৫ মার্চ ২০২৫, ৯:০৮ পিএম

অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি শতক আছেই কেবল পাঁচজনের। টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কারণেই হয়ত স্টিভেন স্মিথের ৫০ ওভারের পরিসংখ্যান অনেকটাই আড়ালে চলে গেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ের পর তার এই ফরম্যাট থেকে আকস্মিক অবসরের ঘোষণা তাই খুব একটা আলোড়ন ফেলতে পারছে না। অথচ সব পরিস্থিতিতে, সব কন্ডিশনে অজিদের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে স্মিথ যেভাবে রাঙিয়েছেন নিজেকে, তাতে দেশটির ইতিহাসের অন্যতম সেরাদের কাতারে থাকার দাবিদার তিনি।
২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে পাঁচ উইকেট পতনের পরও ব্যাটিংয়ের সুযোগ মেলেনি স্মিথের। দলে যে ছিলেন লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। সেই একই খেলোয়াড় নিজের শেষ ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যাট করেছেন তিন নম্বরে। চাপের মুখে খেলেছেন ৭৩ রানের এক ইনিংস। লেগ স্পিনার থেকে সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটারদের একজন হয়ে ওঠার ১৫ বছরের পথচলায় ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটারের ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যান দাঁড়িয়েছে ১৭০ ম্যাচে ১৫৪ ইনিংসে ৫ হাজার ৮০০ রান। সেঞ্চুরি ১২টি, ফিফটি ৩৫টি, গড় ৪৩.২৮ গড় আর স্ট্রাইক রেটটাও দারুণ, ৮৭!
এবার একটু ভাবুন, প্রায় ৪৪ গড় আর প্রতি ১০০ বলে ৮৭ রান করা একজন ব্যাটারকে ওয়ানডে গ্রেট হিসেবে কিনা বিবেচনা করা হয় না। ‘ফ্যাভ ফোর’-এর মধ্যে তাকে রাখা হয়েছে সবসময়, তবে সেটা তার টেস্টের প্রায় অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ের কারণেই। অথচ লম্বা এক ক্যারিয়ারে বারবার স্মিথ প্রমাণ দিয়েছেন, ওয়ানডে ক্রিকেটটাও তিনি বেশ ভালো খেলেন।
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ওয়ানডেতে স্মিথের চেয়ে বেশি গড় কেবল ডেভিড ওয়ার্নারের। এই ফরম্যাটে দেশটির ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি রান মাত্র ১১ জনের। দুইবার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার। বড় মঞ্চে রয়েছে দারুণ সব ম্যাচ জেতানো ইনিংস। এরপরও অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডের সর্বকালের সেরা দল করতে গেলে অধিকাংশই রাখবেন না স্মিথকে।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় স্মিথ ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। গ্রুপ পর্বে দুটি ফিফটির পর শেষ আটে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন আরেকটি ফিফটি। এরপর ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলেন মাত্র ৯৩ বলে ১০৫ রানের ইনিংস। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে জয়সূচক বাউন্ডারি মারার পথে করেন আরেকটি ফিফটি।
সেই তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার ২০২৩ বিশ্বকাপ জয়ে খুব বড় অবদান রাখতে পারেননি। তবে কয়েকটি ভালো ইনিংস খেলার পাশাপাশি প্যাট কামিন্সকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে সাহায্য করেন লিডারশিপ গ্রুপে থেকে। স্মিথের নেতৃত্ব গুণ সবসময়ই প্রশংসিত হয়েছে এই কারণেই, কারণ স্রেফ তার মাঠে থাকাটাও দলকে এনে দেয় বাড়তি কিছু।
অধিনায়ক হিসেবে ক্ষুরধার স্মিথ ২০১৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মোট ৬৪ বার ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করেছেন। শুধুমাত্র রিকি পন্টিং, অ্যালান বর্ডার, স্টিভ ওয়া, মার্ক টেলর এবং মাইকেল ক্লার্কই এই ফরম্যাটে তার চেয়ে বেশি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে তারা সবাই বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিলেও স্মিথই সেটা পারেননি।
তবে খেলোয়াড় হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ জেতাও তো কম নয়। বিশ্বের অনেক ক্রিকেটারই যে ক্যারিয়ার শেষ করেন একটি বিশ্বকাপ না জিতেই। নির্লিপ্ত স্মিথ তার অবসরের ঘোষণাতেও তাই আক্ষেপ লুকিয়ে জানিয়েছেন, ২০২৭ বিশ্বকাপে তরুণদের সুযোগ করে দিতেই তার সরে যাওয়া।
পুরো ক্যারিয়ার যেমন, স্মিথের অবসরের ঘোষণাও এসেছে ঠিক সেভাবেই। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটকে বিদায়। নিয়তিই যেন চায়নি, অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে তিনি অবসর নেন। ফলে ‘আন্ডাররেটেড’ স্মিথের শেষটাও হয়েছে ঠিক সেভাবেই, যেভাবে এই ফরম্যাটে তার ব্যাটসম্যানশিপ থেকে গেছে আড়ালেই।
তবে ক্রিকেট ভক্তরা অস্ট্রেলিয়ার হলুদ জার্সিতে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে স্মিথের লড়িয়ে সব ইনিংস যে মিস করবেন, তা না বললেও চলে। এটাও তো কম অর্জন নয় বৈকি!
No posts available.
২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৪:২৭ পিএম
২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৩:২৯ পিএম

রোমারিও শেফার্ডের শর্ট বলে দারুণ পুল শটে ছক্কা মারলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু রান পেলেন না, উল্টো আউট হয়ে গেলেন। কারণ শট খেলাই আগেই অফ স্টাম্পে পা দিয়ে ফেলেন তিনি। পড়ে যায় বেলস। তাই হিট উইকেট হন তাসকিন আর ১৬ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হিট উইকেট হওয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার তাসকিন। আর তিন সংস্করণ মিলিয়ে দেশের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে হিট উইকেট হলেন তিনি।
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় পরাজয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শুরু করল বাংলাদেশ। ১৬৬ রানের লক্ষ্যে পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। ২ বল বাকি থাকতে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায় লিটন কুমার দাসের দল।
সপ্তম উইকেটে ২৩ বলে ৪০ রানের জুটি গড়ে আশা জাগিয়েছিলেন নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে পারেননি তারা।
দলের সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন নাসুম। আর কেউ বলার মতো কিছু করতে পারেননি। দশম উইকেটে ২০ রানের জুটিতে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন জেসন হোল্ডার ও জেডেন সিলস। আকিল হোসেন মাত্র ২২ রানে নেন ২ উইকেট।
একই মাঠে বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৬৫/৩ (আথানেজ ৩৪, কিং ৩৩, হোপ ৪৬, রাদারফোর্ড ০, পাওয়েল ৪৪; নাসুম ৪-০-১৫-০, তাসকিন ৪-০-৩৬-২, সাকিব ৪-০-৪৭-০, মোস্তাফিজ ৪-০-২৪-০, রিশাদ ৪-০-৪০-১)
বাংলাদেশ: ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ (সাইফ ৮, তামিম ১৫, লিটন ৫, হৃদয় ২৮, শামীম ১, সোহান ৫, সাকিব ৩৩, নাসুম ২০, রিশাদ ৬, তাসকিন ১০, মোস্তাফিজ ১১*; আকিল ৪-০-২২-২, সিলস ৪-০-৩২-৩, পিয়েরে ৪-০-৩৩-১, হোল্ডার ৪-০-৩১-৩, শেফার্ড ৩.৪-০-২৯-১)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬ রানে জয়ী

হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দল বরিশাল বিভাগের ফিজিওথেরাপিস্ট হাসান আহমেদ। তাঁর স্মরণে আজ চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ খুলনা ও বরিশাল ম্যাচের তৃতীয় দিন সকালে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেন হাসান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৪৭ বছর বয়সী এই ফিজিওকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, হাসান আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চট্টগ্রামে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল কালো আর্মব্যান্ড পরবে। ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। আগামীকাল চলমান এনসিএলের চতুর্থ দিনের ম্যাচগুলোতেও হাসান আহমেদকে স্মরণ করা হবে।
প্রায় এক যুগের বেশি সময় জাতীয় লিগে বরিশালের ফিজিওর দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান আহমেদ। এর বাইরেও ট্রমায় আক্রান্তদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি।

ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তোলে টি-টোয়েন্টি থেকে রীতিমতো ছেঁটে ফেলা হয়েছিল বাবর আজমকে। নতুন করে যাদের পরখ করা হয়, তাঁরাও সন্তুষ্ট করতে পারেননি পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টকে। সমালোচনারমুখে ৯ মাস পর আবারও টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পড়ে অভিজ্ঞ বাবরের।
দক্ষিণ আফ্রিার বিপক্ষে আগামীকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তন হতে পারে বাবরের। লম্বা সময় দলের বাইরে থাকা এই তারকা ব্যাটারের ব্যাটিং পজিশন কি হবে- নিশ্চিত করেছেন কোচ মাইক হেসন। টি-টোয়েন্টিতে অধিকাংশ ম্যাচে ওপেনিংয়ে খেলেছেন বাবর। তবে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ জানিয়েছেন, এবার ব্যাট হাতে দেখা যাবে তাঁকে তিন নম্বরে।
গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে হেসন বলেন, ‘আমি অবশ্যই তাঁর দলে ফেরাকে সমর্থন করি। ফখর জামানকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাঠানো হয়েছে, ফলে আরেকজন টপ অর্ডার ব্যাটারের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে। বাবরের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। সম্ভবত সে তিন নম্বরে ব্যাট করবে, আর আমি আত্মবিশ্বাসী—এই ভূমিকায় সে দারুণ করবে।’
আরও পড়ুন
| লিটনদের সামনে কতগুলো মাইলফলকের হাতছানি |
|
বাবর আজম সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, সেঞ্চুরিয়নে গত বছরের ডিসেম্বরে। তারপর থেকে তাঁকে দেখা গেছে শুধু ওয়ানডে ও টেস্টে। তবে হেসনের ভাষায়, ‘সংক্ষিপ্ত সংস্করণেও বাবর এখনো দলের অন্যতম ভরসার নাম।’
হেসন ব্যাখ্যা করেছেন উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ হারিসের বাদ পড়ার কারণও, ‘হারিস তরুণ, তবে তাঁকে বেশ কয়েকবার সুযোগ দিয়েও আমরা ধারাবাহিক পারফরম্যান্স পাইনি। উন্নতির জায়গা এখনো অনেক।’হারিসের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন স্পিন মোকাবিলায় ব্যাটিং দক্ষতার জন্য পরিচিত উসমান খান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও পরবর্তী ত্রিদেশীয় সিরিজকে হেসন দেখছেন ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, ‘এই দুটি সিরিজ আমাদের দল গঠনে সহায়তা করবে। বিভিন্ন কম্বিনেশন যাচাই করার সুযোগ পাব।’
পাকিস্তান এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও পরবর্তী ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের স্কোয়াডও নির্ধারণ করেছে তারা।
হেসন জানান, তরুণ বোলার উসমান তারিককে তিনি ‘দারুণ স্পিন প্রতিভা’ হিসেবে দেখছেন। আর সুফিয়ান মুকিমকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ করে দিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

চোট কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলে ফিরেছেন টেম্বা বাভুমা। আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
গত মাসে ইংল্যান্ড সফরের তৃতীয় ওয়ানডেতে পায়ের পেশিতে চোট পাওয়ায় মাঠের বাইরে ছিটকে যান বাভুমা। যে কারণে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের প্রথম সিরিজেও খেলতে পারেননি।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) দুই সিরিজেও খেলবেন না বাভুমা। ভারতের বিপক্ষে মূল সিরিজের আগে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ ও ভারত ‘এ’ দলের ম্যাচে নামবেন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সিরিজের স্কোয়াড থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এই একটিই। বাদ পড়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটার ডেভিড বেডিংহাম। ১৫ টেস্ট খেলা ব্যাটার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ ইনিংসে ৮২ রান করেন। তবে এর আগে ১২ ইনিংসে কোনো ফিফটি ছুঁতে পারেননি।
আরও পড়ুন
| লিটনদের সামনে কতগুলো মাইলফলকের হাতছানি |
|
স্পিন বিভাগে দক্ষিণ আফ্রিকা ধরে রেখেছে তিনজন বিশেষজ্ঞ স্পিনারকে- কেশব মহারাজ, সাইমন হার্মার ও সেনুরান মুথুসামি। পাকিস্তান সিরিজে ভালো পারফর্ম করা এই ত্রয়ীর সঙ্গে জায়গা হয়নি অফ স্পিনার প্রেনেলান সুব্রায়েনের।
পেস বোলিং বিভাগে থাকছেন কাগিসো রাবাদা, কর্বিন বশ ও মার্কো ইয়ানসেন। চোটের জন্য পাকিস্তান সফর মিস করা লুঙ্গি এনগিডিও এই দলে নেই।
কলকাতায় আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে গুয়াহাটিতে, ২২ ডিসেম্বর থেকে। ভারত সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও খেলবে তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট স্কোয়াড
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেল্টন, ট্রিস্টান স্টাবস, কাইল ভেরেইনা, দেওয়াল্ড ব্রেভিস, জুবায়ের হামজা, টনি ডি জর্জি, কর্বিন বশ, উইয়ান মুল্ডার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, সেনুরান মুথুসামি, কাগিসো রাবাদা, সাইমন হার্মার।

হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের দল বরিশাল বিভাগের ফিজিওথেরাপিস্ট হাসান আহমেদ। খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার খুলনা ও বরিশালের মধ্যকার ম্যাচে তৃতীয় দিন সকালে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি।
পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৪৭ বছর বয়সী এই ফিজিওকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
প্রায় এক যুগের বেশি সময় জাতীয় লিগে বরিশালের ফিজিওর দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান আহমেদ। এর বাইরেও ট্রমায় আক্রান্তদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি।
হাসান আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলতে নামবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এক মিনিট করে নীরবতা পালন করা হবে।
এছাড়া জাতীয় লিগে মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর আগেও শোকপালন করা হবে।