২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৫০ পিএম
এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ভারত। তবে বিতর্ক ও কথার লড়াই এখনও চলছে। ভারতের এই জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তবে মোদির এক্সে করা মোদির পোস্টে ছিল মাঠের বাইরে দুই দেশের বৈরি সম্পর্কের কথাও। পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।
ভারতের জয়ের পর মোদি এক্সে লিখেছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর খেলার মাঠেও। ফলাফল একই— ভারত জয়ী। আমাদের ক্রিকেটারদের অভিনন্দন।’
মোদির পোস্টের জবাব দিতে বেশি সময় নেয়নি পাকিস্তানও। পাল্ট জবাবে নাকভি লিখেছেন, ‘যদি যুদ্ধই আপনার গর্বের মাপকাঠি হয়, ইতিহাস ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের হাতে আপনার বিব্রতকর পরাজয়গুলোর রেকর্ড রেখেছে। কোনো ক্রিকেট ম্যাচই সেই সত্য পুনরায় লিখতে পারে না। খেলায় যুদ্ধ টানলে কেবল নিঃসাহসিকতার প্রকাশ ঘটে এবং খেলার চেতনাকেই লজ্জিত করে।’
এশিয়া কাপ নয়, হয়ে গেল যেন ‘বিতর্ক কাপ’! শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলার চেয়ে আলোচনায় ছিল বিতর্কিত সব কাণ্ড। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ট্রফি নেয়নি ভারত। এ আরেক নজিরবিহীন ঘটনা। পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগ জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফি পাচ্ছে না, এমন ঘটনা কখনো দেখেননি।
সালমানের অভিযোগ, ভারত শুধু পাকিস্তানকেই নয়, গোটা ক্রিকেটকেই অসম্মান করেছে এশিয়া কাপে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘ভারত আমাদের সঙ্গে হাত মেলায়নি, মহসিন নাকভির থেকে ট্রফি নেয়নি। ওরা আমাদের সঙ্গে যা করেছে, তাতে শুধু আমাদের অসম্মান করেনি, গোটা ক্রিকেটকে অসম্মান করেছে।’
No posts available.
২ অক্টোবর ২০২৫, ৫:২৫ পিএম
স্বর্ণা আক্তারের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারিতে পেছনের পায়ে গিয়ে না খেলে ছেড়ে দিলেন নাশরা সান্ধু। কিন্তু বল ছেড়ে দেওয়ার পর ওপরে উঠে গেল তার ব্যাট। সেখানেই ঘটল বিপত্তি। ব্যাটে লেগে এলোমেলো হয়ে গেল স্টাম্প। আর ইতিহাসের পাতায় উঠে গেল স্বর্ণা ও নাশরার নাম।
মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে বাংলাদেশের তরুণ স্পিনার স্বর্ণার বলে হিট উইকেট হয়েছেন পাকিস্তানের নাশরা সান্ধু। বিশ্বকাপের ৫২ বছরের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার দেখা গেল এই ঘটনা। সবশেষ হিট উইকেট হয়েছিল প্রথম আসরে।
১৯৭৩ সালে হওয়া প্রথম বিশ্বকাপে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো ও আন্তর্জাতিক একাদশের মধ্যকার ম্যাচে হিট উইকেট হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক একাদশের লিনেট স্মিথ। তাকে হিট উইকেট করে প্রথম হিট উইকেটের জন্ম দেন নোরা সেইন্ট রোজ।
বিশ্বকাপ তো বটেই, মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটেই সেটি ছিল প্রথম হিট উইকেট। এর প্রায় ৫২ বছর পর আবার হিট উইকেটের দেখা পেল মেয়েদের বিশ্বকাপ। এবার বোলার বাংলাদেশের স্বর্ণা আর ব্যাটার পাকিস্তানের নাশরা।
সব মিলিয়ে পাকিস্তানের প্রথম ও বিশ্বের নবম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে হিট উইকেট হয়েছে নাশরা। বাংলাদেশের বিপক্ষেও হিট উইকেট হওয়া প্রথম ক্রিকেটার পাকিস্তানের ২৭ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার।
এই হিট উইকেট ছাড়াও ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন স্বর্ণা। ৩.৩ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ৫ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে এটিই বাংলাদেশের বোলারদের সেরা বোলিং। গত বিশ্বকাপে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সালমা খাতুন।
সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের ব্যাটিংয়ের ধরন পুরোপুরি বদলে দিয়েছেন অভিষেক শর্মা। ইনিংসের প্রথম বল থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে তিনি দলকে নিয়মিতই এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। যার উদাহরণ দেখা গেছে সবশেষ এশিয়া কাপেও।
অভিষেকের এমন মারকাট ব্যাটিংয়ের পেছনে সাহস দিয়েছেন অধিনায়ক সুর্যকুমার যাদব। তরুণ ওপেনারকে তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, টানা ১৫ ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেও দল থেকে বাদ দেওয়া হবে না তাকে।
এশিয়া কাপ শেষে দেশে ফিরে ‘ব্রেকফাস্ট উইদ চ্যাম্পিয়ন্স’ অনুষ্ঠানে সূর্যকুমারের কাছ থেকে এই বার্তা পাওয়ার কথা বলেন অভিষেক।
“ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর শুরুর দিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন-চার ইনিংসে আমি দ্রুত আউট হয়ে গিয়েছিলাম। তখন তিনি (সূর্যকুমার) বলেছিলেন, ‘তুমি আমার জন্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, ১৫ ইনিংসে শূন্য রানে ফিরলেও পরের ম্যাচে তুমি খেলবে। এটা আমি তোমাকে লিখিত দিতে পারি।’ তাকে আমি পাল্টা জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘আপনি নিশ্চিত?’”
গত বছরের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় অভিষেকের। পাঁচ ম্যাচের ওই সিরিজে একটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। তবে এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো করতে পারেননি।
সব মিলিয়ে প্রথম ১০ ম্যাচের ৯ ইনিংসে বিশের কম গড়ে ১৭০ রান করেন অভিষেক। সেঞ্চুরি ছাড়া বাকি ৮ ইনিংস মিলিয়ে তিনি করেন মাত্র ৭০ রান। এরপরই মূলত সুর্যকুমারের কাছ থেকে ওই বার্তা পান অভিষেক।
তখন থেকেই নিজেকে ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় উঠে যান বাঁহাতি ওপেনার।
“অধিনায়কের ওই কথা আমার জন্য ছিল অনেক বড় ব্যাপার। তিনি বলেছিল ‘যতবারই (শূন্যতে) আউট হও, তুমি খেলবে।’ তখন একটা বিষয় আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, যদি ভালো করতে চাই এবং নিজেকে চেনাতে চাই, তাহলে আমাকে ভিন্ন কিছু করতে হবে।”
ওই দশ ম্যাচের পর খেলা ১৪ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরি ও ৫ ফিফটির সৌজন্যে ৪৮.৫০ গড় ও ২০৭.৬৪ স্ট্রাইক রেটে অভিষেকের সংগ্রহ ৬৭৯ রান।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৯৬.০৭ স্ট্রাইক রেটে অভিষেক করেছেন ৮৪৯ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ৫০০ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেটই সর্বোচ্চ।
এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ৯৩১ পয়েন্ট নিয়ে তিনি গড়েছেন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রেটিংয়ের বিশ্ব রেকর্ড।
পণ করেই হয়তো নেমেছিলেন স্বর্ণা আক্তার ও মারুফা আক্তাররা! যেভাবেই হোক পাকিস্তান নারী দলকে অল্পতে বেধে ফেলবেন, এমন সংকল্প হয়তো ছিল। পাকিস্তানকে মাত্র ১২৯ রানে থামিয়ে দেশের বোলাররা সেরে ফেলেছেন জয়ের অর্ধেক কাজ। যাত্রা শুভ করতে বাকি দায়িত্ব ফারজানা আক্তার-রুবাইয়া হায়দারদের।
কলম্বোতে নারী বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় দলটি। মারুফা আক্তারের গতি আর সুইংয়ে প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট হারায় পাকিস্তান। ওভারের পঞ্চম বলে ওমাইমা সোহেলকে বোল্ড করেন তিনি, পরের ডেলিভারিতেই ইনসুইংয়ে সিদরা আমিনের স্টাম্প এলোমেলো করে দেন।
দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন মুনিবা আলি ও রামিন শামিম। তবে জুটি বড় হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। মুনিবা ৩৫ বলে ১৭ রান করে ফেরেন ক্যাচ দিয়ে। কিছু সময় পরেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রামিন শামিমও (৩৯ বলে ২৩ রান)।
এরপর ছোট ছোট কয়েকটি জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও পাকিস্তানের মেয়েদের ইনিংস বড় হতে দেননি রাবেয়া আক্তার ও ফাহিমা খাতুনরা। শেষ পর্যন্ত ৩৮.৩ ওভারেই ১২৯ রানে থামে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন স্বর্ণা আক্তার। ৩.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ মেডেনসহ মাত্র ৫ রান খরচ করেন তিনি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এটিই সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। গত আসরে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সালমা খাতুন।
এছাড়া দুটি করে উইকেট তোলেন মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার।
আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে থেকে বিশ্বকাপের মূল আসরে জায়গা পাওয়া প্রথম দল নামিবিয়া। সেমি-ফাইনাল ম্যাচে তানজানিয়াকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেটের পাশাপাশি বিশ্বকাপও নিশ্চিত করে ফেলে জেরহার্ড এরাসমাসের দল।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে তানজানিয়াকে ৬৩ রানে হারায় নামিবিয়া। আগে ব্যাট করে তারা পায় ১৭৪ রানের সংগ্রহ। জবাবে পুরো ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেটে ১১১ রানের বেশি করতে পারেনি তানজানিয়া।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে নামিবিয়ার জয়ের নায়ক জেজে স্মিট। ব্যাট হাতে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৪১ বলে ৬৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। পরে বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
এ নিয়ে টানা চার বিশ্বকাপ খেলবে নামিবিয়া। ২০২১ সালের আসরে সুপার টুয়েলভে খেলেছিল তারা। পরে ২০২২ ও ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় দলটি। এবার ভারত ও শ্রীলঙ্কায় আবার দেখা যাবে তাদের।
একই দিন দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। ওই ম্যাচের জয়ী দল পাবে এই অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ও শেষ টিকেট। শনিবার সেমি-ফাইনাল জয়ী দুই দলকে নিয়ে হবে আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ।
এই দুই দলের বাইরে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে বিশ্বকাপ নেবে দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বিশ্বকাপের ফলের ভিত্তিতে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকেট পেয়েছে তারা।
সামনের বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করা ১৬তম দল নামিবিয়া। স্বাগতিক হিসেবে সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয় ভারত, শ্রীলঙ্কার। এছাড়া গত আসরের সুপার এইটে খেলা সাত দল- বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি বিশ্বকাপে যায়।
গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত র্যাঙ্কিং বিবেচনায় নিশ্চিত হয় আরও তিন দল- পাকিস্তান, নিউ জিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিশ্বকাপ অংশগ্রহণ।
পরে আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই থেকে মূল পর্বে যায় কানাডা। আর ইউরোপিয়ান অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে নেদারল্যান্ডস ও ইতালি। এবার আফ্রিকা অঞ্চল থেকে নামিবিয়াসহ আসবে আরও দুই দেশ।
আগামী ৮ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাই। সেখানে বাকি ৩টি টিকেটের জন্য লড়বে ৯ দেশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইএল টি-টোয়েন্টির নিলামে অবিক্রিত থাকার পর অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) পুরো মৌসুম খেলার জন্য চুক্তি করেছেন ভারতের অভিজ্ঞ অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
এর আগে প্রথম রাউন্ডের কিছু ম্যাচ ও পরে প্লে-অফে অংশ নেওয়ার জন্য সিডনি থান্ডারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ভারতের অভিজ্ঞ অফ স্পিনার। এবার পুরো মৌসুমের জন্য চুক্তি করলেন তিনি। ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অশ্বিন।
আইএল টি-টোয়েন্টির নিলামে অশ্বিন অংশ নিলেও প্রথম রাউন্ডে কোনো দল আগ্রহ দেখায়নি। পরে তিনি বাকি রাউন্ড থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। নিলামে ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্যে ছিলেন তিনি।
দল না পাওয়ার প্রসঙ্গে অশ্বিন বলেন, ‘এটাই এমন দাম যা আমি ন্যূনতম চেয়েছিলাম, আমার ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে মূল্য না পাওয়া পর্যন্ত খেলতে আগ্রহী নই।’
বেস প্রাইস না কমানোর বিষয়ে অশ্বিন বলেন, ‘আমি কয়েকদিন আগেই ভাবছিলাম আইএল টি-টোয়েন্টি থেকে নাম তুলে নেওয়ার কথা, কারণ থান্ডারের সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছিল। তবু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিলামে অংশ নিই। তবে বেস প্রাইস কমাতে রাজি ছিলাম না।’
অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ শুরু হবে চলতি বছরের ১৪ ডিসেম্বর। যা চলবে ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৮৭ ম্যাচে ৭৬৫টি উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। এর মধ্যে টেস্টে তার শিকার ৫৩৭টি, আইপিএলে ১৮৭ উইকেট।
অশ্বিন প্রথম ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেটার, যিনি ভারতের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিগ ব্যাশ লিগে খেলবেন। এর আগে উন্মুক্ত চাঁদ ও নিখিল চৌধুরী বিগ ব্যাশে খেললেও তারা কেউই কখনও ভারতের জাতীয় দলে জায়গা পাননি।