অ্যান্টিগা এন্ড বারবুডা ফ্যালকনসের হয়ে আপাতত ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে ব্যস্ত সাকিব আল হাসান। এদিকে তার আরেক দল আটলান্টা ফায়ার জন্ম দিয়েছে বিস্ময়কর এক ঘটনার। এক ওভারে তারা নিয়েছে ৪৩ রান!
মাইনর লিগ ক্রিকেটে অরলান্ডো গ্যালাক্সির বিপক্ষে ম্যাচে এই কাণ্ড করেছেন আটলান্টার দুই ব্যাটার স্টিভেন টেলর ও সাগার প্যাটেল। এর মূল কারিগর অবশ্য অরলান্ডোর পেসার ঋষি ভারমানি। কারণ 'ওয়াইড' ও 'নো' মিলিয়ে মোট ১৩টি বল করেছেন ভারমানি।
আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৪ ওভারে ৩০ রান করতে পেরেছিল আটলান্টা। এরপর বোলিংয়ে আসেন ভারমানি। যেখানে কোনো বৈধ ডেলিভারি করার আগেই ২০ রান দিয়ে ফেলেন অরলান্ডো ডানহাতি এই পেসার।
তার দুটি ডেলিভারি ছিল নো ও ওয়াইড। এরপর আরেকটি 'নো' বল করলে ছক্কা মেরে দেন টেলর। পরের বল আবার 'নো', এবার দুই রান নেন ব্যাটার। পরের বলটি আবার ওয়াইড। তার ষষ্ঠ বলটি আবার হয় 'নো', আবার ছক্কা মারেন প্যাটেল।
আরও পড়ুন
অন্যরকম ফিফটির সামনে দাঁড়িয়ে লিটন |
![]() |
অর্থাৎ ছয় বল করলেও বৈধ ডেলিভারি ছিল না একটিও, উল্টো স্কোরবোর্ডে জমা হয় ২০ রান। এরপর সপ্তম বলে গিয়ে প্রথম বৈধ ডেলিভারি করেন ভারমানি। তাতেও রক্ষা পাননি। ছক্কা মেরে দেন প্যাটেল। এরপর অবশ্য রানের বান থামে। সব মিলিয়ে ১৩ বল করে ৪৩ রান দেন ভারমানি।
৪ ওভারে ৩০ থেকে ভারমানির ওই ওভারের সৌজন্যে ৫ ওভারে ৭৩ রানে পৌঁছে যায় আটলান্টা। শেষ পর্যন্ত তারা করে ৫ উইকেটে ২১৭ রান। পরে অরলান্ডো মাত্র ১৪২ রানে অলআউট হয়ে গেলে ৭৫ রানের জয় পায় আটলান্টা।
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে সাকিব আল হাসানকে দলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল আটলান্টা। সেটির সমর্থনে সাকিব নিজেও দিয়েছিলেন ভিডিওবার্তা। তবে কবে নাগাদ দলে যোগ দিতে পারবেন সাকিব, সেটি এখনও অজানা।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে সিপিএল। অ্যান্টিগা ফাইনালে উঠলে ততদিন মাইনর লিগ খেলতে যাওয়া হবে না সাকিবের। এরপর গেলেও আটলান্টা ফায়ারের হয়ে দুটির বেশি ম্যাচ খেলতে পারবেন না বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
No posts available.
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:৪৪ পিএম
দুই ওপেনারকে বিশ্রাম দিয়ে ইনিংস সূচনা করতে নেমে ঝড় তুললেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু সেটি যেন পছন্দ হলো না সিলেটের প্রকৃতির। প্রথম ফ্লাডলাইট বিভ্রাট আর পরে বৃষ্টির কারণে থেমে গেল লিটনের টর্নেডো ব্যাটিং।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে আপাতত বন্ধ বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের খেলা। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিরতির আগপর্যন্ত মাত্র ৪.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬০ রান।
মাত্র ৫ চার ও ২ ছক্কায় ১৬ বলে ৪২ রানে অপরাজিত লিটন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালান বাংলাদেশ অধিনায়ক। অন্য প্রান্তে সাইফ হাসান এদিন তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। চতুর্থ ওভারে কাইল ক্লেইনের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে যান ৮ বলে ১২ রান করা সাইফ।
আরও পড়ুন
৮০০ ছুঁয়ে যেখানে অনন্য বাংলাদেশ |
![]() |
তৃতীয় ওভারে ড্যানিয়েল ডোরামের বলে তিনটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন লিটন। পরের ওভারে ক্লেইনের বলে চমৎকার পুল শটে মারেন নিজের দ্বিতীয় ছক্কা। ওই ওভারেই পঞ্চম বলে ফ্রি হিট পান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
কিন্তু ফ্লাডলাইটের কয়েকটি বাতি নিভে যাওয়ায় ৮ মিনিটের মতো বন্ধ থাকে খেলা। পুনরায় শুরু হলে ফ্রি হিট বলে চার মারেন লিটন। ওভারের শেষ বলে অবশ্য ভাগ্যের সহায়তাও পান। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লিটনের ক্যাচ ছেড়ে দেন শরিজ আহমাদ।
পরে পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে চল্লিশে পৌঁছান লিটন। এরপরই বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। দুই দফার বাধায় এরই মধ্যে ত্রিশ মিনিটের বেশি নষ্ট হয়ে গেছে।
আকাশে মেঘের ঘনঘটা থাকায় শঙ্কা ছিল যথেষ্টই। তবে সব আশঙ্কা উড়িয়ে যথাসময়েই হয় বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের তৃতীয় টি-টোয়েন্টির টস। আর তাতেই ৮০০ ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এখন ৮০০ ম্যাচ খেলা দশম দল বাংলাদেশ। এর আগে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছে আইসিসির পূর্ণ সদস্য প্রথম ৯টি দেশ- অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ে।
তবে এই ৮০০ ম্যাচের রেকর্ডে একটি জায়গায় সবার চেয়ে আলাদা বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত 'টাই' হয়নি বাংলাদেশের কোনো ম্যাচ।
আরও পড়ুন
লাল সবুজ জার্সিতে কিউবার অভিষেক, একাদশে নেই ফাহামিদুল |
![]() |
শুধু এই ১০ দেশ নয়, অন্তত ২৭৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ১৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশই একমাত্র ব্যতিক্রম। বাকি ১৩ দেশের সবকটিই অন্তত একটি হলেও ম্যাচ টাই করেছে।
সবচেয়ে বেশি টাই করার রেকর্ড ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তারা এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচ টাই করেছে।
সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ইংল্যান্ডের। প্রায় দেড়স বছরের ইতিহাসে ২ হাজার ১১১টি ম্যাচ খেলেছে তারা। পিছিয়ে নেই অস্ট্রেলিয়াও। বিশ্ব ক্রিকেটের জায়ান্টরা এখন পর্যন্ত খেলেছে ২ হাজার ১০৪টি ম্যাচ।
এছাড়া ১ হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে ভারত (১৯০৭), পাকিস্তান (১৭২৫), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৭০৬), নিউ জিল্যান্ড (১৫৫৬), শ্রীলঙ্কা (১৪৭১) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (১৩৬৯)। জিম্বাবুয়ের ম্যাচ সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৮৮০টি।
সহসাই আর কারও ৮০০ ম্যাচের মাইলফলক ছোঁয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ বাংলাদেশের পরে থাকা দল আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ সংখ্যা মাত্র ৩৯৫টি।
শেষ ম্যাচে নিয়মিত দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনকে বিশ্রাম দিলো বাংলাদেশ। তাতেই ঘুচল প্রায় দুই বছরের এক অপেক্ষা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর আবার বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে দেখা গেল দুই ডানহাতি ব্যাটার।
তামিম ও ইমনের অনুপস্থিতিতে ইনিংস সূচনা করতে নামেন লিটন কুমার দাস ও সাইফ হাসান। তাদের সৌজন্যে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৮১ ইনিংস পর আবার দুই ডানহাতি ওপেনারের দেখা পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
শুধু টি-টোয়েন্টির হিসেব করলে, ৪০ ম্যাচ পর আবার দুই ডানহাতি ওপেনার ব্যবহার করল বাংলাদেশ।
প্রায় দুই বছরে খেলা এই মাঝের ৮১ ইনিংসে ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন উদ্বোধনী জুটি ব্যবহার করে বাংলাদেশ। এর অন্তত একপ্রান্তে ছিলেন একজন বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
বিদায়ী ম্যাচে মেসিকে দুঃখ দিতে চান ভেনেজুয়েলা কোচ |
![]() |
এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস সূচনা করেন লিটন ও রনি তালুকদার। সেদিন ১৩ রানে ভেঙে যায় তাদের জুটি। প্রায় দুই বছর পর লিটন ও সাইফের জুটিতে এলো ১৯ বলে ৩৯ রান।
আগের দুই ম্যাচে তৃতীয় উইকেটে জুটি বেধেছিলেন লিটন ও সাইফ। প্রথম ম্যাচে ৪৬ বলে ৬৪ ও পরের ম্যাচে ২৬ বলে ৪৬ রান যোগ করেছিলেন তারা। দুই ম্যাচেই অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তারা। তবে শেষ ম্যাচে চতুর্থ ওভারে ভেঙেছে লিটন-সাইফের জুটি।
সাইফের বিদায়ের পর তিন নম্বরে নেমেছেন আরেক ডানহাতি ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পর এবারই প্রথম বাংলাদেশের টপ-অর্ডারে দেখা গেল তিন ডানহাতি ব্যাটার।
সেদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম তিন ব্যাটার ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান ও লিটন কুমার দাস।
সিরিজের শেষ ম্যাচে আর টস জিততে পারলেন না লিটন কুমার দাস। তাই বদলে গেল বাংলাদেশের ভাগ্য। এবার টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন স্কট এডওয়ার্ডস। সিরিজে প্রথমবার আগে ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলায় এই ম্যাচের একাদশে ৫টি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে নিয়মিত দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমকে।
এর বাইরে দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদকেও রাখা হয়েছে একাদশের বাইরে। এই ম্যাচে খেলছেন না অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান।
হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে শেষ টি-টোয়েন্টি সুযোগ পেয়েছেন নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আর প্রথম ম্যাচের পর আবার একাদশে ফেরানো হয়েছে শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেনকে।
আরও পড়ুন
ঝুঁকি নিয়ে হলেও অ্যাশেজে তোপ দাগতে চান কামিন্স |
![]() |
এক্ষেত্রে বলে রাখা যায়, চলতি বছর মুস্তাফিজুর রহমানকে একাদশের বাইরে রেখে এখন পর্যন্ত একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তাই এবার নেদারল্যান্ডসকে হোয়াইটওয়াশ করতে হলে ভিন্ন কিছুই করতে হবে তাদের।
বাংলাদেশ একাদশ:
লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলি অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, নাসুম আহমেদ।
নেদারল্যান্ডস একাদশ:
ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিত সিং,অনিল নিদামানুরু, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), নোয়াহ ক্রোয়েস, কাইল ক্লেইন, আরিয়ান দত্ত, পল ফন মিকেরেন, শরিজ আহমাদ, ড্যানিয়েল ডোরাম, টিম প্রিঙ্গেল।
জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর থেকে অস্ট্রেলিয়া দলে নেই প্যাট কামিন্স। সেই সফরে ব্যাকে (পিঠ) চোট পান অজি অধিনায়ক। সিরিজে খেললেও পুরোদমে বোলিং করতে পারেননি। এখন আছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে। চলতি মাসে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজও মিস করবেন তিনি।
তবে কামিন্সের নজর অ্যাশেজ সিরিজে। আগামী ২১ নভেম্বর নিজেদের মাঠে শুরু হবে অভিজাত সংস্করণের এই ঐতিহ্যবাহী সিরিজ। সেই সিরিজে খেলতে মরিয়া কামিন্স, প্রস্তুতও করছেন নিজেকে। যদি চোট সুস্থ হয়ে ওঠেন, আশেজে খেলতে ফিটনেস প্রমাণ করার জন্য ঝুঁকি নিতে রাজি তিনি।
কামিন্সদের কাছে অ্যাশেজের গুরুত্ব কতটা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বললেন,
'আশেজ সিরিজ সাইডলাইনে বসে দেখা খুবই ভয়ংকর ব্যাপার, তাই আমরা সবকিছু করব- যাতে আমি প্রস্তুত থাকতে পারি। কয়েকটি সিদ্ধান্ত একটু কাছাকাছি সময়ে নেব, কিন্তু আত্মবিশ্বাসী (খেলার ব্যাপারে)। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ঠিকভাবে করা এবং ভালোভাবে চেষ্টা করা দরকার। আশেজ সিরিজের চেয়ে বড় কিছু নেই। আমি মনে করি আপনি কিছু ঝুঁকি নিতে পারেন এবং একটু আগ্রাসী হতে ইচ্ছুক থাকেন, তাহলে কিছু টেস্ট খেলতে পারেন।’
আরও পড়ুন
অবসর ভেঙে ফিরলেও জায়গা পেলেন না বিশ্বকাপ দলে |
![]() |
কামিন্স বিশ্বাস করেন আশেজের প্রথম ম্যাচের জন্য কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই তিনি মাঠে নামতে পারবেন,
'ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে মনে করি, হয়তো ১৮ বা ১৯ বছর বয়সে যেমন ছিলাম, তার তুলনায় দ্রুত খেলার জন্য তৈরি হতে পারি। তখন হয়তো কয়েকটি শিল্ড ম্যাচ বা ওয়ানডের প্রয়োজন হত। তবে আত্মবিশ্বাসী, শিল্ড ম্যাচ না খেললেও আমি প্রস্তুত হতে পারব।'
জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টেস্টে মাত্র ৬০ ওভার বল করেছিলেন কামিন্স। তারপর থেকে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। এই পেসার বলেন,
‘একমাস বিশ্রামে কাটিয়েছি যাতে এটি (চোট) স্থির হয় এবং গত সোমবার আরেকটি স্ক্যান করিয়েছি, রিপোর্ট খুব খারাপ নয়। তবে কিছুটা সমস্যা আছে এবং পরবর্তী সময়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
ক্রিকেটে ফিরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে কামিন্স বলেন,
'আমি এখনও জিম করছি, তবে দৌড়ানো বা বোলিং করছি না। এটিকে ঠিক করে তারপর গ্রীষ্মের দিকে প্রস্তুতি নেব। প্রথম টেস্ট পর্যন্ত প্রায় ১২ সপ্তাহ সময় আছে। দেখা যাক পরবর্তী সময়ে কী ঘটে।'
নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান জর্জ বেইলি আশা করছেন, কামিন্স ২১ নভেম্বর পার্থে অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন। যদি কামিন্স ফিট না থাকেন, অস্ট্রেলিয়ার কাছে অধিনায়কত্ব এবং বোলিংয়ের বিকল্প রয়েছে।