
সান্তোস নামটি শুনলে ফুটবলপ্রেমীদের মনে সবার আগে ভেসে ওঠে একটি নাম - পেলে। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের কল্যাণে বিশ্ব মানচিত্রে পরিচিতি পাওয়া ব্রাজিলের এই ক্লাবটিতে তার পরবর্তী সময়ের সেরা প্রতিভাবানদের একজন নেইমার। পেশাদার ক্যারিয়ার এখানে শুরু করার পর ছেড়েছেন ঠিকানা। তবে এক বছর বাদে দেশটির শীর্ষ লিগে ফিরে সাবেক বার্সেলোনা তারকাকে ক্লাবে টানার জন্য বেশ আশাবাদী হয়ে উঠছে সান্তোস।
২০২৩ সালে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের শীর্ষ লিগ থেকে রেলিগেটেড হয় সান্তোস। তবে গত সোমবার রাতে সেরি বি-এর ম্যাচে করিতিবাতেকে ২-০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের সেরি আ-তে তার স্থান নিশ্চিত করেছে আবার।
আরও পড়ুন
| নেইমারের চুক্তি বাতিলের ‘চিন্তা করছে’ আল হিলাল! |
|
২০১১ সালে নেইমারের হাত ধরেই সান্তোস তাদের প্রথম কোপা লিবার্তাদোরেস শিরোপা জিতেছিল। ২০১৩ সালে যোগ দেন বার্সেলোনায়। এরপর সেখান থেকে পিএসজি ঘুরে এখন আছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে, যেখানে তার চুক্তি শেষ আগামী বছরের জুনে।
গত মঙ্গলবার সান্তোসের সভাপতি মার্সেলো তেক্সেইরা বলেছেন, তিনি নেইমারকে ফেরানোর আশা ছাড়ছেন না-
“আমরা নিজেদের লক্ষ্যের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট আছি। তার (নেইমারের) বাবা এবং তার কর্মীরাও এটা জানেন। তারা আমাকে চেনেন, তারা সান্তোসকেও ভালোভাবে জানেম। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, কারণ (আল হিলালে) তার একটি চুক্তি আছে।"
তেক্সেইরা আরও বলেছেন, আগামী রোববার সান্তোস ও সিআরবির ম্যাচে নেইমারকে তাদের স্টেডিয়ামে স্বাগত জানানো হবে। এই ম্যাচে জয় পেলে তা সান্তোসের সেরি বি শিরোপা নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন
| মাঠে ফিরে আনন্দের সীমা নেই নেইমারের, ব্রাজিলের জার্সিতে ফিরবেন কবে? |
|
গত বছরের অক্টোবরে এসিএল চোটের শিকার হন নেইমার। সেরে উঠে মাঠে ফেরেন গত মাসে। তবে মাত্র দুটি ম্যাচ বদলি হিসেবে খেলার পর আবার পেশীতে চোট পেয়েছেন। ডিসেম্বরের আগে তার আর মাঠে ফেরার সম্ভাবনা নেই।
দুই বছরের চুক্তির একটা বড় সময় নেইমার চোটের কারণে খেলতে না পারায় আল হিলালের মালিকপক্ষ তাকে আগেই ছেড়ে দিতে চান বলে খবর। গুঞ্জন রয়েছে, আগামী জানুয়ারিতে দুই পক্ষের সম্মতিতে বাতিল হতে পারে ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের চুক্তি।
আরও পড়ুন
| ১ বছর পর প্রস্তুত নেইমারের ফেরার মঞ্চ |
|
আর এই কারণেই উঠে আসছে সান্তোসের নাম। কারণ, এসিএল চোট থেকে সেরে ওঠার পর নেইমার বারবার সান্তোসের ম্যাচ দেখার এবং দলের খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলার ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যে। সব দিক মিলিয়ে তাই বাস্তবিকভাবেই তার আগামী বছর সান্তোসে ফেরার সম্ভাবনা জোড়াল বলেই ধরা হচ্ছে।
No posts available.
১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৫:৪০ পিএম
১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩:৪৫ পিএম
১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম

কিলিয়ান এমবাপে পার করেছেন স্বপ্নের এক রাত। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ইউক্রেনকে ৪–০ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। ফরাসিদের হয়ে জোড়া গোল করেন এমবাপে। তাতেই দারুণ এক মাইলস্টোন স্পর্শ করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে বুধবার রাতে ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করার পর ৮৩তম মিনিটে আরেকটি গোল করেন এমবাপে। এই দুই গোলে ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছেন তিনি। ২৬ বছর বয়সী এই তারকা পূর্ণ করেছেন ক্যারিয়ারে ৪০০ গোল।
এই বয়সে যেভাবে ছুটছেন তাতে মনে হচ্ছে লিওনেল মেসি ও রোনালদোকে ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। এমন অসম্ভবকে সম্ভব করার প্রচেষ্টায় কোনো কমতি রাখতে চান না এমবাপে।
“ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ১ হাজার গোল? সেটি ছোঁয়া অবাস্তব। তবে অভাবনীয় কিছুর চেষ্টা করা যাক! আমাদের একটাই ক্যারিয়ার, চেষ্টা করে যেতে হবে।”
ইউক্রেনের বিপক্ষে এই জয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গ্রুপ ‘ডি’ থেকে পাঁচ ম্যাচে ৪ জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দিদিয়ের দেশমের দল। গোল ব্যবধানে সমান ৭ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে দুইয়ে ও তিনে থাকা আইসল্যান্ড ও ইউক্রেন প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল।
এমবাপে আরও বলেন,
“খুবই গর্বিত সেখানে (বিশ্বকাপে) জায়গা করে নিতে পেরে। এটাকে কখনোই হালকা করে দেখা উচিত নয়। এখন এটা হয়তো আমাদের জন্য খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তবে ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলের ইতিহাসে সবসময়ই ব্যাপারটি এমন ছিল না।”

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আয়ারল্যান্ডের কাছে ২–০ গোলে হেরেছে পর্তুগাল। এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম লাল কার্ড দেখেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ম্যাচ শেষে আয়ারল্যান্ড কোচ হেইমির হালগ্রিমসন এটিকে রোনালদোর ‘মূর্খতাপূর্ণ মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।
ডাবলিনে গতকাল ম্যাচের ৬১ মিনিটে আইরিশ ডিফেন্ডার দারা ও’শিয়াকে কনুই দিয়ে আঘাত করে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখেন রোনালদো। পরে রেফারি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। মাঠ ছাড়ার সময় রোনালদো ও হেইমিরের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য–বিনিময়ও হয়, যদিও শেষে দুজনই করমর্দন করেন।
ম্যাচ শেষে আইরিশ কোচ হেইমির বলেন,
‘রোনালদো আমাকে বলেছে, আমি নাকি রেফারির ওপর চাপ দিচ্ছিলাম। আসলে এটা পুরোই তার কাজের ফল। তার ওই আচরণই তাকে লাল কার্ড দিয়েছে, আমার কারণে কিছু হয়নি। এটা তার এক মূর্খতাপূর্ণ মুহূর্ত।’
এই ম্যাচে একটি বিরল রেকর্ড হয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আভিভা স্টেডিয়ামে এটি টানা তৃতীয় সরাসরি লাল কার্ড। এর আগে হাঙ্গেরির রোল্যান্ড সালাই ও আর্মেনিয়ার টাইগ্রান বারসেঘিয়ান একই মাঠে লাল কার্ড দেখেন। এ বিষয়ে হেইমির মনে করেন দর্শকদের পরিবেশই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারে,
‘এখানকার দর্শকদের পরিবেশই হয়তো প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে। এমন আবহ অনেক জায়গায় নেই।’
রোনালদোর লাল কার্ড দেখাকে অপ্রত্যাশিত মনে করেন পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্তিনেজ,
‘২২৬ ম্যাচে কখনও লাল কার্ড না পাওয়া একজন খেলোয়াড়। আজকের সিদ্ধান্তটা একটু কঠিন ছিল। তাকে পুরো ম্যাচজুড়ে ধরা, টানা, ঠেলাঠেলি করা হয়েছে। ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলে কনুই মনে হলেও এটা পুরো শরীরের ধাক্কা।’
মার্তিনেজের অভিযোগ, আইরিশ কোচ রেফারিদের ওপর প্রভাব ফেলতে চাইছিলেন।
‘ওদের কোচ রেফারিকে প্রভাবিত করা নিয়ে মন্তব্য করছিলেন। তারপরই এমন নাটকীয়ভাবে ডিফেন্ডার পড়ে গেল। এতে আমাদের খারাপ লেগেছে।’
আয়ারল্যান্ডের কাছে হারলেও এখনো বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করার সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি পর্তুগালের। নিজেদের শেষ ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা আর্মেনিয়াকে হারাতে পারলেই সরাসরি বিশ্বকাপে পৌঁছে যাবে পর্তুগাল। তবে লাল কার্ড দেখায় রবিবার আর্মেনিয়ার বিপক্ষে দেখা যাবে না পর্তুগালের অধিনায়ক রোনালদোকে।

মৌসুমের শেষ আন্তর্জাতিক বিরতি, আজ আফ্রিকার মাটিতে বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে আর্জেন্টিনা। লুয়ান্ডার এস্তাদিও ১১ দে নভেমব্রোতে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে মাঠে নামবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজন করা হচ্ছে ম্যাচটি। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের প্রতিবেদন, ম্যাচের শুরু থেকে খেলবেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি জয়ে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে আর্জেন্টিনা। ভেনেজুয়েলাকে ১–০ এবং পুয়ের্তো রিকোকে ৬–০ গোলে উড়িয়ে দেয় লিওনেল স্কালোনির দল। তবে অ্যাঙ্গোলার মাঠে নামার আগে স্কালোনি পাচ্ছেন না বেশ কয়েকজন মূল খেলোয়াড়কে।
এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত গোলরক্ষকদের সুযোগ দিতে। হাঁটুর চোটে নেই মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ। হলুদজ্বরের বাধ্যতামূলক টিকা না নেওয়ায় যেতে পারেননি হুলিয়ান আলভারেজ, নাহুয়েল মোলিনা ও জিলিয়ানো সিমিওনে। দলে চমক হিসেবে ডাক পেয়েছেন জোয়াকিন পানিচেল্লি, জিয়ানলুকা প্রেস্তিয়ান্নি, ম্যাক্সিমো পেরোনে আর ফিরেছেন ভ্যালেন্টিন বারকো।
আরও পড়ুন
| বার্সেলোনার কিংবদন্তি মেসির সম্মানে ভাস্কর্য হবে ক্যাম্প ন্যুতে |
|
আর্জেন্টিনার লিগে এই সপ্তাহেই নির্ধারিত হচ্ছে প্লে-অফ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জায়গা— তাই দেশের লিগের খেলোয়াড়দের এই দফায় ডাকেননি স্কালোনি। এই ম্যাচেই প্রথমবার মাঠে দেখা যাবে ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্টিনার নতুন জার্সি। কয়েক দিন আগেই উন্মোচিত হয়েছে সেই জার্সি, যার অভিষেক হতে যাচ্ছে লুয়ান্ডাতেই।
অ্যাঙ্গোলায় যাওয়ার আগে পুরো সপ্তাহ স্পেনের এলচেতে অনুশীলন করেছে দল। বৃহস্পতিবার ম্যানুয়েল মার্তিনেজ ভালেরো স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার ওপেন প্র্যাকটিস দেখতে জড়ো হন ২০ হাজারের বেশি দর্শক। অনুশীলন শেষে এলচে ক্লাবের অংশীদার ক্রিস্তিয়ান ব্রাগারনিক বিশেষভাবে উপহার দেন ক্লাবের ‘১০ নম্বর’ জার্সি লিওনেল মেসির হাতে।
অন্যদিকে অ্যাঙ্গোলা ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই থেকেই ছিটকে গেছে। গ্রুপ ‘ডি’-তে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ হয়ে শেষ করেছে তারা। সামনে আর কোনো বড় টুর্নামেন্ট নেই— তাই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এই ম্যাচটি তাদের জন্য মর্যাদার লড়াই, আর নিজেদের নতুন করে গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগও।
আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ
গোলরক্ষক: জেরোনিমো রুলি
রক্ষণ: হুয়ান ফয়থ, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্দি, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো
মাঝমাঠ: রদ্রিগো দি পল, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, জিওভানি লো সেলসো/নিকোলাস পাজ
আক্রমণ: লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্টিনেজ, থিয়াগো আলমাদা
কোচ: লিওনেল স্কালোনি
অ্যাঙ্গোলার সম্ভাব্য একাদশ
গোলরক্ষক: হুগো মার্কেস
রক্ষণ: ক্লিনটন মাথা, ডেভিড কার্মো, কিয়ালোন্ডা গ্যাসপার, তো কার্নেইরো
মাঝমাঠ: ফ্রেডি, বেনি মুকেন্দি, টিচার
আক্রমণ: জিটো লুভুম্বো, মাবুলুলু, চিকো বানজা
কোচ: পাত্রিস বোয়ামেল

সন্দেহাতীতভাবে বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে কতশত স্বরণীয় মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা সে হিসেব করে কূল পাওয়া যাবে না। নিজেদের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারকে চিরস্বরনীয় করে রাখতে ভাস্কর্য স্থাপন করবে বার্সা।
সম্প্রতি কাউকে ঘুণাক্ষরেও টের পেতে না দিয়ে ক্যাম্প ন্যুতে ঘরে যান মেসি। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে কোনো একদিন সাবেক ক্লাবে ফেরারও বার্তা দেন ইন্টার মায়ামির মহাতারকা। তবে আপাতত মেসির ফেরা অবাস্তাব বলেন বার্সেলোনার সভাপতি জোয়ান লাপার্তা। অবশ্য বার্সা কিংবদন্তিকে ক্যাম্প ন্যুতে ইতিহাসের সেরা শ্রদ্ধা জানানোর পরিকল্পনার কথা বলেন তিনি।
বার্সার প্রধান স্টেডিয়াম ক্যাম্প ন্যু’এর সংস্কার কাজ প্রায়ই শেষ হয়ে এসেছে। বার্সেলোনা সভাপতি নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্প ন্যু বাইরে লিওনেল মেসির একটি ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। লাপার্তা বলেন,
‘আমরা সকল কিউল (বার্সা সমর্থক) চাই, লিও মেসির একটি ভাস্কর্য স্পোটিফাই ক্যাম্প ন্যুতে থাকুক। আমরা এর ওপর কাজ করছি, এবং যদি মেসির পরিবার একমত হয়, ডিজাইন তৈরি হলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
লাপার্তা আরও যোগ করেন,
‘মেসি সবসময় বার্সার অংশ হয়ে থাকবেন। তিনি জানেন আমাদের দরজা সবসময় তার জন্য খোলা। আমরা তার প্রতি পূর্ণ সম্মান রাখি। বার্সার থেকে সেরা শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য মেসি।’
ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়ামের বাইরে ক্লাবটির কিংবদন্তি জোয়ান ক্রুইফ ও লাসজলো কুবালার ভাস্কর্য আছে। তাদের মতো মেসিকেও কাতালান ক্লাবটি চিরস্বরণীয় করে রাখতে প্রতিমূর্তি তৈরির করবে বলে জানান বার্সা সভাপতি,
‘মেসির স্পোটিফাই ক্যাম্প ন্যুতে একটি ভাস্কর্য থাকা উচিত, ঠিক ক্রুইফ এবং কুবালার মতো। তিনি এমন একজন আইকনিক খেলোয়াড়, যার ছাপ বার্সার হৃদয়ে চিরঅম্লান থাকবে।’
২০২১ সালে হঠাৎ বার্সেলোনা ছাড়তে হয় মেসিকে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির একাডেমিতে যোগ দেন তিনি। ক্লাবটিতে ২১ বছরে ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ গোল করেছেন এবং ১০টি লা লিগা শিরোপা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি এবং তিনটি ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন ৩৮ বছর বয়সী ফুটবলার।

কাতালান ডার্বিতে লামিনে ইয়ামালের সেই গোল এখনো চোখে লেগে থাকার কথা ফুটবলপ্রেমীদের। গত মৌসুমে স্পেনিওলের বিপক্ষে বার্সেলোনার তরুণ তারকা উইঙ্গারের চোখ ধাঁধানো বাঁকানো শট গোলকিপার জোয়ান গার্সিয়াকে পরাস্ত করে।
ইয়ামালের সেই গোল বর্ষসেরা (ফিফা পুসকাস অ্যাওয়ার্ড) গোলের জন্য মনোনীত হয়েছে। গতকাল ফিফা পুসকাস অ্যাওয়ার্ড এবং মার্টা অ্যাওয়ার্ডের মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। মূলত পুরুষ ও নারী ফুটবলে সারা বছরে সেরা সব গোলের মধ্যে সবচেয়ে সেরা গোলের স্বীকৃতি স্বরুপ পুসকাস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
বর্ষসেরা গোলের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে ১১টি গোল। সবশেষ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জেতা ম্যাচে ডেকলান রাইসের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক আছে এই তালিকায়।
সবশেষ পুসকাস জিতেছিলেন চেলসির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আলেজান্দ্রো গারনাচো। ২০২৪ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এভারটনের বিপক্ষে অসাধারণ ওভারহেড কিকে জন্য এই স্বীকৃতি পান তিনি।
পুসকাস অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ী নির্ধারিত হবে ফ্যানদের ভোট এবং `ফিফা লেজেন্ডস’ প্যানেলের ভোটের সমন্বয়ে। ১১ আগস্ট ২০২৪ থেকে ২ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত ফুটবলারদের সেরা গোল বাছাই করা হয়।
ফিফার বাছাই করা সেরা ১১ গোল দেখে নিন: https://www.fifa.com/en/cat/6qqB054aCB8jEeL7HRWpOe
পুসকাস অ্যাওয়ার্ডের জন্য ভোট দিতে ফিফার অফিসিয়াল সাইটে নিবন্ধন করতে হবে ফ্যানদের। নিবন্ধনের পর তারা তাদের তিনটি প্রিয় গোলকে ক্রমান্বয়ে ভোট দিতে পারবেন। প্রথম পছন্দে ৫ পয়েন্ট, দ্বিতীয় পছন্দে ৩ পয়েন্ট, এবং তৃতীয় পছন্দে ১ পয়েন্ট।
দেখে নেওয়া যাক কারা পেল পুসকাস অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন :
আলার্রান্ড্রো (ক্রুজেইরো), আলেসান্দ্রো ডেইলোয়া (ক্যালিয়ারি), পেদ্রো দে লা ভেগা (সিয়াটল সাউন্ডার্স), সান্তিয়াগো মন্টিয়েল (ইনডিপেন্ডিয়েন্ট), আমর নাসের (ফার্কো), কার্লোস ওরান্তিয়া (এটলাস), লুকাস রিবেইরো (মমেলোদি সান্ডাউন্স), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), রিজকি রিদো (পার্সিজা জাকার্তা), কেভিন রোদ্রিগেজ (কাসিমপাশা), লামিনে ইয়ামাল (বার্সেলোনা)।