২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম

কবে,কখন?
বার্সেলোনা-আতলেতিকো মাদ্রিদ
লা লিগা
২২ ডিসেম্বার, রাত: ২টা
স্টেডিয়াম: স্তাদিও অলিম্পিক লুইস
উড়তে থাকা বার্সেলোনা যেন আচমকাই পথ হারিয়েছে। শেষ ছয় লা লিগা ম্যাচে কাতালানরা জয় পেয়েছে মোটে একটা। মৌসুমের শুরুতে প্রশংসা পাওয়া হান্সি ফ্লিকের অফ সাইড ট্রেপও খুব একটা কাজে আসছে না। যা নিয়ে কিছুটা সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে জার্মান কোচকে। অন্যদিকে মৌসুমের শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও টানা ১১ ম্যাচ জিতে আতলেতিকো মাদ্রিদ জানান দিয়েছে নিজেদের শক্তিমত্তার। তাতে শনিবার রাতে জমজমাট এক লড়াইয়ের আশাই করছেন দুই দলের সমর্থকরা।
এই ম্যাচে জয় পরাজয়ে অদল-বদল হবে পয়েন্ট টেবিলে। লা লিগায় ১৮ ম্যাচ শেষে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে বার্সেলোনা, অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে আতলেতিকোর পয়েন্টও সমান। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় বার্সেলোনা ধরে রেখেছে শীর্ষস্থান।
অভিজ্ঞতার বিচারে বার্সেলোনা অনেকটাই পিছিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে। তবে তারুণ্যে নির্ভর দলটা নিয়ে হাল ছাড়তে চান না ফ্লিক। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদসস্মেলনে জানিয়েছেন তেমনটাই।
“বছরের শেষ সময় এখন। কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমাদের লড়াইয়ে নামতে হবে। আমরা এখনো লা লিগায় প্রথম ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছি। যা খুব একটা মন্দ না। কিছু পয়েন্ট আমরা হারিয়েছি, দল বেশ কিছু ভুল করেছে। দলটা অনেক তরুণ, আমাদের তাই উন্নতি করার মানসিকতা ধরে রাখতে হবে।”
সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় আতলেতিকো মাদ্রিদ এগিয়ে থাকলেও দলটির কোচ দিয়েগো সিমিওনে সমীহ করছেন বার্সাকে। তার দল উন্নতি করতে নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে বলেই সংবাদসম্মেলনে জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন এই কোচ,
“গেল কিছু দিন থেকে আমরা দল হিসেবে ভালো করছি। প্রতিপক্ষের দূর্বল জায়গায় আক্রমণ করার চেষ্টা করছি সেই সাথে নিজেদের উন্নতির দিকেও নিজর দিচ্ছি। তবে আমাদের প্রতিপক্ষ বেশ কঠিন। মিডফিল্ড তাদের বেশ শক্ত, আক্রমণভাগে রাফিনিয়া দুর্দান্ত ফর্মে আছে। তবে আমাদেরও শক্তির জায়গা আছে। আশা করছি দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
দলের খবর বার্সেলোনা
এই ম্যাচের আগে বার্সেলোনার জন্য সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ লামিন ইয়ামালের না থাকা। লেগানেসের সাথে শেষ ম্যাচে চোটে পড়ে প্রায় মাসখানেক মাঠের বাইরে থাকতে হবে বার্সা ফরোয়ার্ডকে। তবে চোট কাটিয়ে আনসু ফাতি ও ক্রিস্টেনসন দলের সাথে যোগ দিয়েছেন। অবশ্য তাদের একাদশে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। এছাড়াও দলের সাথে আছেন রোনাল্দ আরাউহো। শেষ কয়েক ম্যাচে বেঞ্চে দেখা গেলেও উরুগুয়ে এই ডিফেন্ডার বদলি হিসেবে মাঠে নামতে পারেন আতলেতিকোর বিপক্ষে।
দলের খবর আতলেতিকো মাদ্রিদ
সিমিওনে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। প্রতিটা দল যখন চোটের হানায় ভুগছে, তার হাতে আছে পূর্ণ শক্তির স্কোয়াডই। শেষ কয়েক ম্যাচে ৪-৪-২ ফরমেশনে দলকে খেলিয়েছেন সিমিওনে বার্সেলোনার সাথেও তেমনটাই দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
হেড টু হেড
দুই দল এখন পর্যন্ত লা লিগায় মুখোমুখি হয়েছে ১৭৪ ম্যাচে। যেখানে বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ৮০ ম্যাচে বিপরীতে আতলেতিকো মাদ্রিদ জয় তুলে নিয়েছে ৫২ ম্যাচে। ড্র হয়েছে বাকি ৪২ ম্যাচ।
No posts available.
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৮ এম

নির্ধারিত সময়ের খেলা বাকি ছিল ২৩ মিনিট। ৩-০ গোলের লিড তখন নাইজেরিয়ার। কিন্তু এরপরও মাঠে স্বস্তি পেল না তারা। কাছাকাছি র্যাঙ্কিংয়ের তিউনিসিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিল নাইজেরিয়াদের। ১৩ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল পরিশোধ করেও শেষটা আর রাঙাতে পারল না তিউনিসিয়া। হার মেনেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে দলটিকে।
আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে (আফকন) গ্রুপ পর্বের ম্যাচে শনিবার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৩৮ নম্বরে থাকা নাইজেরিয়া এবং ৪২তম দল তিউনিসিয়া। দুই দলের রোমাঞ্চকর লড়াই ৩-২ ব্যবধানে জিতে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে নাইজেরিয়া।
মরক্কোর ফেজ শহরে এদিন সুপার ঈগলদের হয়ে একটি করে গোল করেন- ভিক্টর ওসিমেন, উইলফ্রেড এনদিদি, অ্যাডেমোলা লুকম্যান। তিউনিসিয়ার হয়ে দুটি গোল শোধ করেন- মনতাসার তালবি ও আলি আবদি। ‘সি’ গ্রুপ থেকে তিউনিসিয়ার জন্যও সুযোগ আছে।
আরও পড়ুন
| ম্যান ইউনাইটেডের পর চেলসিকে হারিয়ে শিরোপা রেসে ভিলা |
|
ম্যাচের প্রথম গোল পেতে বিরতির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় নাইজেরিয়াকে। ৪৪ মিনিটে অ্যাডেমোলা লুকম্যানের নিখুঁত ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করে নাইজেরিয়াকে এগিয়ে দেন ভিক্টর ওসিমেন।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৫০ মিনিটে লুকম্যানের কর্নার থেকে হেডে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম গোল করেন উইলফ্রেড এনদিদি। এরপর ৬৭ মিনিটে ওসিমেনের বাড়ানো বলে লুকম্যান নিজেই গোল করে ব্যবধান নিয়ে যান ৩-০-তে।
শেষ ২০ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আসে তিউনিসিয়া। হ্যানিবাল মেজব্রির ফ্রি-কিক থেকে মনতাসার তালবির হেডে এক গোল শোধ করে কার্থেজ ঈগলসরা।
এরপর নাইজেরিয়ার ডিফেন্ডার ব্রাইট ওসাই-স্যামুয়েলের হাতে বল লাগার ঘটনায় পেনাল্টি পায় তিউনিসিয়া। ৮৭ মিনিটে আলি আবদি স্পট কিক থেকে গোল করলে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরে আসে।
যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার খুব কাছাকাছি গিয়েছিল তিউনিসিয়া। অধিনায়ক ফেরজানি সাসির হেড অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। শেষ মুহূর্তে ইসমাইল ঘারবির ভলিও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
এই জয়ে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন নাইজেরিয়া। শেষ ম্যাচে উগান্ডার বিপক্ষে খেলবে তারা। অন্যদিকে তিন পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রয়েছে তিউনিসিয়া। শেষ ম্যাচে তানজানিয়ার বিপক্ষে ড্র করলেই নকআউটে উঠবে ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

স্বপ্নের মতই এক মৌসুম পার করছে অ্যাস্টন ভিলা। গত ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারানোর পর এবার আরেক ইংলিশ জায়ান্ট চেলসিকে হারিয়েছে বার্মিংহ্যামের ক্লাবটি।
বেঞ্চ থেকে নেমে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ইংলিশ স্ট্রাইকার ওলি ওয়াটকিন্স। তাঁর জোড়া গোলে চেলসিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা দৌড়ে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করল অ্যাস্টন ভিলা।
এই জয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১১ ম্যাচ জিতল অ্যাস্টন ভিলা। এর আগে ১৮৯৭ ও ১৯১৪ সালে এমন কীর্তি গড়েছিল তারা। এছাড়া প্রিমিয়ার লিগে টানা ৮ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে দলটি, সর্বশেষ এমনটা হয়েছিল ১৯১০ সালে।
আরও পড়ুন
| ১৩৬৬ কোটির ভার্টজের প্রথম গোল, লিভারপুলের জয় |
|
ঘরের মাঠে শনিবার রাতে ম্যাচের প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল চেলসি। ৩৭ মিনিটে রিস জেমসের কর্নার থেকে বল জালে পাঠান জোয়াও পেদ্রো। প্রথমার্ধে খেলায় এগিয়ে থাকলেও সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।
বিরতির পরও ভিলাকে চাপে রাখে চেলসি। তবে ৫৯ মিনিটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ভিলার কোচ উনাই এমেরি। একসঙ্গে তিন বদলি- ওলি ওয়াটকিন্স, আমাদু ওনানা ও জ্যাডন সানচোকে নামান।
৬৩ মিনিটে মরগান রজার্সের পাস ধরে বক্সে ঢুকে শট নেন ওয়াটকিন্স। প্রথম প্রচেষ্টা ঠেকালেও ফিরতি বলে গোল হজম করেন গোলকিপার রবার্ট সানচেজ।
গোলের পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় অ্যাস্টন ভিলা। একের পর এক আক্রমণে চেলসিকে চাপে রাখে তারা। ৮৪ মিনিটে ইউরি টিলেমানসের কর্নার থেকে হেডারে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ওয়াটকিন্স।
আরও পড়ুন
| দুই ঘণ্টায় শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার আর্সেনালের |
|
প্রথম একঘণ্টা পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত চেলসির ঘরের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে অ্যাস্টন ভিলা। এই হারে পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে নেমে গেছে পশ্চিম লন্ডনের ক্লাবটি। ১৮ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে চেলসি। সমান ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট অ্যাস্টন ভিলার; ক্লাব ইতিহাসে ১৮ রাউন্ড শেষে প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ। টেবিলের শীর্ষে থাকা আর্সেনালের (৪২) চেয়ে মাত্র তিন পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির (৪০) সঙ্গে ব্যবধান এক পয়েন্টের।
মঙ্গলবার এমিরেটস স্টেডিয়ামে লিগের শীর্ষে থাকা আর্সেনালের বিপক্ষে খেলবে অ্যাস্টন ভিলা। সেই ম্যাচে জয় পেলে ১৯১০ সালের নিজেদের টানা জয়ের রেকর্ড ভেঙে প্রিমিয়ার লিগে নতুন এক ইতিহাস গড়বে উনাই এমেরির দল।

ক্যারিয়ারের ৬৭ নম্বর হ্যাটট্রিকের খুব কাছে ছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। আল আখদৌদের বিপক্ষে তিনবার বলও জালে জড়ান। তবে ভিএআরে কাটা পড়ে ‘সিআর সেভেনের’ তৃতীয় গোল।
হ্যাটট্রিক না পেলেও জোড়া গোল করে আজ সৌদি প্রো লিগে আল নাসরের ৩-০ গোলের জয়ের নায়ক রোনালদো। ক্লাবটির বাকি গোলটি করেন রোনালদোর পর্তুগিজ সতীর্থ জোয়াও ফিলিক্স।
এক মাসেরও বেশি সময় পর লিগের ম্যাচে মাঠে নেমে জোড়া গোল করে ৬৫ বছরের পুরোনো রেকর্ডে ভাগ বসালেন রোনালদো। রোনলাদোর কাছে যে বয়স কেবলই সংখ্যা সেটা প্রতিনিয়তই প্রমাণ করে যাচ্ছেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ৩০ পেরোনোর পর পর্তুগিজ মহাতারকা যত গোল করেছেন, সেটা ৩০’এর আগের চেয়ে বেশি। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩০ বছরে পা রাখা সিআর সেভেন খেলেছিলেন মোট ৭১৮ ম্যাচ, গোল সংখ্যা ৪৬৩। গড়ে প্রতি ১২২ মিনিটে একটি করে গোল করেন ৪০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
৩০ পেরোনোর পর যেন তারুণ হয়েছেন রোনালদো। এই ১০ বছরে তিনি করেছেন ৪৯৩ গোল, যা তাকে নিয়ে গেছে ইতিহাসের পাতায়—রনি রুকের পাশে। ফুটবলের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা রেক.স্পোর্ট.সকার স্ট্যাটিস্টিকস ফাউন্ডেশনের (আরএসএসএসএফ) এর তথ্য অনুযায়ী, ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৩০ বছর বয়সের পর সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি এককভাবে ধরে রেখেছিলেন রনি রুক—তার গোলসংখ্যাও ছিল ৪৯৩।
১৯৪১ সালে ৩০ বছরে পা রাখার পর ২০ বছর পর্যন্ত ইউরোপের বিভিন্ন স্তরে ফুটবল খেলেছেন রনি ব্রুক। ৩০–এর পর আর্সেনাল ও ক্রিস্টাল প্যালেসের মতো ক্লাবে খেললেও, তার সবচেয়ে গোলসমৃদ্ধ সময়টা কেটেছে ফুলহামে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে ফুলহ্যামের হয়ে লিগে ৮৭ ম্যাচে ৫৭ গোল করেছিলেন তিনি।
যুদ্ধকালীন সময়েও রনি রুক ফুটবল খেলা চালিয়ে যান। একই সঙ্গে তিনি রয়্যাল এয়ার ফোর্স (আরএএফ)-এ দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়ে ফুলহামের হয়ে যুদ্ধকালীন ম্যাচে তিনি মোট ১৯৯টি ম্যাচ খেলেন এবং ২১২টি গোল করেন।
তারপর রনি রুক আর্সেনাল ও ক্রিস্টাল প্যালেসে খেলেন। পরবর্তী সময়ে লিগের নিচের স্তরে নেমে বেডফোর্ড টাউন, হেওয়ার্ডস হিথ টাউন ও অ্যাডলস্টোনের মতো ক্লাবের হয়েও মাঠে নামেন। সব মিলিয়ে, ৩০ বছর বয়স পার করার পর তিনি করেছিলেন ৪৯৩ গোল—যে রেকর্ডটি তার ১৯৬১ সালে অবসর নেওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন অটুট ছিল।
আজ আল আখদৌদের বিপক্ষে ৩১ মিনিটে প্রথম গোলের পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেই রনি রুকের রেকর্ডে ভাগ বসান রোনালদো। রোনালদোর যে ফিটনেস তাতে ৬৫ বছরের পুরোনো এই রেকর্ড ভেঙে যাওয়া কেবলই সময়ের ব্যাপার। আগামী ৩০ ডিসেম্বর আল ইত্তিফাকের বিপক্ষে ম্যাচেই হয়তো এই রেকর্ডের মালিক হয়ে যাবেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ক্যারিয়ারে রোনালদোর গোলসংখ্যা এখন ৯৫৬টি। হাজার গোলের অসাধারণ মাইলফলকের আরও কাছে সিআরসেভেন।

চলতি মৌসুমে চরম কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া লিভারপুল লিগে পেল টানা তৃতীয় জয়। প্রিমিয়ার লিগের এই মৌসুমে একটি জয়ও না পাওয়া উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে অল রেডরা জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।
লিগে প্রথম গোল পেলেন ট্রান্সফার মার্কেটে ঝড় তুলে লিভারপুলে যোগ দেওয়া ফ্লোরিয়ান ভার্টজ। বায়ার লেভারকুসেন থেকে জার্মান মিডফিল্ডারকে দলে ভেড়াতে রেকর্ড ১৩৬৬ কোটি টাকা (১১৬ মিলিয়ন পাউন্ড) খরচ করেছে লিভারপুল। তবে অ্যান ফিল্ডের ক্লাবটিতে থিতু হতে পারছিলেন না ভার্টজ। লিগে মোট ১৭ ম্যাচ খেলে অবশেষে জালের দেখা পেলেন ২২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার।
লিভারপুলের প্রথম গোলটি করেন রায়ান গ্রাভেনবার্গ। সেই গোলের উদযাপন করতে না করতেই দ্বিতীয় গোলের উদযাপনে মেতে উঠে লিভারপুল। এক মিনিটের মধ্যে ব্যবধান ২-১ করেন গোল খরা কাটানো ভার্টজ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে সান্তিয়াগো বুয়েনোর গোলে ব্যবধান কমায় উলভারহ্যাম্পটন।
এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এলো লিভারপুল। ১৮ ম্যাচে ১০ জয় , ২ ড্র ও ছয় হারে আর্নে স্লটের দলের পয়েন্ট ৩২। শীর্ষে থাকা আর্সেনাল থেকে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। বিপরীতে লিগে নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ মৌসুম কাটানো উলভারহ্যাম্পটন মাত্র দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করে একেবারে তলানীতে অবস্থান করছে।

এই ম্যানচেস্টার সিটি এক নম্বরে উঠে তো পরের ম্যাচেই আবার জিতে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করে আর্সেনাল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে শিরোপার লড়াই বেশ জমে উঠেছে। লিগটির সবশেষ দুই রাউন্ডে দু’দফা চূড়ায় উত্থান-পতন হলো সিটি-আর্সেনালের।
আজ নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় ম্যানচেস্টার সিটিকে নিয়ে যায় শীর্ষে। এরপর সিটিজেনদের চাপ সামলে একই ব্যবধানে ব্রাইটনকে হারিয়ে আবার এক নম্বরে উঠে যায় আর্সেনাল।
ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রথমে মার্টিন ওডেগার্ডের গোলে ব্যবধান ১-০ করে আর্সেনাল। তারপর প্রতিপক্ষ থেকে উপহার পাওয়া আত্মঘাতি এক গোলে ব্যবধান হয়ে যায় দ্বিগুণ। ব্রাইটনের হয়ে ব্যবধান কমানো গোলটি আসে দিয়েগো গোমেজের পা থেকে।
বল দখলে খুব একটা আধিপত্য না থাকলেও শট নেওয়ায় প্রতিপক্ষ থেকে বেশ এগিয়ে ছিল আর্সেনাল। ৫৩ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে ২৪টি শট নেয় স্বাগতিকরা। এরমধ্যে গোলমুখে ছিল ছয়টি। বিপরীতে মোট আটটি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখে ব্রাইটন।
ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাইটনের রক্ষণভাগকে তটস্থ রাখা আর্সেনাল প্রথম গোল পায় ১৪ মিনিটে। ডান দিক দিয়ে নিজের চেনা ভঙ্গিতেই প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কেটে ভেতরে ঢুকে বল বাড়ান ওডেগার্ডের কাছে। এরপর ঠাণ্ডা মাথায় বল ডান পাশের নিচের কোণে পাঠিয়ে দেন আর্সেনাল অধিনায়ক।
৫২ মিনিটে পরের গোলটি পায় আর্সেনাল। সেট পিসে ভয়ংকর গানানরা কর্নার থেকে দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেয়। ডেকলান রাইসের নেওয়া নিখুঁত কর্নার হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন ব্রাইটনের ফরোয়ার্ড জর্জিনো রুটার। ১২ মিনিট পর ব্যবধান ২-১ করা গোল পায় ব্রাইটন। তবে সফরকারীদের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার গোমেজের ওই গোলের পর আর বিপতে পড়তে হয়নি আর্সেনালকে। পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে সিটিকে টপকে যাওয়ার স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্তেতার দল।