৩১ আগস্ট ২০২৫, ৩:২০ পিএম
উলভারহ্যাম্পটনকে মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দারুণ শুরু। পরের ম্যাচেই টটেনহ্যামের বিপক্ষে ২-০ গোলের হারের ধাক্কা খায় ম্যানচেস্টার সিটি। তারপর কোচ পেপ গার্দিওলা খেলার ধরন ও দর্শন নিয়ে তীব্র সমালোচনা।
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আজ ব্রাইটনের বিপক্ষে খেলবে সিটি। তার আগে গার্দিওলা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কখনোই তার ফুটবল দর্শন বদলাবেন না, যদিও প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমের শুরুটা মিশ্র অভিজ্ঞতায় কাটছে। তাঁর জবাব, ক্যারিয়ারে নিজের ধরন দিয়েই সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
দিশা না পেয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মার্তিনেজের পিছু নিয়েছে ইউনাইটেড |
![]() |
৫৪ বছর বয়সী গার্দিওলা তাই একটু রসিকতার সুরে বললেন, ‘হ্যাঁ, ১৮টা শিরোপা জেতার পর আমি নিশ্চয়ই পরিকল্পনা বদলাব। হ্যাঁ, চারবার টানা প্রিমিয়ার লিগ জেতার পর নিশ্চিতভাবেই বদলাব- আমার বিশ্বাসের ফুটবল খেলার ধরন!
তারপর গার্দিওলার স্পষ্ট বার্তা, ‘কখনোই, কোনো দিনই আমার বিশ্বাসের ধরন পরিবর্তন করব না। তবে যদি উপরের দিকে বল কেড়ে নিতে পারি, তখন আমি চাই দ্রুত আক্রমণ করতে। প্রতিপক্ষ যদি ম্যান-টু-ম্যান হাই প্রেসিং করে আর আমরা প্রথম প্রেস ভেঙে বের হয়ে আসি, তখন আমি চাই দ্রুত আক্রমণ হোক। কিন্তু তার পর? আমি ভালোবাসি হাজারো, লাখো একঘেয়ে পাস। আমি সেটাই ভালোবাসি।’
গত মৌসুমে ট্রফিহীন থাকার পর এই গ্রীষ্মে ছয়জন নতুন খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে সিটি। অনেকেই মনে করছেন এতে খেলার ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে গার্দিওলার ভাষায়, ‘হ্যাঁ, নতুন খেলোয়াড় এসেছে। কিন্তু আমি যে বিশ্বাসে দল খেলাই, তা কোনো দিনই বদলাবে না।’
নিজেদের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে অতীতের সেরা দলগুলোর তুলনা করে কাতালান গার্দিওলার বলেন, ‘যদি এই দলটিকে সেঞ্চুরিয়নস কিংবা চার ঘরোয়া শিরোপা, ট্রেবল ও টানা চার লিগ জেতা দলের সঙ্গে তুলনা করি, আমরা হারব। কিন্তু এমন কিছু বিষয় আছে যা আমার ভালো লাগছে। হয়তো দুই মাস পর বলব আমি ভুল ছিলাম, তবে এখন যেদিন থেকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে (ক্লাব বিশ্বকাপ) গিয়েছি, তখন থেকেই কিছু কিছু বিষয় দেখছি যা ভালো মৌসুমের জন্য দরকারি। এর মানে এই নয় আমরা শিরোপা জিতব, কিন্তু আমি মনে করি মৌসুমটা ভালো কাটবে। আমরা ঠিক থাকব।”
টটেনহ্যামের বিপক্ষেও ইতিবাচক কিছু দেখেছেন গার্দিওলা, ‘স্পার্সের বিপক্ষেও আমি আমার দলের অনেক পরিচিত বিষয় দেখেছি। হ্যাঁ, কিছু কাজ আরও ভালোভাবে করতে হবে, তবে মৌসুমের এই পর্যায়ে এটা স্বাভাবিক। ফলাফলই তা বলে দেবে। যখন টানা চার-পাঁচ-ছয় ম্যাচ জিততে পারব, কিংবা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলব, কম গোল খাব আর বেশি গোল করব, তখন বলব: আমাদের ধারাবাহিকতা ফিরে এসেছে।’
No posts available.
লেস্টার সিটিতে ১৩ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টেনে নতুন ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন জেমি ভার্ডি। ইংলিশ এই স্ট্রাইকার যোগ দিয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাব ক্রেমনেসে।
ক্লাবটি এক বিবৃতিতে জানায়, আপাতত ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তিতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ। তবে কিছু শর্ত পূরণ হলে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগও রাখা হয়েছে।
গত মৌসুমের শেষের দিকে লেস্টারের জার্সিতে নিজের ৫০০তম ও শেষ ম্যাচে ক্লাবটির হয়ে ২০০তম গোলটি করেন ভার্ডি। ওই ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে ইংল্যান্ডে তার ক্লাব ক্যারিয়ারের পথচলা।
লেস্টারের জার্সিতে ভার্ডি নিজেকে কিংবদন্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি ক্লাবটির সেই দলের অংশ, যারা ২০১৬ সালে ক্লদিও রানিয়েরির অধীনে ইতিহাসের অন্যতম বড় চমকের জন্ম দিয়ে প্রিমিয়ার লিগ জিতেছিল। এছাড়া তার অর্জনের মধ্যে রয়েছে ২০২১ সালে এফএ কাপ জয়।
সেই অধ্যায় পেছনে ফেলে গত রবিবার ভার্ডি ইতালিতে পৌঁছালে তাকে সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনাই জানানো হয়। ক্রেমনেসের ভক্তরা ঘিরে ধরে তার অটোগ্রাফ নেন। অতি রোমাঞ্চিত কেউ কেউ তার মুখের আবয়ব উল্কি পর্যন্ত করে ফেলেছে শরীরে। তারা চিৎকার করে বলছিল, “আমাদের ইউরোপে নিয়ে চলো ভার্ডি।”
এই মৌসুমেই সেরি আয় প্রমোশন পাওয়া ক্রেমনেসের মূল লক্ষ্য থাকবে ইতালির শীর্ষ লিগে টিকে থাকা। মৌসুমের ইতিবাচক শুরু আর সাথে অভিজ্ঞ ভার্ডির আগমনে সমর্থকদের মধ্যে জেগেছে বড় স্বপ্ন।
ক্রেমনেস এই মৌসুমে তাদের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে সান সিরোতে এসি মিলানের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়।
ইউরোপের গ্রীষ্মকালীন দলবদলের জানালা বন্ধ হয়েছে গতকাল। দলবদল ইউরোপের হলেও বয়ে গেল যেন আর্জেন্টাইন ‘গ্রীষ্ম ঝড়’! আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের প্রভাব ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। জায়ান্ট ক্লাবগুলো বেছে নিয়েছে দেশটির অভিজ্ঞ ও তরুণ প্রতিভাদের।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনোর অভিষেক হয়েছে। নাটকীয়তার পর আলেহান্দ্রো গার্নাচো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে নতুন করে ঠিকানা গড়েছেন চেলসিতে। নিকো গঞ্জালেস-থিয়াগো আলমাদাকে ভিড়িয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। চেলসিতে ফাকুন্দো বুয়োনানোত্তে। কিছু ট্রান্সফার ছিল বেশ আলোচিত।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৬ বিশ্বকাপ ঘিরে এই দলবদলগুলো আর্জেন্টিনার জাতীয় দলকেও বাড়তি শক্তি দিতে পারে। খেলোয়াড় নির্বাচনে অপশন বাড়বে কোচ লিওনেল স্কালোনির। ইউরোপীয় দলবদলে আর্জেন্টাইন ঝড়টা কেমন ছিল।
ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনো, রিয়াল মাদ্রিদ
রিভার প্লেটের এই রত্নের জন্য রিয়াল মাদ্রিদ জুনে তাঁর বাইআউট ক্লজের ৪৫ মিলিয়ন ইউরোসহ মোট ৬০ মিলিয়ন গ্রস পরিশোধ করে। আগস্টে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ার পর অফিশিয়ালি তাঁর নাম তালিকাভুক্ত হয় ক্লাবে। এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার/উইঙ্গারের চুক্তির মেয়াদ ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত এবং ১ বিলিয়ন ইউরো বাইআউট ক্লজ রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে ওসাসুনা, রিয়াল ওভিয়েদো ও মায়োর্কার বিপক্ষে লা লিগায় খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তাঁকে রিয়ালের নতুন ‘আইকন’ বলেও উল্লেখ করছে।
আলেহান্দ্রো গার্নাচো, চেলসি
২১ বছর বয়সী এই উইঙ্গার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন চেলসিতে যোগ দেন প্রায় ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফারে। কোচ রুবেন আমরিমের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ায় দল ছাড়েন। তাঁর চুক্তি ২০৩২ সালের জুন পর্যন্ত। নিজের পছন্দমতো ক্লাব পেয়েছেন. এখন লক্ষ্য জাতীয় দলে জায়গা নিয়মিত করা। যেখানে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি চলছে।
থিয়াগো আলমাদা. আতলেতিকো মাদ্রিদ
এই আর্জেন্টাইনকে বোতাফোগো থেকে আতলেতিকো ২১ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে দলে ভিড়িয়েছে। মাদ্রিদের ক্লাবটির সঙ্গে পাঁচ মৌসুমের চুক্তি হয়েছে তাঁর। তিনি এরই মধ্যে এস্পানিওল, এলচে ও আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় খেলেছেন।
নিকোলাস গঞ্জালেস, আতলেতিকো মাদ্রিদ
শেষ মুহূর্তের আরেক চুক্তিতে ২৭ বছর বয়সী নিকো গঞ্জালেস যোগ দিয়েছেন আতলেতিকোয়। এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে লোনে জুভেন্টাস থেকে নেয় তারা। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে কিনে নেওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে।
ক্লাদিও এচেভেরি, বায়ার লেভারকুসেন
ম্যানচেস্টার সিটিতে পেপ গার্দিওলার পরিকল্পনায় ছিলেন না। ফলে এক বছরের লোনে জার্মান ক্লাব লেভারকুসেনে যোগ দেন এই মিডফিল্ডার। এচেভেরিকে অবশ্য কিনে নেওয়ার অপশন নেই, তবে পুরো বেতন তারা বহন করবে। ১৯ বছর বয়সী এই সাবেক রিভার প্লেট তারকা বুন্দেসলিগায় হফেনহাইম ও ভার্ডার ব্রেমেনের বিপক্ষে খেলেছেন। বয়সভিত্তিক ফুটবলে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে আর্জেন্টিনা দলেও জায়গা করেছেন তিনি।
এজেকিয়েল ফের্নান্দেজ, বায়ার লেভারকুসেন
সৌদি আরবের আল-কাদিসিয়া থেকে ইউরোপে এলেন বোকা জুনিয়র্সের সাবেক এই মিডফিল্ডার। ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডালরে চার বছরের চুক্তিতে লেভারকুসেনে আসে তিনি। বোকা এক্স-টিম হিসেবে সংহতি ফি বাবদ ১.৫ মিলিয়ন ডলার পায়। ২৩ বছর বয়সে ফুটবলারের এটাই প্রথম ইউরোপীয় অভিজ্ঞতা।
আরন আনসেলমিনো, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড
বোকা জুনিয়র্সের সাবেক ডিফেন্ডার চেলসিতে সুযোগ না পাওয়ায় লোনে এক মৌসুমের জন্য ডর্টমুন্ডে যোগ দিয়েছেন। কিনে নেওয়ার কোনো অপশন নেই। ইউনিয়ন বার্লিনের বিপক্ষে ২০ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইনের অভিষেক হয়েছে, দর্শকেরা দাঁড়িয়ে অভিবাদনও জানিয়েছেন।
লুকাস বেলত্রান, ভ্যালেন্সিয়া
ফিওরেন্তিনা থেকে এক বছরের লোনে ভ্যালেন্সিয়ায় যোগ দিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। কিনে নেওয়ার অপশন নেই। ২৪ বছর বয়সী রিভার প্লেটের সাবেক এই ফুটবলার প্রথমবারের মতো স্প্যানিশ ফুটবলে খেলবেন।
ফাকুন্দো বুয়োনানোত্তে, চেলসি
ট্রান্সফার উইন্ডোর একেবারে শেষে, ২০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারকে ব্রাইটন থেকে এক বছরের লোনে নিয়েছে চেলসি। ব্রাইটনের নতুন কোচ তাঁকে পরিকল্পনায় রাখেননি। গত মৌসুমে লেস্টার সিটিতে খেলে ৫ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
ভ্যালেন্তিন গোমেজ, রিয়াল বেতিস
ভেলেজ সার্সফিল্ডের ডিফেন্ডারকে দলে ভেড়াতে প্রায় ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে রিয়াল বেতিসকে। চুক্তির মেয়াদ ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত। ভবিষ্যতে বিক্রি হলে ১০ শতাংশ ক্যাপিটাল গেইন পাবে ভেলেজ। ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলার লা লিগায় এরই মধ্যে আলাভেস ও সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে খেলেছেন।
ফেদেরিকো রেদোনদো, এলচে
২২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ফেদেরিকো রেদোনদোকে (ফার্নান্দো রেদোনদোর ছেলে) ইন্টার মায়ামি থেকে অর্ধেক মালিকানা কিনে নেয় এলচে, ২.৫ মিলিয়নে। পাঁচ বছরের চুক্তি। লা লিগায় আতলেতিকো ও লেভান্তের বিপক্ষে খেলেছেন তিনি।
হুলিয়ান কাররাঞ্জা, লেস্টার সিটি
২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ফেয়নুর্দ থেকে এক বছরের লোনে যোগ দিয়েছেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি, কিনে নেওয়ার অপশনও আছে। রেলিগেশনের পর লেস্টার প্রিমিয়ার লিগে ফেরার লক্ষ্য নিয়েছে নতুন মৌসুমে।
এস্তেবান আন্দ্রাদা, রিয়াল সারাগোসা
৩৪ বছর বয়সী গোলরক্ষক আন্দ্রাদাকে মেক্সিকান ক্লাক মনতেরে লোনে পাঠিয়েছে স্প্যানিশ দ্বিতীয় বিভাগ ক্লাবে রিয়াল সারাগোসায়। প্রমোশন পেলে কিনে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
হোয়াকিন পানিচেল্লি, রেসিং স্ট্রাসবুর্গ
রিভার প্লেটে না খেলেই আলাভেস থেকে ১৬ মিলিয়নে ইউরোয় ফ্রান্সে যোগ দেন পানিচেল্লি। রিভার সলিডারিটি ও আগের চুক্তি বাবদ ৩.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে। কনফারেন্স লিগ ও লিগ ওয়ানে খেলেছেন স্ট্রাসবুর্গের হয়ে।
নেপালের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচে হামজা চৌধুরীকে পাওয়া যাবে কি না, এ নিয়ে দোলাচলে ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অবশেষে স্পষ্ট হলো- আন্তর্জাতিক বিরতিতে আগামী দুই ম্যাচে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে পাচ্ছেন না কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। আজ বাফুফে ভবনে সাংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান।
আগের দিন পূর্ণ ২৩ জনের স্কোয়াড নিয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামে হয় অনুশীলন। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কোচ কাবরেরা ও আমের খান। দুজনেই কথা বলেন হামজাকে নিয়ে। গতকাল কোচের কথাতে মোটামুটি পরিস্কার ছিল হামজা না আসার বিষয়টি।
এক দিন পরই আমের খান জানালেন নেপালের বিপক্ষে পাওয়া যাবে না হামজাকে। কাল নেপালের উদ্দেশে উড়ান ধরবে বাংলাদেশ। আজ লেস্টার সিটির তারকাকে না পাওয়ার ব্যাপারে জাতীয় দলের ম্যানেজার বলেন, ‘তাকে (হামজার) পেতে ফেডারেশন থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল। তার এজেন্টকে আমরা জানাই। সে জানায় হামজার ক্লাব লেস্টার সিটিকে। কিন্তু সবশেষ ম্যাচে হামজা চোটে পড়ায় আপাতত এই দুই ম্যাচের জন্য তাকে ছাড়বে না লেষ্টার সিটি।’
হামজাকে ছাড়া নেপাল ম্যাচের ছক কষছেন কাবরেরা। গতকাল তাঁর কথায়ও ছিল হামজাকে না পাওয়ার ইঙ্গিত, ‘নেপাল সফরের জন্য এই দলটি প্রস্তুত। হামজা যদি শেষ পর্যন্ত না আসতে পারে সমস্যা হবে না।’
নেপালের বিপক্ষে আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। কাল দেশ ছাড়বে দল। দলের বর্তমান অবস্থান জানাতে গিয়ে আমের খান বলেছেন ‘ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের চোট চিন্তা আছে, পর্যবেক্ষণে আছে। তবে দলের সঙ্গে সে নেপাল যাবে। যদি ফিট থাকে নেপাল ম্যাচে খেলবে।’
বড় প্রত্যাশা নিয়েই এরিক টেন হাগকে গ্রীষ্মের শুরুতে নিয়োগ দিয়েছিল লেভারকুসেন। তবে চমকের জন্ম দিয়ে সব মিলিয়ে মাত্র তিনটি ম্যাচের পরই ডাচ কোচকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছে ক্লাবটি। টেন হাগ বলেছেন, এমন কিছু হতে পারে, সেটা তিনি কল্পনাও করেননি। পাশাপাশি জার্মান ক্লাবটি তার প্রতি যথেষ্ট আস্থা দেখায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
লেভারকুসেন এই মৌসুমের প্রথম ম্যাচে বুন্দেসলিগায় হফেনহাইমের কাছে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হেরে যায়। এরপর ১০ জনের ভার্ডার ব্রেমেনের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করে দলটি। আর এরপরই গত সোমবার ৫৫ বছর বয়সী টেন হাগকে হঠাৎ বরখাস্ত করে দেয় তারা।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া টেন হাগ এক বিবৃতিতে একহাত নিয়েছেন লেভারকুসেনকে। “আজ (সোমবার) সকালে বায়ার লেভারকুসেনের আমাকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি আমার জন্য একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। মাত্র দুটি লিগ ম্যাচের পর একজন কোচকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন। এটা আমার কল্পনারও বাইরে ছিল।”
গত বছর অক্টোবরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে কোচিংয়ের বাইরেই ছিলেন টেন হাগ। এরপর গত মে মাসে জাবি আলোনসো রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হলে তার স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।
আলোনসোর অধীনে লেভারকুসেন ২০২৩-২৪ মৌসুমে পার করে নিজেদের ইতিহাসের সেরা সময়। ঐতিহাসিক ডাবল জেতে তারা। অপরাজিত থেকে প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগা শিরোপার সাথে জেতে জার্মান কাপও৷ ইউরোপা লিগের ফাইনালেও পৌঁছায় তারা৷ ফলে আলোনসোর উত্তরসূরী হিসেবে শুরু থেকেই প্রত্যাশার চাপ ছিল টেন হাগের ওপর।
তবে কাজটা তার জন্য প্রথমেই কঠিন হয়ে যায়। কারণ, এই গ্রীষ্মে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ফ্লোরিয়ান ভির্টজ, জেরেমি ফ্রিমপং, জোনাথান তাহ, গ্রানিত জাকা ও আমিন আদলিরা ক্লাব ছেড়ে গেছেন। ফলে টেন হাগেকে নতুন করে দল গুছিয়ে নেওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না।
এভাবে হঠাৎ করেই চাকরি হারিয়ে লেভারকুসেনের কতৃপক্ষকেই দুষেছেন টেন হাগ। “একটা নতুন দল গড়ে তোলা ধৈর্য ও আস্থা ধরে রাখার লম্বা প্রক্রিয়া। আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ও প্রাণশক্তি নিয়ে এই কাজটাশুরু করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ক্লাব আমাকে সময় দিতে রাজি ছিল না। আমার কাছে মনে হয়, এই সম্পর্কটি কখনই পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে গড়ে ওঠেনি।”
আলোচনা হচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। অবশেষে ম্যানচেস্টার সিটিতে জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা। পিএসজি থেকে তাঁকে দলে ভেড়াতে ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করতে হয়েছে ক্লাবটির। সিটির সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছেন এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দোনারুম্মার চুক্তির ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে ইতিহাদের ক্লাবটি।
এক নম্বর গোলরক্ষক এডারসনকে ছেড়ে দেওয়ায় ম্যানসিটির রাডারে ছিলেন দোনারুম্মা। সিটির সঙ্গে আট বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবাচে যোগ দিয়েছেন তিনি। তারপরই দোনারুম্মার সঙ্গে চুক্তির ঘোষণা।
আরও পড়ুন
আট মাসে ১০ মিনিট খেলে দেখলেন লাল কার্ড, ছাড়লেন ক্লাব |
![]() |
গত মৌসুমে পিএসজির ট্রেবল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল দোনারুম্মার। তবে কিছু দিন ধরে আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, প্যারিসের ক্লাবটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণই যাচ্ছিল। লিলে থেকে লুকাস শেভালিয়েকে দলে ভিড়িয়ে তারা যেন সেটি আরও স্পষ্ট করল।
গত মাসে ইউরোপিয়ান সুপার কাপের স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল দোনারুম্মারকে। কোচ লুইস এনরিকে জানিয়েছিলেন, তিনি ভিন্ন প্রোফাইলের গোলরক্ষক খুঁজছেন। এরপরই ইনস্টাগ্রামে ২৬ বছর বয়সী এই গোল রক্ষক নিজেই নিশ্চিত করেন তিনি এই গ্রীষ্মে পিএসজি ছেড়ে যাচ্ছেন।
সিটির অংশ হয়ে উচ্ছ্বসিত দোনারুম্মা বললেন, ‘ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে চুক্তি করা আমার জীবনের বিশেষ ও গর্বের মুহূর্ত। আমি এমন একটি দলে যোগ দিচ্ছি, যেখানে বিশ্বমানের খেলোয়াড়েরা আছে এবং ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা কোচ পেপ গার্দিওলার অধীনে খেলব। এই ক্লাবটিতে খেলার স্বপ্ন প্রতিটি ফুটবলারেরই থাকে। আমি অনেক বছর ধরে সিটিকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি, আর এখন এই ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপানো সত্যিই বিশাল এক সম্মান ও সৌভাগ্য।’
আরও পড়ুন
প্রিমিয়ার লিগে দলবদলে খরচ ৫০ হাজার কোটি টাকা! |
![]() |
২০২১ সালে এসি মিলান থেকে পিএসজিতে যোগ দেন দোনারুম্মা। ফরাসি ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন ১০টি শিরোপা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন- গত মৌসুমে পিএসজিকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতানো। ঘরোয়া সব লিগই জিতেছে তারা। পিএসজির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৬১ ম্যাচ খেলেছেন ২৬ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার। ক্লিন শিট রেখেছেন ৫৬ ম্যাচে।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইতালির ইতিহাসে সবচেয়ে কনিষ্ঠ গোলরক্ষক হিসেবে অভিষেক করেছিলেন দোনারুম্মা। সিরি-আতে মাত্র ১৬ বছর ২৪২ দিনে এসি মিলানের হয়ে অভিষেক হয়ছিল তাঁর। গড়েছিলেন ইতালিয়ান লিগে দ্বিতীয় কনিষ্ঠ গোলরক্ষক হওয়ার রেকর্ড। মিলানের হয়ে খেলেছিলেন ২১৫ ম্যাচ।