
দেশের মাটিতে তো বটেই, দেশের বাইরেও ভারতের অনেক স্মরণীয় জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা বোলারদের একজন রবিচন্দন অশ্বিন ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়ও প্রায়ই দেখিয়েছেন স্পিন ভেল্কি। অস্ট্রেলিয়ার সাথে চলমান সিরিজের তৃতীয় টেস্টের পর আচমকাই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই অফ স্পিনার। অধিনায়ক রোহিত শর্মা তার সিদ্ধান্তকে জানিয়েছেন পূর্ণ সম্মান। তার কাছে দেশটির ইতিহাসের সেরা ম্যাচ উইনারদের একজন অশ্বিন।
সাদা বলের ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব হলেও অশ্বিন নিজের সেরাটা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটেই। হরভজন সিংয়ের অবসরের পর লম্বা সময় সামলেছেন দলের মূল স্পিনারের দায়িত্ব। ভারতের ইতিহাসের দ্রুততম ৫০ থেকে শুরু করে ৫০০ উইকেট শিকারের সব রেকর্ডের ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের দখলে। অবসর নিয়েছেন ভারতের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লাল বলের উইকেটশিকারী হিসেবে।
আরও পড়ুন
| বেরসিক বৃষ্টি জমতে দিল না ব্রিসবেন টেস্ট |
|
বয়সভিত্তিক দল থেকে অশ্বিনের সাথে খেলা রোহিত মনে করেন, ভারতের জার্সিতে সামর্থ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে লড়ে গেছেন এই কিংবদন্তি স্পিনার।
“তিনি এই দলের জন্য কী করেছেন, সেটা আমরা সবাই জানি, তাই আমার বারবার তা বলার দরকার নেই। তবে তিনি একজন সত্যিকারের ম্যাচ উইনার, যা ভারত আগে কখনও দেখেনি।”
১০৬ টেস্টে ২৪ গড়ে ৫৩৭ উইকেট নিয়ে অশ্বিন তার টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করেছেন। এই ফরম্যাটে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় তার ওপরে আছেন শুধুমাত্র অনিল কুম্বলে, যিনি ১৩২ টেস্টে ৬১৯টি উইকেট নিয়েছেন।
বল হাতে অবদান ছাড়াও অশ্বিন ব্যাট হাতে যখনই সুযোগ পেয়েছেন, ব্যাট হাতেও খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ সব ইনিংস। পুরো ক্যারিয়ারের ৮,৯ নম্বরে ব্যাটিং করেও তার নামের পাশে রয়েছে ছয়টি সেঞ্চুরি এবং ১৪টি অর্ধশতক। রান করেছে ৩ হাজার ৫০৩। টেস্ট ক্রিকেটে ৩ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট নেওয়া মাত্র ১১ জন ক্রিকেটারদের একজন অশ্বিন। এছাড়াও রয়েছে সাবেক শ্রীলঙ্কান গ্রেট মুত্তিয়া মুরালিধরনের সাথে যৌথভাবে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ১১ বার সিরিজ সেরা হওয়ার রেকর্ড।
আরও পড়ুন
| সিরিজ জয়ের দিনে র্যাঙ্কিংয়েও বড় উন্নতি তাসকিন-মাহেদি-হাসানদের |
|
রোহিত তাই বাড়তি প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অশ্বিনকে।
“যখনই সংকট ছিল, আমাদের অ্যাশের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল। আর সবসময়ই তিনি আমাদের ত্রাতা হওয়ার জন্য সেখানে হাজির ছিলেন। তাই, হ্যাঁ, রেকর্ডও তার হয়েই কথা বলে। তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের এমন একজন সেবক ছিলেন, যিনি দলের জন্য কোনো কিছু করাই বাদ রাখেননি।”
২০১০ সালে শুরু হওয়া একটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অশ্বিন ওয়ানডে খেলেছেন ১১৬টি, আর টি-টোয়েন্টি ৬৫টি। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে উইকেট নিয়েছেন ১৫৬টি। সেরা অর্জনের মধ্যে রয়েছে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়।
No posts available.
১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৩৯ এম
১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২২ পিএম
১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:০৯ পিএম

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে চোট পড়ে দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এরপর ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম ইনিংসের সেরা বোলার ব্লেয়ার টিকনারকেও হারাল নিউ জিল্যান্ড। তবে চোটের এই মিছিলও কিউইদের বড় জয় ঠেকাতে পারেনি। এক জন কম খেলা স্বাগতিকদের বিপক্ষে নূন্যতম লড়াইও করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আজ ওয়েলিংটন টেস্টের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় সেশনেই জয় তুলে নিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। ক্যারিবিয়দের কিউইরা হারিয়েছে ৯ উইকেটে। দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের ১২৮ রানে অলআউট করে নিউ জিল্যান্ড।
এরপর ৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭.১ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে টম লেথামের দল। এই জয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চে আগের টেস্টে রেকর্ড গড়ে ড্র করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচ সেরা হন ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়া জ্যাকব ডাফি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে রোস্টন চেজের দলকে গুড়িয়ে দেন মাত্র এই পেসার। এর আগে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টেও পাঁচ উইকেট নেওয়া ডানহাতি এই পেসার মাত্র তৃতীয় টেস্টেই দ্বিতীয় ফাইফার পেলেন।
আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৩২ রান নিয়ে ৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে প্রথম টেস্টের মতো এবার দলের হার ধরতে পারেনি ক্যারিবিয়ান কোনো ব্যাটারই। নিউ জিল্যান্ডের একজন কম বোলারের সুযোগ কাজে লাগানো দূরে থাক, উল্টো নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোঁয়াতে থাকে তারা।
পতনের শুরু হয় দলীয় ৫০ রানে ব্র্যান্ডন কিং ফিরলে। ২২ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার কাটা পড়েন রান আউটে। তৃতীয় উইকেটে হভেম হজ-কিংয়ের ২৫ রানেরই জুটিই ছিল উইন্ডিজদের দ্বিতীয় ইনিংসের সর্বোচ্চ। ডাফি আর অভিষিক্ত মিচেল হে থিুত হওয়ার সুযোগ দেননি কোনো ব্যাটারকেই। দুই ওপেনারের পর দুই অঙ্ক স্পর্শ করেছেন কেবল হজ (৩৫) আর জাস্টিন গ্রিভস (২৫)। ডাফি-হে এর তোপে ৪৬.২ ওভারে শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস।
মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ওয়ানডে গতিতে রান তোলে নিউ জিল্যান্ড। ৯ রান করা অধিনায়ক টম লেথামের উইকেটিই শুধু হারায় স্বাগতিকরা। ডেভন কনওয়ে-কেইন উইলিয়ামসনের ৩১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা। কনওয়ে অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে আর উইলিয়ামসন ১৬।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর মাউন্ট মঙ্গানুইতে হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।

দুজনই বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার— একজন অস্ট্রেলিয়ার দলের মূল ভরসা, অসি পেস আক্রমণের অন্যতম স্তম্ভ। আরেকজন পাকিস্তানের গতি অস্ত্র। বয়স ও অভিজ্ঞতায় পার্থক্য থাকলেও দুজনই নিজ দেশের ক্রিকেটের অমূল্য সম্পদ।
এদের মধ্যে মিচেল স্টার্ক সম্প্রতি অ্যাশেজ সিরিজে গড়েছেন দুর্দান্ত এক রেকর্ড। বাঁ-হাতি পেসারদের মধ্যে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন এই অস্ট্রেলিয়ান। তিনি পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামকে।
স্টার্ককে দেখেই নিজের ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন শাহীন আফ্রিদি। পাকিস্তানি পেসার যখন বয়সভিত্তিক দলে খেলতেন, ঠিক তখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে স্টার্ক। বাঁ-হাতি পেসার হওয়ায় তাঁকে অনুসরণ করতেন শাহীন। আইসিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, স্টার্ক তাঁর ক্রিকেটজীবনের অন্যতম বড় অনুপ্রেরণা।
শাহীন বলেন, “স্টার্ক যখন ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলছিলেন, তখন আমি অনূর্ধ্ব-১৬ দলের খেলোয়াড়। আমি চেষ্টা করতাম তাঁর মতো করে বোলিং করতে এবং সুইং ধরাতে।”
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া স্টার্ক অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে আগুন ঝরা বোলিং উপহার দেন। ৮ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম শিরোপা জয়ে রেখেছিলেন বড় অবদান।
তিনি বলেন, “ওই বিশ্বকাপজুড়ে তিনি (স্টার্ক) ফুলার লেন্থে বল করেছিলেন এবং দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন।”
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি অ্যাশেজেও চমৎকার ফর্মে আছেন ৩৫ বছরের স্টার্ক। প্রথম দুই টেস্টে তার উইকেটসংখ্যা ১৮। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
নিজের পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে স্টার্কের বোলিং মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করেছেন ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা শাহীন। আন্তর্জাতিক ম্যাচে যখনই দুজনের দেখা হয়, স্টার্কের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি।
শাহীন বলেন, “শেষবার যখন আমাদের কথা হয়েছিল, তাকে বলেছিলাম যে আমি তাকে (২০১৫ বিশ্বকাপে) দেখেছিলাম... আর সেই কারণেই আমি ব্যাটারদের সামনে ফুলার লেন্থে বল করি।”
“আমি বলতে পারি, তিনি যেকোনো তরুণ ফাস্ট বোলারের জন্য রোল মডেল… বহু বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার জন্য তিনি সেরাদের একজন।’’—যোগ করেন পাকিস্তানের পেসার।

ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকদের ৫১ রানে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে এখন ১-১ সমতায়।
ভারতের নিউ চন্ডিগড়ে আজ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১৯.১ ওভারে ১৬২ রানে থেমে যায় স্বাগতিকরা।
রান তাড়ায় শুরুতেই ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ভারত। নিজের প্রথম বলেই কাটা পড়েন শুবমান গিল। দ্বিতীয় ওভারে ১৭ রান করা আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মাও ফিরে যান। চতুর্থ ওভারে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
চতুর্থ উইকেটে তিলক ভার্মা ও অক্ষর প্যাটেল মিলে গড়েন ৩৫ রানের জুটি। তবে অক্ষর ২১ রান করে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। ভারতের গত ম্যাচের জয়ের নায়ক হার্দিক পান্ডিয়া মন্থর ইনিংস খেলেন। ২৩ বলে ২০ রান করে আউট হন হার্ডিক।
এরপর ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিলক। এ সময় দারুণ একটি কীর্তি গড়েন তিনি। দুই দেশের মধ্যে কুড়ি কুড়ির প্রতিযোগীতায় সর্বোচ্চ ছক্কার (২৬) মালিক এখন তিলক। জিতেশ শর্মা ১৭ বলে ২৭ রানে ফেরেন। তিলক ৬২ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভার ১ বলে অল আউট হয়ে যায় ভারত।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনড্রিকস ও কুইন্টন ডি কক উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৩৮ রান। এরপর মার্করামকে সঙ্গে নিয়ে দলের শক্ত ভিত গড়ে তোলেন ডি কক। ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে এটি ডি ককের ১২ ইনিংসে পঞ্চম অর্ধশতক। নিকোলাস পুরান ও জস বাটলারের পর ভারতের বিপক্ষে সর্বাধিক হাফ সেঞ্চুরির তালিকায় এখন যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছেন তিনি।
২৬ বলে ২৯ রান করা মার্করাম বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হলে ভাঙে তাদের ৮৩ রানের জুটি। পরে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও আউট হন ডি কক। ৪৬ বলে ৯০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও সাতটি ছক্কা।
শেষ দিকে ডোনোভান ফেরেরা ও ডেভিড মিলারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ২১৩ রানের বড় স্কোর গড়ে প্রোটিয়ারা। ফেরেরা ১৬ বলে ৩০ এবং মিলার ১২ বলে অপরাজিত ২০ রান যোগ করেন।
রবিবার সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে মিরপুর শেরে বাংলায় প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেছে ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। অদম্য ও অপরাজেয়— এ দুই দলের মধ্যে হবে ম্যাচটি।
অদম্য দলকে নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, আর অপারেজয় দলকে টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
কোয়াবের উদ্যোগে আয়োজিত এই ম্যাচে অংশগ্রহণকারী দল দুটিতে সংযোজন ও বিয়োজনের ঘটনা ঘটেছে। অদম্য দলে সৌম্য সরকারের জায়গায় নাঈম শেখকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। অপরাজেয় দল জিসান আলম, এস, এম, মেহেরব অহিন, রাকিবুল হাসান ও রিপন মন্ডলকে অর্ন্তভুক্ত করেছে। নাসুম আহমেদ, মাহমুদুল হাসান জয়, মাহেদী হাসান ও তানজিম হাসান সাকিব ম্যাচটিতে অংশ নেবেন না।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, শান্ত-মিরাজদের এই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস প্রাপ্তির চেষ্টা চলছে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস।
অদম্য দলের কোচ হিসেবে থাকছেন স্থানীয় দেশের স্বনামধন্য কোচ সোহেল ইসলাম। ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকবেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ইশতিয়াক সাদেক। মেন্টরের ভূমিকায় থাকবেন জাতীয় দলের সাবেক অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
অপরাজেয় বাংলার কোচ হিসেবে থাকছেন স্থানীয় কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকছেন ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) সাবেক পরিচালক শেহজাদ মুনিম। মেন্টরের দায়িত্বে থাকবেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
অপরাজেয় দল:
পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলী, শামীম পাটোয়ারি, নাহিদ রানা ও সাকলাইন সজিব, জিসান আলম, এস, এম, মেহেরব অহিন, রাকিবুল হাসান ও রিপন মন্ডল।
অদম্য দল:
মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম শেখ হাবিবুর রহমান সোহান, তানজিদ তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আফিফ হোসেন, আকবর আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, হাসান মাহমুদ, তানভির ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম।

দেখতে দেখতে ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসর। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের পরামর্শক অ্যালেক্স মার্শাল স্পষ্ট করে জানালেন, বিপিএলে থাকবে কড়া নজরদারি, নতুন কাঠামোর ইন্টেগ্রিটি ইউনিট ও আরও পেশাদার মনোভাব।
বৃহস্পতিবার বিসিবির কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সবাই মিলে চেষ্টা করলে বিপিএলকে বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর কাতারে নেওয়া সম্ভব।
মার্শাল মনে করেন, এই টুর্নামেন্ট শুধু তারকাদের আকর্ষণ নয়-বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের উন্নতিরও পথ। সে কারণেই নিষ্কলুষ ও উচ্চমানের একটি টুর্নামেন্টই তার লক্ষ্য।
তিনি জানান, বিপিএলের অতীতের নেতিবাচক ইতিহাস ঠিকই আছে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে তার হাতে এসেছে ৯০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে সাক্ষী ও সন্দেহভাজন- মোট ৬০ জনের নাম রয়েছে। নতুন ইন্টিগ্রিটি টিম নিয়ে তিনি এখন সেটি খতিয়ে দেখছেন।
মার্শালের অভিমত, তদন্ত চলাকালে সন্দেহভাজনের নাম বা অগ্রগতির তথ্য বাহিরে আসা অতীতে বড় সমস্যা ছিল- এবার কঠোরভাবে তা বন্ধ রাখা হবে।
পিএমওএ-তে কঠোর নজরদারি
খেলোয়াড় ও ম্যাচ কর্মকর্তাদের সুরক্ষিত এলাকা প্লেয়ার এন্ড ম্যাচ অফিসিয়াল এরিয়া (পিএমওএ)তে নিয়ম ভঙ্গই ছিল আগের টুর্নামেন্টগুলোতে উদ্বেগের বড় জায়গা। মার্শাল বলেন, গত বছরসহ কয়েক আসরে পিএমওএ থেকে মোবাইল ব্যবহার ও বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। এতে অ্যান্টি করাপশন কোড ভঙ্গের ঝুঁকি তৈরি হয়।
এ বছর তাই পিএমওএতে প্রবেশাধিকার থাকবে কেবল বৈধ অ্যাক্রেডিটেশনধারীদের। কেউ ক্ষমতার জোরে বা পরিচয়ে ঢুকতে পারবেন না। ভেতরে কোনো যোগাযোগের ডিভাইস চলবে না। নিয়ম ভাঙলেই সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার ও পুরো বিপিএলের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল হবে।
দুর্নীতিবিরোধী সন্দেহে রিপোর্টিং বাধ্যতামূলক
মার্শাল মনে করিয়ে দেন, খেলোয়াড়রা কোনো সন্দেহজনক প্রস্তাব পেলে তা সরাসরি ইইন্টেগ্রিটি ইউনিটকে জানাতে হবে- পরিবার, ম্যানেজার বা কাউকে নয়। ম্যাচ চলার সময় ভেতরের তথ্য দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বিশ্বজুড়ে ফিক্সিংয়ের প্রচলিত সব সংকেত- ইচ্ছাকৃত ওয়াইড, ব্যাটের গ্রিপের রং বদলে ইশারা- এসব উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন,
‘বেশির ভাগ সংকেতই আমি জানি। তাই এবার নিয়ম ভাঙলে ছাড় নেই।’
মালিকরাও থাকবেন নজরদারিতে
ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ অনৈতিক মালিকানা- এই প্রসঙ্গ টেনে মার্শাল বলেন, এবার সবাইকে বিশেষ চোখে দেখা হবে—মালিক, তাদের কর্মী থেকে অর্থের উৎস পর্যন্ত।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রত্যেক দলের মালিক, ম্যানেজার, অধিনায়কসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তিনি সরাসরি বৈঠক করবেন। অনাকাঙ্ক্ষিত লোক ঢুকলে পরিণতি কী হবে, তারা পরিষ্কারভাবে জেনে যাবে।
ইন্টেগ্রিটি ইউনিট সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র
নজরদারির স্বচ্ছতা রক্ষায় অ্যান্টি করাপশন ইউনিট সদস্যদের সঙ্গে কোনো মালিকপক্ষের আর্থিক বা ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকবে না- এ কথাও স্পষ্ট করেন মার্শাল। কারণ যারা আজ বন্ধু, কাল প্রয়োজন হলে তাদের বিরুদ্ধেই তদন্ত করতে হতে পারে।
“কেউ পার পেয়ে থাকলে এবার চমকে যাবে”
মার্শালের আশঙ্কা, অতীতে অ্যান্টি করাপশন কোড ভঙ্গ করে পার পাওয়া কিছু ব্যক্তি এবারও চেষ্টা করতে পারে। তবে তিনি জোর দিয়েই জানালেন, এবার কঠোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, আইসিসিও সহযোগিতা করছে। এই বিষয়ে মার্শাল বলেন,
‘কয়েকজনের সামনে অপ্রীতিকর চমক অপেক্ষা করছে।’