
সান্তোস নামটি শুনলে ফুটবলপ্রেমীদের মনে সবার আগে ভেসে ওঠে একটি নাম - পেলে। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের কল্যাণে বিশ্ব মানচিত্রে পরিচিতি পাওয়া ব্রাজিলের এই ক্লাবটিতে তার পরবর্তী সময়ের সেরা প্রতিভাবানদের একজন নেইমার। পেশাদার ক্যারিয়ার এখানে শুরু করার পর ছেড়েছেন ঠিকানা। তবে এক বছর বাদে দেশটির শীর্ষ লিগে ফিরে সাবেক বার্সেলোনা তারকাকে ক্লাবে টানার জন্য বেশ আশাবাদী হয়ে উঠছে সান্তোস।
২০২৩ সালে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের শীর্ষ লিগ থেকে রেলিগেটেড হয় সান্তোস। তবে গত সোমবার রাতে সেরি বি-এর ম্যাচে করিতিবাতেকে ২-০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের সেরি আ-তে তার স্থান নিশ্চিত করেছে আবার।
আরও পড়ুন
| নেইমারের চুক্তি বাতিলের ‘চিন্তা করছে’ আল হিলাল! |
|
২০১১ সালে নেইমারের হাত ধরেই সান্তোস তাদের প্রথম কোপা লিবার্তাদোরেস শিরোপা জিতেছিল। ২০১৩ সালে যোগ দেন বার্সেলোনায়। এরপর সেখান থেকে পিএসজি ঘুরে এখন আছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে, যেখানে তার চুক্তি শেষ আগামী বছরের জুনে।
গত মঙ্গলবার সান্তোসের সভাপতি মার্সেলো তেক্সেইরা বলেছেন, তিনি নেইমারকে ফেরানোর আশা ছাড়ছেন না-
“আমরা নিজেদের লক্ষ্যের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট আছি। তার (নেইমারের) বাবা এবং তার কর্মীরাও এটা জানেন। তারা আমাকে চেনেন, তারা সান্তোসকেও ভালোভাবে জানেম। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, কারণ (আল হিলালে) তার একটি চুক্তি আছে।"
তেক্সেইরা আরও বলেছেন, আগামী রোববার সান্তোস ও সিআরবির ম্যাচে নেইমারকে তাদের স্টেডিয়ামে স্বাগত জানানো হবে। এই ম্যাচে জয় পেলে তা সান্তোসের সেরি বি শিরোপা নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন
| মাঠে ফিরে আনন্দের সীমা নেই নেইমারের, ব্রাজিলের জার্সিতে ফিরবেন কবে? |
|
গত বছরের অক্টোবরে এসিএল চোটের শিকার হন নেইমার। সেরে উঠে মাঠে ফেরেন গত মাসে। তবে মাত্র দুটি ম্যাচ বদলি হিসেবে খেলার পর আবার পেশীতে চোট পেয়েছেন। ডিসেম্বরের আগে তার আর মাঠে ফেরার সম্ভাবনা নেই।
দুই বছরের চুক্তির একটা বড় সময় নেইমার চোটের কারণে খেলতে না পারায় আল হিলালের মালিকপক্ষ তাকে আগেই ছেড়ে দিতে চান বলে খবর। গুঞ্জন রয়েছে, আগামী জানুয়ারিতে দুই পক্ষের সম্মতিতে বাতিল হতে পারে ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের চুক্তি।
আরও পড়ুন
| ১ বছর পর প্রস্তুত নেইমারের ফেরার মঞ্চ |
|
আর এই কারণেই উঠে আসছে সান্তোসের নাম। কারণ, এসিএল চোট থেকে সেরে ওঠার পর নেইমার বারবার সান্তোসের ম্যাচ দেখার এবং দলের খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলার ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যে। সব দিক মিলিয়ে তাই বাস্তবিকভাবেই তার আগামী বছর সান্তোসে ফেরার সম্ভাবনা জোড়াল বলেই ধরা হচ্ছে।
No posts available.
২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭:১৫ পিএম

ফিফা বিশ্বকাপ অনেক দূরের স্বপ্ন বাংলাদেশের জন্য। এএফসি এশিয়ান কাপের দরজাও লাল সবুজেরা খুলতে পারছে না লম্বা সময় ধরে। তবে ১৮ নভেম্বর ভারতকে হারানোয় দেশের ফুটবলে এখন আনন্দের জোয়ার। আগামী বছরটা বিশ্বকাপের। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি।
পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান কোকাকোলার সঙ্গে মিলে প্রতিবারই বিশ্বকাপের আগে ট্রফি ট্যুরের আয়োজন করে ফিফা। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ঢাকায় ১৪ জানুয়ারি বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন ফুটবলপ্রেমীরা। যদিও ট্রফি কোথায় প্রদর্শন করা হবে তা এখনো ঠিক হয়নি।
ঢাকার আগে ভারতের দিল্লি ও গুয়াহাটিতে ট্রফি প্রদর্শন করানো হবে। ২০২২ বিশ্বকাপের আগেও ঢাকায় আনা হয়েছিল বিশ্বকাপ ট্রফি। সঙ্গে এসেছিলেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান কারেম্বু ও ফিফার সাত প্রতিনিধি।
৩৬ ঘণ্টার সেই সফরে বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে ছিল নানা আয়োজন। হয়েছিল কনসার্টও। ২০১৩ সালেও ঢাকায় এসেছিল বিশ্বকাপ ট্রফি, তবে সেটি ছিল আসল ট্রফির রেপ্লিকা।
বিশ্বকাপজয়ী দলের খেলোয়াড় ও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়া ট্রফি স্পর্শ করার অধিকার থাকে না কারও।

দুয়ারে কড়া নাড়ছে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত এই ইভেন্টের প্রথম অফিসিয়াল পোস্টার গতকাল প্রকাশ করেছিল ফিফা। সমালোচনা হওয়ায় সামাজিক মাধ্যম থেকে তা মুছে ফেলেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
লিওনেল মেসি, আর্লিং হলান্ড, মোহাম্মদ সালাহ ও ব্রুনো ফার্নান্দেজসহ অনেক দেশের খেলোয়াড়কে দেখা যায় বিশ্বকাপের প্রথম অফিশিয়াল পোস্টারে। পোস্টারে ছিলেন না পর্তুগিজ অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তাতে নেতিবাচক মন্তব্যের বন্যা বয়ে যায়। এরপরই পোস্টার মুছে ফেলে ফিফা।
আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। যেখানে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে ৪৮ দল। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ৪২ টি দল। বাকি ৬ টি দল নির্ধারিণ হবে ইউরোপিয়ান ও আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফ থেকে।
এরই মধ্যে বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগাল। বাছাইপর্বে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রোনালদো। ফলে বিশ্বকাপের মূল পর্বের প্রথম ম্যাচে দেখা যাবে না সিআরসেভেনকে।

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলায় আগামীকাল শনিবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে লাল-সবুজের কিশোররা পাচ্ছে তিমুর লেস্তেকে। চীনের টংলিয়াং লং স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায়।
বাছাইয়ে বাংলাদেশ পড়েছে ‘এ’ গ্রুপে। যেখানে স্বাগতিক চীন ছাড়াও আছে তিমুর লেস্তে, বাহরাইন, ব্রুনেই ও শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলটি যাবে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে। ১৬ দল নিয়ে মূল প্রতিযোগিতা গড়াবে আগামী বছর সৌদি আরবে। ৯টি দল এরই মধ্যে মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে, বাকি ৭ দল আসবে বাছাইপর্ব থেকে।
টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গত ১৮ নভেম্বর চীনে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। আজ ছিল দলের প্রি-ম্যাচ প্রেস কনফারেন্স। সেখানে কথা বলেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল।
এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে শুরুটা জয় দিয়ে করতে চান কোচ গোলাম রব্বানী। বাংলাদেশ অবশ্য তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে। সম্প্রতি ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ উন্নীত হওয়া বাংলাদেশ আছে ১৮০-তে। সেখানে বাংলাদেশের চেয়ে ১৮ ধাপ পিছিয়ে তিমুর লেস্তে (১৯৮)।
বাছাইয়ে প্রতিটি দল খেলবে পাঁচটি করে ম্যাচ। শেষে পয়েন্টের ভিত্তিতে শীর্ষ দল পাবে মূল আসরের টিকিট। বাংলাদেশ চায় ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে এগুতে। কোচ ছোটন বলেন,
‘নিজেদের খেলায় ফোকাস করবো, গেম প্ল্যানে থাকবো এবং ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলব। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার চেষ্টা করব। কারণ আমরা কোয়ালিফাই করার জন্য এখানে এসেছি।’
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে কঠিন সময় পার করতে হবে স্বাগতিক চীন ও বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচে। দুটি দলই বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিমত্ত্বায় এগিয়ে। কোচ গোলাম রব্বানী অবশ্য সেসব নিয়ে চিন্তিত নন। জানিয়েছেন, তাঁর দল চীনে খেলার জন্য এবং জেতার জন্য মুখিয়ে আছে।
কোচের মতো ধাপে ধাপে টুর্নামেন্টে এগুনোর কথা বলেন অধিনায়ক নাজমুল হুদাও,
‘সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন এই ম্যাচ ভালো করতে পারি। এবং আমাদের পরের ম্যাচ ধাপে ধাপে ভালো করতে পারি। আমরা এখান থেকে ভালো একটা রেজাল্ট নিয়ে ফিরতে চাই।’
বাংলাদেশ দল যেদিন চীনের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ে সেদিন সিনিয়র জাতীয় ফুটবল দল ঘরের মাঠে হারায় ভারতকে। প্রাণ ফেরে হোম অব ফুটবল- জাতীয় স্টেডিয়ামে। এবার বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সাফল্য আনতে মরিয়া নাজমুল হুদা,
‘বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবল যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে; সিনিয়র টিম যেভাবে নিজেদেরকে প্রমাণ করতেছে, ইনশাআল্লাহ আমরাও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখব।’

৩০ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলা ফুটবল দলের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। আগামীকাল শনিবার সিরাজগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলা ফুটবল দলের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে প্রতিযোগিতার। প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় উঠেছে দল দুটি। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে গড়াবে ফাইনাল। শুরু হবে বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে।
১১ নভেম্বর প্রথম সেমিফাইনালে দিনাজপুর ৩-২ গোলে চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। পরের দিন দ্বিতীয় সেমিফাইনালে যশোরকে ২-০ গোলে হারায় সিরাজগঞ্জ। এবার ফাইনালে মুখোমুখি দেশের উত্তরের দুটি জেলা।
আরও পড়ুন
| স্পেনের হয়ে খেলার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন মেসি |
|
ফাইনাল উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে হয় সংবাদ সম্মেলন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি। এছাড়াও ছিলেন বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুল হাসান হিল্টন ও শাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া শাহিন এবং ফাইনালিস্ট দুই দলে কোচ, অধিনায়ক।
নিজের প্রাথমিক বক্তব্যে দিনাজপুর দলের কোচ শামিম আহমেদ বলেন,
'আমার লক্ষ্য ছিল শুধু সদর না, গ্রাম থেকেও খেলোয়াড় বাছাই করা এবং তাদের নিয়ে দল গঠন করা। আমরা সেই দল নিয়ে ফাইনালে উঠেছি। অবশ্যই সিরাজগঞ্জ আমাদের সামনে শক্ত প্রতিপক্ষ। তবে আমরা শিরোপা জিততে আশাবাদী।'
আরও পড়ুন
| ফুটবলকে বিদায় বললেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফার্নান্দিনহো |
|
এবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ আট পর্যন্ত খেলাগুলো হয়েছে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। তাতে সুফল দেখেন দিনাজপুর কোচ,
'এটি খুব ভাল দিক ছিল। স্বাগতিক হলে সুবিধা পাওয়া যায়। আবার অ্যাওয়ে গেলে চাপে পড়ে যাই। সেটা ওভারকাম করতে কি করতে হয় তা আমরা শিখেছি। যাইহোক হোম অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা হলে ভাল হয়।'
দিনাজপুর দলের অধিনায়ক মাসুদ রানা বলেন,
'আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাল আয়োজন ছিল। বিশেষকরে হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলায় আমরা অনেক কিছু শিখেছি।'
নিজ দলের শক্তিমত্তা জানাতে গিয়ে মাসুদ,
'টার্ফে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আমাদের দলের। আর ফাইনাল হবে টার্ফে, এটা আমাদের এগিয়ে দেবে।'
আরও পড়ুন
| মেসির ম্যাচ দিয়েই খুলছে ইন্টার মায়ামির স্বপ্নের স্টেডিয়াম |
|
আবার এতদূর এসে শিরোপা ছাড়া ঘরে ফিরতে চায় না সিরাজগঞ্জ। দলের কোচ মাহবুব আলম পিয়াল এদিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন,
'৩৯ বছর পর এই প্রথম আমাদের জেলা ফাইনালে উঠেছে। আপনারা জানেন যমুনাঘেষা জেলা আমরা। অনেক কাঠখোড় পুড়িয়ে এসেছি। এখান থেকে শিরোপা হাতে ফিরতে চাই।'
সিরাজগঞ্জ দলে সিনিয়র প্লেয়ার কম। বেশিরভাগই তরুণ। তবে যারা আছে তাঁরা ৯০ মিনিট খেলতে পারবে এবং লড়াই করতে পারবে বিশ্বাস মাহবুব আলমের।
অধিনায়ক মিলন জানান,
'আমাদের টিমে অনেক জুনিয়র খেলোয়াড়। হোম-অ্যাওয়ে ম্যাচ ছিল, জানতাম চ্যালেঞ্জ থাকবে। এখন আমরা ফাইনালে। সবার কাছে দোয়া প্রার্থী। ৮-১০ টা বাস আসবে খেলা দেখার জন্য, সিরাজগঞ্জকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য।'
এই ম্যাচের উন্মাদনায় সিরাজগঞ্জে বড় পর্দায় খেলা দেখাবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন
| ২৬ মাস পর ফিরছেন পল পগবা |
|
টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হ্যাপি বলেছেন,
'দীর্ঘ তিন মাসের জার্নি শেষে আগামীকাল শুরু হচ্ছে ফাইনাল। খেলাটার উদ্দেশ্য ছিল তৃনমুল থেকে খেলোয়াড় সংগ্রহ করা। সুপার সিক্সটিন থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩ জন ফুটবলার নজরে রেখেছি। কাল ফাইনাল, এখান থেকে হয়ত আরও কয়েকজন পাবো। এলিট একাডেমির মাধ্যমে তাদের পরিচর্যা করব। দেশের জন্য প্রস্তুত করব।’
ফাইনালে প্রধান অতিথি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া, বিশেষ অতিধি থাকবেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম এবং সভাপতিত্ব করবেন বাফুফে প্রেসিডেন্ট তাবিথ আউয়াল।

মেসির জন্ম আর্জেন্টিনায়। তবে ১১ বছর বয়সে স্পেনের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন ফুটবলের এই মহাতারকা। বার্সেলোনার একাডেমি লা মাসিয়ায় বেড়ে উঠে কাতালান ক্লাবটির ইতিহাসের সেরা ফুটবলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে মেসির বার্সা সতীর্থদের অনেকেই স্পেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। চাইলেই তো স্পেন জাতীয় দলের জার্সি বেছে নিতে পারতেন। সুযোগও এসেছিল, এমনকি ‘লা রোজাদের’ হয়ে খেলার দ্বারপ্রান্তেই নাকি ছিলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেসি।
আর্জেন্টিনার হয়ে সবধরনের শিরোপা জয়ের স্বাদই পেয়েছেন মেসি। কোপা আমেরিকা-বিশ্বকাপ-কোপা আমেরিকা, এভাবেই সিরিজ পূর্ণ করেন ইন্টার মায়ামির তারকা। তবে এই গল্পের শুরু তো ২০২১ সাল থেকে। এর আগে আর্জেন্টিনার জার্সিতে কঠিন থেকে কঠিনতর সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে মেসিকে। বিশ্বকাপের ফাইনাল হারের পর টানা দুই কোপা আমেরিকার ফাইনাল থেকে খালি হাতে ফেরার যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হয়েছে অনেকদিন।
অবশ্য এসব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়াই হতো না মেসির। যদি স্পেন জাতীয় দলের হয়ে খেলতেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। বার্সেলোনায় পাড়ি জমানোর পর মেসির মতো অনন্য প্রতিভাকে ছিনিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ এসেছিল স্পেনের।
সম্প্রতি আর্জেন্টিনায় ‘ওলে সামিট-২০২৫’-এ মেসিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন আর্জেন্টিনার সাবেক কোচ হোসে পেকারমান। তিনি বলেন, ‘আমরা ফিনল্যান্ডে একটি অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্ট থেকে মেসি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম। সেখানে স্প্যানিশ কোচরা স্পষ্টভাবে বলেছিলেন—যদি এই প্রতিভা তাদের পুরোপুরি হাতে থাকত, তারা টুর্নামেন্ট জিতত।’
২০০৩ সালের সেই ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে যায়। তবে স্প্যানিশ কোচের এই কথা আর্জেন্টাইন কোচদের মনে গেঁথে যায়। কিছুদিন পর, পেকারম্যান স্পেন সফরে গিয়ে লেগানেস বনাম আলকোরকন ম্যাচে মেসিকে সরাসরি দেখেন এবং নিশ্চিত হন—স্পেন যে কোনো সময় মেসিকে জাতীয় দলে ডাকতে পারে।
পেকারম্যান দ্রুত বুঝতে পারেন, ফিফার নিয়ম অনুযায়ী মেসিকে আর্জেন্টিনা না খেলালে তিনি স্পেনের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে যাবেন। তাই ২০০৪ সালের ২৯ জুন আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে মেসিকে নামানো হয়।
পেকারম্যান যোগ করেন, ‘আমি তার বিশাল সম্ভাবনা বুঝতে পেরেছিলাম। সে আর্জেন্টাইন ফুটবলে বিপ্লব ঘটানোর মতো একজন, সত্যিকারের আশীর্বাদ। কিন্তু তখনই স্পেন তার জন্য অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে খেলানোর নথি-পত্র তৈরি করে রেখেছিল। তখনকার ফিফা বিধিমালা অনুযায়ী, একজন খেলোয়াড় একবার কোনো দেশের যুব দলে খেললে, অন্য দেশের হয়ে সিনিয়র দলে খেলার যোগ্যতা হারাতেন। আমাদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হতো।’
পেকারমান এরপর আর্জেন্টিনার জন্য একটি কৌশলগত পরিকল্পনা করেন। তিনি অনূর্ধ্ব-২০ দলের তখনকার কোচ হুগো টোকাল্লিকে ফোন করে পরিস্থিতি ব্যাখা করেন, ‘আমি তাকে নির্দেশ দিয়েছিলাম—যদি একান্ত বাধ্য না হও, তাহলে মেসিকে শুধু একটি প্রীতি ম্যাচে খেলাও। ম্যাচশিটে তার সই নাও এবং তা ফিফায় জমা দাও। এই একটি কাজই স্পেনকে স্থায়ীভাবে তাকে দাবি করা থেকে বিরত রাখবে।’
শেষ পর্যন্ত মেসির নিয়তি লিখ ছিল আর্জেন্টিনাতেই। আকাশি-সাদা জার্সিতে অনেক হৃদয়ভাঙ্গার গল্প লিখেছেন। তবে গল্পের শেষটা যে মধূরই হয়েছে।