৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:৪৩ পিএম
ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হিসেবে শুরু থেকে পেপ গার্দিওলার দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন তিনি। ফিট থাকলে তাকে কখনই বসিয়ে রাখেন না অভিজ্ঞ এই কোচ। অথচ আগের কয়েক ম্যাচের পর সবশেষ লিভারপুলের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে ফিট কেভিন ডে ব্রুইনাকে শুরুর একাদশে রাখা হয়নি। এতে বাতাসে ভাসছে গুঞ্জন, গার্দিওলার সাথে নাকি সমস্যা চলছে বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের। বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে সিটি কোচ একহাত নিয়েছেন নিন্দুকদের।
গত সেপ্টেম্বরে পাওয়া চোট কাটিয়ে ফেয়ার পর থেকে শুরুর একাদশে জায়গা করে নিতে লড়তে হচ্ছে ডে ব্রুইনাকে। পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন বদলি হিসেবে নেমে। লিভারপুলের সাথে তাকে গার্দিওলা নামান দল ২-০ তে পিছিয়ে পড়ার পর। স্কাই স্পোর্টসের দুই পন্ডিত গ্যারি নেভিল এবং জেমি ক্যারাগার ওই ম্যাচের পর দাবি করেন, গার্দিওলার সাথে ডে ব্রুইনার কিছু সমস্যা যাচ্ছে। সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা নেভিল বলেছিলেন, ব্রুইনের পরিস্থিতি ‘অস্বাভাবিক, উদ্ভট ও অদ্ভুত’।
আরও পড়ুন
লিভারপুলের কাছে হেরে গার্দিওলা বললেন, ‘হয়ত ছাঁটাই হওয়া উচিত’ |
![]() |
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে জানতে না চাওয়া হলেও নিজেই বিষয়টি এনে বিরক্তি প্রকাশ করেন গার্দিওলা। “লোকেরা বলে আমার সাথে নাকি কেভিনের সমস্যা আছে। আপনারা কি আসলেই মনে করেন আমি কেভিনকে খেলাতে পছন্দ করি না? হ্যাঁ, আসলেই আমি চাই না কেভিন খেলুক। ফাইনাল থার্ডে সবচেয়ে বেশি প্রতিভা থাকা লোকটিকে আমি খেলাতে চাই না। আমি এটা চাই না। নয় বছর একসাথে কাজ করার পর তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সমস্যা হয়েছে।”
No posts available.
পেনাল্টি মিসের হতাশা পেছনে ফেলে চমৎকার এক গোল করে আলো ছড়ালেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জোয়াও ফেলিক্সের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক আর কিংসলে কোমানের গোলে আল ফাতেহকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আল নাসর। এই জয়ে সৌদি প্রো লিগে অপরাজিতই থাকল রোনালদোদের দল।
শনিবার রাতে রিয়াদের আল-আউয়াল পার্ক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে এগিয়ে ছিল আল নাসর। ১৩ মিনিটে সাদিও মানের পাস থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন জোয়াও ফেলিক্স। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পান রোনালদো, কিন্তু তার শট লাগে ক্রসবারে।
৫৪ মিনিটে সমতায় ফেরে আল ফাতেহ। টোকো একামবির শট ফিরিয়ে দেন আল নাসর গোলকিপার, ফিরতি বল সহজে জালে পাঠান বেন্দেবকা। খানিক পর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে আল নাসরের সামনে। তবে পেনাল্টি নিতে এসে হতাশ করেন রোনালদো। তার ডান পায়ের নিচু শট বামদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলকিপার আমিন আল-বুখারি। ক’দিন আগে জাতীয় দলের জার্সিতেও পেনাল্টি মিস করে হতাশায় পুড়েছেন এই তারকা। সেদিন অবশ্য গোল করে তাঁর হতাশা মুছে দেন রুবেন নেভেস। গতরাতে নিজের হতাশা ঢাকতে রোনালদো সময় নেন স্রেফ এক মিনিট।
৬০ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বক্সের কোণ ঘেঁষে নেওয়া চোখধাঁধানো শটে বল জালে জড়ান রোনালদো। এরপর ম্যাচ পুরোপুরি নিজেদের দখলে নেয় আল নাসর। ৬৮ মিনিটে রোনালদোর পাস থেকে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে দ্বিতীয় গোল করেন ফেলিক্স।
৭৫ মিনিটে অ্যাঞ্জেলো গ্যাব্রিয়েলের কাটব্যাক থেকে নিচু শটে গোল করেন কিংসলে কোমান। শেষ দিকে আসে ফেলিক্সের হ্যাটট্রিক মুহূর্ত। ৮০ মিনিটে সাদিও মানের শট গোললাইন থেকে ফিরলে জালে পাঠিয়ে মৌসুমের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আল নাসর। দুইয়ে থাকা আল হিলালের পয়েন্ট ১১। এক পয়েন্ট কম পেয়ে তিনে আল ইতিহাদ।
মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নিয়মিত মৌসুমের শেষ দিনেও আলো ছড়ালেন লিওনেল মেসি। নিজে করলেন তিন গোল, সতীর্থকে দিয়ে করালেন আরেকটি। তার নৈপুণ্যে বড় জয় পেল ইন্টার মায়ামি।
ন্যাশভিল এসসির বিপক্ষে রোববার বাংলাদেশ সময় ভোরের ম্যাচে ৫-২ গোলে জিতেছে মায়ামি। নিজে হ্যাটট্রিক করার পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট করে ম্যাচের নায়ক মেসি।
শুধু তাই নয়, মৌসুমের মোস্ট ভ্যালুয়েবল ফুটবলার ও গোল্ডেন বুট জয়ী হওয়ার দৌড়েও বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকা। শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ মোট ২৯ গোল তার। এর সঙ্গে আছে ১৯টি অ্যাসিস্ট।
সব মিলিয়ে ৪৮ গোলে অবদান রেখে এমএলএসের এবারের নিয়মিত মৌসুম শেষ করলেন মেসি। ২০১৯ সালে এলএ এফসির হয়ে ৪৯ গোলে অবদান রেখেছিলেন কার্লোস ভেলা।
লিগে গোলদাতার তালিকায় এখন পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে মেসি। ন্যাশভিলের স্যাম সারিজ ২৪ গোলে মৌসুম শেষ করেছেন। আর এলএ এফসির ডেনিস বুয়াঙ্গা শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন ২৪ গোল নিয়ে।
প্রতিপক্ষের মাঠে ৩৪তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের শটে চমৎকার গোলে দলকে এগিয়ে দেন মেসি।
তবে বিরতির আগেই সমতা ফিরিয়ে লিডও নিয়ে নেয় ন্যাশভিল। ৪৩ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করেন স্যাম সারিজ। আর অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে দলকে এগিয়ে দেন জ্যাকব শাফেলবার্গ।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৬৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। এবারের লিগে এটিই ছিল মেসির প্রথম পেনাল্টি শট। যেখানে গোল করতে ভুল হয়নি তার।
৪ মিনিট পর বালতাসার রদ্রিগেস জালের দেখা পেলে ফের এগিয়ে যায় মায়ামি। পরে ৮১ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মেসি।
হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে এমএলএসে সব মিলিয়ে ৫০ গোল পূর্ণ হয় মেসির। মাত্র ৫৩ ম্যাচে। যা লিগের ইতিহাসে দ্রুততম।
পরে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে মেসির অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে মায়ামির বড় জয় নিশ্চিত করেন তেলাসকো সেগোভিয়া।
এমএলএসে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ৩৪ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে থেকে লিগ শেষ করল মায়ামি। আগামী শনিবার শুরু হতে যাওয়া এমএলএস কাপ প্লে অফে নামতে হবে তাদের।
হ্যারি কেইন মাঠে নামবেন আর গোল পাবেন না, সেটাও কি হয়? চলতি মৌসুমে ছন্দের তুঙ্গে থাকা কেইন আরও একটি ম্যাচে গোল করলেন। আর নতুন মৌসুমে কেইন গোল করলে দলও যে হারে না।
বুন্দেসলিগায় আজ বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ২-০১ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। কেইনের গোলের পর ব্যবধান বাড়ানো গোলটি করেন মাইকেল ওলিসে। ডর্টমুন্ডের হয়ে ব্যবধান কমানো গোলটি করেন জুলিয়ান ব্র্যান্ডেট।
লিগে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রেখে শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল বায়ার্ন। ৭ ম্যাচে বাভারিয়ানদের পয়েন্ট ২১। ২০২৫-২৬ মৌসুমে লিগে প্রথম হার দেখা ডর্টমুন্ড সমান ম্যাচে ৪ জয়, ২ ড্র ও এক হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে।
ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় দাপট ছিল বায়ার্নেরই। ম্যাচের ৬৪ ভাগ বল নিজেদের কাছে রেখে ১৫টি শট নিয়ে সাতটি লক্ষ্যে রাখে ভিনসেন্ট কোম্পানির দল। আর সফরকারী ডর্টমুন্ড ৮টি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখে।
২২ মিনিটে কেইনের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। জশুয়া কিমিচের নিখুঁত কর্নার থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। চলতি মৌসুমে লিগে এ নিয়ে ১৩ গোল হলো তাঁর। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি কেইনের ১৯তম গোল। প্রথামার্ধে বাকি সময়ও্ গোলের জন্য আক্রমণে ডর্টমুন্ডের রক্ষণকে তটস্থ রাখে বায়ার্ন। সফরকারীদের বেশি ভুগিয়েছেন ওলিসে। বিরতির আগে গোলের একাধিক সুযোগ সৃষ্টি করেন ফরাসি উইঙ্গার।
৭৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করা গোলটি পায় বায়ার্ন। বাম প্রান্ত থেকে আক্রমণে ওঠা লুইজ দিয়াজ ডর্টমুন্ডের ডিফেন্ডার অ্যান্টনকে পেছনে ফেলে বল বক্সে পাঠান। জুভ বেলিংহাম বল ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে না পারায় স্লাইড বল জালে পাঠিয়ে দেন ওলিসে।
০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া ডর্টমুন্ড ৮৪ মিনিটের বদলি নামা জুলিয়ান ব্র্যান্ডেটের গোলে ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখে। তবে শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে সেভিয়ার বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আবারও হোঁচট খাওয়ার পথে ছিল বার্সেলোনা। তবে কাতালান ক্লাবটির ত্রাতা হিসেবে হাজির হন রোনাল্ড আরাউহো। ড্রয়ে গড়ানো ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ের তিন মিনিটে গোল করে জার্সি খুলে ছুটতে থাকেন বার্সা ডিফেন্ডার। তাঁর এই গোলেই যে পয়েন্ট টেবিলে রাজত্ব ফিরে পেয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল।
লা লিগায় আজ জিরোনার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে রুদ্ধশ্বাস এক জয়ই পেয়েছে বার্সেলোনা। পেদ্রির গোলের পর আরাউহোর গোলে জিরোনাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। জিরোনার হয়ে গোল করেন এক্সেল উইটসেল।
দুর্দান্ত এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে হটিয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে উঠে এল বার্সেলোনা। ৯ ম্যাচে ৭ জয়, এক ড্র ও এক হারে লামিনে ইয়ামালদের সংগ্রহ ২২ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে এক পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে জাবি আলোনসোর রিয়াল। আর চলতি মৌসুমে লিগে মাত্র একটি জয় পাওয়া জিরোনা ৬ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন অঞ্চলে আছে।
ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বার্সার আক্রমণের ঢেউ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে জিরোনা। পুরো ম্যাচে ইয়ামাল-মার্কাস রাশফোর্ডরা ৬৮ শতাংশ বল দখলে রেখে ২৭টি শট নেয়, যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৯টি। বিপরীতে ১১টি শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে সফরকারী দল জিরোনা।
১৩ মিনিটে পেদ্রির দৃষ্টিনন্দন এক গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ডান দিক থেকে ইয়ামালের পাস বক্সে পান তিনি। পাশে থাকা প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের বাধা এড়িয়ে জায়গা বানিয়ে কয়েকজনের মাঝ দিয়ে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
অবশ্য এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বার্সা। মিনিট সাতেক পরই সমতায় ফিরে জিরোনা। প্রতিপক্ষের কর্নার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। সতীর্থের হেড পাসে ওভারহেড কিকে গোলটি করেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার উইটসেল।
পরের চার মিনিটে আরও দুটি আক্রমণে বার্সার রক্ষণের বড় পরীক্ষা নেয় জিরোনা। তবে দারুণ দুটি সেভ করে দলকে রক্ষা করেন মূল গোলকিপার জোয়ান গার্সিয়ার বিকল্প ভয়চেক সেজনি।
বিরতির আগে এগিয়ে যাওয়ার দুটি পরিষ্কার সুযোগ পায় জিরোনা। কিন্তু দুবারই গোলরক্ষককে একা পেয়ে বাইরে শট করেন ব্রায়ান হিল ও উইটসেল। সুযোগ এসেছিল বার্সারও। তবে শেষ পর্যন্ত ১-১ ব্যবধানে সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের বেগ বাড়ায় বার্সা। ফার্মিন লোপেসের দুটি শট ঠেকান গোলরক্ষক, তার আরেকটি শট লাগে পোস্টে। ইয়ামালের একটি প্রচেষ্টাও ফিরিয়ে দেন সফরকারী দলের গোলরক্ষক।
৬১তম মিনিটে জিরোনার জালে বল পাঠিয়েও কাজ হয়নি বার্সার। পাউ কুবার্সির সেই গোল বাতিল হয়ে যায় এরিক গার্সিয়া প্রতিপক্ষের একজনকে ফাউল করায়। জয়সূচক গোল পেতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি বার্সা।
শেষ বাঁশি বাজার এক মিনিট বাকি থাকতে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বক্সের ডান দিক থেকে ফ্রেংকি ডি ইংয়ের কাট-ব্যাক ছুটে গিয়ে স্লাইডে বল জিরোনার জালে পাঠিলে ভোঁ দৌড় দেন আরাউহো। তাঁর পেছনে ছুটতে থাকে আনন্দে আত্মহারা সতীর্থরা।
এর আগে যোগ করা সময় নিয়ে আপত্তি তুলে লাল কার্ড দেখেন বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। তবে এমন রোমাঞ্চকর জয়ের পর আর তা নিয়ে মন খারাপ করার কথা নয় বার্সা কোচের।
জাতীয় দল কিংবা ক্লাব আর্লিং হল্যান্ড যেন অপ্রতিরোধ্য। আগের ম্যাচে নরওয়ের হয়ে হ্যাটট্রিক করা ‘গোলমেশিন’ এবার আন্তর্জাতিক বিরতির পর ম্যানচেস্টার সিটিকে জেতালেন জোড়া গোল করে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আজ হল্যান্ডের জোড়া গোলে এভার্টানের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। সিটিজেনদের দুটি গোলই এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে।
দারুণ এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে আপাতত শীর্ষে উঠে এল ম্যান সিটি। ৮ ম্যাচে ৫ জয়, ১ ড্র ও ২ হারে পেপ গার্দিওলার দলের অর্জন ১৬ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আর্সেনাল। ১১ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে এভার্টন।
ঘরের মাঠ ইতিহাদে প্রিমিয়ার লিগে শেষ আট ম্যাচের ৭টিতেই জয় পায় ম্যান সিটি। এভার্টনের বিপক্ষেও একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল গার্দিওলার দলের। ম্যাচে ৭০ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৯টি শট নিয়ে সাতটি লক্ষ্যে রাখে স্বাগতিকরা। যেখানে মোট পাঁচটি শট নিয়ে মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে এভার্টন।
আরও পড়ুন
১০০ বছরের রেকর্ড ভেঙে বহিষ্কার হলেন নটিংহ্যাম কোচ |
![]() |
প্রথমার্ধে আক্রমণের পসরা সাজিয়েও গোল পায়নি ম্যান সিটি। দুই দলের গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড ও জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মা বেশ কয়েকটি দারুণ সেভ করেন। রক্ষণ সামলে দারুণ দুটি প্রতিআক্রমণে গোলের সুযোগ পেয়েছিল এভার্টন। তবে সফরকারী দলের ফরোয়ার্ড বেটো দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ নষ্ট করেন। সুযোগ এসেছিল সিটিরও। তবে প্রথমার্ধে জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হয় তারাও।
দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুতই প্রথম গোল পেয়ে যায় সিটি। ও’রেইলির ক্রস থেকে হেড থেকে দারুণ এক গোল করে দলকে লিড এনে দেন হল্যান্ড। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এটি নরওয়েজিয়ান তারকা ফরোয়ার্ডের ১০ নম্বর গোল।
৬১ মিনিটে পেনাল্টি পেতে পারত এভার্টন। এভার্টনের মিডফিল্ডার জেমস গার্নারের একটি শট বার্নার্দো সিলভার হাতে লাগে। তবে ভার চেক করে রেফারি পেনাল্টি সিদ্ধান্ত না দিলে হাঁফ ছেড়ে সিটি।
দুই মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুন করা গোলটি করে জোড়া গোল পূর্ণ করেন হল্যান্ড। সাবিনহোর নিঁখুত এক ব্যাক পাস এভার্টনের ডিফেন্ডার তারকোভস্কির পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে পাঠান ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে ১৩ ম্যাচে ২৩ গোল হলো তাঁর।