চলতি বিপিএলে ভালো কয়েকটি ইনিংস খেললেও ধীরগতির ব্যাটিংয়ের জন্য কিছুটা সমালোচনাও পেতে হয়েছে। তনে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে নাঈম শেখ উপহার দিলেন মারকুটে ব্যাটিংই। তার ফিফটির সাথে শেষের দিকে আফিফ-অঙ্কনদের দুটি ক্যামিওতে খুলনা টাইগার্স পেল চ্যালেঞ্জ জানানো এক স্কোর। দাভিদ মালানের ফিফটির পরও এক পর্যায়ে হারের শঙ্কা জাগল বরিশাল শিবিরে। তবে কঠিন ম্যাচ সহজ করে শেষ হাসি হাসল তামিম ইকবালের দলই।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩৫তম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা জিতেছে ৫ উইকেটে। আগে ব্যাট করা খুলনার করা ৫ উইকেটে ১৮৭ রান বরিশাল পাড়ি দিয়েছে ৫ বল হাতে রেখেই।
বড় রান তাড়ায় বরিশালের চাওয়া ছিল ভালো একটা সূচনা। তবে গত কয়েক ম্যাচ ধরে ওপেনার হিসেবে খেলা তাওহীদ হৃদয় আরও একবার ব্যর্থ হন নতুন ভূমিকায় সফল হতে। আবু হায়দার রনিকে ছক্কা মেরে পরের বলেই পড়েন লেগ বিফোরের ফাঁদে। তামিম ইকবাল কিছুটা ধীরলয়ে শুরু করলেও ক্রিজে গিয়েই দুই বাউন্ডারিতে ইতিবাচক ব্যাটিং করেন দাভিদ মালান।
এরপর আবু হায়দার ও হাসান মাহমুদের দুই ওভারে হাঁকান তিনটি চার ও একটি ছক্কা, যা অনেকটাই চাপ কমিয়ে দেয় তামিমের ওপর। বরিশাল অধিনায়কের ধীরগতির ব্যাটিংয়ের পরও তাই পাওয়ার প্লেতে দলীয় ফিফটি হয়ে যায় দলটির।
খুলনার পেস ও স্পিন আক্রমণকে একই তালে সামলানো মালান ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন বড় কিছু শটের মাধ্যমে। রানের চাকাও তাতে বেড়ে যাচ্ছিল বেশ। সালমান ইরশাদের শর্ট পিচ ডেলিভারিতে তামিম পারেননি টাইমিং করতে, ২৭ রানেই থামে তার পথচলা।
নাসুম আহমেদকে ছক্কা মেরে মুশফিকুর রহিম আভাস দেন ছন্দে ফেরার। তবে ঠিক এরপরই খুলনাকে বড় ব্রেকথ্রুটা এনে দেন আফিফ হোসেন। তার অফ স্পিনে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় ৩৭ বলে ৬৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা মালানকে।
ম্যাচ যখন খুলনার দিকে কিছুটা ঝুঁকে যাচ্ছিল, তখনই মোহাম্মদ নাওয়াজকে দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। তবে পরের ওভারে তিনি রান আউট হওয়ার পর সাজঘরের পথ ধরতে হয় ২ ছক্কায় ২৭ করা মুশফিকুরকেও। আবু হায়দারকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে চার মারার পর লং অফ দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ফাহিম দলকে ধরে রাখেন জয়ের লড়াইয়ে।
চাপের মুখে ১৮তম ওভারটা ভালো করলেও শেষ ডেলিভারিতে নবির হাতে ছক্কা হজম করে খুলনাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন হাসান। এরপর দ্রুতই বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন ফাহিম ও নবি মিলেই।
এর আগে দুপুরে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার নাঈম শেখ ইনিংসের প্রথম ওভারেই জেমস ফুলারকে ওড়ান ছক্কায়। শুরুতে কিছুটা জড়তা ছিল মিরাজের ব্যাটে, তবে ঘুরে দাঁড়ান মোহাম্মদ নবিকে পরপর দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে। পরের ওভারে চড়াও হন আগের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া ফাহিম আশরাফের ওপর। হাঁকান টানা দুই ছক্কা।
শেষ পর্যন্ত মিরাজের বিদায় ঘটে ইবাদত হোসেনের শিকার হয়ে। চোট কাটিয়ে লম্বা বিরতির পর বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে বোল্ড করেন ১৯ বলে ২৮ করা মিরাজকে। তবে একই ওভারে টানা দুই বাউন্ডারিতে তাকে চাপেফ ফেলে দেন নাঈম।
তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ইতিবাচক ব্যাটিং উপহার দেন অ্যালেক্স রস। অস্ত্রেলিয়ান এই ব্যাটার তানভির ইসলামের তিন বলে দুই চার ও এক ছক্কা সহ নেন ১৬ রান। তবে তারচেয়েও বেশি আগ্রাসন দেখানো নাঈম এদিন ছিলেন সেরা ছন্দে। একের পর এক বড় শট খেলে ছক্কা মেরে মাত্র ২৬ বলে পূর্ণ হয় ফিফটি।
তবে ফাহিমকে দুই ছক্কা ও এক চার মারার পর অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। খানিক বাদে রসেরও বিদায় ঘটলে ম্যাচে ফিরে আসার আভাস দেয় বরিশাল। তবে আফিফ ও উইলিয়াম বোসিস্টো মিলে গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি গড়ে সেটা হতে দেননি।
আফিফ ৩২ রানে আউট হওয়ার পর অবশ্য খুলনার ১৮০ রান পার করার বড় একটা কৃতিত্বের দাবিদার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ভীষণ কার্যকর এক ক্যামিও খেলার পথে ২০তম ওভারে ইবাদকে মারেন দুই ছক্কা। শেষ পর্যন্ত তরুণ এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ২৭ রানে। বোসিস্টোর নামের পাশে ছিল ২০ রান।
No posts available.
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
বড় শটের খোঁজে ক্যাচ আউট হয়ে গেলেন দাসুন শানাকা। শ্রীলঙ্কার সামনে সমীকরণ দাঁড়াল ১৮ বলে ৩৪ রানের। বোলিংয়ে এলেন টিনোটেন্ডা মাপোসা। তার ওপর ঝড় বইয়ে দিলেন কামিন্দু মেন্ডিস। এক ওভারেই ২৬ রান তুলে লঙ্কানদের এগিয়ে দিলেন তারকা অলরাউন্ডার।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বুধবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৪ উইকেটে হারায় শ্রীলঙ্কা। ১৭৬ রানের লক্ষ্য ৫ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা।
এর আগে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েও জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুন
বৃষ্টিতে ভেসে গেল হোয়াইটওয়াশের সুযোগ |
![]() |
এবার টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে চাপের সময়ে উদ্ধার করেন কামিন্দু। ছয় নম্বরে নেমে ১ চার ও ৪টি ছক্কা মেরে মাত্র ১৬ বলে ৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। তাই ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে কামিন্দুর হাতে।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে বড় সংগ্রহ এনে দেন ব্রায়ান বেনেট। ১২ চারের মারে ৫৭ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলেন তরুণ ওপেনার। এছাড়া সিকান্দার রাজা করেন ২২ বলে ২৮ রান। দলের আর কেউ তেমন কিছু করতে পারেনি।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন দুশমন্থ চামিরা।
আরও পড়ুন
লিটনের ঝড়ের পর বাংলাদেশের ১৬৪ |
![]() |
রান তাড়ায় কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিসাঙ্কার ব্যাটে ঝড়ো শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। উদ্বোধনী জুটিতে ৯৬ রান যোগ করেন তারা দুজন। ৩৫ বলে ৩৮ রান করেন কুশল মেন্ডিস।
চলতি সফরে টানা তৃতীয় পঞ্চাস ছাড়ানো ইনিংসে ৩২ বলে ৫৫ রান করেন নিসাঙ্কা। ৪ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তারকা ওপেনার।
এরপর কুসাল পেরেরা, নুয়ানিদু ফার্নান্দো, চারিথ আসালাঙ্কা, শানাকারা হতাশ করলে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তবে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান কামিন্দু।
একই মাঠে শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
দুই দফার বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে গেল বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সুযোগ থাকার পরও তাই ডাচদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারল না লিটন কুমার দাসের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলা হয়েছে মোটে ১৮.২ ওভার। যেখানে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ।
প্রথমে একবার বৃষ্টি নেমে ৩৫ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। এরপর ৮টা ৩১ মিনিটে নামা বৃষ্টির কারণে আর খেলা শুরুই করা যায়নি। তাই ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দেন আম্পায়াররা।
ফল না আসা ম্যাচে ব্যাট হাতে চমৎকার ইনিংস খেলেন লিটন কুমার দাস। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৬ বলে ৭৩ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সিরিজে দুই ফিফটিতে ১৪৫ গড়ে স্টাইলিশ এই ব্যাটারের সংগ্রহ ১৪৫ রান।
আরও পড়ুন
লিটনের ঝড়ের পর বাংলাদেশের ১৬৪ |
![]() |
এই পারফরম্যান্সের সৌজন্যে ম্যান অব দা সিরিজ পুরস্কার জেতেন লিটন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় সিরিজ সেরার পুরস্কার।
আগেই সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় এদিন একাদশে ৫ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। দুই নিয়মিত ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমকে দেওয়া হয় বিশ্রাম।
একাদশে সুযোগ পেয়ে তেমন কিছু করতে পারেননি শামীম হোসেন পাটোয়ারি। ১৯ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তিন নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয় ৯ রান করতে খেলেন ১৪ বল। ওপেনিংয়ে নেমে ৮ বলে ১২ রান করেন সাইফ হাসান।
প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ২ ছক্কার মারে ১১ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেন নুরুল হাসান সোহান। জাকের আলি অনিকের ব্যাট থেকে আসে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৩ বলে ২০ রান।
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক সিরিজ কাটালেন লিটন কুমার দাস। প্রথম ম্যাচের মতো শেষ টি-টোয়েন্টিও করলেন ঝড়ো ফিফটি। তার সৌজন্যে দুই দফায় বৃষ্টির বাগড়া পড়া ইনিংসে ১৮.২ ওভারে বাংলাদেশ পেল ৪ উইকেটে ১৬৪ রানের পুঁজি।
দ্বিতীয় দফায় ৮টা ৩১ মিনিটে নামে বৃষ্টি। এরপর খেলা শুরুর অবস্থা দেখা না যাওয়ায় ১০ বল বাকি থাকতে শেষ করে দেওয়া হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
খেলা শুরুর জন্য ৯টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। এর মধ্যে যদি শুরু না হয় তাহলে অমীমাংসিতভাবে শেষ হবে ম্যাচ।
স্বাগতিকদের দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দেওয়ার কারিগর লিটন কুমার দাস। রেকর্ড গড়া ইনিংসে ৪৬ বলে ৭৩ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ঝড় তোলেন জাকের আলি অনিক ও নুরুল হাসান সোহান।
আরও পড়ুন
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন মীরকাদিম পৌরসভা |
![]() |
আগেই সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় এদিন একাদশে ৫ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। দুই নিয়মিত ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমকে দেওয়া হয় বিশ্রাম। তাদের জায়গায় ইনিংস শুরু করেন লিটন কুমার দাস ও সাইফ হাসান।
প্রথম ওভারেই আরিয়ান দত্তের বলে জীবন পান সাইফ। তবে কাজে লাগাতে পারেননি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বাজে শটে বোল্ড হয়ে যান তিনি ৮ বলে ১২ রান করে।
মাঝে তৃতীয় ওভারে ড্যানিয়েল ডোরামের ওপর ঝড় বইয়ে দেন লিটন। তিন চার ও এক ছক্কায় নেন ২২ রান। চতুর্থ ওভারে ফ্লাডলাইট বিভ্রাটের কারণে ৮ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা।
এরপর খেলা শুরু হলে একই ছন্দে এগোতে থাকেন লিটন। মাত্র ১৬ বলে তিনি পৌঁছে যায় ৪২ রানে। মাত্র ২৩ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করে ফেলে বাংলাদেশ।
পঞ্চম ওভারের শুরুতে নামে বৃষ্টি। তাতে ৩৫ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। নতুন করে শুরু হলে থেমে যায় লিটনের ব্যাট। পরের ১০ বলে করেন মাত্র ৪ রান। তবে ডোরামের বলে আরেকটি ছক্কা মেরে ২৭ বলে ফিফটি করে ফেলেন তিনি।
আরও পড়ুন
ওপেনারকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা |
![]() |
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি ১৪টি ফিফটির মালিক লিটন। এত দিন ১৩ ফিফটি নিয়ে সবার ওপরে ছিলেন সাকিব আল হাসান।
পঞ্চাশের আগে একবার জীবন পান লিটন। ফিফটি করে আবার তাকে জীবন দেন নেদারল্যান্ডসের ফিল্ডাররা। কিন্তু তবু ইনিংস খুব বেশি বড় করতে পারেননি। ১৫তম ওভারে কাইল ক্লেইনের বলে ক্যাচ আউট হয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
রেকর্ড গড়া ইনিংসে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন লিটন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সব মিলিয়ে তার ছক্কা এখন ৭৭টি। রেকর্ডের মালিক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ছকাও ৭৭টি। আর একটি ছক্কা মারলেই রিয়াদকে ছাড়িয়ে যাবেন লিটন।
অধিনায়কের এক বল পর আউট হয়ে যান শামীম হোসেন পাটোয়ারি। এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে সুযোগ পাওয়া বাঁহাতি ব্যাটার ১৯ বলে করেন মাত্র ২১ রান। মাঝে ১৪ বলে ৯ রান করে আউট হন তিন নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয়।
পরে আর উইকেট পড়তে দেননি সোহান ও জাকের। দুজন মিলে ২৩ বলে ৪২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ার পর আবার নামে বৃষ্টি।
প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ২ ছক্কায় ১১ বলে ২২ রান করেন সোহান। জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৩ বলে ২০ রান।
নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ৩ উইকেট নেন ক্লেইন। তবে ৪ ওভারে ৫৩ রান দেন তিনি।
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার টনি ডি জর্জি। লিডসে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই এই চোট পান বাঁহাতি ওপেনার।
বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করার সময় জস বাটলারের একটি শট বাঁচাতে ডাইভ দেন তিনি। বল আটকাতে সফল হলেও বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে। এরপর মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ডি জর্জি। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকলেও আর মাঠে নামেননি।
প্রয়োজন হলে ব্যাট হাতে নামবেন- এমন সিদ্ধান্ত ছিল, তবে ১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে তাকে প্রয়োজন হয়নি। সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়ে এবার দেশে ফিরে হ্যামস্ট্রিংয়ের স্ক্যান করাবেন তিনি।
ডি জর্জির বদলি হিসেবে নতুন করে কাউকে দলে নেওয়া হয়নি। কারণ তিনি নিজেই ছিলেন রিজার্ভ ব্যাটার, যে কিনা খেলেছে ম্যাথিউ ব্রিটস্কের বদলে। বাঁহাতি ব্রিটস্কে নিজেও অস্ট্রেলিয়ায় শেষ ওয়ানডে ও ইংল্যান্ডে প্রথম ম্যাচে হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় ভুগে বাইরে ছিলেন। তবে এখন ফিট হয়ে ফিরেছেন, দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই তাকে নামতে দেখা যেতে পারে ৪ নম্বরে।
আরও পড়ুন
শ্রাবণের দৃঢ়তার পরও পারল না অনূর্ধ্ব-২৩ দল |
![]() |
দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বিভাগেরও অনিশ্চয়তা কাটেনি। দলটির প্রধান অস্ত্র কাগিসো রাবাদা গোড়ালির চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় খেলেননি, লিডসেও নামেননি। এরই মধ্যে কোডি ইউসুফকে দলে টানা হয়েছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে রাবাদার হয়তো টি–টোয়েন্টি সিরিজের আগে ফেরা কঠিন।
আরেক চিন্তার নাম অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হ্যামস্ট্রিং চোটের পর এখনও ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট প্রটোকলে আছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় তিন ম্যাচের সিরিজে দুটি খেললেও ইংল্যান্ডে প্রথম ওয়ানডেতে নেমেছিলেন। তবে বাকি দুই ম্যাচের একটিতে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।
প্রথম ম্যাচে সহজ জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির (আইএলটি-টোয়েন্টি) উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামতে পারেন মুস্তাফিজুর রহমান। আগামী ২ ডিসেম্বর টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরের প্রথম ম্যাচে লড়বে তার দল দুবাই ক্যাপিটালস।
আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট দল দুবাই ক্যাপিটালস ও ডেজার্ট ভাইপার্স।
গত মাসে ইংল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার লুক উডের জায়গায় বদলি হিসেবে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল দুবাই ক্যাপিটালস। দেশের বাইরে এরই মধ্যে আইপিএল, পিএসএল ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন মুস্তাফিজ।
এবার মুস্তাফিজের সামনে প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই টুর্নামেন্টে খেলার হাতছানি। তবে একই সময়ে হতে পারে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএল। তাই মুস্তাফিজের আইএলটি-টোয়েন্টি খেলা নিয়ে সংশয় আছে যথেষ্টই।
আরও পড়ুন
সাকিবকে টপকে চূড়ায় লিটন |
![]() |
টুর্নামেন্টে চারটি ডাবল হেডার রাখা হয়েছে। অর্থাৎ চার দিন হবে দুটি করে খেলা। লিগ পর্বের খেলা শেষ হবে ২৮ ডিসেম্বর। ৩০ ডিসেম্বর প্রথম কোয়ালিফায়ার দিয়ে শুরু হবে প্লে–অফ।
এরপর ১ জানুয়ারি হবে এলিমিনেটর, আর পরদিন কোয়ালিফায়ার-২। একদিন বিরতির পর ৪ জানুয়ারি দুবাইয়ে হবে ফাইনাল ম্যাচ।
টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো আগের আসরের মতো তিন ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হবে- দুবাই, শারজাহ ও আবুধাবি।
গত আসরে ফাইনালে ভাইপার্সকে চার উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল দুবাই ক্যাপিটালস। ২০২৪ সালের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এমআই এমিরেটস। উদ্বোধনী আসরে ২০২৩ সালে শিরোপা জিতেছিল গালফ জায়ান্টস।