
নিজেকে এর আগেও নানা সময়ে সেরাদের কাতারে সবার ওপরেই রেখেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। কখনও যুগের সেরা, কখনও আবার শেষ ২০ বছরের সেরা। সবশেষ নিজেকেই সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে দাবি করেছে পর্তুগাল কিংবদন্তি। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে অনেক সেরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা আছে যার, সেই কার্লো আনচেলত্তিও এতে একমত।
সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় কে, যুগে যুগে এই বিতর্কে এসেছে অনেক নামই। তবে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয় দুই কিংবন্তি পেলে ও ম্যারাডোনার নাম। আর এই যুগে এসে সেই তালিকায় জোরেশোরেই নিয়ে যুক্ত হয়েছে লিওনেল মেসির নাম। তিনজনই জিতেছেন বিশ্বকাপ। রোনালদো বিশ্বকাপের স্বাদ না পেলেও, জিতেছেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হওয়ার পাশাপাশি অফিশিয়ালি ছেলেদের ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিকও সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে রোনালদো তাই নিজেকে স্বীকৃতি দিয়েছেন সর্বকালের সেরা হিসেবে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনলচেলত্তি জানান তার মতামত। “ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোই কি সর্বকালের সেরা? আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, হ্যাঁ, তিনিই সেরা। কারণ, আমার কাছে মনে হয় তিনি একটু যুগকে নিজের করে নিয়েছেন।”
সম্প্রতি স্প্যানিশ সাংবাদিক এদু এগুরেইরার সাথে সাক্ষাৎকারে নিজেকে সর্বকালের সেরা মানার কারণ তুলে ধরেন রোনালদো। “একদম মন থেকেই বলছি। আমি আমার থেকে ভালো কাউকে দেখিনি ফুটবলে। আপনি মেসি, পেলে কিংবা ম্যারাডোনাকে এগিয়ে রাখতে পারেন আমি সেটাকে সম্মান করি। তবে পরিসংখ্যান মিথ্যা বলে না। তাই আমার মনে হয় না অহংকার করার দরকার আছে। তবে এটা মেনে নেওয়ার মধ্যে লজ্জা নেই। আমি ফুটবল ইতিহাসের সেরা গোল স্কোরার।”
সর্বকালের বিতর্কের পাশাপাশি রোনালদোর নাম আসলেই সেখানে চলে আসে মেসির নাম। আর্জেন্টিনার এই তারকার বিপক্ষে একটা লম্বা সময়ে স্প্যানিশ ফুটবলে লড়েছেন সরাসরি। গোলের পাশাপাশি নানা রেকর্ডে দুজন দীর্ঘ সময় ধরেই সমান সমান্ন লড়াই করে গেছেন। ফলে নানা সময়ে এসেছে তাদের মাঝে বৈরিতার খবর।
তবে এদু এগুরেইরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো জানিয়েছেন ভিন্ন কিছুই। “লিও মেসির সাথে আমার একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি একবার পুরষ্কার অনুষ্ঠানে তাকে ইংরেজিতে অনুবাদও করে দিয়েছিলাম। আমাদের সময়টা দারুণ ছিল। এটা একটা স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, আমরা ভালোভাবেই মিশতে পারতাম। মনে হয় না সামনে আর এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে।”
রিয়াল মাদ্রিদ অধ্যায় শেষে ইতালি, ইংল্যান্ড ঘুরে রোনালদো এখন আছেন সৌদি আরবে। খেলছেন আল নাসরের হয়ে। আর বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে গিয়ে দুই বছর খেলার পর মেসি এখন আছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।
No posts available.
৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৪ এম

ইউয়েফার বেধে দেওয়া সব চাহিদা পূরণ না হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে পারছে না পাফোস এফসি। তাই পাশের শহরে তারা আয়োজন করছে ঘরের মাঠের ম্যাচগুলো। সেখানেই স্পেনের ক্লাব ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে সাইপ্রাসের দলটি।
প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে এসে চতুর্থ ম্যাচেই প্রথম জয়ের দেখা পেয়ে গেছে পাফোস। বুধবার রাতের ম্যাচে মাত্র ১১ বছর আগে গঠিত ক্লাবের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে গেছে স্প্যানিশ লা লিগায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়ারিয়াল।
ম্যাচের ৪৬ মিনিটে কেন সেমার কর্নার থেকে ফ্রি হেডারে জাল কাঁপিয়ে পাফোসের জয় নিশ্চিত করেন ডাচ ডিফেন্ডার ডেরিক লুকাসেন।
আরও পড়ুন
| ২৩ হাজার কোটি টাকার চেলসিকে রুখে দিল অখ্যাত কারাবাগ |
|
ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরে বাছাইপর্বসহ ১০ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি হেরেছে পাফোস। সেটিও কিনা জার্মান জায়ান্ট ক্লাব বায়ার্নের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূল আসরে চার ম্যাচে এখন তাদের দুই ড্রয়ের সঙ্গে মিলল এক জয়।
অথচ ম্যাচ আয়োজনের জন্য ইউয়েফার মৌলিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ না করায় নিজেদের ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচগুলো খেলতে পারছে না পাফোস। প্রতিপক্ষকে তারা স্বাগত জানাচ্ছে প্রায় ৪০ মাইল দূরের আলফামেগা স্টেডিয়ামে।
অবশ্য ২০১৪ সালের আগেও অস্তিত্ব ছিল না পাফোস এফসির। ওই অঞ্চলের দুটি ক্লাব এইকে কুকিলা ও এইপি পাফোস একসঙ্গে মিলে গঠন করে পাফোস এফসি।
দ্বিতীয় বিভাগ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ক্লাবটির। ২০১৭ পর্যন্ত সেখানেই আটকে থাকে তারা। পরে রাশিয়ান ব্যবসায়ী রোমান দুবোভ ক্লাবটি কিনে নিলে ধীরে ধীরে এগোতে থাকে পাফোস।
২০২৩ সালে দলের কোচের দায়িত্ব নেন আর্সেনালের সাবেক সহকারী কোচ হুয়ান কার্লোস কারসেদো। ২০২৪ সালে সাইপ্রিয়ট কাপ জিতে প্রথম শিরোপার স্বাদ পায় তারা। পরে গত মৌসুমের লিগ শিরোপাও জেতে ক্লাবটি।
আরও পড়ুন
| রোনালদো বললেন, এবার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার সময় |
|
গত মৌসুমে ইউয়েফা কনফারেন্স লিগের মাধ্যমে ইউরোপের প্রতিযোগিতায় যাত্রা শুরু করে পাফোস। দারুণ পারফরম্যান্সে ওই আসরে নক-আউট পর্বে খেলে তারা। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবার বাছাই পেরিয়ে তারা উঠে এলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে, গড়ল ইতিহাস।
সব মিলিয়ে চার ম্যাচে এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ২০ নম্বরে পাফোস। মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে ৩৬ দলের মধ্যে ৩২ নম্বরে ভিয়ারিয়াল।

ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রায়ই দেখা যায় অঘটন। বড় বড় দলকে হারিয়ে দেয় নতুন উঠে আসা ক্লাবগুলো। তেমন কিছু হয়নি চেলসির সঙ্গে। তবে তারকায় ঠাঁসা দল নিয়েও আজারবাইজানের ক্লাব কারাবাগের সঙ্গে জিততে পারেনি তারা।
কারাবাগের মাঠে খেলতে গিয়ে পরাজয়ের মুখ থেকে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছে চেলসি। তাদের হয়ে গোল দুইটি করেন এস্তেভাও ও আলেজান্দ্রো গার্নাচো। আজারবাইজানের ক্লাবের হয়ে জাল কাঁপান লেয়ান্দ্রো আন্দ্রাদে ও মার্কো ইয়াঙ্কোভিচ।
অথচ নামের ভার, ইতিহাস কিংবা শক্তির বিচারে কারাবাগের চেয়ে অনেক এগিয়ে চেলসি। দুই দলের মোট বাজার দরের হিসেবেও চেলসির সামনে রীতিমতো চুনোপুঁটি কারাবাগ।
আরও পড়ুন
| প্রতিপক্ষের উপহার পেয়েও জিততে পারল না বার্সেলোনা |
|
ইংলিশ ক্লাবটির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় দেড় বিলিয়ন পাউন্ড। বাংলাদেশি মূদ্রায় ২৩ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকার বেশি। বিপরীতে কারাবাগ মাত্র ২২ মিলিয়ন ডলার বা সাড়ে তিনশ কোটি টাকা।
এর বাইরে মাঠের হিসেবেও পরিসংখ্যান ছিল না কারাবাগের পক্ষে। ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে খেলা আগের সাত ম্যাচের সবকটিই হেরেছিল তারা। চেলসির বিপক্ষে সবশেষ দেখায় দুই লেগ মিলিয়ে তাদের হারের ব্যবধান ছিল ১০-০!
কাগজে-কলমের সব হিসেব মাঠে প্রায় ধূলিসাৎ করে দিয়েছিল কারাবাগ। তবে ১৬ মিনিটে এস্তেভাওর গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় চেলসি। ২৯ মিনিটে সেটি শোধ করেন আন্দ্রাদে।
প্রথমার্ধেই লিড নেয় কারাবাগ। ডি-বক্সের ভেতরে জোরেল হাতো হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পেয়ে যায় তারা। স্পট কিক থেকে কোনো ভুল করেননি ইয়াঙ্কোভিচ।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে পরাজয়ের শঙ্কা এড়িয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন চেলসির আর্জেন্টাইন তারকা গার্নাচো। এরপর দুই দলই সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি।
চার ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২ নম্বরে চেলসি। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ১৫ নম্বরে কারাবাগ।

বিতর্ক আর শাস্তির সঙ্গে যেন মিতালি গড়েছেন লুইস সুয়ারেজ। মাঠে অনাকাঙ্ক্ষিত কাণ্ড ঘটিয়ে আরও একবার শাস্তি পেলেন ইন্টার মায়ামির উরুগুইয়ান তারকা। এবার তার নিষেধাজ্ঞা এক ম্যাচের।
নতুন শাস্তির কারণে ন্যাশভিলের বিপক্ষে প্লে-অফের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারবেন না সুয়ারেজ। আগামী শনিবার ওই ম্যাচে মাঠে নামবে মায়ামি।
ন্যাশভিলের বিপক্ষেই গত রোববার প্লে-অফের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বল ছাড়াই প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার অ্যান্ডি নাজারকে লাথি মেরে বসেন সুয়ারেজ। ৭১তম মিনিটের ওই অফ দা বল ঘটনার পর্যালোচনা করে তাকে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ম্যাচ চলাকালে অবশ্য কোনো কার্ড না দেখেই পার পেয়ে গিয়েছিলেন সুয়ারেজ। এমনকি ফাউলও ধরা হয়নি তখন। তবে ম্যাচ শেষে সব ঘটনা পর্যালোচনা করে শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে মেজর লিগ সকারের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
সেদিন দ্বিতীয় রাউন্ডের ওই ম্যাচটি ২-১ ব্যবধানে জিতে প্লে-অফের সিরিজটি তৃতীয় ম্যাচে টেনে নিয়েছে ন্যাশভিল। প্রথম রাউন্দে ৩-১ গোলে জিতেছিল মায়ামি। এবার শনিবারের ম্যাচেই নির্ধারণ হবে দুই দলের ভাগ্য।
গত সেপ্টেম্বরে লিগস কাপের ফাইনালে সিয়াটল সাউন্ডার্স দলের এক স্টাফের গায়ে থুতু মেরে মেজর লিগ সকার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান সুয়ারেজ। পরে লিগস কাপ কমিটি তাকে দেয় ৬ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।

ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বুধবার রাতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। নিজেদের ঘরের মাঠে জার্মান ক্লাবকে তারা হারিয়েছে ৪-১ গোলে।
দলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন ফিল ফোডেন। অন্য দুই গোল করেন আর্লিং হলান্ড ও রায়ান শেরকি।
এই জয়ে ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে অবস্থান করছে ম্যান সিটি। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরে বরুশিয়া।
ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে দুই দলই ছিল কাছাকাছি। তবে আক্রমণের বিচারে পাত্তাই পায়নি বরুশিয়া। গোলের জন্য মোটি ১৪টি শট করে ৯টিই লক্ষ্য বরাবর রাখে ম্যান সিটি। বিপরীতে বরুশিয়ার ১টি মাত্র শট ছিল লক্ষ্য বরাবর।
ম্যাচের ২২তম মিনিটে ফোডেনের গোলে এগিয়ে যায় সিটিজেনরা। সাত মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হলান্ড।
এ নিয়ে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চার ম্যাচেই জালের দেখা পেলেন নরওয়েজিয়ান তারকা। সব মিলিয়ে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করলেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৫৭ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ফোডেন। ১৫ মিনিট পরে ওয়ালদেমার আন্টনের গোলে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় বরুশিয়া। কিন্তু এরপর আর জালের দেখা পায়নি তারা।
উল্টো অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে জাল কাঁপিয়ে ম্যান সিটির বড় জয় নিশ্চিত করেন শেরকি।

দাপুটে ফুটবল খেলেও বারবার গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ল বার্সেলোনা। একপর্যায়ে দেখা দিল হেরে যাওয়ার শঙ্কা। তবে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে কোনোমতে একটি পয়েন্ট পেল স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি।
ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বুধবার রাতে ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা। এর মধ্যে শেষ গোলটি তারা পেয়েছে প্রতিপক্ষের উপহার হিসেবে, আত্মঘাতী। বাকি দুই গোল করেন লামিন ইয়ামাল ও ফেররান তোরেস।
ম্যাচে অবশ্য আধিপত্য দেখিয়েই খেলে হানসি ফ্লিকের দল। ম্যাচজুড়ে প্রায় ৭৭ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের দখলে। গোলের জন্য মোট ২৩টি শট করে ৭টি লক্ষ্যেও রাখে তারা। কিন্তু ৩টি শট গোল পোস্টে প্রতিহত হলে পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়া হয়নি তাদের।
আরও পড়ুন
| গৌরব, ইতিহাস ও গর্বের ছাপ রেখে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জার্সি |
|
প্রতিপক্ষের মাঠে এই ম্যাচটিতে ষষ্ঠ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। কার্লোস ফোর্বসের ক্রসে জাল কাঁপান নিকোলো ট্রেসোল্ডি। ঝাঁপ দিয়েও বলের নাগাল পাননি বার্সেলোনা গোলরক্ষক।
দুই মিনিটের ব্যবধানে সমতা ফেরায় বার্সেলোনা। ফার্মিন লোপেসের ক্রসে ছুটে গিয়ে বল জালে পাঠান ফেররান তোরেস।
বেশিক্ষণ সমতা রাখেনি ক্লাব ব্রুগ। ১৭তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে চমৎকার শটে দলকে এগিয়ে দেন ফোর্বস।
দশ মিনিট পর ইয়ামালের পাস থেকে বল পেয়ে জোরাল শট করেন বার্সা ডিফেন্ডার জুলস কুন্দে। কিন্তু ক্রসবারে লেগে বল চলে যায় বাইরে।
ক্লাব ব্রুগের জমাট রক্ষণের মাঝেই প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আরও দুটি দারুণ শট করে বার্সেলোনা। কিন্তু জালের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে বার্সাকে আটকে দেন ক্লাব ব্রুগের গোলরক্ষক নুরদিন ইয়ার্কাস। এক মিনিটের ব্যবধানে লোপেস ও ইয়ামালের দারুণ দুটি শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুন
| রোনালদো বললেন, এবার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার সময় |
|
৬১ মিনিটে ঠিকই জাল খুঁজে নেন ইয়ামাল। ডি-বক্সের বাইরে পাওয়া বল ধরে দুজনকে কাটিয়ে তিনি বল দেন দানি ওলমোর কাছে। পরে ডি-বক্সের ভেতরে ফিরতি পাস পেয়ে আবারও পায়ের জাদুতে দুজনকে কাটান তিনি। পরে ঠাণ্ডা মাথায় দলকে সমতায় ফেরান।
কিন্তু দুই মিনিট পর আবার ফোর্বসের গোলে এগিয়ে যায় ক্লাব ব্রুগ।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া বার্সেলোনা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু সফল হতে পারেননি ইয়ামালরা। শেষ পর্যন্ত ৭৭ মিনিটে মেলে ভাগ্যের ছোঁয়া। ইয়ামালের এগিয়ে দেওয়া বলে নিজেদের জালেই গোল করে বসেন খ্রিস্তোস জোলিস।
বাকি সময়ে জমাট রক্ষণ নিয়ে বার্সেলোনাকে আর গোল করতে দেয়নি ক্লাব ব্রুগ। নিজেদের মাঠে তারা পেয়ে যায় মূল্যবান ১ পয়েন্ট।
৪ ম্যাচে দুই জয় ও ১ ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া ক্লাব ব্রুগ আছে ২২ নম্বরে।