২৬ নভেম্বর ২০২৫, ৫:১৪ পিএম

ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় বেশিদিন থাকতে পারলেন না নিউজি ল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল। তাঁকে সরিয়ে আবারো শীর্ষে ফিরেছেন ভারতের তারকা ব্যাটার রোহিত শর্মা। এদিকে টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো এক নম্বরে উঠেছেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা।
কয়েকদিন আগে নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠেন মিচেল। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ খেলতে না পারায় গুরুত্বপূর্ণ রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে দুইয়ে নেমে গেছেন তিনি। ওয়ানডে ব্যাটারদের তালিকায় রোহিতের রেটিং পয়েন্ট এখন ৭৮১, মিচেলের রেটিং পয়েন্ট ৭৬৬।
টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের সাইম আইয়ুবকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠেছেন রাজা। এক নম্বরে থাকা রাজার রেটিং পয়েন্ট ২৮৯, আর দুইয়ে নেমে যাওয়া সাইমের রেটিং পয়েন্ট ২৬৯। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন রাজা, বর্তমানে ওয়ানডে তালিকায় দুই নম্বরে আছেন এই তারকা। এক নম্বরে রয়েছেন আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ এক ধাপ উঠে টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের তালিকায় সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের সাহিবজাদা ফারহান আট ধাপ উঠে চার নম্বরে উঠেছেন। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম পাঁচ ধাপ উঠে বর্তমানে ২৯ নম্বরে আছেন।
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ডকে পার্থে হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় উপরে উঠে এসেছেন। চতুর্থ ইনিংসে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে টেস্ট ব্যাটারদের তালিকায় চার ধাপ উঠে ছয় নম্বরে ট্রাভিস হেড। ইংল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটার ওলি পোপও চার ধাপ টপকে ২৪ নম্বর ব্যাটার।
অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পার্থ টেস্টে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে চার ধাপ টপকে বোলারদের তালিকায় পঞ্চম। সেই সঙ্গে অর্জন করেছেন ক্যারিয়ার সেরা ৮২০ রেটিং পয়েন্ট।
টেস্ট অলরাউন্ডারদের তালিকায় যথারীতি এক নম্বরে ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা। এক ধাপ উঠে দুইয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস, আর দুই ধাপ উঠে পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন স্টার্ক।
No posts available.
২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০০ পিএম

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দল মুলতান সুলতানসের মালিকানা আর নবায়ন করছেন না আলি তারিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক আর্থিক ক্ষতির কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে তার পথচলা এখানেই শেষ।
তারিন লিখেছেন,
‘এই দলে থাকা আমার জীবনের অন্যতম বড় সম্মান। আমি এই দলকে ভালোবাসি, দক্ষিণ পাঞ্জাবকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমাকে গর্বিত করেছে- যা আমার প্রয়াত চাচা আলমগীর তারিনও অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে দেখতেন।’
প্রতিটি মৌসুমে খেলোয়াড়-স্টাফদের তিনি এক বার্তাই দিতেন, পরিশ্রম আর লড়াইয়ের মানসিকতা।
“এ অঞ্চলের মানুষ পরিশ্রমী, অধিকার আদায়ে লড়ে, প্রতিকূলতার মাঝেও এগিয়ে যায়। তাই আমিও দলের খেলোয়াড়দের বলতাম, তুমি হারতে পারো, কিন্তু লড়াই থামাবে না- এটা ভক্তরা কখনও ক্ষমা করবে না।”
আর্থিক লোকসান সত্ত্বেও দল ছাড়ার কথা তিনি কখনও ভাবেননি বলে জানান। তবে নীতি-আদর্শে আপস না করাই তার কাছে বড়। এই কারণেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত,
‘হাঁটু গেড়ে দল চালানোর চেয়ে, দাঁড়িয়ে থেকে দল হারানোই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য।’
পিএসএলের ২০২১ সালে নিজেদের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র শিরোপা জেতে মুলতান সুলতানস। এরপর ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের টুর্নামেন্টেও ফাইনাল খেলেছে তারা। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের ছাড়াই এবার হবে ২০২৬ সালের পিএসএল।
মুলতান সুলতানস ছাড়া পিএসএলের বাকি পাঁচ দল এরই মধ্যে আগামী ১০ বছরের জন্য পিসিবির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে। কিন্তু তারিন ও পিসিবির মধ্যে সম্পর্ক সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তপ্ত ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এবার মুলতানের সরে দাঁড়ানো।
অথচ ২০১৮ সাল থেকে পিএসএলের সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজি মুলতান। শুরুতে এই দলের মালিকানা ছিল যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের। ২০১৮ সালে প্রতি বছর ৬.৩ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা কেনেন তারিন।
ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের খবর, ৭ বছরের অধ্যায়ে পিসিবিকে প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলার ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিয়েছেন তারিন। সব মিলিয়ে পিএসএলে তার বিনিয়োগ ৭.২ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। এর বিনিময়ে তিনি পেয়েছেন মাত্র ১.৭ বিলিয়ন রুপি।
পিএসএলের সামনের আসরে দুইটি দল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে পিসিবি। আগামী জানুয়ারিতে হওয়ার কথা ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রির নিলাম। কিন্তু এখন মুলতান সরে দাঁড়ানোয় তিনটি নতুন দলের নিলাম করতে হবে তাদের।

ভারতকে কবে শেষ এমন অসহায় মনে হয়েছে? স্বাভাবিকভাবেই মনে করতে পারা কঠিনই। শুধু ঘরের মাঠেই নয় প্রতিপক্ষের মাঠেও নিয়মিত ত্রাস ছড়ানো দলটির বেহাল দশা বিরল এক দৃশ্যই বটে। অকল্পনীয় কিছু না ঘটলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গুয়াহাটি টেস্টে বড় হারই দেখছে ভারত।
ভারতের এমন করুণ দশায় চটেছেন বিরাট কোহলির ভাই বিকাশ। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর এবং অজিত আগারকর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটিকে রীতিমতো শূলে চড়িয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে ভারতের বাজে পারফরম্যান্সে সরাসরি তাদের দুষেছেন বিকাশ। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে রাগ ঝাড়ার পর আবার সেই পোস্ট মুছেও ফেলেন বিরাট কোহলির ভাই।
ইনস্টাগ্রামে বিকাশ লিখেছেন,
‘একসময় আমরা বিদেশের মাঠেও জয়ের জন্যই খেলতাম… এখন আমরা ম্যাচ বাঁচানোর জন্য খেলছি… এমনকি ভারতেও। এমটা হয় যখন আপনি অন্যদের ওপর দাদাগীরি করে অপ্রয়োজনীয়ভাবে পরিবর্তন করেন যার কোনো প্রয়োজনই ভাঙা ছিল না।’
অন্য আরেক পোস্টে বিসিসিআইকে দোষারপ করেন বিকাশ। তাঁর দাবি রোহিত শর্মা ও কোহলি টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজে সরেননি, তাদের ‘অপসারণ করা হয়েছে’। পোস্টগুলো যখন সরিয়ে ফেলা হয়, গুয়াহাটিতে চতুর্থ দিনে প্রোটিয়াদের ৫৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ভারত দুই দ্রুত উইকেট হারায়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ৭০ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়েছে ভারত। গত ১২ মাসে দ্বিতীয়বারের মতো ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা অপেক্ষা করছে শুবমান গিলের দলের।
জুলাই ২০২৩ থেকে প্রধান কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর, ভারত এখন দ্বিতীয়বারের মতো নিজেদের ডেরায় হোয়াইটওয়াশের সামনে দাড়িয়ে। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ে দায়িত্ব শুরু করার পর, নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ এরপর অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি হারানো। ডিসেম্বর ২০১২ থেকে অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত, যে ভারত ঘরের মাঠে কোনো টেস্ট সিরিজ হারেনি। আর তারাই কিনা এখন লাল বলের ক্রিকেটে খর্বশক্তির এক দলে পরিণত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন পাথুম নিসাঙ্কা। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫৮ বলে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এতে কুসল পেরেরার ২৩০৫ রান টপকে যান নিসাঙ্কা। ২৭ বছর বয়সী ওপেনারের মোট রান এখন ২৩২৬।
ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথম জয় পেল শ্রীলঙ্কা। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৪৬ রান করে সিকান্দার রাজার দল। জবাবে ১৬.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয় বন্দরে পৌঁছে শ্রীলঙ্কা।
প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে আজ জেতার বিকল্প ছিল না লঙ্কানদের।
এদিন লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় পাথুম নিসাঙ্কা ও কামিল মিশরা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৯ রান। মিশরা ১২ রানে আউট হওয়ার পর কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গী করে এগোতে থাকেন নিসাঙ্কা। ৩৭ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৯তম হাফ সেঞ্চুরি।
এরপর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকেন নিসাঙ্কা। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৪টি ছক্কা। অপরাজিত থেকে নির্বাচিত হন ম্যাচসেরার পদে। অপরপ্রান্তে ওয়ান-ডাউনে নামা কুশল মেন্ডিস ২৫ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৬ রান তোলে। ব্রায়ান বেনেট করেন ৩৪, সিকান্দার রাজা ও রায়ান বুর্ল দুজনেই করেন ৩৭।
৩ ম্যাচে ১ জয়, ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে আছে শ্রীলঙ্কা। ৪ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে জিম্বাবুয়ে। আর ৩ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে ৬ পয়েন্টসহ শীর্ষে আছে স্বাগতিক পাকিস্তান।
ফাইনালে যেতে হলে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততেই হবে লঙ্কানদের।

এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ। শেষ দুই ওভারে ১২ বলের মধ্যে ৮টিই ইয়র্কার করলেন রিপন মন্ডল। তবু নাটকীয়তার পর ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। সেখানে পরপর দুটি ইয়র্কার করে দুই উইকেট নিলেন তরুণ পেসার। যা গড়ে দিল বাংলাদেশ 'এ' দলের জয়ের ভিত।
পরে পাকিস্তান শাহিনসের ('এ' দল) বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচেও একের পর এক ইয়র্কার করে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপকে আটকে রাখেন রিপন। মূল ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রানে নেন ৩ উইকেট। সুপার ওভারে মাত্র ৬ রানের পুঁজি নিয়েও শাহিনসকে তিনি আটকে রাখেন ৪ বল।
অল্পের জন্য এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে রিপনই টুর্নামেন্টের সেরা বোলার। ফাইনাল ম্যাচটি জিততে পারলে হয়তো এবারের টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিততেন ২২ বছর বয়সী পেসার।
অথচ বছর দুয়েক আগেও তার বোলিং অ্যাকশন ও বডি এলাইনমেন্ট দেখে জাতীয় দলের এক নির্বাচক বলেছিলেন, 'দেখুন! কতটা এলোমেলো। অনেক কাজ করতে হবে।' সেই কাজ ঠিকই করেছেন রিপন। দুই বছরের অন্তরে নিজের এলাইনমেন্ট ঠিক করে পরিণত হয়েছে ইয়র্কার মেশিনে।
রিপনের মাঝে সম্ভাবনার ঝলক দেখা গিয়েছিল ২০২২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেই। বাংলাদেশের হতাশার টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশ কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও চমৎকার বোলিংয়ে টুর্নামেন্টের সেরা একাদশেও জায়গা পেয়েছিলেন রিপন।
এরপর থেকে নিয়মিতই বিসিবির সব প্রোগ্রামে আছেন তিনি। প্রতিদানও দিয়েছেন গত বছরের টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে। বাংলাদেশ এইচপি দলের হয়ে ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে ছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা বোলার। ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন এবার 'এ' দলের হয়েও।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সফল টুর্নামেন্ট কাটানোর পরও রিপনের আক্ষেপ অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হতে না পারায়।
“আলহামদুলিল্লাহ! খুবই ভালো! যেভাবে টুর্নামেন্টটা শুরু করেছি, শেষ করেছি, খুব ভালো। যে পরিশ্রমটা করেছি, আল্লাহ আমাকে (পুরস্কার) দিয়েছেন। দলগত পারফরম্যান্স যদি আরেকটু ভালো হতো, তাহলে আরও ভালো হতো।”
“দলগত পারফরম্যান্সও আলহামদুলিল্লাহ ভালোই হয়েছে। শুধু ফাইনালটা ভাগ্যের বিষয় ছিল। তবে যদি দুই-একজন ব্যাটার আমাদের ক্লিক করে যেতো, তাহলে দৃশ্যপট ভিন্নরকম হতে পারত।”
এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে পরপর দুইটি সুপার ওভার খেলতে হয়েছে বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে প্রথম সেমি-ফাইনালের সুপার ওভারে দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেখানেই যেন শেষ করে দেন রিপন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালেও লড়াইটা করেন তিনি। মাত্র ৬ রানের পুঁজি থাকলেও ইয়র্কারের মেলা সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন তিনি। আর কিছু রান বেশি থাকলে হয়তো ফাইনালেও দলকে জিতিয়ে বের হতে পারতেন রিপন।
পরপর দুই ম্যাচে এমন চাপের সময়ে বোলিংয়ের পর রিপন বললেন, এমন মুহূর্তের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন তিনি।
“ফ্রন্টলাইন পেসার হিসেবে দায়িত্ব নিতে হবে। আকবর ভাইয়ের সঙ্গে যেহেতু আমি এর আগেও অনেক ক্যাম্প করেছি, অনেক খেলেছি, উনি জানেন আমার স্ট্রেংন্থটা। উনি আমাকে বলেছেন, এরকম তৈরি থাকতে হবে, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেও একটা ইতিবাচক বার্তা ছিল যে, তুমি এখানে করবে। তাই আমিও রেডি ছিলাম।”
“আমি যেহেতু টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিও খেলেছি এর আগেও, ওই মাইন্ডে এশিয়া কাপ খেলেছি। তো আমি ঐদিক থেকে রেডি ছিলাম যেন এই পরিস্থিতিতে বল করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। আর অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টও আমার প্রতি বিশ্বাস ছিল। আমি অবদানটা রাখতে পেরে খুব ভালো লাগছে।”
পাঁচ ম্যাচে ১১ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রিপন এবার নজর কেড়েছেন মূলত একের পর এক ইয়র্কার করে। টুর্নামেন্টজুড়ে ব্লক হোলে বোলিং করে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের আটকে রেখেছেন তিনি। পুরো আসরে ওভারপ্রতি তার খরচ মাত্র ৬.৭৫ রান।
ইয়র্কার করার ব্যাপারে রিপন জানালেন, নিজের ভাবনায় সবসময় স্বচ্ছ ও অটল থাকেন তিনি।
“এটায় (ইয়র্কারে) আপনার পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন না হলে ছক্কা নয় চার। এটা যদি আপনি ভেবে বল করেন, আপনি করতে পারবেন। আমি যখন বল হাতে নেই, আমি চিন্তা করি যে আমি এটা করব মানে এটাই করব। মানে আমি আমার মাঝখানে দ্বিতীয় কোনো অপশন রাখি না, যখন বোলিংটা করি।”
অথচ বছর দুয়েক আগেও বোলিং অ্যাকশন ও বডি এলাইনমেন্ট ঠিক যুতসই ছিল রিপনের। বিসিবির বিভিন্ন প্রোগ্রামে এসব নিয়ে কাজ করে এখন পুরোপুরি সোজা হয়েছে বলছেন তিনি।
“সবশেষ এইচপি ক্যাম্পে এটা নিয়ে একটু কাজ করেছি। আগের ভিডিওগুলো দেখেছি। আমার কাছে এবার মনে হলো একেবারে সোজা (এলাইনমেন্ট), একদম স্টাম্পের মতো সোজা।”
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকেই ইয়র্কার নিয়ে আলাদা করে কাজ করেছেন রিপন। প্রায় তিন-চার বছরের এই পথচলায় দেশি ও বিদেশি কোচদের অবদানও উল্লেখ করলেন তিনি।
“আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো হয়েছে। আল্লাহ সাহায্য করেছেন আর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়েছে। এত দিন ধরে যে পরিশ্রমটা করেছি আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে... সেখানে তালহা (জুবায়ের) স্যার ছিলেন কোচ। তারপর ডলার (মাহমুদ) ভাই ছিলেন এইচপিতে, তারেক (আজিজ) ভাই ছিল আর স্পেশালি যে আমাদের এইচপির যে বোলিং ডিপার্টমেন্টে হেড ছিলেন কোরি (কলিমোর) ভাই।”
“এই কয়জন খুবই সাহায্য করেছেন আমাকে ইয়র্কারের বিষয়ে। আমি যখন যা চেয়েছি প্র্যাকটিসের পরে মানে কখনও উনারা না করেন নাই। উল্টো সবসময় আমাকে মোটিভেট করতেন উনারা। তো এইজন্য আরকি খুবই ভালো। আমার দিক থেকে মানে আমি তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।”

ঘরের মাঠে তিন জাতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগামীকাল মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। পরের দুই ম্যাচে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ আজারবাইজান। দুই প্রতিপক্ষই বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিমত্তায় এগিয়ে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৪তম। মালয়েশিয়া ৯২ এবং আজারবাইজান ৭৪তম। র্যাঙ্কিংয়ের ৫৩তম অবস্থানে থাকা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে অক্টোবরে দুটি ম্যাচ খেলেছিল আফঈদা খন্দকাররা। দুটিতেই হেরেছিল তাঁরা।
এবারও মাঠের লড়াইয়ে কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হবে বাংলাদেশের মেয়েদের। সেটি অজানা নয় কোচের। কেবল হার–জিত নয়, বাংলাদেশের লক্ষ্য আগামী বছর এশিয়ান কাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
আজ ম্যাচ–পূর্ব আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাটলার বলেন,
‘প্রস্তুতির জন্য এটি আদর্শ মঞ্চ। আমি জানি অস্ট্রেলিয়ায় গেলে বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। ওই পর্যন্ত যাওয়া— এটাই ছিল বড় সাফল্য। এখন সেখানে গিয়ে লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।’
২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া নারী এশিয়ান কাপের আগে থেকেই তরুণ খেলোয়াড়দের মাঠের প্রস্তুতি এবং অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করাচ্ছেন বাটলার। এবারও একঝাঁক তরুণ ফুটবলার সুযোগ পেয়েছেন বাটলারের ২৩ জনের স্কোয়াডে। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে আলো কাড়া মামনি চাকমা আছেন জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায়।
এশিয়ান কাপে শক্তিশালী উত্তর কোরিয়ার মতো দলের বিপক্ষে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। সেই প্রতিযোগিতার আগে এখন থেকেই বড় দলের বিপক্ষে খেলিয়ে নিজের স্কোয়াডকে ঝালিয়ে নিতে চান বাটলার, ‘
‘আমরা কিছু তরুণ খেলোয়াড়কে মাঠে নামিয়ে অভিজ্ঞতা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। আমাদের দল খুবই তরুণ। শারীরিক গঠনেও ছোট— সম্ভবত মালয়েশিয়ার মতোই। আজারবাইজান শারীরিকভাবে শক্তিশালী, ক্ষমতাধর দল। উত্তর কোরিয়া, চীন— এসব বড় দল যখন সামনে আসবে, আমাদের সেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’
এই সিরিজেই চ্যালেঞ্জটা নিতে চান অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার,
‘তারা তো অবশ্যই র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে। চেষ্টা করব সর্বোচ্চটা দিতে এবং ইনশাআল্লাহ জেতার জন্য মাঠে নামবো।’