টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রসারের পর থেকেই স্পেশালিস্ট ব্যাটারদের এখন প্রায়ই দেখা যায় হাত ঘুরাতে। তাতে এক ম্যাচে দলের সাত থেকে নয়জন বোলিং করার নজির দেখা যাচ্ছে অহরহই। তবে তাই বলে দলের সবাই বল করবেন? ২০ ওভারের স্বীকৃত ক্রিকেটের ইতিহাসে যা আগে হয়নি, সেটাই এবার দেখা গেছে প্রথমবারের মত ভারতে। সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে দিল্লি গড়েছে ইতিহাস, বল করিয়েছে একাদশের সবাইকে দিয়েই।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুক্রবারের ম্যাচে মণিপুর টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দিল্লির অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি যিনি মূলত একজন উইকেটরক্ষক, তিনি বল হাতে তুলে নেন। দুই ওভার বোলিং করে এক মেডেন সহ নেন একটি উইকেটও।
বাদোনি আক্রমণে আসেন ছয় নম্বর বোলার হিসেবে। এরপর পাড়ার ক্রিকেটের মত সবাইকে বোলিং করানোর ধারণা যেন পেয়ে বসে তারা। ফলে একে একে আসেন আরও পাঁচজন।
সবাই মিলে বোলিং করার ফলে কেউই পারেননি কোটার চার ওভার পূর্ণ করতে। তিন জন করেন ৩ ওভার করে। তিন জন করেন ২ ওভার। আর বাকিরা এক ওভার করে। ৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে সফল বোলার ছিলেন আইয়ুশ সিং।
দিল্লির ১১ বোলারের সম্মিলিত আক্রমণের সামনে ২০ ওভারে মণিপুর করতে পারে মাত্র ৮ উইকেটে ১২০ রান। রান তাড়ায় কিছুটা সংগ্রাম করতে ম্যাচটি তারা জেতে ৪ উইকেটে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে সর্বোচ্চ এক ইনিংসে বোলারের ব্যবহার দেখে গেছে ৯ জনের। ৩২ বার হয়েছে এই ঘটনা। দিল্লির এই সবাইকে বোলিং করানোর ঘটনা অনেকেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে ভারত জাতীয় দলের একটি ম্যাচের কথা। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে নিজে সহ মোট ১১ জন বোলার ব্যবহার করেছিলেন সেই সময়ের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।
No posts available.
২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭:০৩ পিএম
কোন পথে হাঁটছে লিভারপুল? স্বয়ং কোচ আর্নে স্লটও জানেন না সঠিক উত্তর। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা নতুন মৌসুমে পথ হারিয়েছে। ২০২৫-২৬ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও প্রিমিয়ার লিগ মিলিয়ে শেষ চার ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে দ্য রেডসরা।
জার্মানির ডয়েচ ব্যাঙ্ক পার্কে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে আজ রাত বাংলাদেশ সময় ১টায় বুন্দেসলিগার জায়ান্ট আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের মুখোমুখি হবে লিভারপুল। এ ম্যাচে হোঁচট খেলে নতুন এক লজ্জাজনক রেকর্ড গড়বে সাবেক লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
৭২ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৫৩ সালে টানা পাঁচ ম্যাচে হেরেছিল লিভারপুল। প্রশ্ন উঠেছে ক্রিস্টাল প্যালেস, গ্যালাতাসারায়, চেলসি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ধারাবাহিক পরাজয়ের পর, এখন আর্নে স্লটের দল কি ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত।
চ্যাম্পিয়নস লিগে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে জয়ের পর গ্যালাতাসারায়ের কাছে হেরে বসে লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগেও শুরুতে দাপট দেখালেও ক্রমান্বয়ে জয় থেকে দুরত্ব বাড়ছে। সর্বশেষ তারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছেও হারে। ১৯ অক্টোবর সমতার দিকে যাওয়া ম্যাচের ফল বদলে দেন হ্যারি মাগুইর।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন লর্ড। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
প্রীতি ম্যাচে অংশ বর্তমানে থাইল্যান্ডে আফঈদা খন্দকাররা। সেখানেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্পোর্টস সায়েন্সে পিএইডি করা ক্যামেরন।
ব্যক্তিগত ও দলগত ফিটনেস উন্নয়নে পূর্ণাঙ্গ অ্যাথলেটিক প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে কাজ করবেন ক্যামেরন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার এ-লিগের পেশাদার ক্লাব পার্থ গ্লোরিতে এবং মিশরের ক্লাব জেড এফসিতে স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন এই প্রশিক্ষক।
২৪ ও ২৭ অক্টোবর ব্যাংককে স্বাগতিক থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ নারী দল। তারই প্রস্তুতি হিসেবে ব্যাংককের সুখোথাইয়ে পুলিশ তেরো এফসির মাঠে আজ অনুশীলন করেছে সফরকারীরা। ম্যাচের আগে ক্যামেরন লর্ডের অধীনে আরও কয়েকটি অনুশীলন সেশনে অংশ নেবেন খেলোয়াড়রা।
আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন আশরাফ হাকিমি ও মোহাম্মদ সালাহ। গত দুই বছর রানার-আপ হয়ে যাত্রা শেষ করেছিলেন পিএসজির রাইটব্যাক হাকিমি। অন্যদিকে, মিশরের লিভারপুল তারকা সালাহ টানা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ২০১৭ ও ২০১৮ সালে।
হাকিমি ২০২৪-২৫ মৌসুমটি স্বপ্নের মতো কাটিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়াও প্যারিস সেন্ট জার্মেইর হয়ে জিতেছেন একাধিক ঘরোয়া লিগ শিরোপা। মিশরের ফরোয়ার্ড সালাহর অবদানও কম নয়। লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পাশাপাশি জিতেছেন গোল্ডেন বুটও।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন এভারটনের ফরোয়ার্ড ইলিমান এনদিয়ায়ে ও টটেনহ্যাম হটস্পারের মিডফিল্ডার পাপে মাতার সার। দু’জনেই সেনেগালকে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন গালাতাসারায়ের নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ভিক্টর ওসিমহেন। যিনি ২০২৩ সালে আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সেরার দৌড়ে আরও রয়েছেন ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার আন্দ্রে-ফ্রাঙ্ক জাম্বো অ্যাঙ্গিসা, কঙ্গো ডি আর-এর স্ট্রাইকার ফিস্টন মায়েলে, গ্যাবনের ফরোয়ার্ড ডেনিস বুয়াঙ্গা, গিনির স্ট্রাইকার সেরহু গিরাসি এবং মরক্কোর মিডফিল্ডার ওসামা লামলিউই।
সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো—গতবারের সেরা খেলোয়াড় আদেমোলা লুকম্যান এবার সেরা ১০ জনের তালিকায় নেই।
সময়টা দারুণ যাচ্ছে পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। মাঠের পাশাপাশি বাইরেও ছড়াচ্ছেন আলো। এবার বিশ্ব বাজারে সবচেয়ে বাজারযোগ্য ফুটবলার হয়েছেন তিনি। ১১ ধাপ পিছিয়ে ১৬তম স্থানে লিওনেল মেসি। তালিকাটা এমন খেলোয়াড়দের যাঁকে ব্র্যান্ড, স্পনসর বা বিজ্ঞাপনদাতারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে— কারণ তাঁর জনপ্রিয়তা, প্রভাব, ফলোয়ার, ও পণ্য বিক্রিতে ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম ও ইভেন্ট কোম্পানি ‘স্পোর্টসপ্রো’র ২০২৫ বার্ষিক র্যাঙ্কিংয়ে ফুটবলারদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন রোনালদো। পেছনে ফেলেছেন লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে।
বিভিন্ন খেলাধুলার তারকাদের নিয়ে তৈরি ওই তালিকায় সবচেয়ে বাজারযোগ্য ক্রীড়াবিদ হয়েছেন ফর্মুলা ওয়ান রেস কার ড্রাইভার লুইস হ্যামিল্টন। দ্বিতীয় স্থানে আছেন জিমনেস্ট সিমোন বাইলস, তৃতীয় রাগবি তারকা ইলোনা মাহের, চতুর্থ এনবিএ তারকা স্টেফ কারি। চার ধাপ এগিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা রোনালদোই তালিকার সবচেয়ে বাজারযোগ্য ফুটবলার। ষষ্ঠ স্থানে আছেন নেইমার।
তালিকার শীর্ষ ৫০ জনের মধ্যে ১৮ জন ফুটবলার রয়েছেন। এর মধ্যে আরো আছেন রবার্ট লেভানদোভস্কি (১১তম), কিলিয়ান এমবাপে (১৩তম), ভিনিসিউস জুনিয়র (১৪তম), লিওনেল মেসি (১৬তম), বুকায়ো সাকা (১৯), লামিন ইয়ামাল (২৩), হ্যারি কেইন (২৮), রাফিনহা (৩০তম), মার্কাস রাশফোর্ড (৩২), আশরাফ হাকিমি (৩৪), আলেক্সিয়া পুতেলাস (৩৬), মোহামেদ সালাহ (৪৩তম), রদ্রিগো (৪৪), জামাল মুসিয়ালা (৪৫), বেথ মিড (৪৬) ও দানি ওলমো (৪৯তম)।
তবে অনেক তারকাই এবার জায়গা পাননি শীর্ষ ৫০-এ। তাদের মধ্যে আছেন আর্লিং হলান্ড, জুড বেলিংহাম, কেভিন ডি ব্রুইনে, কোল পামার ও ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড। বেলিংহাম নেমে গেছেন ৬৬ ধাপ নিচে।
আগামী ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে ভিয়ারিয়াল ও বার্সেলোনার মধ্যে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা বাতিল করেছে লা লিগা। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে খবরটি নিশ্চিত করেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ।
লা লিগা জানিয়েছে, স্পেনে এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে তৈরি হওয়া প্রতিক্রিয়ার কারণে ম্যাচটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর আমেরিকার বাজারে লা লিগার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘রেলেভেন্ট’।
লা লিগার উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকার বাজার ধরা এবং ফুটবলকে আরও বিস্তার করা। কিন্তু ম্যাচের আগে লা লিগার খেলোয়াড়দের ১৫ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকা এবং কোচ ও খেলোয়াড়দের আপত্তির মুখে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয় লা লিগা কর্তৃপক্ষ।
পরিকল্পনা বদলের পর জানা গেছে, ভিয়ারিয়ালের হোম গ্রাউন্ড মাঠ এস্তাদিও দে লা সেরামিকায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। সিদ্ধান্ত বদলের পর সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন স্প্যানিশ লিগটির প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস।
তেবাস লিখেছেন, ‘বিশ্ববাজারে নিজেদের মেলে ধরার মতো বড় সুযোগ হারিয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল।’ প্রেসিডেন্ট এটিকে সংকীর্ণ মানসিকতা বলেও আখ্যা দিয়েছেন,
‘ঐতিহ্য রক্ষার কথা বলে অনেকেই সংকীর্ণভাবে নিজের স্বার্থ দেখায়, কিন্তু প্রকৃত ঐতিহ্য ধ্বংস করছে বড় বড় নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নিয়ম ও সিদ্ধান্ত।’
তিনি আরও লিখেছেন,
‘স্প্যানিশ ফুটবল টিকিয়ে রাখতে লা লিগা কঠোরতা ও দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে। সেটা হবে এর মূল শিকড়কে সম্মান জানিয়ে এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।’
সবশেষে তিনি জানিয়েছেন, স্প্যানিশ লিগকে একটা লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। সে জন্য কাজ করে যাচ্ছে লা লিগা।
ম্যাচ বাতিলে লা লিগার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা যে বেশ খুশি তা নিশ্চয়ই বলা যায়। এর আগে ৭ হাজার ২০০ কিলোমিটার (৪,৫০০ মাইল) দূরে গিয়ে মৌসুমের একটি নিয়মিত ম্যাচ খেলা নিয়ে কেউ খুশি নন বলে জানিয়েছিলেন বার্সেলোনার কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। শুরু থেকেই অতিরিক্ত ভ্রমণের এই পরিকল্পনা পছন্দ করেননি তিনি। জানুয়ারির শুরুতেই কাতালান ক্লাবটিকে সৌদি আরবে যেতে হবে স্প্যানিশ সুপার কাপের জন্য। ফলে এই ভ্রমণ বাড়তি ক্লান্তি আনবে বলে মনে করেন তিনি।
বার্সেলোনার ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেংকি ডি ইয়ং অক্টোবরের শুরুতে বলেছিলেন,
‘এটা খেলোয়াড়দের জন্য ভালো নয়। এত ভ্রমণ করতে হয়, সেটা ক্লান্তিকর। প্রতিযোগিতার দিক থেকেও এটা ন্যায্য নয়—এটা আমাদের জন্য কার্যত নিরপেক্ষ মাঠে একটি অ্যাওয়ে ম্যাচ হয়ে যেত।’