১০ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৪২ পিএম
পাকিস্তান ক্রিকেটে অবদানের দারুণ স্বীকৃতি পেলেন দেশটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা চার জন ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ইনজামাম-উল-হক, মিসবাহ-উল-হক, সাঈদ আনোয়ার ও মুশতাক মোহাম্মদ এবং সাঈদ আনোয়ার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
এই চার জন্য যুক্ত হবেন এখন পর্যন্ত এই সম্মান পাওয়া আরও দশজনের সাথে। পিসিবি হল অব ফেম চালু করেছে ২০২১ সাল থেকে।
পাকিস্তানের ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদ্যস ছিলেন ইনজামাম। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১২০টি টেস্ট, ৩৭৮টি ওয়ানডে এবং একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। টেস্টে প্রায় ৯ হাজার রানের পাশাপাশি ওয়ানডেতে করেছেন ১১ হাজারের বেশি রান। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে দেশটির ইতিহাসের টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর (৩২৯ রান)।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতিতে মুগ্ধ ইফতিখার, প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোহানের |
![]() |
পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়কদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় মিসবাহকে। ২০১০ সালে পাকিস্তান ক্রিকেটের কুখ্যাত স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর তিনি অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন। তার হাত ধরে ২০১৬ সালে পাকিস্তান টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে চলে গিয়েছিল।
হল অব ফেমের অন্যজন, সাঈদ আনোয়ার পাকিস্তানের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনার। ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে তার করা ১৯৪ রান একটা লম্বা সময় ধরে ছিল ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। ৫৫ টেস্টে ৪ হাজারের বেশি রানের পাশাপাশি ২৪৭টি ওয়ানডেতে তার নামের পাশে রয়েছে ৮ হাজার ৮২৪ রান।
আর মুশতাকের ১৯৫৯ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তার টেস্ট অভিষেক হয়। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ অভিষিক্ত ক্রিকেটার। তিনি ১৭ বছর বয়সে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। সব মিলিয়ে খেলেছেন ৫৭টি টেস্ট এবং ১০টি ওয়ানডে। তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট জয়ে নেতৃত্ব দিয়ে।
No posts available.
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৪৫ এম
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৫৩ এম
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সামনের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারকে পাবে না নিউ জিল্যান্ড। তার জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দেবেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মাইকেল ব্রেসওয়েল।
তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য ১৪ জনের দল ঘোষণা করেছে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেসি)। দলে ফিরেছেন দুই পেসার কাইল জেমিসন ও বেন সিয়ার্স।
তবে চোটের কারণে দুই অভিজ্ঞ পেসার লকি ফার্গুসন ও অ্যাডাম মিলনেকে পাবে না কিউইরা।
গত মাসে পেটের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন স্যান্টনার। আশা ছিল, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগেই সুস্থ হয়ে যাবেন বাঁহাতি স্পিনার। কিন্তু যথাসময়ে সেরে উঠতে পারেননি তিনি।
এছাড়া হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিটকে গেছেন ফার্গুসন আর পায়ের চোটে খেলতে পারবেন না মিলনে। এর আগে বিভিন্ন চোটে উইল ও'রোরক, গ্লেন ফিলিপস ও ফিন অ্যালেনকে হারিয়েছে নিউ জিল্যান্ড।
গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়েতে খেলা ত্রিদেশীয় সিরিজে ছিলেন না জেমিসন ও সিয়ার্স। প্রথম সন্তান জন্মের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন জেমিসন। আর চোটের কারণে খেলতে পারেননি সিয়ার্স।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আগামী ১, ৩ ও ৪ অক্টোবর হবে সিরিজের ম্যাচগুলো।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ড স্কোয়াড:
মাইকেল ব্রেসওয়েল (অধিনায়ক), মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফোকস, ম্যাট হেনরি, বেভন জ্যাকবস, কাইল জেমিসন, ড্যারিল মিচেল, রাচিন রবীন্দ, টিম রবিনসন, বেন সিয়ার্স, টিম সেইফার্ট, ইশ সোধি।
ছয় নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সাকিব আল হাসান। বোলিংয়েও করলেন কিপটে বোলিং। কিন্তু বাকিদের থেকে সমর্থন পেলেন না বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। হেরে গিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) থেকে বিদায় নিলো অ্যান্টিগা এন্ড বারবুডা ফ্যালকনস।
গায়ানায় বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোরে সিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছে সাকিবের অ্যান্টিগা। আগে ব্যাট করে তারা পায় ১৬৬ রানের পুঁজি। নিকোলাস পুরান ও অ্যালেক্স হেলসের ঝড়ে সহজেই জিতে যায় ত্রিনবাগো।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট হাতে মাত্র ৯ বলে ২৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন সাকিব। বল হাতে ৩ ওভারে দেন ২৪ রান। এর মধ্যে প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাকিরা কেউই তেমন কিছু করতে পারায় বিদায়ঘণ্টা বাজল তার দলের।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ভাঙে অ্যান্টিগার উদ্বোধনী জুটি। এরপর ১০৮ রানের জুটি গড়েন আন্দ্রেস গাউস ও আমির জাঙ্গু। পরে মাত্র ২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। গাউস ৬১ ও জাঙ্গু ৫৫ রান করে ফেরেন।
১৮তম ওভারের প্রথম বলে ইমাদ ওয়াসিম আউট হলে ক্রিজে যান সাকিব। তখন বাকি ছিল ১৭ বল। এর মধ্যে ৯টি মোকাবিলা করে ২৬ রান নেন সাবেক বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। আর বাকি ৮ বল খেলে করে মাত্র ৯ রান।
ক্রিজে গিয়ে সুনিল নারিনের প্রথম বল ডট খেলেন সাকিব। এরপর চালান তাণ্ডব। ইনসাইড আউট শটে মারেন প্রথম চার। পরের বলে স্লগ সুইপে মারেন আরেকটি বাউন্ডারি। প্যাডল স্কুপ করে টানা তৃতীয় চার মারেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার।
সেখানেই থামেননি সাকিব। নারিনের ওভারের শেষ বলে চমৎকার শটে লং অন দিয়ে তিনি মারেন ম্যাচে নিজের একমাত্র ছক্কা। এরপর ইনিংসের শেষ বলে আন্দ্রে রাসেলের বলে আরেকটি চার মেরে অ্যান্টিগাকে ১৬৬ রানে নিয়ে যান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
রান তাড়ায় শুরুতে কলিন মুনরোর উইকেট হারায় ত্রিনবাগো। এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি হেলস ও পুরান। দুজনের মাত্র ৮৬ বলে ১৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। চলতি আসরে যে কোনো উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ জুটি।
১১তম ওভারে সাকিবকে প্রথম বোলিংয়ে আনেন ইমাদ ওয়াসিম। ওই ওভারে মাত্র ২ রান দেন সাকিব। নিজের পরের ওভারে সাকিবের খরচ মাত্র ৫ রান। পরপর দুই ওভারে কিপটে বোলিং করা সাকিবকে টানা তৃতীয় ওভার দেন অ্যান্টিগা অধিনায়ক।
তখন আর থেমে থাকেননি পুরান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে দুই ছক্কার মাঝে মারেন একটি চার। ওভার থেকে নেন মোট ১৭ রান।
শেষ পর্যন্ত ৩ চার ও ৮ ছক্কায় ৫৩ বলে ৯০ রান করেন পুরান। হেলসের ব্যাট থেকে আসে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪০ বলে ৫৪ রান।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হাত না মেলানোর রেষ ধরে পুরো এশিয়া কাপ বয়কটের কথা ভাবছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসি দাবি না মানায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বুধবারের ম্যাচটি নাও খেলতে পারে তারা। এমনকি বয়কট করতে পারে পুরো এশিয়া কাপ।
তবে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে, বুধবার সকালের মধ্যেই এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করবে তারা।
“এশিয়া কাপের ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এই বিষয়ে আলোচনা এখনও চলছে। কালকের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাকিস্তানের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখেই যেকোনো সিদ্ধান্তে যাবে বোর্ড।”
ঘটনা মূলত গত রোববার ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচের। সেদিন টসের সময় হাত মেলাননি দুই অধিনায়ক। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পিসিবি অভিযোগ করে, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট দুই দলের অধিনায়ককে হাত মেলাতে মানা করেছেন।
তাই তাকে এশিয়া কাপ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানায় পিসিবি। এই বিষয়ে আইসিসির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে টসের সময় হাত না মেলানো নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের সঙ্গে ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটের কোনো ভূমিকা ছিল না।
আইসিসি জানায়, পাইক্রফট কেবল মাঠে উপস্থিত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কর্মকর্তাদের বার্তাই পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে কিছু না বলে এসিসির নির্দেশই তিনি জানিয়েছেন।
রোববারের ওই ঘটনার পর এখন পাকিস্তান-সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচ ঘিরে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। এই ম্যাচেও ৬৯ বছর বয়সী পাইক্রফটই দায়িত্বে থাকার কথা। কিন্তু সেই ম্যাচটি আদৌ আর মাঠে গড়াবে কিনা সেটিই এখন অনিশ্চিত।
ম্যাচ বয়কটের হুমকির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাতে পূর্ব নির্ধারিত ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলেনেও উপস্থিত হয়নি পাকিস্তান। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাচ রেফারিকে সরানোর দাবি না মানার কারণেই সংবাদ সম্মেলন বয়কট করা হয়েছে।
সেই ধারাবাহিকতায় এখন পুরো টুর্নামেন্টই তারা বয়কট করে কিনা, সেটিই দেখার!
যে কোনো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের খেলা মানেই যেন নানান সমীকরণের হিসেব। একেকটি ম্যাচের পর হাজির হয় নতুন সব সমীকরণ। তবে জাতীয় দলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এসব নিয়ে ভাবতে চান না। বরং ম্যাচ জেতাই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এশিয়া কাপের তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে এখন ‘বি’ গ্রুপের দুই নম্বরে বাংলাদেশ। তবু এখনও নিশ্চিত নয় বাংলাদেশের সুপার ফোরের টিকেট। উল্টো রয়েছে বাদ পড়ে যাওয়ার চোখরাঙানিও।
কারণ তাদের নেট রান রেট (-০.২৭০)। গ্রুপের এক নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কার ঝুলিতেও ৪ পয়েন্ট, নেট রান রেট (+১.৫৪৬)৷ তিন নম্বরে থাকা আফগানিস্তান দুই ম্যাচে ২ পয়েন্ট, নেট রান রেট (+২.১৫০)৷
গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। সেদিন আফগানিস্তান অল্প ব্যবধানে জিতলে বাদ পড়ে যাবে বাংলাদেশ। বিশাল বড় ব্যবধানে জিতলে বাদ পড়ে যাবে শ্রীলঙ্কা। আর যে কোনো ব্যবধানে শ্রীলঙ্কা জিতলে বাদ পড়ে যাবে আফগানিস্তান।
মঙ্গলবারের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের পর দাঁড়িয়েছে এই সমীকরণ। যা সম্পর্কে ধারণা নেই তামিমের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাঁহাতি ওপেনার নিজেই বলেছেন এই কথা।
“মাত্র খেলা শেষ হলো৷ সমীকরণটা আমার জানা নেই।”
আফগানিস্তানের বিপক্ষে অন্তত ২৩ রানের ব্যবধানে জিততে পারলে নেগেটিভ থেকে পজিটিভে চলে আসত বাংলাদেশের নেট রান রেট। ১৩ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সেই বড় জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু পরের ৭ ওভারে ৬৯ রান খরচ করে বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতেছে মাত্র ৮ রানে। তাই বড় ব্যবধানে জিততে না পারলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারার সাফল্যেই জোর দিলেন তামিম।
“অবশ্যই মাথায় ছিল (বড় ব্যবধানে জয়)। সেই সুযোগও ছিল আমাদের। হলে আমাদের দলের জন্য ভালো হতো। হয় নাই তো কিছু করার নেই। তবে ম্যাচটা আমাদের জিততে হতো। ম্যাচ জিতেছি, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।”
বাংলাদেশের বড় জয়ের সুযোগ ছিল হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচেও। সেদিন ১৪৪ রানের লক্ষ্য ছুঁতে মাত্র ৩ উইকেট হারালেও তারা খেলে ফেলে ১৭.৪ ওভার। যে কারণে এখনও নেট রান রেটে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে তারা।
তাই এখন হারিয়ে ফেলা সুযোগ নিয়ে আক্ষেপ করতে চান না বাংলাদেশের ওপেনার।
“এটা (হংকং ম্যাচের বড় জয়ের সুযোগ) নিয়ে আফসোস করতে চাই না। যেটা অতীত, সেটা হয়ে গেছে। এখন আমাদের সামনে যে সমীকরণটা থাকবে, সেটার দিকেই তাকিয়ে থাকব।”
এসময় তামিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সব টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে ঘিরে চলা সমীকরণের খেলার ব্যাপারে। উত্তরে প্রতিটি ম্যাচে সমান গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
“আমরা কখনও এভাবে দেখি না। প্রত্যেকটা ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগের ম্যাচটা আমরা হেরে গেছি। তো কিছু বলার নাই এটা নিয়ে। কারণ আগের ম্যাচটা আমরা খুব বাজেভাবে হেরেছি।”
“আগের ম্যাচে দ্রুত কিছু উইকেট পড়ে গেছিল। যদি আগের ম্যাচটাও আজকের মতো শুরু পেতাম, তাহলে হয়তো ভালো কিছু হতো। তবে যেতা অতীত হয়ে গেছে, ওইটা নিয়ে চিন্তা করতে চাই না।”
আগের ম্যাচে হারের চাপ সামলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের রহস্য হিসেবে মাঠে উপভোগ করার কথা বলেন বাঁহাতি ওপেনার।
“আমরা যখনই কোনো ম্যাচে নামি, শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে মাঠে উপভোগ করা। আজকে সবাই উপভোগ করেছে এবং সবার মধ্যে চিন্তা ছিল মাঠে ভালো কিছু করার। সেটাই হয়েছে আজকে।”
ব্যাটিংয়ে শেষ দিকের ব্যর্থতায় প্রত্যাশামাফিক সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। তাই বোলিংয়ে প্রয়োজন ছিল বিশেষ কিছুর। টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলতে নেমে প্রথম বলেই সেই বিশেষ কাজ করে দেন নাসুম আহমেদ। দারুণ ডেলিভারিতে তিনি ফিরিয়ে দেন সেদিকউল্লাহ অতলকে।
নিজের স্পেলের বাকি সময়েও চরম কিপটে বোলিং করেন বাঁহাতি স্পিনার। তাই তার হাতেও ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সেই স্বীকৃতি গ্রহণ করে নাসুম বলেন, প্রথম বলে উইকেট পাওয়াটা তার জন্য ছিল বিশেষ আনন্দের।
আরও পড়ুন
যেভাবে সুপার ফোরে উঠতে পারে বাংলাদেশ |
![]() |
এশিয়া কাপে প্রথম দুই ম্যাচে বেঞ্চে বসে ছিলেন নাসুম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েই জ্বলে উঠেছেন বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম ওভারে সেদিকউল্লাহকে আউট করে মেডেন নেন তিনি।
তিন ওভারের স্পেলে ইব্রাহিম জাদরানকেও আউট করেন নাসুম। নতুন বলে নাসুমের ওই তিন ওভারে মাত্র ৭ রান করতে পারে আফগানিস্তান। ১৫৪ রানের পুঁজি নিয়ে লড়তে থাকা বাংলাদেশকে অনেক এগিয়ে দেয় ওই স্পেল।
পরে ১৮তম ওভারে নাসুমকে আবার আক্রমণে আনেন লিটন। তখন ক্রিজে ছিলেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা রশিদ খান। ওই চাপের সময়ে মাত্র ৪ রান দেন অভিজ্ঞ স্পিনার। ফলে ১৮ বলে ৩১ থেকে সমীকরণ হয়ে যায় ১২ বলে ২৭ রান।
আরও পড়ুন
শেষ পর্যন্ত আমরা ম্যাচে ছিলাম: রশিদ |
![]() |
সব মিলিয়ে ৪ ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ১১ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন নাসুম। ৩৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তার পঞ্চম ম্যান অব দা ম্যাচ।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার গ্রহণ করে নতুন বলে বোলিংয়ের আনন্দের কথা বলেন তিনি।
“নতুন বলে বোলিং করতে সবসময় পছন্দ করি। আজকে যখন অধিনায়ক আমাকে বলল যে, আমি প্রথম ওভার বল করব, ওইটাতেই আমি এক্সাইটেড হয়ে গেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ! প্রথম বলেই উইকেটটা নিয়েছি। এটাতে অনেক ভালো লেগেছে।”
আরও পড়ুন
ম্যাচ জিতে লিটন বললেন, ‘ব্যাটিং-বোলিং ভালো করিনি’ |
![]() |
আবু ধাবির অতিরিক্ত গরমের কারণে বোলিং করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল নাসুমের। তাই গ্রিপ বদলে সাফল্যের পথ খুঁজে নেন অভিজ্ঞ স্পিনার।
“রাতে যখন বল করতে যাই, তখন অনেক ঘামাচ্ছিলাম। তাই গ্রিপ করতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। তাই আমি গ্রিপটা বদলে জায়গায় করার চেষ্টা করেছি এবং ক্রস সিমে করার চেষ্টা করেছি।”