
ক্যারিয়ারের সোনালি সময়ে ইউরোপিয় ফুটবলে কত শত রেকর্ড যে করেছেন লিওনেল মেসি-ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সে হিসেব করতে গেলে দিন পার হবে। এই দুই মহাতারকার একটি রেকর্ড এবার নিজের নামে লিখলেন হ্যারি কেইন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতকাল রাতে ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে একবার বল জালে পাঠান কেইন। বায়ার্নের জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মাত্র ১২ ম্যাচে তার গোল এখন ২০টি। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে এত দ্রুত কখনো ২০ গোল করতে পারেননি মেসি-রোনালদোর মতো ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়রাও।
মৌসুমের প্রথম ২০ গোল পেতে সর্বনিম্ন ১৩ ম্যাচ খেলেছিনেল রিয়াল মাদ্রিদের সাবকে কিংবদন্তি রোনালদো। ২০১৪–১৫ মৌসুমে তখন ছন্দের তুঙ্গে ছিলেন আল নাসর ফরোয়ার্ড। সেই মৌসুমে রোনালদো মাত্র ১৩ ম্যাচে ২০ গোল করার পর পুরো মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৬১ গোল করেছিলেন।
আরও পড়ুন
| লা মাসিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সেরা একাডেমি এখন এই ক্লাবটির |
|
আর ক্লাব ক্যারিয়ারে এক মৌসুমে ২০ গোলে করতে মেসির সর্বনিম্ন লেগেছে ১৭ ম্যাচ। ২০১১ -১২ মৌসুমে অবিশ্বাস্য ছন্দে ছিলেন মেসি। ওই মৌসুমেই মেসি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৭৩ গোল করেছিলেন, যা এখনো ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে কোনো খেলোয়াড়ের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।
২০২৫-২৬ মৌসুমে মেসি-রোনালদো থেকেও দারুণ সূচনা পেয়েছেন হ্যারি কেইন। ইংলিশ এই ফরোয়ার্ড দারুণ ছন্দ ধরে রাখার সঙ্গে চোট নামক প্রতিবন্ধকতা থেকে রেহাই পেলে কোথায় গিলে থামবেন?
ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা কেইন চলতি মৌসুমে প্রতি ৫৪ মিনিটে একটি করে গোল করছেন। বুন্দেসলিগার এবারের আসরে ইতিমধ্যে সাত ম্যাচে ১২ গোল করেছেন তিনি। এই ধারা অব্যহত থাকলে মৌসুম শেষে তার গোলসংখ্যা ৫৮ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাতে জার্মান লিগে বায়ার্নের সাবেক ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভানোদভস্কির এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৪১ গোলের রেকর্ড ভাঙতে আরও ২৭ ম্যাচে পাচ্ছেন কেইন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গল্পও একই। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বায়ার্নের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেকের পর থেকে কেইন এই প্রতিযোগিতায় অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি গোল করেছেন (২৪)। মোট গোল অবদানেও (২৪ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট) এগিয়ে ৩২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ৬০ ম্যাচে কেবল ডাচ তারকা রুড ভ্যান নিস্টেলরয়ই তার চেয়ে বেশি গোল করেছিলেন—৪৮টি।
কেইনের দারুণ ছন্দের সঙ্গে তাঁর দল বায়ার্ন আর ইংল্যান্ড যদি শিরোপা জিতে তবেই পূর্ণতা তাঁর পারফরম্যান্স। আর তাতে ২০০১ সালের মাইকেল ওউয়েনের পর প্রথম কোনো ইংলিশ ফুটবলারের হাতে উঠতে পারে ব্যালন ডি’অরও।
No posts available.
২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম
২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৬:২৩ পিএম

চার ভেন্যুতে আজ মাঠে গড়িয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২৭তম আসর। প্রথম দিনেই দেখা মেলেছে চার সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামের বিভাগের হয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। এ ছাড়া ময়মসিংহ বিভাগে থেকে আরিফুল ইসলাম ও ঢাকা বিভাগের মার্শাল আইয়ুব করেছেন সেঞ্চুরি।
প্রথম দিন সবচেয়ে বেশি রান হয়েছে চট্টগ্রাম–রাজশাহীর ম্যাচে। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৪০১ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারী দল। ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ১২৯ রানের ইনিংস। আরেক সেঞ্চুরিয়ান জয় করেন ১২৭ রান। ইরফান শুক্কুরের অবদান ৭২ রান। জবাব মাত্র ১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে রাজশাহী। চট্টগ্রামের হয়ে দুটি উইকেটই নেন হাসান মুরাদ।
প্রথমবারের মতো এনসিএলে দল পেয়েছে ময়মনসিংহ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছে দলটির। প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২৬৮ রান। ময়মনসিংহের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আরিফুল। আসাদুল্লাহ আল গালিবের বলে সৈকত আলীর হাতে ধরা পড়ার আগে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন এই তরুণ ব্যাটার।
৬৫ রান আসে আব্দুল মজিদের ব্যাট থেকে। তাহজিবুল ইসলাম করেন ৪৩ রান। আবু হায়দার রনি ১৬ ও শহিদুল ইসলাম ১০ রানে অপরাজিত আছেন।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে রংপুরের বিপক্ষে ২২১ রানে অলআউট হয়েছে ঢাকা। ১৩ চারে ১৬১ রানে ১০৫ রান করেন মার্শাল। এছাড়া জিশান আলম ১০৮ বলে ৭৮ রান করেন।
রংপুর বোলারদের মধ্যে আবু হাশিম ৩ উইকেট নেন। মেহেদী হাসান ও নাসির হোসাইন নেন দুটি করে উইকেট।
খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেটে ৩১২ রান করেছে স্বাগতিকরা। ৭২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামবেন শেখ জীবন। ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন জিয়াউর রহমান। ইমরানুজ্জামান করেন ৪৩ রান। সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।

নারী বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থেকে গ্রুপপর্ব শেষ হলো অজি মেয়েদের।
ইন্দোরে হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ৭ উইকেট নিয়ে মেয়েদের বিশ্বকাপে সেরা বোলিংয়ের ইতিহাস গড়েন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার অ্যালেনা কিং। তার রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে ২৪ ওভারে ৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়া মেয়েরা। এরপর ১৬.৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে হেসেখেলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নারী বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
আগামী মঙ্গলবার সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারত। আর ফাইনালের টিকিট কাটার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
বল হাতে ঘূর্ণিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় জয়ের ভিত আগেই গড়ে দেন ডানহাতি স্পিনার অ্যালেনা কিং। ৭ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে সাত উইকেট শিকার করেন তিনি। নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগার এখন তাঁর। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ১০ রানে ৬ উইকেট নেওয়া নিউজিল্যান্ডের জ্যাকি লর্ডের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন অজি স্পিনার। এ ছাড়া মেয়েদের ওয়ানডেতে ক্রিকেট ইতিহাসে এটি চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার। ২০০৩ সালে জাপানের বিপক্ষে ৪ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেওয়া পাকিস্তানের সাজিদা শাহ বোলিং এখন পর্যন্ত সেরা।
অ্যালেনার স্পিন বিষে নীল হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে অধিনায়ক লরা উলভার্টের ব্যাট থেকে। ২৬ বলে ৩১ রান করেন এই ওপেনার। দলীয় ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অ্যালেনার উইকেট উৎসব শুরু হয় তিনে নামা সুনে লুসকে ফিরিয়ে। এরপর প্রোটিয়া ব্যাটারদের নাকাল আরও ছয় উইকেট নিয়ে ইতিহাসেই নাম লেখান তিনি।
ছোটো লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ১১ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তাহলিয়া ম্যাকগ্রার দল। তবে তৃতীয় উইকেটে জর্জিয়া ভোল ও বেথ মোনির ৭৭ রানের জুটি দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দেয়। দলীয় ৮৭ রানে ৪১ বলে ৪২ রান করে ফেরেন মোনি। তারপর পাঁচে নামা আনাবেল সুদারল্যান্ড ৪ বলে ১০ রান করে বাকি কাজ সারেন।

বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার ব্যাটে ফিরল রান। সিডনিতে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। তবে এই ম্যাচের আগে অনেকেই এই দুই তারকা ক্রিকেটারের শেষে দেখে ফেলেছিলেন। আজ রোহিত করেছেন সেঞ্চুরি, ফিফটি করেছেন কোহলি।
ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট রোহিত-কোহলিকে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরিকল্পনা সম্পর্কে একাধিকবার জানতে চাইলেন। তবে তারা স্পষ্ট জবাব দেননি এ ব্যাপারে। তাদের প্রতিক্রিয়া ভক্ত-সমর্থকদের নতুন ধাঁধার মধ্যে ফেলেছে।
রোহিত ও কোহলি অস্ট্রেলীয় দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কোহলি বলেন,
‘আমরা এখানে আসতে ভালোবাসি, এখানে ভালো ক্রিকেট খেলা হয়েছে। দর্শকদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। তারা অনেক বড় সংখ্যায় এসে আমাদের সমর্থন করেছেন।’ রোহিত যোগ করেন, ‘ধন্যবাদ অস্ট্রেলিয়া। এখানে খেলার অভিজ্ঞতা অসাধারণ।’
গিলক্রিস্ট রোহিতকে একাধিকবার জিজ্ঞেস করেন ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরিকল্পনা নিয়ে। তবে রোহিত সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক বলেন,
‘আমি অস্ট্রেলিয়ায় খেলা খুবই উপভোগ করি, বিশেষ করে সিডনিতে। ভালো মাঠ, দর্শক ও পিচ—এগুলো সব মিলিয়ে প্রতিটি ম্যাচে নিজেকে পরীক্ষা করার সুযোগ দেয়। আমি যা করি, তা করতে পছন্দ করি। আশা করি, আমি ভবিষ্যতেও নিজের খেলা উপভোগ করতে পারব।’
সম্প্রতি রোহিত-কোহলির ওয়ানডে ভবিষ্যত নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। দুজনেই ইতিমধ্যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন। শুবমন গিলকে ওয়ানডের অধিনায়ক করার সিদ্ধান্তও এই জল্পনাকে আরও তীব্র করেছে। বিশেষ করে, এটি ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মধ্যে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে যে, এই দুই তারকা হয়তো ওয়ানডেও ধাপে ধাপে অবসর নিতে পারেন।

ইন্দোরে অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটারের সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। নারী বিশ্বকাপ চলাকালে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া বলেন,
‘এটি খুবই দুঃখজনক ও দেশের ভাবমূর্তির জন্য লজ্জাজনক একটি ঘটনা।’
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাইকিয়া বলেন,
‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এই ধরনের আচরণ দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে। তবে অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করায় আমি রাজ্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আইন তার নিজের গতিতে চলবে এবং অপরাধী শাস্তি পাবে—এটাই প্রত্যাশা।’
এর আগে ইন্দোর পুলিশের অপরাধ শাখার অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার রাজেশ দানদোতিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে দুই অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেটার হোটেল থেকে কাছের একটি ক্যাফের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন। সে সময় আজাদ নগরের বাসিন্দা আকিল খান নামের এক ব্যক্তি তাদের উদ্দেশে অশালীন আচরণ করে। পরে অস্ট্রেলিয়া দলের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৭৪ ও ৭৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে—যেখানে নারীর মর্যাদা ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্যে হামলা ও অনুসরণের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনায় ভারতের রাজনীতি থেকেও প্রতিক্রিয়া এসেছে। শিবসেনা (ইউবিটি) সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এক্সে লিখেছেন,
‘লজ্জাজনক। আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে বড়াই করি, অথচ নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ দিতে ব্যর্থ হই—এটা সত্যিই দুঃখজনক।’
ইন্দোর পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসন এখন ঘটনার নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্রান্ত দুর্বল দিকগুলো খতিয়ে দেখছে। বিসিসিআই বলেছে, নারী ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিরিজ আগেই হেরেছে ভারত। শেষ ওয়ানডে ছিল ধবলধোলাই এড়ানোর। পাশাপাশি বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির ছন্দে ফেরাটাও দেখতে চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সবকিছুই যেন পেল ভারত। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ৬৯ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে সফরকারীরা।
আগের ম্যাচে মন্থর ফিফটি পাওয়া রোহিত আজ পেলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। আগের দুই ম্যাচে ডাক মেরে ফেরা কোহলি আজ ফিফটি করে অপরাজিত ছিলেন। বোলিংয়ে হার্ষিত রানার দুর্দান্ত এক স্পেলেই ধসে পড়ে অজিদের ব্যাটিং।
১৮৩ রানে ৩ উইকেট থেকে হার্ষিতের তোপেরমুখে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ৪৬.৪ ওভারে ২৩৬ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। স্বাগতিকদের দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্য ১ উইকেট হারিয়ে অনায়াসে তাড়া করে সফরকারীরা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ওপেনিং জুটিতে ভালো শুরু পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত ও অধিনায়ক শুবমান গিল ১০.২ ওভারে যোগ করেন ৬৯ রান। ওয়ানডে নেতৃত্বে অভিষেক সিরিজ করতে পারেননি গিল। আগের দুই ম্যাচ ব্যর্থ হওয়ার পর আজ ফেরেন ২৬ বলে ২৪ রান কের।
দ্বিতীয় উইকেটে কোহলি-রোহিতের ১৭০ বলে ১৬৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩৮.৩ ওভারে জয় নিয়ে ওঠে ভারত। ৩৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে ১২৫ বলে ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন রোহিত। ইনিংসে ছিল ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কা। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ৫০ ওভারের ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরি এখন এই ভারতীয় ওপেনারের। ৫টি করে সেঞ্চুরি কোহলি ও শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার।
৮১ বলে ৭৪ রান করেন কোহলি। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি চার। এই ইনিংসের সৌজন্যে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন কোহলি (১৪২৫৫)। ছাড়িয়ে গেছেন সাঙ্গাকারাকে (১৪২৩৪)। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন জশ হ্যাজলউড।
তার আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিং জুটিতে ৯.২ ওভারে তোলে ৬১ রান। ট্রাভিস হেড ফেরেন ২৯ রানে। দলীয় ৮৮ রানে আউট হন আরেক ওপনোর মিচেল মার্শ (৪১)। কার্যকর ইনিংস খেলেছেন ম্যাট রেনশো (৫৬)। অ্যালেক্স ক্যারি, কুপার কোনোলি ও ম্যাথু শর্টরা থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন।
১৮৩ রান পর্যন্ত ৩ উইবেট ছিল অজিদের। সেখান থেকে কোনোলি, ক্যারি ও মিচেল ওয়েনকে ফিরিয়ে ধস নামান হার্ষিত। যার সৌজন্যে ২৩৬ রানে অজিদের আটকে রাখে ভারত। ৩৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন এই পেসার। ম্যাচ ও সিরিজসেরা হয়েছেন রোহিত। আগামী বুধবার থেকে শুরু হবে দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।