটা নিয়ে কাঁটাছেঁড়া করারও সময় হলো বলে। বর্ষসেরা ক্রিকেটারের হাতে উঠবে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্যারি সোবার্স ট্রফি।
এ স্বীকৃতির জন্য এখনও কোনো ক্রিকেটারকে মনোনয়ন দেয়নি আইসিসি। ২০২৫ সালে অনেকেই ক্রিকেটের একক কোনো সংস্করণে দাপট দেখিয়েছেন, তবে এই পুরস্কার দেওয়া হয় তাদেরই, যারা টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—তিন ফরম্যাটেই ধারাবাহিকভাবে দারুণ পারফরম্যান্সে দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আইসিসির সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণার আগে পারফরম্যান্সের বিচারে দেখে নেওয়া যাক এ পুরষ্কার জেতার দৌড়ে এগিয়ে আছেন কারা।
১. শুভমান গিল
২০২৫ সালটা পুরোপুরি নিজের করে নিয়েছেন শুভমান গিল। শুধু একজন সেরা ব্যাটার হিসেবেই নয়, বরং বৈশ্বিক মঞ্চে একজন পরিণত নেতার আবির্ভাবও যেন ঘটিয়েছেন তিনি। রোহিত শর্মা অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব বুঝে নেওয়া মোটেও সহজ ছিল না তাঁর জন্য। তবে অসাধারণ পরিপক্বতা ও ধারাবাহিকতায় অনেকটাই সেই দায়িত্ব সামলে নিয়েছেন গিল।
এ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানে সবার চেয়ে এগিয়ে গিল। ২৬ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটার করেছেন ১,৭৬৪ রান,। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—সবখানেই সমান কার্যকর ছিলেন তিনি। ৩৫ ম্যাচে প্রায় ৫০ গড়ে রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। পেয়েছেন সাতটি সেঞ্চুরি।
এডজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ঐতিহাসিক ২৬৯ রানের ইনিংসটি ছিল পুরো বছরকে সংজ্ঞায়িত করার মতো। ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড নতুন করে লিখেছেন তিনি।
২. সালমান আলি আগা (পাকিস্তান)
পাকিস্তানের সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অধিনায়ক সালমান আলি নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়ে শাণিত। পুরো বছরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অন্য যে কারও চেয়ে বেশি—৫৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
চাপের মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ১,৫৬৯ রান করার পাশাপাশি বল হাতেও অবদান রেখেছেন সালমান। ফিল্ডিংয়েও ছিলেন দুর্দান্ত—টেস্টে ধরেছেন ৩২টি ক্যাচ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চাপের ম্যাচে জীবনের সেরা ইনিংস খেলেন তিনি—১৩৪ রানের প্রথম ওয়ানডে শতকে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। সব মিলিয়ে বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় দেখা যেতেই পারে ৩২ বছর বয়সী আগাকে।
৩. জো রুট
জো রুট যেন সময়ের সঙ্গে আরও পরিণত হচ্ছেন। টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ালেও ২০২৫ সালে টেস্ট ও ওয়ানডেতে তার আধিপত্য ছিল দেখার মতো। এখন পর্যন্ত বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ১,৫৯৮ রান সংগ্রাহক ৩৪ বছর ডানহাতি ব্যাটার।
রুটের রুদ্ররূপ দেখা গেছে টেস্ট ও ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই। ক্রিকেটের দীর্ঘতম এই সংস্করণে এই বছরেই ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন রুট। তাঁর সামনে এখন শুধুই কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। ওয়ানডেতেও ছিলেন একেবারেই অনন্য—৮০৮ রান করেছেন ৬৫.৭৭ গড়ে, তালিকার শীর্ষে থেকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার অপরাজিত ১৬৬ রানের ইনিংসটি ছিল এককথায় ক্লাসিক। ধীরস্থির আর নিখুঁত টেকনিক মিশেলে দারুণ ব্যাটিংয়ে রুট করেছেন সাতটি আন্তর্জাতিক শতক।
৪, জ্যাকব ডাফি
ব্যাটারদের দাপটে ভরা এক বছরে, বোলার হিসেবে আলাদা করে নজর কেড়েছেন জ্যাকব ডাফি। নিউ জিল্যান্ডের এই ফাস্ট বোলার ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৮১ উইকেট নিয়ে বছর শেষ করেছেন।
বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে ছিলেন ডাফি ছিলেন রীতিমতো ভয়ংকর। মাত্র চার ম্যাচে নিয়েছেন ২৫ উইকেট, গড় মাত্র ১৬.২৮। ৩১ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার কন্ডিশন কাজে লাগানোর দক্ষতায় ছিলেন কিউইদের পেস আক্রমণের তুরুপের তাস।
আরও পড়ুন
| রংপুরের তোপে কাঁপছে চট্টগ্রাম |
|
বছরজুড়ে সাদা বলেও সমান প্রভাব রেখেছেন ডাফি। টি-টোয়েন্টিতে ৫৩ উইকেট নিয়ে ডাফি দেখিয়েছেন, নতুন বলে সুইং হোক কিংবা ডেথ ওভারে বুদ্ধিদীপ্ত বৈচিত্র্য—সবকিছুতেই তিনি সমানভাবে কার্যকর।
৫. শাই হোপ
শাই হোপ হয়তো সব সময় আলোচনায় আসেন না। তবে ২০২৫ সালে তার পরিসংখ্যান উপেক্ষা করার মোটেও সুযোগ নেই। ১,৭৬০ রান নিয়ে গিলের ঠিক চার রান পিছনে থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়ে বছর শেষ করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার।
এ বছর হোপ খেলেছেন মোট ৪২টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫টি সেঞ্চুরি ও ৯টি ফিফটি। যা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে দিয়েছে ধারাবাহিকতা আর ভরসা।
উইকেটকিপিং ও টপ-অর্ডার ব্যাটারের দ্বৈত দায়িত্ব অসাধারণভাবে ঠাণ্ডা মাথায় সামলেছেন হোপ। পরিসংখ্যানের বাইরেও হোপের অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর শান্ত নেতৃত্ব ও ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস—বিশেষ করে কঠিন নিউজিল্যান্ড সফরে—ক্যারিবীয় দলের পুনর্জাগরণে রেখেছেন বড় ভূমিকা।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে প্রথম ম্যাচে বল হাতে আলো ছড়ালেন ফাহিম আশরাফ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে তিনি একাই নিলেন ৫ উইকেট। চট্টগ্রাম রয়্যালসকে মাত্র ১০২ রানে গুটিয়ে দিল রংপুর রাইডার্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার বিপিএলের দ্বাদশ আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছে রংপুর। এই ম্যাচে জয় দিয়ে আসর শুরু করতে তাদের সামনে এখন সহজ লক্ষ্য।
চমৎকার বোলিংয়ে মাত্র ১৭ রানে ৫ উইকেট নেন ফাহিম। এটি বিপিএলে পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের দ্বিতীয় ৫ উইকেট। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার ২ উইকেট।
টস জিতে বোলিং করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে গতিময় ডেলিভারিতে চট্টগ্রামের বিদেশি ওপেনার অ্যাডাম রসিংটনকে আউট করেন রংপুরের পেসার নাহিদ রানা। শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ নেন আলিস আল ইসলাম।
আরও পড়ুন
| রংপুরের তোপে কাঁপছে চট্টগ্রাম |
|
এরপর পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তবে তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। বোল্ড হয়ে ফেরেন ২০ বলে ৩৯ রান করা বাঁহাতি ওপেনার।
দুই পেসারের পর রহস্য নিয়ে হাজির হন আলিস আল ইসলাম। তার জাদুকরী ডেলিভারিতে রানের খাতা খোলার আগেই কট বিহাইন্ড হন মাহমুদুল হাসান জয়।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন ফাহিম আশরাফ। সপ্তম ওভারে মাহফিজুল ইসলাম রবিনকে আউট করেন পাকিস্তান অলরাউন্ডার।
১১তম ওভারে মাসুদ গুরবাজকে ফেরান ফাহিম। একই ওভারে চট্টগ্রাম অধিনায়ক শেখ মেহেদি হাসানকেও আউট করেন তিনি। মাত্র ৭৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম।
নতুন স্পেলে ফিরে প্রতিপক্ষকে আরও বিপদে ফেলে দেন মোস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিন নম্বরে নামা মির্জা বেগ (২৪ বলে ২০)।
তানভির ইসলামকে ফেরান পাকিস্তানের বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার সুফিয়ান মুকিম। আর ১৮তম ওভারে চার বলের মধ্যে আবু হায়দার রনি ও শরিফুল ইসলামকে আউট করে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন ফাহিম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম রয়্যালস: ১৭.৫ ওভারে ১০২ (নাঈম ৩৯, রসিংটন ১, মির্জা ২০, জয় ০, রবিন ১, গুরবাজ ৯, মেহেদি ১, রনি ১৩, তানভির ৬, শরিফুল ৬, মুগ্ধ ১*; নাহিদ ৩-০-৩৩-১, ফাহিম ৩.৫-০-১৭-৫, আলিস ৩-০-১৭-১, মোস্তাফিজ ৩-০-১৯-২, সুফিয়ান ৪-০-১২-১, খুশদিল ১-০-৩-০)

কুয়াশাচ্ছন্ন দিনে চট্টগ্রাম রয়্যালসের ব্যাটিংয়ে কাঁপন ধরিয়েছে রংপুর রাইডার্স। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একদমই সুবিধা করতে পারছে না চট্টগ্রাম।
নিজেদের ইনিংসের মাঝ পথ পেরিয়ে মাত্র ৭০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে চট্টগ্রাম। ১০.১ ওভার শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৭০ রান।
ইনিংসের প্রথম ওভারে গতিময় ডেলিভারিতে চট্টগ্রামের বিদেশি ওপেনার অ্যাডাম রসিংটনকে আউট করেন নাহিদ রানা। শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ নেন আলিস আল ইসলাম।
আরও পড়ুন
| মাঠে নামছে রংপুর, ফিল্ডিংয়ে লিটন-সোহানরা |
|
এরপর পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তবে তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। বোল্ড হয়ে ফেরেন ২০ বলে ৩৯ রান করা বাঁহাতি ওপেনার।
দুই পেসারের পর রহস্য নিয়ে হাজির হন আলিস আল ইসলাম। তার জাদুকরী ডেলিভারিতে রানের খাতা খোলার আগেই কট বিহাইন্ড হন মাহমুদুল হাসান জয়।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর সপ্তম ওভারে মাহফিজুল ইসলাম রবিনকে আউট করেন ফাহিম আশরাফ। পরে মাসুদ গুরবাজকেও ফেরান পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।
এখন সপ্তম উইকেট জুটিতে চট্টগ্রামের হয়ে লড়াই করছেন মির্জা বেগ ও শেখ মেহেদি হাসান।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ সংস্করণের তৃতীয় দিনে প্রথমবার মাঠে নামছে রংপুর রাইডার্স। প্রথম ম্যাচেই টস জিতেছেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রংপুর অধিনায়ক।
নিজেদের প্র্যাকটিস ভেন্যু বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে নিবিড় অনুশীলন করে বিপিএলের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছে রংপুর। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা এবার আবার শিরোপার খোঁজে নামছে।
লিটন কুমার দাস, মোস্তাফিজুর রহমানদের সঙ্গে জাতীয় দল ও আশপাশের একঝাঁক তারকা নিয়ে সাজানো রংপুরের একাদশ। বিদেশি কোটায় আসেন খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, সুফিয়ান মুকিম, দাভিদ মালান।
অন্য দিকে প্রথম ম্যাচে দুই বিদেশি নিয়ে খেলতে নামা চট্টগ্রাম একাদশে এবার আছে তিন জন বিদেশি ক্রিকেটার- মির্জা বেগ, মাসুদ গুরবাজ ও অ্যাডাম রসিংটন।
রংপুর রাইডার্স একাদশ:
নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, তাওহিদ হৃদয়, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাহিদ রানা, আলিস আল ইসলাম, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, সুফিয়ান মুকিম, দাভিদ মালান।
চট্টগ্রাম রয়্যালস একাদশ:
মোহাম্মদ নাঈম শেখ, মাহমুদুল হাসান জয়, মাহফিজুল ইসলাম রবিন, তানভির ইসলাম, শেখ মেহেদি হাসান (অধিনায়ক), আবু হায়দার রনি, শরিফুল ইসলাম, মির্জা বেগ, অ্যাডাম রসিংটন, মাসুদ গুরবাজ, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে পরপর তিন পরাজয়ের পর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) চতুর্থ টেস্ট জিতেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু এই ম্যাচেই তারা পেয়েছে ধাক্কা। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে সিরিজের শেষ ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন পেসার গাস অ্যাটকিনসন।
মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করার সময় চোট পান অ্যাটকিনসন। পরে ম্যাচের বাকি অংশে ফেরেননি ২৮ ছুঁইছুঁই পেসার। আরও পরীক্ষানিরীক্ষার পর চোটের তীব্রতার কারণে শেষ ম্যাচ খেলা হবে না তার।
এই সিরিজে ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণটি এরই মধ্যে বড় ধাক্কায় পড়েছে। এর আগে মার্ক উড ও জোফরা আর্চার চোটের জন্য সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে গিয়েছেন। আর এবার অ্যাটকিনসের বিদায় ইংল্যান্ডকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে।
সিডনিতে আগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে সিরিজের শেষ টেস্ট। জশ টাং, ব্রাইডন কার্সের সঙ্গে ম্যাথু পটস বা ম্যাথু ফিশারকে দেখা যেতে পারে ওই ম্যাচের দলে। স্পিনার শোয়েব বশিরের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বর্তমানে এই পাঁচ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৩–১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে।