
ম্যাচ শুরুর চার মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ২০ মিনিটে জোড়া পূরণ করেন নিক ভোল্টেমেড। তবুও শেষটা সুন্দর হয়নি নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের।
আজ প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠ সেন্ট জেমস পার্কে চেলসিকে আতিথ্য দেয় ম্যাগপাইরা। শুরুতে এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে রিস জেমস ও জোয়াও পেদ্রোর গোলে ঘুরে দাঁড়ায় এনজো মারেস্কার দল। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দু’দলকেই।
প্রিমিয়ার লিগে চার ম্যাচ পর গোল পেলেন ভোল্টেমেড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচ পর। গোলখরা কাটলেও ড্রয়ে খুব একটা খুশি নন জার্মান এই স্ট্রাইকার। ম্যাচ শেষে টিএনটি স্পোর্টসকে তিনি বলেন,
‘ব্যাপারটা মোটেও ভালো নয়। প্রথমার্ধে আমরা অনেক বেশি এনার্জিটিক ছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ভালো কিছু করার সুযোগ থাকলেও আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুটি গোল হজম করেছি।’
তিনি আরও বলেন,
‘প্রথমার্ধে আমাদের খেলা দেখলে বোঝা যায়, আমরা যেকোনো দলের বিপক্ষে জিততে পারি। কেন আমরা দুটি গোল হজম করেছি, তা আমি নিজেও জানি না। আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। প্রথমার্ধের মতো পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারলে আমরা আরও ভালো করতে পারি।’
গত সপ্তাহে সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ১–০ গোলে হেরেছিল নিউক্যাসেল। ওই ম্যাচ প্রসঙ্গে ভোল্টেমেড বলেন,
‘গত সপ্তাহটা আমার জন্য ভালো ছিল না। তবে আজ বুঝেছি, সবাই আমাকে ভালোবাসে এবং গোল করতে দেখাটা উপভোগ করে। ভক্তরা আমার নাম ধরে গান গেয়েছে। আজ গোল করার জন্য আমি খুবই মুখিয়ে ছিলাম। আমার পাশে থাকার জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই।’
No posts available.
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫:১৯ পিএম

বাংলাদেশ ফুটবল লিগে (বিএফএল) আগের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের কাছে ২-০ গোলে হারে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে আজ আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সঙ্গে জিততে পারল না সাদা-কালোরা। জয়ের ধারা অব্যহত রাখতে পারেনি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। বাংলাদেশ পুলিশ এফসির কাছে হেরেছে মারিও গোমেজের দল।
শনিবার সপ্তম রাউন্ডের খেলায় গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসকে আতিথেয়তা দেয় পুলিশ ফুটবল ক্লাব। ম্যাচটি ২-১ ব্যবধানে জেতে পুলিশ। আর চলতি লিগে প্রথমবারের মতো হারের তেতো স্বাদ পেলো লাল-সাদা ব্রিগেড।
এদিন একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে রাব্বি হোসেন রাহুলের গোলে এগিয়ে যায় পুলিশ । দলটির ভুটানি মিডফিল্ডার ওয়াঙচুক শেরিংয়ের পাস বক্সে ঢুকে পেয়ে যান রাব্বি। বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো এগিয়ে আসলেও পারেননি রাব্বিকে আটকাতে। তাঁর ডান পাস দিয়ে বা পায়ে জালে বল ঠেলে দেন পুলিশের এই তরুণ ফরোয়ার্ড।
২৩ মিনিটে ডান দিকের কর্নারের কাছ থেকে রাকিব হোসেনের দারুণ ক্রসে মাথা ছুঁয়েছিলেন দোরিয়েলতন গোমেজ। তবে সেটি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। মুহুর্মুহ আক্রমণে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে বসুন্ধরা কিংস। খানিক পর রাকিব হোসেনের হেডারও খুঁজে পায়নি জালের দেখা।
অবশেষে ৩২ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে ১-১ সমতায় ফেরে বসুন্ধরা কিংস। বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে ইমানুয়েল সানডের বাড়ানো বল রিসিভ করে ফাহিমের পায়ে তুলে দেন দোরিয়েলতন। ফাহিমের আড়াআড়ি জোরালো শট পুলিশের গোলকিপার রাকিবুল হাসান ঝাঁপিয়ে পড়েও আটকাতে পারেননি। চলতি লিগে নিজের পঞ্চম গোলটি করলেন জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড।
ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে দারুণ এক গোলে পুলিশকে জেতান উগান্ডার মিডফিল্ডার শফিক কুচি কাগিমু।
এই পরাজয়ের পরও সপ্তম রাউন্ড শেষে লিগের শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস। তাদের পয়েন্ট ১৬। দিনের অপর ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে ফর্টিস এফসি। কিংসের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান স্রেফ দুই। ৪ জয় এক ড্র এবং দুই পরাজয়ে ১৩ পয়েন্ট পেয়ে এই তালিকার তিনে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। মোহামেডান, আবাহনীকে টপকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে পুলিশ।
কুমিল্লার ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে এদিন ম্যাচের ২৬ মিনিটে মেহেদী হাসান মিঠুর গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। তাদের সমতার স্বস্তিও উবে যায় প্রথমার্ধেই; ৩৮ মিনিটে। দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন আরামবাগের এক খেলোয়াড়, তবে মোহামেডানের এক ডিফেন্ডারের চার্জে বল চলে যায় আমির হাকিম বাপ্পীর পায়ে। কিছুটা জায়গা করে নিয়ে বাম পায়ের জোরাল শটে মোহামেডানের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।
৭৬ মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে ছুটেছিলেন মোহামেডানের মোহাম্মদ জুয়েল, একই সময় পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গোলকিপার আজাদ হোসেন, বল গ্রিপে নিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান তিনি। তবে জুয়েলের সংঘর্ষে ব্যথা পেয়ে মাঠে পড়ে থাকেন কিছুক্ষণ। চিকিৎসা নিয়ে বাকিটা সময় পোস্ট আগলে রেখে মূল্যবান ১ পয়েন্ট এনে দেন তিনি। এই পয়েন্টের সুবাদেই লিগ টেবিলে তলানি থেকে একধাপ উপরে উঠে এসেছে আরামবাগ। আর ৮ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডানের অবস্থান ছয়ে।

২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আগে ফিফার টিকিট রিসেলিং ব্যবস্থাপনা নিয়ে উঠেছে বড় ধরনের প্রশ্ন। বিশ্বকাপের অফিসিয়াল রিসেল মার্কেটপ্লেসে টিকিট বিক্রি করা বহু দর্শক এখনও তাদের প্রাপ্য অর্থ পাননি।
কেউ কেউ হাজার হাজার পাউন্ড নিয়ে দুই মাসের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছেন। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি স্পোর্টের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এই খবর।
ফিফার নিজস্ব নীতিমালায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, কোনো টিকিট রিসেলের পর সর্বোচ্চ ৬০ ক্যালেন্ডার দিবসের মধ্যে বিক্রেতার অর্থ পরিশোধ করার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অক্টোবরের শুরুতে যারা টিকিট বিক্রি করেছিলেন, তাদের একটি অংশ এখনও টাকা হাতে পাননি।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়লেও ফিফা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দিতে রাজি হয়নি।
বিবিসি স্পোর্টের তথ্য অনুযায়ী, বিলম্বের মূল কারণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে ব্যাংকিং জটিলতা। ফিফার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কিছু টিকিট বিক্রেতার কাছে অতিরিক্ত ব্যাংক তথ্য চাওয়া হয়েছে। যা না পাওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড় করা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
অথচ এর আগে ফিফা জানিয়েছিল, টিকিটের অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রেতার মূল পেমেন্ট কার্ডেই ফেরত যাবে।
যেসব টিকিট নিয়ে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেগুলো ছিল সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত ১০ দিনের প্রি-সেল ড্রয়ের অংশ। ওই ধাপে প্রায় ১০ লাখ টিকিট বাজারে ছাড়ে ফিফা। যেখানে ভিসা কার্ডধারীরাই কেবল আবেদন করতে পেরেছিলেন।
তবে ঠিক কতজন সমর্থক এই অর্থপ্রদানের সমস্যায় পড়েছেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা জানা যায়নি।
ইংল্যান্ডের সমর্থক ইয়ান জানান, কানাডার টরন্টোতে আয়োজিত উদ্বোধনী ম্যাচের একটি টিকিট তিনি ৬৫ দিন আগে বিক্রি করেছিলেন। সেই টিকিট বাবদ প্রায় ৬৫০ পাউন্ড এখনও পাননি তিনি।
ইয়ান বলেন,
“এই বিশ্বকাপ থেকে ফিফা বিলিয়ন বিলিয়ন আয় করছে, অথচ সাধারণ একটি পেমেন্ট সময়মতো করতে পারছে না। এই দেরি যে অনেক মানুষকে ভোগাচ্ছে, তা পরিষ্কার।”
একই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেক্সিকান সমর্থকও। তার দাবি, দুই মাসের বেশি সময় আগে বিক্রি করা টিকিট থেকে তার পাওনা আট হাজার পাউন্ডেরও বেশি। তিনি বলেন,
“পুরো ব্যাপারটাই বিশৃঙ্খল মনে হচ্ছে। ক্রেডিট কার্ডের বিল মেটাতে আমাকে অন্য জায়গা থেকে টাকা ব্যবস্থা করতে হয়েছে।”
ফিফার অফিসিয়াল রিসেল মার্কেটপ্লেস চালু হয় গত ২ অক্টোবর। এখানে টিকিটধারীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী দামে টিকিট বিক্রি করতে পারেন। তবে ফিফা প্রতিটি লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতা- উভয়ের কাছ থেকেই ১৫ শতাংশ করে কমিশন কেটে নেয়।
গত ১১ ডিসেম্বর মূল টিকিট ব্যালট শুরু হওয়ার আগেই অনেক সমর্থক আগের ধাপে কেনা টিকিট বিক্রি করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে অসংখ্য টিকিট অননুমোদিত তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইটেও বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফিফা বারবার সতর্ক করে বলছে, তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মই নিরাপদ এবং বৈধ পুনর্বিক্রয়ের নিশ্চয়তা দেয়।
টিকিটের উচ্চমূল্য নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই সম্প্রতি ফিফা ঘোষণা দিয়েছে, ১০৪টি ম্যাচের প্রতিটিতে সীমিত সংখ্যক ৬০ ডলারের ‘সাশ্রয়ী’ টিকিট চালু করা হবে।
এর আগে জানা গিয়েছিল, বিশ্বকাপ ফাইনালের সর্বোচ্চ টিকিটের দাম গড়িয়েছে ৬ হাজার ৬১৫ পাউন্ড পর্যন্ত- যা নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

চলতি বছরের নারী ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার জন্য ফুটবলার ছাড়ায় ইউয়েফার কাছ থেকে ৮ কোটি টাকার বেশি বোনাস পেয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। সব মিলিয়ে ৭৯ লাখ পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৯ কোটি টাকার বেশি বোনাস দিয়েছে ইউয়েফা।
মেয়েদের খেলার ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগের অংশ হিসেবে ইউরোপের মোট ১০৩টি ক্লাবকে এই মোট ৭৯ লাখ পাউন্ড বোনাস দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের ইউরোর পর এই বোনাসের পরিমাণ ছিল এর ঠিক অর্ধেক।
ক্লাব থেকে ছুটি নিয়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে যাওয়ায়, ক্লাবগুলোকে একেকজন খেলোয়াড়ের জন্য দিনপ্রতি ৯৫৮ পাউন্ড হিসেবে বোনাস দিয়েছে। এর মধ্যে পুরো টুর্নামেন্ট ছাড়াও ১০ দিনের প্রস্তুতি পর্ব ও ১ দিনের ভ্রমণ দিনও ছিল।
সেই হিসেব করেই বাকি সবার চেয়ে বেশি ৪ লাখ ৯৭ হাজার পাউন্ড বা ৮ কোটি টাকার বেশি পেয়েছে বার্সেলোনা। এছাড়া ৪ লাখ পাউন্ডের বেশি পেয়েছে শুধু জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ (৪ লাখ ৮ হাজার পাউন্ড) ও ইংল্যান্ডের চেলসি (৪ লাখ ৫ হাজার পাউন্ড)।
শুধু ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোই পেয়েছে ২১ লাখ পাউন্ড। ইংল্যান্ড, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির ক্লাবেই গেছে ৬২ লাখ পাউন্ড (৭৯ শতাংশ)। সব মিলিয়ে মোট ১৬টি ফুটবল ফেডারেশনের ক্লাবগুলোর মাঝে বণ্টন করা হয়েছে এই বোনাসের অর্থ।
ছেলেদের ফুটবলেও জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় ছাড়লে ক্লাবগুলোকে বোনাস দিয়ে থাকে ইউয়েফা। গত বছরের ইউরোর পর ৫৫টি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ৯০১টি ক্লাবকে ২২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড বোনাস দেওয়া হয়েছিল। যেখানে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য দিনপ্রতি ছিল প্রায় ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত।

সম্প্রতি দল থেকে বাদ পড়ার পর করা বিস্ফোরক মন্তব্যের পর লিভারপুলের সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মোহামেদ সালাহ। ক্লাবের ইংলিশ মিডফিল্ডার কার্টিস জোন্স জানিয়েছেন এই কথা। তিনি স্পষ্ট করেছেন, লিভারপুলের ড্রেসিংরুমে কোনো ফাটল নেই।
স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জোন্স জানান, লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ড্রয়ের পর দেওয়া মন্তব্য নিয়ে সালাহ পুরো স্কোয়াডের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, তার কথায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে তিনি দুঃখিত।
জোন্স বলেছেন, “মো নিজের মতো মানুষ, আলাদা একজন সত্তা। সেই নিজের কথাই বলে। কিন্তু সে আমাদের কাছে এসে বলেছে- ‘আমার কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকে, আমি ক্ষমা চাই।’ এটাই সে মানুষ হিসেবে কেমন, তা দেখায়।”
গত ৬ ডিসেম্বর লিডসের বিপক্ষে ম্যাচের পর দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ৩৩ বছর বয়সী মিশরীয় তারকা ক্লাব ও কোচ আর্নে স্লটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। লিভারপুলের মৌসুমের দুর্বল শুরুর দায় নিজের ওপর চাপানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সালাহ।
এমনকি অ্যানফিল্ডে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কার কথা জানান তিনি।
তবে সেই বিতর্ক যে ড্রেসিংরুমে কোনো প্রভাব ফেলেনি, তা নিশ্চিত করেছেন জোন্স। কোচ আর্নে স্লটও শুক্রবার বলেন, সালাহকে ঘিরে কোনো অমীমাংসিত ইস্যু নেই, যদিও ৯ ডিসেম্বর ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে তাকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি।
এরপর অবশ্য ব্রাইটনের বিপক্ষে ২-০ জয়ে বদলি হিসেবে নেমে একটি অ্যাসিস্ট করেন সালাহ। ম্যাচ শেষে আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স খেলতে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে ইংল্যান্ড ছাড়েন লিভারপুল ফরোয়ার্ড।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল বর্তমানে টেবিলের সপ্তম স্থানে। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা শীর্ষে থাকা আর্সেনালের থেকে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে।

প্যারিস সেন্ট-জার্মেইর (পিএসজি) ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জয়ের বড় নায়ক গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। কিন্তু শিরোপা জয়ের সেই রোমাঞ্চকর রাতে বড় ধাক্কা খেলেন তিনি। পেনাল্টি শুটআউটে বীরোচিত পারফরম্যান্সের মাঝেই ভাঙল তার হাত।
ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে বুধবারের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শেষ হয় সমতায়। এরপর টাইব্রেকারে একের পর এক ৪টি শট ঠেকিয়ে পিএসজিকে ২–১ ব্যবধানে জেতান সাফোনভ। এর মধ্য দিয়েই ক্লাব ইতিহাসে প্রথম কোনো বৈশ্বিক শিরোপা জেতে ফরাসি জায়ান্টরা।
তবে জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে গিয়েই বিপত্তি। সতীর্থরা তাকে আনন্দে শূন্যে ছুড়ে দিলে, কিংবা তার আগেই- ঠিক কখন চোট লেগেছে, তা নিয়েই ধোঁয়াশা। পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে শুক্রবার জানান, ধারণা করা হচ্ছে শুটআউট চলাকালীনই সাফোনভের হাত ভেঙে যায়।
“আমি সত্যিই ব্যাখ্যা করতে পারছি না। অবিশ্বাস্য ব্যাপার। খেলোয়াড় নিজেও জানে না কীভাবে এটা হলো। আমাদের মনে হয় তৃতীয় পেনাল্টি বাঁচানোর সময় সে একটু অস্বাভাবিক মুভমেন্ট করেছিল, তখনই ফ্র্যাকচার হয়েছে।”
“অবাক করার বিষয় হলো- ভাঙা হাত নিয়েই সে শেষ দুটি শট ঠেকিয়েছে। তখন অ্যাড্রেনালিন এত কাজ করছিল যে, সে কোনো ব্যথাই অনুভব করেনি। দলের জন্য যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকার যে মানসিকতা, সেটাই আমরা চাই। সাফোনভসহ পুরো দল সেই মনোভাবটাই দেখিয়েছে।”
ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাফোনভের অবস্থা তিন থেকে চার সপ্তাহ পর পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।
রাশিয়ান এই গোলকিপার মূলত পিএসজির ব্যাকআপ। মূল গোলকিপার হিসেবে দলে যোগ দেওয়া লুকাস শেভালিয়ের গোড়ালির চোটে পড়ার আগ পর্যন্ত তিনি এক মিনিটও মাঠে নামেননি। ২৯ নভেম্বর থেকে শেভালিয়ের খেলতে পারছেন না।
পিএসজির সামনে এখন কুপ দ্য ফ্রান্সের ম্যাচ। শনিবার পঞ্চম স্তরের দল ভঁদে ফঁতেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী পিএসজির জন্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জয়ের মধ্য দিয়ে বছরটা আরও স্মরণীয় হয়ে উঠেছে।
তবে কোচ লুইস এনরিকে অতীতের অর্জনে থামতে নারাজ।
“আমি অতীত নিয়ে ভাবি না। আমার ভাবনা বর্তমান- আজকের অনুশীলন, শনিবারের ম্যাচ। প্যারিসে সবাই আমাকে ধন্যবাদ দেয়, কিন্তু এটা আমার কাজ। এমন একটি ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা আমাদের সৌভাগ্য।”
“বছরটা অসাধারণ গেছে, যা ভুলবার নয়। কিন্তু আমাদের মনোযোগ রাখতে হবে এখনকার দায়িত্বে- এই বছরটা আমরা সেরা উপায়ে শেষ করতে চাই।”