
এমনিতেই মরা। তার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে এলো তিনটি লাল কার্ড। রবিবার লা লিগায় সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের ২-০ গোলে হারের ম্যাচে ইনফিল্ড প্লেয়ার ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া ও আলভারো কারেরাস লাল কার্ড দেখেন। বেঞ্চে বসা এন্দ্রিকও ভাগিদার হন এই আপদের।
ম্যাচ ঘড়ির ৯০ মিনিটে ম্যাচ রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়ান এন্দ্রিক। বাজে মন্তব্য করেন, তেড়েও যান। তাতেই সরাসরি লাল কার্ড হজম করেন। এমনিতে দলে নেই অবস্থান, তারমধ্যে এন্দ্রিক পড়লেন আরও বড় অনিশ্চিয়তায়।
ম্যাচ চলাকালে রেফারিকে উদ্দেশ্য করে প্রতিবাদ করেন এন্দ্রিক। বেঞ্চ ছেড়ে উঠে যান। বারবার একই মন্তব্য আওড়ান। তাকে থামাতে জাবি আলোনসো ছুটে আসেন। শান্ত করার চেষ্টা করেন সতীর্থরাও। কাজ হয়নি।
২০২৫-২৬ মৌসুমে লা লিগায় রিয়ালের হয়ে মাত্র ১১ মিনিট খেলেছেন এন্দ্রিক। এখন পর্যন্ত লা লিগায় ১৫টি ম্যাচ খেলেছে বার্নাব্যুর দল। সেখানে একবার বদলি হিসেবে নামার সুযোগ হয়েছে ব্রাজিলের ১৯ বর্ষী তরুণের।
বলার অপেক্ষা রাখে না, জাবি আলোনসোর দলে শুরু কিংবা বদলি হয়ে নামার সম্ভাবনা একদমই ক্ষীণ এন্দ্রিকের। বারবার উপেক্ষিত থাকা ব্রাজিল তরুণ স্ট্রাইকার হয়তো নতুন মৌসুমে পাড়ি জমাবেন অন্য কোনো ক্লাবে। ততদিন পর্যন্ত তাকে বেঞ্চে বসেই কাটাতে হতে পারে।
এন্দ্রিকের লাল কার্ড এবং দলে অকার্যকর হয়ে বসে থাকা মোটেও ভালো লাগছে না পিতা ডগলাস রামোসের। সামাজিক মাধ্যমে ছেলেকে নিয়ে বড়সড় স্ট্যাটাস দেন তিনি।
ডগলাস বলেছেন,
“আমি জানি আমার ছেলেকে। সে কেমন এবং কতটা পরিশ্রমী। আমি জানি তার সক্ষমতা সম্পর্কে। তুমি বিজয়ী। তুমি সবসময়ই প্রমাণ করছো, সত্যিকারের বিজয়ী।”
তিনি আরও বলেছেন,
“তোমার তারকা উজ্জ্বলই থাকবে, যদিও কেউ কেউ তোমার আলোকে কমাতে চেষ্টা করবে। আমি বিশ্বাস করি তোমার ভবিষ্যৎ ঠিক সেখানে রয়েছে।”
No posts available.
১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:০৯ পিএম
১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৩২ পিএম
১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:৫৪ পিএম

সংস্কার শেষে সচল ক্যাম্প ন্যু। হোম ভেন্যু পেয়ে পুরোনো চেহারায় কাতালানরা। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের মঙ্গলবারের ম্যাচে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। জয়ের দিনে আপত্তিকর এক ঘটনা ঘটেছে।
ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে ইয়ামালকে তুলে নিয়ে রুনি বার্গদিকে নামান হ্যান্সি ফ্লিক। মাঠ ছাড়ার মুহূর্তে বেশ বিরক্ত দেখা যায় স্পেন ফরোয়ার্ডকে। বেঞ্চে বসেও মুখ গোমড়া করে রাখেন তিনি। বিড়বিড় করে এটা-ওটা আওড়ান।
ম্যাচ শেষে ইয়ামালকে তুলে নেওয়ার ব্যাখ্যা দেন ফ্লিক। তিনি বলেন,
“সে হলুদ কার্ড দেখেছিল। তাই তাকে কয়েক মিনিট বাকি থাকতে উঠিয়ে নেই। তাছাড়া ম্যাচ শেষ পর্যায়ে ছিল।’’
তিনি যোগ করেন,
‘‘যদিও ইয়ামাল এ সময় কিছুটা বিরক্ত হয়। সেটা আমি বুঝতে পারছি। কারণ, আমিও একজন খেলোয়াড় ছিলাম। এটা পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য, কোনো সমস্যা নেই।”
এদিন ৫৬তম মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ইয়ামাল। এতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার পরের ম্যাচে খেলা হবে না তাঁর।
এ সময় জুলস কুন্দেকে নিয়েও কথা বলেন ফ্লিক। ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন ফ্রান্স ডিফেন্ডার। কোচের মতে, অসাধারণ খেলেছেন জুলস।
তিনি বলেন,
‘‘কুন্দের গোল করা দারুণ ব্যাপার। তার প্রতিভা ও মানসিকতা দারুণ।’’
এই মুর্হূতে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৪ নম্বর স্থানে ফ্লিক। আর দুই পয়েন্ট হলে সেরা আটে ঢোকার সুযোগ হতো লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনই ভাবছেন না ফ্লিক।
তিনি বলেন,
‘‘আমি এ দিকটা নিয়ে ভাবছি না। এই মুর্হূতে এসব নিয়ে আগ্রহী নই।আমরা নিজেদের নিয়েই ভাবছি। অবশ্য গোল ব্যবধানটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ একটা করবো। তাছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা এতটা সহজ নয়। প্রতিটা প্রতিপক্ষই দুর্দান্ত। তারা ইউরোপের সেরা লিগে প্রতিযোগীতা করে।’’

দেখতে দেখতে ঘনিয়ে এসেছে লিওনেল মেসির ভারত সফরের দিনক্ষণ। ধীরে ধীরে আরও স্পষ্ট হচ্ছে তিন দিনের এই সফরে কী কী করবেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এরই মধ্যে জানা গেল, একটি ফ্যাশন শো-তে র্যাম্পে হাঁটবেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের এবারের ভারত সফরে র্যাম্পেও হাঁটবেন মেসি। মুম্বাইয়ে আগামী রোববারের ওই ফ্যাশন শোতে তার সঙ্গী হবেন ইন্টার মায়ামি ক্লাবের দুই সতীর্থ লুইস সুয়ারেস ও সার্জিও বুসকেতস।
মেসির ভারত সফরের প্রমোটার শতাদ্রু দত্ত ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) জানিয়েছেন, ফ্যাশন শো-র পাশাপাশি ২০২২ বিশ্বকাপ থেকে মেসির কিছু স্মারকও নিলামে তোলা হবে। যেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ জনহিতকর কাজে খরচ হবে।
আগামী শুক্রবার মাঝরাতে শুরু হবে মেসির ভারত সফর। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা, হায়দরাবাদ, মুম্বাই ও দিল্লিতে ভ্রমণ করবেন আটবারের বিশ্বকাপজয়ী তারকা। তার এই সফরের নাম দেওয়া হয়েছে গোট (গ্রেটেস্ট অব অল টাইম) ট্যুর অব ইন্ডিয়া।
শতাদ্রু জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের রোববারের আয়োজন বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা উপস্থিত থাকবেন।
“এটি পুরোপুরি সংরক্ষিত একটি আয়োজন হবে। তারকা মডেল, তারকা ক্রিকেটার, বলিউড তারকা, মিলিওনিয়ার ও ফাউন্ডাররা থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। টাইগার শ্রফ, জ্যাকি শ্রফ, জন আব্রাহামসহ আরও অনেকে এতে উপস্থিত হবেন।”
মুম্বাইয়ের ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়াতে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় হবে প্যাডেল কাপ। এরপর বিকেল ৫টায় শুরু হবে মূল আয়োজন। মেসির দীর্ঘ দিনের সতীর্থ ও কাছের বন্ধু লুইস সুয়ারেস একটি স্প্যানিশ মিউজিক শোতেও অংশ নেবেন।
ভারত সফরের প্রথমাংশে কলকাতায় থাকবেন মেসি। সেখানে তার ৭০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য উন্মোচন করা হবে। যা তার সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য হতে চলেছে। তবে নিরাপত্তাজনিত সবুজ সংকেত না পাওয়ায় সশরীরে যেতে পারবেন না। হোটেলে বসেই সেটি উন্মোচন করবেন মেসি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় কলকাতায় নামবেন মেসি। পরদিন সকাল ৯টা ৩০ থেকে ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত একটি মিট এন্ড গ্রিট আয়োজনে থাকবেন তিনি। পরে হবে ভাস্কর্য উন্মোচনের অনুষ্ঠান।
মেসি সশরীরে না থাকলেও, সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ৭৫ হাজারের বেশি দর্শক উপস্থিতি আশা করছেন আয়োজকরা।
এরপর শনিবার দুপুর ২টায় হায়দরাবাদের উদ্দেশে কলকাতা ছেড়ে চলে যাবেন মেসি। সেখানে কাজ সেরে পরদিন তিনি থাকবেন মুম্বাইয়ে। আর সোমবার নয়া দিল্লিতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সূচি রয়েছে তার।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হয়েছে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম)। আজ বুধবার বাফুফে ভবনে ১০ বছরের এ চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
চুক্তির প্রথম পাঁচ বছরে এক ধরণের আর্থিক সুবিধা দেবে বিএসআরএম। প্রথম পর্বের কার্যক্রম মূল্যায়নের পর পরবর্তী পাঁচ বছরের আর্থিক অঙ্ক নির্ধারিত হবে।
বাফুফে জানিয়েছে, এ চুক্তির আওতায় বাফুফের কোচেস টেনিং প্রোগ্রাম, টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম, এলিট একাডেমীসহ দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত হবে বিএসআরএম।
চুক্তির পর বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন,
“আপনারা জানেন, বিএসআরএম অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে একটা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। তারা শুধু ব্যবসার সাথে জড়িত নয়, সকল উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত…অতীতেও জড়িত ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও আশা করি থাকবে। বিএসআরএমের তিনটা কোন ভ্যালুস- শক্তি, নিরাপত্তা এবং স্থায়ীত্ব- আমি মনে করি বাফুফেও একই কোর ভ্যালু তাদের সাথে শেয়ার করে।”
তিনি বলেন,
‘‘১০ বছরের আমরা চেষ্টা করব প্রতি বছরের একটা বর্ষপঞ্জি করতে। আমাদের কার্যক্রমগুলা কী হবে, সেগুলো কী প্রভাব ফেলবে ফুটবলে এবং আমাদের সমাজে, সেগুলো অনুযায়ী আমরা একসাথে কাজ করব। আপনারা জানেনে, আমাদের কিছু চলমান কার্যক্রম আছে, শিশু নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন, ফিজিক্যাল-মেন্টাল স্ট্রেন্থিং এডুকেশন, সেগুলো আমরা চাচ্ছি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে। ফুটবলের পাইপলাইন ছড়িয়ে দিতে, ট্যালেন্ট হান্টিং এই কাজগুলো আমরা সম্মিলিতভাবে করতে চাই।”
বাফুফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের ব্যাকগ্রাউন্ড দিন তিনেক আগে হলুদ হয়েছিল। ডেভেলপমেন্ট পার্টনার বিএসআরএমের অনুরোধেই এটা করেছে ফেডারেশন। এ নিয়ে বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেন,
‘‘তারা আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। ফেডারেশনের বোর্ডে বা আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে তাদের লোগো থাকবে। স্পেসিফিক কিছু বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে তাদের লোগোও থাকবে। এখানে তাদের শর্ত স্টিল বা নির্মাণ সংক্রান্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা যাবে না। আমরা এটা অনুসরণ করি যেমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত করি না।’’
চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হুসেইন ফুটবলের বিকেন্দ্রীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,
“আমাদের মুল লক্ষ্য ফুটবলের সাথে যুক্ত হওয়া। বিএসআরএম নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড, ফুটবল বিশ্বের নাম্বার ওয়ান খেলা। বাংলাদেশের মেয়েরা ভালো করছে, সম্প্রতি ছেলেরাও উন্নতি করছে। আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে দেখতে চাই। আমাদের খেলাগুলো ঢাকাকেন্দ্রীক। আমরা চাই সারাদেশে ফুটবল আরও গোছালোভাবে হোক, বিকেন্দ্রীকরণ হোক, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। তাহলে সারা দেশ থেকে অনেক ফুটবলার উঠে আসবে।”

৩৫ বছর পর ফিফা ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনাল আবার আলোচনায়। ইতালির স্তাদিও অলিম্পিকোয় সেই ফাইনালে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে হেরেছিল পশ্চিম জার্মানির কাছে। ফাইনালে বিতর্কমূলক মুহূর্তের কথা উঠে আসে রেফারি এদগার্দো কোদেসালের বর্ণনায়।
উরুগুয়েরো রেফারি কোদেসালে, যিনি পরবর্তীতে মেক্সিকোর নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। সম্প্রতি জানালেন, আর্জেন্টাইন জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন ম্যারাডোনা যা বললেন তার জন্য তিনি তাঁকে সরাসরি মাঠ থেকে বের করে দিতে পারতেন।
টেনফিল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোদেসালে বলেন, ‘আমি ম্যারাডোনাকে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনই বহিষ্কার করতে পারতাম। তা হলে ইতিহাসে বিরল ঘটনা হতো। বিশ্বকাপ ফাইনালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকাকে বলতে হবে, আপনি খেলতে পারবেন না। এটি সত্যিই বড় সিদ্ধান্ত হতে পারত।’
আরও পড়ুন
| বিপিএল খেলতে অনুমতি পেলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা |
|
ফাইনালে একটি বিতর্কিত পেনাল্টির কারণে আর্জেন্টিনা হেরে যায়, জার্মানি চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই ম্যাচে ম্যারাডোনা রোমের দর্শকদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে কড়া (অশালীন) ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। বিশেষ করে আর্জেন্টাইন জাতীয় সঙ্গীতের সময় দর্শকদের ঠাট্টা-তামাশার সময় ম্যারাডোনার রোষ দেখা যায় তীব্র।
কোদেসাল জানান, সেই সময়ে তিনি ম্যারাডোনাকে খেলতে না দেওয়ার ব্যাপারেও ভেবেছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত তা করেননি। সে প্রসঙ্গে বললেন, ‘বিশ্বকাপ ফাইনাল, সবচেয়ে বড় তারকা, আর রেফারির কাছে আছে আইন অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’
১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালকে কেন্দ্র করে আবারও বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন কোদেসাল। যেখানে বিশ্বকাপ ইতিহাসের এক চিরস্মরণীয় ঘটনা হিসেবে ম্যারাডোনার আচরণ এবং রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে আলোচনার তৈরি হয়েছে।

ফিফা বিশ্বকাপে এমন পুরষ্কার আগে কখনও দেখা যায়নি। ফুটবলের ‘একত্রীকরণ শক্তি’ তুলে ধরার কথা বলে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রথমবারের মতো ‘ফিফা শান্তি পুরস্কার’ চালু করে। গত ৫ ডিসেম্বর এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে। আর এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র বিতর্ক আর ক্ষোভ দেখা গিয়েছে ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে।
ট্রাম্পকে নতুন এই স্বীকৃতি দিয়ে এবার বিপদে পড়ছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ফিফার নৈতিকতা কমিটিকে সভাপতি ইনফান্তিনোর বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে—তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘিরে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার নিয়ম ভঙ্গ করেছেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে প্রথমবারের মতো শান্তি পুরষ্কার দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার পর এর স্বপক্ষে পোস্ট করে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন ইনফান্তিনো। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ফিফারই নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
মানবাধিকার সংস্থা ‘ফেয়ারস্কোয়ার’ বিবিসি স্পোর্টের দেখা একটি অভিযোগপত্রে লিখেছে, ‘ইনফান্তিনো ফিফার রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার স্পষ্টভাবে চারটি নিয়ম ভেঙেছেন।’
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘একজন দায়িত্বে থাকা রাজনৈতিক নেতাকে এ ধরনের পুরস্কার দেওয়া নিজেই ফিফার নিরপেক্ষতার নীতির একটি স্পষ্ট লঙ্ঘন। ফিফা সভাপতি সংস্থার লক্ষ্য, কৌশলগত দিকনির্দেশনা, নীতি বা মূল্যবোধ একতরফাভাবে ঠিক করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না।’
আরও পড়ুন
| বিশ্বকাপ খেলতে 'অলৌকিক' চিকিৎসকের কাছে নেইমার |
|
ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে একটি বড় সোনালি ট্রফির পাশাপাশি ট্রাম্পকে একটি মেডেল ও সনদ দেন ইনফান্তিনো। পুরস্কার দেওয়ার আগে দেখানো ভিডিওর পরে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ‘একজন নেতার মধ্যে আমরা যা চাই, তা-ই তিনি প্রদর্শন করেছেন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘মি. প্রেসিডেন্ট, আমার সমর্থন সবসময়ই আপনার সঙ্গে থাকবে।’
গত অক্টোবর ইনফান্তিনো সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের পুরোপুরি যোগ্য। গত নভেম্বরে মায়ামিতে আমেরিকান বিজনেস ফোরামে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উচিত ট্রাম্প যা করছেন (যুক্তরাষ্ট্রে) তাকে সমর্থন করা, কারণ আমার মনে হয়, পরিস্থিতি বেশ ভালোই দেখাচ্ছে।’
ফেয়ারস্কোয়ার ফিফা সভাপতির আরও অভিযোগ করেছে, ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাওয়ার পর জানুয়ারিতে ইনফান্তিনোর করা একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিও পোস্টেও ‘ট্রাম্পের রাজনৈতিক এজেন্ডার প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।’
ফেয়ারস্কোয়ারের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর নিকোলাস ম্যাকগিহান বলেছেন, ‘এই অভিযোগ কেবল ট্রাম্পের রাজনৈতিক এজেন্ডার প্রতি ইনফান্তিনোর সমর্থন নিয়ে নয়। আরও বিস্তৃতভাবে এটি দেখায়—ফিফার অদ্ভুত শাসনব্যবস্থা কীভাবে জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে সংস্থার নিয়ম খোলাখুলিভাবে ভঙ্গ করার সুযোগ দিয়েছে, এবং এমন আচরণ করতে দিয়েছে যা বিপজ্জনক এবং বিশ্বের জনপ্রিয়তম খেলাটির স্বার্থের সম্পূর্ণ বিপরীত।’