
আজ গ্যাবায় একটি দৃশ্যকে অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের করুণ দশার প্রতীকি বলতে পারেন কেউ। প্রায়ই মাঠে অদ্ভুত কিছু দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন ক্যামেরাপার্সনরা। অ্যাশেজে এমন অনেক চমকপ্রদ ছবি আলোচনায় এসেছে আগেও। এই যেমন ব্রেট লি’কে অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফফের সান্ত্বনা, শেন ওয়ার্নের বেলকনি নাচ সহ এমন অনেক মূহূর্ত স্বরণীয় হয়ে আছে। চলতি অ্যাশেজে এবার আরেকটি মজার দৃশ্য দেখা গেল। আর এই দৃশ্যের সঙ্গে চাইলে অনেকে এবারের অ্যাশেজে বিপর্যস্ত ইংল্যান্ডের মিল খুঁজে পেতে পারেন।
দিবারাত্রির ব্রিসবেন টেস্টে আজ ৬ উইকেটে ৩৭৮ রান নিয়ে দিন শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বড় লিড নিয়ে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের ছয়টি উইকেটও তুলে নিয়েছে স্টিভেন স্মিথের দল। তৃতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের ইনিংস হার এড়াতে এখনো প্রয়োজন ৪৩ রান। এরমধ্যে ইংলিশ পেসার জফরা আর্চার অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়ে আলোচনায় এলেন। গ্যাবায় আজ একটি বালিশ নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেখা যায় ইংলিশ গতি তারকাকে।
দিনের শুরুতে ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার আর্চার হয়তো ভেবেছিলেন যে অজিদের লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের দ্রুতই ফিরিয়ে দলকে সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে যাবেন। তাতে হয়তো নির্ভার মনে হচ্ছিল ইংলিশ গতি তারকাকে। তবে তাকে ভুল প্রমাণ করে অস্ট্রেলিয়ার লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারা দলকে এনে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ লিড।
আর্চারের বালিশ নিয়ে হেঁটে যাওয়া এই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন এই ছবি তাঁর উদাসীন মনোভাবেরই পরিচয় দিচ্ছে। বল হাতেও ভালো করতে পারেননি এই গতি তারকা। ২৫ ওভারে ৮৭ রান দিয়েন মাত্র একটি উইকেট নিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন এই বালিশ কাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেন। এ তালিকায় আছে ম্যাথু হেডেনও। তাঁর দৃষ্টিতে একজন খেলোয়াড়কে বালিশ নিয়ে মাঠে আসা দেখাটা চরম আশ্চর্যের বিষয়, এবং ব্যাটারদের উচিত এমন উদাসীন মনোভাবকে কাজে লাগানো।
আর মাইকেল ভন বলছেন, দুঃখিত, এটা সত্যিই অদ্ভুত দেখাচ্ছে। যদি আমি ব্যাটার হতাম, আমি বলছি কী করব—এটার সুযোগ নিয়ে সরাসরি মন দিয়ে খেলা শুরু করব। সারাজীবন ধরে।’
তিনি আরও যোগ করেন,
‘একজন ব্যাটার হিসেবে ঠিক এমন মনোভাবই দরকার। আপনি তখন ভাববেন, “তুমি কখনও ওই বালিশে ঘুমাতে পারবে না”—এটাই হবে ব্যাটারদের জন্য সুযোগ।’
পুরো ইংল্যান্ড দলের মাঠের শরীরি ভাষারও সমালোচনা করেন ভন। তাঁর মতে স্টোকদের ক্লান্ত-বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল,
‘আমি পুরোপুরি ভিন্নভাবে কাজ করতাম। আজ এমন এক দলকে দেখছি, যাদের দেখে ক্লান্ত ও উদাসীন মনে হচ্ছিল। সুযোগ নেওয়ার কৌশল হল মনোযোগ। আপনি যদি নিয়মিত বাইরে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীল না করেন, তবে যখন সুযোগ আসে, আপনাকে পুরো মনোযোগ দিয়ে তা নিতে হবে। তার জন্য একমাত্র উপায় হলো মস্তিষ্কের যথাযথ অনুশীলন।’
No posts available.
৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:০৮ পিএম
৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম

ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ‘বাজবল’ ক্রিকেট নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন অস্ট্রেলিয়ার ধারাভাষ্যকার জিম ম্যাক্সওয়েল।
‘বাজবল? এটা আসলে বাজে কথা’—এমন মন্তব্য করার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে, পরে বাধ্য হয়েই ক্ষমা চান অভিজ্ঞ এই ধারাভাষ্যকার।
বাজবল নামটি এসেছে ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ডাকনাম ‘বাজ’ থেকে। তাঁর অধীনে ইংল্যান্ড বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে চরম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে। এই দর্শন নিয়েই বিশ্বজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। সেই বিতর্কে এবার নতুন মাত্রা যোগ করলেন ম্যাক্সওয়েল।
বিবিসির টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল কমেন্ট্রি বক্সে এ মন্তব্যের পর মুহূর্তেই স্তব্ধতা নেমে আসে। সহধারাভাষ্যকার অ্যাডাম ব্ল্যাকমোর এক টুইটে ঘটনাটি উল্লেখ করে লেখেন, ‘অদ্বিতীয় জিম ম্যাক্সওয়েল! বাজবল? আসলে বাজে কথা!’ মন্তব্যের পর বাকিরা হাসলেও বিষয়টি দ্রুত আলোচনায় উঠে আসে।
আরও পড়ুন
| টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বড় ধাক্কা খেল দক্ষিণ আফ্রিকা |
|
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে ম্যাক্সওয়েলের খোলামেলা মন্তব্যকে প্রশংসা করেন, কেউ কেউ আবার সমালোচনাও করেন। পরে ম্যাক্সওয়েল নিজেই স্বীকার করেন, মন্তব্যটি অপ্রত্যাশিত ছিল এবং তা ভুলভাবে গ্রহণ করা হতে পারে—এ কারণেই তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
চার দশকের বেশি সময় ধরে ক্রিকেট ধারাভাষ্য দিচ্ছেন ম্যাক্সওয়েল। ১৯৮৩ সাল থেকে বিবিসির টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল দলের নিয়মিত সদস্য তিনি। লাকনিক স্টাইল, স্বকীয় রসবোধ ও নিখুঁত ক্রিকেটবোধ তাঁকে বিশ্বের সেরা ধারাভাষ্যকারে পরিণত করেছে।
ক্রিকেট ছাড়াও রাগবি লিগ-ইউনিয়ন, গলফ, হকি ও টেবিল টেনিসের ধারাভাষ্য দিয়েছেন তিনি ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে। ২০২১ সালে সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের জন্য পান ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’।
ব্যক্তিগত জীবনেও ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গভীর। ২০১৩ অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্ট চলাকালে গ্যালারিতে বসেই প্রেমিকা জেনিফারকে প্রস্তাব দেন ম্যাক্সওয়েল। পরে তাঁদের বিয়ে হয় সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই।

বিশাখাপত্তনমে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আজ মাঠে নেমেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ৯ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। তার আগে বড় ধাক্কা খেল প্রোটিয়ারা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ঘোষিত দল থেকে ছিটকে গেছেন ব্যাটার টনি ডি জরজি ও পেসার কুয়েনা মাফাকা।
জরজি ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সময় ডানপায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান অনুভব করেন। এরপর আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি, ৪৫তম ওভারের সময় ১৭ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। চোটের কারণে আজ সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডের দলেও নেই বামহাতি এই ব্যাটার।
পুনর্বাসনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যাবেন জরজি। টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর পরিবর্তে কোন খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিকে টি-টোয়েন্টি দল থেকে ছিটকে পড়েছেন পেসার কুয়েনা মাফাকা। বামপায়ের হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে পুনর্বাসনে ছিলেন তিনি। তবে শেষ ধাপে প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হওয়ায় দল থেকে ছিটকে গেলেন তিনি। তাঁর জায়গায় দলে যুক্ত হয়েছেন পেসার লুথো সিপামলা।
দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি দল:
এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ওটনিল বার্টম্যান, করবিন বোশ, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, কুইন্টন ডি কক, ডোনোভ্যান ফেরেইরা, রিজা হেনড্রিক্স, মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ, জর্জ লিন্ডে, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিডি, আনরিখ নরকিয়া ও ট্রিস্টান স্টাবস, লুথো সিপামলা।

জ্যাক ওয়েদারাল্ড ৭২, মার্নাস লাবুশেন ৬৫, স্টিভ স্মিথ ৬১, অ্যালেক্স কেয়ারি ৬১ ও মিচেল স্টার্ক ৭৭- অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ব্যাটার ৬০ পেরোলেও আউট হয়ে গেছেন ৮০ রানের আগেই। যা ফিরিয়ে এনেছে প্রায় একশ বছর আগের কীর্তি।
ব্রিসবেনে দিবারাত্রির টেস্টের তৃতীয় দিন শনিবার নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫১১ রানে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের ৩৩৪ রানের জবাবে তারা পেয়েছে ১৮৩ রানের বেশ বড় লিড।
পাঁচশ ছাড়ানো ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ১১ ব্যাটারের সবাই দুই অঙ্ক স্পর্শ করেছেন। গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্টে যা বিশ্ব রেকর্ড। দিবা-রাত্রির টেস্টে আর কোনো দল এর আগে পারেনি এমন কিছু করতে।
এই বিশ্ব রেকর্ডটি গড়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯৭ বছরের পুরোনো কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ডারবানে ১৯২৮ সালের জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ ব্যাটার- হার্বি টেলর (৬০), জন নিকোলসন (৭৮), বব ক্যাটেরাল ৭৬), নামি ডিন (৭৩) ও বাস্টার নুপেন (৬৯) ৬০ পেরিয়েও ৮০ রানের আগে আউট হয়ে যান।
এবার একই পথে হাঁটল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৬০ পেরিয়েও ৮০ রানের আগে আউট হয়ে যান ওয়েদারাল্ড, লাবুশেন ও স্মিথ। পরদিন তাদের সঙ্গী হন কেয়ারি ও স্টার্ক।
দিনের শুরুতে কেয়ারি ফেরার পর মাইকেল নেসারও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এরপর স্কট বোল্যান্ডকে নিয়ে ১৬৪ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন স্টার্ক। ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি করে স্টার্কের বিদায়ের পর বোল্যান্ড ও ব্রেন্ডন ডগেট মিলে অস্ট্রেলিয়াকে ৫০০ পার করান।
অস্ট্রেলিয়ার ১১ ব্যাটারের সবাই দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন। অ্যাশেজের ইতিহাসে তৃতীয় ঘটনা এটি। আগের দুবারই করেছিল ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ব্রাইডন কার্স ৪ ও বেন স্টোকস নেন ৩ উইকেট।

দীর্ঘ ২৫ মাস ও ২০ ম্যাচ- রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল যা করতে পারেননি, সেটিই করে দেখলানে লোকেশ রাহুল। অবশেষে ভারতের হয়ে ওয়ানডেতে টস জিতলেন অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটার।
২০২৩ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনাল ম্যাচের পর ওয়ানডেতে টস জিততেই যেন ভুলে গিয়েছিল ভারত। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২০ ম্যাচের অপেক্ষা ঘোচালেন রাহুল।
বিশাখাপত্তমে শনিবার স্বাগতিক দল হিসেবে কয়েন ছুঁড়ে মারেন রাহুল। হেডস ডাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তবে কয়েনে ওঠে টেলস। টস জিতে আগে বোলিং নেন রাহুল।
আরও পড়ুন
| গ্রিভসের ডাবল সেঞ্চুরি, বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
|
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে একটি করে জিতেছে দুই দল। তাই শেষ ম্যাচটি দুই দলের জন্য এখন সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ।
ভারত একাদশ: যশস্বী জয়সওয়াল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রুতুরাজ গাইকদ, লোকেশ রাহুল, তিলক বর্মা, রবীন্দ্র জাদেজা, হর্ষিত রানা, কুলদিপ যাদব, আর্শদিপ সিং, প্রসিধ কৃষ্ণা।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: রায়ান রিকেলটন, কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা, ম্যাথু ব্রিটস্কি, এইডেন মার্করাম, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, মার্কো ইয়ানসেন, করবিন বশ, কেশব মহারাজ, লুঙ্গি এনগিডি, ওটনিল বার্টম্যান।

বৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা নিরাপত্তা শঙ্কায় ম্যাচের ভেন্যু বদলে যাওয়ার ঘটনা দেখা যায় প্রায় সময়। তবে এবার নতুন ঘটনার জন্ম দিলো ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ফাইভ স্টার হোটেলে পর্যাপ্ত রুম না থাকায় বদলে ফেলা হয়েছে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির ভেন্যু।
সুপার লিগ পর্বসহ সৈয়দ মুশতাক আলি টি–টোয়েন্টির ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ইনদোরে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শেষ মুহূর্তে তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পুনেতে। বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া।
টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের খেলাগুলো চলছে হায়দরাবাদ, লখনৌ, আহমেদাবাদ ও কলকাতায়। আগামী ১২ ডিসেম্বর শুরু হওয়ার কথা সুপার লিগ। আর ফাইনাল হওয়ার কথা ১৮ ডিসেম্বর। এই সব ম্যাচই আগে নির্ধারিত ছিল ইনদোরে।
আরও পড়ুন
| সমস্যার নাম শিশির, সময়ই বদলে ফেলতে চান ভারতের কোচ |
|
তবে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমপিসিএ) জানিয়েছে, ওই সময় শহরে পর্যাপ্ত হোটেল রুম পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একই সপ্তাহে একাধিক বিয়ে, পাশাপাশি ১৩ থেকে ১৬ ডিসেম্বর একটি চিকিৎসক সম্মেলন থাকায় পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে জায়গা পাওয়া যায়নি।
সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির সুপার লিগের আট দল, বিশাল সাপোর্ট স্টাফ ও সম্প্রচার টিম- সব মিলিয়ে বড় সংখ্যক মানুষের থাকার ব্যবস্থাই প্রধান সংকট হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণেই সুপার লিগ পুনেতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
প্রতিটি এলিট গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল করে সুপার লিগে উঠবে আট দল। দুই গ্রুপের সেরা দুই দল পাবে ফাইনালের টিকেট। বদলে যাওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন ম্যাচগুলো হবে পুনের গাহুঞ্জে স্টেডিয়াম ও পুরোনো এমসিএ গ্রাউন্ডে।