
ভারতের বিপক্ষে চলমান ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের বেশ চাপে রেখেছেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। আর তাদের দশে দশ সমর্থন যুগিয়ে ক্যাচের পর ক্যাচ নিয়েছেন ফিল্ডাররা। তাতে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি নিখুঁত ক্যাচের রেকর্ড গড়েছে কিউইরা।
ফিফটির আগেই তিন উইকেট হারানো ভারত শ্রেয়াস আইয়ারের লড়িয়ে ৭৯ রানে ভর করে দাঁড় করায় ৯ উইকেটে ২৪৯। এর মধ্যে আটটি উইকেটই ছিল ক্যাচ। স্রেফ শুবমান গিলই হয়েছেন এলবিডব্লিউয়ের শিকার। পাঁচ উইকেট নেওয়া ম্যাট হেনরির চারটি ছিল ক্যাচ।
আরও পড়ুন
| রোজা রেখেই অনুশীলনে ব্যস্ত ইয়ামাল |
|
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দারুণ সব ক্যাচ নেওয়া নিউজিল্যান্ড এবারের চাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এখন পর্যন্ত ড্রপ করেছে মাত্র একটি ক্যাচ। ফলে তাদের ক্যাচ নেওয়ার হার দাঁড়িয়েছে ৯৬ শতাংশ, যা আসরের সব দলের মধ্যে সর্বোচ্চ।
৮৮.২ শতাংশ নিয়ে তালিকায় দুইয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, দলটি ফেলেছে দুটি ক্যাচ। তিনে থাকা সমান দুটি ড্রপ ক্যাচে ৮৭.৫ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ার, অজিরাও ফেলেছে দুটি ক্যাচ।
এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সম্পম। তিন ম্যাচের দুটি হেরে আসর থেকে বিদায় নেওয়া শান্ত-তাসকিনরা ড্রপ করেছে তিনটি ক্যাচ। ৬৬.৬ শতাংশ ক্যাচ ধরার হার বাংলাদেশের।
No posts available.
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১২ পিএম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এখনও মাস দুয়েক বাকি। তার আগেই হটকারি এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।
আজ এসএলসি জানিয়েছে, চারিত আসালাঙ্কার পরিবর্তে ২০২৬ বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন করবেন দাসুন শানাকা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এ ঘোষণা দেন প্রামোদা বিক্রমাসিঙ্গে।
শানাকাকে অধিনায়ক করে বিশ্বকাপের জন্য ২৫ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা।
প্রধান নির্বাচক বিক্রমাসিঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছেন,
“আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিশ্বকাপ পর্যন্ত শানাকাই অধিনায়কত্ব করবে। এ ব্যাপারে প্রধান কোচ সনাৎ জয়াসুরিয়ার সঙ্গেও কথা হয়েছে আমাদের।”
শ্রীলঙ্কার প্রাথমিক বিশ্বকাপ দল:
দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিল মিশারা, কুশল পেরেরা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, নিরোশান ডিকওয়েলা, জনিথ লিয়ানাগে, চারিত আসালাঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, পাভান রত্নায়েকে, সাহান আরাচ্চিগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিথ ওয়েল্লালাগে, মিলান রত্নায়েকে, নুয়ান থুশারা, ইশান মালিঙ্গা, দুশমন্ত চামিরা, প্রমোদ মাদুশান, মাথিশা পাথিরানা, দিলশান মাদুশাঙ্কা, মহেশ থিকসানা, দুশান হেমান্থা, বিজয়কান্ত ভিয়াসকান্ত ও ত্রাভিন ম্যাথিউ।
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৩৬ পিএম

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাস দুয়েক বাকি। আগামীকাল বৈশ্বিক আসরের প্রাথমিক দল ঘোষণা করবে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবর—ভারতের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হচ্ছে না ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের চার সদস্যের।
গত বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। সে দলের সদস্য ঋষভ পান্ত, যশস্বী জয়সওয়াল, মোহাম্মদ সিরাজ ও যুজবেন্দ্র চাহালকে রাখা হচ্ছে না ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে।
বাদ পড়াদের মধ্যে নিশ্চিত নাম ঋষভ পন্ত। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় দল মূল উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে জিতেশ শর্মার ওপর আস্থা রাখছে। ব্যাকআপ হিসেবে থাকতে পারেন সঞ্জু স্যামসন।
যশস্বী জয়সওয়ালের বাদ পড়ার বিষয়টি আলোচনা জন্ম দিয়েছে। বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওপেনিংয়ে ছিলেন। এজন্য নামার সুযোগ হয়নি জয়সওয়ালের। কোহলি-রোহিতের অবসরের পরও দলে জায়গা পাচ্ছেন না এই মারকুটে ব্যাটার।
ভারতের জার্সিতে ২৩ ম্যাচে ৩৬.১৫ গড়ে ৭২৩ রান করেছেন জয়সওয়াল। তাঁর পরিসংখ্যান শুবমান গিলের চেয়ে ভালো হলেও, নির্বাচকরা গিলের ওপরই আস্থা রাখছেন। ৩৬ ম্যাচে ২৮.০৩ গড়ে ৮৬৯ করেছেন তিনি।
যুজবেন্দ্র চাহালের বাদ পড়া ছিল প্রায় নিশ্চিত। ২০২৪ বিশ্বকাপে কোন ম্যাচ সুযোগ পাননি তিনি। কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী জুটি বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে। তাদের থাকাটা নিশ্চিত।
মোহাম্মদ সিরাজের বাদ পড়াও অবশ্য চমক নয়। সবশেষ ভারতের হয়ে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে খেলেছেন টি-টোয়েন্টিতে। হর্শিত রানা সিরাজের মতোই পেস বোলার হলেও ব্যাটিংয়ে তুলনামূলক ভালো। অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও, টিম ম্যানেজমেন্ট টি-টোয়েন্টিতে সিরাজ অধ্যায় প্রায় শেষ করে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুইবার এশিয়া কাপ জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজিজুল হাকিম তামিম নেতৃত্বাধীন যুবারারা হ্যাটট্রিক শিরোপার পথেই ছিল। তবে সেমিফাইনালে পাকিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে ৮ উইকেটে হেরে ভেঙে গেল শিরোপা স্বপ্ন।
দুবাইয়ে আজ ভেজা মাঠের কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে ২৭ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। আগে ব্যাট করতে নেমে ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ১৬.৩ ওভারে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বাজে। দলীয় ২৪ রানে ২ উইকেট হারায় লাল সবুজ দল। চতুর্থ ও পঞ্চম ওভারে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার রিফাত বেগ (১৪) ও জাওয়াদ আবরার (৯)।
শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক আজিজুল। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। আব্দুল সুবহানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২০ রান করে।
ছাইমুন বসির রাতুল ছাড়া বাকিরা ছিলেন যাওয়া-আসার মিছিলে। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন রাতুল। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। নির্ধারিত ২৭ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই অলআউট হয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
পাকিস্তানের হয়ে আব্দুল সুবহান সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন, আর হুজাইফা আহসান শিকার করেন ২ উইকেট।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই ওপেনার হামজা জাহুরের উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আরেক ওপেনার সামীর মিনহাজ ( ৫৭ বলে ৬৯ রান)। উসমান খান করেন ২৭ রান, আর আহমেদ হুসেইন ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।
রোববার ফাইনালে লড়বে ভারত-পাকিস্তান। চলতি বছর বড়দের পর ছোটদের এশিয়া কাপেও দেখা হবে দুই দলের।

২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল প্রতিবেশী দুই দেশ—ভারত ও পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সেই ম্যাচে জয় পায় সূর্যকুমার যাদবরা।
এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপেও ফাইনালে উঠেছে ভারত ও পাকিস্তান। আজ শেষ চারের প্রথম সেমি ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে ম্যান ইন ব্লুরা। দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে একই ব্যবধানে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পায় পাকিস্তান।
দুবাইয়ে ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২১ ডিসেম্বর।
বয়সভিত্তিক এশিয়া কাপে গ্রুপ ‘এ’-তে ছিল ভারত ও পাকিস্তান। শতভাগ জয় নিয়ে শেষ চারে ওঠে আয়ুষ মহাত্রের দল। পাকিস্তান তিন ম্যাচের দুটিতে জয় পায়। তাদের দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল ভারতের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ভারত ৯০ রানের বড় জয় পায়।
গ্রুপ ‘বি’ থেকে সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। শতভাগ জয় ছিল ইয়াং টাইগারদের। আজিজুল হাকিমের দল প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে নেপাল ও আফগানিস্তানকে পরাজিত করে। শেষ চারে ওঠা অন্য দল শ্রীলঙ্কার জয় ছিল দুটি। লঙ্কানরা নেপাল ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পায়।
শেষ চারে গ্রুপ ‘এ’-এর চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে গ্রুপ ‘বি’-এর রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়। আর গ্রুপ ‘বি’-এর সেরা দল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হয় গ্রুপ ‘এ’-এর পাকিস্তান।
গ্রুপ ‘এ’-এর সেরা ভারত শিরোপার মঞ্চে উঠতে পারলেও গ্রুপ ‘বি’-এর সেরা বাংলাদেশের কপাল পুড়েছে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২৭ ওভারে নেমে আসা খেলায় মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয় জুনিয়র টাইগাররা। জবাবে মারমুখী ব্যাটিং করে ১৬.৩ ওভারে আট উইকেটের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুইবার এশিয়া কাপ জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। গ্রুপ পর্বে টানা তিন জয়ে সে পথেই ছিলেন আজিজুল হাকিমরা। তবে নক আউটে এসে কপাল পুড়ল তাঁদের।
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫৫ পিএম

অন্তঃকোন্দল ও মতবিরোধের জেরে আগামী মাসে পদ ছাড়ছেন নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) প্রধান নির্বাহী স্কট উইনিঙ্ক। দেশটির ক্রিকেটের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়ে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এনজেডসির এক বিবৃতিতে উইনিঙ্ক বলেন,
‘ভেবেচিন্তে বুঝতে পেরেছি, নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকার, দীর্ঘমেয়াদি দিকনির্দেশনা এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভূমিকা নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি কয়েকটি সদস্য সংস্থা ও অংশীজনদের থেকে আলাদা।’
উইনিঙ্ক বলেন, 'এই মতপার্থক্যের কারণে মনে করি, সংস্থার স্বার্থেই এখান থেকে নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া সবচেয়ে ভালো।’
২০২৩ সালের আগস্টে এনজেডসির দায়িত্ব নেন স্কট উইনিঙ্ক। তবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছরের মধ্যেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কাঠামো নিয়েই মূলত এই সংকটের সূত্রপাত। উইনিঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ব্যক্তিমালিকানাধীন নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর প্রস্তাব তিনি বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন।
এনজেড-টোয়েন্টি নামে ছয় দলের নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ২০২৭ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। নিউ জিল্যান্ডে বর্তমানে একমাত্র ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সুপার স্ম্যাশের জায়াগা নেবে এই লিগ।
ছয়টি বড় সদস্য সংস্থা এবং নিউজিল্যান্ডের পেশাদার ক্রিকেটারদের স্বাধীন প্রতিনিধি সংগঠন নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনজেডসিপিএ) নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালুর পক্ষে ছিল। তবে উইনিঙ্কের প্রস্তাব ছিল, অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে কিউই দল পাঠানোর। এই ভিন্নমতের কারণেই শেষ পর্যন্ত পদ ছাড়লেন তিনি।