
সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে বার্সেলোনার জন্য বড় দুঃসংবাদ হয়ে আসে রবার্ট লেভানদভস্কির চোট। যেভাবে মাঠ ছেড়েছেন, তাতে মনে হচ্ছিল গুরুতর চোটই পেয়েছেন পোলিশ স্ট্রাইকার। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোও দিচ্ছে একই আভাস। সেখানে বলা হচ্ছে, সহসাই তার মাঠে ফেরার সম্ভাবনা কমই।
শনিবার লা লিগায় সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ৪-৩ গোলে জয়ের ম্যাচে শুরুর একাদশেই ছিলেন লেভানদভস্কি। ৭৮তম মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ তারকা।
আরও পড়ুন
| ৭ গোলের থ্রিলারে জিতে উচ্ছ্বসিত বার্সেলোনা কোচ |
|
স্পেনের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাথমিকভাবে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, সেখানে ধারণা করা হ্যামস্ট্রিংয়ে স্ট্রেনের কারণে হচ্ছে কমপক্ষে দুই থেকে তিন সপ্তাহ মিস করবেন লেভানদভস্কি।
ফলে আগামী ২৬ এপ্রিল রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে কোপা দেল রে ফাইনালে লেভানদভস্কির খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। শুধু তাই নয়, ঝুঁকিতে পড়ে গেছে ইন্তার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দুটি ম্যাচও।
ডায়ারিও এএসের সাংবাদিক জাভি মিগুয়েল তো আগ বাড়িয়ে এও বলেছেন, ইন্তারের বিপক্ষে সেমিফাইনালের এক লেগ খেলাও হয়ত সম্ভব হবে না লেভানদভস্কির।
শেষ পর্যন্ত যদি লেভানদভস্কি ছিটকে যান কয়েক সপ্তাহের জন্য, তাহলে সেটা হবে বার্সেলোনার জন্য বড় ধাক্কা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪০ গোল করে এই মৌসুমে কাতালান ক্লাবটির সর্বোচ্চ গোলস্কোরার তিনিই। ফলে মহাগুরুত্বপূর্ণ তিন ম্যাচে তিনি না খেললে হান্সি ফ্লিকের কপালে ভাজ বাড়বে অনেকটাই।
আরও পড়ুন
| রিয়াল অধ্যায় শেষে সেই ব্রাজিলই হচ্ছে আনচেলত্তির গন্তব্য? |
|
যদিও সেল্টা ম্যাচের পর বার্সেলোনা কোচ বলেন ইতিবাচক কথাই।
“লেভানদভস্কির আগামীকাল এমআরআই করা হবে। ফলাফলের জন্য আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে, আমরা তার চোটের ব্যাপার আরও জানতে পারব।”
No posts available.
৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫১ এম
৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৪ পিএম
৭ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৪৫ পিএম

আলবেনিয়ার নারী ভলিবল লিগে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবগুলো এক নারী খেলোয়াড়রের লিঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে আলবেনিয়ান ভলিবল ফেডারেশন।
নায়ারা ফেরেইরা নামের ঐ খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে দুটি ক্লাব- ভ্লাজনিয়া ও পোগ্রাদেচি। তাদের দাবি, ফেরেইরা হয়তো পুরুষ অথবা পারফরম্যান্স বৃদ্ধির জন্য হরমোন থেরাপি নিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্লাবই এসব অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
আলবেনিয়ার শীর্ষ ক্লাব দিনামো তিরানার হয়ে খেলেন ব্রাজিলের ৩২ বছর বয়সী ফেরেইরা। তবে অক্টোবরের পর আর মাঠে নামতে পারেননি তিনি। ফেডারেশন থেকে নির্দিষ্ট একটি ল্যাবরেটরিতে গিয়ে লিঙ্গ যাচাই পরীক্ষা দিতে বলা হয়েছে তাকে।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ফেরেইরা বলেন, ‘আমার চারপাশের পৃথিবী যেন ভেঙে পড়েছে। জীবনে কেউ কখনও লিঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন তুলেনি। এখন কেন শুধু আমার সঙ্গেই এটা হচ্ছে?’
আলবেনিয়ান ভলিবল ফেডারেশন বিষয়টি নিয়ে এখনো প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি। ৬ অক্টোবর ক্লাবকে পাঠানো এক চিঠিতে তারা জানায়, ফেরেইরার শারীরিক সক্ষমতা যাচাই ও লিঙ্গ নির্ধারণ করার জন্য পরীক্ষা নেওয়া হবে।
১৩ অক্টোবর ফেরেইরাকে দুই দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট ল্যাবে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে যাননি। এরপরই ফেডারেশন তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ব করে। ফেরেইরা জানান, তিনি নিজে আলাদা এক ক্লিনিকে পরীক্ষা করিয়েছেন এবং ফলাফল শিগগিরই পাওয়া যাবে।
এর আগে সৌদি আরবসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে খেলা এই ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় জানিয়েছেন, এখন তিনি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে আছেন। ‘আমি আর নিরাপদ বোধ করি না। যখনই রাস্তায় যাই, মনে হয় কিছু একটা ঘটবে।‘
দিনামো ক্লাবের কোচ অরল্যান্ডো কোজা বলেন, ‘ক্লাবে সবাই নায়ারাকে সমর্থন দিচ্ছি। আমরা মাঠের মানুষ, গসিপে বিশ্বাস করি না।‘ দলের অন্য খেলোয়াড়রা আশঙ্কা করছেন, ফেরেইরার অনুপস্থিতি চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
এদিকে আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা বিষয়টি জানে এবং ফেরেইরা ও আলবেনিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সংস্থাটি জানায়, স্থানীয় প্রতিযোগিতার যোগ্যতা নির্ধারণের বিষয়টি প্রতিটি দেশের নিজস্ব ফেডারেশনের অধীনে থাকে।

অনন্য এক কীর্তির সামনে দাড়িয়ে পেপ গার্দিওলা। বর্ণাঢ্য কোচিং ক্যারিয়ারে দারুণ এক অর্জন যোগ হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটির কোচের। আগামীকাল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ডাগ-আউটে দাড়ালেই ইতিহাস লিখবেন গার্দিওলা। অল রেডদের বিপক্ষে সাইডলাইনে পা রাখলেই তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারে তাঁর মোট ম্যাচের সংখ্যা হবে বরাবর ১ হাজার।
ইউরোপিয় ফুটবল ইতিহাসে হাতে গোনা কয়েকজন কোচেরই হাজারতম ম্যাচে কোচিং করানোর সৌভাগ্য হয়েছে। এলিটদের এই তালিকায় নিজের নাম দেখে গার্দিওলা নিজেই বিস্মিত।
বিবিসি স্পোর্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিটি কোচ বলেছেন, ‘আমি কখনও এই সংখ্যা নিয়ে ভাবিনি, কিন্তু যখন এসব মাইলফলক সামনে আসে আর নিজের অর্জনগুলো দেখি—প্রিমিয়ার লিগ থেকে শুরু করে চ্যাম্পিয়নস লিগ পর্যন্ত—তখন নিজেই অবাক হয়ে যাই। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, আর এখানে সিটিতে আমরা সত্যিই অসাধারণ কিছু জিতেছি।’
২০০৭ সালে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু হয় গার্দিওলার। এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে জিতেছেন ৭১৫টি ম্যাচ। কোচিং ক্যারিয়ারে তাঁর অর্জন ৪০টি বড় ট্রফি। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে তিনি জিতেছেন ১২টি লিগ শিরোপা এবং ৩টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। গড়ে প্রতি ২৫ ম্যাচে একটি করে ট্রফি জেতার অভিজ্ঞতা আছে স্প্যানিশ এই কোচের।
৫৪ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি কোচ তাঁর ক্যারিয়ারে হেরেছেন মাত্র ১২৮টি ম্যাচ। গার্দিওলা নিজে কি জানেন কতটি ম্যাচ জিতেছেন, স্প্যানিশ এই কোচ হেসে জবাব দেন, ‘অবশ্যই জানি, অনেক! সংখ্যাগুলো একেবারেই অবিশ্বাস্য, দুঃখিত কিন্তু সত্যি বলছি।’
তবে এতদূর আসা যে মোটেও সহজ কিছু ছিল না সেটা গার্দিওলার ভাষাতেই স্পষ্ট, ‘কোচ হিসেবে ১,০০০ ম্যাচের মাইলফলকে পৌঁছানো আমার জন্য সত্যিই বিশেষ কিছু। যখন ২০০৭ সালে বার্সেলোনা বি দলের কোচ হিসেবে শুরু করেছিলাম, তখন কখনও ভাবিনি এতদূর আসব। আমি শুধু ভালো ফুটবল খেলাতে চেয়েছি—বাকিটা সময়ই দিয়েছে।”
ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচ আরও যোগ করেন, ‘বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ আর ম্যানচেস্টার সিটির মতো তিনটি অসাধারণ ক্লাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। প্রত্যেক জায়গায় আমি পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি, কোনো বিভ্রান্তি ছাড়াই কাজ করতে পেরেছি। আমার ক্যারিয়ারে আমি যা কিছু জিতেছি, তাতে আমি ভীষণ গর্বিত। সত্যি বলতে, কখনও ভাবিনি এত ট্রফি জিতব—সবকিছুই ছিল দারুণ সুন্দর। কোনো মুহূর্ত বদলাতে চাই না।’
প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে ম্যান সিটি। ১০ ম্যাচে সিটিজেনতের সংগ্রহ ১৯ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা আর্সেনাল থেকে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। সিটি থেকে এক পয়েন্ট কম নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে আর্নে স্লটের লিভারপুল।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ১৮ নভেম্ভর ভারত এবং ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে গত ৩০ অক্টোবর জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয়। আজ শুক্রবার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংস থেকে ডাক পাওয়া ১০ ফুটবলার। তাঁদের নিয়ে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ঘোষিত ২৭ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড পূর্ণ হলো।
গত এক সপ্তাহ ১৫ ফুটবলার নিয়ে চলেছে ক্যাম্প। আজ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার প্রাকটিস গ্রাউন্ডে ফর্টিস এফসির বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে জাতীয় দল। যেখানে ১-০ গোলে হেরেছেন জামাল ভুঁইয়ারা।
খেলা শেষে দলের হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বলেন, ‘আজকের অনুশীলন ম্যাচটি ভালো ও শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ ছিল। ফর্টিস খুবই ভালো খেলেছে। নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে যে পরিকল্পনা আছে আমাদের, তা কিছুটা বাজিয়ে দেখাই মূল লক্ষ্য ছিল। ম্যাচ থেকে ইতিবাচক কিছু বিষয় পেয়েছি।'
পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ চলায় ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় হবে জাতীয় দলের অনুশীলন। কাবরেরা বলেন, ‘দলের বাকি খেলোয়াড়েরা আগামীকাল বিশ্রাম পাবে। কিন্তু কিংসের খেলোয়াড়েরা হোটেলে জিম সেশন করবে।’
দলের সঙ্গে হামজা চৌধুরীর যোগ দেবেন ১০ নভেম্বর। নেপাল ম্যাচের আগেই আসার কথা রয়েছে শমিত সোমের।

সুদিন ফিরল বলে। অন্ধকার যুগ যাকে বলে, তেমন সময়ের মধ্য দিয়েই যাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এখন খানিকটা আলোর ছোঁয়া পেয়েছে। বনেদি এই ইংলিশ ক্লাবের দুই গুরু-শিষ্য যে মাসসেরার স্বীকৃতি পেয়েছে।
ইউনাইটেডের কোচ রুবেন আমোরিম অক্টোবরের সেরা কোচ নির্বাচিত হয়েছেন। আর ক্লাবটির ফরোয়ার্ড ব্রায়ান এমবেউমো পেলেন মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার।
সেরার লড়াইয়ে আমোরিম পেছনে ফেলেন আর্সেনালের মিকেল আর্তেতা, অ্যাস্টন ভিলার কোচ উনাই এমেরি এবং বোর্নমাউথের অ্যান্ডোনি ইরায়োলাকে। সবশেষ মাসে লিগে টানা তিন ম্যাচে জয় পায় রেড ডেভিলরা। সান্ডারল্যান্ড, লিভারপুলকে হারানোর পর ব্রাইটনকে হারায় তারা। লিগে ১০ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
প্রিমিয়ার লিগে মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া এমবেউমো গত মামে তিনটি গোলের সঙ্গে একটি অ্যাসিস্টও করেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর প্রথমবার মাসসেরার পুরষ্কার পেলেন আমোরিম। প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সফল ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর কেবল হতাশাকে সঙ্গী করে নিয়েছিলেন পর্তুগিজ এই কোচ। কতটা বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে ইউনাইটেডকে সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে সবশেষ ক্লাবটির কোনো কোচের এই পুরষ্কার পাওয়ার সময়ের দিকে তাকালেই।
২০২৩ সালের নভেম্বরে সবশেষ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটির হয়ে এরিক টেন হাগ মাসসেরার স্বীকৃতি পান। দুই বছর পর সেই পুরষ্কার জিতে ইউনাইটেডের সেই দুঃসময় কিছুটা পেছনে ফেলে আসলেন আমোরিম। সঙ্গে ইংলিশ লিগের ক্লাবগুলোকেও একরকম হুঙ্গার দিয়ে রাখল তারা।
মাসসেরার স্বীকৃতি পেয়ে উচ্ছসিত আমোরিম বলেন, ‘আমি সত্যিই খুব খুশি। এটি কেবল আমার সহকর্মীদের জন্য নয়, আমার খেলোয়াড়দের জন্যও। আমি মনে করি এই পুরস্কারের পুরো কৃতিত্ব তাদেরই। কারণ শেষ পর্যন্ত এই ধরনের পুরস্কার জেতা মানে এটা নয় কোচই সেরা, বরং সেই দলই সেরা, যারা মাসে নিজেদের সেরাটা দিয়েছে।’
আমোরিম ষষ্ঠ পর্তুগিজ কোচ হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন। এর আগে হোসে মরিনহো, আন্দ্রে ভিলাস-বোয়াস, নুনো এসপিরিতো সান্তো, ব্রুনো লাজে এবং ভিটর পেরেইরা জিতেছেন এটি। কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন এগিয়ে সবার থেকে। ২১টি পুরস্কার জিতেছেন ইউনাইটেডের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল কোচ। ১৫বার সেরার স্বীকৃতি জিতে দ্বিতীয় স্থানে আছেন আর্সেনালের সাবেক কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার

ঢাকায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের বাছাইকৃত দলের সঙ্গে তিনজাতি প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে এএফ বক্সিং প্রোমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এই উপলক্ষে আগামী ১১ ডিসেম্বর ঢাকায় আসবেন ব্রাজিলের ফিফা বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু।
আমন্ত্রণমূলক প্রতিযোগিতা মাঠে গড়াবে ৫ ডিসেম্বর। প্রথম দিনে ব্রাজিলের দলটির বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা একটি দল।
৮ তারিখে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। এবং ১১ তারিখ শেষ খেলায় মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
এই ম্যাচ খেলতে ২ ডিসেম্বর ঢাকায় আসবে ব্রাজিল। একদিন পর আসার কথা আর্জেন্টিনার। এই আয়োজনের সার্বিক বিষয়ে অবহিত করতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এএফ বক্সিং প্রোমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
সেখানে জানানো হয় আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্বকারী ক্লাব আতলেটিকো শারলন এবং ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাবের অধীনে বাছাইকৃত দল (যার বেশিরভাগই তরুণ প্রতিভা) নিয়ে বাংলাদেশে আসবে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান দুটি দলই হবে ওই দুই দেশের অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ের তরুণ ফুটবলার নিয়ে বাছাইকৃতদের নিয়ে। সেখানে দুই-একজন সর্বশেষ যুব ফিফা বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলাররাও থাকবেন।
বাংলাদেশের দলটি কেমন হবে প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফ) নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম হিল্টনের কাছে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকা একমাত্র প্রতিনিধি বলেন, 'আমাদের দলটা হবে অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-২০ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দল থেকে বাছাইকরা।'
এ ধরনের আয়োজনে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস আসাদুজ্জামানের, 'ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা আসলে বিশ্ব মিডিয়া বাংলাদেশের ফুটবলে দৃষ্টি দেবেন। আমি বিশ্বাস করি এই খেলার পর বিশ্ব স্পোর্টস বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসবেন বলে বিশ্বাস করি।'
বাংলাদেশে বিশ্ব মিডিয়ার নজর থাকবে আরও একটি কারণে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যে পা রাখতে চলেছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার কাফু। বাংলাদেশে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাফুর পাঠানো ভিডিও বার্তা বড় পর্দায় দেখানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশে এই আয়োজন সামনে রেখে চমক রেখেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান। জানান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি বাতিস্তুতা, ভেনন এবং ক্যানেজিয়াকে আনা হবে। তবে তিন জনের মধ্যে থেকে কাকে উড়িয়ে আনা হবে সেটি নিশ্চিত করা যায়নি এখন। তবে এই তিনজনের যে কোনো একজন আসছেন এটি অনেকটাই নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।