একই রাতে বেশ কিছু বড় ম্যাচের দেখাই মিলেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। আবার দেখা মিলেছে গোল উৎসবেরও। বড় দলগুলো এদিন যেন রীতিমত গোলের খেলায় মেতেছে। বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা, ডর্টমুন্ড, ইন্তার মিলান ও ম্যানচেস্টার সিটি।
বার্সার ৫-০ গোলের জয়ে ফ্লিকের প্রথম
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম ম্যাচে মোনাকোর সাথে বড় ব্যবধানে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই বড় জয় তুলে নিয়েছে বার্সেলোনা। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হান্সি ফ্লিকের অধীনে বার্সার ডাগআউটে দেখা মিলেছে প্রথম জয়। এদিন ঘরের মাঠে ইয়াং বয়েজের জালে বার্সেলোনা দিয়েছে ৫ গোল। বিপরীতে হজম করেনি একটাও।
জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক রবার্ট লেভানডফস্কি। এছাড়া একটা করে গোল করেছেন রাফিনিয়া ও ইনিগো মার্তিনেজ। বার্সার অন্য গোলটি এসেছে আত্মঘাতী থেকে।
পিএসজিকে হারিয়ে আর্সেনালের বাজিমাত
মঙ্গলবার রাতে সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ ছিল আর্সেনাল-পিএসজির লড়াই। যেখানে বাজিমাত করেছে মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল। ঘরের মাঠে তারা লুইস এনরিকের দলকে হারিয়েছে ২-০ গোলে। প্রথম ম্যাচে আতালান্তার সাথে ড্র করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে গানাররা। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে জিরোনার সাথে শেষ মূহর্তে জয় পেলেও এদিন আর তেমন কিছু ঘটাতে পারেনি পিএসজি।
আর্সেনালের গোল দুটি আসে প্রথমার্ধে। ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় আর্সেনালকে প্রথম গোল এনে দেন কাই হাভার্টজ। ৩৫ মিনিটে বুকায়ো সাকা দারুণ এক ফ্রি কিক থেকে ব্যবধান বাড়ান। অন্যদিকে পিএসজির জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট। বেশ কয়েকবারই তাদের বল আটকে যায় বারপোস্টে। তাতে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লুইস এনরিকের দলকে।
বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের গোলবন্যা
টানা দুই ম্যাচেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয় তুলে নিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। প্রথম ম্যাচের তুলনায় এদিন আরও দাপুটে জয় মিলেছে জার্মান ক্লাবটির। স্কটিশ ক্লাব সেলটিকের জালে তারা গুণে গুণে দিয়েছে সাত গোল। তাতে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টেবিল টপার ডর্টমুন্ড।
হ্যাটট্রিক করে জয়ের মূল নায়ক আদেয়ামি। দু'টি গোল করেছেন গুইরাসি আর একটি করে গোল করেছেন এমরি চান ও এনমেচা।
এছাড়া জাবি আলোনসোর লেভারকুসেন জয় তুলে নিয়েছে এসি মিলানের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে ড্র করা ইন্তার মিলান ও ম্যানচেস্টার সিটি দ্বিতীয় ম্যাচে তুলে নিয়েছে দাপুটে জয়। মজার ব্যাপার দু'দুলই জয় পেয়েছে সমান ৪-০ গোলে।
নিষিদ্ধ মাদক গ্রহণের দায়ে পাওয়া বড় নিষেধাজ্ঞা কমে আসার পর অন্যরকম মুক্তির আনন্দে ভাসছেন পল পগবা। মাঠে ফেরার প্রস্তুতিতে তাকে সবার আগে যোগ দিতে হবে ক্লাব য়্যুভেন্তুসেই। তবে শুরুতেই সেখানে বিপত্তি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে থাকা ফরাসি মিডফিল্ডারের চুক্তি বাতিলের কথা চিন্তা করছে ইতালিয়ান ক্লাবটি, এমনটাই খবর গণমাধ্যমের।
ডোপ-বিরোধী বিধি ভাঙার পগবাকে শুরুতে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে ৪ সেটা কমিয়ে এখন ১৮ মাসে আনা হয়েছে। ফলে আগামী বছরের মার্চে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে আবারও ফিরতে পারবেন পগবা। আর তার আগে আগামী জানুয়ারি থেকেই ক্লাবের সাথে অনুশীলন শুরু করতে পারবেন তিনি। সে হিসেবে য়্যুভেন্তুসের সাথেই অনুশীলন করার কথা বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা মিডফিল্ডারের, ২০২৬ সাল পর্যন্ত ওল্ড লেডিদের সাথে চুক্তি আছে পগবার।
তবে বাতাসে ভাসছে যেসব খবর, তাতে তার সাথে নাকি চুক্তি বাতিল করার কথা চিন্তা করছে য়্যুভেন্তুস। ইতালিয়ান গণমাধ্যম লা গাজ্জেত্তা দেল স্পোর্টস তো বড় করেই খবর ছাপিয়েছে পগবাকে নিয়ে। যেখানে তারা জানিয়েছে, পগবা মার্চে মাঠে ফিরলেও য়্যুভেন্তুসে আর ফেরা হচ্ছে না তার।
একই কথাই জানিয়েছে ইতালিয়ান আরও বেশ কিছু গণমাধ্যম। তাদের দাবি, এক বছরের মত খেলার মধ্যে না থাকায় পগবার ওপর আস্থা হারিয়েছে ক্লাবটি। এই সময়ে একা অনুশীলন চালিয়ে গেলেও সেটাকে খুব একটা ক্লাব আমলে নিচ্ছে না বলেও জানাচ্ছে তারা।
এরই মধ্যে এই সমস্যার সমাধানে খুজতে দুই পক্ষের আইনজীবীরা কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছে লা গাজ্জেত্তা দেল স্পোর্টস । আর স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা বলছে, য়্যুভেন্তাস চুক্তি বাতিল করলে এমএলএস কিংবা সৌদি লিগই হতে পারে পগবার পরবর্তী গন্তব্য । তবে সংবাদ মাধ্যমটি এটাও নিশ্চিত করেছে যে, পগবা এখনই ইউরোপ ছাড়ার পক্ষে নন। ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিজেকে নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করতে সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবলার।
পজিশন ও খেলার ধরনের কারণে লিওনেল মেসির সাথে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের তুলনা এখন পর্যন্ত সেভাবে টানা হয়নি। তাছাড়া অর্জনের দিক থেকেও দুজনের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার মত যথেষ্ট রসদও যে জমা হয়নি। তবে চমক জাগানিয়া মন্তব্য এসেছে স্পেন থেকে। দুই ফুটবল পন্ডিত জোসে লুইস সানচেস ও এডু আগুউয়েরে দাবি করেছেন, ফুটবলার হিসেবে মেসির চেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তারকাই সেরা।
খটকা লাগার মতই মন্তব্য। কারণ, ২০১৮ সালে রিয়ালে যোগ দেওয়া ভিনিসিয়ুস এখন পর্যন্ত ক্লাব পর্যায়ে বেশ ভালোই করছেন। এবার সব ঠিক থাকলে জিতবেন ব্যালন ডি’অরও। তবে ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে পারফরম্যান্স সুবিধার নয়। বিপরীতে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে সাফল্যে ভরপুর এক ক্যারিয়ার পার করছেন মেসি। জিতেছেন বিশ্বকাপও। শিরোপা জেতার দিক থেকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে সফল ফুটবলারও আর্জেন্টিনা কিংবদন্তি।
তবে সম্প্রতি এল চিরিঙ্গুইতোর এক অনুষ্ঠানে সানচেস ও আগুউয়েরে দুজনের তুলনা টেনে এগিয়ে রাখেন ভিনিসিয়ুসকেই। “মেসির চেয়ে ভিনিসিয়ুস ভালো খেলোয়াড় এবং এটাই বাস্তবতা। আমার মতে, তারা তুলনা করার মত খেলোয়াড়, কিন্তু ড্রিবলিংই তাদের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।”
ভিনিসিয়ুস খেলেন লেফট উইং পজিশনে। গতি ও ড্রিবলিংই ব্রাজিল তারকার শক্তির জায়গা। বিশ্বের সেরা সব ডিফেন্ডারদের খাবি খাওয়ান গতির ঝড়ে, আর তাতে বাড়তি মাত্রা দেয় তার ড্রিবলিং। আর ক্যারিয়ার জুড়ে আক্রমণের বিভিন্ন পজিশনে খেলা মেসি প্লেমেকার হিসেবেও বিশ্বের অন্যতম সেরা। একজন পরিপূর্ণ ফুটবলার যাকে বলা যায়, তার সব গুণাবলিই আছে ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির।
তবে সানচেস-আগুউয়েরে মনে করছেন, স্কিলের দিক থেকে মেসিকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন ভিনিসিয়ুস-
“ভিনিসিয়ুস গতির ওপর বেশি নির্ভর করে। ভিনিসিয়ুস এটা লাইন বরাবর থেকে করে উইং ধরে, একদম ডিফেন্ডারদের সামনে। আর এটা এমন একটা পজিশন, যেখানে কার্যত কোনো জায়গাই থাকে না। ফাঁকা জায়গায় মেসি তার ড্রিবলিং দিয়ে ক্লিনিক্যাল হতে পারে, তবে ভিনিসিয়ুস আরও বেশি বিস্ফোরক এবং এসব জায়গা থেকে বল নিয়ে বের হওয়ার জন্য তার স্কিল বেশি।”
১৭ ঘণ্টা আগে
৪ দিন আগে
১০ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে