
অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচসেরা হন মিচেল স্টার্ক। অর্জন করেন র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট। আজ আইসিসির সবশেষ হালনাগাদকৃত বোলার র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবার দুইয়ে উঠেছেন স্টার্ক।
স্টার্কের রেটিং পয়েন্ট এখন ৮৫২, শীর্ষে থাকা জাসপ্রিত বুমরাহর ৮৭৯ রেটিং পয়েন্ট। পার্থে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার পর ব্রিসবেন টেস্টে ৮ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টে নিউ জিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি না খেলায় তিনি নেমে গিয়েছেন তিন নম্বরে।
নিউ জিল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটার ডেভন কনওয়ে সাত ধাপ এগিয়ে টেস্ট ব্যাটার র্যাঙ্কিংয়ে ৩৪ নম্বরে উঠেছেন। জ্যাকব ডাফি টেস্ট বোলার র্যাঙ্কিংয়ে ১৫ ধাপ এগিয়ে ৪৮ নম্বরে।
টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে নিজের স্থান আরো পাকাপোক্ত করেছেন বরুণ চক্রবর্তী। গত সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের মুকুট অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন
| কোচ বাবাকে সেঞ্চুরি উৎসর্গ ক্যারির |
|
সবশেষ হালনাগাকৃত র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা রেটিং অর্জন করেছেন বরুণ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের পেসার জ্যাকব ডাফির চেয়ে ১১৯ পয়েন্টে এগিয়ে এই লেগ ব্রেক বোলার।
বরুণের রেটিং পয়েন্ট এখন ৮১৮, ভারতের হয়ে এর আগে কেউ এত রেটিং অর্জন করেননি কখনো। টি-টোয়েন্টি বোলারদের রেটিংয়ে সর্বোচ্চ ৮৬৫ পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন পাকিস্তানের উমর গুল। অলটাইম রেটিং অর্জনকারী তালিকায় বরুণ এখন তালিকার ৮ নম্বরে।
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন বরুণ। যার সৌজন্যে রেটিং পয়েন্টে উন্নতি করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভালো বোলিংয়ে চার ধাপ এগিয়ে ১৬ নম্বরে উঠে এসেছেন পেসার অর্শদীপ সিং। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ হন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো ইয়ানসেন ১৪ ধাপ এগিয়ে ২৫ নম্বরে, লুঙ্গি এনগিডি ১১ ধাপ এগিয়ে ৪৪ এবং ওটনেইল বার্টম্যান ১০০ এর বাইরে থেকে এখন ৬৮ নম্বরে উঠে এসেছেন।
টি–টোয়েন্টি ব্যাটার র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের তিলক ভার্মা দুই ধাপ এগিয়ে চার নম্বরে উঠেছেন। সতীর্থ অভিষেক শর্মা ব্যাটার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম ৮ ধাপ এগিয়ে ২৯ নম্বরে, কুইন্টন ডি কক ১৪ ধাপ এগিয়ে ৪৩ নম্বরে উঠে এসেছেন।
টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন পাকিস্তানের সাইম আইয়ুব। ভারতের শিবম দুবে দুই ধাপ এগিয়ে ১৬ নম্বরে উঠেছেন।
No posts available.
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:২৫ পিএম
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১:২৯ পিএম
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১১ পিএম

রংপুর-রাইডার্স-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ- ২০২৫ পাওয়ার্ড বাই এইস ডেভেলপার্সের ফাইনাল ম্যাচ হবে আগামীকাল (শুক্রবার)। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার-ফাইনালে জিতে সেরা চারের টিকেট পেয়েছে দৈনিক কালের কণ্ঠ, চ্যানেল আই, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর ও আরটিভি।
মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে ১৬ রানে হারিয়েছে দৈনিক কালের কণ্ঠ। ম্যাচে ৫.৩ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয় কালের কণ্ঠ। ৮ বলে ৩৩ রান করে টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী অবসরে যান জহিরুল ইসলাম। পরে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯০ রানের বেশি করতে পারেনি ক্রিকফ্রেঞ্জি। ব্যাট হাতে ২৪ রানের সঙ্গে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন ইকলাচ।
একই সময়ে পাশের মাঠে সময় টিভির বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় পায় আরটিভি। আগে ব্যাট করে ১১৫ রান করে সময় টিভি। তামিম হোসেন ৩৪, তাওসিব ৩২ ও সাকলাইন প্রীতম ৩২ রান করে অবসরে যান। রান তাড়ায় ৫.৪ ওভারে জিতে যায় আরটিভি। ব্যাট হাতে ১৪ বলে ২৮ ও বোলিংয়ে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন জহির।
একপেশে ম্যাচে দৈনিক সমকালকে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোর। মাত্র ৬৯ রানের লক্ষ্য ৩.১ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে তারা। বল হাতে ১ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে ১০ বলে ৩২ রান নিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন আদ দ্বীন সজীব।
চ্যানেল আইয়ের বিপক্ষে লড়াই করতেই পারেনি জাগোনিউজ২৪.কম। নীলাদ্রি শেখর ১৩ বলে ৩০, রাহুল রায় ১৩ বলে ৩৪, সজীব দাস ৭ বলে ৩২ ও মিলন মল্লিক ৪ বলে ২২ রান করলে ৬ ওভারে ১৫৪ রানের বড় পুঁজি পায় চ্যানেল আই। জবাবে বিজয় রায় ৬ বলে ৩৪ ও সাঈদ শিপন ১৮ বলে ৩০ রান করলে ১০১ রানে থামে জাগো নিউজ। বল হাতে ২ উইকেট ও ব্যাটিংয়ে ৩২ রান করে ম্যাচ সেরা সজীব।
রংপুর-রাইডার্স-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ- ২০২৫ পাওয়ার্ড বাই এইস ডেভেলপার্সের কোয়ার্টার-ফাইনালে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শানিয়ান তানিম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ক্রীড়া সম্পাদক ওমর ফারুক রুবেল।

ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএলের নিলামে মোস্তাফিজুর রহমানের রেকর্ড মূল্যে দল পাওয়ার পর থেকেই আলোচনা চলছে, পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন তো বাঁহাতি এই পেসার? এর স্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপ্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ফাহিম জানিয়েছেন, ৮ দিনের জন্য আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরে আসবেন মোস্তাফিজ। ওই সময়ে হওয়া কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচগুলো খেলা হবে না তার।
আইপিএলের নিলামে ত্রিমুখী কাড়াকাড়ির পর ৯ কোটি ২০ লাখ ভারতীয় রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ কোটি টাকার বেশি) মোস্তাফিজকে কিনে নিয়েছে মোস্তাফিজ। আইপিএল খেলতে তার অনাপত্তিপত্রের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ফাহিম।
“মোস্তাফিজকে আমরা এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দিয়েছি পুরো আইপিএলের জন্য। শুধু নিউ জিল্যান্ড সিরিজে যে টি-টোয়েন্টি যে তিনটা ম্যাচ থাকবে, সেখানে সরি ওয়ানডে যে তিনটা ম্যাচ থাকবে, সেখানে ও জাতীয় দলের পক্ষে খেলতে চলে আসবে।”
আগামী ১৫ মার্চ শুরু হয়ে ৩০ মে পর্যন্ত হওয়ার কথা আইপিএলের ১৯তম আসরের খেলা। টুর্নামেন্টের শেষ দিকে ও মে মাসের মাঝামাঝিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ওই সিরিজ খেলতেই মূলত ফিরবেন মোস্তাফিজ।
“আট দিনের জন্য (মোস্তাফিজ) ফেরত আসবে ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য।”
ঘরের মাঠে সিরিজে মোস্তাফিজকে ছাড়া খেলার সাহস কেন দেখাতে পারছে না বোর্ড, সেই প্রশ্নও ওঠে সংবাদ সম্মেলনে। উত্তরে ফাহিম বলেন, বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার জন্য র্যাঙ্কিংয়ের হিসেবনিকেশ থাকায় মোস্তাফিজকে নিয়েই খেলবে দল।
“ওয়ানডেতে তো আমরা জানি যে আমাদের বাছাইয়ে একটা বিষয় আছে। তাই ঐ জায়গাটা আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নই। আমরা এখন যে জায়গায় আছি... যদি নিরাপদ জায়গায় থাকতাম সেখানে হয়তো আমরা সেটা করতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেই জায়গাটা নেই বলেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া।”

একের পর এক বল ছুঁড়ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। সারাদিনের খাঁটুনি শেষে ক্যারিবিয়দের প্রাপ্তি কেবল একটি উইকেট। সফরকারীদের রীতিমতো দর্শক বানিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়ে গেলেন নিউ জিল্যান্ডের দুই ওপেনার টম লাথাম-ডেভন কনওয়ে।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল শুধুই নিউ জিল্যান্ডের। এক উইকেটে হারিয়ে কিউইরা আজ স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৩৩৪ রান। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একেবারে খালি হাতে রেখে দিন শেষ করবে স্বাগতিকরা। তবে পড়ন্ত বেলায় টম লাথামের উইকেটটি তুলে নেন কেমার রোচ।
এর আগেই হয়ে গেল রেকর্ড। ২৪৬ বলে ১৩৭ রান করা লাথাম যখন আউট হলেন, নিউ জিল্যান্ডের রান ৩২৩। কিউইদের টেস্ট ইতিহাসে ঘরের মাঠে এটিই সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। ১৯৩০ সালে ওয়েলিংটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিলস ডেম্পস্টারের ২৭৬ রানের রেকর্ড ভেঙে দিলেন লেথাম-কনওয়ে।
আরও পড়ুন
| লায়নের সামনে এখন শুধুই কিংবদন্তি ওয়ার্ন |
|
ঘরে আর বাইরে মিলিয়ে শেষবার নিউজিল্যান্ডের ওপেনাররা টেস্টে প্রথম উইকেটে ৩০০’র বেশি রান করেছিল ১৯৭২ সালের এপ্রিলে। গায়ানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্লেন টার্নার ও টেরি জারভিস প্রথম উইকেটে ৩৮৭ রান যোগ করেছিলেন।
যেকোনো উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে লাথাম-কনওয়ে জুটি অষ্টম সর্বোচ্চ। ১৯৯১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোনস-ক্রু এর ৪৬৭ রানের জুটি তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আর টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে লাথাম-কনওয়ের ওপেনিং জুটি ১২তম সেরা।
টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ের এই ম্যারাথান জুটি আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। ভারতের রোহিত শর্মা ও মায়ঙ্ক আগরওয়ালের দখলে ছিল এই রেকর্ড। ২০১৯ সালে বিশাখাপত্তমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম উইকেটে ৩১৭ রান করেছিল রোহিত-আগারওয়াল।
উদ্বোধনী জুটির রেকর্ডের ফুলঝুরির দিনে কনওয়ে অপরাজিত আছেন ২৭৯ বলে ১৭৮ করে। ১৬ বলে ৯ রান জ্যাকব ডাফির। কনওয়ের এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। আরেক সেঞ্চুরিয়ান লাথাম পেলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫ নম্বর শতক।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টানা ১৪ বছর ৭৩টি টেস্ট খেলার পর চলতি অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে ভাঙে দীর্ঘ যাত্রা। ব্রিসবেনে একাদশের বাইরে থাকা নাথান লায়ন ফিরেছেন অ্যাডিলেড টেস্টে। আর সেই প্রত্যাবর্তনটা হলো পুরো রাজকীয়।
আজ অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অজি অফ স্পিনার লায়ন বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট নিলেন। তাতে দারুণ এক অনন্য এক উচ্চাতায়ও উঠে গেলেন লায়ন। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এখন ৩৮ বছর বয়সী এই ডানহাতি স্পিনার।
লায়ন ছাড়িয়ে গেছেন কিংবদন্তি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রাকে। বেন ডাকেটকে বোল্ড করে তাঁর উইকেট সংখ্যা দাড়াল এখন ৫৬৪। ২৪৩ ইনিংসে ৫৬৩ উইকেট নেওয়া ম্যাকগ্রাকে টপকে লায়ন এখন আছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের ঠিক পেছনে। ৭০৮ উইকেট নিয়ে চূড়ায় কিংবদন্তি লেগ স্পিনার ওয়ার্ন।
গত পাঁচ মাস ধরে ৫৬২ উইকেটে আটকে ছিলেন লায়ন ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার শেষ তিনটি টেস্টের মধ্যে দুটি তিনি খেলতে পারেননি। দলের নির্বাচকেরা পিচের কন্ডিশন বিবেচনায় অল-পেস আক্রমণকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে পার্থে মাত্র দুই ওভার বল করার সুযোগ পান লায়ন।
অ্যাডিলেডে আজ দশম ওভারে লায়নের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। প্রথম উইকেটটি ছিল যেন উপহার। ইংলিশ ব্যাটার অলি পোপ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে দেন, আর এই উইকেটের মধ্য দিয়েই লায়ন সমতায় পৌঁছান ম্যাকগ্রার। ১৬ ইনিংস বেশি খেলে এই পেসারকে ছাড়িয়ে গেলেন লায়ন।
আরও পড়ুন
| আইপিএল নিলামের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই চমক মোস্তাফিজের |
|
লা্য়নের দ্বিতীয়টি ছিল অফস্পিনারের নিখুঁত এক ডেলিভারি। ভালো লেংথে অফ স্টাম্পের দিকে বল ভাসিয়ে আনেন লায়ন। বেন ডাকেট রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে সামনে এগোলে বলটি ব্যাটের কানায় না লেগে ঘুরে সরাসরি অফ স্টাম্পের মাথায় আঘাত করে।
১৪০ টেস্টে এখন পর্যন্ত ৫৬৪ উইকেট নেওয়া লায়ন টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৪বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। পাঁচবার অজি অফ স্পিনারের ১০ উইকেট শিকার করেছেন।
লায়ন জানিয়েছিলেন এর আগেই অন্তত ২০২৭ সালে ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ সিরিজ পর্যন্ত খেলতে চান। অস্ট্রেলিয়ার ব্যস্ত টেস্ট সূচির মধ্যে লায়ন নিজেকে কতদূর নিতে পারেন সেটার দেখার এখন।
অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বেশ ভালো অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া। ৮ উইকেটে ৩২৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা স্বাগতিকরা আজ আরও ৪৫ রান যোগ করে। এরপর ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে চা বিরতিতে গেছে।
ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার গুড়িয়ে দেওয়ার কাজ সারেন লায়নই। এই অফস্পিনার ওলি পোপ আর ডাকেটের উইকেট নেওয়ার আগে জ্যাক ক্রলিকে আউট করে প্রথম আঘাত করেন চোট থেকে ফেরা প্যাট কামিন্স।
আরও পড়ুন
| আইপিএল নিলামের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই চমক মোস্তাফিজের |
|
এরপর অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান জো রুটকে। কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ইংলিশ ব্যাটার। এ নিয়ে টেস্টে ১২বার রুটকে ড্রেসিংরুমে ফেরালেন কামিন্স, এই সংস্করণে আর কোনো বোলার ডানহাতি ব্যাটারকে আউট করতে পারেনি। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া হ্যারি ব্রুকের উইকেট নেন ক্যামরন গ্রিন। ৬৩ বলে ৪৫ করেন ব্রুক।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া শীর্ষ পাঁচ বোলার
শেন ওয়ার্ন (৭০৮)
নাথান লায়ন (৫৬৪*)
গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩)
মিচেল স্টার্ক (৪২০*)
ডেনিস লিলি (৩৫৫)

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসরের পর্দা উঠতে যাচ্ছে ২৬ ডিসেম্বর। আসন্ন টুর্নামেন্ট ঘিরে ইতোমধ্যেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা-আগ্রহ। আসরকে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও সফলভাবে আয়োজনে অঙ্গীকারবদ্ধ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
আজ বিসিবির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, খেলোয়াড়, দর্শক, ম্যাচ কর্মকর্তা এবং টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান লক্ষ্য।
বাংলাদেশ সরকারের জনসমাগম সংক্রান্ত বর্তমান নির্দেশনা অনুসরণ করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে এবারের বিপিএলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সমাপনী অনুষ্ঠান জমকালো করতে চায় গভর্নিং কাউন্সিল।
সরকারের পক্ষ থেকে বিপিএলের সূচিও ৪ দিন পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ ছিল। তবে সার্বিক দিক বিবেচনা করে পূর্ব নির্ধারিত সূচিতেই হবে দ্বাদশ আসর।