খেলল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। জিতল স্বাগতিক দল। আর আখের লাভ ভারতের। অর্থাৎ আজ আবু ধাবির শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের দিনের প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ ওয়াসিমদের জয়ে সবার আগে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে সূর্যকুমার যাদবদের। আর পরপর দুই ম্যাচ হেরে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ওমান।
আরও পড়ুন
আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন মুশতাক |
![]() |
১৭তম আসরে এখন পর্যন্ত ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে ভারত। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের রানরেট ৪.৭৯৩। দ্বিতীয় পাকিস্তান। সমান ম্যাচে এক জয় ও এক হার তাদের। দলটির রান রেট ১.৬৪৯। রানরেটে আরব আমিরাতের (–২.০৩০) চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান। ২ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পাওয়া ওমান আগামী শুক্রবার নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে। সে ম্যাচের ফল যা–ই হোক, এই গ্রুপ থেকে ভারতের সুপার ফোরে ওঠা নিশ্চিত।
আমিরাত আজ প্রথম জয় পেয়েছে। তাদের পরবর্তী ম্যাচ আগামী বুধবার। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে চমক দেখাতে পারলেই সুপার ফোরের টিকিট নিশ্চিত হবে ওয়াসিমদের। অর্থাৎ শেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারের পর আরেকটি কঠিন পরীক্ষায় পড়তে পারেন সালমান আগারা। হাতের তালুর মতো চেনা ঘরের মাঠে জায়ান্ট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটলে খেরোখাতায় লেখা হবে ইতিহাস।
No posts available.
মুশতাক আহমেদ নিজেও একজন কিংবদন্তি লেগ স্পিনার। তারচেয়েও পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারের বড় পরিচয় তিনি এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পিন কোচ। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে ‘রিশাদ হোসেনের ম্যাড়মেড়ে বোলিং’ নিয়ে মুশতাকের দিকে প্রশ্নটা ছোঁড়া।
এমন প্রশ্নের কারণও আছে বৈকি। এশিয়া কাপে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি রিশাদ। ২৩বর্ষী লেগ স্পিনার প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে দুই উইকেট তোলেন। খরচ করেন ৩১ রান। আর দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে দিয়ে মাত্র এক ওভার হাত ঘোরান ক্যাপ্টেন লিটন দাস। কারণ, ৬ বলে ১৮ রান খরচ করেন রিশাদ।
আরও পড়ুন
‘বাংলাদেশ কখনও এশিয়া কাপ জেতেনি?’ আফগান কোচের বিস্ময় |
![]() |
মুশতাক বলেন,
‘‘তরুণ লেগ স্পিনাররা অনেক সময় এক ওভারে অতিরিক্ত কিছু করতে গিয়ে লাইন-লেংথ হারিয়ে ফেলে। তাদের শিখতে হবে পরিস্থিতি বুঝে বল করতে হবে।’’
মুশতাক আরও বলেন,
‘‘আমি নেটে তোলেন আগেই ওর (রিশাদ) সঙ্গে কথা বলেছি। ওকে বলেছি—প্রথম তিন বল শুধু ভালো জায়গায় ফেলতে। এতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া যাবে, তারপর ভ্যারিয়েশন আনা যাবে। ছোট ছোট বিষয় দ্রুত শিখতে হবে। আর পরিস্থিতি বুঝে কোন বল বেশি করা দরকার, সেটিও বুঝতে হবে।‘'
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:১৫ পিএম
২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এশিয়া কাপের চার আসরের তিনটিতে ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। আর ওই তিনবারই তাদের যাত্রা থেমেছে রানার্স-আপ হয়ে। তবে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জনাথন ট্রটের ধারণা ছিল, একাধিকবার এশিয়া কাপ জিতেছে বাংলাদেশ। তাই সংবাদ সম্মেলনে সত্যটা জানতে পেরে বিস্ময় লুকাননি ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার।
আবু ধাবির জায়েদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘বি’ গ্রুপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে নিয়ে বেশ সমীহই দেখান আফগানিস্তানের প্রধান কোচ।
প্রশ্নোত্তরের এক পর্যায়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের হার, চলতি এশিয়া কাপেও দুই ম্যাচে একটি হারের পর এখন ডু অর ডাই অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। এটি কীভাবে দেখছেন ট্রট।
এই প্রশ্নের উত্তরেই বাংলাদেশের একাধিক এশিয়া কাপ জেতার ধারণার কথা প্রকাশ করেন আফগান কোচ।
“হ্যাঁ অবশ্যই (তাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই)। তবে আপনি যদি ইতিহাস দেখেন, তারা কয়েক বার এই টুর্নামেন্ট জিতেছে, এশিয়া কাপ।”
উত্তরের মাঝেই প্রশ্নকর্তা তাৎক্ষণিক ট্রটের ভুল শুধরে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ফাইনাল খেলেছে শুধু। কখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি। তখনই মূলত বিস্ময় প্রকাশ করেন ট্রট।
“শুধু ফাইনাল খেলেছে! কখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি? আমার মনে হয়, তারা পঞ্চাশ ওভারের (ওয়ানডে) এশিয়া কাপ জিতেছে। আপনি কি নিশ্চিত? আপনি কি আবার চেক করে দেখবেন? আবার চেক করে দেখুন প্লিজ।”
প্রশ্নকর্তা তখন বেশ জোর দিয়ে বলেন, একাধিকবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। তবে কখনও জিততে পারেনি। এরপর মেনে নেন ট্রট,
‘ওহ আচ্ছা! ঠিক আছে। আমি মনে করেছিলাম, তারা এশিয়া কাপ জিতেছে।”
এরপর বাংলাদেশের প্রশংসাও করেন ট্রট।
“বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন সত্যিকারের ম্যাচ উইনার আছে। তাই আমার কাছে এই ম্যাচটি বেশ কঠিন এক পরীক্ষা। কিছু দিন বিরতি পাওয়ায় আমি খুশি। অত্যধিক গরমে প্রথম ম্যাচ খেলার পর এখন আমরা মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে সতেজ আছি।”
আরও পড়ুন
এখনো সুপার ফোরের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ |
![]() |
গত ৯ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তান। প্রায় এক সপ্তাহ বিরতি দিয়ে তারা দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। লম্বা এই বিরতিটি সামনের দিনের জন্য খুব কাজে দেবে বললেন আফগান কোচ।
“আমার কাছে এটি ভালো সুযোগ ছিল, পুনরায় তরতাজা হওয়ার। আবার মাঠে নেমে কালকে জয় দিয়ে পরের রাউন্ডের উঠতে পারলে, সামনে অল্প সময়ের মধ্যে আরও কিছু ম্যাচ খেলতে হবে। কালকে আমরা ভালো খেলতে পারলে, সূচি আমাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।”
মঙ্গলবারের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের বিকল্প নেই। আফগানিস্তানও হেরে গেলে শঙ্কায় পড়ে যাবে তাদের সুপার ফোরের টিকেট।
এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে উড়ন্ত শুরু। উড়তে থাকা বাংলাদেশ মাটিতে পড়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেন লিটন দাসরা। ফলে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে লাল সবুজ দলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পরিণত হয়েছে বাঁচা-মরা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে জিতলেও যদি কিন্তুর অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ আদৌ হারাতে পারবে রশিদ খানদের? কারণ, নিকট অতীতে বেশ ডোমেনেটিং করেই লিটনদের রুখে দিয়েছে আফগানরা। আগামীকাল আবুধাবিতে ডু অর ডাই ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন জাতীয় দলের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ। পাকিস্তানের সাবেক এই স্পিনারের বিশ্বাস, এখনো বাংলাদেশের সম্ভবনা রয়েছে সুপার ফোর নিশ্চিত করার।
আরও পড়ুন
বাটলারকে টপকে আমিরাত অধিনায়কের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
মুশতাককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘দল কি এখনো সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করার বিশ্বাস ধরে রেখেছে? আর সেটা কতটা কঠিন?’ প্রতিউত্তরে তিনি বলেন,
‘হ্যাঁ, আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। কোচিং স্টাফ এবং ম্যানেজমেন্ট সবসময় খেলোয়াড়দের এটা বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, এই বিশ্বাসটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, কোচিং দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের নিজেদেরও এটা বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারি।’’
আরও পড়ুন
বেনেট ঝড়ে হেসে খেলে জিতল জিম্বাবুয়ে |
![]() |
বাংলাদেশ যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে এই এতটা দৃঢ়তার সঙ্গে কথা বলাটা একটু অযৌক্তিক বটে। মুশতাক মাটিতেই রাখছেন,
‘‘অবশ্যই এটা (কোয়ালিফাই করা) কঠিন, কারণ এখন কিছুটা “যদি–কিন্তু”র ওপর নির্ভর করছে। আপনি 'যদি-কিন্তু' ভাবেন, তাহলে এখন যা সবচেয়ে দরকার, সেটা হলো আগামী ম্যাচে পুরোপুরি মনোযোগ এবং সেই ম্যাচটা জিততে হবে। যখন আপনি মানসিকভাবে দৃঢ় থাকেন এবং বিশ্বাস রাখেন, তখন ইনশাআল্লাহ সবই সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি, এখনও সুযোগ আছে।’’
কোচ আরও বলেন, দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে মিডলের ওভারগুলো পারফরম্যান্স। তিনি বলেন,
‘‘স্পিন আক্রমণ দারুণ শক্তিশালী। বিশেষ করে মিডল ওভারে প্রতিপক্ষের স্পিন আক্রমণ সামলানোই হবে চ্যালেঞ্জ। যদি সেটা ভালোভাবে সামাল দিতে পারি এবং একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারি, তাহলে আমাদের বোলিং ইউনিট দিয়েও আমরা জবাব দিতে পারব।’’
ফুল টস ডেলিভারি ডিপ স্কয়ার লেগে খেলেই দ্রুত দুই রানের জন্য ছুটলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম৷ কিন্তু দ্বিতীয় রান পূর্ণ করতে পারলেন না সংযুক্ত আরব আমিরাত অধিনায়ক। রান আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলেও, এই ইনিংসে রানেরই বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন দ্রুততম ৩ হাজার রানের মালিক আমিরাত অধিনায়ক। জস বাটলারকে টপকে বিশ্ব রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন তিনি৷
আরও পড়ুন
বেনেট ঝড়ে হেসে খেলে জিতল জিম্বাবুয়ে |
![]() |
এশিয়া কাপের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন ওয়াসিম। এদিন ৫৯তম রানটি নিয়ে ক্যারিয়ারের ৩ হাজার রান পূর্ণ করেন ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার৷
এই মাইলফলক ছুঁতে তার লেগেছে মাত্র ১ হাজার ৯৪৭ বল। তার আগে আর কোনো ব্যাটার ২ হাজার বলের কম খেলে ৩ হাজার রান করতে পারেননি।
ইংল্যান্ডের মারকুটে ব্যাটার জস বাটলার ৩ হাজার রান করতে খেলেছিলেন ২ হাজার ৬৮ বল। এছাড়া অ্যারন ফিঞ্চ (২ হাজার ৭৭), ডেভিড ওয়ার্নার (২ হাজার ১১৩) ও রোহিত শর্মা (২ হাজার ১৪৯) ছিলেন তালিকার পরের স্থানগুলোতে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ম্যাচের আগে আফগান শিবিরে বড় ধাক্কা |
![]() |
তবে সহযোগী সদস্য দেশের ক্রিকেটার হওয়ায় ওয়াসিম অবশ্য বেশিরভাগ ম্যাচই খেলেছেন সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে। তাই তার পক্ষে রেকর্ডটি গড়াও তুলনামূলক সহজ হয়েছে।
ম্যাচের হিসেবেও ৩ হাজার রানের মাইলফলকে সবার চেয়ে দ্রুত ওয়াসিম। ৮৪ ম্যাচে ৩ হাজার রান পূর্ণ হয়েছে তার। ওয়াসিমের আগে রেকর্ডটি ছিল বাবর আজমের। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ৩ হাজার রান করেছিলেন ৮৬ ম্যাচে।
তবে ইনিংসের হিসেবে ওয়াসিমের চেয়ে দ্রুত আছেন তিন জন। মাত্র ৭৯ ইনিংসে ৩ হাজার রান করে রেকর্ডটি এখনও মোহাম্মদ রিজওয়ানের। এছাড়া বাবর আজম ও বিরাট কোহলি ৩ হাজার করতে খেলেছিলেন ৮১ ইনিংস।
আরও পড়ুন
পাক-ভারত দ্বন্দ্ব: ম্যাচ রেফারির অপসারণ চান পিসিবি প্রধান |
![]() |
ওয়াসিমের সামনে এখন আরেকটি বিশ্ব রেকর্ডের হাতছানি। প্রায় ৪ বছরের ক্যারিয়ারে ৮৪ ইনিংসে ২৪ ফিফটি ও ৩ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচ পর্যন্ত ১৮৩টি ছক্কা মেরেছেন আমিরাতের অধিনায়ক।
এই সংস্করণে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড রোহিতের। অবসর নেওয়ার আগে ১৫১ ইনিংসে ২০৫টি ছক্কা মেরেছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। এখনও খেলে চলেছেন ওয়াসিম। তাই তার পক্ষে সহজেই রোহিতের রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার সুযোগ থাকছে।
ওয়াসিমের বিশ্ব রেকর্ড গড়ার ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৭২ রান করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আরেক ওপেনার আলিশান শারাফু ৩৮ বলে খেলেছেন ৫১ রানের ইনিংস।
টস জিতে প্রতিপক্ষ দলকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে গেরহার্ড এরাসমাস যে ভুল করলেন হার দিয়ে তার খেসারাত দিতে হলো দলকে। তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে ৩৩ রানে জয় লাভ করেছে জিম্বাবুয়ে।
আজ বুলাওয়েতে আগে ব্যাট করে ব্রায়ান বেনেটের ৯৪ ও তাদিওয়ানাশে মারুমানির ৬২ রানের ওপর ভর করে ২১১ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। রান তাড়ায় নামিবিয়ার ব্যাটাররা ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন ঠিকই, তবে দলের কেউই স্কোর টেনে বড় করতে পারেননি। ফলে তাদের থামতে হয়েছে ১৭৮ রানে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ম্যাচের আগে আফগান শিবিরে বড় ধাক্কা |
![]() |
এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই আগ্রাসী ব্যাট চালান জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। তাদের জুটি ভাঙে ১২৪ রানে মারুমানি আউট হলে। বাইশগজ ছাড়ার আগে তিনি ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর বার্লকে নিয়ে পথচলা শুরু করেন বেনেট। যদিও ওয়ানডাউনে নেমে ইনিংস বড় করতে পারেননি বার্ল। ২২ রানে ফেরেন তিনি। দলীয় ১৯৩ রানে বড় ধাক্কাটা আসে বেনেট নার্ভাস নাইটিনের ঘরে আউট হলে। ৯৪ রানে ফেরেন তিনি। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৪ ছক্কা ও ৮ বাউন্ডারিতে। শেষ পর্যন্ত সিকান্দার রাজার অবদানে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ২১১।
জবাবটা ভালোভাবে দিতে পারেনি নামিবিয়া। কারণ সফরকারী দলের কোনো প্লেয়ার সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন লফটি-ইটন। জানে গ্রিন করেন ২৭ বলে ৩৩ রান। ব্যাটারদের এমন স্কোর যথেষ্ট হয়নি ম্যাচ জিততে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানে থামে নামিবিয়া। জিম্বাবুয়ের হয়ে দুইটি করে উইকেট শিকার করেন সিকান্দার রাজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।