২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৪ পিএম

গত কদিন ধরেই ইমরান খানের মৃত্যু নিয়ে সয়লাব সংবাদমাধ্যমগুলো। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানে কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর স্বজন ও দলীয় কর্মীদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্বজনদের দাবি সাবেক এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার আর বেঁচে নেই। আর এই উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান সরকার রাওয়ারপিন্ডিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তাঁর দল একটি বিশাল প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বজন ও সমর্থকদের তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি করে আন্দোলকারীরা।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন জানিয়েছে, পাকিস্তানের ডেপুটি কমিশনার ডঃ হাসান ওয়াকার চিমা-এর অফিস দ্বারা স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, যে ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড (পাঞ্জাব সংশোধনী) আইন, ২০২৪-এর ১৪৪ ধারা ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের জন্য কার্যকর থাকবে। এই আইন অনুসারে পাঁচ বা তার বেশি সংখ্যক মানুষ দ্বারা যেকোনো ধরনের সমাবেশ, জমায়েত, র্যালি, মিছিল, প্রতিবাদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, জেলা ইন্টেলিজেন্স কমিটি (ডিআইসি) বিশেষ গোয়েন্দা তথ্য রিপোর্ট করেছে, যেখানে বলা হয়েছে , ‘কিছু গোষ্ঠী সক্রিয়ভাবে বড় জমায়েত, প্রতিবাদ এবং বিঘ্নসৃষ্টিকারী সমাবেশের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করছে।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অন্যান্য সংবেদনশীল স্থানের কাছে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারে আন্দোনকারীরা, ফলে জনশান্তি ও নিরাপত্তা বিপন্ন হবে।’
আরও পড়ুন
| জমজ বিস্ময়বালকের সঙ্গে চুক্তি করে চমক আর্সেনালের |
|
এদিকে ইমরান খানের জীবন ও স্বাস্থ্যে নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁর পরিবার। বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের পরিবারের শঙ্কায় আছে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ ইমানের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে কিছু লুকাচ্ছে। কারণ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পার হওয়া সত্ত্বেও তার বেঁচে থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদিও গত বুধবার এসব আশঙ্কাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইমরান এখনো (আদিয়ালা) কারাগারেই আছেন, সুস্থও আছেন।
ইমরান খানের ছেলে কাসিম খান রয়টার্সকে বলেছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে খানের সঙ্গে কোনো সরাসরি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, যদিও সাপ্তাহিক সাক্ষাতের জন্য আদালতের নির্দেশ জারি আছে। তিনি লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘আপনার বাবা নিরাপদ আছেন, আহত আছেন নাকি বেঁচে আছেন এটা জানতে না পারা এক ধরনের মানসিক যন্ত্রণা।’
পরিবার থেকে ইমারানের ব্যক্তিগত চিকিৎসককে তাঁর দেখাশোনার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করেছে, তবে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসককে তাকে পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়নি বলে জানান কাসিম খান।
৭২ বছর বয়সী ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে কারাবন্দী আছেন। ২০২২ সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। তার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়েছে এবং কয়েকটি মালায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা পেয়েছেন। যদিও ইমরান দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া সব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
No posts available.
২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:১২ এম
১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম
১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:৫২ পিএম

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মিনি অকশনে নিবন্ধনের জন্য এক হাজারেরও বেশি খেলোয়াড় নাম লিখেছেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নিলামে আছেন বাংলাদেশের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইপিএলে ৯ মৌসুম খেলা সাকিবের ভিত্তিমূল্য ১ কোটি ভারতীয় রুপি। আর শীর্ষ বিদেশি খেলোয়াড়দের ক্যাটাগরিতে আছেন মুস্তাফিজ। এই পেসারের ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপি।
একদিনের মিনি অকশনে ১৩৫৫ জন খেলোয়াড়ের নাম উঠবে। ১৩ পৃষ্ঠার এই নথিতে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বহু শীর্ষ ক্রিকেটারের নাম আছে।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন গ্রিন, ম্যাথিউ শর্ট ও স্টিভ স্মিথ আলোচনায় থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম। এমনকি জশ ইংলিসও নাম লিখিয়েছেন, যদিও বিয়ের কারণে তাঁর অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তালিকায় ইংল্যান্ডের জেমি স্মিথ ও জনি বেয়ারস্টো, নিউ জিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র, শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মাথিশা পাঠিরানার মতো তারকারাও আছেন।
তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, আইপিএল ২০২৫-এর আগে পাঞ্জাব কিংস কর্তৃক রিলিজ হওয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের নাম তালিকায় নেই।
আরও পড়ুন
| হোম ওয়ার্ক করেই নাঈম শেখকে নিয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস |
|
ভারতীয়দের মধ্যে মায়াঙ্ক আগরওয়াল, কে. এস. ভারত, রাহুল চাহার, রবি বিষ্ণোই, আকাশ দীপ, দীপক হুডা, ভেঙ্কটেশ আয়ার, সরফরাজ খান, শিভম মাভি, নবদীপ সাইনি, চেতন সাকারিয়া, কুলদীপ সেন, পৃথ্বী শ, রাহুল ত্রিপাঠী, সন্দীপ ওয়ারিয়ার এবং উমেশ যাদব তালিকার শীর্ষে রয়েছেন।
মাত্র দুই ভারতীয়—রবি বিষ্ণোই ও ভেঙ্কটেশ আয়ার—সর্বোচ্চ ভিত্তি মূল্য ২ কোটি রুপিতে নাম তুলেছেন। মুস্তাফিজের সঙ্গে ৪৩ জন বিদেশি ক্রিকেটার এই ২ কোটি রুপি শ্রেণিতে আছেন—গ্রিন, স্টিভ স্মিথ, জেমি স্মিথ, মুজিব উর রহমান, নাভিন-উল-হক, শন অ্যাবট, অ্যাশটন আগার, কুপার কনোলি, জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, ইংলিস, মুস্তাফিজুর রহমান, গাস অ্যাটকিনসন, টম ব্যান্টন, টম কারান, লিয়াম ডসন, বেন ডাকেট, ড্যানিয়েল লরেন্স, লিয়াম লিভিংস্টোন, ড্যারিল মিচেল, রাচিন রবীন্দ্র, মাইকেল ব্রেসওয়েল, জেরাল্ড কোৎসি, লুঙ্গি এনগিদি, এনরিখ নরকিয়া, পাঠিরানা, মাহিশ থিকশানা ও হাসারাঙ্গা।
১৫ নভেম্বর পর্যন্ত রিটেনশন প্রক্রিয়া শেষে আইপিএলের ১০টি দল মিলিয়ে মোট ২৩৭.৫৫ কোটি রুপি খরচের সুযোগ নিয়ে নিলামে নামছে। ১৪টি দেশের ক্রিকেটাররা এবারের নিলামে থাকছেন।

ব্রিজবেনে বৃহস্পতিবার অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে ইংলিশ ব্যাটার জো রুট বলেছিলেন, ‘‘টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্যের সঙ্গে পিঙ্ক বল যায় না।” অ্যাশেজে গোলাপি বলের ম্যাচের গুরুত্ব দেখেন না তিনি। রুটের কথার ৪৮ ঘণ্টা পেরোতেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ট্রাভিস হেড।
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে পার্থে ৮৩ বলে ১২৩ রানের ইনিংস খেলে দুই দিনেই দলকে জয় এনে দেওয়া হেড বলেছেন,
“আমরা এই টেস্টকে সানন্দে স্বাগত জানিয়েছি। সত্যি বলতে, গোলাপি, সাদা, লাল বল—এতে কিছু আসে যায়? গোলাপি বলের টেস্ট দেখতে নিঃসন্দেহে ভালো লাগে। প্রচুর মানুষ মাঠে আসে। জিতলে খুব ভালো লাগবে। হারলে লাগবে না। দু’দলেরই আলাদা মতামত থাকতে পারে। তবে খেলাটার জন্য দিবা-রাত্রির টেস্ট খুব ভালো।”
এই মন্তব্যের পর অবশ্য ইংল্যান্ড পেসার ব্রাইডন কার্স জানিয়েছেন, তারা প্রস্তুত হেডকে থামাতে। গ্যাবায় দিবা-রাত্রির ম্যাচে যদি হেড ওপেন করেন, তাহলে তাকে থামানোর পথ জানা আছে ইংলিশদের, জানিয়েছেন কার্স।
তিনি বলেছেন,
“আমার মনে হয়, মানসম্পন্ন একজন ক্রিকেটারের অসাধারণ এক ইনিংস ছিল সেটি। যদি সে আবার ইনিংস শুরু করে, তাহলে আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে যা আমরা কাজে লাগাব।”
এর আগে রুট বলেছিলেন,
“ব্যক্তিগতভাবে পিঙ্ক বলের টেস্ট আমার পছন্দ নয়। জানি, খেলাটা মশলাদার হয়। অস্ট্রেলিয়ায় দিন-রাতের টেস্ট সফল এবং জনপ্রিয়। অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ডও ভালো। বুঝতেই পারছেন কেন আমরা এই টেস্ট খেলছি। দু’বছর পরেও হয়তো দিন-রাতের টেস্ট থাকবে। এখন এটা টেস্ট ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছে। তবে এ ধরনের সিরিজে কি এই টেস্ট দরকার?”

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সর্বশেষ আসরে রিশব পন্ট এবং শ্রেয়াস আইয়ারকে পেতে ফ্রাঞ্চাইজিদের মধ্যে কী লড়াই-না করতে হয়েছে। নিলাম ঘরে পাঞ্জাব কিংস ২৬ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কিনেছে শুনে লখনৌ সুপার জায়ান্টস রিশব পন্টকে কিনেছে তার চেয়ে এক কোটি বেশি রুপি দিয়ে! সেই সঙ্গে সঙ্গে ২৭ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়ে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারের রেকর্ডটা করেছেন রিশব পন্ট। অথচ কী জানেন, আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি এই ক্রিকেটার সে বছর লখনৌ সুপার জায়ান্টস ফ্রাঞ্চাইজিদের হতাশ করেছেন। ২৪.৪৫ গড়ে, ১৩৩.১৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন আইপিএলের ওই সংস্করনে ২৬৯ রান।
২০২৩ সালে পাঞ্জাব কিংসে ১৮ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়ে আইপিএলের সেই আসরে পেয়েছেন সাম কারান মাত্র ১০ উইকেট। সে বছর সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়ে প্যাট কামিন্স সানরাইজার্স হায়দারাবাদ বোলারদের মধ্যে উইকেট শিকার সংখ্যায় ছিলেন চতুর্থ। ২০২৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সে সর্বোচ্চ ২৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েও দলের মধ্যে সেরা বোলার হতে পারেননি মিচেল স্টার্ক।
আইপিএলের নিলাম ঘরে এভাবেই হু হু করে বাড়ে কারো কারো দর। আবার ২০১৬ সালে মাত্র ২ কোটি রুপিতে সানরাইজার্স হায়দারাবাদে বিক্রি হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ১৭ উইকেট পেয়ে দলকে দিতে পারেন শিরোপার স্বাদ।
শুধু আইপিএল কেনো, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০'র অভিষেক আসরে নিলাম ঘরে ঝড় তুলে ৭ লাখ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়ে ২ ম্যাচে করেছেন মাত্র ২৭ রান, পেয়েছেন ৪ উইকেট।
এক যুগ পর বিপিএলে নিলামে খেলোয়াড় কেনার প্রতিযোগিতায় এবার নাঈম শেখের বিক্রির অঙ্ক ১ কোটি ১০ লাখ টাকা, এই খবরটাও জন্ম দিয়েছে বিস্ময়ের। 'এ' ক্যাটাগরির ক্রিকেটার হিসেবে নিলামে উঠে সিলেট-চট্টগ্রামের লড়াইয়ে ৫০ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্য থেকে ডাক শুরু হয়ে তা থেমেছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায়। যেখানে নিলামে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন দাসকে রংপুর রাইডার্স কিনেছে ৭৫ লাখ রুপিতে, সেখানে নিলামের শুরুতে চট্টগ্রাম কিংস এতো দামে নাঈম শেখকে কেনো কিনলো ? এটাই প্রশ্ন।
৩৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৩.৮৮ গড় এবং ১০২.২৫ স্ট্রাইক রেটে ৮৬০ রান করা নাঈম শেখকে এখন জাতীয় দলে ব্রাত্য। ২০২১ সালের পর নির্বাচকদের নজরের বাইরে থাকা এই টপ অর্ডার গত ৪ বছরে খেলেছেন মাত্র ৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। বিপিএলেও তার রেকর্ড নিয়ে অতোটা উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছুই নয়। ৬৪ ম্যাচে ২৬.৯৪ গড় এবং ১১৯.৫৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৫০৯ রান। তাহলে তো বলাই যায়, হোম ওয়ার্ক করেই চট্টগ্রাম রয়্যালস নিয়েছে নাঈম শেখকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হারিয়ে যাওয়া নাঈম শেখ নিজেও নিলামে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় বিস্মিত। গণমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন-
‘সত্যি বলতে কী, আমাকে নিয়ে তিনটা দলের আগ্রহের কথা শুনেছিলাম। তাই বিশ্বাস ছিল, আনসোল্ড হব না। বেস প্রাইসে বিক্রি হলেও খুশি থাকতাম। তবে এত ওপরে উঠব, প্রথম কলের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় হব—এটা ভাবিনি।’
সিলেটে জাতীয় লিগে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগের হয়ে চারদিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বিকেল পৌনে ৫টায় যখন নিলাম শুরু হয়, শুরুতেই ওঠে নাঈম শেখের নাম, তখন টিমমেটদের সাথে টিম বাসে করে টিম হোটেলে ফিরছিলেন নাঈম শেখ। প্রথম ইনিংসে ৮ রান করার পর মন ভাল থাকার কথা নয়, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানে ব্যাটিংয়ে থেকে বড় সংগ্রহের কথা যখন ভাবছেন, তখন টিমমেটদের মুখে শুনলেন ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। গণমাধ্যমকে সেই মুহুর্তের কথাই শুনিয়েছেন-
‘এনসিএল চলছে, তাই সবাই ফোনে নিলাম দেখছিল। আমরা মাঠ থেকে বাসে করে ফিরছিলাম, তখনই আমার নাম আসে। সবাই হঠাৎ চিৎকার দিয়ে ওঠে, উদযাপন শুরু হয়। খুব মজার এবং আবেগের মুহূর্ত ছিল।’
নাঈম শেখকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় চট্টগ্রাম রয়্যালসের কেনার পেছনে অবশ্য যুক্তি আছে। বিপিএলের সর্বশেষ আসরে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক কিন্তু নাঈম শেখ। খুলনা টাইগার্সের জার্সিতে সেই আসরে ৪২.৫৮ গড়ে এবং ১৪৩.৯৪ স্ট্রাইক রেটে ১ সেঞ্চুরি, ৩ ফিফটিতে করেছিলেন তিনি ৫১১ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আশাহীন গন্তব্য ধরে নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ৫০ ওভারের ম্যাচের আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন এবং ২০ ওভারের আসর বিপিএলে সেরাটা নিংড়ে দিতে অভ্যস্ত নাঈম শেখের এখন লক্ষ্য একটাই, ফ্রাঞ্চাইজির আস্থার প্রতিদান দেওয়া-
‘যারা আমাকে বিড করেছে, তাদের ধন্যবাদ আমাকে বিশ্বাস করার জন্য। লক্ষ্য সবসময়ই থাকে দলের হয়ে সেরাটা দেওয়া। রানের দিক থেকে সেরা দশে বা পাঁচে থাকার চেষ্টা করি, ডোমিনেট করতে চাই সব সময়।’
সর্বশেষ বিপিএলে পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফেরাটা সুখকর হয়নি নাঈম শেখের। ৩২*, ৩, ১০-এই তিনটি ইনিংসের পর জাতীয় দল থেকে পড়েছেন বাদ। বিপিএলের পর পর বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন। বিপিএলে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারলে বড় মঞ্চে ফেরার সুযোগটা তো থাকছে, এটা মাথায় রেখেই বিপিএলে খেলতে চান নাঈম শেখ।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কারাবন্দি ইমরান খানের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবার। তাঁর পুত্র কাসিম খান অভিযোগ করেছেন, কর্তৃপক্ষ তাঁর বাবার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিষয়ে ‘কিছু অপরিবর্তনযোগ্য’ (মৃত্যুর আশঙ্কা) তথ্য গোপন করছে। দ্য ডনের প্রতিবেদন।
ইমরান খানের বোনেরা ও তাঁর রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকেরা আদিয়ালা জেলের বাইরে ধর্মঘট ও মানববন্ধন করে চলেছেন। পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পরিবারের সদস্যদের ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
কাসিম রয়টার্সকে লিখিত বক্তব্যে বলেন,
‘আমার বাবা নিরাপদ আছে, আহত হয়েছে কি না বা জীবিত আছে কিনা না জানাটা মানসিক নির্যাতনের একটি রূপ। আমরা কয়েক মাস ধরে স্বাধীনভাবে কোনো যাচাই করার মতো যোগাযোগ পাইনি তার।’
কাসিমের আশঙ্কা,
‘আজ আমাদের কাছে তার অবস্থার কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যই নেই। আমাদের সবচেয়ে বড় ভয় হলো, আমাদের কাছ থেকে কিছু অনল্টারেবল তথ্য গোপন করা হচ্ছে।’
পরিবার বারবার ইমরানের ব্যক্তিগত চিকিৎসককে দেখা করার সুযোগ চেয়েছে, কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে তা অনুমোদিত হয়নি। এক জেল কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইমরান সুস্থ আছেন এবং উচ্চ নিরাপত্তার প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা নেই।
৭২ বছর বয়সী ইমরান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে জেলে আছেন। তাঁর প্রথম রায় ছিল তোশাখানা মামলায়, যেখানে অভিযোগ ছিল সরকারি উপহার অবৈধভাবে বিক্রি করা। পরে আরও মামলায় দীর্ঘ কারাদণ্ড দেন আদালত, যার মধ্যে সাইফার কেসে ১০ বছর, আল কাদির ট্রাস্ট কেসে ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
পিটিআই দাবি করেছে, মামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল ইমরানকে রাজনৈতিক জীবনের বাইরে রাখা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে হটানো। ইমরানের নেতৃত্বে ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান।
ইমরান পুত্র কাসিম বলেন,
‘এই বিচ্ছিন্নতা ইচ্ছাকৃত। তারা তারকাকে ভয় পাচ্ছে। তিনি পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, এবং তারা জানে যে তারা তাকে গণতান্ত্রিকভাবে পরাস্ত করতে পারবে না।’
লন্ডনে মা জেমিমা গোল্ডস্মিথের সঙ্গে বসবাসরত কাসিম ও তাঁর বড় ভাই সুলাইমান ইসা খান সাধারণত পাকিস্তানের রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত নন। তাঁরা বাবার কারাবাসের বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেন। কাসিম বলেন,
‘আমরা শেষবার বাবা দেখেছি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে, যখন তিনি হত্যাচেষ্টার পর বেঁচে ছিলেন। সেই ছবি মনে আজও বেঁচে আছে। এখন সপ্তাহের পর সপ্তাহ চুপচাপ থাকা এবং জীবনের প্রমাণ না পাওয়া সেই স্মৃতিটিকে অন্য মানে দিয়েছে।’
পরিবার আদালত-নির্ধারিত দেখার সুযোগ পুনরায় নিশ্চিত করার জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কাছে আবেদন করছেন। কাসিম বলেন,
‘এটি শুধু রাজনৈতিক বিরোধ নয়। এটি একটি মানবাধিকারের জরুরি অবস্থা। চাপ আসা উচিত সব দিক থেকে। আমরা বাবার কাছ থেকে শক্তি পাই, কিন্তু আমাদের জানতে হবে তিনি নিরাপদ কি না।’
মা জেমিমা আরও উল্লেখ করেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফের এক সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে, যেখানে তিনি বলেন, ইমরানের ছেলেরা বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারবে। জেমিমা বলেন, ‘তারা ফোনে কথা বলতে পর্যন্ত পারছে না। কেউ পারছে না।’
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন ইমরানের কারাবাস পরিস্থিতি এবং পরিবারের বা আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের বারবার অস্বীকৃতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কমিটি বলেছেন,
‘প্রধান পরিবারের বা আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়মিত ও বাধাহীন যোগাযোগ একটি মৌলিক সুরক্ষা ব্যবস্থা। তা না পাওয়া অনির্দিষ্ট সময় ধরে বন্দী রাখার ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে।’
মানবাধিকার কমিশন ফেডারেল সরকার ও পাঞ্জাব হোম ডিপার্টমেন্টকে আহ্বান করেছে,
‘সব প্রক্রিয়া সংবিধানিক সুবিচার ও আন্তর্জাতিক মানবিক মানদণ্ডের সঙ্গে মিলিয়ে পরিচালনা করা হোক।’

ক্রিকেট স্কটল্যান্ড পুরুষ দলের জন্য নতুন প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ওয়েন ডকিনসকে। ৪৬ বছর বয়সী এই ইংলিশ কোচ ২০০৬ সাল থেকে গ্লুচেস্টারশায়ারের ফুলটাইম কোচ হিসেবে কাজ করছেন। অতীতে পরামর্শক হিসেবেও স্কটল্যান্ড দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
ডকিন্সের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পাবেন স্কটল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক গর্ডন ড্রামন্ড। তিনি এর আগে বোর্ডের হেড অব পারফরম্যান্স হিসেবে কাজ করছিলেন।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে উচ্ছ্বসিত ডকিনস,
‘নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করা অসাধারণ এক সুযোগ। কোচিং দল হিসেবে আমরা কঠোর পরিশ্রম করবো, যাতে খেলোয়াড়েরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারে এবং দেশকে গর্বিত করতে পারে।’
দলে অভিজ্ঞতা ও নতুন প্রতিভার মিশ্রণ নিয়ে আশাবাদী ডকিনস। তাঁর ভাষায়,
‘আমাদের দলে এমন কিছু অভিজ্ঞ, সফল ক্রিকেটার আছে যারা এ স্তরে সফল হওয়ার পথ জানে। পাশাপাশি আছে একদল তরুণ খেলোয়াড়, যাদের যাত্রা কেবল শুরু। সবাইকে একসঙ্গে টেনে নিয়ে যাওয়াটাই মূল লক্ষ্য—তবেই আমরা আমাদের সামর্থ্যের জায়গায় পৌঁছাতে পারব।’
দলের পরিসর বাড়াতেও মনোযোগী এই নতুন কোচিং প্যানেল। ডকিনস বলেন,
‘আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি বড় প্রতিভার ভাণ্ডার তৈরি করতে—যা বর্তমান দলকে নিয়মিত চ্যালেঞ্জ করবে এবং উপরে তুলবে। এটি এক দুর্দান্ত যাত্রার শুরু। দ্রুতই দলের সঙ্গে কাজ শুরু করার জন্য মুখিয়ে আছি।’
গত সেপ্টেম্বর ডগ ওয়াটসনের বিদায়ের পর থেকেই নতুন কোচ খুঁজছিল স্কটল্যান্ড। দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন ওয়াটসন, তবে একই সঙ্গে নিজ দেশে অন্যান্য কোচিং দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন তিনি। জুলাইয়ে জার্সি ও ইতালির কাছে হেরে স্কটল্যান্ড ২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে না–পারায় দলের পারফরম্যান্সও ছিল সমালোচনার মুখে।