ক্রিকেট

বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিশোধ

 
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা

৩১ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৪০ পিএম

news-details

গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে এসেছিল বাংলাদেশ। বছর ঘোরার আগেই এবার অক্টোবরে বাংলাদেশে এসে সেই সিরিজের বদলা নিয়ে নিল ক্যারিবিয়ানরা।


চট্টগ্রামের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকদের করা ১৫১ রানের জবাবে মাত্র ১৬.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় রস্টোন চেজের নেতৃত্বে খেলতে নামা দল।


নিয়মিত অধিনায়ক শাই হোপসহ তিন পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবু জয় পেতে কষ্ট হয়নি তাদের। বেশ অনায়াসেই শেষ ম্যাচটি জিতল তারা।


টানা চার সিরিজ জয়ের পর আবার হেরে গেল বাংলাদেশ। আর ঘরের মাঠে তারা হোয়াইটওয়াশ হলো প্রায় ৪ বছর পর। এর আগে ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ দল।


শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া কেউ কিছু করতে পারেননি। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৬২ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ওপেনার। 


এই ইনিংসের পথে ৪২ ইনিংসে তিনি পূর্ণ করেন ১ হাজার রান। যা কিনা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড। 


তামিমের বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান করে সাইফ হাসান। এছাড়া বাকি ৯ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। 


ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে হ্যাটট্রিক করে রোমারিও শেফার্ড। ১৬তম ওভারের শেষ বলে নুরুল হাসান সোহান ও শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে তামিম এবং শরিফুল ইসলামকে আউট করেন তিনি।


রান তাড়ায় শুরুটা তেমন ভালো ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। মাত্র ৫২ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। পরে ঝড় তোলেন আকিম অগাস্ত ও রস্টোন চেজ। দুজন মিলে মাত্র ৪৬ বলে গড়ে তোলেন ৯৩ রানের বিধ্বংসী জুটি।


১ চার ও ৫ ছক্কায় ২৫ বলে ৫০ রান করেন অগাস্ত। চেজের ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ বলে ৫০ রান। 


বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ৩ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৩ রান। তাসকিন আহমেদ ৩.৫ ওভারে দেন ৫০ রান। 



একাদশে ফেরা শেখ মেহেদি হাসান ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে নেন ১ উইকেট।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫১ (তামিম ৮৯, ইমন ৯, লিটন ৬, সাইফ ২৩, রিশাদ ৩, সোহান ১, নাসুম ১, জাকের ৫, মেহেদি ০*, শরিফুল ০, তাসকিন ৯; হোল্ডার ৪-০-৩২-২, আকিল ৪-০-২৬-১, শেফার্ড ৪-০-৩৬-৩, চেজ ৪-০-২৩-১, পিয়ের ৩-০-২৩-২, মোটি ১-০-১১-০)


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬.৫ ওভারে ১৫২/৫ (আথানেজ ১, জাঙ্গু ৩৪, কিং ৮, চেজ ৫০, অগাস্ত ৫০, পাওয়েল ৫, মোতি ৩; মেহেদি ৪-০-১৮-১, শরিফুল ২-০-১২-০, তাসকিন ৩.৫-০-৫০-০, নাসুম ৩-০-২৯-১, রিশাদ ৪-০-৪৩-৩)


ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী


সিরিজ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী

No posts available.

bottom-logo

ক্রিকেট

‘ভুয়া, ‘ভুয়া’ স্লোগান মোটেও পছন্দ নয় স্যামির

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯ এম

news-details

দর্শকরা স্টেডিয়ামের প্রাণ—খেলার আবেগের কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে। তারাই মাঠে উৎসাহ দেন, খেলোয়াড়দের প্রেরণা জোগান। তবে স্টেডিয়ামে প্রায়ই কিছু সমর্থককে দেখা যায় মাত্রাতিরিক্ত উদযাপন করতে। প্রতিপক্ষের সমর্থক বা খেলোয়াড়দের বিরক্ত করাই যেন তাদের প্রধান কাজ। এতে যেমন স্টেডিয়ামের পরিবেশ নষ্ট হয়, তেমনি ক্রিকেটারদের মনোযোগেও আসে ব্যাঘাত।


সম্প্রতি ভালো ও খারাপ দেশের সমর্থকদের নিয়ে একটি র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। যেখানে সবচেয়ে ভালো সমর্থক দেশের তালিকায় রয়েছে ফারো দ্বীপপুঞ্জ, আর সবচেয়ে বাজে আচরণের সমর্থকদের মধ্যে শীর্ষে আছে আলবেনিয়া।


ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কিংবা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ভালো ও খারাপ দেশের সমর্থকদের নিয়ে এমন তালিকা প্রকাশ করত, তবে কোন দেশ এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকত—তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়েছে। 


তবে ক্রিকেট মাঠে দর্শকদের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি, বিশেষ করে বাংলাদেশি সমর্থকদের ‘ভুয়া, ‘ভুয়া’ স্লোগান, মোটেও পছন্দ নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামির।


বাংলাদেশের বিপক্ষে আজ সিরিজ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সবক’টি নিজেদের পক্ষে নিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। ম্যাচ চলাকালীন বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে মাঠ থেকে ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ স্লোগান ভেসে আছে। বিষয়টি ভালো লাগেনি স্যামির।

 

ক্যারিয়ারে নানা সময় বাংলাদেশে আসার সুবাধে বাংলা ভাষাটা কিছুটা রপ্ত স্যামির। তিনি জানেন ভুয়া অর্থ। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বলেছেনও সেটি, 

“তারা (দর্শকরা) ক্রিকেটারদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেছে, সেটা আমার ভালো লাগেনি। আমি শুনেছি তারা ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলছে। এর অর্থও আমি জেনেছি। কিন্তু আমি মনে করি না, হোম টিমের দর্শক হিসেবে এমন করা উচিত। কারণ আপনারা তখন সমর্থক। প্রত্যেক ক্রিকেটারই মাঠে আসে তাদের সেরাটা দেওয়ার জন্য। তাই আপনাদের উচিত, তাদের সমর্থন করা।”


তিনি আরও যোগ করেন,

“তবুও তারা (দর্শকরা) ভালো। তারা নিজেদের দলকে পারফর্ম করতে দেখতে চায়। তবে যত বেশি সমর্থন ও উৎসাহ দেবেন, তারা তত দূর যেতে পারবে। ক্রিকেটারদের অযথা চাপে ফেলবেন না। ফ্যানদের বলব, তাদের (ক্রিকেটারদের) সঙ্গে সুন্দর আচরণ করুন।”
bottom-logo

ক্রিকেট

সাইম ঝড়ের ম্যাচে ‘রাজা’ বাবর, দাপুটে জয় পাকিস্তানের

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৫ এম

news-details

বল হাতে ফাহিম আশরাফ ও সালমান মির্জার রাজত্ব, এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সাইম আইয়ুব। তাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেতে খুব একটা কষ্ট হয়নি পাকিস্তানের। অতিথিদের বিপক্ষে ৪১ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে সালমান আলী আগার দল।


লাহোরের শুক্রবারের ম্যাচটি ছিল স্বাগতিকদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল পাকিস্তান। আজ জয় অধরা থাকলে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কা ছিল। কিন্তু ব্যাট-বলে সমানতালে লড়ে সে ভয় উড়িয়ে দিয়েছে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে মাত্র ১১০ রানে আটকে দেয় প্রথমে। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৪১ বল হাতে রেখেই কাজ সারেন সাইম।


এদিন ডোনাভান ফেরেইরাদের দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন সাইম ও সাহিবজাদা ফারহান। ফারহান কিছুটা দেখে-শুনে খেললেও চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন সাইম। দুজনের জুটিতে ফাটল ধরে ফারহান এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে।


ফারহান যখন ২৮ রানে সাজঘরে ফেরেন, তখন পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশ (৫৪) ছুঁয়েছে। এরপর বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা শেষ করেন স্পিন অলরাউন্ডার সাইম। দুজনের জুটি টিকে ছিল শেষ পর্যন্ত। এ জুটিতে আসে ৫৮ রান।


সাইমের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৭১ রান। বাবর আজম অপরাজিত থাকেন ১১ রানে। আর এই ইনিংসেই রীতিমতো টি-টোয়েন্টির ‘রাজা’ বনে যান বাবর । আজ ব্যাট হাতে নামার আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হতে ডানহাতি ব্যাটারের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া বাবর এদিন পেরিয়ে যান রোহিত শর্মাকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাবরের মোট রান এখন ৪২৩২, দ্বিতীয় স্থানে থাকা রোহিতের রান ৪২৩১।


এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সালমান মির্জা ও ফাহিম আশরাফের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। ৬৬ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত থামে ১১০ রানে। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে ব্রেভিসের ব্যাট থেকে—১৬ বলে ২৫। দলের সাত ব্যাটার দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি।


পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ। ৩.২ ওভার বোলিং করে ২৩ রান দেন এই মিডিয়াম পেসার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নেন সালমান মির্জা—তিনি শিকার করেন ৩ উইকেট। মূলত এই দুই বোলারের নৈপুণ্যেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় প্রোটিয়ারা।


তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে শনিবার, লাহোরে। সিরিজ জিততে হলে এই ম্যাচেই জয় পেতে হবে উভয় দলকে।

ক্রিকেট থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo

ক্রিকেট

টানা খেলার ক্লান্তি ঝেরে ‘রিস্টার্ট’ করার আশা লিটনের

 
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা

৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম

news-details

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস বলছেন, এই সিরিজ হারটিকে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত। তার মতে, দলের ব্যর্থতার পেছনে বড় কারণ ক্লান্তি ও কঠিন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি।


সিরিজটি শুরুর আগে লিটন বলেছিলেন, সামনের দুই সিরিজে ক্রিকেটারদের চ্যালেঞ্জে পড়তে দেখতে চান তিনি। শুক্রবার সিরিজ হারের পর তিনি বললেন, সেই চ্যালেঞ্জ পেয়েছে দল।


“সিরিজ শুরুর আগে আমি বলেছিলাম, আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জ চাই এবং আমরা সেটা পেয়েছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দারুণ বোলিং করেছে, আর আমাদের ব্যাটিং প্রত্যাশামতো হয়নি। তবে এমন খারাপ সিরিজ মাঝে মাঝে আসতেই পারে।” 


“এটা তেমন উদ্বেগ নয়। দলের ক্রিকেটাররা পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ। কখনও কখনও সবকিছু পরিকল্পনা মতো হয় না। তবে তারা জাতীয় দলে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছে। একটা বিরতি তাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে পুনরুজ্জীবিত করবে।”


দলের ব্যস্ত সূচি নিয়েও কথা বলেন লিটন। 


“এই দলটা টানা খেলছে- ফিটনেস ক্যাম্প, একের পর এক সিরিজ, এশিয়া কাপ, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি। ক্লান্তি আসবেই। আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে যে বিরতি আসছে, সেটি খেলোয়াড়দের অন্তত ১০ দিন সময় দেবে নিজেদের রিচার্জ করার।”



মনোবল ধরে রাখার গুরুত্বও তুলে ধরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। 


“ঘুরে দাঁড়ানোর একটাই পথ- ইতিবাচক থাকা ও মনোবল উঁচু রাখা। অতিরিক্ত চিন্তা করলে নেতিবাচক ভাবনা আসে। খেলোয়াড়দের নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে হবে, উন্নতির দিকে মনোযোগ দিতে হবে, আশেপাশে ইতিবাচক মানুষদের রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, তারা আরও ভালোভাবে ফিরবে।”

  

সিরিজ জুড়ে কঠিন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। 


“তিন ম্যাচেই আমরা চাপের মধ্যে ভুগেছি। পিচ, শিশির আর আবহাওয়া সবসময় আমাদের পক্ষে ছিল না। কিছু উইকেটে ১৫০-১৬০ রান করাই কঠিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শিশির তাদের ব্যাটিংয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমাদের বোলাররা চেষ্টা করেছে। অনেক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে।”


সিরিজটা হতাশাজনকভাবে শেষ হলেও লিটন আশাবাদী দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। 


“এই খেলোয়াড়রা জানে কোথায় উন্নতি করতে হবে। অল্প কিছু বিশ্রাম আর লক্ষ্যভিত্তিক অনুশীলনেই তারা আগের ছন্দে ফিরবে এবং প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দিতে পারবে।”


বাংলাদেশের পরবর্তী মিশন আয়ারল্যান্ড সিরিজ। সিলেটে আগামী ১১ নভেম্বর শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এরপর পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। 

bottom-logo

ক্রিকেট

দীর্ঘ অধ্যায়ের সমাপ্তি, চলে যাচ্ছেন গামিনি

 
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা

৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৩ পিএম

news-details

পিচ কিউরেটর গামিনি সিলভার সঙ্গে প্রায় দেড় যুগের সম্পর্কের ইতি টানল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশের সঙ্গে পাট চুকিয়ে শুক্রবার রাতেই নিজ দেশ শ্রীলঙ্কায় ফিরে যাচ্ছেন অভিজ্ঞ কিউরেটর।


২০১০ সাল থেকে বিসিবির প্রধান কিউরেটর হিসেবে কাজ করছিলেন গামিনি। সবশেষ চলতি বছরের জুলাই মাসে নতুন করে এক বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করা হয় তার। অর্থাৎ আগামী বছরের জুলাই পর্যন্ত ছিল সবশেষ চুক্তির মেয়াদ।


তবে সেটি পূর্ণ হওয়ার ৯ মাস বাকি থাকতেই গামিনিকে বিদায় জানিয়ে দিল বিসিবি। বোর্ডের গ্রাউন্ডস কমিটির একটি সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে আছে। দুই-এক দিনের মধ্যে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।


গামিনির বিদায়ের মঞ্চ তৈরি হয়ে গেছে গত আগস্ট মাসেই। হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট পদে তখন টনি হেমিংকে দায়িত্ব দিয়েছিল বিসিবি। তখন থেকেই শুরু হয় গুঞ্জন, বিসিবিতে আর বেশি দিন টিকবেন না গামিনি।


তবে এর আগেই চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করে ফেলায় ছিল কিছু জটিলতা। সেসব এড়িয়ে এখন গামিনিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়ে দিল বিসিবি। 

bottom-logo

ক্রিকেট

হাসপাতালে সোহান, হ্যামস্ট্রিংয়ে অস্বস্তি শরিফুলের

 
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা

৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৭ পিএম

news-details

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুক্রবার হোয়াইটওয়াশড হওয়ার ম্যাচে চোটের ধাক্কাও খেয়েছে বাংলাদেশ। গোড়ালির চোটে হাসপাতালে যেতে হয়েছে নুরুল হাসান সোহানের। আর হ্যামস্ট্রিংয়ের অস্বস্তিতে ভুগছেন শরিফুল ইসলাম।


হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে শেষ ম্যাচে নিজেদের একাদশে ৪টি পরিবর্তন করেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে একাদশে ফেরার তালিকায় ছিলেন সোহান। আর সিরিজে প্রথম সুযোগ পান বাঁহাতি পেসার শরিফুল।


ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় ১১তম ওভারে হঠাৎই গোড়ালি চেপে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সোহান। তৎক্ষনাৎ দৌড়ে আসেন ফিজিও। অবস্থার উন্নতি না ঘটায় স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নেওয়া হয় তাকে।


পরে পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে গোড়ালির এক্স-রে করানো হয় অভিজ্ঞ ব্যাটারের।


এছাড়াও ম্যাচ চলাকালে হ্যামস্ট্রিংয়ের অস্বস্তির কথা জানান শরিফুল। ম্যাচে ২ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দেন তিনি। কিন্তু চোটের কারণে আর বোলিংয়ে দেখা যায়নি তাকে।


সোহান ও শরিফুলের চোটের ব্যাপারে বিস্তারিত আপডেট জানা যেতে পারে শনিবার। 

bottom-logo