২৯ জুন ২০২৫, ১:৩০ পিএম

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আল নাসরে যোগ দেওয়ার আগে সৌদি প্রো লিগ নিয়ে ফুটবল বিশ্বে ছিল না কোনো আলোড়ন। তবে পর্তুগিজ তারকার হাত ধরে বদলে যাওয়া এই লিগে এখন খেলছেন বিশ্বের অনেক তারকা ফুটবলারই৷ আগে থেকেই সৌদি আরবের লিগের ভূয়সী প্রশংসা করা রোনালদো আবার শুনিয়েছেন তার মুগ্ধতার কথা। তার মতে, প্রো লিগ এখন বিশ্বের সেরা পাঁচ লিগের মধ্যে একটি।
২০২২ সালে চমক জাগিয়ে ইউনাইটেড ছেড়ে রোনালদো পাড়ি জমান সৌদি আরবে। দেশটার ফুটবল উন্নতির জন্য কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করেছে লিগ কর্তারা। তারই ধারায় এখানে খেলে গেছেন নেইমারের মত বিশ্ব তারকাও। আর এখনও খেলছেন করিম বেনজেমা, সাদিও মানেরা। রোনালদোর অবশ্য মাঝে গুন্জন উঠেছিল আল নাসর ছাড়ার। রোনালদো। তবে সেটা ছাপিয়ে নতুন করে দুই বছরের জন্য চুক্তি করেছেন সৌদি ক্লাবটির সাথে।
আরও পড়ুন
| নিজেদের ‘দুর্বল’ মানলেও পিএসজিকে মরণকামড় দিতে চান মেসিদের কোচ |
|
নতুন চুক্তির পর সৌদি লিগ নিয়ে বড় স্বপ্নই দেখছেন রোনালদো।
“আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করছি, তবে আমার বিশ্বাস এরই মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে একটা আমরা। সামনে আরও উন্নতি করবো আমরা, সেটা গেল দুই বছরেই আমরা দেখিয়েছি। যেভাবে উন্নতি করছে লিগ, তাতে আমি খুব খুশি। যারা এই লিগে খেলেনি, ফুটবল নিয়ে কিছুই বুঝে না… তারাই শুধু বলবে যে এটা শীর্ষ লিগ না।”
আল নাসরে দুই বছর পার করলেও এখনো রোনালদোর জেতা হয়নি মেজর কোনো শিরোপা। এবার সেই স্বপ্নপূরণ করতে চান তিনি।
“আল নাসরে হয়ে কিছু জেতাটাই আমার লক্ষ্য। সেটা আমি বিশ্বাস করি বলেই নতুন করে চুক্তি করেছি। আমি বিশ্বাস করি এবার আমরা সৌদি আরবের সেরার মুকুট পরতে পারবো।”
No posts available.
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৪০ পিএম

২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভবিষ্যতমুখী ও সাহসী টুর্নামেন্ট হিসেবে উপস্থাপন করতে চায় সৌদি আরব। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, সরকারের প্রস্তাবনায় রয়েছে এমন একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা, যা পৃথিবীর কোনো স্থাপনার মতো হবে না। এটি হবে আকাশে উঁচু একটি স্কাইস্ক্রেপারের (আকাশছোঁয়া ভবন) ওপর। স্টেডিয়ামের উচ্চতা ১১৫০ ফুট হবে।
দিয়ারিও এএসের প্রতিবেদন, নামের মতোই ‘স্কাই স্টেডিয়াম’ হবে নেওম শহরের কেন্দ্রে। নেওম হলো দেশটির উত্তর-পশ্চিম মরুভূমিতে নির্মাণাধীন একটি স্মার্ট মেগাসিটি। সৌদি আরবের অন্যতম বৃহৎ তেল কোম্পানির সহায়তায় স্টেডিয়ামটি সম্পূর্ণ সৌর ও বায়ু শক্তিতে চলবে। দর্শক ধারণক্ষমতা ৪৬ হাজার।
আরও পড়ুন
| ক্যানসারের কাছে হার মানলেন সাবেক ইংলিশ ফরোয়ার্ড |
|
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্মাণকাজ শুরু হবে ২০২৭ সালে, আর কাজ শেষ হওয়ার আশা করা যাচ্ছে ২০৩২ সালে। সৌদি কর্মকর্তাদের মতে, এই স্টেডিয়াম হবে দেশের ক্রীড়া অবকাঠামোর পরিবর্তনশীল প্রকল্পের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।
দেশব্যাপী ১৫টি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সৌদি সরকারের- যেগুলো সর্বাধুনিক স্থাপত্য ও টেকসই প্রযুক্তি অনুযায়ী নকশা করা হবে।
আরও পড়ুন
| ক্ষুব্ধ বাটলার হঠাৎ খুশি |
|
নেওম বিশ্বের অন্যতম সাহসী নগর উন্নয়ন প্রকল্প, যা গাড়িহীন, এআই-চালিত এবং মরুভূমি ও পাহাড়ের মধ্যে বিস্তৃত। বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তাবিত এক স্টেডিয়াম এমনভাবে ডিজাইন করা হবে, যা পাহাড়ের পাশে তৈরি হবে। নৌকা বা ট্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে প্রবেশযোগ্য করা হবে।
তবে স্কাইস্ক্রেপারের উপরে স্টেডিয়ামের ধারণাটি সেই ভবিষ্যতমুখী স্বপ্নকে আরও দূরে নিয়ে গেছে। বিশ্বাস করা যেন কঠিন হবে, ফুটবল স্টেডিয়াম আকাশের মেঘের মধ্যে অবস্থান করছে।

বয়স ৪২। এই বয়সে অনেক ফুটবলার দিব্যি মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিনশিপের ব্রিস্টল সিটির সাবেক ফরোয়ার্ড মারভিন ব্রাউনকে হার মানতে হলো মরনব্যাধী ক্যানসারের কাছে।
আজ বিবিসি স্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর গতকাল (সোমবার) নিজ বাসায় পরলোকগমন করেছেন মারভিন। পিত্তনালীর ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি।
জানা গেছে, দীর্ঘসময় হাসপাতালে থাকার পর গত সপ্তাহে বাড়িতে ফেরেন মারভিন। পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন ব্যয় করেন। এরপর সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
১৯৯৯ সালে মাত্র ১৬ বছর ৭১ দিন বয়সে চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক হয়েছিল মারভিনের। ২০০৪ সালে ফরেস্ট গ্রিন রোভার্সে নাম লেখানোর আগ পর্যন্ত অভিষিক্ত ক্লাবের জার্সিতে ২৬ ম্যাচ খেলেন তিনি। ক্লাবটির অনূর্ধ্ব ১৬ ১৭ দলের নির্ভরযোগ্য প্লেয়ার ছিলেন ইংল্যান্ডের ইংলিশ ফুটবলার।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ২০২৪ সালে কোরশাম টাউন এফসির জয়েন্ট ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন মারভিন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাবের খেলোয়াড় ও স্টাফদের মধ্যমণি হয়ে ওঠেন। তাঁর যোগদানের পরই ১০টি ম্যাচ জিতে টাউন এফসি। অথচ সেসময়ে বেশ খারাপ সময় পার করছিল ক্লাবটি।
সাদামাটা জীবন যাপন করা মারভিন মৃত্যুকালে পরিবারের জন্য তেমন কিছুই রেখে যেতে পারেননি। ফলে তার পরিবারের জন্য কমিউনিটি এবং মানুষের সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। ফান্ডরেইজারের মাধ্যমে তাঁর স্ত্রী আলেক্সিস এবং দুই কন্যার জন্য ৬৩ হাজার পাউন্ডেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। এই অর্থ পরিবারকে সাময়িকভাবে আর্থিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে, যেমন দৈনন্দিন খরচ, চিকিৎসা খরচ, এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তার জন্য।

সাড়ে তিন মাস পর মাঠে ফিরে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। পরের ম্যাচে পরাজয়ের ব্যবধান আরও বেড়েছে, ফল ৫-১। দুটি হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর হেড কোচ পিটার বাটলারের ভিন্ন মত; হঠাৎ ক্ষুব্ধ, হঠাৎ খুশি।
গত শুক্রবার ব্যাংককের থনবুরি প্রাকটিস গ্রাউন্ডে হারের পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় বাটলার বলেন,
'কয়েকজন ফুটবলার ভুল মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছে, এমন গাফিলতি আমি কিছুতেই সহ্য করব না।'
এক দিন যেতেই বদলায় নারীদের ব্রিটিশ কোচের সুর। দ্বিতীয় ম্যাচের আগের দিন রোববার জানান,
‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাব নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।’
সোমবার মাঠে নেমে মেয়েদের পারফরম্যান্সের উন্নতি কতটা হয়েছে তা হয়ত ম্যাচের স্কোর লাইনেই দৃশ্যমান।
সেই ম্যাচ শেষে কোচের প্রতিক্রিয়া কেমন হয় সেটি ছিল জানার অপেক্ষা। এবার বাটলারের সুর আরও নরম,
‘খেলার কিছু দিক নিয়ে আমি সত্যিই সন্তুষ্ট, যদিও কিছু জায়গায় আমরা সংগ্রাম করবই। বিশেষ করে শারীরিক দিক, রিসোর্স, অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধায়।’
সুযোগ-সুবিধায় ও অনুশীলনে পিছিয়ে থেকে আগের ম্যাচেও তো নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই ম্যাচের পর কেন ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন সেটি কিছুটা বিস্ময়। এমনকি ৫-১ গোলে হারের পর এটাও জানান, থাইল্যান্ডে তাদের মাঠে ১০ বার খেললে বাংলাদেশ নাকি ৯ বারই হারবে। যদিও দেশ ছাড়ার আগে জেতার কথাই বলে যান বাংলাদেশ কোচ।
ভারতের কাছে হেরে ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি থাইল্যান্ড। তবে দুবার বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাদের। কিন্তু তাদের বিপক্ষে লড়াই করতে পারবে না বাংলাদেশ, এমনটা মনে করেন না সাবেক ও বিশ্লেষকেরা।
সে যাই হোক, বাস্তবতাই হয়ত বুঝিয়ে দিতে চাইছেন বাটলার। তবে সেটি একেক ম্যাচে একেক রকম কেন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। আবার ম্যাচ খারাপ খেললে সেটি শুধরে দেবেন কোচ। ড্রেসিংরুমে কথা বলে সমস্যা ঠিক করে নেবেন, খেলোয়াড়েরাও হয়তো এমনটাই প্রত্যাশা করেন। বাটলার হাঁটলেন ভিন্ন পথে, বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় খেলোয়াড়দের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন।
কঠিন বাস্তবতার মুখে বাটলারের দল এবারই প্রথমস তা-ও কিন্তু নয়। গত জুন-জুলাইয়ে মিয়ানমারে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই খেলেন ঋতুপর্ণা-মনিকারা। তখনকার র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা ঘরের মাঠের মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারায় তাঁরা।
সেই টুর্নামেন্টেই প্রথম ম্যাচে র্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে বাংলাদেশ। কিন্তু ওই দলের সঙ্গে এই দলের যেন বিস্তর পার্থক্য। ঠিক এখানেই কি দ্বিমত বাটলারের?
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার রেহানা পারভীনের টি-স্পোর্টসকে বলেন,
‘তিন মাস আগের আর পরের দলের সঙ্গে অনেক পার্থক্য। এখানে কোচ দায় এড়াতে পারেন না। ফলাফল যাই হোক আমাদের কিছু জায়গায় দুর্বলতা স্পস্ট মনে হলো। ডিফেন্সে যারা আছে তাঁদের খারাপ বলব না, তবে অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে। জানি না মাসুরা (পারভীন), সাবিনাদের (খাতুন) কেন দলে নেওয়া হচ্ছে না। তারা তো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বড় ম্যাচে আমাদের অভিজ্ঞ ফুটবলার নামাতে হবে।’
সাফজয়ী সাবেক ফুটবলার সীরাত জাহান স্বপ্নার মতে, খেলোয়াড়দের কারো কোনো সমস্যা বা ঘাটতি থাকলে কোচ যেন তাঁদের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করেন। তিনি বললেন,
‘যেহেতু আমি এই কোচের সঙ্গে কাজ করিনি, তাঁর সম্পর্কে বলতে পারব না। তবে কোনো খেলোয়াড়ের যদি অপ্রোচ বা খেলায় ঘাটতি থাকে, সেটা তাঁকে আলাদাভাবে বলতে পারেন।’
অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের দলে ফেরানো প্রসঙ্গে স্বপ্না বলেন,
‘যদি মাসুরা-সাবিনারা ফিট থাকে, আর দলে অভিজ্ঞতার যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে তাদরে ফেরানো যেতে পারে। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।’
সবশেষ ম্যাচে বাংলাদেশের রক্ষণের দুর্বলতা ছিল স্পষ্ট। অধিনায়ক আফঈদাসহ শামসুন্নাহার (সিনিয়র), নবিরনদের স্লো রানের সুযোগ নিয়েছে প্রতিপক্ষ দলটি। বাংলাদেশের পাঁচটি গোল হজমের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কোচের হাই লাইন ডিফেন্স। থ্রু পাস, উড়ন্ত বলে প্রায় সময়ই বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করেছেন স্বাগতিক ফরোয়ার্ডরা। খুব সহজেই গোলের সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা। গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা কয়েক দফা পোস্ট থেকে বেরিয়ে এসেও দলকে গোল হজম থেকে রক্ষা করতে পারেননি। এই ম্যাচে তারপরও একাধিক সেভ করেছেন তিনি, তা না হলে পরাজয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো।
প্রথম ম্যাচে হারের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলা কোচের তির্যক মন্তব্য কতটা শৃঙ্খলাবদ্ধ- তা নিয়ে হচ্ছে সমালোচনা। নিয়ম-শৃঙ্খলা নিয়ে শিষ্যদের সবচেয়ে বেশি পাঠ করিয়ে থাকেন কোচরা। সেই নিয়মের অধ্যায় তো আবার কোচদের জন্যও রয়েছে!
হাই লাইন ডিফেন্সকেই হারের বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। থাইল্যান্ড থেকে দল আজ দেশে ফেরার কথা। সফরে কোচ বাটলারের দুই-তিন দফায় মন্তব্য কীভাবে দেখছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ অবশ্য এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আগামীকাল সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

স্পেনের ফুটবলের অন্যতম বিস্ফোরক মামলা ‘নেগ্রেইরা কেস’। বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রেফারিকে অর্থ প্রদান করে ম্যাচের ফল প্রভাবিত করার এই মামলার তদন্ত চলছে এখনো।
কাতালান ক্লাবটির অনিয়মের এই মামলায় নতুন নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। বার্সেলোনার একটি আদালত কাতালান জায়ান্টদের উদ্দেশ্যে নোটিশ জারি করেছে। আদালতের ওই নিদের্শনায় ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে জোসে মারিয়া এনরিকেজ নেগ্রেইরা ও তার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলিকে দেওয়া ৮ মিলিয়ন ইউরোর সমস্ত চুক্তি এবং সহায়ক নথিপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম ‘এল মুন্ডো’ জানিয়েছে, তদন্তকারীরা বার্সার আর্কাইভে মূল চুক্তি বা যে কোনো লিখিত নথির কোনো চিহ্ন খুঁজে পাননি, যা রেফারিকে এই অর্থ প্রদানের যৌক্তিকতা দেখায়। এই অর্থ ‘রেফারিং পরামর্শ সেবা’ এর জন্য দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি বার্সার। অবশ্য নথিপত্রের অভাব বার্সেলোনা ও প্রাক্তন রেফারি কমিটির উপ-সভাপতি নেগ্রেইরার সম্পর্কের প্রকৃতি নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন
| রিয়ালে প্রাপ্য সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ ভিনিসিয়ুসের |
|
আদালতের নির্দেশ শুধুমাত্র প্রশাসনিক নথিপত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বার্সেলোনাকে একটি আইনি সত্তা হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির সাবেক কোচ লুইস এনরিক, এরনেস্তো ভালভারদে, এবং বর্তমান ক্লাব সভাপতি জোয়ান লাপার্তার সাক্ষ্য নেয়ার দিন নির্ধারিণ করা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে হাজির হবেন তারা।
২০২৩ সালের মার্চে সরকারি কৌঁসুলিরা বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রেফারিকে ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৭৩ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা) দেওয়ার অভিযোগ আনেন। স্প্যানিশ রেফারিং কমিটির সাবেক সহসভাপতি হোসে মারিয়া এনরিক নেগ্রেইরার প্রতিষ্ঠানকে ওই ১৯ বছরে ৮৪ কোটির বেশি টাকা দেয় বার্সা। তদন্তের মূল বিষয় হলো, এই লেনদেনগুলো বৈধ পরামর্শ ফি ছিল কি না নাকি বার্সেলোনার পক্ষে রেফারির সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা ছিল তা নিশ্চিত করা।
আদালত চেয়েছে বার্সার এই লেনদেনকে বৈধ দেখানোর জন্য যেকোনো ধরনের নথি বা উপাদান উপস্থাপন করা হোক। যেমন লিখিত প্রতিবেদন, সার্ভিস রেকর্ড, অথবা ক্লাব ও প্রাক্তন রেফারির মধ্যে যোগাযোগ। এখন পর্যন্ত কোনও ভৌত প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যা বার্সার দীর্ঘদিনের দাবিকে সমর্থন করতে পারে যে, অর্থগুলো আইনি কৌশলগত পরামর্শ এবং তরুণ খেলোয়াড়দের স্কাউটিং এর জন্য দেওয়া হয়েছিল।
বার্সেলোনা কোন ধরনের নথি উপস্থাপন করবে সেটিও খতিয়ে দেখবে বার্সেলোনা, মামলার ভবিষ্যৎ রূপ নির্ধারণে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি বার্সা পর্যাপ্ত নথি প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়, তবে আর্থিক ও ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট অসংগতির সংশয় আরও তীব্র হতে পারে।

এল ক্লাসিকোয় ৭২ মিনিটে রদ্রিগোর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় রাগে ফুঁসছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। মাঠে খেলছিলেন দারুণই। তবে কোচ জাবি আলোনসো তাকে তুলে নেওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়েন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। স্পেনের সংবাদমাধ্যমের খবর, ভিনি মনে করছেন কোচ থেকে যথাযথ সম্মান পাচ্ছেন না তিনি। এমনকি ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারেও নাকি ভাবছেন রিয়াল তারকা।
বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার পর ভিনি চেঁচিয়ে বলেন, ‘সব সময় কেন আমি! আমি দল ছাড়ছি! আমি যাচ্ছি, এখন যাওয়াই ভালো।’ তারপর রিয়ালের ২৫ বছর বয়সী তারকা সরাসরি ড্রেসিং রুমের দিকে চলে যান। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলেননি কোচ আলোনসো। এই ঘটনায় পরে ভিনির সঙ্গে একান্ত কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
কোচের সিদ্ধান্ত মানতেই পারছিলেন না ভিনিসিয়ুস।
মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদপত্র 'আস'’ এর একটি প্রতিবেদন জানিয়েছে, কোচ আলোনসো ভিনিসিয়ুসের অবস্থানকে মূল্যায়ন করছে না, এমনটাই অভিযোগ তাঁর। খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যে নেতিবাচক সম্পর্ক ক্লাবের জন্যও ‘বড় সমস্যা’ হয়ে উঠছে।
অবশ্য ভিনিসিয়ুসের বিষয়ে ক্লাবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমর্থন পাচ্ছেন আলোনসো। যেভাবে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে সামলাচ্ছেন ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবটির কোচ, তাতে পুরোপুরি সায় আছে রিয়ালের।
আরও পড়ুন
| আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে ‘তর সইছে না’ মেসির |
|
রিয়াল মাদ্রিদের কর্তৃপক্ষ এল ক্লাসিকোয় ভিনিসিয়ুসের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণের নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। ওই ঘটনায় বড় জরিমানার শাস্তিও পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও বিতর্কিত আচারণের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল ভিনিকে।
চলতি মৌসুমের ১৩টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে ভিনিসিয়ুস পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন। পর্যাপ্ত গেম টাইম না পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই অখুশী তিনি। আর সেই সুযোগের সদ্বব্যবহারের অপেক্ষায় আছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবগুলোও। গুঞ্জন আছে চোখ কপালে তোলা বিশাল অঙ্কের বেতন বোনাস দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে তারা।