প্রথম ম্যাচে দুই দলের মধ্যে ছিল বিশাল ব্যবধান। ব্যাটে-বলে কোনো বিভাগেই লড়াই জমাতে ব্যর্থ হয় আয়ারল্যান্ড নারী দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুটা প্রতিদ্বন্দিতা করতে পেরেছে দলটি। তবে বাংলাদেশের মেয়েদের জয়ের ক্ষেত্রে সেটা বাধা হতে পারল না অবশ্য। আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে অল্পে আটকে দেওয়ার পর পেশাদার রান তাড়ায় জয় তুলে নিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তাতে নিশ্চিত হয়ে গেল ওয়ানডে সিরিজ জয়ও।
মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৫ উইকেটে। প্রতিপক্ষকে ১৯৩ রানে আটকে দেওয়ার পর ৩৭ বল হাতে রেখেই জয়ের দেখা পেয়েছে স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশের লিড ২-০ ব্যবধানে।
মাঝারি মানের এই রান তাড়ায় শুরুতেই মুরশিদা খাতুনকে হারায় বাংলাদেশ। তবে প্রথম ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটাররা যে ফর্ম দেখিয়েছিলেন, সেটা তারা টেনে আনেন এই ম্যাচেও। দ্বিতীয় উইকেটে তাই ফারজানা হক ও শারমিন আক্তার মিলে যে জুটি গড়েন, সেটা ম্যাচের রোমাঞ্চ প্রায় শেষ করে দেয়। দুজন মিলে যোগ করেন ৮৫ রান।
প্রথম ম্যাচে ৬১ করা ফারজানা আরও একবার দারুণ ব্যাটিং করে তুলে নেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি। আর আগের ম্যাচে ৮৯ বলে ৯৬ করা শারমিনও বজায় রাখেন ধারা। এদিন অবশ্য কিছুটা ধীরে ইনিংস এগিয়ে নেন তিনি। ৬৩ বলে আসে ৪৩ রান। আর ঠিক পঞ্চাশ করে আউট হয়ে যান ফারজানা। দলীয় ১২৯ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে সোবহানা মোস্তারির আউটে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
তবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন নিগার। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলের সাথে পাল্লা দিয়ে খেলেন ১০২ স্ট্রাইক রেটে ৪০ রানের ইনিংস। ৪টি চারের পাশাপাশি ছক্কা হাঁকান একটি। ২৯ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন স্বর্ণা।
আগের ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারনেই কিনা, আয়ারল্যান্ডের শুরু থেকেই লক্ষ্য ছিল টিকে থেকে পুরো পঞ্চাশ ওভার ব্যাট করার। ফলে শুরু থেকেই রানের গতি ছিল বেশ ধীর। প্রথম দশ ওভারে রান আসে মাত্র ৩৫, আর তাতেই হারায় দুটি উইকেট। গ্যাবি লুইসকে সুলতানা খাতুন। আর সারাহ ফোবর্সকে শিকার বানান আগের ম্যাচে তিন উইকেট পাওয়া নাহিদা আক্তার।
তবে তৃতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় আয়ারল্যান্ড। রানের গতি বাড়িয়ে বাংলাদেশের বোলারদের চাপে ফেলে দেন অ্যামি হান্টার ও ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট। তবে ইনিংস এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ধীরলয়ে ব্যাটিং করা ওরলা শেষ পর্যন্ত রান আউট হন ৩৭ রানে, বল খেলেন ৭২টি। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় নিগারের দল। ৮ বাউন্ডারিতে ৬৮ রান করা অ্যামিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন স্বর্ণা আক্তার।
শেষের দিকে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ড পারেনি দ্রুত রান তুলতে। ফলে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দলটি টেনেটুনে যেতে পারে দুইশ রানের কাছাকাছি। ৩২ রানে ২ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার শারমিন সুলতানা।
No posts available.
১৪ অক্টোবর ২০২৫, ৪:২৩ পিএম
লাহোর টেস্টে দ্বিতীয় দিন
পড়েছে ১৬ উইকেট। এর মধ্যে ১৫টি উইকেট স্পিনারদের দখলে। ‘ব্যাটল অব স্পিনে’ আসল জয়টা
হতে পারে কাল টেস্টের চতুর্থ দিন। পাকিস্তানের দেওয়া ২৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্বিতীয়
ইনিংসে ব্যাটিং করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় দিন শেষ সফরকারীদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫১
রান। জিততে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ২২৬ রানে, আর পাকিস্তানের দরকার ৮ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে নুমান আলির
ঘূর্ণি জাদুতে নাকাল হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৬৯ রানেই থেমে যায় অতিথিদের ইনিংস। টনি
ডি জর্জির (১০৪) সেঞ্চুরির বিপরীতে ৬ উইকেট নেন নুমান। ১০৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে
একদমই সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। সেনুরান মাথুসামি ও সিমন হারমারের দুর্দান্ত স্পিনে
১৬৭ রানে স্বাগতিকদের আটকে রাখে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের
ব্যাটারদের কেউ ফিফটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন বাবর আজম। আব্দুল্লাহ
শফিকের ব্যাট থেকে আসে ৪১ ও সৌদ শাকিল করেন ৩৮ রান। যার সৌজন্যে দেড়শ পেরোয় তাদের ইনিংস।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে মাথুসামি দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে নেন
৬ উইকেট। হারমার নিয়েছেন ৪ উইকেট।
২৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায়
নেমে শেষ বিকেলে ১৮ রানে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার অধিনায়ক
এইডেন মার্করাম ৩ ও উইয়ান মুল্ডার রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিংরুমে ফেরেন। রায়ান
রিকেলটন ২৯ ও প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা টনি ডি জর্জি ১৬ রান থেকে কাল আবারও ব্যাটিং
শুরু করবেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট দুটি নিয়েছেন নুমান।
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর অভিযানে টস হারলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কয়েনভাগ্য পাশে পেয়ে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি।
পরপর দুই ম্যাচ হারের পর শেষটিতে ৪ পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ। সুযোগ পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ, শামীম হোসেন, নাহিদ রানা ও ও হাসান মাহমুদ।
আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন তানজিদ হাসান তামিম, জাকের আলি অনিক, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশে পরিবর্তন দুইটি। চোটের কারণে বাদ পড়েছেন রহমত শাহ। বাদ পড়েছেন বশির আহমেদ। তাদের জায়গায় এসেছেন বিলাল সামি ও ইকরাম আলি খিল।
বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানা, তানভির ইসলাম, হাসান মাহমুদ।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, সেদিকউল্লাহ অতল, ইকরাম আলি খিল, হাশমতউল্লাহ শহিদি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, এএম গাজানফার, নানগেলিয়া খারটে, বিলাল সামি।
অস্ট্রেলিয়া সফরের ভারতীয় দল ঘোষণার পর থেকে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে হার্শিত রানাকে নিয়ে। এই তরুণ পেসারকে দলে নেওয়ায় অনেকে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও করছেন। তাদের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিলেন গৌতম গম্ভীর।
রানাকে দলে নেওয়ার সমালোচনা করা বিশ্লেষক বা ক্রিকেট বোদ্ধাদের দলে অন্যতম ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক কমিটির সাবেক প্রধান ক্রিস শ্রীকান্ত। ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেছেন, গম্ভীরের পছন্দের হওয়ায় সুযোগ পেয়েছেন রানা।
শ্রীকান্তের মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন গম্ভীর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধান কোচ বলেছেন, রানার প্রতি এসব মন্তব্য করা অন্যায়।
“এটা একটু লজ্জাজনক। আর আমি একেবারে খোলাখুলিভাবে বলছি- যদি আপনি ২৩ বছর বয়সী এক তরুণকেও ছাড় না দেন শুধু আপনার ইউটিউব চ্যানেল চালানোর জন্য, তাহলে সেটা অন্যায়।” গম্ভীর
“কারণ শেষ পর্যন্ত রানার বাবা কোনো সাবেক নির্বাচক, সাবেক ক্রিকেটার বা প্রবাসী ভারতীয় নন। রানা নিজের যোগ্যতায় ক্রিকেট খেলছে এবং ভবিষ্যতেও নিজের যোগ্যতায়ই খেলবে।”
জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটারের সমালোচনা করার আগে পারিপার্শ্বিকতাও বিবেচনা করতে বলেছেন গম্ভীর।
“কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা ঠিক নয়। আপনি কারও পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, সেটার জন্য কোচ ও নির্বাচকরা আছেন। কিন্তু যদি আপনি ২৩ বছর বয়সী একজন ছেলেকে এমনভাবে আক্রমণ করেন, তাহলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সেটিকে আরও বড় করে তোলে।”
“সেখানে তাকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। ওই খেলোয়াড়ের মানসিক অবস্থার উপর সেটি কতটা প্রভাব ফেলে তা আন্দাজও করা যায় না। ভবিষ্যতে আপনার সন্তানও ক্রিকেট খেলতে পারে, যে কারও সন্তানই খেলতে পারে।”
শুধুমাত্র ইউটিউবের ভিউয়ের খোঁজে মানহীন কথাবার্তা না বলতে আহ্বান জানান ভারতের কোচ।
“আমি মনে করি, আমাদের একটু সাবধান হওয়া উচিত। আপনি যা বলছেন, তা যেন শুধু ইউটিউবের ভিউয়ের জন্য না হয়। আমাদের প্রত্যেকেরই ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি নৈতিক দায়িত্ব আছে।”
“ভারতীয় ক্রিকেট শুধু আমার নয়, শুধু ড্রেসিং রুমে থাকা খেলোয়াড়দেরও নয়- এটি আমাদের সবার। এটি প্রতিটি ভারতীয়ের, যে সত্যিকারের চায় ভারতীয় ক্রিকেট ভালো করুক। সমালোচনা করুন, কিন্তু করুন পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে- ব্যক্তিগত আক্রমণ করার জন্য নয়।”
সফলভাবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি শেষ হওয়ার পর এবার চার দিনের টুর্নামেন্টে খেলবেন স্থানীয় ক্রিকেটাররা। গত কয়েক বছর ধরে প্রথম শ্রেণির এই প্রতিযোগিতায় ব্যবহার করা হচ্ছে ডিউক বল।
তবে এবার সামনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থাকায় এনসিএলের প্রথম দুই রাউন্ডে ডিউকের বদলে ব্যবহার করা হবে কুকাবুরা বল। কারণ ওই সিরিজের দুই ম্যাচেও কুকাবুরা বলে খেলা হবে।
আগামী ২৫ অক্টোবর শুরু হওয়ার কথা এনসিএলের নতুন মৌসুম। ওই টুর্নামেন্টের প্রথম দুই রাউন্ড দিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের প্রস্তুতিও সেরে নিতে চায় বিসিবি। তাই কুকাবুরা বল ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে বোর্ডের একটি সূত্র।
আরও পড়ুন
উইন্ডিজদের ধবলধোলাই করে গিলের প্রথম সিরিজ জয় |
![]() |
“সামনে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ থাকলে আমরা আগেও এটি (কুকাবুরা বলের ব্যবহার) করেছি। আয়ারল্যান্ড সিরিজ যেহেতু কুকাবুরা বলে খেলা হবে তাই আমরা চাই ক্রিকেটাররা বিশেষ করে বোলাররা যেন কুকাবুরা দিয়েই প্রস্তুতিটা নিতে পারে।”
কুকাবুরা বলের তুলনায় ডিউক বলের সিম তুলনামূলক খাড়া ও এর উজ্জ্বলতাও টিকে থাকে লম্বা সময়। বোলাররা কিছুটা বাড়তি সুবিধা পান এই বলে। তাই দেশের তুলনার ধীর পিচে গতির ঝড় তোলার জন্য ২০২২ সালের এনসিএল থেকে ডিউক বলের ব্যবহার শুরু হয়।
আগামী মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিলেটে প্রথম ম্যাচ হবে ১১ তারিখ থেকে। এরপর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরের ম্যাচ শুরু ১৯ তারিখ।
চতুর্থ দিনেই দিল্লি টেস্টের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। ইনিংস ব্যবধানে হারতে বসা ম্যাচটি শেষ দিন নিয়ে যাওয়াটাই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাপ্তি। শেষ পর্যন্ত হেসেখেলেই জিতেছে ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ১২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পেয়েছে ভারত। এক উইকেটে ৬৩ রানে দিন শুরু করা স্বাগতিকরা আজ পঞ্চম দিনে বাকি ৫৮ রান তুলে ক্যারিবিয়দের ধবলধোলাই নিশ্চিত করল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানের জয়ে সাদা জার্সিতে ভারতের অধিনায়ক শুবমান গিলও পেলেন প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ।
দিল্লি টেস্ট পঞ্চম দিনে গড়ালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারটা প্রায় নিশ্চিতই ছিল। ১২১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে যস্বশী জয়সাওয়ালের উইকেট হারালেও ৬৩ রান তোলে ভারত। শেষ দিনে সাই সুদর্শন ও শুভমান গিল ফিরলেও লোকেশ রাহুলের হাফ সেঞ্চুরিতে অনায়েসেই জয় তুলে নেয় তারা।
আরও পড়ুন
ম্যাচের শেষ বল করার পরই ভারতীয় ক্রিকেটারের মৃত্যু |
![]() |
ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ৬ টেস্টের সবকটিতেই হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ১০ টেস্ট সিরিজের একটিতেও জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একটি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা সর্বোচ্চ সিরিজ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পাশে বসল গিলের দল। ১৯৯৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ১০টি টেস্ট সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ ২৭ টেস্টের একটিতেও হারেনি ভারত।
ঘরের মাঠে ২৯৬ টেস্টে ভারতের এটি ১২২তম জয়। শুবমান গিলের দল পেছনে ফেলেছে ১২১ টেস্ট জেতা সাউথ আফ্রিকাকে। ঘরের মাঠে ভারতের চেয়ে বেশি টেস্ট জয় আছে কেবল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের।
ভারত ২০০২ থেকে এ পর্যন্ত টানা ১০টি টেস্ট সিরিজ জিতল সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ক্রেগ ব্রাফেটের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম পাঁচ টেস্টেই হারলেন চেজ।
ক্রিকেটে অন্ধকার সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ আরও একটি হারের সঙ্গে অধিনায়ক রস্টন চেজও অপ্রীতিকর এক রেকর্ড গড়লেন। ক্রেইগ ব্রার্থওয়েটের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম পাঁচ টেস্টের সবকটিতে হেরেছেন তিনি।
পঞ্চম দিনে ৫৮ রানেল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত পঞ্চম ১১তম ওভারে সুদর্শনকে হারায়। রোস্টন চেজের বলে স্লিপে এই ব্যাটারে দারুণ ক্যাচ নেন শাই হোপ। ৩৯ রানে ফেরেন সুদর্শন। দলীয় ১০৮ রানে আউট হন গিল। দ্রুত তোলার চেষ্টায় বল আকশে তুলে ক্যাচ তুলে দেন ভারতের অধিনায়ক। ১৩ রান করে ফেরা গিলের আউটের পর আর উইকেট হারায়নি ভারত। ওপেনার লোকেশ রাহুল এক প্রান্তে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।