২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:২০ পিএম

২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর। পরবর্তী বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনে সুদানের বিপক্ষে আইভরি কোস্টের বাঁচা-মরা ম্যাচ। এমন এক শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই জয় করেন আটলান্টিক পাড়ের ফুটবলযোদ্ধারা। মুহূর্তেই মাঠ ছুঁয়ে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র দেশে। এরই মধ্যে দলনেতা দিদিয়ের দ্রগবার কমান্ডিং হাঁক, 'এসো, জড়ো হও!'
একত্র হলেন সবাই। এক কাতারে দাঁড়ালেন খেলোয়াড়-কোচিং স্টাফ। ড্রেসিংরুম নিস্তব্ধ-পিনপতন নিরবতা। পুরো আইভরি কোস্ট তখন টিভির সামনে, সরাসরি সম্প্রচারে দেখানো হচ্ছিল বিশেষ এই মুহূর্ত।
শান্ত কণ্ঠে দ্রগবা দিলেন যুদ্ধবন্ধের ডাক। আড়ষ্টতা ছাড়াই বলতে শুরু করেন, ‘নারী কিংবা পুরুষ, উত্তর কি দক্ষিণ, পূর্ব কি পশ্চিম; সব আজ এক। আজ প্রমাণ হয়েছে, একাগ্রতা ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাদের বিশ্বকাপের জন্য মনোনীত করেছে। আমরা একসঙ্গে বিশ্বকাপ খেলব।’
দ্রগবার মিনিটখানেকের বক্তব্য জাতীয়ভাবে খ্যাতি এনে তো দিলই, বিশ্বব্যাপী ফলাও করে প্রচার হলো এই সংবাদ। আইভরি কোস্টে সেদিন পুরো দিন-রাত টিভিতে কেবল চলতে থাকল একই ভিডিও। এক হয়ে গেলেন বিদ্রোহী নেতা ও প্রেসিডেন্ট! সমঝোতা স্মারকে সই করলেন দুই নেতা। চিরতরে অবসান হলো যুদ্ধ।
ক্রীড়াতে এমন ঘটনা আরও আছে। আছে বিপরীত দৃশ্যও। অর্থের পেছনে ছুটতে থাকা ভোগবাদী বিশ্বের কাছে এখন বিনোদনের (খেলা) চেয়ে টাকাই মুখ্য। মেটাফরসিসের সেই কীটপতঙ্গে রূপ নিয়েছে এখনকার ক্রীড়া। যা প্রয়োজনের চেয়ে অধিকতর বিরক্তির।
বিশেষত, এখন মাঠে খেলার নামে চলে বানিজ্য—আইসিসি, এসিসির মূখ্য গৌণ লক্ষ্য অর্থের ঝনঝনানি। সম্প্রচার চ্যানেলের টিআরপি ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ, কর্পোরেট বিলাসিতা—যা অস্থিরতা তৈরিতে ভূমিকা রাখছে উপমহাদেশের ভূরাজনৈতীতেও।
এশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক; সবশেষ ১০-১২টি বৈশ্বয়িক টুনার্মেন্টে ভারত-পাকিস্তান প্রায় একই গ্রুপে। সুডোকুর সহজ চকের মতো কায়দা করে মিলিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। দু'পক্ষের চাওয়ার চেয়েও আয়োজক কমিটির আগ্রহটাই এখানে প্রাধান্য। এটাই বিজনেসের খেল।
ম্যাচের ফল যাই হোক, সমর্থকদের উচ্ছ্বাস পুঁজি করে অগ্রীম টিকিট বিক্রি, সম্প্রচার চ্যানেলের হাইপ, স্টেডিয়াম কেন্দ্রিক হোটেল-মোটেল মালিকদের ফুলে ফেঁপে ওঠাও এক প্রকার গোপন মিশন।
ছোট্ট একটি হিসাব—সবশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এটি টেলিভিশনে ২৬ বিলিয়ন মিনিটেরও বেশি দর্শক দেখেন। এর আগে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখেছিল ১৯.৫ বিলিয়ন মিনিট। যা সম্প্রচার সত্ত্ব এবং স্পন্সরশিপ গ্রহীতাদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের কারণ। চড়ামূল্যে বিক্রি ও নিলামের অন্যতম আকর্ষণ এমন আলোচনা।
দর্শক আগ্রহের সঙ্গে সূত্রপাত আছে অর্থেরও। ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিক ট্যাকার তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৭তম এশিয়া কাপে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এককভাবে প্রায় ১.১ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ৩৪০ মিলিয়ন ভারতীয় রুপি) আয় করবে। প্রতিটি ম্যাচ থেকে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের আয় প্রায় ১৮৩ মিলিয়ন পিআর (প্রায় ৫৬ মিলিয়ন ভারতীয় রুপি)। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ থেকে আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে।
ক্রিকেটের সঙ্গে যাদের সখ্যতা দীর্ঘদিনের, ক্রিকেট যারা বুঝেন বা খোঁজ রাখেন কিংবা স্মৃতিতে রাখেন ৯০ দশকের সাদা-কালো ম্যাচ, তাদের জানারই কথা-উপমহাদেশ তো বটেই, বৈশ্বিক টুনার্মেন্টেও প্রতিবেশি দু'দলকে রাখা হতো আলাদা গ্রুপে। তখন পাকিস্তান-ভারত নিয়ে আলাদা উন্মাদনা ছিল না, তা কিন্তু নয়। উচ্ছ্বাসের সব জমা থাকতো শেষ চার বা শিরোপার মঞ্চের জন্য।
১৯৯২ বলুন আর ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। কথা হতে পারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কিংবা এশিয়া কাপ নিয়েও—তখন মূলত খেলাটাই হতো। সম্প্রতির বন্ধন আর সম্পর্কের অটুট দৃশ্য ধরা পড়তো প্রায়শঃ। বাইরে যাই হোক, পাকিস্তান-ভারত ক্রিকেটারদের সম্পর্ক ছিল গাঢ়। খেলার বাইরেও আত্মীয় গড়ে ওঠেছিল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা কিংবা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মাঝে। সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলের বাড়িতে শচীন টেন্ডুলকারদের দাওয়াত গ্রহণ কিংবা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে রাহুল দ্রাবিড়ের সম্পর্ক। সম্পর্ক ছিল শ্রীলঙ্কার জয়সূরিয়া-জয়াবর্ধনেদের সঙ্গে হাবিবুল বাশার-খালেদ মাহমুদেরও।
সময় বদলেছে। এখন মাঠের খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে সম্পর্ক নষ্টের কারণ। ভারত-পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ; উপমহাদেশীয় চার দেশের খেলা মানেই অলিখিত রাইভাল। যা মাঠ ছাড়িয়ে টেলিভিশনের টকশো কিংবা সাবেকদের তর্কবিতর্কের খোরাক।
এশিয়া কাপের প্রথম মুখোমুখিতে হাত মেলায়নি ভারত-পাকিস্তানের দুই অধিনায়ক সালমান আলি আগা ও সূর্যকুমার যাদব। গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচ নিয়ে রীতিমত যুদ্ধ যুদ্ধ রব। আইসিসির দ্বারস্থ পিসিবি। রেফারিকে মাফ চাওয়ানোর বাড়াবাড়ি। দ্বিতীয় সাক্ষাতেও একই দৃশপট। ভুল শুধরানো তো দূরের ব্যাপার, তিক্ততার পারদ ছিল উর্ধ্বে।
ক্রিকেট মাঠের এই নোংরা অধ্যায়ে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার নামও। গত কয়েকবছর ধরে সিংহ-বাঘের খেলা মানেই অঘোষিত যুদ্ধ। নাগিন ড্যান্স, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, তেড়েফুঁড়ে ছুটে যাওয়া, একে অন্যকে সহ্য না করার প্রবনতা এখন বেশিই দেখা যায়।
বছর দশক আগেও এমন পরিবেশ ছিল না। একটা সুষম প্রীতির বন্ধন দেখা যেত ক্রিকেটে। বাইশ গজের লড়াই কেবল মাঠেই সীমাবদ্ধ ছিল।
ক্রমান্বয়ে ফাটল ধরা সম্পর্কগুলোকে আরও উসকে দিতেই ইচ্ছাকৃতভাবে। অহেতুক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখানোর মিডিয়া ট্রায়াল চলছে হারহামেশা। আয়োজক কমিটিরও একই প্রতিপক্ষকে বারবার মুখোমুখি করানোর অপ্রাণ চেষ্টা। মূলত টিআরপি ধরে রাখতেই একই ঘটনা বারবার দেখানো হয় মিডিয়ায়।
চলতে থাকে আলোচনা সমালোচনা। ফরম্যাটে হয় পরিবর্তন। তদুপরি সম্পর্কগুলো হয় আরো নিম্নমুখী।
অথচ ক্রিকেটে হয়ে উঠতে পারতো শান্তির পায়রা। ক্রীড়া কেবল হাসাতে আর কাঁদাতে জানে না, যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তিও ফিরিয়ে আনতে পারে। মনুষ্যত্ব লোপের সঙ্গে একথাও ভুলে গেলো সকলে।
No posts available.
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩১ পিএম
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১২ পিএম
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৫৬ পিএম

পাঁচ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন দক্ষিণ আফ্রিকার গতির তারকা আনরিখ নরকিয়া। ঘরোয়া প্রতিযোগিতা সিএসএ টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ দিয়েই মাঠে ফেরার অপেক্ষায় তিনি। চলতি বছরের মে মাসে আইপিএলে খেলার পর থেকেই মাঠের বাইরে নরকিয়া।
মানসিকভাবে অসুস্থতার কারণে জুনে মেজর লিগ ক্রিকেটে খেলতে পারেননি নরকিয়া। একই কারণে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন না দলের সঙ্গে। সর্বশেষ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন ৩১ বছর বয়সি এই পেসার।
টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জের নতুন আসরে ডলফিনসের হয়ে খেলবেন নরকিয়া । শনিবার কিংসমিডে টাস্কার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরার কথা রয়েছে। তাঁর। দীর্ঘ পুনর্বাসনের পর মাঠে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত ডান হাতি এই পেসার বলেছেন, ‘পুনর্বাসনের শেষ সময়টা সবচেয়ে কঠিন মনে হয়েছে। কারণ তখন মাঠে ফেরার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। এখন আবার খেলার সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত।’
টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ শুরু হবে ২৯ অক্টোবর এবং চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। আটটি দল একবার করে একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। এরপর এলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত আগস্টে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার রাতে বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে, চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনও তাদের কাছে জমা পড়েছে।
বিসিবিকে দেওয়া প্রতিবেদনের আকার প্রায় ৯০০ পৃষ্ঠা। এতে বিপিএলের দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যপ্রণালি ও পরিচালনাগত ত্রুটি তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক পুনর্গঠন, ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রক্রিয়া, খেলোয়াড়দের সুরক্ষা বাড়ানো, ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সবার জন্য যোগাযোগ কাঠামো আরও শক্তিশালী করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কাজ শেষ হলেও এখনই বিসিবি সব তথ্য প্রকাশ করবে না। চলমান প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্যও করেনি দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। স্বাধীন তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো বিসিবি বিবেচনায় নেবে এবং আইসিসির দুর্নীতি দমন কোড অনুযায়ী নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনে আরও তদন্ত করবে।
দেশীয় ক্রিকেটকে নিরাপদ রাখতে বিসিবি একটি স্বাধীন ইন্টিগ্রিটি ইউনিট গঠন করেছে। ইউনিটটির নেতৃত্বে থাকবেন একজন স্বাধীন চেয়ারম্যান, যা বোর্ডের স্বচ্ছতা ও নিয়মভিত্তিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করবে।

ইংল্যান্ড ক্রিকেটে বিশেষ অবদানের জন্য জেমস অ্যান্ডারসনকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। আজ উইন্ডসর ক্যাসেলে প্রিন্সেস অ্যানের হাত থেকে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন দেশের কিংবদন্তি পেসার।
ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গর্বের উপাধি নাইটহুড। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সম্মাননা তালিকায় একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে নাম ছিল অ্যান্ডারসনের। পুরস্কার গ্রহণের পর থেকে তার নামের আগে ‘স্যার’ যুক্ত হলো।
অ্যান্ডারসনের শৈশবের ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছে,
"স্যার জেমস অ্যান্ডারসন! আজ উইন্ডসর ক্যাসেলে প্রিন্সেস অ্যানের কাছ থেকে নাইটহুড গ্রহণ করেছেন। সর্বকালের সেরা ফাস্ট বোলার।"
২২ বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া অ্যান্ডারসন ২০২৪ সালের জুলাইয়ে টেস্ট থেকে অবসর নেন। ১৮৮ টেস্টে ৭০৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ এবং বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। তাঁর সামনে কেবল মুত্তিয়া মুরালিধরন ও শেন ওয়ার্ন।
২০২০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাউদাম্পটনে ইতিহাস গড়েন অ্যান্ডারসন, টেস্টে প্রথম ফাস্ট বোলার হিসেবে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের জুটি টেস্ট ক্রিকেটে ইতিহাসের অন্যতম সেরা। দুজন মিলে নেন ১২শর বেশি উইকেট এবং ইংল্যান্ডকে উপহার দেন চারটি অ্যাশেজ সিরিজ।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে অ্যালেক্স ক্যারির ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোটে পড়েন ভারতের সহ-অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। সেই চোটের কারণে সিডনির এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এই ব্যাটারকে। আইয়ারের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন তথ্য জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। ভারতীয় এই ব্যাটারের পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও পাঁচ থেকে সাত দিন সময় প্রয়োজন।
আজ ক্রিকবাজের সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর আইয়ার এখন স্থিতিশীল রয়েছেন। তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখন স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন, বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং নিজেই ছোটোখাটো কাজ সারছেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আইয়ারের শারীরিক অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে। বিসিসিআই পরিবারের এক সদস্যকে সিডনিতে পাঠানোরও ব্যবস্থা করছে বলে জানিয়েছে ক্রিকবাজ।
আরও পড়ুন
| এশিয়া কাপ থেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভারতের |
|
আইয়ারের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আপডেট দিয়েছেন ভারতীয় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। আজ টি টোয়েন্টি সিরিজের আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
'ওর (সূর্যকুমার) চোটের খবর জানার পরই প্রথম দিন আমি ফোন করি। তখন জানলাম, ওর ফোন নেই। তাই ফিজিও কামলেশকে ফোন করি। উনি জানান, আইয়ার স্থিতিশীল। এখন কথা বলছে, মেসেজের জবাব দিচ্ছে। সবকিছু ভালোই আছে। ও বলেছে, আরও কয়েকদিন নিজের যত্ন নেবে। তবে ওর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে ভালো খবর।'
আরও পড়ুন
| র্যাঙ্কিংয়ের তিন বিভাগেই সেরা তিনে অজি অলরাউন্ডার |
|
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে জিতলেও, ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে ভারত। আগামীকাল থেকে শুরু পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজের টি-টোয়েন্টি দলে নেই আইয়ার। ভারতের পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। রাঁচিতে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু সেই সিরিজ।

আগামী বছর ভারতে বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর। সহযোগী আয়োজক হিসেবে থাকছে শ্রীলঙ্কা। আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতি এশিয়া কাপ থেকেই নেওয়া শুরু করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন দলটির অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিরই অংশ বলছেন সূর্যকুমার,
'প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল এশিয়া কাপ দিয়েই, এখনও তা চলমান। এটা ভাবছি না যে, বিদেশে এসে খেলছি বলে এটি আলাদা সিরিজ। এটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিরই অংশ, তবে একই সঙ্গে এটা চ্যালেঞ্জিংও, তাই আমি নিশ্চিত দারুণ সিরিজ হবে।'
আরও পড়ুন
| র্যাঙ্কিংয়ের তিন বিভাগেই সেরা তিনে অজি অলরাউন্ডার |
|
ওয়ানডে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে ভারত। সাম্প্রতিক পাওয়ার-প্লেতে আগ্রাসী ব্যাটিং করছেন মিচেল মার্শরা। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং নিয়ে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার বলেন,
'এটা সবসময়ই চ্যালেঞ্জ। আমরা দেখেছি তারা (অস্ট্রেলিয়া) কীভাবে ওয়ানডে সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে। পাওয়ার-প্লে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।'
ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন না ভারতের অভিজ্ঞ পেসার জাসপ্রিত বুমরা। কাল টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফিরছেন তিনি। কীভাবে ভালো প্রস্তুতি নিতে হয় সেটি বুমরাহ ভালো জানেন বলে মনে করেন ভারত অধিনায়ক,
'সে (বুমরাহ) এত বছর ধরে যেভাবে ক্রিকেট খেলছে, নিজেকে সবসময় সেরা পর্যায়ে রেখেছে। সে জানে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়, কীভাবে খেলতে হয়। আমি মনে করি দলের মধ্যে সে-ই এদেশে (দক্ষিণ আফ্রিকা) সবচেয়ে বেশি এসেছে, সবাই তার সঙ্গে কথা বলেছে।'
আরও পড়ুন
| শেষ দিনে জিসানের ৩ রানের আক্ষেপ |
|
ভারত দলে অনেক বিকল্প থাকায় একাদশ নির্বাচন করাও কঠিন বলে মনে করেন সূর্যকুমার,
'এটা এক ধরনের মাথাব্যথা, এত বিকল্প আছে দলে! পেসার, স্পিনার, ওপেনার থেকে সাত নম্বর পর্যন্ত ব্যাটিং অপশন। তাই যাদের খেলানো যাচ্ছে না, তাদের বোঝানো একটু কঠিন।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে চোটের কারণে খেলতে পারেননি অলরাউন্ডার নীতিশ কুমার রেড্ডি। টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ফিরছেন তিনি। সূর্যকুমার বলেন,
'আমার মনে হয় সে ভালো আছে। গতকাল কিছুটা রান করেছে, নেটে ব্যাটিং করেছে। আজ ঐচ্ছিক অনুশীলন, তাই বিশ্রাম নিয়েছে।’
মানুকা ওভালে আগামীকাল ম্যাচটি হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া দুইটায়।