ক্রিকেট

অফ স্পিনার নাঈমে লিড, ড্র-র পথে গল টেস্ট

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

২০ জুন ২০২৫, ৭:২৭ পিএম

news-details

গল টেস্টে চতুর্থ দিন বাংলাদেশ দলকে যেমনটা দেখতে চেয়েছেন সমর্থকরা, তেমনটাই দেখতে পেরেছেন। তৃতীয় দিন শেষে ৩৬৪/৪ স্কোর নিয়ে লিডের স্বপ্ন দেখেছে শ্রীলঙ্কা। অফ স্পিনার নাঈম হাসানের ভয়ংকর এক স্পেলে (৩.৩-০-৫-৩) সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ১০ রানের লিড নিয়ে দিনের শেষ দুই সেশন নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেয়ার পরীক্ষাটা ভালই দিয়েছে বাংলাদেশ টপ ও মিডল অর্ডাররা। প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান শান্ত ৫৬ এবং মুশফিক২২ রানে আছেন অবিচ্ছিন্ন। প্রথম ইনিংসে ২৬৪ রানের পার্টনারশিপে উদ্বুদ্ধ এই জুটি ইতোমধ্যে যোগ করেছেন ৪৯ রান। চতুর্থ দিন শেষে ১৮৭ রানের লিড নিয়ে গল টেস্টের চিত্রনাট্য তৈরি করেছে বাংলাদেশ। 


অলৌকিক কোনো দুর্ঘটনা না হলে ড্র'র দিকে ধাবিত এখন টেস্টটি।

২০১৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে চট্টগ্রামের ছেলে নিজের হোম গ্রাউন্ডে টেস্ট অভিষেকে করেছিলেন দারুণ কৃতি। টেস্ট অভিষেকে চেনা মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পেয়েছিলেন ৫ উইকেট (৫/৬১)। ২০২০সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ও ৫ উইকেটের  (৫/৮২) কৃতি আছে তার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের হোম গ্রাউন্ড চট্টগ্রামে ২০২২ সালে করেছেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং (৬/১০৬)। অথচ, টেস্ট দলে তাইজুল-মিরাজ  অপরিহার্য, ব্রাত্য সেখানে নাঈম হাসান। ৭ বছরে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১৩টি। বিদেশের মাটিতে এর আগে একবারই কেবল সুযোগ পেয়েছেন, ২০১৯ সালে কনকাশন সাব হিসেবে পিঙ্ক বলের টেস্টে খেলার সেই সুযোগ পেলেও বল হাতে নিতে পারেননি। 


অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ইনজুরিতে না পড়লে গল টেস্টে নাঈম হাসানের একাদশে থাকার সম্ভাবনা ছিল না। সেই ব্যাক আপ অফ স্পিনারই অসাধ্য সাধন করেছেন। বিদেশের মাটিতে এই প্রথম টেস্টে বল হাতে নিয়ে দেখেছেন ইনিংসে ৫ উইকেটের মুখ। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কা যখন লিডের সম্ভাবনা দেখেছে, তখনই নাঈম হাসান সে সম্ভাবনা নাস্যাৎ করে দিয়েছেন। লাঞ্চ ব্রেকের পর মাত্র ২০ রানে শ্রীলঙ্কার শেষ ৪ উইকেট গেছে উড়ে, সেই ৪টি উইকেটের ৩টিই নাঈমের। লাঞ্চের পর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে  সেঞ্চুরির পথে পাঁ বাড়ানো কামিন্দু মেন্ডিজকে মিডল এন্ড অফ স্ট্যাম্পে পিচিং ডেলিভারিতে ফ্লিক শটের ফাঁদে ফেলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন। ৮৭ রানে কামিন্দুকে থামিয়ে দিয়ে ৮৪ রানের পার্টনারশিপ ভেঙ্গে ওই ওভারের শেষ বলে কুইকারে বোল্ড করেছেন থারিন্দু রত্নায়েককে (০)। নিজের এক ওভার বিরতি দিয়ে টেল এন্ডার আসিথা ফার্নান্ডোকে (৪) রিভার্স সুইপের পাতা ফাঁদ ফেলে বোল্ড করেছেন।


তৃতীয় দিন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কা ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলে চতুর্থ দিন পূর্ণ করেছেন ক্যারিয়ারের ৪র্থ ৫ উইকেট (৪৩.২-৪-১২১-৫)। পেসার হাসান মাহমুদ চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের গর্জনে পেয়েছেন ২ উইকেট। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (১৯) এবং কুশল মেন্ডিজকে (৫) ফিরিয়ে দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। যে দুটি উইকেটের ভাগীদার উইকেট কিপার লিটন। দুটি ক্যাচই নিয়েছেন লিটন বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে! নাঈম হাসানের ৫ উইকেটের পাশে (৫/১২১) হাসান মাহমুদের ৩ উইকেট (৩/৭৪)। তাতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয়বারের মতো প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পেরেছে বাংলাদেশ।


প্রথম ইনিংসে যে ব্যাটাররা ছিলেন অফ ফর্মে, দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের দিকে চোখ ছিল সবার। কিন্তু ওপেনার বিজয় জানিয়ে দিলেন তিনি টেস্ট খেলতে ইচ্ছুক নন। টেস্টে ১ যুগে মাত্র ৭ টেস্ট খেলার সুযোগ নিয়ে এতোদিন নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের উপর বিরক্তিবোধ এখন আর প্রকাশ করার উপায় নেই তার। গল-এ ব্যাটিং স্বর্গে প্রথম ইনিংসে ০'র পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানে থেমেছেন। প্রবথ জয়সুরিয়ার আউটসাইড অফ-এ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ। মুমিনুল থেমেছেন ১৪ রানে, থারিন্দুর বলে সুইপ করতে যেয়ে ব্যাট হয়ে হেলমেটে বল লেগে দিক পরিবর্তন করে শর্ট পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন। প্রথম ইনিংসের হতাশা কাটিয়ে সেঞ্চুরির পথে ছিলেন সাদমান। তবে ৬ষ্ঠ ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পূর্ণ করতে পারেননি এই ওপেনার। শ্রীলংকা পেসার মিলান রত্নায়েকের বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে ব্যাক প্যাডে লেগেছে বলের আঘাত, এলবিডাব্লুউতে থেমেছেন সাদমান ৭৬ রানে। ১২৬ বলের মোকাবেলায় ৭টি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি এই ইনিংসে।


চতুর্থ দিনে পিচে বল পড়ে খানিকটা নিচু বাউন্স হয়েছে। আনইভেন বাউন্সও দেখা গেছে। ৫ম দিনে স্পিনাররা ছড়াতে পারে আতঙ্ক, তেমন পূর্বাভাসই পাওয়া যাচ্ছে। তবে চতুর্থ ইনিংসে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জের আগে তৃতীয় ইনিংসে নিজেদের ব্যাটিংয়ের দিকে মনোনিবেশ করাটাই উত্তম। পঞ্চম দিনটি হোক আরও উজ্জ্বল। উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরির কৃতি গড়ুক শান্ত-মুশফিক। গল টেস্টের শেষ দিনে সেদিকেই তাকিয়ে এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।

ক্রিকেট থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo

ক্রিকেট

৫৪ টেস্ট পর বাদ পড়লেন লাবুশেন, চোটে ছিটকে দিল স্মিথকে

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

২০ জুন ২০২৫, ১:০৯ পিএম

news-details

লম্বা সময় ধরে ব্যাটে নেই রানের দেখা। অভিজ্ঞতার বিচারে তবুও বারবার দলে ধরে রাখছিলেন জায়গা। শেষ পর্যন্ত খেলেছেন ওপেনার হিসেবেও। তাতেও আর শেষ রক্ষা হলো না মার্নাস লাবুশেনের। ফর্মহীনতার কারণে ডানহাতি এই ব্যাটারকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্টে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। 

 

পাশাপাশি এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া পাবে না আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথকেও। চোটের কারণে খেলতে পারবেন না এই তারকা ব্যাটার। তাদের দুজনের জায়গায় প্রথম ম্যাচের দলে এসেছেন স্যাম কনস্টাস ও জশ ইংলিশ।

 

বার্বাডোজে আগামী ২৫ জুন শুরু হবে প্রথম টেস্ট। তার পাঁচদিন আগেই এই ঘোষণা এসেছে, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপে বড় পরিবর্তনেরই আভাস দিচ্ছে। সবশেষ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা ব্যাটিং অর্ডারে আসতে যাচ্ছে রদবদল।

 

সেই ফাইনালে অনেকটা সময় ধরেই রানের জন্য ধুঁকতে থাকা লাবুশেনকে দলে রাখা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। তবে শেষ অবধি টিকে যান ওপেনার হিসেবে। তবে সেই ভূমিকাতেও ছন্দ ফিরে পাননি তিনি। দুই ইনিংসে করেন ১৭ ও ২২ রান। লাল বলের ক্রিকেটে গেল দুই বছর ধরেই ফর্মহীনতার মধ্যে আছেন তিনি, যা তাকে এবার দল থেকেই ছিটকে দিয়েছে।

 

আর স্মিথ সেই ফাইনালের তৃতীয় দিন স্লিপে টেম্বা বাভুমার একটি ক্যাচ ধরতে গিয়ে ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে আঘাত পান। সার্জারির প্রয়োজন না হলেও তাকে অন্তত ৮ সপ্তাহের জন্য স্প্লিন্ট পরতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকরা আশাবাদী, টেস্ট সিরিজের পরবর্তী অংশে তিনি দলে ফিরতে পারবেন।

 

লাবুশেন বাদ পড়ায় ওপেনার হিসেবে আবার দলে ফিরছেন কনস্টাস। এই ফরম্যাটে তার অভিজ্ঞতা ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্টে, যার প্রথমটিই ছিল তার অভিষেক। আর শুরুটা করেন ৬৫ বলে ৬০ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস দিয়ে। এরপর আর মাঠে নামা হয়নি তার। 

 

আর মিডল স্মিথের পজিশনে চারে খেলবেন ইংলিস। কিপার-ব্যাটার হলেও এই টেস্টে তাকে দেখা যাবে স্পেশালিষ্ট ব্যাটার হিসেবেই। চলতি বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে টেস্ট অভিষেকেই করেন সেঞ্চুরি। এবার চোট সমস্যার জন্য নিজেকে প্রমাণের আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন ইংলিস।

bottom-logo

ক্রিকেট

নির্বিষ বোলিংয়ের পাশে ক্যাচ ড্রপ, লিডের পূর্বাভাস দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা

 
শামীম চৌধুরী
শামীম চৌধুরী
ঢাকা

১৯ জুন ২০২৫, ৬:৪৭ পিএম

news-details

খেলা যতোই গড়িয়েছে, ততোই ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠেছে গল-এর উইকেট। তৃতীয় দিনের শেষ বেলাতেও উইকেটে ধরেনি ফাটল। স্লো উইকেটের ফাঁদেও পড়তে হয়নি ব্যাটারদের। বল পিচ করে আনইভেন বাউন্স হয়েছে, এমনটাও যায়নি দেখা। যেমনটা চেয়েছেন, সেভাবেই বল এসেছে ব্যাটে। এমন সুন্দর পিচ বোলারদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। শান্ত-মুশফিকুরের জোড়া সেঞ্চুরির ইনিংসে ৪৯৫-কে অনেক মনে করেছেন যারা, তারাই এখন দেখছেন স্বাগতিক দলের লিড নেয়ার পূর্বাভাস। তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩৬৮/৪ সে আভাসই দিচ্ছে। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ১২৭ রান। প্রথম ইনিংসে লিড নিতে তাই চতুর্থ দিনের শুরুটা তাই বাংলাদেশ বোলারদের কাছে এসিড টেস্ট। 


টেস্ট ক্রিকেট এখন আর সংযমী ব্যাটিংয়ের পরীক্ষা নয়, বোলারদের উপর প্রতি আক্রমন করে স্ট্রাইক রেট বাড়িয়ে নেয়ারও খেলা। বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে সেই ফর্মুলাই বেছে নিয়েছেন লংকান ব্যাটাররা। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৩, শেষ সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তুলে প্রকারান্তরে তা জানিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ যেখানে ওভারপ্রতি ৩.২২ রান উঠিয়েছে স্কোরশিটে, সেখানে তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার রান রেট ৩.৯৫। 

চার বোলার নিয়ে একাদশ সাজানোটা যে ভুল ছিল, তা এদিন ভালই টের পেয়েছেন কোচ ফিল সিমন্স। অনবরত ১৪০ প্লাস কিলোমিটার গতিতে বল করে, শর্ট বলের ছড়াছড়ি দিয়ে বরং প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের স্বাচ্ছন্দে রান করার পথ প্রশস্ত করেছেন পেসার নাহিদ রানা। ওভারপ্রতি ৫.০০ রান খরচ করেছেন নাহিদ রানা। বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুলের বোলিং নির্বিষ করে দিয়েছে লঙ্কান ব্যাটাররা। লাহিরু উদানাকে শিকারের বিপরীতে তার খরচা ১২৬-কে একটু বেশিই খরুচে মনে হচ্ছে। অফ স্পিনার নাঈম হাসান প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ফাঁদে ফেলতে কম চেষ্টা করেননি। নিশাঙ্কাকে শর্ট ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ফিরিয়ে দেয়ার সম্ভাবনাও তৈরি করে দিয়েছিলেন। তবে মুমিনুলের হাত থেকে ফসকে পড়েছে সেই ক্যাচ। যে পার্টনারশিপ থেমে যেতে পারতো ৩৪ রানে, ক্যাচ ড্রপে সেই পার্টনারশিপ থেমেছে ১৫৭-তে। ৩৬ রানের মাথায় জীবন ফিরে পাওয়া পাথুম নিশাঙ্কা ঘরের মাঠে প্রথম এবং ক্যারিয়ারসেরা ১৮৭ রানের ইনিংস দিয়েছেন উপহার। তবে নিশাঙ্কাকে শিকার করতে না পারলেও পাহাড় হয়ে দাঁড়ানো দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভেঙেছেন নাঈম হাসান। কুইকার ডেলিভারিতে লেগ স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি ৫৪ রানের মাথায়।


ফেয়ারওয়েল টেস্টে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ৪ নম্বরে নেমে ম্যাথুউজ পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের বোলার ফিল্ডারদের গার্ড অব অনার। তবে ফেয়ারওয়েল টেস্টের আবেগ ভালই স্পর্শ করেছে এই অলরাউন্ডারকে। অকেশনাল স্পিনার মুমিনুলের টার্নিং ডেলিভারিতে ফ্রন্টফুটে ডিফেন্স করতে যেয়ে উইসকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ম্যাথুউজ। ৩৯ রানে থেমে গেছেন ম্যাথুউজ। দ্বিতীয় স্পেলের চতুর্থ বলে মুমিনুল দিয়েছেন ব্রেক থ্রু, ভেঙেছেন ৮৯ রানের পার্টনারশিপ।   

দিনের সেরা ডেলিভারিটি অবশ্য দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় নতুন বল হাতে পেয়ে তৃতীয় ডেলিভারিতে বোকা বানিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখা পাথুম নিশাঙ্কাকে। জোড়া পায়ে ডিফেন্স করতে চেয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। মিডল স্ট্যাম্পে আঘাত হেনেছে হাসান মাহমুদের অ্যাঙ্গেল ডেলিভারি। ৩৬ এবং ১৬৫ রানে বেঁচে যাওয়া পাথুম থেমেছেন ১৮৭ রানে। ২৫৬ বল মোকাবেলার যে ইনিংসে ২৩ টি বাউন্ডারির পাশে মেরেছেন ১টি ছক্কা।

গল টেস্টে ৫শ থেকে ৫ রান দূরে থেমেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। তৃতীয় দিন সকালে ১৬ বল টিকেছে বাংলাদেষের ইনিংস। যোগ করেছে ১১ রান। আসিথার বলে নাহিদ রানা উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে বাংলাদেশ থেমেছে ৪৯৫-তে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সফল বোলার আসিথা পেয়েছেন ৪ উইকেট (৪/৮৬)।


ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচে শ্রীলঙ্কার দুই পেসার মিলান রত্নায়েক (৩/৩৯)-আসিথা ফার্নান্দো (৪/৮৬) ছড়ি ঘুরিয়েছেন। এখন তার জবাব দেয়ার পালা বাংলাদেশের দুই পেসারের। দ্বিতীয় নতুন বলে তৃতীয় দিনের শেষ ৮ ওভার হয়েছে। এখনো নতুন চকচকে দেখাচ্ছে বলটা। চতুর্থ দিনের সকালে বলের সীম- সুইং কতোটা আদায় করতে পারে নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদ, তার উপর নির্ভর করছে গল টেস্টের ভাগ্য।

bottom-logo

ক্রিকেট

একগুচ্ছ রেকর্ডের পথে বৃষ্টির বাধা

 
শামীম চৌধুরী
শামীম চৌধুরী
ঢাকা

১৮ জুন ২০২৫, ৬:৫৬ পিএম

news-details

প্রথম দিন শেষে ১৩৬ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকা শান্ত'র কাছে দ্বিতীয় দিন ডাবল সেঞ্চুরির প্রত্যাশা ছিল মুশফিকুর রহিমের। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি গল-এ করেছেন বলেই ১০ বছর আগের সেই ইনিংসের পুনরাবৃত্তি মুশফিকুরের কাছেও ছিল প্রত্যাশিত। তবে রঙ বদলের খেলা টেস্ট গল-এ দ্বিতীয় দিন বদলেছে রঙ। শান্ত-মুশফিককে ঘিরে দেখা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। এক ইনিংসে তিন সেঞ্চুরির সম্ভাবনার পথটাও হয়েছে অমসৃন। 

  

 গল টেস্টের প্রথম দিন যেভাবে শেষ করেছে শান্ত-মুশফিক, তাতে ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি এই ভেন্যুতে আরও একবার ৬শ প্লাস স্কোরের আবহ ছিল। তবে লাঞ্চ ব্রেকের পর বৃষ্টি বাংলাদেশের সে সম্ভাবনার পথে বাধার দেয়াল তৈরি করেছে। দুপুর ২টা ১০ মিনিটের বৃষ্টিতে পুনরায় খেলা শুরু করতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। তাতেই ছন্দপতন হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। বৃষ্টির আগে ৪২৩/৪ স্কোর থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ ৪৮৪/৯-এ।


 যে উইকেটে প্রথম ৪ সেশন পেসারদের নির্বিষ বোলিংয়ে স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করেছে শান্ত-মুশফিক-লিটন, সেই পিচেই দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে শ্রীলঙ্কা পেসার মিলান রত্নায়েকের ভয়ংকর এক স্পেলে (৩-১-৮-৩) বাংলাদেশ ৬১ রানে হারিয়েছে ৫ উইকেট।


গল টেস্টের প্রথম দিন শেষে শান্ত-মুশফিকুরের ২৪৭ রানের পার্টনারশিপ অনেক বড় কিছুর স্বপ্ন দেখিয়েছে। প্রথম দিনের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ আর মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারলে ৪র্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ দেখতো বিশ্ব। এমন কিছু দেখার প্রতীক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশ সমর্থকরা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সে লক্ষণই ছিল। পর পর দুই ওভারে অফ স্পিনার প্রবথ জয়সুরিয়ার রিটার্ন ক্যাচ থেকে বেঁচে গেছেন মুশফিক, 


থারিন্দু রত্নায়েকের বলে ডিপ মিডউইকেটে লিটনের ক্যাচ ফসকে গেছে নিশাঙ্কার হাত থেকে। তবে বেঁচে যাওয়া শান্ত-মুশফিকের পার্টনারশিপ ৪র্থ উইকেট জুটিতে রেকর্ড করতে পারেনি। দিনের ৭ম ওভারে পেসার আসিথা ফার্নান্দোর ফুল ডেলিভারিতে মিড অফে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুউজের ডাইভিং  ক্যাচে পরিণত হয়েছেন শান্ত। থেমেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক ১৪৮ রানে। মাত্র ৩ রানের জন্য রেকর্ড পার্টনারশিপ করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন শান্ত।


তবে ২৬৪ রানের এই পার্টনারশিপ ৫ম জুটিকে করেছে উদ্বুদ্ধ। মুশফিক-লিটনের পার্টনারশিপ ৫ম উইকেট জুটিতে যোগ করেছে ১৪৯ রান। 


টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তমবারের মতো ১৫০ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারের চতুর্থ এবং গল-এ দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির পথে থাকা মুশফিক থেমেছেন ১৬৩ রানে। আসিথার আইড অফ ডেলিভারীতে এলবিডাব্লু হয়ে। বলের গতি ইমপ্যাক্ট ইন লাইনে থাকায় রিভিউ আপীলে লাভ হয়নি, আম্পায়ার্স কলে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে।

 

রাওয়ালপিন্ডিতে গত বছরের আগস্টে ম্যাচ উইনিং সেঞ্চুরির (১৩৮) ১০ ইনিংস পর লিটন দেখা পেয়েছেন ফিফটি। ৫ টেস্ট পর সেঞ্চুরির হাতছানিও ছিল তার। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার নার্ভাস নাইনটিজে থেমেছেন লিটন। পার্টনার মুশফিককে হারিয়ে ছন্দপতন হয়েছে লিটনের ব্যাটিং। মেজাজ হারিয়ে অকারণে থারিন্দুকে রিভার্স সুইপ করতে যেয়ে ডেকে এনেছেন বিপদ। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন ৯০ রানে। অকেশনাল পেসার মিলান রত্নায়েকের ১২৬ কিলোমিটার গতির ইনসুইং ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে যেয়ে পরাস্ত জাকের আলী অনিক থেমেছেন মাত্র ৮ রানে। মিলানের পরের ওভারে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যেয়ে বোল্ড হয়েছেন তাইজুল (৬)।


২৬৪ এবং ১৪৯ রানের দুটি প্রশংসিত জুটির পর ২৬ রানে উড়ে গেছে বাংলাদেশের ৫ উইকেট। তাতেই ৫শ' স্কোরের সম্ভাবনার পথে তৈরি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা।


bottom-logo

ক্রিকেট

গলে ফিরেই চাঙ্গা মুশফিক, পাল্লেকেলের সুখস্মৃতি ফিরে পেলেন শান্ত

 
শামীম চৌধুরী
শামীম চৌধুরী
ঢাকা

১৭ জুন ২০২৫, ৭:৫২ পিএম

news-details

এক যুগ আগে গল থেকে হাত ভর্তি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে রেকর্ড ৬৩৮, মুশফিকুর রহিমের ডাবল, ৫ম উইকেট জুটিতে মুশফিক-আশরাফুলের ২৬৭, জয়ের সমান ড্র। ১২ বছর পর সেই গল টেস্টের সুখস্মৃতিই যেনো ফিরে পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। প্রথম দিন শেষে স্কোর ৩ উইকেটে ২৯২। নাজমুল হোসেন শান্ত'র ১৩৬-এর পাশে মুশফিকুর রহিমের ১০৫, অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাদের সংগ্রহ ২৪৭ আরেকটি বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। জোড়া সেঞ্চুরির দিনটিতে শান্ত পৌছে গেছেন টেস্টে দুই হাজারী ক্লাবে। শান্ত-মুশফিকের অবিচ্ছিন্ন জুটি দ্বিতীয় দিনে রেকর্ড পার্টনারশিপের আবহ দিচ্ছে। আর মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারলেই চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের পার্টনারশিপের রেকর্ডটা দেখবে বিশ্ব।


ঐতিহ্যগতভাবে গল-এর উইকেটকে নিকট অতীতে যেভাবে দেখেছে বিশ্ব, তার ব্যতিক্রম দেখা যায়নি মঙ্গলবারও। শুরুতে কিছুক্ষণ উইকেটে পেসার আসিথা এবং অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার থারিন্দু আতঙ্ক ছড়ালেও দিনের শেষ দুটি সেশনে শ্রীলঙ্কার কোনো বোলারকে সমীহ করেননি শান্ত-মুশফিক। টেস্টে সেশন বাই সেশন খেলার পরিকল্পনায় এদিন বেশ সফল বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে স্কোরশিটে ৯০ রান উঠতে ৩ উইকেট হারিয়েও হতোদ্যম হয়নি মিডল অর্ডাররা।  পরের দুই সেশনে উইকেটহীন রান উঠেছে যথাক্রমে ৯২ ও ১১০।


আরও পড়ুন

শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের


নিজের ক্যারিয়ারের প্রথমই শুধু নয়, বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ানও মুশফিকুর। ২০১৩ সালে সেই ইতিহাসগড়া ডাবল সেঞ্চুরিটি পেয়েছেন তিনি গল-এ। সে কারণেই গল-এ যতোবার পা রেখেছেন, ততোবারই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন টেস্টে বাংলাদেশের একমাত্র ৬ হাজারী ক্লাবের এই সদস্য। 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দেখাতে নাজমুল হোসেন শান্ত পেয়েছেন সেঞ্চুরি। এবং জাত চেনানো ওই সেঞ্চুরিটি পেয়েছেন তিনি ৪ বছর আগে পাল্লেকেলেতে। ১৬৩ রানের সেই ইনিংস থেকে টনিক নিয়ে এবার গল টেস্টে নেমেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। 


দু'জনের ওই দুটি সুখস্মৃতি একসঙ্গে নতুন করে রোমন্থনের মঞ্চ এবার তৈরি করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার সুদৃশ্য টেস্ট ভেন্যু গল। ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ কোল ঘেষেঁ দাঁড়িয়ে থাকা ভেন্যুতে মহাসাগরের গর্জনকে ছাপিয়ে গেছে এই দুই বাংলাদেশ ব্যাটারের ব্যাটের গর্জন। 


পাল্লেকেলেতে ৪ বছর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক ইনিংসে সেঞ্চুরির (১৩৬) পর ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ১০টি ইনিংস ছিল হতাশার। ২টি 'ডাক' সিঙ্গল ডিজিট ৬টিতে! এই প্রথম গল-এ নেমে পাল্লেকেলের উত্তাপ পেয়েছেন। থারিন্দু রত্নায়েককে পর পর দুই বলে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা এবং কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি শটে নিজের চাঙ্গাভাব করেছিলেন প্রকাশ শান্ত। প্রবথ জয়াসুরিয়াকে সুইপ শটে ফাইন লেগ দিয়ে ২ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।  ২০২৩ সালে ২ টেস্টে ৩ সেঞ্চুরিতে নিজেকে অন্যভাবে চেনানো শান্ত'কে পরবর্তী সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৯ মাস!  


প্রিয় প্রতিপক্ষ পেলে হাতটা একটু বেশি নিশপিশ করে মুশফিকুর রহিমের। এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৫৩.৮৪ গড়ে ১৩৪৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তা আর একবার জানিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। 


৯৯ রানে এসে কিছুক্ষণ আটকে থাকার পর আড়মোড়া ভেঙ্গেছেন। পেসার আসিথা ফার্নান্ডোর করা বলে ইনসাইড এজ হয়েও ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গল নিতে পেরেছেন নন স্ট্রাইক ব্যাটার শান্ত'র সিগন্যালে। ওই  রানের সঙ্গে পূর্ণ হয়েছে তার টেস্টে দ্বাদশ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪র্থ সেঞ্চুরি। 


এক যুগ আগে মুশফিকুরের ডাবল সেঞ্চুরির ম্যাচে অভিষিক্ত এনামুল হক বিজয় অভিষেক ইনিংসে ফিরেছিলেন আনলাকি থারটিনে। থেমে থেমে এক যুগে মাত্র টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন এবার নিয়ে ৭টি। আগের ৬টিতে ছিল না ফিফটি, এবার তো আরও করুণ দশা। ৯টি ডট করেও পাননি আত্মবিশ্বাস। আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে যেয়ে বিপদ ডেকে এনেছেন,  স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ০ রানে। আর এক ওপেনার সাদমান ইসলাম অনীকও করেছেন ভুল। বাঁ হাতি স্পিনার থারিন্দুকে অভিষেক উইকেট উপহার দিয়েছেন তিনি। লো বাউন্সি বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি ১৪ রানের মাথায়।


আরও পড়ুন

জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত


মুমিনুল এদিন স্ট্রাইক রেটে মনযোগ দিয়ে ব্যাট করেও ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। থারিন্দুকে ব্যাকফুটে কাট করতে যেয়ে স্লিপে দিয়েছেন ক্যাচ (২৯)।


তারপরও প্রথম দিন থেকে উজ্জীবনী টনিক নিয়ে আর একটি ভাল দিন উপহার দিক ক্রিকেট দল, সে দিকেই তাকিয়ে এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।


bottom-logo

ক্রিকেট

শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৭ জুন ২০২৫, ৬:১৯ পিএম

news-details

প্রথম ঘণ্টায় যেভাবে সাজঘরে ফিরলেন তিন ব্যাটার, তাতে আশঙ্কা জাগল আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয়ের। তবে রান খরা কাটিয়ে প্রিয় ভেন্যুতে জ্বলে উঠলেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে সঙ্গী করে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গড়লেন মজবুত এক জুটি, যা সফরকারীদের চাপ কাটিয়ে ক্রমেই নিয়ে গেল শক্তিশালী অবস্থানে। দুজনই করলেন সেঞ্চুরি, আর বাংলাদেশকে এনে দিলেন বড় স্কোরের ভিত। 


গল টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের ৯০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৯২। ১৩৬ রানে অপরাজিত শান্ত, আর শেষ বেলায় তিন অঙ্কে পা রাখা মুশফিকুরের নামের পাশে রান ১০৫।


আরও পড়ুন

জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত


সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে বাংলাদেশের বড় চিন্তার জায়গা ওপেনিং পজিশন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ সিরিজে সেঞ্চুরি জুটি গড়া শাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় পারেননি ফর্ম টেনে নিতে। ১০ বলে শূন্য রানে ফেরেন বিজয়। এরপর দ্রুতই শাদমান ইসলাম (১৪) ও মমিনুল হক (২৯) উভয়কেই শিকার বানান থারিন্দু রথনায়কে, বাংলাদেশের স্কোর দাঁড় করায় ৩ উইকেটে ৪৫। 


শান্ত রানে থাকলেও লম্বা সময় ধরে ছন্দহীন মুশফিকুরের জন্য তাই চ্যালেঞ্জ ছিল শুরুর এই চাপ সামাল দেওয়ার। প্রথম দিনের উইকেটের মতোই ছিল ব্যাটারদের জন্য সহায়ক কন্ডিশন, স্পিন ধরছিল সীমিত পরিসরে। ফলে দেখেশুনে খেলে ধীরে ধীরে দলকে ভালো অবস্থানে নেওয়ার কাজটা করেন শান্ত ও মুশফিক। 


উইকেটহীন দ্বিতীয় সেশনে হয়ে যায় জুটির শতক। প্রতিপক্ষকে সেভাবে সুযোগ না দিয়ে দুই ব্যাটার এগিয়ে যান সেঞ্চুরির দিকে। দিনের একদম শুরু থেকেই শান্ত ছিলেন বেশ সাবলীল। স্পিন সামলেছেন দারুণ সব সুইপ শটে। আগ্রাসী শটে পেসারদেরও সামলেছেন দক্ষতার সাথে। 


অন্যদিকে ফর্মে ফেরার লড়াইয়ে থাকা মুশফিক বাউন্ডারির সিঙ্গেলসেই রান বের করেছেন বেশি। দুজনের মধ্যে প্রথমে শতক তুলে নেন শান্ত, যা টেস্টে তার ৬ষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। আর ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর প্রথম শতক। 


আরও পড়ুন

জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত


নার্ভাস নাইন্টিজে বেশ কিছুটা সময় আটকে থাকা মুশফিকুর অধিনায়ককে অনুসরণ করে দিনের খেলা শেষের কিছু আগে সেঞ্চুরির দেখা পান। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের এটি টেস্টে ১২তম সেঞ্চুরি। তিনি ও শান্ত মিলে চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন আছেন ২৪৭ রানের জুটিতে।

bottom-logo