
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে
জয় এসেছিল কষ্টার্জিত পরিশ্রমে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান পেয়েছে অনায়াস জয়।
ফাখার জামানের দারুণ সূচনা এবং বাবর আজমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে শ্রীলঙ্কাকে
৮ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে আজ পাকিস্তানের আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৮৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২* রান করেন বাবর আজম। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের ২০ত শতক।
বাবর আজম সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২৩ সালের আগস্টে। প্রতিপক্ষ ছিল নেপাল। এরপর তিনি খেলেছেন ৩৫ ওয়ানডে। বেশ কয়েকটি অর্ধশতক এলেও তিন অঙ্ক ছিল অধরা। অবশেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই অপেক্ষার অবসান হলো। ক্যারিয়ারের ২০তম সেঞ্চুরি পেলেন । একই সঙ্গে সাঈদ আনোয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক বনে গেলেন।
এদিন পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন ফাখার জামান ও সায়েম আইয়ুব। দলীয় ৭৭ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। সায়েম উইকেটে থিতু হলেও ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে আফসোস ফাখারের জন্য—৩৫ বছর বয়সী বাঁ-হাতি ব্যাটার ফিরেছেন ৭৮ রানে।
টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার ফিরলেও পিছনে তাকাতে হয়নি পাকিস্তানকে। রিজওয়ানকে সঙ্গী করে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছান বাবর। চলতি পথে রিজওয়ানও অর্ধশতক পূরণ করেন। ৫৪ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর বাবর ১১৯ বলে ১০২ রানে শেষ করেন ইনিংস, মারেন ৮টি বাউন্ডারি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানদের ৮ ব্যাটারই দুই অঙ্কের দেখা পান। দলের সর্বোচ্চ রান করেন জানিথ লিয়ানাগে—৬৩ বলে ৫৪। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান কামিন্দু মেন্ডিসের, তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
মূলত পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ ও স্পিনার আবরার আহমেদের শৃঙ্খলিত বোলিং বড় ইনিংস গড়তে দেয়নি লঙ্কানদের। দুজনই নেন তিনটি করে উইকেট। ফলে রান পাহাড়ে ওঠার আগেই থেমে যায় তাদের ইনিংস।
No posts available.

আট দলের অংশগ্রহণে কাতারে চলছে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার টুর্নামেন্ট। ১৪ নভেম্বর শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হয় ভারত ‘এ’ দল। যেখানে রীতিমতো ব্যাটিং ঝড় তুলেছেন বৈভব সূর্যবংশী।
দোহার ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে ব্যাটিং নেমে মাত্র ৪২ বলে ১৪৪ রান করেন সূর্যবংশী। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসের সুবাধে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ভারত পায় ২৯৭ রান।
এদিন প্রিয়ানেশ আরিয়ার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সূর্যবংশী। মাত্র ১৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর প্রতিপক্ষের ওপর ঝড় তোলেন সূর্যবংশী। যদিও শূন্য রানে একবার জীবন পান ১৪ বছর বয়সি এ বাঁ-হাতি ব্যাটার। বিপদ কাটিয়ে রুদ্ধরূপ ধারণ করেন তিনি।
১৭ বলে অর্ধশত আদায় করেন সূর্যবংশী। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩২ বলে। যখন আহমেদ তারিকের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন, তখন তার নামের পাশে ৪২ বলে ১৪৪ রান।
ইনিংসে ৩৪২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে মোট ১১টি চার ও ১৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সূর্যবংশী। টি-টোয়েন্টিতে এটিই তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ১০১ রান করেছিলেন ভারতীয় ব্যাটার।
সূর্যবংশী ছাড়াও প্রতিপক্ষ বোলারদের ব্যাপক শাসান জিতেশ শর্মা। ভারত দলের অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৮৩ রানে। ৩২ বলে খেলে ৮টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৭:০০ পিএম

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চলছে ট্রেডিং উইন্ডো। দলগুলো অন্য দল থেকে ট্রেডে খেলোয়াড়দের দলে টানছে। ভারতের অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামিকে লখনউ সুপার জায়ান্টসের (এলএসজি) কাছে ছাড়তে রাজি হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।
২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলামে শামিকে ১০ কোটি রুপিতে দলে ভিড়ায় হায়দরাবাদ। একই দামে এই পেসারকে নিতে আগ্রহী লখনউ। সম্ভাব্য এই চুক্তি সম্পূর্ণ নগদ অর্থে হবে বলে জানিয়েছে ক্রিকইনফো।
দুই দলই সম্মত হলেও সবকিছু নির্ভর করছে শামির ওপর। আগামীকাল ভারতীয় সময় দুপুর ৩টার মধ্যে প্রতিটি দলকে তাদের 'রিটেইনড' (ধরে রাখা) ও 'রিলিজড' (ছেড়ে দেওয়া) ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দিতে হবে। এরপর তাদের নিলামে নিবন্ধনকৃত ক্রিকেটারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়া হবে।
মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলার পর আর ভারত দলে ফিরতে পারেননি শামি। রঞ্জি ট্রফিতে খেললেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও জায়গা হয়নি তাঁর।
আইপিএলে গত মৌসুমে ভালো করতে পারেননি শামি। সানরাইজার্সের হয়ে ১৪ ম্যাচের মধ্যে খেলেছেন ৯ ম্যাচ, পেয়েছেন ৬ উইকেট। বোলিং গড় ৫৬.১৬, ইকোনমি ১১.২৩। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৭৫ রান দিয়ে উইকেটহীন ছিলেন, যা ছিল আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যয়বহুল স্পেল।
১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৪:১৩ পিএম

তারুণ্যের উৎসব ও শহীদদের স্মরণে শুরু হয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি মাগুরা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। আজ সকালে মাগুরা জেলা স্টেডিয়ামে লিগের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক মো. অহিদুল ইসলাম।
উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নেমেছে ভায়না ক্রিকেট একাডেমি ও মইন উদ্দিন স্মৃতি সংসদ। ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, মাগুরায় সবশেষ ২০২২ সালে দ্বিতীয় বিভাগ এবং ২০২১ সালে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ হয়েছিল।
সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদ্বোধনী পর্ব শুরু হয়। তারপর জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং মাগুরার ক্রিকেটের অগ্রগতির প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক জুলফিকার আলী খান, মাগুরার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাগুরার ১০ শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
জুলাই শহীদ সোহান শাহের বাবা শাহ সেকেন্দার বলেন,
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাগুরার তরুণরা প্রাণ দিয়েছিল দেশের গণতন্ত্রের জন্য। সেই শহীদদের নামে আয়োজন হওয়া এই ক্রিকেট লিগ আমাদের পরিবারের জন্য সম্মান ও আবেগের বিষয়।’
বিসিবি পরিচালক জুলফিকার আলী খান বলেন,
‘বাংলাদেশে প্রথম জেলা হিসেবে মাগুরায় এ বছর সর্বপ্রথম ক্রিকেট লিগ মাঠে গড়াল। স্থানীয় পর্যায়ে ক্রিকেটকে বিকশিত করতে মাগুরা যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা অন্য জেলাগুলোর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম আশাব্যক্ত করেন
‘জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণ করতে গিয়ে আমরা শুধু ইতিহাসকেই নয়, তরুণদের ভবিষ্যতকেও এগিয়ে নিতে চাই। এই লিগ দীর্ঘদিন পর মাগুরার ক্রিকেটে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে আনবে। প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থা দায়িত্বশীলভাবে লিগটি পরিচালনা করবে।’
মাগুরা জেলা পরিষদ ও চিকিৎসক সিমিন মজিদ আখতারের পৃষ্ঠপোষকতায় টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থা। জেলার ১৬টি ক্লাবের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্ট চলবে এক মাসের বেশি সময় ধরে।

২০২৪ সালে তিন সংস্করণেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সে বছর শুরুর দিকে তিনি টি–টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। এরপর শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেই তাকে না জানিয়ে ওয়ানডে অধিনায়ক করা হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। সবশেষ গত জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংস ও ৭৮ রানে হারের পর লাল বলের ক্রিকেটর নেতৃত্বও ছেড়ে দেন শান্ত।
ব্যাট হাতে অধিনায়ক শান্ত সবসময়ই অন্যরকম। নেতৃত্বের দায়িত্ব কাঁধে আসলে তাঁর ব্যাট একটু বেশিই চওড়া হয়ে যায়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে প্রথম ইনিংসে করেছেন বরাবর ১০০। টেস্টে অধিনায়ক শান্তের সেঞ্চুরি সংখ্যা চারটি। অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদশের টেস্ট ইতিহাসে একমাত্র মুশফিকুর রহিমেরই সমান সংখ্যাক শতক আছে। অধিনায়কত্বের চাপ সামলে ব্যাটিংয়ে ভালো করার মন্ত্র কি জানালেন শান্ত।
আরও পড়ুন
| ম্যাচসেরা হওয়ার পরও হতাশ জয় |
|
শান্ত অবশ্য বললেন ব্যাটিংয়ের সময় কেবল ব্যাটার হিসেবেই নিজেকে ভাবেন তিনি। সিলেটে আইরিশদের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব থাকাকালীন পারফরম্যান্স নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করি জাস্ট শুরু হয়েছে। এখনো লম্বা সময় যাওয়ার বাকি, বাট ভালো স্টার্ট হয়েছে আমি মনে করি। বাট হ্যাঁ, আমি সবসময় যেটা বলি যে আমি ব্যাটিংয়ের সময় একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পছন্দ করি। আমার ভেতরে একবারের জন্যও মনে হয় না যে আমি ক্যাপ্টেন হিসেবে খেলছি। চিন্তা করি যে কিভাবে একজন ব্যাটার হিসেবে অবদান করতে পারি। ওইটাই আসল ফোকাস থাকে, আর যখন ফিল্ডিংয়ে থাকি তখন আমি ক্যাপ্টেন হিসেবে আমার যে দায়িত্বগুলো আছে ঐ সেগুলো আমি চেষ্টা করি পালন করার।’
দুই সংস্করণের নেতৃত্ব হারানোর পর টেস্টেরও অধিনায়কত্ব হারিয়ে কেমন সময় কেটেছিল টপ অর্ডারের এই ব্যাটারের? ‘প্রথম কিছুদিন খানিকটা কঠিন সময় গেলে, তারপর নাকি রিল্যাক্সেই সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক, ‘প্রথম কিছুদিন কঠিন ছিল, টু বি ভেরি অনেস্ট। বাট হ্যাঁ, তারপরে অনেকটা রিল্যাক্স হয়ে গিয়েছিলাম এবং এনজয় করেছি পুরো সময়টা, নিজেকে সময় দিয়েছি, পাশাপাশি ফ্যামিলিকে সময় দিয়েছি, দক্ষতার দিক থেকে নিজের ক্রিকেটটা আর একটু কিভাবে উন্নতি করা যায়, মানসিকভাবে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু আমি মনে করি যে ওই সময়টা আমার খুব ভালো কেটেছে।’
জুনে অধিনায়কত্ব ছাড়ার আগে মোট ১৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত টেস্টে যা বাংলাদেশের তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ জয় পায় ৪টি। এবার দ্বিতীয় দফায় প্রথম ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেলেন তিনি।

সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস ও ৪৭ রানের দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এমন অসাধারণ জয়ের পরও কিছুটা হাতাশা রয়ে গেল মাহমুদুল হাসান জয়ের। ম্যাচসেরা পুরস্কারও হাতে তুলেছেন এই তরুণ ওপেনার। খেলেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের সেরা ইনিংস।
এই ইনিংস দিয়ে ছন্দ খোঁজা জয়ের দারুণ এক প্রত্যাবর্তনও হলো। এত অর্জনের মধ্যেও কেন হতাশ তিনি? ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে জানালেন নিজের আরেকটু রান ক্ষুধার কথা- ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ না করতে পারার আক্ষেপ ২৪ বছর বয়সী ব্যাটারের। টেস্টের দ্বিতীয় দিন ১৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন জয়। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও তৃতীয় দিন ফেরেন ২৮৬ বলে ১৭১ রানে।
আজ চতুর্থ দিন টেস্ট জেতার পর ম্যাচসেরা জয় বলেন, ‘ডাবল সেঞ্চুরি করতে না পারায় একটু হতাশ লাগছে, তবে শেষ পর্যন্ত ভালোই খেলেছি। সব মিলিয়ে খুশি। মুশফিক ভাইয়ের ১০০তম টেস্ট নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। এই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো ছিল, নিজের পরিকল্পনা সহজ রাখারই চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন
| ইনিংস জয়ে রজত জয়ন্তী উৎসব উদযাপন |
|
জয় সবশেষ টেস্ট ফিফটি করেছিলেন দুই বছর আগে। সেঞ্চুরির বিরতিটা আরও বেশি- ৪২ মাসের! স্পষ্টই, লাল বলে একদমই ছন্দে ছিলেন না। শ্রীলঙ্কা সফরে দল থেকেও বাদ পড়েন। তবে ঘরোয়া লিগে দারুণ পারফরম্যান্সের কল্যাণে আবারও জাতীয় দলে ফেরেন। প্রয়োজন ছিল প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি বড় ইনিংস। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট সে কাজটি সারলেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে।
জয়ের নির্মল ব্যাটিং অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেছেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। দ্বিতীয় দিন ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে জয়কে বিশেষণও দিলেন, ‘জয় অনেক সুন্দর ব্যাটিং করছে।’
মিরপুরে আগামী বুধবার থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। জয়-সাদমানরা পরের টেস্ট নিশ্চয় রানে রাঙাতে চাইবেন।