
শুধু ভারতীয় ক্রিকেটই নয় ক্রিকেট ইতিহাসেরই সর্বকালের অন্যতম সেরা একটি জয়ের স্বাক্ষী হলো ক্রিকেটপ্রেমীরা। নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ৩৩৯ রানের পর্বত পাড়ি দিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে স্বাগতিক ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্বরণীয় এই জয়ে ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নায়ক বনে গেছেন জেমিমাহ রদ্রিগেজ। পুরো ক্রিকেটবিশ্ব এখন ভারতীয় ব্যাটারের বন্দনায় মেতেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ভারতের পুরুষ দলের বর্তমান ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটার, কোচ সবার প্রশংসা কুড়োচ্ছেন জেমিমাহ। বিরাট কোহলি টুইটারে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমাদের দলের কী দারুণ জয়! মেয়েরা দুর্দান্ত রান তাড়া করেছে, আর বড় ম্যাচে জেমিমাহ দেখিয়েছে অসাধারণ পারফরম্যান্স। সত্যিকারের দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস আর আবেগের এক অনন্য উদাহরণ। দারুণ কাজ করেছ, টিম ইন্ডিয়া!’
আরও পড়ুন
| বাংলাদেশ নারী দলের উন্নতিতে মুগ্ধ মিতালি রাজ |
|
রবীন্দ্রচন্দন আশ্বিন জেমিমাহর প্রত্যাবর্তনের ভূয়সী প্রশংসা করেন, ‘বিশ্বকাপের শুরুতে দল থেকে বাদ পড়া থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত দলকে ফাইনালে তোলা—অভিনন্দন জেমিমাহ!’
জেমিমাহর বন্দনায় মেতেছেন বাংলাদেশের পেসার মারুফা আক্তারও। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, ‘জেমি দিদি, তুমি আমাদের এমন এক দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়েছ! সত্যি বলতে, এটা প্রকাশ করার মতো ভাষা আমার নেই। তবে আমি সবসময় তোমার জন্য দোয়া করব। আশা করি তুমি তোমার দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আরও বড় সাফল্য অর্জন করবে। ফাইনাল ম্যাচের আমার শুভকামনা ও প্রার্থনা রইল।’
মারুফার প্রশংসার জবাবও দিয়েছেন জেমিমাহ। বাংলাদেশি ফাস্ট বোলারেরও গুনগান গেয়ে ভারতীয় ব্যাটার বলেন, ‘ধন্যবাদ মারুফা! তুমিও নিজে এক বিশাল অনুপ্রেরণা! তুমি যা করেছ, তা বাংলাদেশের অসংখ্য মেয়ে এবং সারা বিশ্বের মেয়েদের অনুপ্রাণিত করেছে।’
এক জায়গা দু’জনেরই মিল আছে। জেমিমাহ যেমন অনেক মানসিক চ্যালেঞ্জ উতরে সাফল্য পেয়েছেন তেমনি বহু কাঠখড় পুড়িয়ে, সংগ্রাম করে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন মারুফা। আর বাংলাদেশের এই পেসার ২২ গজে কিভাবে ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন সেটা তো সবারই জানা।
No posts available.
২ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৪৪ পিএম

গত ৬ অক্টোবর বিসিবির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর অভিষেক সভার জন্য অপেক্ষা বাড়েনি। পরদিন (৭ অক্টোবর) ২৫ সদস্যের পরিচালনা পরিষদের অভিষেক হয়েছে। অভিষেক সভাতেই দপ্তর বন্টিত হয়েছে। ২৩টি কমিটির চেয়ারম্যানের নাম ঘোষিত হয়েছে সেই সভাতেই।
সোমবার দুপুর ২টায় বিসিবির পরিচালনা পরিষদের দ্বিতীয় সভাটি পূর্ণাঙ্গ কলেবরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অভিষেক সভায় বিদেশে অবস্থান করায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কোটা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসা গায়ক আসিফ আকবর ছিলেন অনুপস্থিত। এজ গ্রুপ ডেভেলপম্যান্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া আসিফ আকবর আজ বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় থাকবেন উপস্থিতি। নানা কারণে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের এই সভাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিপিএলের সর্বশেষ সংস্করণে স্পট ফিক্সিং নিয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিটি সম্প্রতি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের হাতে তুলে দিয়েছে ৯০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন। যে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের নাম এখনো প্রকাশ করেনি বিসিবি। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশসমূহ গণমাধ্যমকে জানানি বিসিবি। সোমবার বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় এই তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হবে। বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভার এজেন্ডার তালিকায় রাখা হয়েছে এই ইস্যুটি।
বিপিএলের পরবর্তী ৫ আসরের জন্য ফ্রাঞ্চাইজি চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে গত ২৮ অক্টোবর যে ১১টি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিসিবিতে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) জমা দিয়েছে, তাদের পে অর্ডার, ব্যাংক গ্যারান্টি এবং কোম্পানীর আর্থিক স্বচ্ছলতার বিবরণ জেনে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল রোববার।
চিটাগাং কিংসের ফ্রাঞ্চাইজি এস. কিউ. স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজকে খেলাপীর তালিকায় রেখে ইওআই জমা দিতে দেয়নি বিসিবি। খুলনা টাইগার্স ফ্রাঞ্চাইজি মাইন্ডট্রি–রূপসী কংক্রিট লিমিটেড কনসোর্টিয়ামকে বিপিএলের পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। নতুন আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে নোয়াখালির ফ্রাঞ্চাইজি পেতে চেয়েছিল বাংলা মার্ক লিমিটেড। প্রাথমিক বাছাইয়ে তাদের আবেদনও গৃহিত হয়নি।
এই ৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে পাঁচ অথবা ৬টি ফ্রাঞ্চাইজি সোমবার বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় চূড়ান্ত হওয়ার কথা। বিপিএলের পরবর্তী ৫টি সংস্করণের জন্য ফ্রাঞ্চাইজি চূড়ান্ত হবে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সোমবারের সভায়। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় বিপিএলের কমার্শিয়াল রাইটসও অনুমোদিত হওয়ার কথা এই সভায়। বিসিবির পরিচালনা পরিষদের এজেন্ডাতে আছে এই ইস্যুটি।
বিসিবি ইন্ট্রিগিটি ইউনিটের প্রধান হিসেবে অ্যালেক্স মার্শালের নিয়োগ অনুমোদনের কথাও বিসিবির পরিচালনা পরিষদের এই সভায়।
এ বছরের জুন মাসে নাজমুল হোসেন শান্ত'র কাছ থেকে ওডিআই ক্যাপ্টেনসি কেড়ে নেয়ায় টেস্ট ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে কম সমালোচনা হয়নি। শান্ত'র ওডিআই ক্যাপ্টেনসি কেড়ে নেয়ার পেছনে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের ব্যক্তিগত ইচ্ছা গুুরুত্ব পেয়েছে বলেও গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। অন্তবর্তীকালীন মেয়াদে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বিসিবির বর্তমান নির্বাচিত কমিটিতেও একই দায়িত্বে বহাল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ০-৩ এ হেরে যাওয়ায় ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি পড়েছে সমালোচনার মুখে। এই কমিটিকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে একটা ছাঁয়া কমিটি গঠিত হয়েছে চট্টগ্রামে বসে। ওই ছাঁয়া কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী নাজমুল হোসেন শান্তকে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় কোচিং স্টাফ নিয়েও উঠেছে সমালোচনা। সোমবার বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় এসব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
বিসিবির পরিচালনা পরিষদের এই সভায় গেম ডেভেলপম্যান্ট কমিটি, ফিন্যান্স এন্ড অ্যাকাউন্টস , প্রশাসন, মানব সম্পদ এবং গ্র্যাউন্ডস এন্ড ফ্যাসিলিটিজের পরবর্তী করণীয় নিয়েও আলোচনার কথা আছে।
আগামী ৯ ও ১০ নভেম্বর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে দিনব্যাপী বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স নামের একটি সেমিনার আয়োজন করবে বিসিবি। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের আইডিয়ায় এই সেমিনারে যোগ দেয়ার কথা প্রতিটি জেলার ক্রিকেট প্রেসিডেন্ট ( কাউন্সিলর), জেলা ক্রীড়া অফিসার, জেলাসমূহের ক্রিকেট কোচ, নারী উদ্যোক্তা। তাদের সবাইকে এক ছাদের নিচে এনে বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নে করণীয় দিক নির্দেশনা নিতে চায় বিসিবি। এই সেমিনার আয়োজনের সর্বশেষ প্রস্তুতি বিসিবির পরিচালনা পরিষদে অবহিত করা হবে। এই সেমিনারের বাজেট অনুমোদিত হবে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায়।
সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের ক্রিকেট কোচ এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের। ব্যতিক্রর্মী এই আয়োজনের উদ্দেশ্য নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা এই সভায়।

প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল আফগানিস্তান। তবে তৃতীয় ম্যাচে রশিদ খানরা নেমেছিল ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে—হোয়াইটওয়াশের আশায়। শেষ পর্যন্ত তাদের সেই উচ্চাশা পূরণ হয়েছে। জিম্বাবুয়েকে ৯ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩–০ ব্যবধানে শেষ করেছে আফগানরা।
হারারেতে আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ২১০ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ২০১ রান পর্যন্ত পৌঁছতে পারে সিকান্দার রাজার দল।
এদিন ইনিংসের শুরুতেই ঝড় তোলেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তারা ১৫.৪ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে উদ্বোধনীতে জুটিতে যোগ করেন ১৫৯ রান। শেষ পর্যন্ত সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন গুরবাজ, তাতেই ভাঙে জুটি।
মাঠ ছাড়ার আগে ৪৮ বলে ৯২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন গুরবাজ। তাঁর ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা। আরেক ওপেনার জাদরান করেন ৪৯ বলে ৬০ রান।
দুই ওপেনার ফেরার পর শেষ দিকে সেদিকুল্লাহ আতল খেলেন ঝোড়ো ইনিংস। মাত্র ১৫ বলে ৩৫ রান করেন তিনি, স্ট্রাইক রেট ২৩৩! শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ২১০ রানে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস।
জবাবে জিম্বাবুয়ে শুরুতে ২ উইকেট হারালেও রান রেট ধরে রাখে। পাওয়ার প্লেতে ৪৮ রান তোলে স্বাগতিকরা। এক প্রান্ত আগলে খেলছিলেন ব্রেনেট, তবে ৪৭ রানে ফিরে যান তিনি।
অধিনায়ক সিকান্দার রাজার চেষ্টা ছিল চোখে পড়ার মতো। বল হাতে সুবিধা করতে না পারলেও ব্যাট হাতে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। মাত্র ২৯ বলে অর্ধশতক (৫১) পূর্ণ করেন তিনি।
১৭ ওভার পর্যন্ত লড়াইয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ তিন ওভারে ৫ উইকেটে ১৭২ রান থাকলেও ১৭তম ওভারে ফরিদ আহমেদের দুটি উইকেট আফগানদের জয় নিশ্চিত করে দেয়। শেষ পর্যন্ত ৯ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
আফগানিস্তানের হয়ে আব্দুল্লাহ আহমাদজাই নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট, ফরিদ আহমেদ নেন ২টি।
ম্যাচসেরা হয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তিন ম্যাচে ১৬৯ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান।

মেঘলা আকাশ। ম্যাচের আগেও ঝরেছে কয়েক দফা বৃষ্টি। ফলে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা ভলভার্ট। তবে তাঁর সিদ্ধান্ত যে একদম নিখুঁত, তা বলা যাবে না। যে লক্ষ্য নিয়ে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি, তা পূরণ হয়নি। বরং স্মৃতি মান্ধানা-শেফালি বর্মার দুর্দান্ত সূচনা ও শেষ দিকে দীপ্তি শর্মার দৃঢ়তায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ২৯৯ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে ভারত।
নারী ওয়ানডের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকা কখনোই এত বেশি রান তাড়া করে জিততে পারেনি। দলটি সর্বোচ্চ ২৭৫ রান তাড়া করে জিতেছে। ২০২১ সালে লক্ষ্ণৌয়ে ২৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ভারতকে হারিয়েছিল দলটি।
নাভি মুম্বাইয়ে আজ প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি স্বাগতিকরা। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে তোলে ৬৪ রান। স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মার জুটি ভাঙে দলীয় ১০৪ রানে, যখন স্মৃতি ফেরেন। উইকেট ছাড়ার আগে বাঁহাতি ব্যাটার করেন ৪৫ রান।
জুটি ভাঙলেও ঠিকই রেকর্ড গড়েছেন দুজন। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে এখন পর্যন্ত উদ্বোধনী জুটিতে ভারতের সর্বোচ্চ রান — মান্ধানা-শেফালির এই ১০৪ রান।
মান্ধানা ফেরার পরও থেমে থাকেননি শেফালি। ৬ রানে জীবন পাওয়া এই ব্যাটার স্বাচ্ছন্দ্যেই এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে দ্বিতীয়বার ক্যাচ তুলে দিয়ে আর রক্ষা পাননি। সুনে লুসের হাতে ধরা পড়ে ফিরতে হয় ৮৭ রানে। আউট হওয়ার আগে মারেন ৭ চার ও ২ ছক্কা।
দলকে ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জেমিমাহ রদ্রিগেজ আজ থিতু হয়েও সুবিধা করতে পারেননি, ফেরেন ২৪ রানে। অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর থামেন ২০ রানে, আর আমানজোত কৌর ফেরেন ১২ রানে।
দলীয় ২৪৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ। তাদের জুটি থেকে আসে ৪৭ রান। শেষ পর্যন্ত রিচা ফেরেন ৩৪ রানে, আর শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে দীপ্তি করেন ৫৮ রান। তাতেই ২৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আয়াবঙ্গা খাকা। ৯ ওভার বল করে খরচ করেন ৫৮ রান।

তাঁর প্রধান কাজ স্পিন ভেলকি দেখানো। হোবার্টে আজ বোলিংয়ের সুযোগই দেওয়া হয়নি ওয়াশিংটন সুন্দরকে। তবে বেলেরিভ ওভালে বলের চেয়ে ওয়াশিংটন ব্যাট হাতেই বেশি সুন্দর ছিলেন তিনি। তাঁর ব্যাটিং ঝড়েই সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
দারুণ জয়ে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে ভারত। টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকেই আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অতিথিরা। টিম ডেভিড ও মার্কাস স্টয়নিসের ঝোড়ো ফিফটিতে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান স্কোরে জমা করে অজিরা। ৯ বল বাকি থাকতে ১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছে ভারত।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ভারত। কার্যকর ইনিংস খেলেছেন অভিষেক শর্মা (২৫), শুভমান গিল (১৫), সূর্যকুমার যাদব (২৪), অক্ষর প্যাটেল (১৭) তিলক ভার্মারা (২৯)। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মূল ব্যাটাররা।
একটা সময় হারের শঙ্কাও জেগে ওঠে ভারতের। তবে ওয়াশিংটনের অপরাজিত ২৩ বলে ৪৯ রানে রানের অসাধারণ ইনিংসে সেই শঙ্কা দূরীভূত হয়। ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ও ৩টি চার। ১৩ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন জিতেশ শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছে নাথান এলিস। ৩.৩ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে স্বাগতিকদের ডুবিয়েছেন আরেক পেসার শন অ্যাবোট।
তার আগে টিম ডেভিডের ৩৮ বলে ৭৪, স্টয়নিসের ৩৯ বলে ৬৪ ও ম্যাথু শর্টের ১৫ বলে ২৬ রানে সৌজন্যে ১৮৬ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ৩৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় পেসার আর্শদীপ সিং। ম্যাচসেরা পুরস্কারও হাতে তুলেছেন তিনি। আগামী বৃহস্পতিবার গোল্ড কোস্টে হবে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি।

নাভি মুম্বাইয়ে নতুন এক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে পাওয়ার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রমীরা। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেরসিক বৃষ্টি। ডিওয়াই পাতিল স্পোর্টস একাডেমি মাঠে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়ার কথা ফাইনাল খেলা।
তবে টানা বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ড খেলার উপযোগী হতে সময় লেগেছে কয়েক ঘণ্টা। খেলা শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৫টার পর। টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৫০ ওভারেই খেলা শুরু হয়েছে। আজ পুরো ম্যাচ না হলে, কাল রিজার্ভ-ডেতে গড়াবে খেলা। তবে আবহাওয়ার পূর্বভাস বলছে আগামীকালও বৃষ্টির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে নাভি মুম্বাইয়ে। প্রশ্ন এখন আসতেই পারে, রিজার্ভ ডেতে খেলা না হলে শিরোপা নির্ধারণ কীভাবে হবে?
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ অফিশিয়ালরা চেষ্টা করবেন খেলা এক দিনেই শেষ করতে। এমনকি কম ওভারে হলেও। প্রত্যেক দলকে অন্তত ২০ ওভার খেলা বাধ্যতামূলক। তা সম্ভব না হলে, আজ যেখানে খেলা শেষ হবে, সেখান থেকে কাল রিজার্ভ ডেতে পুনরায় শুরু হবে।
যদি শেষ পর্যন্ত দুই দিনে মিলেও খেলার ফল না আসে, তাহলে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো শিরোপা ভাগাভাগি করবে। দুই দলই ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী হিসেবে নাম লেখাবে।