২২ অক্টোবর ২০২৪, ২:৩০ পিএম
ঢাকা প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের জন্য নতুন পৃষ্ঠপোষক পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য এই তিন প্রতিযোগিতার সাথে যুক্ত হয়েছে মেঘনা ব্যাংক। মঙ্গলবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের স্পন্সর হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জনাব কিমিওয়া সাদাত, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মেঘনা ব্যাংক), মোঃ মোয়াজ্জিম হোসেন জুয়েল, হেড অফ ব্র্যান্ড মার্কেটিং এন্ড কমিউনিকেশনস (মেঘনা ব্যাংক) ও ফাহিম সিনহা (বিসিবি পরিচালক)।
চুক্তির মেয়াদের ব্যাপারে বিস্তারিত না জানানো হলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেঘনা ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদে তারা বিসিবির সাথে এই তিন প্রতিযোগিতায় কাজ করবে।
আগামী ২৫ অক্টোবর শুরু হয়ে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ। ম্যাচ হবে পিকেএসপি ১,২ (রূপগঞ্জ), পিএইচআরসিএস (কেরানীগঞ্জ), ডিইউজি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), সিসিজি (মিরপুর) ও এসকেসিতে (নারায়ণগঞ্জ)।
২০ দলের অংশগ্রহণে ম্যাচ হবে মোট ১২৪টি।
ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরু হবে আগামী ২০ নভেম্বর। চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। অংশ নেবে ২৪টি দল, ম্যাচ সংখ্যা ১৬৮টি।
এই প্রতিযোগিতার ভেন্যুগুলো হল পিকেএসপি ১,২ (রূপগঞ্জ), পিএইচআরসিএস (কেরানীগঞ্জ), ডিইউজি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), সিসিজি (মিরপুর), এসকেসি (নারায়ণগঞ্জ), সিলিকন ভ্যালি ও বিকেএসপি ৩,৪।
আর আগামী ১২ জানুয়ারি শুরু হবে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। ম্যাচ হবে বিকেএসপি ৩,৪ (সাভার), পিকেএসপি ১,২ (রূপগঞ্জ) ও পিএইচআরসিএসে (কেরানীগঞ্জ)।
এখানেও ২০ দলের অংশগ্রহণে ম্যাচ হবে মোট ১২৪টি।
No posts available.
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৫৭ পিএম
আইসিসির সহযোগী সদস্য দলের বিপক্ষে প্রত্যাশিত বড় জয়ই পেয়েছে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে তেমন সুবিধা করতে না পারলেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওমানকে ৬৭ রানেই গুড়িয়ে দিয়েছে সালমান আলি আগার দল। তাতে এশিয়া কাপের যাত্রা ৯৩ রানের বিশাল জয় দিয়ে হলো পাকিস্তানের।
দুবাই ইন্টারনেশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি। ওমানের দারুণ বোলিংয় স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে ব্যর্থ হয় তারা। মোহাম্মদ হারিসের ফিফটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে পাকিস্তান।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ওমান। দলীয় ২ রানে জাতিন্দার সিংকে বোল্ড করে শুরুটা করেন সায়েম আইয়ুব। এরপর আমির কালিম (১৩) ও হামাদ মির্জার (২৭) ২২ রানের জুটিই ছিল ওমানের ইনিংসের সর্বোচ্চ। এই দু’জনের সঙ্গে দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল শাকিল আহমেদ (১০)। আর বাকিরা ছিলেন শুধুই আসা-যাওয়ার মাঝে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ অনেক দিন ধরেই ভালো খেলছে, বলছেন লঙ্কান অধিনায়ক |
![]() |
পাকিস্তানের হয়ে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ, সুফিয়ান মুকিম ও সায়েম আইয়ুব।
এর আগে আঁটসাঁট বোলিংয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ খুব একটা বড় করতে দেননি ওমানের বোলাররা। ওমানের মতো দলের বিপক্ষে পাকিস্তানের আক্রমণাত্বক ব্যাটিংই ছিল প্রত্যাশিত। তবে শিরোপার দাবীদার দলটি গড়পড়তা মানের ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়েছে। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪ রান যোগ হতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। শাহ ফয়সালের বোলে এলবির ফাঁদে পড়ে ওপেনার সাইম আইয়ুব ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে।
অবশ্য শুরুর সেই উইকেট পতনের পর সাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ হারিসের দারুণ জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল পাকিস্তান । ৪৩ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন হারিস। অন্য প্রান্তে ফারহানও ছিলেন কার্যকর। তবে তিনি দলীয় ৮৯ রানে ২৯ বলে ২৯ রান করে বিদায় নিলে ভেঙে যায় সেই জুটি।
দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রানের এই জুটি ভাঙার পর হঠাৎ পথ হারায় পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে ১৩ রান যোগ হতেই হারিসকে ফেরান আমির কলিম । তারপর পরের ডেলিভারিতেই অধিনায়ক সালমান আগাকে শূন্য রানে সাজঘরে পাঠিয়ে ওমানকে ম্যাচে ফেরান ৪৩ বছর বয়সী এই স্পিনার।
আরও পড়ুন
শেষ পর্যন্ত বরিশালের অধিনায়ক সালমান ইমন |
![]() |
এক প্রান্ত আগলে রেখে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ফখর জামান। তাকে সঙ্গ দেন হাসান নেওয়াজ। তবে ১৫ বলে ৯ রান করে থেমে যান হাসান নাওয়াজ। পরের ওভারেই শাহ ফয়সালের শিকার হন মোহাম্মদ নেওয়াজ। শেষদিকে ১০ বলে ১৯ রানের ছোট্ট কেমিও ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। ১৬ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন ফখর জামান।
ওমানের হয়ে সমান তিনটি করে উইকেট নেন শাহ ফয়সাল ও আমির কলিম। তবে কোনো উইকেট না নিলেও দারুণ ইকোনোমিতে বল করেন শাকিল আহমেদ। ৪ ওভারে ১৭ রান দেন তিনি।
আগামী রোববার পরের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ এরই মধ্যে প্রথম ম্যাচ খেলে, জয়ও পেয়েছে। টুর্নামেন্টে পরের ম্যাচে লিটস দাসের দল মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার। এশিয়া কাপে লঙ্কাদের এটি প্রথম ম্যাচ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নিজেদের কৌশল, পরিকল্পনা প্রতিপক্ষ নিয়ে কথা বলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা। সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কা অধিনায়কের কাছে দুই দেশের ক্রিকেটিয় প্রতিদ্বন্দিতা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন
শেষ পর্যন্ত বরিশালের অধিনায়ক সালমান ইমন |
![]() |
গত কয়েক বছরই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে বেশ উত্তাপ-উত্তেজনা টের পাওয়া যায়। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেট এই দুই দলের লড়াইটা দারুণ জমেই উঠে। তবে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক আসালাঙ্কার দাবি এই রাইভালরি শুধুই সমর্থকদের সীমাবদ্ধ, খেলোয়াড়দের জন্য নয়।
‘এটা আসলে সমর্থকদের জন্য একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আমাদের কাছে খেলোয়াড় হিসেবে এটা চ্যালেঞ্জিং একটা প্রতিযোগিতা মাত্র। আমরা চাই বাংলাদেশ এবং অন্য দলগুলোর বিরুদ্ধেও ভালো ম্যাচ খেলতে।’
আরও পড়ুন
তিন কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এগিয়ে বাংলাদেশ |
![]() |
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের বিশেষ উত্তেজনা নিয়ে আসালাঙ্কা তেমন গা না করলেও দুই দলের মাঠের লড়াই কিংবা শরীরি ভাসা কিন্তু ভিন্ন কথা বলে। উইকেট উদযানে আগ্রাসী আচারণ কিংবা কথার লড়াইও পরিচিত দৃশ্য দেখা যায় সম্প্রতি ম্যাচগুলোয়। আর সেই উত্তাপ তো স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার কথা।
সমর্থকদের এই উত্তাপ খেলোয়াড়দের জন্য বাড়তি প্রেরণা হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নে আসালাঙ্কা স্বীকার করলেন কিছুটা প্রভাব থাকতে পারে, তবে দল বরাবরের মতোই নিজেদের মৌলিক পরিকল্পনাতেই অটল থাকবে।
আরও পড়ুন
খোঁচা দেওয়া অশ্বিনকে ইয়র্কার ছুড়লেন সাকিব |
![]() |
‘আমার মনে হয় কিছুটা হ্যাঁ, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা আমাদের কাছে একটা খেলা মাত্র। আমরা শুধু আমাদের বেসিক আর পরিকল্পনা মেনে চলি।’
মাঠে দুই দলের সম্পর্ক যেমনই হোক বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন আসালাঙ্কা। তবে সেসব নিয়ে না ভেবে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তাবায়নের কথা বলেন তিনি।
‘তারা অনেক দিন ধরেই ভালো খেলছে। তবে আমরা ওসব নিয়ে ভাবি না। আমরা শুধু মনোযোগ দিই তাদের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে কীভাবে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়। আমরা শুধু পরিকল্পনা করি এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করি। অতীতের ম্যাচ বা ফলাফলের দিকে আমরা খুব একটা তাকাই না।’
টুর্নামেন্ট শুরুর ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় বাকি থাকতে অবশেষে জানা গেল বরিশালের অধিনায়কের নাম। জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দলটির নেতৃত্ব দেবেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সালমান হোসেন ইমন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিএল টি-টোয়েন্টির সব দলের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেখানেই জানা গেছে বরিশালের নেতৃত্ব দেবেন কে। অথচ আরও প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল বাকি ৭ দলের অধিনায়কের নাম।
আরও পড়ুন
রাজশাহীর অধিনায়ক শান্ত, খুলনায় মিঠুন |
![]() |
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এনসিএল টি-টোয়েন্টির অফিসিয়াল পেইজে বৃহস্পতিবার সব দলের স্কোয়াড প্রকাশ করা হয়। সেখানেও ছিল না বরিশালের অধিনায়কের নাম। অবশেষে শুক্রবার রাতে জানা গেল সেটি।
অথচ টুর্নামেন্ট শুরু হতে ৪৮ ঘণ্টাও বাকি নেই। রাজশাহী ও বগুড়ায় রোববার শুরু হবে এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসর। প্রথম দিনে অবশ্য বরিশালের খেলা নেই। সোমবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকার মুখোমুখি হবে তারা।
বরিশালের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামের নামও ছিল আলোচনায়। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ মইন খানের নামও উঠে আসে। তবে শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পেলেন সালমান।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির গত আসরে দলকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছিলেন সালমান। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১৮৩ রানের লক্ষ্যে শেষ ওভারে ২৫ রান প্রয়োজন ছিল বরিশালের। ইফরান হোসেনের ওভারে তিন চারের সঙ্গে দুই ছক্কা মেরে ২৭ রান নিয়ে নেন সালমান।
আরও পড়ুন
সিলেটে মুশফিক, মেট্রোতে রিয়াদ, অধিনায়কহীন বরিশাল |
![]() |
ওই ম্যাচে একপর্যায়ে ১৭ বলে ১৬ রানে খেলছিলেন পেস বোলিং এই অলরাউন্ডার। সেখান থেকে পরের ১২ বলে ৩৭ রান করে দলকে জিতিয়ে আনন্দে মাতেন তিনি। টুর্নামেন্ট অবশ্য সার্বিকভাবে ভালো যায়নি বরিশালের। মাত্র ২ জয়ে সবার নিচে ছিল তারা।
ম্যাচ জেতানো ওই ইনিংস ছাড়া সালমানও আর তেমন কিছু করতে পারেননি। ৬ ইনিংসে ২৩.২০ গড়ে তার সংগ্রহ ছিল ১১৬ রান। তবে স্ট্রাইক রেট অবশ্য বেশ ভালো ছিল, ১৩৯.৭৫! আসরজুড়ে ৫ চারের সঙ্গে মারেন ৭টি ছক্কা। যার ৪টি একই ম্যাচে।
সব মিলিয়ে প্রায় এক যুগের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত মাত্র ২৩ ম্যাচ খেলেছেন ২৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ওই এক ফিফটিতে তার সংগ্রহ ২৫৪ রান। আর মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে ক্যারিয়ারে করেছেন মোটে দুই ওভার।
বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে দুই আসরে খেলেছেন সালমান। তবে খুব বেশি সুযোগ পাননি। সব মিলিয়ে ৪ ইনিংসে তার সংগ্রহ ৩৩ রান। তার নেতৃত্বেই এবার এনসিএল টি-টোয়েন্টি খেলবে বরিশাল বিভাগ।
কোচ-ক্রিকেটাররাই বলেন, টি-টোয়েন্টিতে ছোট-বড় দল বলে কিছু নেই। উপেক্ষা করার জো তো নেই-ই। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে জায়ান্ট কিলিংয়ের ঘটনা অহরহ। তীরে এসে তরি ডোবানো, অখ্যাত কোনো ক্রিকেটার ম্যাচের গতিপথ বদলে দেওয়ার ঘটনা এখানে একটু বেশিই দৃশ্যমান। যে কারণে কুড়ি ওভারের সংস্করণে খেলার ফল নিয়ে অগ্রীম বাজি ধরাও বেশ জটিল। তারপরও সম্প্রতি সময়ের পারফরম্যান্স ও দুই দলের শক্তি-দুর্বলতা বিবেচনা করে হয়তো মন্তব্য করা যায়।
এশিয়া কাপে কাল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। এটি এখন আর সাধারণ লড়াইয়ের তালিকায় ফেলা যায় না। দুই দলের ক্রিকেটীয় সম্পর্কের ইতিহাস রোমাঞ্চে ভরা। গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। তবে কাল দুবাইয়ে মনস্তাত্বিক শক্তি ছাড়াও আরও তিন কারণে লঙ্কানদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। সম্প্রতি দুই দলের মুখোমুখি লড়াই, এশিয়া কাপে টাইগারদের উড়ন্ত শুরু এবং আসরে শ্রীলঙ্কার প্রথম মাঠে নামার অপেক্ষা।
আরও পড়ুন
খোঁচা দেওয়া অশ্বিনকে ইয়র্কার ছুড়লেন সাকিব |
![]() |
এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত মাঠে নামা হয়নি চরিত আসালাঙ্কাদের। বিপরীতে প্রথম ম্যাচে হংকংকে হারিয়ে অভিযান দারুণ শুরু করেছেন লিটন দাসরা। গতকাল প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকাতে না পারলেও লিটন-হৃদয়দের কার্যক ইনিংসের সৌজন্যে সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। ফলে চাপমুক্ত থেকেই আজ লঙ্কানদের বিপক্ষে লড়বে তারা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখার আরও একটি কারণ আছে ! সম্প্রকি দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান। সব মিলিয়েটি-টোয়েন্টিতে ২০ বারের দেখায় জয়ের পাল্লা শ্রীলঙ্কার ভারী। তারা জিতেছে ১২ ম্যাচে, বাংলাদেশ ৮ ম্যাচে। তবে শেষটা আসালাঙ্কাদের বিপক্ষে। গত জুলাইয়ে লঙ্কানদের তাদের মাঠে হারিয়ে ফেরেন লিটনরা। সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে নিজেদের মাঠে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপেও সেই ছন্দ ধরে রেখেছে তারা।
আরও পড়ুন
‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতার জন্যই মাঠে নামব’ |
![]() |
টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ দুই জয় ছিল বেশ চোখজুড়ানো। পাল্লেকেলেতে সাত উইকেটে হারের পর ডাম্বুলা ও প্রেমাদাসায় ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথমবার স্বাগতিকদের মাঠে এই সংস্করণে সিরিজ জয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর- যা তাদের সুপথে ফেরাতে সহায়তা করে। বিশেষ করে লিটন-হৃদয় লঙ্কা-স্মৃতি জাগিয়ে তোলার মোক্ষম সুযোগ পাচ্ছেন কাল আবারও।
সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে দুর্দান্ত দুটি ইনিংস খেলেছেন লিটন। সিরিজের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ার পর ৭৬ ও ৩২ রানের ইনিংস খেলেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে। সেই ছন্দ ধরে রেখেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। নিজের শেষ চার টি-টোয়েন্টিতে করেছেন তিনটি ফিফটি। হংকংয়ের বিপক্ষে তাওহীদ হৃদয়ের কচ্ছপ গতির ব্যাটিং নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। দলে নিজের অবস্থান থিতু করার হয়তো আরেকটি সুযোগ পাবেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
আরও পড়ুন
র্যাঙ্কিংয়ের ৩০ নম্বর বোলারকে বিশ্বসেরা বলছেন পাকিস্তান কোচ |
![]() |
দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ধারাবাহিক ছিলেন লঙ্কা সিরিজে। বিশেষ করে ইমন ৬৭, ২৮ ও ৩৮ রান করেছেন তিন ইনিংসে। তানজিদের অপেক্ষায় রানে ফেরার। আস্থার জায়গা বোলিংয়েও আছে উন্নতির সুযোগ।
তবে মাঠে নামার আগে এসব অতীত পরিসংখ্যান বা দ্বৈরথ নিয়ে ভাবতে চান না তানজিম হাসান সাকিব। প্রতিপক্ষ যারাই হোক জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবেন বললেন এই তরুণ পেসার,
‘আমাদের অ্যাপ্রোচ একবারে সোজাসাপ্টা, আমরা জেতার জন্যই মাঠে যাব। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা সিরিজ জিতেছি, এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে। দ্বৈরথ আসলে থাকবেই। একটা টুর্নামেন্টে আপনি যে দলের বিপক্ষেই খেলেন না কেন জেতাটা মূখ্য বিষয়। এটা হোক শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, হোক ভারত-পাকিস্তান। সুতরাং আমরা মাঠে জেতার জন্যই মাঠে নামব। । দ্বৈরথ—আমার কাছে এগুলো কোনো কিছু মুখ্য বিষয় না। ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ।'
জয় দিয়ে এশিয়া কাপের শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। অবশ্য হংকংয়ের মতো খর্বশক্তির দলের বিপক্ষে জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। লিটন দাসের দলের পরের পরীক্ষা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই ম্যাচে জয় পেলেই গ্রুপ ‘বি’ থেকে সুপার ফোর অনেকটাই নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।
এশিয়া কাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমিরাতে যায় টি-টোয়েন্টিতে দারুণ ছন্দে থাকা বাংলাদেশ। তবে প্রতিযোগিতার বাকি দলগুলোকে টপকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে কঠিন পথই পাড়ি দিতে হবে লিটনদের। সে পর্যন্ত যেতে ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতার জন্যই মাঠে নামব’ |
![]() |
আগামীকাল বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ শ্রীলঙ্কা বাধা পেরোনো। সেই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আসেন তানজিম হাসান সাকিব। দলের পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন এই তরুণ পেসার।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সামর্থ্য কিংবা সম্ভাবনা নিয়ে রবিচন্দন অশ্বিনের করা খোঁচা দেওয়া মন্তব্য নিয়েও সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সাবেক ভারতীয় এই ক্রিকেটার বলেন,
‘আমরা তো বাংলাদেশ নিয়ে একটুও কথা বলি না। কারণ ওদের নিয়ে বলার মতো কিছু নেই। এরা আসলে কীভাবে ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে?’
আরও পড়ুন
র্যাঙ্কিংয়ের ৩০ নম্বর বোলারকে বিশ্বসেরা বলছেন পাকিস্তান কোচ |
![]() |
অশ্বিনের এমন মন্তব্যের জবাবে পাল্টা তোপ দাগলেন সাকিব,
‘আপনি কারও মুখ আটকে রাখতে পারবেন না। আমার মুখ আছে, আমি যা ইচ্ছা তাই বলতে পারব। বিশেষ করে যারা চুক্তির মধ্যে নেই। কে কী বলল না বলল, এগুলোয় আসলে কিছু আসে–যায় না।’
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ‘বড় সমস্যা’ |
![]() |
নিজেদের সেরাটা দিয়ে লক্ষ্য ধরে এগোনোর কথা বলেন সাকিব,
‘আমরা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করি। এখানে একটা লক্ষ্য নিয়ে এসেছি। আমরা আমাদের সেরাটা খেলব। এখন কেউ আমাদের বড় দল বলল, ছোট দল বলল, ওটা আসলে দেখার কোনো সময়ই নেই।’
সমর্থকদের মধ্যে ক্রিকেট নিয়ে আবেগের কমতি নেই। তবে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আবেগকে প্রশ্রয় দেওয়ার বিপক্ষে সাকিব,
‘দেখুন, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমরা যখন মাঠে নামি, তখন প্রক্রিয়াটা মেনে চলার চেষ্টা করি। সমর্থকদের পাগলামি থাকবে, তারা আবেগপ্রবণ হবে। কিন্তু পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমি যদি আবেগপ্রবণ হই, তাহলে তো হবে না।’