বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। পরিচালক পদে প্রার্থী হওয়ার কথা থাকলেও আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তিনি। সরে দাঁড়ানোর ব্যাখ্যায় তামিম প্রশ্ন তোলেন নির্বাচনের সুষ্ঠতা নিয়ে।
বিসিবি নির্বাচনের খসড়া অনুযায়ী আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন। সকালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তামিম। পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আপনারা জানেন আমরা আজকে আমাদের নমিনেশনটা প্রত্যাহার করেছি। আমিসহ প্রায় ১৪-১৫ জনের মতো প্রত্যাহার করেছি। কারণটা খুবই পরিস্কার। এখানে আমার কাছে মনে হয় না যে আমাকে খুব বিস্তারিত বা ব্যাখ্যা করে আপনাদেরকে কোনো কিছু বলার আছে।’
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ব্যাখ্যায় তামিম বললেন, ‘আমি শুরু থেকেই একটা কথা বলে আসছি, নির্বাচনটা কোন দিকে যাচ্ছে বা কীভাবে হচ্ছে, এ জিনিস নিয়ে আপনারা সবাই এখন পরিস্কার। যখন যেমন মনে হচ্ছে, যখন যা মনে হচ্ছে, তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন না। ক্রিকেটের সঙ্গে এ জিনিসটা কোনো দিক থেকেই মানায় না।’
আরও পড়ুন
বিসিবি নির্বাচন করছেন না তামিম |
![]() |
তামিমসহ ১৫ জন প্রার্থী আজ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তাঁর মতে, এঁরা সবাই হেভিওয়েট প্রার্থী, তাঁদের শক্ত ভোটব্যাংক রয়েছে। সরে দাঁড়ানোকে প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন তামিম, ‘আমি নিশ্চিত যখন ইসি তালিকা দেবে, আজকে কারা কারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন, তাদের নামগুলা দেখলেই বুঝতে পারবেন, তারা সবাই তাদের জায়গা থেকে হেভিওয়েট, তাদের ভোটব্যাংকও খুব শক্ত। এটা হলো আমাদের একটা প্রতিবাদ।'
তামিমের দাবি, প্রার্থীদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ তৈরি করা হয়েছে, তাঁরা যেন মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন। না হলে এই সংখ্যা আরও বাড়তো বলে উল্লেখ করেন তিনি, ‘আর দ্বিতীয়ত আমি একটা জিনিস সব সময় বলেছি বাংলাদেশ ক্রিকেট এটা প্রত্যাশা করে না, বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকেরাও এটা আশা করে না। এটাও বলে রাখি, আমি জানি না কতজন স্বীকার করবেন কী করবেন না, কিন্তু এখানে আরও অনেকেই আজকে প্রত্যাহার করতেন। তাদেরকে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন ওয়েতে বুঝানো হয়েছে বা চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে, তাদেরকে কোনভাবে থামানো হয়েছে। না হলে আরো অনেকেই আজকে প্রত্যাহার করতেন। তাও ১৫ জন যদি আজকে করে থাকেন, যদি আমি ঠিক হয়ে থাকি, এটা একটা সিগনিফিকেন্ট নাম্বার। প্রায় ফিফটি পার্সেন্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এই বিষয়ে পরে বিস্তারিত কথা বলব।’
No posts available.
৩ অক্টোবর ২০২৫, ৫:১৫ পিএম
৩ অক্টোবর ২০২৫, ৪:৩৩ পিএম
৩ অক্টোবর ২০২৫, ১:২৭ পিএম
৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২২ এম
মাউন্ট মাঙ্গানুইয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলা হলো মাত্র ১৩ বল। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের পরিধি কমিয়ে ৯ ওভারে নির্ধারণ হয়। ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা। এই ম্যাচে ফল না হওয়ায় চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি অজিরাই ধরে রাখল। এর আগে ২০২৩-২৪ মৌসুমে এই ট্রফি ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল অজিরা।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি হবে আগামীকাল। সেই ম্যাচ নিউজিল্যান্ড জিতলেও সিরিজ হবে ১-১ সমতা। নিয়ম অনুযায়ী, সমতায় সিরিজ শেষ হলে সফরকারী দলই ট্রফি পাবে। এবারও তাই অজিদের ক্যাবিনেটে উঠছে চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে আজ জিততেই হতো নিউজিল্যান্ডকে। বৃষ্টি বাগড়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি। সারা দিনের টানা বৃষ্টির পর আবহাওয়া কিছুটা ভালো হলে আম্পায়াররা দেরিতে ম্যাচ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে ম্যাচ ১৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।
টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল। খেলা শুরুর আগেই আবার বৃষ্টি শুরু হলে ওভার কমিয়ে ৯ ওভারে ম্যাচ নির্ধারণ হয়।
তবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২.৪ ওভারের পাওয়ারপ্লেও শেষ করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ২.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬ রান করার পর ফের নামে বৃষ্টি। তারপর আর মাঠে গড়ায়নি বল।
এই ম্যাচ দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধি। কিউইদের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় সোধির। আজ নিজের ১২৭তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মাঠে। টপকে গেছেন টিম সাউদির ১২৬ ম্যাচের রেকর্ড।
মালিঙ্গা-মারুফা, নাম দুটোর মধ্যে দারুণ একটা মিল রয়েছে! মাঠে দুজনের খেলায়ও মিল—তোপ দাগানো। লাসিথ মালিঙ্গ ক্রিকেট ছেড়ে এখন কোচিং পেশায়। তবে মারুফা আক্তার কেবল ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। বয়সভিত্তিক থেকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেরও শুরুটা রীতিমতো হইচই ফেলে দেওয়ার মতো। গতকাল থেকে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে একটি ‘চমক জাগানো’ ডেলিভারি ভেসে বেড়াচ্ছে।
আইসিসির ফেসবুক থেকে করা পোস্টে দেখা যায়, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে পাকিস্তানের ওপেনার সিদরা আমিনকে বোল্ড করেন মারুফা। বলের ঠিকঠাক লাইন বুঝতে পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটার। তীক্ষ্ণ মুভমেন্ট নিয়ে বল স্টাম্পের লালবাতি জ্বালিয়ে দেয়। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার ছিল না সিদরার।
সেই ডেলিভারি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে নজর কেড়েছে ভক্ত-সমর্থকদের। পাশাপাশি মারুফা প্রশংসা কুড়াচ্ছেন কিংবদন্তিদের কাছ থেকেও। শ্রীলঙ্কার সাবেক ফাস্ট বোলিং কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গা, মারুফার এই দক্ষতাকে দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছেন তাঁর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে। লিখেছেন, ‘খাঁটি দক্ষতা। চমৎকার নিয়ন্ত্রণ। এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের সেরা ডেলিভারি।’ মালিঙ্গার প্রশংসা পেয়ে পরে মারুফা রিপ্লাইও দিয়েছেন, ‘ধন্যবাদ কিংবদন্তি।’
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে ‘আজাদ কাশ্মীরের’ ক্রিকেটারকে নিয়ে বিতর্ক |
![]() |
অনেকেই ইতিমধ্যে মারুফার ডেলিভারিকে বিশ্বকাপের ‘বল অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ হিসেবে মনে করছেন। মালিঙ্গা ছাড়াও ভারতের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজও মারুফার নিখুঁত এবং ধৈর্যের প্রশংসা করেছেন, ‘তার অনেক সুইং আছে। সে সঠিক লাইন ও দৈর্ঘ্যে বল করেছে। সুইং পাওয়া ভালো, কিন্তু যদি সঠিক লাইন ও লেংথে না বল করা হয়, তাহলে ফলাফল পাবেন না। মারুফা অবশ্যই তার এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের মাধ্যমে সঠিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রথম ওভারে দুইটি বড় উইকেট—এটি তার হ্যাটট্রিকের কাছাকাছি ছিল। যদিও এটি তার প্রথম বিশ্বকাপ, তবে সে আগে টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে।’
মিতালি আরও বলেন, ‘আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকে দেখেছি এবং তার গতি ও ডেলিভারি দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছিলাম। আজ (গতকাল) প্রথম ওভারে যে শুরু দেখলাম, তা যেকোনো ফাস্ট বোলারের জন্য আদর্শ। দলেই একমাত্র ফাস্ট বোলার হিসেবে এই দুইটি বড় উইকেট—বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ মুহূর্ত!’
পাকিস্তানরে বিপক্ষে জয়ের পর মারুফা নিজের সাফল্যের ব্যাখ্যা বলেন, ‘আমি জানি আমি সুইং পাই, তাই আমি আমার লাইন এবং লেংথ ঠিক রাখার দিকে মনোযোগ দিই। জ্যোতি আপু (ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা জ্যোতি) আমাকে এই পরিকল্পনায় স্থির থাকতে বলেছেন। আমি চাপ অনুভব করি না। এমনকি যদি বাউন্ডারি হজম করি, আমার সতীর্থরা সব সময় আমাকে সমর্থন করে।’
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানি ধারাভাষ্যকার ও সাবেক অধিনায়ক সানা মিরের এক মন্তব্য ঘিরে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল কলম্বোয় বাংলাদেশের ম্যাচে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে তিনি পাকিস্তান দলের ব্যাটার নাতালিয়া পারভেজকে ‘আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আগত খেলোয়াড়’ বলে পরিচয় করান। এ মন্তব্যকে ঘিরে ভারতের মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়ার ঝড় ওঠে।
ধারাভাষ্যের সময় সানা মির বলেন, ‘পাকিস্তানের ব্যাটার নাতালিয়া পারভেজ আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দা।’ মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ক্লিপটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ ঘটনা রাজনৈতিকভাবে উল্লেখ করছে। উপস্থাপকদের কারো কারো অভিযোগ, সানা মির ক্রিকেটকে ‘রাজনীতিকরণ’ করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেন, ‘আজাদ কাশ্মীর শব্দটির উল্লেখই অসহনীয়’। সানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা।
২৯ বছর বয়সী নাতালিয়ার শিকড় আজাদ কাশ্মীরের ভিম্বার জেলার বান্দালা উপত্যকায়। তিনি পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বের নানা দেশে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। শৈশব থেকে নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া এই ব্যাটারকে পাকিস্তানি ক্রিকেটের অনেকে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখেন।
আরও পড়ুন
আফঈদাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন বাফুফে সভাপতি |
![]() |
বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করলে সানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন জানান। তিনি লেখেন, ‘বিশ্ব ফিডের ধারাভাষ্যকার হিসেবে আমাদের কাজ হলো খেলা, দল ও খেলোয়াড়দের ওপর আলোকপাত করা। খেলোয়াড়দের নিজ অঞ্চলের কথা উল্লেখ করা গল্পের অংশ। আমার মন্তব্য কেবল একজন খেলোয়াড়ের যাত্রা ও সংগ্রাম তুলে ধরার উদ্দেশ্যে ছিল। অনুগ্রহ করে সবকিছুকে রাজনৈতিক রঙ দেবেন না।’
এই বিতর্ককে দুঃখজনক হিসেবে হিসেবে উল্লেখ করেন সানা, ‘এত সাধারণ একটি বিষয়ে আমাকে প্রকাশ্যে ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে—এটা দুঃখজনক। ক্রীড়াবিদদের ওপর অযথা চাপ দেবেন না।’
বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ার পর একটি জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট নাতালিয়া পারভেজের প্রোফাইল থেকে ‘আজাদ কাশ্মীর’ শব্দ সরিয়ে ফেলে। তবে সানা মির একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন, যেখানে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল—নাতালিয়া পারভেজ ‘আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দা’।
ওয়েবসাইটের এই আকস্মিক পরিবর্তনকে অনেকেই প্রশ্নবিদ্ধ হিসেবে দেখছেন। সমালোচকদের মতে, খেলাধুলা ও ক্রীড়াবিদদের অযথা ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েনে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।
সামা টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের ক্রীড়া বিশ্লেষকরা মনে করেন, খেলাধুলার মঞ্চকে রাজনীতির হাতিয়ার বানানো ক্রীড়াবিদদের মনোবল ভেঙে দেয়।
আরও পড়ুন
ফ্রান্স দলে একিতিকে, নেই দেম্বেলে |
![]() |
আইসিসি এখনো এ ঘটনায় কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ক্রিকেটবিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে ক্রিকেট নয়, বরং একটি শব্দচয়ন কীভাবে দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়ে তুলল।
ব্যাটিংয়ে পজিশনে প্রমোশন। তাতেই বাজিমাত করলেন নাসির হোসেন। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যের এনসিএল টি টোয়েন্টিতে জয়ে ফিরেছে রংপুর। উড়তে থাকা চিটাগং কিংসকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ দিনের প্রথম খেলায় টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৮ রান তোলে চিটাগং। জবাব দিতে নেমে ২ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে রংপুর। আসরে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতে অনিকের উইকেট হারালেও জাহিদ জাভেদ-নাসির হোসেন জুটি দলকে ৭২ রানের পার্টনারশিপ উপহার দেয়। নাসির হোসেন এদিন ওয়ানডাউনে প্রমোশন পান। আসরে এর আগে লোয়ার এন্ডে ব্যাট করেছেন তিনি। তাতে তার থেকে উপকৃত হয়নি দল। তবে আজ উপরে উঠতেই খেললেন ৩২ বলে ৪৩ রানের ইনিংস।
দলীয় ১২.৩ ওভার নাসির ফিরলে ব্যাকফুটে চলে যায় রংপুর। ১২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট পড়ে যায়। তবে এসব সামাল দেন অধিনায়ক আকবর আলী (২৬) ও ইকবাল হোসেন (১৬)।
এর আগে চিটাগংয়ের আমন্ত্রণে ব্যাটিং করা চিটাগংয়ের একাই হাল ধরেন ইরফান শুক্কুর। উইকেট রক্ষক এই ব্যাটার অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। চলতি পথে ৪৬ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। ১০টি চার-ছক্কা ছিল ইনিংসে।
চিটাগংয়ের ব্যর্থতার মূলে ছিলেন মমিনুল হক ও মাহমুদুল হাসানরা। অভিজ্ঞ এই ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেননি। উদ্বোধনী জুটি থেকে কেবল ২০ রান। আর জয় ব্যক্তিগত ১১ রানে ফেরেন, মনিনুল করেন তার চেয়ে একরান বেশি।
টপঅর্ডারের মতো লোয়ার এন্ডের ব্যাটাররাও হাল ধরতে পারেননি। এক ইয়াসির আলী চৌধুরি চেষ্টা করেছেন। ক্রিজে থেকে দলীয় রান টেনে বড় করার চেষ্টা করে গেছেন। তাতে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৮ রান।
টি-টোয়েন্টি মানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কুড়ি কুড়ির বিশ্বকাপে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজরা। অথচ সম্প্রতি নেপালের মতো আইসিসি সহযোগী দেশের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খোয়াতে হলো তাদের।
এখানেও শেষ নয়। ভারত সফরে লাল বলের ক্রিকেট খেলছেন রোস্টন চেজরা। সেখানেও দুর্গতি। মোহাম্মদ সিরাজ-জাসপ্রিত বুমরাহদের কাছে নাকানি চুবানি খাচ্ছে অতিথিরা। সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানে গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
উইন্ডিজের এমন বেহালদশা থেকে উত্তরণে কঠিন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি মিটিং ডেকেছে বোর্ড। যাতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বোর্ডের এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় ডাকা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা ও স্যার ক্লাইভ লয়েডদের।
আরও পড়ুন
হাসপাতাল থেকে মাঠে, শিষ্যদের পাশে হেড কোচ |
![]() |
আগামী ছয় মাসের মধ্যে কোচিং প্যানেলে ঢালাওভাবে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে ওয়েন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। আন্তর্জাতিক সুপরিচিত ও অভিজ্ঞ ব্যাটিং কোচ নিয়োগের ব্যাপারে ভাবছে বোর্ড। যিনি সারাক্ষণই ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকবেন, সঙ্গ দেবেন, এমন কোচ খুঁজছেন তারা। পুরুষ ও নারী দলের জন্য একজন ফুলটাইম ফিজিও নিয়োগ দেবে বোর্ড।
এখন থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোগুলোকেও জবাবদিহিতার আয়ত্তায় আনবে উইন্ডিজ। চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও মানসম্মত একাডেমি তৈরি। স্কুল লেভেল থেকে খেলোয়াড় তুলে আনার প্রক্রিয়া ও মেন্টরশিপের দিকে নজর দেবে বোর্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক মাইলস বসকম্ব বলেছেন, ‘এই সংস্কারগুলো আমাদের সিস্টেম শক্তিশালী করা, মান বৃদ্ধি এবং পরবর্তী প্রজন্মের খেলোয়াড়দের সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, সুযোগ ও মেন্টরশিপ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
তিনি আরও বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আঞ্চলিক ক্রিকেট উন্নয়নের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটল এবং এই উদ্যোগগুলো কার্যকরের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।’