অস্ট্রেলিয়ার ৪১২ রানের জবাবে সমানে-সমান জবাব দিলেন স্মৃতি মান্ধানা। ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি করে গড়লেন বেশ কয়েকটি রেকর্ড।
দিল্লিতে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে ৪১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য পেয়েছে ভারতীয় নারী দল। জবাব দিতে নেমে দমে যাননি দারুণ ছন্দে থাকা মান্ধানা। আগের ম্যাচে ৯১ বলে ১১৭ রান করা বাঁহাতি ওপেনার এবার খেললেন ৬৩ বলে ১২৫ রানের টর্নেডো ইনিংস।
মেয়েদের ওয়ানডেতে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন মান্ধানা। এই কীর্তি আছে শুধু ইংল্যান্ডের ট্যামি বিউমন্টের। মেয়েদের ওয়ানডেতে এই দুজন ছাড়া আর কোনো ব্যাটার পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারেননি।
তবে টানা সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড অবশ্য নিউ জিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার অ্যামি সাদারওয়েটের। ২০১৬-১৭ সালে টানা ৪ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
বিধ্বংসী ইনিংসের পথে মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেন মান্ধানা। ভারতের হয়ে এটিই দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। আগের রেকর্ডও তার। চলতি বছরের শুরুতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মেগ ল্যানিংয়ের। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৯৭ সালে মাত্র ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মেয়েদের ক্রিকেটের অবিসংবাদিত কিংবদন্তি। এখন তার পরেই থাকছেন মান্ধানা।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি। তাকে এবার তিন নম্বরে পাঠিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ওপেনার।
চলতি বছর মান্ধানার এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। গত বছরও তিনি করেন ৪ সেঞ্চুরি। মেয়েদের ওয়ানডেতে এক বছরে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড এটিই। চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকার তাজমিন ব্রিটসও করেছেন ৪টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
সব মিলিয়ে মান্ধানার ক্যারিয়ারের ১৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি এটি। মেয়েদের ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু ল্যানিংয়ের। অবসরের আগে ১০২ ইনিংসে ১৫টি সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি। মান্ধানার নামের পাশে এখন ১০৮ ইনিংসে ১৩ সেঞ্চুরি।
মান্ধানার সমান ১৩ সেঞ্চুরি আছে নিউ জিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক সুজি বেটসেরও। তবে এটি করতে ১৬৪ ইনিংস খেলেছেন বেটস। তালিকার পরের নামটি বিউমন্টের। ১২২ ইনিংসে ১২টি সেঞ্চুরি করেছেন ইংলিশ তারকা ব্যাটার।
মান্ধানার ১৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৩ বলে ১২৫ রানের পরও অবশ্য নিশ্চিত নয় ভারতের জয়। কারণ তার বিদায়ের পর খেই হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এখন পর্যন্ত ২৯ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৬১ রান। বাকি ৪ উইকেট হাতে রেখে ২১ ওভারে প্রয়োজন আরও ১৫২ রান।
No posts available.
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৩৫ পিএম
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:৩৩ পিএম
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন কিছুদিন। অবশেষে মৃত্যুকেই বরণ করলেন কিংবদন্তি ইংলিশ আম্পায়ার ডিকি বার্ড। ৯২ বছর বয়সে আজ না–ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করা এই মহারথী।
বার্ড তার ক্যারিয়ারে ৬৬ টেস্ট ও ৬৯টি ওয়ানডে ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অন্যতম অর্জন-ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে আম্পায়ারিং করেছেন তিনি।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে ইয়র্কশায়ার ক্রিকেট ক্লাব বার্ডের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়,
“বার্ড তার প্রসিদ্ধ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার উপভোগ করেছেন। ক্রিকেটের খেরোখাতায় নাম তুলেছেন সোনার অক্ষরে। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।”
আরও পড়ুন
‘শ্রীলঙ্কাকে হারাতে আসিনি, এসেছি টুর্নামেন্ট জিততে’ |
![]() |
ক্লাব আরও জানায়,
“ডিকি তার সততা, রসিকতা ও স্বতন্ত্র ভঙ্গির জন্য খেলোয়াড় ও ভক্তদের কাছে সমানভাবে প্রশংসিত ছিলেন।”
আম্পায়ার হওয়ার আগে ক্রিকেটার হিসেবেও মাঠে নামতেন বার্ড। তিনি ইয়র্কশায়ার ও লেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯৩ ম্যাচে ৩৩১৪ রান করেন তিনি। পাশাপাশি দুটি লিস্ট–এ ম্যাচও খেলেছিলেন। তবে ক্রিকেট বিশ্বে তাকে অমর করে রেখেছে তার অদ্বিতীয় আম্পায়ার ক্যারিয়ার।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ জয়। ফাইনালের আশা দারুণভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ দল। কাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন দাসরা মাঠে নামবেন ভারতের বিপক্ষে। তবে আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কানদের বিপক্ষে সেই রোমাঞ্চকর জয়ের প্রসঙ্গও আসে।
লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্সের ছবি ভাইরাল হয়। দল দারুণ জয় পেলেও ছবি ও টিভি স্ক্রিণে দেখা গেছে আবেগ নিয়ন্ত্রিত সিমন্সকে। সে প্রসঙ্গে বললেন, ‘দেখুন, আমি আবেগ যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি। আমরা এখানে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে আসিনি, আমরা এসেছি টুর্নামেন্ট জিততে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে না যাই অথবা টুর্নামেন্ট না জিতি, আমি আমার আবেগ পুরোপুরি প্রকাশ করব না। কারণ আমাকে ড্রেসিং রুমে সবাইকে সংযত রাখতে হয়।’
শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর কি এখন বাংলাদেশকে ফাইনালে খেলার দাবিদার বলা যাবে? সিমন্স অবশ্য ঘুরিয়ে জবাবটা দিলেন, ‘এখনো কোনো ফেভারিট নেই। আমাদের সামনে এখনো দুটি ম্যাচ আছে। দুটোই শক্তিশালী দল। তাই আমাদের খেলতে হবে। আমি এখন শুধু ভারতের বিপক্ষে বুধবার রাতের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। সেই ম্যাচের পর পাকিস্তান নিয়ে ভাবব। তারপরই ফাইনাল নিয়ে চিন্তা করা যাবে। এখন আমাদের সব মনোযোগ ভারত ম্যাচে।’
ভারত ম্যাচের একদিন বিরতির পর বাংলাদেশ খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ব্যস্ত সূচি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি প্রকাশ পায় সিমন্সের কণ্ঠে,
‘হ্যাঁ, পরপর টি-টোয়েন্টি খেলা খুবই কঠিন, ওয়ানডে হলেও কঠিন। তাই এটা সুখকর কিছু নয়। কিন্তু আমরা প্রস্তুত, আমরা কঠোর প্রশিক্ষণ করেছি। আমার মনে হয় ছেলেরা যথেষ্ট ফিট যাতে পরপর ম্যাচ সামলাতে পারে। তবে আমি এটাকে ন্যায্য মনে করি না, যেকোনো দলকে পরপর টি-টোয়েন্টি খেলতে হবে। এটা মানুষের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।’
এশিয়া কাপে সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগামীকাল মাঠে নামছে বাংলাদেশ-ভারত। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে জয় পেলে ফাইনালের পথ মসৃণ হবে বাংলাদেশের। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কম্বিনেশন নিয়ে কথা বলেন কোচ ফিল সিমন্স। আসে নুরুল হাসান সোহানের প্রসঙ্গও।
লম্বা সময় পর এশিয়া কাপ দিয়ে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরেন সোহান। তবে এখন পর্যন্ত একাদশে সুযোগ পেয়েছেন শুধু এক ম্যাচে। সেই ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ বল খেলে করেছেন অপরাজিত ১২ রান। দুর্দান্ত এক ফিল্ডিংয়েও করিম জানাতকে রান আউট করে ম্যাচের মোড় বাংলাদেশের দিকে ঘুরিয়ে দেন তিনি। সে ম্যাচের পর সোহান আর সুযোগ পাননি।
সোহানও টিম কম্বিনেশনের কারণে একাদশে জায়গা পাচ্ছেন না- কোচ সিমন্স সে কথাই বললেন, 'সবারই নিজের সময় আসে। রিশাদ ভালো বল করেছিল, কিন্তু সেও বাদ পড়েছিল। আমরা এমন খেলোয়াড়দের বেছে নিচ্ছি যাদের আমরা ওই ম্যাচের জন্য সেরা একাদশ হিসেবে ভাবছি।'
সোহানকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় সিমন্স আরও বলেন, 'হয়তো তুমি আগের ম্যাচে ভালো খেলেছ, কিন্তু কম্বিনেশনের কারণে পরের ম্যাচে সুযোগ হারাতে পারো। এটা কঠিন, তবে আমরা চাই দলটাকে সব সময় শক্তিশালী রাখতে। আর একাদশে জায়গা পাওয়া সব সময় কঠিন হওয়া উচিত। তবে দলের ভারসাম্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতে এশিয়া কাপে সুপার ফোরে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ দল। এই পর্বে কাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল ভারত। তাদের বিপক্ষে জেতা খুবই কঠিন হওয়ার কথা।
বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স অবশ্য সেভাবে ভাবছেন না। তাঁর মতে, ভারতকে যেকোনো দলেরই হারানোর সামর্থ্য রয়েছে। শুধু নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘প্রত্যেক দলেরই ভারতকে হারানোর সামর্থ্য আছে। খেলা নির্ধারিত দিনে হয়। ভারতের আগে কী করেছে, সেটি নয়, কী হবে বুধবারে (কাল), সেটিই আসল। ওই সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই সবকিছু হবে। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব এবং ভারতের খেলায় দুর্বলতা বের করার চেষ্টা করব। এভাবেই আমরা ম্যাচ জিততে পারি।’
ভারত টুর্নামেন্টে পারফরম্যান্সের দিক থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হলেও তাদের হারাতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। সিমন্স বললেন, ‘বিশ্বাস তো অবশ্যই থাকতে হবে। আজ বসে আমরা যখন আলাপ করেছি, আমরা বিশ্বাস রাখছি আমাদের সেই সুযোগ আছে। আর যদি ম্যাচে ছন্দ পাই, তবে সেটা ধরে রাখতে হবে। সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তাহলেই ভারতের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা থাকবে।’
ভারত নিজেদের আগের ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে। জয়ের পর ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেছিলেন, পাকিস্তান-ভারত আর দ্বৈরথ নেই। ভারতের বিপক্ষে অনেক দিন ধরেই অধিকাংশ ম্যাচে হারে পাকিস্তান। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়েও ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে আলাদা উত্তেজনা দেখা যায়। সিমন্স এটি ইতিবাচকভাবেই দেখেন।
তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা উপভোগ করতে চান সিমন্স, ‘প্রতিটি ম্যাচেই উত্তেজনা থাকে। বিশেষ করে ভারতের ম্যাচে সব সময়ই থাকে কারণ তারা বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি দল। স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা থাকবে। আমরা শুধু সেটার ওপর ভর করব, মুহূর্তটা উপভোগ করব এবং খেলাটা উপভোগ করব। আমরা এভাবেই ম্যাচে নামতে চাই—খেলাটা উপভোগ করতে, আর তখনই আমরা সেরাটা দিতে পারব।’
এক সপ্তাহ পরেই শুরু হচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে বড় দুঃসংবাদ অষ্ট্রেলিয়া দলে। চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন অলরাউন্ডার গ্রেস হ্যারিস। গত শনিবার ভারতের বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সময় পায়ের পেশিতে চোট পান তিনি।
হ্যারিস বড় শট খেলতে পারদর্শী। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর স্ট্রাইকরেট ১৫৫.৫২। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও ভালো হাত ঘুরান তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২১ উইকেট নিয়েছেন এই অফস্পিনার।
গ্রেস হ্যারিসের জায়গায় অষ্ট্রেলিয়া দলে যোগ দেবেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিদার গ্রাহাম। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ওয়ানডে অভিষেকের পর এই সংস্করণে আর সুযোগ পাননি তিনি। সেই ম্যাচে গ্রাহাম করেন ৪ রান, নিয়েছিলেন এক উইকেট। তবে অষ্ট্রেলিয়ার হয়ে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলে ৮ উইকেট শিকার করেছেন। তিনি ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার উইমেনস ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের প্রথম দুই ম্যাচ শেষে বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
১ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে অষ্ট্রেলিয়া।
অষ্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দল: অ্যালিসা হিলি (অধিনায়ক), ডার্সি ব্রাউন, অ্যাশ গার্ডনার, কিম গার্থ, হিদার গ্রাহাম, আলানা কিং, ফিবি লিচফিল্ড, তাহলিয়া ম্যাকগ্রা, সোফি মোলিনিউক্স, বেথ মুনি, এলিস পেরি, মেগান শুট, আনাবেল সাদারল্যান্ড, জর্জিয়া ভল, জর্জিয়া ওয়্যারহ্যাম।