২২ জুলাই ২০২৫, ৬:১১ পিএম
বার্সেলোনার আগ্রহ শেষ হয়েছে আগেই। তবে লুইস দিয়াজকে দলে নেওয়ার চেষ্টায় এখনও আছে বায়ার্ন মিউনিখ। কলম্বিয়ান উইঙ্গারও নাকি এই গ্রীষ্মেই লিভারপুল ছাড়তে বদ্ধপরিকর। তবে ইংলিশ ক্লাবটি সহসাই তাকে ছাড়তে রাজি নয়। এমন পরিস্থিতি দিয়াজ আশায় আছেন বায়ার্নের নতুন প্রস্তাবের, যা তার জন্য ঠিকানা বদলের দরজা খুলে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই দিয়াজের জন্য বায়ার্নের দেওয়া ৬৭.৫ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে লিভারপুল। তবে ইএসপিএন তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করছে, জার্মান চ্যাম্পিয়নরা নতুন করে অ্যাড-অনস সহ ৭০ মিলিয়ন ইউরো প্লাস নতুন একটি প্রস্তাব প্রস্তুত করছে তার জন্য। দিয়াজকে এখনও তারা এই গ্রীষ্মে নিজেদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাইনিং হিসেবে বিবেচনা করেছে বলেই খবর।
২৮ বছর বয়সী দিয়াজ গত মৌসুমে ভালোই খেলেছিলেন। ১৭টি গোল করে লিভারপুলের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ে রাখেন বড় ভূমিকা। তবে চুক্তির মেয়াদের আরও দুই মৌসুম বাকি থাকলেও তিনি এখন ক্লাব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। ইএসপিএনের দাবি, নিজের ইচ্ছার কথা তিনি এরই মধ্যে লিভারপুলকে একাধিকবার জানিয়েছেন।
প্রথমদিকে দিয়াজের প্রাধান্য ছিল বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার। কাতালান ক্লাবটির প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়ার সাথে
তাকে নিয়ে আক্রমণভাগ সাজানোর। তাকে দলে টানার জন্য প্রায় ৬৫ মিলিয়ন ইউরোর একটি প্রস্তাব দেয়, যা লিভারপুল নাকচ করে দেয়। এরপর হান্সি ফ্লিকের ফল নিকো উইলিয়ামসের জন্য চেষ্টাও করে ব্যর্থ হয় এবং শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে মার্কাস রাশফোর্ডকে ধারের চুক্তিতে আনার কাজ করছে।
ফলে বায়ার্নই এককভাবে দিয়াজের জন্য নতুন প্রস্তাব দিয়ে এগিয়ে থাকছে তাকে পাওয়ার লড়াইয়ে। যদিও লিভারপুল এখন পর্যন্ত রয়েছে কঠোর অবস্থানে রয়েছে, তাদের দাবি ১১৫ মিলিয়ন ইউরো। তবে দলবদল উইন্ডোর আরও এক মাসের বেশি সময় বাকি থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, লিভারপুল হয়ত দিয়াজকে ছাড়ার জন্য শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান শিথিল করতে পারে।
২৩ জুলাই ২০২৫, ৯:২১ পিএম
২৩ জুলাই ২০২৫, ৮:৩২ পিএম
চলছে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি। প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমনে নামা লেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে নিজেদের প্রস্তুতি সারতে পাড়ি জমিয়েছে অস্ট্রিয়াতে। যেখানে হামজা চৌধুরীরা একই দিনে খেলবে দুই প্রস্তুতি ম্যাচ। লেস্টার সিটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে এমনই তথ্য।
আগামী শুক্রবার মাঠে গড়াবে দুটি ম্যাচই। প্রথমটা বাংলাদেশ সময় দুপর নাগাদ ইউক্রেনের ক্লাব কারপাতি এলবিবের সঙ্গে, দ্বিতীয় ম্যাচটি তারা খেলবে ক্লোনের বিপক্ষে। অবশ্য দুটি ম্যাচের কোনোটাই প্রতিযোগিতা মূলক ম্যাচ নয়।
লেস্টার সিটি অবশ্য বেশ আগে থেকেই নিজেদের প্রস্তুতিটা শুরু করেছে। এরই মধ্যে তিনটা প্রীতি ম্যাচও খেলেছে তারা।
গেল মৌসুমে লেস্টার প্রিমিয়ার লিগে ফিরলেও সেটা সুখকর হয়নি। ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে আবারও ফিরেছে চ্যাম্পিয়নশিপে। সেই সঙ্গে দলে ফেরানো হয়েছে বাংলাদেশি মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীকে। গেল মৌসুমের শেষভাগটা হামজা শেফিল্ডের জার্সিতে খেলেছিলেন চ্যাম্পিয়নশিপ। এবার খেলবেন নিজের ছোটোবেলার ক্লাবের হয়ে।
এছাড়াও রদবদল এসেছে দলটার কোচিংয়েও। গেল মৌসুমের বাজে পারফরম্যান্সের দায়ে বরখাস্ত হন রুদ ফন নিস্টলরয়। তার জায়গায় নতুন মৌসুমে হামজাদের দায়িত্ব সামলাবেন কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের সাবেক কোচ মার্তি সিফুয়ন্তেস।
মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে স্পেনের ইউরোর স্কোয়াডেই থাকার কথা ছিল না বোনমাতির। টুর্নামেন্ট শুরুর এক দিন আগেই ছাড়া পেয়েছিলেন হাসপাতাল থেকে। প্রথম দুই ম্যাচ বেঞ্চ থেকেই নেমেছিলেন, তবে সেমিফাইনালে এসে বনে গেছেন স্পেনের নায়ক। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে জার্মানিকে বিদায় করে দিয়ে স্পেনকে ফাইনালে তুলেছেন এই মিডফিল্ডার।
বল দখলে এগিয়ে থাকলেও জার্মানের জমাট রক্ষণ বেশ বিপাকে ফেলেছে স্পেনকে। ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে গড়াচ্ছিল তখনই স্পেনকে আলো দেখান বোনমাতি। ১১৩ মিনিটে অ্যাথেনা দেল কাস্তিয়োর পাস থেকে গোল করে স্পেনকে প্রথমবারের মতো তোলেন ইউরোর ফাইনালে।
ম্যাচ শেষে ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা জানান এই ম্যাচের জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন পুরোপুরি,
“এই ধরণের ম্যাচে খেলা বিশেষ কিছু। দলকে ইতিহাস গড়তে সাহায্য করতে পারাটাতো আরও বেশি আনন্দের। আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এই ম্যাচের জন্য নিজেকে আমি পুরোপুরি প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করেছি।”
স্পেন কোচ মোন্তেস তোমেও বেশ খুশি বোনমাতির এমন পারফরম্যান্সে,
“তার জন্য শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। তার মত সেরা ফুটবলাররা এমন কঠিন সময়ে জ্বলে উঠে। সে জন্যই বোনমাতি ব্যালন ডি’অর বিজয়ী।”
আগামী রোববার বাসেল শহরের সেন্ট জ্যাকব পার্ক স্টেডিয়ামে ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্পেন।
ইন্টার মায়ামির সাথে চুক্তি নবায়ন নিয়ে আলোচনার মধ্যে বাতাসে ভাসছে লিওনেল মেসির ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনও। তবে সেখানে কোনোভাবেই নেই ইতালির অখ্যাত দল কমোর নাম, যাদের কোচ হিসেবে আছেন মেসির সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ সেস্ক ফ্যাব্রিগাস। বর্তমানে না হলেও ভবিষ্যতেও আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে খেলতে পারেন, এমন আশা ধরে রাখছেন স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী এই মিডফিল্ডার।
সম্প্রতি ফরাসি ক্লাব লিলের বিপক্ষে কমোর প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন মেসির স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো ও তাদের তিন সন্তান। এই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই গুঞ্জন ছড়ায় যে, হয়ত নিকট ভবিষ্যতে মেসি উত্তর ইতালির এই ক্লাবটি পাড়ি জমাতেও পারেন।
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার কমোর কাপ ম্যাচের আগে ফ্যাব্রিগাস সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দেন একটু ঘুরিয়ে।
“এই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি (মেসির স্ত্রী) আমাদের বাড়িতে এক সপ্তাহ ছুটি কাটাতে এসেছিলেন, কারণ মেসি এই সময়ে সিনসিনাটি ও নিউ ইয়র্ক সফরে ছিলেন। তারা এই সুযোগে আমাদের এখানে ঘুরতে এসেছিলেন এবং আমাদের সঙ্গে সময় কাটান। আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে খুব ভালো একটা সম্পর্ক রয়েছে।“
উল্লেখ্য, বর্তমানে ৩৮ বছর বয়সী মেসি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব মায়ামির সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনায় আছেন। আর বর্তমান চুক্তির মেয়ার শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। অন্যদিকে কমোর কোচ ফ্যাব্রিগাস ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত ক্লাবটির সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন।
মেসি কখনও কমোর হয়ে খেলবেন কিনা, সেটা সময়ই বলে দেব। তবে মেসির সাথে ফ্যাব্রিগাসের যে দুর্দান্ত সম্পর্ক বার্সেলোনায় খেলার সময় থেকে, তাতে রেকর্ড ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসিকে কোনো একদিন কমোর হয়ে খেলার সম্ভাবনা একেবারে নাকচও করা যায় না, অন্তত কাছের বন্ধু ফ্যাব্রিগাস কোচ থাকা অবস্থায় তো বটেই।
ফ্যাব্রিগাসও তাই আশা ছাড়ার দলে নেই।
“লিলের বিপক্ষে ম্যাচের পর আমি কমোর স্পোর্টিং ডিরেক্টর চার্লি লুডিকে বলেছি যে, মেসি কখনো কমোর হয়ে খেলবে না… এটা যেন না বলা হয়, কারণ মেসির ছেলেরা এখানে এসেছে এবং আমাদের বন্ধুত্বের ইতিহাসের জন্য এটা দারুণ ব্যাপার। তবে সত্যিটা হল, মেসি যুক্তরাষ্ট্রে খুবই ভালো আছে। তাই এখনই খুব রোমাঞ্চিত হওয়ার কিছু নেই।”
রিয়াল মাদ্রিদে নিজের অভিষেক মৌসুমে খেলতে হয়েছে ৯ নম্বর জার্সিতে। সদ্য শেষ হওয়া ক্লাব বিশ্বকাপেও এটাই ছিল কিলিয়ান এমবাপের জার্সি নম্বর। তবে আগামী মৌসুমে জার্সি নম্বর বদল হচ্ছে ফরাসি তারকা। ক্লাবের কিংবদন্তি মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ বিদায়ের পর ফাঁকা হয়ে যাওয়া ১০ নম্বর জার্সি তাকেই দেওয়া হচ্ছে বলেই খবর স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের।
রিয়ালে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই এই ১০ নম্বর জার্সিতেই ক্লাব ও জাতীয় দলে নিয়মিতই পরে আসছেন এমবাপে। পিএসজিতেও ছিলেন ক্লাবটির নাম্বার টেন। তবে মদ্রিচ থাকায় রিয়ালে পাড়ি জমানোর সাথে সাথে তাকে সেই নম্বর দেয়নি ক্লাবটি। লম্বা সময় ধরে ১০ নম্বর জার্সি বরাদ্দ ছিল ক্রোয়াট তারকার জন্যই। সম্প্রতি তিনি রিয়াল ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন এসি মিলানে। আর সেটাই এমবাপেকে দিচ্ছে তার কাঙ্ক্ষিত ১০ নম্বর জার্সি।
গত বছর এমবাপে রিয়ালে যোগ দিয়ে ৯ নম্বর জার্সির পাশাপাশি অচেনা স্ট্রাইকার পজিশনেও প্রথম মৌসুমেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। লা লিগায় ৩১ গোল করে হয়েছেন শীর্ষ গোলদাতা, জিতেছে পিচিচি ট্রফি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিনি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর রিয়ালের জার্সিতে প্রথম মৌসুমের ৩৩ গোলের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন।
তবে ব্যক্তিগতভাবে দারুণ খেলার পরও কম সমালোচনা হয়নি এমবাপেকে ঘিরে। কারণ, রিয়াল গত মৌসুমে শিরোপা জিততে পারেনি। লা লিগায় বার্সেলোনার পেছনে থেকে হয় রানার্স-আপ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও বিদায় নেয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। আর ক্লাব বিশ্বকাপ অভিযান থামে সেমিফাইনালে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে স্পেন ও ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব বার্সেলোনা। এই ঘটনায় আহত ও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে ক্লাবটি একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের বার্সেলোনার সমর্থকদের অফিশিয়াল ফ্যান গ্রুপ ‘পেনিয়া ব্লাউগ্রানা বাংলাবার্সা অব ঢাকা’–কে।
চিঠিটি বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সেলোনা থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ক্লাবটির বোর্ড মেম্বার এবং সামাজিক কার্যক্রমবিষয়ক পরিচালক জোসেপ ইগ্নাসি মাসিয়া এবং পেনিয়া বিভাগের প্রধান এনরিক বোশ।
চিঠিতে বলা হয়,
“আমরা গভীর দুঃখের সাথে জানতে পেরেছি যে, ঢাকায় একটি স্কুল ক্যাম্পাসে সম্প্রতি একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এফসি বার্সেলোনার বোর্ড অব ডিরেক্টরসের পক্ষ থেকে আমরা এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার সকল আহত ও নিহত ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
বাংলাদেশের বার্সেলোনার রয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। দলটির বড় অর্জনে সমর্থক ফ্যান ক্লাবের দেখা যায় নানা আয়োজন। তাই বিশেষভাবে বাংলাদেশের বার্সেলোনা ভক্তদেরও স্মরণ করেছে কাতালান ক্লাবটি।
“এই ট্র্যাজেডিতে যেসব পেনিয়া সদস্য বা তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি ও সমর্থন রইল। যেকোনো প্রয়োজনে আপনারা আমাদের পাশে পাবেন।”
পেনিয়া ব্লাউগ্রানা বাংলাবার্সা অব ঢাকা বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃত একটি সমর্থক সংগঠন। এটি বাংলাদেশে ক্লাবটির ভাবমূর্তি রক্ষা ও নানা ধরনের কমিউনিটি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনায় তাদের এই চিঠি ক্লাবের মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে বলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মত প্রকাশ করেছেন ক্লাবটির বাংলাদেশি ভক্তরা।