জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরিতে ঢাকা মেট্রোকে বড় সংগ্রহ এনে দেন সাদমান ইসলাম। বরিশালের বিপক্ষে এরপর বাকি কাজ সারেন বোলাররা। তাতে ৯৬ রানের বড় জয় পায় ঢাকা মহানগর।
‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ হিসেবে পরিচিত সাদমান আজ ৫৪ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তাঁর এই প্রথম সেঞ্চুরিতে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা মহানগর আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৭ রান করে। বড় লক্ষ্য তাড়ায় ১৭.৫ ওভারে ১০১ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল।
এই জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে উঠে এসেছে ঢাকা মহানগর। ৬ ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট পাওয়া বরিশাল ৮ দলের মধ্যে সবার শেষে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তালিকার শীর্ষে ঢাকা বিভাগ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা মহানগর। মাহফিজুল ইসলাম রবিনকে নিয়ে ১৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন সাদমান।
৪৯ বলে ৭৯ করা মাহফিজুল ইসালামের উইকেট পতনের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। ৬১ বলে ১০১ রানের দারুণ এই ইনিংসের শেষ হয় ইফতিখার হোসেনের বলে শেখ অন্তরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এই ওপেনারের ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ও ১১টি চার।
এনসিএল টি–টোয়েন্টির দুই আসর মিলিয়ে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। আগের দুটি এনামুল হকের ১০১ (খুলনার হয়ে ঢাকার বিপক্ষে) ও জিশান আলমের ১০০ (সিলেটের হয়ে ঢাকার বিপক্ষে)। দুটিই গত আসরের।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করা তৃতীয় ব্যাটার সাদমান। টুর্নামেন্টের গত আসরে তিন অঙ্কের দেখা পান জিসান আলম ও এনামুল হক বিজয়। আর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে শতরানের স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশের ১৪তম ব্যাটার তিনি। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে এই জুটি ভাঙেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ জুটি।
শেষ দিকে ইফতির দুর্দান্ত বোলিংয়েং দুইশ ছোঁয়া হয়নি ঢাকা মহানগরের। এরপর রান তাড়ায় শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল। ওপেনার আজমির আহেমেদের ২৪ বলে ২৬ রানই ছিল তাদের সর্বোচ্চ। ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার মারুফ মৃধা। দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার ও রাকিবুল হাসান।
No posts available.
৬ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৫৯ পিএম
৬ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৩৪ পিএম
৬ অক্টোবর ২০২৫, ৫:০৩ পিএম
৬ অক্টোবর ২০২৫, ১:১১ পিএম
বেশ কয়েকজন প্রার্থীর সরে দাঁড়ানো, কয়েকজনের নাম প্রত্যাহারের ফলে আগেই নিশ্চিত ছিল বিসিবির বেশিরভাগ পরিচালকের নাম। সব আগ্রহ ছিল সাবেক ক্রিকেটার কোটার ক্যাটাগরি-৩ এর পরিচালক নির্বাচন নিয়ে।
রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে সোমবার হওয়া ভোটের পর সেখানে জয়লাভ করেছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। তার অন্তর্ভুক্তির ফলে এখন বিসিবির পরিচালনা পরিষদে সাবেক ক্রিকেটারের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ জনে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া নির্বাচনের দিন নিশ্চিত হয়েছে আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও ফারুক আহমেদের নাম।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মোট ১৫৬টি ভোটের মধ্যে ১১৫ জন ভোট প্রদান করেন কাউন্সিলররা।
এর মধ্যে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রথম ক্যাটাগরিতে ৩৫টি ভোটের মধ্যে পড়েছে ৩০ ভোট। ক্লাব সংগঠকদের দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ৭৬ ভোটের মধ্যে পড়েছে ৪২ ভোট। আর সাবেক ক্রিকেটারদের তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ৪৫ ভোটের মধ্যে পড়েছে ৪৩ ভোট। যেখানে বাতিল হয়েছে ১টি।
জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রথম ক্যাটাগরিতে আগেই নিশ্চিত ছিল ৬ পরিচালকের নাম।
চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আসিফ আকবর ও আহসান ইকবাল চৌধুরী, খুলনা বিভাগ থেকে আব্দুর রাজ্জাক ও জুলফিকার আলী খান, সিলেট বিভাগ থেকে রাহাত শামস ও বরিশাল বিভাগ থেকে শাখাওয়াত হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
ভোটের দিন ঢাকা বিভাগ থেকে ১৫টি করে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম। গত রাতে ভোট থেকে সরে যাওয়া এসএম আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান কোনো ভোট পাননি।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মুখলেসুর রহমান। আর রংপুর বিভাগ থেকে জয় লাভ করেন হাসানুজ্জামান। তিনিও ৭ ভোট পান।
ক্লাব ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ৪২টি ভোট পান ইশতিয়াক সাদেক, শানিয়ান তানিম ও ফারুক আহমেদ। এর বাইরে নির্বাচিত আদনান রহমান দীপন (৪০), ফায়াজুর রহমান (৪০), আবুল বাশার (৪০), আমজাদ হোসেন (৪১), মোখছেদুল কামাল (৪১), এম নাজমুল ইসলাম (৩৪), মনজুর আলম (৩৯), মেহরাব আলম চৌধুরী (৪১) ও ইফতেখার রহমান মিঠু (৩৪)।
তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক খালেদ মাসুদ পাইলট এবং সাবেক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পল। যেখানে ৩৫-৭ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন খালেদ মাসুদ।
এর বাইরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় মনোনীত দুজন পরিচালক হয়েছেন এম ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।
২৫ জনের এই পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা মিলে একজন সভাপতি ও দুজন সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হবে এই ভোট। এরপর রাত ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে তিন জনের নাম।
এখন পর্যন্ত সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এছাড়া সহ-সভাপতি হতে পারেন ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
বিসিবির পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পরিষদ
ক্যাটাগরি - ১
ঢাকা বিভাগ- আমিনুল ইসলাম (১৫), নাজমুল আবেদীন ফাহিম (১৫)
চট্টগ্রাম বিভাগ- আহসান ইকবাল চৌধুরী, আসিফ আকবর
খুলনা বিভাগ- আব্দুর রাজ্জাক, জুলফিকার আলী খান
রাজশাহী বিভাগ- মুখলেসুর রহমান (৭)
রংপুর বিভাগ- হাসানুজ্জামান (৭)
সিলেট বিভাগ- রাহাত শামস
বরিশাল বিভাগ- শাখাওয়াত হোসেন
ক্যাটাগরি - ২
ইশতিয়াক সাদেক (৪২), আদনান রহমান দীপন (৪০), ফায়াজুর রহমান (৪০), আবুল বাশার (৪০), আমজাদ হোসেন (৪১), শানিয়ান তানিম (৪২), মোখছেদুল কামাল (৪১), এম নাজমুল ইসলাম (৩৭), ফারুক আহমেদ (৪২), মনজুর আলম (৩৯), মেহরাব আলম চৌধুরী (৪১), ইফতেখার রহমান মিঠু (৩৪)
ক্যাটাগরি - ৩
খালেদ মাসুদ পাইলট (৩৫)
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ
এম ইসফাক আহসান, ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক
*ব্রাকেটে প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পাকিস্তানের সিদরা আমিন। লেভেল-১ আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সতর্ক করা হয়েছে এই তারকা ব্যাটারকে। নামের পাশে যুক্ত করা হয়েছে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট।
আইসিসি জানিয়েছে, সিদরা আইসিসি প্লেয়ারস এবং প্লেয়ার সাপোর্ট পারসোনেলদের আচরণবিধির- ধারা ২.২ লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এই ধারা আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন ক্রিকেট সরঞ্জাম বা পোশাক, মাঠের সরঞ্জাম বা ফিক্সচার ও ফিটিংসের অপব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ঘটনাটি ঘটেছে রান তাড়ার সময় পাকিস্তানের ইনিংসের ৪০তম ওভারে, যখন সিদরা আউট হওয়ার পর রাগ করে তাঁর ব্যাটকে মাঠে জোরে আঘাত করেন। আউট হওয়ার আগে ১০৬ বলে ৮১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, সতর্কবার্তার পাশাপাশি সিদরার শৃঙ্খলাবিভাগে এক ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করা হয়েছে। এটি তাঁর গত ২৪ মাসের মধ্যে প্রথম অপরাধ। লেভেল ১ লঙ্ঘনের জন্য ন্যূনতম শাস্তি হলো অফিশিয়াল সতর্কবার্তা, সর্বোচ্চ শাস্তি হলো খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা এবং এক বা দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
মাঠের আম্পায়ার লরেন এজেনবাগ ও নিমালি পেরেরা, থার্ড আম্পায়ার কেড়িন ক্লাস্টে এবং চতুর্থ আম্পায়ার কিম কটন অভিযোগটি করেছিলেন ম্যাচ রেফারিকে।
সিদরা নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। এমিরেটস আইসিসি আন্তর্জাতিক প্যানেল অফ ম্যাচ রেফারি শ্যান্ড্রে ফ্রিৎসের প্রস্তাবিত শাস্তি গ্রহণ করেছেন, ফলে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
সিদরা লড়াই একা করলেও ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান হেরে যায় ৮৮ রানে। আগামী পরশু কলম্বোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবেন সিদরারা।
হারলে বা বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে গেলে নিশ্চিত বিদায়। বিপরীতে শুধু জিতলেই চলবে না, মেলাতে হবে নেট রান রেটের সমীকরণ। বৃষ্টির চোখরাঙানি এড়িয়ে নানান নাটকীয়তা পেরিয়ে সেই কঠিন কাজটিই করে দেখাল রংপুর বিভাগ।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ঢাকা মেট্রোকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফ পর্ব নিশ্চিত করল আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল।
সাত ম্যাচে মেট্রোর সমান ৭ পয়েন্ট এনসিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুরের। দুই দলই জিতেছে সমান ৩টি করে ম্যাচ। তাই বিবেচনায় আনা হয় নেট রান রেট। মেট্রোর (-০.০০১) চেয়ে এগিয়ে থাকায় পরের পর্বে উঠেছে রংপুর (+০.৪৪৫)।
রংপুরের প্লে-অফ নিশ্চিত হওয়ায় এখন জানা গেল প্লে-অফের চার দলের নাম। ছয় ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রাম। সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে খুলনা। আর ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে ঢাকা।
বৃষ্টির শঙ্কা থাকা ম্যাচে টস হেরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯০ রান করে মেট্রো। এই টুর্নামেন্টে পুরো ২০ ওভার খেলে এটিই সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। আগেরটিও মেট্রোর। গত বছর রংপুরের বিপক্ষেই ৯ উইকেটে ১০৭ রান করেছিল তারা।
পরে রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। তবে জিততে বেশি সময় লাগেনি। মাত্র ১১ ওভারে ম্যাচ জিতে নেট রান রেটে মেট্রোকে পেছনে ফেলে দেয় তারা।
রংপুরের জয়ের নায়ক জাহিদ জাভেদ। প্রথমে ৪ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। পরে ছয় নম্বরে নেমে ৩ চারে খেলেন ২২ বলে ২৬ রানের মহা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। তাই তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
জাহিদ ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন রংপুরের অন্য দুই বাঁহাতি স্পিনার আবু হাশিম ও রাফিউজ্জামান রাফি।
মেট্রোর পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন। মাত্র ৬৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর রকিবুল হাসান ১৪ ও শহিদুল ইসলাম অপরাজিত ১১ রান করে দলকে অলআউট হওয়া থেকে বাঁচান। তবে পরাজয় এড়াতে পারেনি মেট্রো।
কদিন ধরেই গুঞ্জনের ডালপালা মেলেছে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন মোহাম্মদ আমির। এ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার। এক ভিডিও বার্তায় আমির স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর অবসর ভাঙার কোনো ইচ্ছে নেই এবং খেলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন প্রসঙ্গে আমির বলেন,
‘গত দুই-তিন দিন ধরে শুনছি আমি নাকি আবার ফিরছি এবং অবসর ভেঙে ফেলছি। আমার সঙ্গে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, আর আমারও কোনো পরিকল্পনা নেই। অবসর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি, সেটাই চূড়ান্ত।’
পাকিস্তান ক্রিকেট সামনে এগিয়ে যাক এটাই প্রত্যাশা আমিরের,
‘আমার ভক্তরা বলে আমি যেন ফিরে আসি। তবে পাকিস্তান ক্রিকেটকে তো সামনে এগোতে হবে।’
২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন আমির। তিনি জানান, নতুন প্রজন্মের হাতে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে।
এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি প্রথম অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে আবারও ফিরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন।
বাঁহাতি এই পেসার তরুণদের সুযোগ দেওয়ার গুরুত্বও তুলে ধরেন,
‘দলে তরুণ খেলোয়াড় আছে। ওরা যদি নিয়মিত খেলে, দুই-তিন বছরের মধ্যে খুব শক্তিশালী দল তৈরি হবে। আমি আশা করি, দল বিশ্বকাপের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হবে। আমরা এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছি; এখন আশা করি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলব এবং জিতবও।’
সম্প্রতি শোনা যাচ্ছিল, পিসিবির নির্বাচক কমিটিতে পরিবর্তন আসতে পারে। সাবেক পেসার আকিব জাভেদের জায়গায় ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ী অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে প্রধান নির্বাচক করা হতে পারে।
আমির সরফরাজকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,
‘সরফরাজ আহমেদকে নিয়ে খবর আসছে, তিনি প্রধান নির্বাচক হচ্ছেন। যদি প্রধান নির্বাচক না-ও হন, কেবল নির্বাচক হিসেবে আসেন, তাহলেও এটি ভালো সিদ্ধান্ত হবে। তিনি বর্তমান খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলেছেন, যা দলের জন্য বড় সুবিধা।’
৩৩ বছর বয়সী আমির সরফরাজের সততা ও নিষ্ঠার প্রশংসা করেন এবং সিস্টেমে অভিজ্ঞ সাবেক ক্রিকেটারদের ব্যবহার করার গুরুত্বও তুলে ধরেন। বলেন,
‘সরফরাজ আহমেদ সৎ ও নিষ্ঠাবান একজন মানুষ। পাকিস্তান ক্রিকেট এমন মানুষদের কাছ থেকে উপকৃত হতে পারে। ক্রিকেটারদের শুধু ভালো খেলোয়াড় হওয়াই নয়, ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতাও থাকা উচিত। অনেক ক্রিকেটার এসেছেন, কিন্তু তারা দলকে বিশৃঙ্খলায় ফেলে গেছেন।’
অভিজ্ঞ সাবেকদের অন্তর্ভুক্তির পরামর্শ আমিরের,
‘শোয়েব আখতার, উমর গুল আর সোহেল তানভীরকে হোয়াইট-বল ক্রিকেটে কাজে লাগানো উচিত। ওদের প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে। ইউনিস খানকেও সিস্টেমে আনা উচিত।’
শুরুতে রয়েসয়ে খেলে ফিফটি করলেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। পরে ঝড় তুললেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। মোটামুটি লড়াইয়ের পুঁজি পেল বরিশাল। তবে জয় পাওয়া হলো না তাদের। বৃষ্টিতে ভেসে গেল ম্যাচ। জয় ছাড়াই শেষ হলো বরিশালের এনসিএল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে সোমবারের প্রথম ম্যাচে ফল আসেনি। পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বরিশাল ও রাজশাহী। যার ফলে শেষ হয়ে গেছে রাজশাহীর প্লে-অফ খেলার সব সম্ভাবনা।
প্রথম পর্বের সাত ম্যাচের পাঁচটি হেরেছে বরিশাল। পরিত্যক্ত হয়েছে বাকি দুই ম্যাচ। মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে থেকেই আসর শেষ করেছে তারা।
আরও পড়ুন
সাইফের খেলায় মুগ্ধ আফগান কোচ |
![]() |
শেষ ম্যাচটি জিতলে প্লে-অফ খেলার আশা বেঁচে থাকত রাজশাহীর। কিন্তু ম্যাচ ভেসে যাওয়ায় তাদেরও বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। সাত ম্যাচে দুই জয়ের সঙ্গে দুই পরিত্যক্ত ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে তারা।
চলতি আসরে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়া ষষ্ঠ ম্যাচ এটি। প্রকৃতির বাগড়ায় ১৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান করে বরিশাল। জবাবে রাজশাহী ১.৫ ওভারে ১ উইকেটে ১৭ রান করার পর বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মন্থর শুরু করে বরিশাল। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ বলে ৫৫ রান করেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। আর শেষ দিকে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২২ বলে ৪১ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন ফজলে রাব্বি।
রাজশাহীর হয়ে ২ উইকেট নেন মোহর শেখ অন্তর।