
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম সংস্করণ শুরু হচ্ছে আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে আয়ারল্যান্ড। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড ও এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড।
জানুয়ারির শেষ দিকে ইউএই পৌঁছাবে আয়ারল্যান্ড। ২৯ জানুয়ারি দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। ৩১ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ম্যাচ।
সিরিজ শেষে আয়ারল্যান্ড উড়াল দেবে শ্রীলঙ্কায়। তাদের গ্রুপে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে ও ওমান।
এরপর তারা বিশ্বকাপের জন্য ভারতে যাবে। চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে। এরপর দিল্লিতে কানাডা, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে দলটি।
বর্তমানে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে আয়ারল্যান্ড। গতকাল প্রথম ম্যাচ জিতে ফুরফুরে মেজাজে আছে আইরিশরা।
No posts available.
২৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪:০১ পিএম
২৮ নভেম্বর ২০২৫, ২:৪৯ পিএম

সৌদি আরবে প্রথমবার শুরু হচ্ছে বিশ্বসেরা নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে ছয় দলের টি–টোয়েন্টি লিগ। আগামী বছর থেকেই শুরু হবে ‘উইমেনস ওয়ার্ল্ড টি–টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ’, যেটি চালু করতে সৌদি আরব এক কৌশলগত চুক্তি করেছে ফেয়ারব্রেক গ্লোবালের সঙ্গে।
টুর্নামেন্টটি দু–সপ্তাহের উইন্ডোতে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে ২০২৬ সালের দ্য হান্ড্রেডের পর। অস্ট্রেলিয়ার উইমেনস বিগ ব্যাশ লিগ শুরুর আগে— সেপ্টেম্বরে বা অক্টোবরে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এরই মধ্যে লিগটিকে অনুমোদন দিয়েছে। পাঁচ বছর সৌদিতেই হবে এই প্রতিযোগিতা।
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ বিশ্বের শীর্ষ ক্রিকেট দেশগুলোর তারকা ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের জন্য যোগাযোগ শুরু করেছে আয়োজকেরা। ইংল্যান্ড অধিনায়ক ন্যাট স্কিভার–ব্রান্ট, ভারতের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরও সম্ভাব্য তালিকায় আছেন।
লিগে ছয়টি দল অংশ নেবে। প্রত্যেক দলে থাকবে ১৫ জন করে ক্রিকেটার। মোট ১৯ ম্যাচের এই প্রতিযোগিতায় থাকবে রাউন্ড–রবিন পর্ব, দুটি সেমিফাইনাল ও একটি ফাইনাল। ফেয়ারব্রেক তাদের নীতিমালা অনুযায়ী নিলামের বদলে নির্বাচনী প্যানেলের মাধ্যমে খেলোয়াড় বাছাই করবে।
আরও পড়ুন
| বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে বেছে নিল ভারত |
|
সংগঠকদের আশা, ২০২৬ সালের আসরে ৩৫টির বেশি দেশের ক্রিকেটার খেলবেন। এতে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর পাশাপাশি সহযোগী দেশগুলোর ক্রিকেটাররাও সুযোগ পাবেন, যা ছোট ও উদীয়মান দেশের খেলোয়াড়দের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করবে।
খেলোয়াড়দের বেতন নির্ধারণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আয়োজকরা তিন-চারটি বেতন শ্রেণি বিন্যাস বিবেচনা করছেন। শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দ্য হান্ড্রেড ও বিগ ব্যাশ লিগের বেতনের সমান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে— যদিও সময়সীমা ছোট হওয়ায় তা প্রো রাটা ভিত্তিতে দেওয়া হবে।
মাঝারি ও নিচের স্তরের খেলোয়াড়দের জন্য ৩ হাজার ৮০০ থেকে ১৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত বেতন ধরা হচ্ছে, যা সহযোগী দেশের ক্রিকেটারদের জন্য বড় অর্থমূল্য। ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের লিগে অংশ নিতে ইসিবির নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) লাগবে। তবে নারী ক্রিকেটে টুর্নামেন্ট কম হওয়ায় এতে জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা কম।
সৌদি আরবে নারী ক্রিকেট লিগ আয়োজন নিয়ে নৈতিক প্রশ্নও উঠছে। সেখানে সমলিঙ্গের সম্পর্ক অবৈধ হওয়ায় কিছু ক্রিকেটারের জন্য এতে দ্বিধা তৈরি হতে পারে। আয়োজন প্রক্রিয়ায় এসব উদ্বেগ কমাতে খেলোয়াড়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও সৌদিতে নারী ক্রীড়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মতামত নেওয়া হয়েছে।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ভেন্যুতে নারী–সংরক্ষিত জায়গা ও নামাজের জন্য নির্দিষ্ট স্থানসহ নানা সুবিধা রাখা হবে। একই সঙ্গে দেশটির নারীদের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ ও স্থানীয় খেলোয়াড় তৈরির পথও তৈরি করতে চায় তারা।
সৌদি আরব ২০০৩ সাল থেকে আইসিসির সদস্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি ক্রিকেটসহ নানা খেলায় বড় বিনিয়োগ করছে। রিয়াদ, জেদ্দা ও ইয়ানবুতে নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ চলছে। ক্রিকেটকে দেশের বড় খেলায় পরিণত করাই তাদের লক্ষ্য।
সৌদি ক্রিকেট ফেডারেশন বলেছে, দেশটির ইতিহাসে এটাই প্রথম পেশাদার নারী ক্রিকেট লিগ, যা নারী ক্রীড়ায় নতুন দিগন্ত খুলে দেবে এবং ‘ভিশন ২০৩০’–এর লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে।
তবে মানবাধিকার ইস্যু ও ‘স্পোর্টসওয়াশিং’ নিয়ে সমালোচনা চলছেই। অনেক তারকা ক্রিকেটারের জন্য এখানেই দোটানা—বাণিজ্যিক সুযোগ, নাকি নৈতিক অবস্থান? তবু আয়োজনকারী সংস্থার বিশ্বাস, বিশ্ব নারী ক্রিকেটে এটি নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।

এ বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হওয়ার কথা ছিল। ভারত সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো কারণ না জানিয়েই সেই সিরিজ স্থগিত করে ভারত। আর এই সময়টাতেই শ্রীলঙ্কার আতিথেয়তা জানানোর ঘোষণা দিল তারা।
ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে শ্রীলঙ্কাকে স্বাগত জানাচ্ছে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক সিরিজে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হবে বিশাখাপত্তনমে, আর বাকি তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে তিরুবনন্তপুরমে।
আরও পড়ুন
| এক যুগ পর জিম্বাবুয়ের মাঠে ওয়ানডে খেলবে অস্ট্রেলিয়া |
|
বিশাখাপত্তনমে ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে ২১ ও ২৩ ডিসেম্বর। এরপর তিরুবনন্তপুরমে ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে ২৬, ২৮ ও ৩০ ডিসেম্বর।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পর হারমানপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় নারী দল প্রথম মাঠে নামছে। ২০২৬ নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কুড়ি ওভারের ম্যাচ খেলবে তারা। আগামী বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ । দুই দলের জন্যই সিরিজটি টুর্নামেন্টের আগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে।
এই সময়টাতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু সেই সিরিজ স্থগিত হওয়ায় তৈরি হওয়া ফাঁকা জায়গায় শ্রীলঙ্কা সিরিজটি আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া এ বছরের আগস্টে বাংলাদেশ-ভারত ছেলেদের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হওয়ার কথা থাকলেও সেটিও স্থগিত করে ভারত।
বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচির অংশ। ২০২৬-এর জানুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া নারী প্রিমিয়ার লিগের (ডব্লুপিএল) আগে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজটা হওয়ার কথা ছিল। কলকাতা ও কটকে হওয়ার কথা ছিল।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ইতালির ক্রিকেট ফেডারেশনের (এফসিআরআই) সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সহযোগিতা ও ক্রীড়া কূটনীতিতে এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম বলছে ‘ঐতিহাসিক সমঝোতা’।
শুক্রবার রোমে পিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সুমাইর আহমদ সাইয়েদ এবং এফসিআরআইয়ের প্রেসিডেন্ট মারিয়া লোরেনা হাজ পাজ আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তির আওতায় ইতালিতে পুরুষ ও নারী ক্রিকেটের কাঠামোগত, কারিগরি ও প্রতিযোগিতামূলক উন্নয়নে দুই পক্ষ যৌথভাবে কাজ করবে। সম্প্রতি ইতালির জাতীয় দল আইসিসি পুরুষ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠেছে, সেই প্রেক্ষাপটে এই সহযোগিতাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
| টিকে গেলেন খাজা, ফেরা হলো না অধিনায়কের |
|
সমঝোতা স্মারকে যে সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে— কোচিং ও কারিগরি বিশেষজ্ঞ বিনিময়। যৌথ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কর্মসূচি, যার মধ্যে থাকছে ক্যাম্প, কর্মশালা, সেমিনার ও প্রস্তুতি ম্যাচ। বিভিন্ন স্তরে দ্বিপাক্ষিক টুর্নামেন্ট আয়োজন। ইতালিজুড়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট শক্তিশালী করার উদ্যোগ।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পিসিবির সিওও সুমাইর আহমদ সাইয়েদ বলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটের বিস্তারে অবদান রাখতে পিসিবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সহযোগিতা পাকিস্তান ও ইতালির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।’
এফসিআরআই প্রেসিডেন্ট মারিয়া লোরেনা হাজ পাজ বলেন, ‘ইতালির ক্রিকেট মানোন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটের পরিধি বাড়াতে ইতালি আরও কয়েকটি দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তির প্রক্রিয়ায় আছে।’
পিসিবি বলেছে, এই অংশীদারত্ব দুই দেশের খেলোয়াড়, কোচ ও ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনবে।

ক্রিকেটের তিন মোড়ল নামে পরিচিত অস্ট্রেলিয়া-ভারত-ইংল্যান্ড তুলনামূলক ছোট দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে সবসময়ই অপারগতা জানিয়ে আসছে। এই যেমন সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার কথাই ধরুন, অজিরা সবশেষ কখন জিম্বাবুয়ে সফর করেছে, সেটা জানতে হলে গুগলের আশ্রয় নিতে হবে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তবু কালেভদ্রে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। তবে টেস্টে ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরোনো সংস্করণে তো দুই দলের দেখা হয় না বললেই চলে।
দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে জিম্বাবুয়ে সফর করছে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটেভিত্তিক সাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো ‘নিউজ কপ’ এর বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেছে শিগগিরই জিম্বাবুয়ে-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপক্ষীয় সিরিজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে জিম্বাবুয়েতে অল্প সময়ের জন্য থামবে অস্ট্রেলিয়া দল, খেলবে তিনটি ওয়ানডে। সিরিজটি হবে হারারে অথবা বুলাওয়েতে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ওয়ানডে সিরিজও নিজেদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই আয়োজন করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ে। ফলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন
| টিকে গেলেন খাজা, ফেরা হলো না অধিনায়কের |
|
দীর্ঘ আট বছর পর জিম্বাবুয়ে সফর করবে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়েতে খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেবার পাকিস্তানকে নিয়ে একটি টি–টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজের আয়োজন করে আফ্রিকার দেশটি। আর ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল তারও আগে, ২০১৪ সালে।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট চেয়েছিল এই সফরে অন্তত একটি টেস্ট ম্যাচ রাখা হোক। তবে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৭ অ্যাশেজ পর্যন্ত ব্যস্ত টেস্ট সূচি থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এই সময়ে তারা অন্তত ১৯টি টেস্ট খেলবে।
অনেক দিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। লাল বলের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া-জিম্বাবুয়ের ম্যাচের অপেক্ষ আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। জিম্বাবুয়েতে অজিরা একমাত্র টেস্ট খেলেছিল ১৯৯৯ সালে। ওই টেস্টে স্টিভ ওয়াহ এর নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া ১০ উইকেটে জেতে। উইকেটকিপার ইয়ান হিলির শেষ টেস্ট ছিল সেটি।
অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেছে। এর মধ্যে শেষ দুই ম্যাচ হয়েছিল ২০০৩ সালের অক্টোবর, ছোট একটি সিরিজে। এই সিরিজটি স্বরণীয় হয়ে আছে প্রথম টেস্টে ম্যাথু হেইডেনের ৩৮০ রানের ইনিংসের জন্য, টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।

উসমান খাজাকে বাদ দেওয়া নিয়ে ক’দিন ধরেই চলছে আলোচনা। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ওপেনিংয়ে ট্র্যাভিস হেডের দুর্দান্ত ইনিংস আর খাজার ছন্দহীনতা নির্বাচকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তবে বাঁ বাহি এই ব্যাটারের ওপর আরেকবার আস্থা রাখল অস্ট্রেলিয়া।
ব্রিসবেন টেস্টের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। অজি নির্বাচকরা উসমান খাজাকে বাদ দেওয়া বা অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে তাড়াহুড়ো করে ফিরিয়ে আনার চাপকে দমিয়ে স্কোয়াড দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের জন্য অপরিবর্তিত দল ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা।
গুঞ্জন ছিল ব্রিসবেন টেস্টেই ফিরবেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক কামিন্স। তবে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে নিয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে নারাজ অস্ট্রেলিয়া। পিঠের চোটে পুনর্বাসন দ্রুত করার বদলে তারা সাবধানী পথ বেছে নিয়েছে।
আরও পড়ুন
| শেষ ওভারের নাটকীয়তায় পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা |
|
অনুশীলনে অবশ্য বেশ ঘাম ঝরাচ্ছেন কামিন্স। গোলাপী বলে এক ঘণ্টার নেট সেশনে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের সঙ্গে বোলিং করেছেন, তবু নির্বাচকরা সাবধানতার পথ বেছে নিয়েছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ প্যাট কামিন্স ব্রিসবেনে যাচ্ছেন প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে। রোববার থেকে ব্রিসবেনে স্কোয়াডের সঙ্গে একত্রিত হবেন তিনি।’
অ্যাডিলেড ওভালে ১৭ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরতে পারেন কামিন্স। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পার্থে প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে যাওয়া হ্যাজলউডও ব্রিসবেনে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরতে পারেননি।
প্রথম টেস্টে পার্থে হেডের ওপেনিংয়ে চমৎকার পারফরম্যান্সের পর অজি সমর্থকরা খাজাকে সরানোর দাবি করছিল। হেড দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, তাঁর ওই ইনিংসেই ইংলিশরা ম্যাচ থেকে পুরোদস্তর ছিটকে যায়।
ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
ব্রিসবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড :
স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), স্কট বল্যান্ড, অ্যালেক্স কেয়ারি, ব্রেনডান ডগেট, ক্যামেরন গ্রিন, ট্র্যাভিস হেড, জোশ ইংলিস, উসমান খাওয়াজা, মারনাস লাবুশগনে, নাথান লায়ন, মাইকেল নেসার, মিচেল স্টার্ক, জেক ওয়েদারাল্ড, বেউ ওয়েবস্টার