দেশের মাটিতে তো বটেই, দেশের বাইরেও ভারতের অনেক স্মরণীয় জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা বোলারদের একজন রবিচন্দন অশ্বিন ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়ও প্রায়ই দেখিয়েছেন স্পিন ভেল্কি। অস্ট্রেলিয়ার সাথে চলমান সিরিজের তৃতীয় টেস্টের পর আচমকাই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই অফ স্পিনার। অধিনায়ক রোহিত শর্মা তার সিদ্ধান্তকে জানিয়েছেন পূর্ণ সম্মান। তার কাছে দেশটির ইতিহাসের সেরা ম্যাচ উইনারদের একজন অশ্বিন।
সাদা বলের ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব হলেও অশ্বিন নিজের সেরাটা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটেই। হরভজন সিংয়ের অবসরের পর লম্বা সময় সামলেছেন দলের মূল স্পিনারের দায়িত্ব। ভারতের ইতিহাসের দ্রুততম ৫০ থেকে শুরু করে ৫০০ উইকেট শিকারের সব রেকর্ডের ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের দখলে। অবসর নিয়েছেন ভারতের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লাল বলের উইকেটশিকারী হিসেবে।
আরও পড়ুন
বেরসিক বৃষ্টি জমতে দিল না ব্রিসবেন টেস্ট |
![]() |
বয়সভিত্তিক দল থেকে অশ্বিনের সাথে খেলা রোহিত মনে করেন, ভারতের জার্সিতে সামর্থ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে লড়ে গেছেন এই কিংবদন্তি স্পিনার।
“তিনি এই দলের জন্য কী করেছেন, সেটা আমরা সবাই জানি, তাই আমার বারবার তা বলার দরকার নেই। তবে তিনি একজন সত্যিকারের ম্যাচ উইনার, যা ভারত আগে কখনও দেখেনি।”
১০৬ টেস্টে ২৪ গড়ে ৫৩৭ উইকেট নিয়ে অশ্বিন তার টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করেছেন। এই ফরম্যাটে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় তার ওপরে আছেন শুধুমাত্র অনিল কুম্বলে, যিনি ১৩২ টেস্টে ৬১৯টি উইকেট নিয়েছেন।
বল হাতে অবদান ছাড়াও অশ্বিন ব্যাট হাতে যখনই সুযোগ পেয়েছেন, ব্যাট হাতেও খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ সব ইনিংস। পুরো ক্যারিয়ারের ৮,৯ নম্বরে ব্যাটিং করেও তার নামের পাশে রয়েছে ছয়টি সেঞ্চুরি এবং ১৪টি অর্ধশতক। রান করেছে ৩ হাজার ৫০৩। টেস্ট ক্রিকেটে ৩ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট নেওয়া মাত্র ১১ জন ক্রিকেটারদের একজন অশ্বিন। এছাড়াও রয়েছে সাবেক শ্রীলঙ্কান গ্রেট মুত্তিয়া মুরালিধরনের সাথে যৌথভাবে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ১১ বার সিরিজ সেরা হওয়ার রেকর্ড।
আরও পড়ুন
সিরিজ জয়ের দিনে র্যাঙ্কিংয়েও বড় উন্নতি তাসকিন-মাহেদি-হাসানদের |
![]() |
রোহিত তাই বাড়তি প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অশ্বিনকে।
“যখনই সংকট ছিল, আমাদের অ্যাশের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল। আর সবসময়ই তিনি আমাদের ত্রাতা হওয়ার জন্য সেখানে হাজির ছিলেন। তাই, হ্যাঁ, রেকর্ডও তার হয়েই কথা বলে। তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের এমন একজন সেবক ছিলেন, যিনি দলের জন্য কোনো কিছু করাই বাদ রাখেননি।”
২০১০ সালে শুরু হওয়া একটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অশ্বিন ওয়ানডে খেলেছেন ১১৬টি, আর টি-টোয়েন্টি ৬৫টি। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে উইকেট নিয়েছেন ১৫৬টি। সেরা অর্জনের মধ্যে রয়েছে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়।
No posts available.
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৬ এম
এশিয়া কাপে কাল মাঠে গড়াবে ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ লড়াই। তার আগে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম সতর্ক করেছেন সালমান আলি আগাদের। তাঁর মতে ভারতের দুই স্পিনার - বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন।
একটি টেলিভিশন শোতে আকরাম বলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হতে পারে ভারতের স্পিন আক্রমণ। বুমরাহকে হয়তো সামলানো সম্ভব, কিন্তু বরুণ আর কুলদীপ ব্যাটারদের ভোগাতে পারে। যদি কোনো ব্যাটার বলটা পিচ করার পর পড়তে যায়, তবে বুঝতে হবে ওর কোনো ধারণাই নেই কী ঘটছে।’
আরও পড়ুন
বৃষ্টিতে ভেসে গেল তামিম-আবরারদের আরেকটি ম্যাচ |
![]() |
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই কুলদীপ ও বরুণের স্পিন ভেলকিতে ৫৪ রানে গুটিয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাইয়ে আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে কুলদীপ যাদব মাত্র ২.১ ওভার বল করে ৭ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। আর বরুণ চক্রবর্ত্তী দেন মাত্র ৪ রান, পান একটি উইকেট। সেই ম্যাচে ভারত সহজেই জয় পায় ৯ উইকেটে।
এদিকে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের স্মৃতিচারণও করেছেন আকরাম। মনে করিয়ে দিয়েছেন ১৯৮৬ সালের শারজাহর সেই ম্যাচের কথা, যেখানে জাভেদ মিয়াঁদাদ চেতন শর্মাকে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন। আকরাম হাসতে হাসতে বলেন, ‘ওই ছক্কার কৃতিত্ব আমারও একটু আছে, কারণ মিয়াঁদাদ আমার ব্যাট ব্যবহার করেছিল।’
কাল দুবাইয়ে দেখা হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের। আকরামের মতে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের মোড় ঘুরে দিতে পারে ভারতের স্পিন আক্রমণই।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে শুরুর ৩৬ ঘণ্টারও কম সময় বাকি থাকতে পরিবর্তন আনা হলো স্কোয়াডে। খুলনার মূল দল থেকে স্ট্যান্ডবাইয়ে পাঠানো হলো মেহেদী হাসান মিরাজকে। আর ঢাকা মেট্রোতে স্ট্যান্ডবাই থেকে মূল দলে সুযোগ পেলেন আইচ মোল্লা।
অথচ এনসিএল টি-টোয়েন্টির জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মিরাজ। ধারণা করা হচ্ছিল, টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই খুলনার হয়ে খেলতে দেখা যাবে অভিজ্ঞ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারকে। সেই ধারাবাহিকতায় খুলনার প্রাথমিক স্কোয়াডেও ছিল তার নাম।
কিন্তু হঠাৎ কী হলো যে, মূল দল থেকে স্ট্যান্ডবাইয়ে চলে গেলেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ছুটি নিয়েছেন মিরাজ। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে খেলবেন তিনি।
আরও পড়ুন
সল্ট-বাটলারের তাণ্ডবে রেকর্ডবইও চোখ কচলাচ্ছে |
![]() |
টি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে এই খবর নিশ্চিত করেছেন খুলনার প্রধান কোচ তুষার ইমরান।
“মিরাজ আসলে কিছু দিনের ছুটি নিয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচ খেলবে না। আপনারা হয়তো জানেন, সম্প্রতি সে বাবা হয়েছে। তাই পরিবারের সঙ্গে ছিল ওই সময়টায়। তাই এখন এনসিএলের দুটো ম্যাচ খেলবে না। এরপর সে দলের সঙ্গে যোগ দেবে।”
গত ৪ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হন মিরাজ। তখন জাতীয় দল থেকেও ছুটি নিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। যে কারণে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছিলেন না তিনি। পরে এশিয়া কাপের দলেও জায়গা পাননি।
তাই দেশে থেকে নিজের বোলিং নিয়ে কাজ করেছেন মিরাজ, প্রস্তুতি নিয়েছেন এনসিএল টি-টোয়েন্টির জন্য।
এখন তিনি প্রথম দুই ম্যাচে না থাকায় কপাল খুলেছে রবিউল হকের। রংপুর বিভাগ থেকে খুলনায় আসা এই পেসার শুরুতে ছিলেন স্ট্যান্ডবাই তালিকায়। তাকে এখন মূল দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু মিরাজ ফিরলে কী হবে? রবিউল কি আবার চলে যাবেন স্ট্যান্ডবাই তালিকায়?
এই বিষয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আভাস দেন, মিরাজ ও রবিউল একসঙ্গেই থেকে যাবেন স্কোয়াডে।
“রবিউলকে মূল স্কোয়াডে নেওয়ার ভাবনা আগে থেকেই ছিল আমাদের। এখন মিরাজ ছুটি নেওয়ায় সেটা কিছুটা সহজ হয়েছে। মিরাজকে স্কোয়াডে রেখেই যদি রবিউলকে ফেরাতাম, তাহলে প্রথম দুই ম্যাচে খুলনা দলে একজন ক্রিকেটার সুযোগ কম পেত।”
আরও পড়ুন
রুট সেঞ্চুরি না করলে ‘নগ্ন হয়ে হাঁটবেন’ হেইডেন |
![]() |
“মিরাজ ফিরলে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো, কাকে বাইরে পাঠানো যায়। এরই মধ্যে আমাদের মধ্যে সে আলোচনা হয়েছে। তবে আগেভাগে নামটা বলা ঠিক হবে না। খুলনার প্রথম দুই ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর তখন বোঝা যাবে, কাকে স্কোয়াডের বাইরে রাখা হবে।”
এদিকে নানা সমালোচনার পর ঢাকা মেট্রো দলে সুযোগ পেয়েছেন আইচ মোল্লা। শুরুতে স্ট্যান্ডবাইয়ে ছিলেন ২৩ বছর বয়সী সম্ভাবনাময় ব্যাটার। তাকে মূল দলে ফেরাতে স্ট্যান্ডবাইয়ে পাঠানো হয়েছে অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্শাল আইয়ুবকে।
রাজশাহীতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন রোববার সকালের ম্যাচে স্বাগতিক দলের সঙ্গে খেলবে গতবারের রানার্স-আপ ঢাকা মেট্রো। খেলা শুরু সকাল সাড়ে ৯টায়। বগুড়ার মাঠে একই দিন দুপুর দেড়টায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুরের প্রতিপক্ষ সিলেট।
খুলনার প্রথম ম্যাচ সোমবার, চট্টগ্রামের বিপক্ষে। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে খেলা শুরু দুপুর দেড়টায়।
শুধু ম্যাচ নয় যেন রেকর্ড-বন্যা! রাতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রীতিমতো রেকর্ড গ্যালারি খুলে বসল ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। কেবল দর্শকদেরই নয়, রেকর্ডবইও যেন স্তম্ভিত করে দিয়েছে তারা।
৩০৪/২ – ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর
এই ম্যাচে ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো ৩০০ রানের গণ্ডি পার করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। এটি শুধুমাত্র ইংল্যান্ডের নয়, এই সংস্করণের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে মাত্র দুই দল— জিম্বাবুয়ে (৩৪৪/৪) ও নেপাল (৩১৪/৩)— এই মাইলফলক অতিক্রম করেছিল।
২২৮ রান বাউন্ডারি থেকে
ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা মারেন ৩০টি চার ও ১৮টি ছয়, যার সৌজন্যে আসে মোট ২২৮ রান। এটি টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ বাউন্ডারি থেকে আসা রান, যা ব্যাটিংয়ের আগ্রাসী মনোভাবের অসাধারণ প্রতিফলন।
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়ে জিতল ইংল্যান্ড |
![]() |
৪৮টি বাউন্ডারি (৩০ চার+১৮ ছয়)
ইংল্যান্ডের এই ম্যাচে মোট ৪৮টি বাউন্ডারি আসে, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি বাউন্ডারি (৫৭টি) একমাত্র মারতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে, ২০২৪ সালে গাম্বিয়ার বিপক্ষে।
১৬৬/১ – ১০ ওভারে স্কোর
মাত্র ১০ ওভারেই ইংল্যান্ড তোলে ১৬৬ রান, যা পুরুষদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০-ওভারের স্কোর। একমাত্র তুরস্ক ২০২৫ সালে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ১৬৭ রান তুলেছিল।
১০০/০ – পাওয়ারপ্লে-তে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ
শুরুতেই বিধ্বংসী ফিল সল্ট ও জস বাটলার পাওয়ার-প্লেতে তোলেন ১০০ রান। এটি ইংল্যান্ডের পাওয়ার-প্লেতে সর্বোচ্চ রান এবং টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সপ্তম।
১৫০ রান – মাত্র ৯ ওভারে
এই ইনিংসে ইংল্যান্ড ১৫০ রান তুলেছে মাত্র ৯ ওভারে, যা ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম। এর চেয়ে দ্রুত (৮.৩ ওভারে) একমাত্র তুরস্ক ২০২৫ সালে করেছে।
২০০ রান – ১২.১ ওভারে
মাত্র ১২.১ ওভারে ২০০ রান পৌঁছায় ইংল্যান্ড, যা দ্বিতীয় দ্রুততম। প্রথম স্থানে রয়েছে তুরস্কের ১১.৫ ওভারে করা ২০০।
২৫০ রান – ১৬.২ ওভারে
মাত্র ১৬.২ ওভারে ২৫০ রান তুলে ইংল্যান্ড ছুঁয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ের আগের রেকর্ড। এটি যৌথভাবে দ্রুততম ২৫০ স্কোর।
১৪৬ রানে জয়
এই বিশাল সংগ্রহের পর ইংল্যান্ড ম্যাচ জেতে ১৪৬ রানে। এটি তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় হার। এ ছাড়া এটি আইসিসি পূর্ণ সদস্য দলের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানের জয়।
৪৬২ রান – দুই দলের সম্মিলিত স্কোর
এই ম্যাচে দুই দল মিলে করেছে ৪৬২ রান, যা ইংল্যান্ডে কোনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ সম্মিলিত স্কোর এবং ইতিহাসে অষ্টম সর্বোচ্চ।
সল্টের – ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব
১৪১ – ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস
সল্ট অপরাজিত ১৪১ রান করেন মাত্র ৪৫ বলে, যা ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এই ইনিংসটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ স্কোর এবং সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সপ্তম সর্বোচ্চ।
৩৯ বলে সেঞ্চুরি – ইংল্যান্ডের দ্রুততম
সল্ট মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন, যা ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে দ্রুত। আগের রেকর্ডটি ছিল লিভিংস্টোনের ৪২ বলে সেঞ্চুরি।
৪টি সেঞ্চুরি – রোহিত-ম্যাক্সওয়েলের পরে
মাত্র ৪৫ ম্যাচে সল্ট করেছেন ৪টি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। এর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল রোহিত শর্মা ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের (৫টি করে)।
২০ বা তার কম বলে ফিফটি
সল্ট ও বাটলার দুজনই ২০ বা কম বলে ফিফটি করেন, যা শুধুমাত্র দ্বিতীয় ঘটনা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। প্রথমবার এটা হয়েছিল রোমানিয়ার ব্যাটারদের মাধ্যমে, ২০২১ সালে।
বোলিং বিপর্যয় – দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দুঃস্বপ্ন
রাবাদা – ৭০ রান (৪ ওভারে)
কাগিসো রাবাদা দেন ৭০ রান, যা দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে স্পেল। একমাত্র বোলার হিসেবে তিনি ৩টি ওভারে ২০ বা তার বেশি রান দেন — ২০, ২৩ এবং ২০ রান।
আরও পড়ুন
বৃষ্টিতে ভেসে গেল তামিম-আবরারদের আরেকটি ম্যাচ |
![]() |
এক ইনিংসে ৩ বোলার ৬০+ রান দেন
রাবাদা (৭০), উইলিয়ামস (৬২) ও জানসেন (৬০) — এই তিনজন এক ইনিংসে ৬০ বা তার বেশি রান দেন। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম।
উইলিয়ামস – ২.১ ওভারে ৫০ রান
লিজাড উইলিয়ামস মাত্র ২.১ ওভারে ৫০ রান খরচ করেন। এত কম ওভারে ৫০ রান খরচের রেকর্ডে তালিকায় তিনি আছেন তিন নম্বরে। তাঁর আগে আছেন রোমানিয়ার বাসু সাইনি (১.৪ ওভারে) এবং মঙ্গোলিয়ার মুঙ্গুন (২ ওভারে)।
ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার জো রুট। চলতি বছর স্পর্শ করেছেন টেস্ট ক্রিকেটে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক। তবে অস্ট্রেলিয়ায় তার পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে ২৭ ইনিংসে এখনও দেখা পাননি তিন অঙ্কের দেখা।
তবে এবার এটি বদলে যাবে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটার ও ধারাভাষ্যকার ম্যাথু হেইডেন। তার বিশ্বাস, সামনের অ্যাশেজে অবশ্যই তিন অঙ্কের দেখা পাবেন রুট। তাই ধরে ফেললেন বড় এক বাজি!
আলোচনা ‘অল ওভার বার ক্রিকেট’ পোডকাস্টে৷ যেখানে একজন প্যানেলিস্ট তার সর্বকালের সেরা অ্যাশেজ একাদশে রুটকে রাখেননি। যা পছন্দ হয়নি হেইডেনের৷
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়ে জিতল ইংল্যান্ড |
![]() |
তাই অ্যাশেজে যদি রুট এবার সেঞ্চুরি করতে না পারেন, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) নগ্ন হয়ে হাঁটবেন, বলেছেন হেইডেন।
“ইংল্যান্ড দলের সবচেয়ে পরিপূর্ণ ক্রিকেটার জো রুট। বিশ্বাস করতে পারছি না, আপনি তাকে একাদশে রাখেননি। (অ্যাশেজে) তার গড় ৪০, সর্বোচ্চ স্কোর ১৮০ রানের। গ্রীষ্মের শেষে (অ্যাশেজের পর) দেখা হবে, যদি সে সেঞ্চুরি না করে, আমি মেলবোর্নে নগ্ন হয়ে হাঁটব।”
অস্ট্রেলিয়ায় ২৭টি টেস্ট ইনিংসে জো রুট করেছেন ৮৯২ রান, গড় ৩৫.৬৮, যেখানে আছে ৯টি ফিফটি। তিনবার তিনি ৮০ এর বেশি রান করেছেন, তবে সেঞ্চুরি নেই একটিও।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে অসাধারণ ফর্মে আছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। টেন্ডুলকার–অ্যান্ডারসন ট্রফিতে ৯ ইনিংসে করেছেন ৫৩৭ রান, গড় ৬৭.১২।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক রুট। টেস্টে তার রান ১৩ হাজার ৫৪৩, সামনে ১৫ হাজার ৯২১ রান নিয়ে কেবল শচীন টেন্ডুলকার।
আরও পড়ুন
বৃষ্টিতে ভেসে গেল তামিম-আবরারদের আরেকটি ম্যাচ |
![]() |
পার্থে আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ লড়াই। অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া শেষ তিনটি অ্যাশেজ হেরেছে ইংল্যান্ড। ২০১১ সালের পর থেকে কোনো টেস্ট জিততে পারেনি তারা।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৪৬ রানে হারিয়ে সিরিজ সমতায় ফেরাল ইংল্যান্ড।
যেন রানের আতশবাজি! সল্ট-বাটলারের ছক্কা-চারের ফুলঝুরিতে আগে ব্যাটিং করে ২ উইকেটে ৩০৪ রানের পাহাড় গড়ে ইংলিশরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
গত বছর গাম্বিয়ার বিপক্ষে ৩৪৪ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ২০২৩ সালে নেপাল তুলেছিল ৩১৪ রান। তবে আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের এটি-ই সর্বোচ্চ স্কোর। ৩০৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৫৮ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন
বৃষ্টিতে ভেসে গেল তামিম-আবরারদের আরেকটি ম্যাচ |
![]() |
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট খেললেন জীবনের সেরা ইনিংস। মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি তুলে গড়েছেন ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম শতকের রেকর্ড। লিয়াম লিভিংস্টোনের আগের ৪২ বলে সেঞ্চুরি রেকর্ড পেছনে ফেললেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে অপরাজিত ১৪১ রান করেন সল্ট। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৫ টি চার ও ৮ টি ছক্কা।
সল্টের সঙ্গে ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার জস বাটলার। মাত্র ৩০ বলে ৮৩ রান করে ফেরেন তিনি। শেষের দিকে অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকের ২১ বলে ৪১ রানের ক্যামিওতে ইংল্যান্ডের রান তিন শ ছাড়িয়ে যায়।
৩০৫ রানের লক্ষ্যে তাড়ায় নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকাও। তিন ওভার তিন বলে দলীয় ফিফটি করে তারা। এরপরই আউট হয়ে যান রায়ান রিকেলটন। রিকেলটন ১০ বলে ২০ রান করেন। আরেক ওপেনার এইডেন মার্করাম করেন ২০ বলে ৪১।
তবে পরের ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। ট্রিস্টান স্টাবস করেন ২৫ বলে ২৩, ফেরেইরা ১১ বলে ২৩ ও ফরচুইন করেন ১৬ বলে ৩২ রান। শেষ পর্যন্ত ১৬.১ ওভারে ১৫৮ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জফরা আর্চার নেন ৩ উইকেট। স্যাম কারান, লিয়াম ডসন ও উইল জ্যাকস নেন ২টি করে উইকেট।
আরও পড়ুন
ওমানকে উড়িয়ে শুরু পাকিস্তানের |
![]() |
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৬ রানের জয় ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান ব্যবধানের জয়। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩৭ রানের জয় ছিল তাদের সবচেয়ে বেশি রানের জয়।
এই জয়ে সিরিজে এখন ১-১ সমতা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আগামীকাল নটিংহ্যামে মাঠে নামবে দুই দল।