১১ অক্টোবর ২০২৫, ৩:২১ পিএম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে তার নাম ‘আকবর দ্য গ্রেট’, কেউ কেউ আবার তাকে ডাকেন ‘আকবর দ্য চ্যাম্পিয়ন’ নামে। এর পেছনে কারণ আছে যথেষ্টই। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আকবর আলির অধিনায়কত্ব মানেই যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা।
তবে আকবর নিজে এমন কিছু মানতে চান না। এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনালের আগে তরুণ এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার বললেন, অত সহজে জেতেননি কোনো শিরোপা। তাই একই এপ্রোচ নিয়ে আরেকটি ফাইনালে নামবে তার দল।
বাংলাদেশকে ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতিয়ে অধিনায়ক হিসেবে আকবরের উত্থান। এরপর ২০২২ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চার দিনের সংস্করণে রংপুরের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন তিনি। তার অধিনায়কত্ব ২০২৩ সালে বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয় নর্থ জোন।
আরও পড়ুন
খুলনাকে ট্রফি উপহার দিতে চান মিঠুন-সৌম্যরা |
![]() |
এমনকি গত বছর এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরেও অধিনায়কত্ব করে রংপুরকে শিরোপা জেতান আকবর। এবার তার সামনে শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এনসিএলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রোববার বিকেলে খুলনার মুখোমুখি হবে রংপুর। ম্যাচের আগের দিন দুই অধিনায়কের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন আকবর ও মোহাম্মদ মিঠুন।
অনেক প্রশ্নের মাঝে আকবরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, অধিনায়কত্ব করলেই চ্যাম্পিয়ন হন আকবর, এই বিষয়টি কীভাবে দেখেন তিনি। উত্তরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আরেকটি ফাইনাল খেলার কথা বলেন রংপুর অধিনায়ক।
“আমি এরকম কিছু (আকবর অধিনায়কত্ব করলে চ্যাম্পিয়ন) বলব না। যেভাবে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ ভালো। এটা বলার জন্য বলতে গেলে বা শুনতে গেলে ভালো লাগে (হাসি)। তবে ব্যাপারটা এত সহজও না।”
“গ্রুপ পর্বের ম্যাচ আমরা যেমন পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছি, একই এপ্রোচ নিয়ে আসব। অবশ্যই উইনিং মেন্টালিটি নিয়ে মাঠে নামব।”
গ্রুপ পর্ব শেষে নেট রান রেটের হিসেবে চতুর্থ হয়ে কোনোমতে প্লে-অফের টিকেট পায় রংপুর। এরপর অবশ্য স্বরুপে তারা। এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকা ও পরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারকে টেবিল টপার চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট পেয়েছে আকবরের দল।
এই মোমেন্টাম ধরে রেখে ফাইনালেও বাজিমাত করতে চান আকবর।
“যখন একটা টুর্নামেন্ট শুরু করবেন, আল্টিমেট লক্ষ্য তো থাকবে অবশ্যই চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লড়াই করা। একইসময়ে আমার মনে হয়, এটা একটু কঠিনও। তাই প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোনো ভালো।”
আরও পড়ুন
১০০ রানে হারের ব্যাখ্যায় অনভিজ্ঞতাকেই দুষলেন জ্যোতি |
![]() |
“আমাদেরও প্রথম লক্ষ্য ছিল, গ্রুপের যে ম্যাচগুলো ছিল, আমরা যেন সেরা দুইয়ে থেকে শেষ করতে পারি। সেটা হয়নি। তবে আমরা সঠিক সময়ে মোমেন্টাম পেয়েছি। যেটা কাজে লাগছে। একই চেষ্টা থাকবে। জাস্ট নরমাল ম্যাচের মতো পরিকল্পনা করা ও কাজে লাগানো।”
ফাইনালের তাৎপর্য একটু ভিন্ন হলেও অন্য স্বাভাবিক ম্যাচের মতো ধরেই খেলতে চান রংপুর অধিনায়ক।
“ইনশাআল্লাহ্ আমরা চেষ্টা করব। মাঠে যখন নামব, তখন অবশ্যই চেষ্টা থাকবে জেতার। ফাইনাল ম্যাচ যদিও, তবু আমি বলব এটা ৮-১০টা ম্যাচের মতোই। এটার সিগনিফিকেন্সটা হয়তো একটু বেশি। আমরা যেমন গেম প্ল্যান নিয়ে নামি, তেমন পরিকল্পনা নিয়েই নামব। চেষ্টা থাকবে ম্যাচ জেতার।”
No posts available.
১২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৩ এম
১১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৮ পিএম
১১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
রশিদ খানের ফুল লেংথ ডেলিভারি না বুঝেই স্লগ করতে চাইলেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু ব্যাটেই লাগাতে পারলেন না মিডল-অর্ডার ব্যাটার। বোল্ড হয়ে ধরলেন ড্রেসিং রুমের পথ। সেই যে শুরু, এরপর রশিদের স্পিন বিষে নাকাল হলেন আরও ৪ ব্যাটার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে স্পিনারদের তালিকায় আরও একটু ওপরে উঠে গেলেন রশিদ। ওয়ানডেতে এটি তার ষষ্ঠ ৫ উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে যা এই ফরম্যাটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
৩৫০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৩৪১ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে ১০ বার ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি অফ স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন। তার ঠিক পরে আছেন শহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানি তারকা ৩৭২ ইনিংসে ৯ বার নিয়েছেন ৫ উইকেট।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট পূর্ণ করা রশিদ এবার নিজের ১০৮তম ইনিংসে নিলেন ষষ্ঠ ৫ উইকেট। যার সৌজন্যে বসলেন মুরালি ও আফ্রিদির ঠিক পরেই। রশিদের সমান ৬ বার ৫ উইকেট আছে পাকিস্তানের সাকলায়েন মুশতাকের, তবে ১৬৫ ইনিংসে।
প্রথম ওয়ানডেতেও দারুণ বোলিং করেছিলেন রশিদ। সেদিন ৩৮ রানে তার ঝুলিতে জমা পড়েছিল ৩টি উইকেট। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে রীতিমতো নাচিয়ে ছেড়েছেন।
নিজের ষষ্ঠ ও বাংলাদেশের ইনিংসের ২৩তম ওভারে পরপর দুই বলে নুরুল হাসান সোহান ও তানজিম হাসান সাকিবকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান রশিদ। পরের বলে রিশাদ হোসেনকেও এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার।
তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়ায় হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাওয়া হয়নি রশিদের। সেটি না পেলেও পরে তানভির ইসলাম ও রিশাদকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার।
দুই ম্যাচ মিলিয়ে ১৮.৩ ওভারে মাত্র ৫৫ রান খরচ করে রশিদের শিকার ৮টি উইকেট। ওভারপ্রতি খরচ ৩ রানেরও কম। তার এই ১১১ বলে একটিও বাউন্ডারি মারতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
পরপর দুই ম্যাচে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় আফগানিস্তানের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ। বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে আফগানদের মাত্র ১৯০ রানে থামিয়ে রেখেও জিততে পারল না তারা। ম্যাচ শেষে তাই ব্যাটারদের দায় দিলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৮১ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক আফগানিস্তান। রশিদ খানের ঘূর্ণিতে মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে তাওহিদ হৃদয়ের ২৪ রানই ছিল সর্বোচ্চ।
এর আগে প্রথম ম্যাচে মাত্র ২২১ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। যা জয়ের জন্য একদমই যথেষ্ট ছিল না। ব্যাটিংয়ের এই সমস্যা মূলত ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই ধারাবাহিকভাবে চলছে। যা নিয়ে চিন্তিত মিরাজও।
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হেরে যাওয়ার পর তাই ব্যাটিংয়ের কথাই বারবার বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“হ্যাঁ অবশ্যই। আমরা খুব ভালো বোলিং করেছি। মনে করেছিলাম, সহজেই এই রান তাড়া করতে পারব। কিন্তু আমরা একদমই ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। খুব খারাপ ব্যাটিং করেছি আজকে।”
“আমি শুধু একটা জিনিসই বলছিলাম, টপ-অর্ডারে আমাদের জুটি গড়তে হবে। আমরা যদি টপ-অর্ডারে ৩০-৪০ রানের জুটি গড়তে পারতাম, ভিন্ন কিছু হতে পারত। আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। সেটা কেউ নিতে পারছি না। এখানেই সমস্যা।”
সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচটি জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে চান মিরাজ। এরপর আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তাই তিনি দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদ দিলেন দলের ব্যাটারদের।
“এই মুহূর্তে আমরা খুবই হতাশ। আমাদের এখনও এক ম্যাচ বাকি আছে। এরপর আমাদের আরেকটি সিরিজ আছে। আমাদের চিন্তা করতে হবে, কীভাবে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়।”
“আমাদের ব্যাটিংয়ে ভালো করতে হবে। ওয়ানডে ক্রিকেটে স্কোর না পেলে আপনি জিততে পারবেন না। আমাদের অন্তত ওপরের ৭ ব্যাটারের দায়িত্ব নিতে হবে।”
রশিদ খানের লেগ স্পিন বা গুগলির কোনো জবাবই যেন জানে না বাংলাদেশ। বেশ ছোট লক্ষ্য পেলেও রশিদের ঘূর্ণিতে খাবি খেয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেরে গেল মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৮১ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে গেল আফগানিস্তান। মাত্র ১৯১ রানের লক্ষ্য পেলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এই মাঠে এর চেয়ে কম রান করে জিততে পারেনি আর কোনো দল। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৮ রান করেও জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই রেকর্ড এবার নিজেদের করে নিল আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ইনিংস।
এ নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা তিন সিরিজ জিতে হ্যাটট্রিক করল আফগানিস্তান। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের মাঠে ও ২০২৪ সালে শারজাহতেও সিরিজ জিতেছিল তারা।
বাংলাদেশের ব্যাটিং গুঁড়িয়ে মাত্র ১৭ রানে ৫ উইকেট নেন রশিদ। ওয়ানডেতে এটি তার ষষ্ঠ ৫ উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি ৫ উইকেট আছে শুধু মুত্তিয়া মুরালিধরন (১০) ও শহিদ আফ্রিদির (৯)। এছাড়া আজমতউল্লাহ ওমরজাই নেন ৩ উইকেট।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরে সাইফ হাসানের শুরুটা ভালো হলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
একপ্রান্ত আগলে তাওহিদ হৃদয় দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দলের সর্বোচ্চ ২৪ রান করে রশিদের বলে বোল্ড হয়ে যান হৃদয়। সেখান থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশের ধস।
শেষ দিকে মাত্র ১০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে অল আউট হয় বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় আফগানিস্তান। পঞ্চম ওভারে সাকিবের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন আগের ম্যাচে দলকে জেতানোর নায়ক রহমানউল্লাহ গুরবাজ। পাওয়ার প্লের মধ্যে একই পরিণতি হয় সেদিকউল্লাহ অতলের।
আফগানিস্তানের বিপদ বাড়িয়ে ১৫তম ওভারে পায়ের চোটে মাঠ ছেড়ে যান রহমত শাহ। পরে তাদের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিকে বোল্ড করে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
মাত্র ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর হাল ধরার চেষ্টা করেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবী। কিন্তু বেশি বড় হয়নি তাদের জুটি। সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করা নবী।
এরপর দলকে একাই টানতে থাকেন ইব্রাহিম। তবে তাকে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি করতে দেননি মিরাজ। ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন ১৪০ বলে ৯৫ রান করা আফগান ওপেনার। ৩ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারতে পারেন তিনি।
শেষ দিকে ১৮ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন এএম গাজানফার। ৯ উইকেট পতনের পর আবার ব্যাটিংয়ে নামেন। তবে এক বল খেলে অস্বস্তিতে ভোগায় আর চালিয়ে নিতে পারেননি। ফলে ৯ উইকেটেই শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়া তানজিম হাসান
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ (গুরবাজ ১১, ইব্রাহিম ৯৫, অতল ৮, রহমত ৯ অবসর আউট, হাশমত ৪, ওমরজাই ০, নবী ২২, খারোটে ১৩, রশিদ ১, গাজানফার ২২, বশির ০*; সাকিব ৭-০-৩৫-২, মোস্তাফিজ ৮-০-৩৮-০, মিরাজ ১০-১-৪২-৩, তানভির ১০-০-৩৫-১, রিশাদ ৯.৫-০-৩৭-২)
বাংলাদেশ: ২৮.৩ ওভারে ১০৯ (তামিম ০, সাইফ ২২, শান্ত ৭, হৃদয় ২৪, মিরাজ ৪, জাকের ১৮, সোহান ১৫, সাকিব ০, রিশাদ ৫, তানভির ০, মোস্তাফিজ ৬*; ওমরজাই ৭-১-২৭-৩, বশির ২-০-২২-০, গাজানফার ৪-০-২১-০, রশিদ ৮.৩-২-১৭-৫, খারোটে ৭-২-২২-১)
ফল: আফগানিস্তান ৮১ রানে জয়ী
মড়ার উপর খাঁরার ঘা। দক্ষিণ আফ্রিকার দশা হয়েছে এমনই। নামিবিবয়ার বিপক্ষে হেরে অঘটনের শিকার হওয়া ম্যাচে চোট পেয়েছেন জেরাল্ড কোৎজে। বুকের পেশির চোটে পড়েছেন প্রোটিয়া পেসার।
নামিবিয়ার বিপক্ষে আজ একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে চার উইকেটে হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসির সহযোগী সদস্য দলটির বিপক্ষে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েই হার তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো প্রোটিয়াদের।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে চার উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নামিবিয়া। অঘটনের ম্যাচে ১.৩ ওভার বল করেন কোৎজে। সবমিলিয়ে ১৩ ডেলিভারির মধ্যে চারটিই ছিল ওয়াইড। এর পরই মাঠ ছাড়েন ২৫ বছর বয়সী পেসার।
পেশীর চোটে পাকিস্তান সফরের সাদা বলের সিরিজে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন কোৎজে। ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) নিশ্চিত করেছে, উইন্ডহুক থেকে দেশে ফেরার পর তার চোটের ধরণ নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
সাম্প্রতিক সময়ে চোট যেন পিছুই ছাড়ছে না কোৎজেকে। এর আগে কুঁচকির চোটে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকেও ছিটকে পড়েছিলেন তিনি। এরপর জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে জাতীয় দলে ফেরেন এই ফাস্ট বোলার। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা 'এ' দলের হয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন।
এর আগে গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক তরুণ পেসার কুইনা মাফাকাও ইনজুরিতে পড়েন। বাঁ হাতি এই পেসার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ম্যাচে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিং চোটে আক্রান্ত হন। তাতে নামিবিয়ার ম্যাচসহ পাকিস্তান সফর থেকেও ছিটকে পড়েন মাফাকা।
অবশ্য এরপরও শক্তিশালী পেস বোলিং বিকল্প আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। নান্দ্রে বার্গার ও লিজাদ উইলিয়ামস দুজনেই চোট কাটিয়ে সফলভাবে দলে ফিরেছেন । বার্গার ফিরেছেন লোয়ার ব্যাক স্ট্রেস ফ্র্যাকচার থেকে, আর উইলিয়ামস ফিরেছেন হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর।
পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর ২৮ অক্টোবর শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম রাউন্ডের অর্ধেকের বেশি ম্যাচ বাকি থাকতেই সেমি-ফাইনালের টিকেট বিক্রি শুরু করে দিয়েছে আইসিসি। শনিবার সন্ধ্যা থেকে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুই সেমি-ফাইনালের টিকেট কিনতে পারছেন গুগল পে গ্রাহকরা।
বিশ্বকাপের স্পন্সর কোম্পানি গুগলের গ্রাহকদের জন্য দেওয়া হয়েছে দুই দিনের প্রি-সেল উইন্ডো। পরে ১৩ অক্টোবর থেকে সেমি-ফাইনালের টিকেট কিনতে পারবেন যে কোনো দর্শক।
গুয়াহাটিতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর হবে বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনাল। সেদিন মাঠে বসে ফাইনালে ওঠার লড়াই দেখতে গুনতে হবে সর্বনিম্ন মাত্র ১০০ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৬ টাকার কাছাকাছি।
তবে পাকিস্তান উঠলে, প্রথম সেমি-ফাইনাল ম্যাচ হবে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। সেক্ষেত্রে গুয়াহাটির টিকেট কিনে রাখা সবাইকে শতভাগ অর্থ ফেরত দেবে আইসিসি।
তবে প্রথম তিন ম্যাচ হেরে যাওয়া পাকিস্তানের সেমি-ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা খুবই কম।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ৩০ অক্টোবর হবে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল। সেদিনের সর্বনিম্ন টিকেট মূল্য ১৫০ রুপি।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচের এরই মধ্যে ১২ অক্টোবর ভারত-অস্ট্রেলিয়া ও ১৯ অক্টোবর ভারত-ইংল্যান্ডের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। এছাড়া ভারত- নিউ জিল্যান্ড ও ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচের টিকেটও প্রায় শেষের পথে।
এর আগে গুয়াহাটিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেরও সব টিকেট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। সেদিন গ্যালারিতে ছিলেন ২২ হাজার ৮৪৩ জন দর্শক। যা কিনা মেয়েদের আইসিসি ইভেন্টে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের রেকর্ড।